#মেঘের_আড়ালে_মেঘ”৭”
#জেরিন_আক্তার_নিপা

হামনা কনুইয়ে ভয় দিয়ে আয়ামের পাশে শুয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে ইরফানের দিকে তাকিয়ে কান্নামাখা গলায় বলল,

“তুমি থাকতে আমার ছেলেটার জ্বর! তুমি ওর খেয়াল রাখতে পারলে না?”

ইরফান হামনার দিকে মুখ করে সোফায় বসে আছে। হামনার কথা শুনে মাথা নামিয়ে নিল সে। অপরাধী গলায় বলল,

“হামনা, আ-আমি…

” কেমন বাবা তুমি ওর! তুমি ওর একটা চাওয়া পূরণ করতে পারছো না?”

“এটা সম্ভব না হামনা। তুমি ছাড়া আমি আর কাউকে নিজের স্ত্রী হিসেবে কল্পনা করতে পারি না। সেখানে কীভাবে ওই মেয়েটাকে আমি আয়ামের মা করে আনবো?”

“আমি তো এখন তোমার কাছে নেই ইরফান। তোমাদের থেকে অনেক দূরে চলে গেছি আমি। আমার আর কখনও ফিরে আসা সম্ভব না। তাহলে তুমি কেন ওই মেয়েটাকে বিয়ে করতে পারবে না? কেন আমার জন্য নিজের জীবনটা নষ্ট করছো? তুমি আবার বিয়ে করো। ওই মেয়েটাকে আমার ছেলের মা করে এনে দাও।”

“বাজে বকো না হামনা।”

“তোমাকে এভাবে একা দেখতে আমার ভালো লাগে না। তুমি কেন বুঝো না, তোমাকে এভাবে দেখে আমার কষ্ট হয়। তুমি নিজেকে কষ্ট দিয়ে আমাকেও সাথে কষ্ট দিচ্ছ। আমি তোমাকে, আয়ামকে খুশি দেখতে চাই।”

“তোমাকে ছাড়া আমাদের খুশি থাকা সম্ভব না।”

“খুব সম্ভব। চাইলেই সম্ভব। তুমি একটাবার চেষ্টা তো করো। ঠিক সুখী হবে তুমি। আমি বলছি ওই মেয়ে তোমাকে আমার থেকেও বেশি ভালোবাসবে।”

ইরফান জোরে ধমক দিয়ে হামনাকে থামিয়ে দিল।

“চুপ করবে তুমি? ওই মেয়েকে নিয়ে আর একটা কথা বললে আমি ছাড়ব না তোমাকে।”

হামনা হাসল। আয়ামের কপালে চুমো খেল।

“তুমি চাইলেও আমাকে ধরে রাখতে পারবে না। ধরতেই পারবে না আমাকে। আমি এখন সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে।”

ইরফান রাগ করে দুই হাত শক্ত করে মুঠো করে ধরে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে রইল। ঘরে পিনপতন নিরবতা বিরাজ করছে। বেশ অনেকক্ষণ পর ইরফান বলল,

“তুমি কেন আমাকে জোর করো হামনা? আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি। অন্য কাউকে ভালোবাসা আমার পক্ষে সম্ভব না।”

কথা ক’টা বলে ইরফান বেডের দিকে তাকাল। হামনা ওখানে নেই। আয়াম একা ঘুমিয়ে আছে। কোথায় গেল হামনা? একটু আগেই তো আয়ামকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে ছিল সে। দরজার দিকে তাকাল ইরফান। হামনা চলে যাচ্ছে। সে উদ্বিগ্ন গলায় পেছন থেকে ডাকল,

“হামনা! কোথায় যাচ্ছ তুমি?”

পেছন ফিরে তাকিয়ে মৃদু হেসে হামনা বলল,

“আমার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে ইরফান। আমাকে যেতে হবে।”

“যেও না হামনা। থাকো না আমার কাছে। তোমাকে আমার ভীষণ প্রয়োজন। আমি আর একা পেরে উঠছি না।”

“আমি যে থাকতে পারব না ইরফান।”

হামনা চলে যাচ্ছে। ইরফান বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে পারছে না। সোফার সাথে তার শরীর আটকে গেছে যেন। ইরফান অনেক চেষ্টা করেও হাত পা নড়াতে পারছে না। দেখতে দেখতে হামনা তার সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে হামনার শরীর।

“যেও না হামনা। হামনা!”

