#ভাগ্যবতী
#লাবিবা_তানহা_এলিজা
#পর্ব_১৫

১৯.
মমতার মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা হচ্ছে। পূরবী শিয়রে বসে ম্যাসেজ করে দিচ্ছে। জমিলা হাতে মমতার ফোনটি নিয়ে বসে আছে। সাদ ফোন করবে টেক্সট করে জানিয়ে দিয়েছে। মমতার ফোনটা নিয়ে পূরবী সাদকে অনেক বার ট্রাই করেছে। কিন্তু ফোন ঢুকেনি। ফোনটা কোনভাবে ঢুকলেই সাহস করে বলে দিতো, মি.ডক্টর আমি কখনো চা পাতা দেখিনি। আমার জন্য কয়েকটা চায়ের পাতা নিয়ে আসবেন। গরম জলে সেই চা পাতা ফুটিয়ে টাটকা চায়ের স্বাদ গ্রহণ করবো। বকাবকি করলে একটু করবেন বেশী নয়। কারন বেশী বকা খেলে টাটকা চা খাওয়ার ইচ্ছেটাই খুন হয়ে যাবে। কিন্তু ফোন কোনভাবেই ঢুকেনি। আজ সাদ ফোন করবে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় আর বলা হবে না নিশ্চিত। জমিলার হাতে ফোনটা বেজে উঠে। ছোট সাহেব ফোন দিছে বলে ফোনটা রিসিভ করে মমতার কানে ধরিয়ে দেয়। মমতা প্রথমেই কয়েকটা ঝাড়ি দেয়, কোন দুর্গম এলাকায় গিয়েছো তুমি? একটুও কি নেট থাকে না নাকি? আশেপাশের এলাকাতেও কি নেই? মার টেনশন হয়না? মার টেনশন বুঝো তুমি?
সাদ মুচকি হেসে বলে, ” রিলাক্স মা। কাম ডাউন। প্রেশার বেড়ে যাবে তোমার। এখানে সত্যিই নেট নেই। আমি এখন ক্যাম্প থেকে দুই কি. মি দূরে একটা বড় পাহাড়ের উপর বসে আছি। এখানে কারসাজি করে তবুও দুটো দাগ দেখা দিয়েছে জন্যই কথা বলতে পারছি। ‘
‘ পাহাড় বেয়ে শরীর খারাপ করবে না একদম। তোমার অভ্যাস নেই। ‘
‘ তুমি টেনশন টা একটু কমাও মা। কেমন আছো? ‘
‘ প্রচন্ড মাথা ব্যথা। মেডিসিন শেষ। তোমার ফুপিও অসুস্থ। বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাধিয়েছে। ‘
‘মোরের ফার্মেসি তে কাউকে পাঠিয়ে দাও। আমি কল দিয়ে বলে দিচ্ছি। ‘
‘ খাওয়া দাওয়া কোন সমস্যা হচ্ছে না তো? সকালে কি খেয়েছো ?’
‘ এইযে লতাপাতা, ভেজিটেবলস। ‘
‘ তুমি কি জঙ্গলে গিয়েছো? ‘
‘ কাম অন মা। এখানকার রান্নাটা একটু অন্যরকম।’
‘ তাই বলে লতাপাতা? ‘
‘ ভালোই লাগছে। খারাপ না। যাওয়ার সময় গাড়ি ভর্তি করে নিয়ে যাবো। শহরে তো এসব আর পাওয়া যায় না। তুমি রান্না করবে আমরা সবাই খাবো। দেখবে স্বাদ মুখে লেগে রয়েছে। তারপর থেকে তুমি প্রতি সপ্তাহে লতাপাতা কালেক্ট করবে। মেহমানদারীতে মেইন আইটেম হবে লতাপাতা সেদ্ধ অথবা ভাজি।’
‘ মার সাথে ফাজলামো হচ্ছে। ‘
‘ একটু আধটু। অস্থিরতা কমেছে এবার?’
‘ একটু আধটু। ‘
‘ আমাকে আবার ব্যাক করতে হবে। দুদিন পর ফিরছি। আল্লাহ হাফেজ। ‘
‘ সাবধানে থেকো। আল্লাহ হাফেজ। ‘

মমতা পূরবীকে বলে, ‘ পূরবী বাসার গেইট থেকে ডান দিকে একটু এগোলেই দেখবে রাস্তার মোরে ফার্মেসি আছে। গিয়ে বলবে ডক্টর সাদমান যে মেডিসিন গুলো দিতে বলেছে সেগুলো দিতে। ‘
‘ আমি? ‘
‘ কোন প্রবলেম নেই। এই রোডটা একদম সেইফ। মাথায় ভালোভাবে ওড়না দিয়ে যাও।’

পূরবী ফার্মেসি তে এসে দেখে ফার্মেসির লোকটা কানে ফোন ধরে রেখেছে। মাথা ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে বলছে আচ্ছা ডাক্তার সাহেব। এই ডাক্তার সাহেব মি ডাক্তার সাহেব নয়তো? পূরবী হকচকিয়ে বলে, ‘ ভাইয়া আপনি কি ডাক্তার সাদমান শেখের সাথে কথা বলছেন?’