চিৎকার করে লাফিয়ে উঠে বসল ইরফান। চট করে একবার দরজার দিকে তাকাল সে। না, দরজা বন্ধই আছে। সে নিজেই বন্ধ করেছিল। পরক্ষণে বেডের দিকে দেখল। আয়াম একা শুয়ে আছে। তার পাশে কেউ নেই। অথচ একটু আগে এখানে হামনা ছিল। তার সাথে কথা বলছিল। ইরফানের কপালে ঘাম হচ্ছে। সে রুমের চারপাশে তাকিয়ে বুঝতে পারল, এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিল সে। তার অবচেতন মন স্বপ্নের মধ্যে হামনার সাথে কথা বলেছে। তবে আজকের স্বপ্নটা একটু বেশিই স্পষ্ট ছিল। যেন সব বাস্তবেই ঘটেছে। দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল ইরফান।

“এতক্ষণ তাহলে আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। হামনা!”

চোখ বন্ধ করে নিল সে।

“হামনা কখনও আসতে পারবে না।”

ইরফান উঠে গিয়ে আয়ামের কপালে হাত রেখে জ্বর দেখল। এখন একটু কম। তবে সকালেই ডাক্তার ডাকতে হবে। ছেলেটার হঠাৎ এমন জ্বর এলো কেন?

“কাল সকালে আয়ামের ওই মেয়েটার কথা মনে না থাকলেই হয়। আল্লাহ তুমি সহায় হও। এই ছেলেকে আমি বুঝাতে পারব না। ছোট্ট বাচ্চাটাকে তুমি আর কষ্ট দিও না।”

ইরফান জানালার কাছে গিয়ে দাঁড়াল। বাইরে এখনও ভোরের আলো ফুটে নি। সে পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে সকাল হওয়া দেখল। কীভাবে ভোরের আলো পৃথিবীর সমস্ত অন্ধকার দূর করে দিয়ে নিজের রাজত্ব বিরাজ করে নিয়েছে। ইরফান ভাবছে, তার জীবনের এই অন্ধকার কখনও দূর হবে না। পৃথিবীর কেউ তার জীবনে ভোরের আলো ফোটাতে পারবে না।
.
.
মেহরীনের জ্বর কিছুটা কমেছে। তবে এখনও কপাল গরম। কিন্তু তার তো এই সামান্য কপাল গরম নিয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। তাকে নাচ শিখাতে যেতেই হবে। নইলে মাস শেষে স্যালারি কাটা যাবে। রেডি হয়ে বেরুতে বেরুতে মেহরীন স্যান্ডউইচটা নিয়ে নিল। ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে নিয়ে দরজায় তালা দিয়ে সিঁড়িতে নামতে নামতে স্যান্ডউইচ খাচ্ছে। রাস্তায় বেরিয়ে মেহরীন অনন্তকে দেখল। অনন্ত এই সময় এখানে! তাকে বলে আসেনি তো। নিচে দাঁড়িয়ে আছে অথচ তাকে একটা কল করতে পারল না। অনন্ত মেহরীনকে দেখে চোখ থেকে সানগ্লাস খুলে নিল। মেহরীন মুখ ভর্তি হাসি নিয়ে ওর দিকে এগিয়ে এলো।

“তুমি এখানে! বলে এলে না কেন?”

“কেন আমাকে দেখে তুই খুশি হোসনি?”

“হয়েছি। কিন্তু তোমার তো আজ আসার কথা ছিল না। হঠাৎ এলে তাই অবাক হলাম।”

মেহরীনের মুখে স্যান্ডউইচের টুকরো লেগে আছে। অনন্ত ওদিকে ইশারা করে বলল,

“বেড়ালের মত পাতিলে মুখ দিয়ে কী খেয়েছিস? একেবারে মুখে লাগিয়ে নিয়ে এসেছিল।”

মেহরীন জিভ কামড় দিল।

“স্যাডউইচ খেয়েছিলাম। লেগে আছে নাকি?”

বলতে বলতে মেহরীন ওড়না দিয়ে মুখ মুছতে লাগল। অনন্ত ওর হাত থেকে ওড়ার একপ্রান্ত নিয়ে নিজেই মেহরীনের মুখে লেগে থাকা স্যান্ডউইচের অংশ পরিষ্কার করে দিল।

“হয়েছে?”

“হ্যাঁ, এবার ঠিক আছে। চল তোকে ক্লাসে নামিয়ে দেই।”

মেহরীন ভীষণ অবাক হলো। অনন্তর আজ হয়েছেটা কী? হঠাৎ করে সে তার স্বভাবের বিপরীতে আচরণ করছে কেন? ছয়/সাত মাস ধরে তো অনন্ত একদম অন্যরকম আচরণ করছিল। আজ হঠাৎ এই অনন্ত আগের সেই অনন্ত হয়ে গেল কীভাবে? অনন্ত হাতে ইশারা করে রিকশা থাকাল। মেহরীন তার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে দেখে তার মাথায় হালকা ধাক্কা দিয়ে বলল,