লোকটা মাথা নাড়িয়ে বলে, ‘ জি। ‘
‘ আমি উনার বাড়ি থেকে এসেছি।একটু দিন কথা বলবো। ‘
সাদ জিজ্ঞাসা করে, ‘ কে? ‘
‘ আপনার বাড়ি থেকে এসেছে বললো। ফুটফুটে একটা মেয়ে। বয়স পনের ষোল হবে। আপনার সাথে কথা বলবে।’
‘ ওকে। ফোন টা দাও। ‘
পূরবী ফোনটা নিয়েই একটু সরে দাঁড়ায় । কানের কাছে নিয়ে বলে, ‘ হ্যালো মি. ডাক্তার। ‘
‘ তুমি ফার্মেসিতে এসেছো কেনো বজ্জাত মেয়ে। বাসায় কি আমার লোকের অভাব পড়েছে যে তোমাকে আসতে হবে। দারোয়ান কে পাঠিয়ে দিলেই তো হতো। ‘
‘ দারোয়ান ফার্মেসিতে আসলে গেইটে দাঁড়িয়ে থাকবে কে? ‘
‘ সেট আপ। ‘
‘ এতো বকেন কেনো? বড়মা আসতে বলেছে। ‘
‘ মেডিসিন নিয়ে সোজা বাসায় চলে যাবে। রাখছি। ‘
‘ শুনুননা আমার জন্য চা. .কেটে দিলো! !ধ্যাত।’
পূরবী ফোনটা ডেস্কের উপর রাখে। ফার্মেসির লোকটা ঔষধের প্যাকেট টা এগিয়ে দেয়। পূরবীর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে জিজ্ঞাসা করে,
‘ নাম কি আপনার? ‘
‘ জানিনা। ‘ পূরবীর মনটা ভীষন ভার। কথা বলতে ইচ্ছা করছে না।
‘ ডক্টর সাহেবের কি হন? ‘
‘ উনাকেই জিজ্ঞাসা করে নিবেন। ‘
প্যাকে‌ট টা নিয়ে হাটা ধরে পূরবী। পেছন থেকে একটা মেয়েলী ডাক আসে। এই যে আপু, এক্সকিউজ মি, শুনছেন? পূরবী পেছনে তাকিয়ে দেখে মেয়েটিকে চেনা চেনা লাগছে। হ্যাঁ। এই মেয়েটির সাথেই তো সেদিন কথা হয়েছে। মেয়েটির পেছন পেছন আর একজন মেয়ে আসছে। এই মেয়েটিকেও পূরবী দেখেছে। রোজ সকালে জানালায় পেচার মতো চোখ বড় বড় করে বসে থাকে। হাটার থেকে একটু জোড়েই আসছে দুজন যাকে বলে তেড়ে আসা। পূরবী ভয় পেয়ে যায়। মারতে আসছে নাতো নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে? পূরবী আল্লাহর নাম নিয়ে যেনো একপ্রকার দৌড় ই দেয়। পূরবীকে দৌড়াতে দেখে মেয়েদুটিও দৌড় দেয়। ‘ এই যে দাড়ান। আপনার সাথে কথা আছে। ভয় পাবেন না। ‘বলতে থাকে। পূরবী দাঁড়ায় না। গেইটের কাছাকাছি আসতেই মেয়েদুটো পূরবীর হাত টেনে ধরে। হাতে ইশারা করে বলে ,’ রিলাক্স ভয় পাবেন না। আমরা যাস্ট আপনার সাথে দুটো কথা বলবো। ‘
‘ কি কথা? ‘
‘ চলুন ঐ বেঞ্চে বসে বলি। আপনাকে নিচে দেখেই দৌড়িয়ে আসছি তো এবার পা ব্যথা করছে। পাঁচতলা থেকে সিড়ি তে নেমেছি। লিফট নয়তলায় আটকে আছে। ‘
রাস্তার পাশেই এক গেইটের সামনে পর পর সিমেন্টের ডালাই করা বেঞ্চি। সম্ভবত এখানে দাড়োয়ান শুয়ে বসে পাহারা দিতে পারবে বলেই বানানো হয়েছে। মেয়েদুটি পূরবীকে তাদের মাঝখানটায় বসিয়ে দেয়। সেদিন যার সাথে কথা হয়েছিলো সেই মেয়েটি বলে,
‘আমি নোভা আর ও আমার ছোট বোন রিভা। আমাদের আপনি নাও চিনতে পারেন কিন্তু আমরা আপনাকে চিনি। আপনাকে সাদমান ডাক্টরের সাথে দেখেছি বেলকনিতে। দারোয়ানের কাছে জানতে পারলাম কিছুদিন আগেই আপনি সাদমান ডক্টরের বউ হয়ে এসেছেন। দূর থেকে আপনাকে ভালোভাবে না দেখা গেলেও আজ সামনাসামনি দেখে বুঝতে পারছি সাদমান আপনাকে কেনো বিয়ে করেছে! আপনার কম বয়স আর সৌন্দর্যের জোরেই সাদমান শেখের বউ হতে পেরেছেন। ‘
পূরবীর উশখুশ করছে। যা ভেবেছিলো তাই ঠিক। মেয়েগুলো সত্যিই তাকে মি. ডাক্তারের বউ ভেবেছে। কি বলবে এবার? রিভা বলে, ‘ দেখেন আপু আপনাকে বিভ্রান্ত করার জন্য আটকায়নি। শুধু কিছু কথা জানতে এবং জানাতে চাইছি। আপনি কি সাদমানের সব ব্যাপারে জেনে বিয়ে করেছেন? ‘
‘ কেনো? আর আমি কিভাবে বিয়ে করেছি না করেছি সেটা আপনাকে কেনো বলবো? ‘
‘ বিকজ তুমি যাকে বিয়ে করেছো হি ইজ এ চিটার। চিট করেছে আমার সাথে । আমার মন নিয়ে খেলেছে। আমাকে রেখেও হাজারটা মেয়ের সাথে রিলেশনে জড়িয়েছে। শেষমেষ তোমাকে বিয়ে করেছে। ‘
নোভা রিভাকে আটকায়। ধমক দিয়ে বলে,
‘ হচ্ছেটাকি রিভা? শান্ত হ। ভালোভাবে বুঝিয়ে কথা বল উনার সাথে ।’
‘ আমি কি করে শান্ত হবো আপু? আমার শেষ আশাটুকুও যে শেষ হয়ে গেলো। ‘ রিভা মুখে হাত চেপে কেঁদে উঠে। এদিকে পূরবী তো পুরো অবাক। সাদমানকে তো তার ভালোই মনে হয়েছিলো কিন্তু সেই লোক এতো খারাপ? মেয়েদের মন নিয়ে খেলে? আবার এতো গুলো মেয়ের সাথেও রিলেশনে ছিলো! আর মেয়েগুলো এমন কেনো? খারাপ জেনেও তার জন্য কেঁদে চলেছে? একটুও কি ঘৃনা হয়না যে তাদের মন নিয়ে খেলা করলো তার জন্য? ওরকম হিরোর মতো লুক থাকলে মেয়ে গুলোই বা কি করবে? আহারে বেচারা মেয়েটা তার সামনে বসে কিভাবে কাঁদছে। রিভা আবার বলতে শুরু করে ,
‘ তখন একি প্রতিষ্টানে পড়াশুনা করি আমরা। আমি ক্লাস টেনে আর সে টুয়েলভে। তাকে দেখেই ভালো লেগে যায় আমার। নিজে থেকেই কথা বলা শুরু করি। আস্তে আস্তে ভালোবাসাটাও হয়ে যায়। খুব সুন্দর দিন কাটছিলো আমাদের। কিন্তু হটাৎ ই তার মাইন্ড চেঞ্জ হয়ে যায়। আমাকে ফোন ঠিকমতো দেয়না, সময় দেয় না,দেখা করে না পরে জানতে পারি সে অন্য আরেকজনের সাথে নিউ রিলেশনে গিয়েছে। আমি অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছি। তাকে ফেরানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। একটার পর একটা মেয়ের সাথে টাইমপাস করেছে সে। আমি পারিনি। এতোগুলো বছর তার জন্য অপেক্ষা করছি। আজো তাকে ভুলতে পারিনি। আর সে আমাকে না জানিয়েই মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিয়ে আসলো। এভাবে আমাকে ঠকালো। আমি ঠকে গেলাম আপু আমি ঠকে গেলাম। ‘
রিভার কান্না দেখে পূরবীর ও কান্না পাচ্ছে। মানুষ কতোটা কষ্ট পেলে এভাবে কাঁদতে পারে তা পূরবী ফিল করতে পারে। পূরবীর চোখে পানি চিক চিক করছে। আবেগে আপ্লুত হয়ে বলে, ‘ রিভা আপু। প্লিজ কাঁদবেন না। আপনার সাদমান আপনারি আছে। আমি উনার বউ নই। উনাদের বাড়ির আশ্রিতা। ‘