“হা করে তাকিয়ে চোখ দিয়ে আমাকে গিলে খাচ্ছিস কেন? সমস্যা কী তোর? রিকশায় ওঠ।”

এই বলে অনন্ত আগে উঠে বসল। মেহরীনের দিকে হাত বাড়াল সে। মেহরীন একই রকম বিস্মিত হয়ে ওর হাত ধরে রিকশায় অনন্তর পাশে ওঠে বসল। অনন্ত রিকশাচালককে বলল,

“চলেন ভাই। বেশি জোরে চালাবেন না। আর গর্ত দেখে চালাবেন।”

মেহরীন অবিশ্বাস্য কন্ঠে এবার বলেই ফেলল,

“তুমি ঠিক আছো? আজ তোমার কী হয়েছে বলো তো? তোমাকে একেবারেই অচেনা কেউ মনে হচ্ছে। মনেই হচ্ছে না তুমি আমার অনন্ত। এক রাতের মধ্যে তোমার এতটা পরিবর্তন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে আমার।”

রাস্তার অন্য দিকে তাকিয়ে কিছু দেখতে দেখতে অনন্ত বলল,

“তোর কেয়ার করলেও এখন আমাকে শুনতে হবে, তুমি ঠিক আছো, তোমাকে অচেনা লাগছে, তোমার পরিবর্তন মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। মানে তুই আমাকে ভালো হতে দিবি না, না? আমি তোর কেয়ার করলে সেটাও তোর হজম হয়না?”

“না মানে হঠাৎ করে এত প্রেম জেগে উঠল! তাই আরকি বদহজমের ভয় হচ্ছে।”

ওর কথা শুনে অনন্ত হেসে ফেলল। মেহরীন মুগ্ধ নয়নে ওকে দেখছে। মেহরীন খেয়াল করল আজ অনন্ত হুটহাট রেগে যাচ্ছে না। মানুষটা কাল পর্যন্ত তো ঠিকই ছিল। রাতে ঘুমিয়ে সকালে হঠাৎ পাল্টে গেল কেন? ও এখনও ঘুমের মাঝে আছে নাকি? মেহরীন কি কোন স্বপ্ন দেখছে? সে জোরে নিজের হাতে চিমটি কাটল। ব্যথা পেয়ে ‘আউও’ বলে কাঁকিয়ে উঠল। অনন্ত বুঝতে পেরে ওকে কিছু না বলে মনে মনে হাসল। মেহরীনকে নামিয়ে দিয়ে অনন্ত বলল,

“কখন ফিরবি? নিতে আসব?”

“না,না। ক্লাস শেষে আমার কাজ আছে। কাগজপত্রের কিছু ঝামেলা হয়েছে। আর লোনের ব্যাপারটা আজই ক্লিয়ার করে আসতে হবে।”

“আচ্ছা। বাসায় ফিরে কল দিস।”

“হুম।”

অনন্ত দাঁড়িয়েই রইল। মেহরীন যেতে যেতে বারবার পেছন ফিরে ওকে দেখছে। অনন্তকে আজ সে বুঝে উঠতে পারছে না। মেহরীন যতক্ষণ না চোখের আড়াল হলো ততক্ষণ অনন্ত ওর দিকে হাসি হাসি মুখ করে তাকিয়ে রয়েছে। মেহরীন চলে গেলে অনন্ত রিকশাওয়ালাকে যেতে বলল। মনে মনে স্বস্তি বোধ করল সে। আজ ভোর রাতে সে ভীষণ বাজে একটা স্বপ্ন দেখেছে। স্বপ্নটা এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল, যে এখনও সে ভুলতে পারছে না। অনন্ত ছোট বেলা মায়ের মুখে শুনত, ভোরের স্বপ্ন নাকি সত্যি হয়। অবশ্য সে কখনও এই কথা বিশ্বাস করেনি। অনন্ত মানে, আমরা সারাদিন ঘুমানোর আগ পর্যন্ত যা যা করি বা ভাবি, ঘুমিয়ে সেসবই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্বপ্ন দেখি। তবে আজ তার ভীষণ ভয় লাগছিল। যদি স্বপ্নটা সত্যি হয়ে যায়? তাহলে…? না, না ভাবতে পারছে না সে।
অনন্তর স্বপ্নটা এরকম ছিল যে, মেহরীন তার সত্য জেনে গেছে। তার উপর মেয়েটার ভীষণ ঘৃণা কাজ করছে। অনন্ত ওকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করছে। কিন্তু মেহরীন কিছুই বুঝতে বা শুনতে চাইছে না। কাঁদতে কাঁদতে মেহরীন বলছে,
“তোমার একটা কথাও আমি আর বিশ্বাস করি না। তুমি এতদিন আমার মন নিয়ে খেলেছ। দিনের পর দিন আমার সাথে মিথ্যা বলে এসেছ। আমাকে ধোঁকা দিয়েছ। আমি তোমাকে ঘৃণা করি। শুনেছ তুমি, আমি তোমাকে ঘৃণা করি। ভীষণ ঘৃণা করি।”
“মেহু, মেহু তুই আমার কথাটা শোন। তোকে সব বলব আমি। আমি তোকে ধোঁকা দিতে চাইনি। তোকে আমি সত্যি সত্যিই ভাল…
” তোমার মুখ দেখতে আমার ঘৃণা লাগছে। তোমার কথা শুনে আমার রাগ হচ্ছে। তোমাকে সহ্য করতে পারছি না আমি। আমি চলে যাচ্ছি। অনেক দূরে তোমাকে ছেড়ে।”
মেহরীন কথা ক’টা বলেই অনন্তর কোন কথা না শুনে দৌঁড়ে যেতে লাগল। আর ঠিক তখনই পেছন থেকে একটা ট্রাক এসে মেহরীনকে ধাক্কা দিয়ে দিল। ওর চোখের সামনে মেহরীনের শরীর শূন্যে ওঠে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়ল। অনন্ত কিছুই করতে পারল না। তার সামনে তার মেহু শেষ হয়ে গেল। লাল রক্তে মেহুর শরীর ভিজে গেছে।
.
এক ঝাঁকি খেয়ে অনন্ত বাস্তবে ফিরল। রিকশার চাকা গর্তে পড়েছে। অনন্তর হুঁস ফিরল। সে বুঝতে পারল রিকশায় বসে আছে সে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে তার। হাত পা মৃদু কাঁপছে। ঢোঁক গিলল সে। মনে মনে বলল,

“তোর কিছু হয়নি মেহু। তুই ঠিক আছিস। ওটা শুধুমাত্র একটা দুঃস্বপ্ন ছিল। আর কিছুই না। তোর কিচ্ছু হবে না।”

এই স্বপ্নটার ভয়েই অনন্ত আজ সকাল সকাল মেহুর কাছে গিয়েছে। ওকে নিজে নামিয়ে দিয়েছে। ওর সাথে রাগারাগি না করে সুন্দর করে কথা বলেছে। ওর ভয় ছিল রাস্তায় মেহুর কিছু হয়ে যাবে। কিন্তু না, তেমন কিছুই হয়নি।
অনন্ত বিড়বিড় করে বলল,

“মেহু তোকে আমি কতটা চাই তা তুই কোনদিনও বুঝবি না। আজকের আগে আমিও বুঝতাম না। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি তুই আমার জীবনে কী। আমার সবটা জুড়ে তুই আছিস। তোকে হারানোর এত ভয় এর আগে আমি কোনদিনও পাইনি। তুই ছাড়া আমি কিছু না। তোকে ঘিরেই আমার সুখ মেহু। আমি তোকে অনেক ভালোবাসি। অনেক। তোকে নিয়ে আমি দূরে কোথাও চলে যাব। এই শহর ছেড়ে অনেক দূরে। যেখানে কেউ আমাদের চিনবে না। সেখানে গিয়ে তুই আমি গুছিয়ে সংসার করব। তোকে কোন কষ্ট পেত দেব না আমি। অনেক সুখে রাখব তোকে। পৃথিবীর সব সুখ তোকে দেব।”

অনন্ত চোখ বন্ধ করে বড় করে দম নিল।

“কিন্তু এসবের জন্য একটা জিনিসই ভীষণ দরকার…তা হলো টাকা। একবার শুধু বিয়েটা… না, বিয়ে পর্যন্ত আগানো যাবে না। তার আগেই কাজ শেষ করতে হবে। একবার শুধু টাকাগুলো হাতে পাই। তারপর তোকে নিয়ে আমি অনেক দূরে চলে যাব। এই শহর ছেড়ে অনেক দূরে।”
.
.
সন্ধ্যা হয়ে গেছে। ইরফান পাগলের মত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছে। আজ সারাটা দিন গেল, আয়ামের জ্বর একটুও কমলো না। কোন ঔষধেই কাজ হচ্ছে না। ছেলেটা জ্বরের ঘোরে মাম্মীকে ডেকে যাচ্ছে। ইরফান ওই অবস্থায় ছেলের সামনে থাকতে না পেরে সকালে বেরিয়ে এসেছে। এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। কিন্তু সে যাকে খুঁজছে তাকে এখনও পায়নি। রাস্তার দিকে ইরফানের খেয়াল ছিল না। হঠাৎ তার গাড়ির সামনে কেউ এসে পড়েছে। ইরফান ব্রেকে পা দিতে দিতে মানুষটা তার গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়।

চলবে___

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here