চমকে তাকায় রিভা নোভা। অবাক হয়ে বলে, ‘ কি বললে তুমি? ‘
‘ হা আমি সত্যি বলছি। মি. ডাক্তার এখনো আনমেরিড। আপনি চাইলে আপনাকে আমি হেল্প করতে পারি। ‘
‘ কিভাবে? ‘ রিভা চোখ মুছে জিজ্ঞাসা করে।
‘ আমি যতদূর জানি উনার মা উনাকে বিয়ে দিতে চান কিন্তু উনি বিয়ে করবেন না এখন। কিন্তু উনি মায়ের বাধ্য ছেলে। আপনি বরং আপনাদের দুজনের ব্যপারটা ফেমেলির দিকে ছেড়ে দিন। আপনার বাবা মাকে বিয়ের প্রস্তাব রাখতে বলুন। ‘
‘ সাদমান রাজি হবে না। ‘
‘ উনার মা যদি রাজি হন তাহলে উনিও রাজি হবেন। ‘
‘ তুমি কিভাবে আমাদের হেল্প করবে?’
‘ উনার মা অমত করলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করতে পারি। ‘
‘ তুমি অনেক ভালো মেয়ে। নাম কি তোমার? তুমি করে বলছি বলে কিছু মনে করো না হে? আমার অনেক ছোট হবে তুমি। ‘
‘ আমার নাম পূরবী। আমি আসি এবার ? ‘
‘ এসো বোন। ‘

শরীরে জ্বর নেই রুকুর। এখন মোটামুটি ভালো লাগছে। লাইব্রেরী থেকে যে বইগুলো এনেছিলো তা অনেক আগেই পড়া হয়ে গেছে। এক বই আর বার বার পড়তে ইচ্ছা করে না। রুমে আর থাকতে ইচ্ছা করছে না। বাইরে বের হলে বোধহয় ভালো লাগবে। নতুন কিছু বইও আনা দরকার। চাকরি থেকে যে রিজাইন দিয়েছে সেটা কাউকে বলেনি রুকু। শুধুমাত্রই বড়াপু বলবে সিডনি চলে আয়। ভাবী বলবে বাড়ীর বাইরে বেশী যেও না। ফেমেলী থাকলে কম বেশী সবাইকেই শাসনে থাকতে হয়। উপেক্ষা করা খুবই মুসকিল যদি সে স্বামীর ঘর ফেরত মেয়ে হয়। এই শাসনগুলো যে ভালোবাসা তাই আরো বেশী উপেক্ষা করা যায়না। রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ে রুকু। শরীরটা বেশী ভালো নেই বিধায় রুকু আজ গাড়ি নিয়েছে সাথে। গন্তব্যে পৌঁছে ড্রাইভার কে গাড়ি পার্কিং করতে বলে সিড়ি বেয়ে দুতলায় উঠে যায়। স্থান টিকে শুধু লাইব্রেরী বললে ভূল হবে। লাইব্রেরী উইথ রেস্টুরেন্ট। হিউজ এরিয়ার এই বিল্ডিংটির দুতলায় একপাশে লাইব্রেরী আরেকপাশে রেস্টুরেন্ট। বইপ্রেমী অনেকেই রেস্টুরেন্টে বসে চা/কফি কাপে চুমুকে চুমুকে বই পড়ে। রুকু এখানকার পুরোনো কাস্টমার। সব থেকে বেশী বই মনে হয় সেই ক্রয় করেছে। এমনো সময় গিয়েছে সারাদিন রুকু এই রেস্টুরেন্ট এ বসে বই পড়েছে সাথে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ দুটোই করেছে। মাঝে মাঝে ডিনারটাও এখানেই সেরেছে । আজো সে তাই করবে বলে ভেবেছে। ডিনারটা একেবারে করেই যাবে। এখানকার সব ওয়েইটার রুকুর সাথে পরিচিত। রুকু ঢুকা মাত্রই ওয়েইটার রা সালাম জানায়। রুকুও খুশি মনে জবাব দেয়। রেস্টুরেন্ট টির পরিবেশ একেবারে মনোরম। রুকুর বড্ড ভালো লাগে। আউটের রেলিং ঘেসা একটি টেবিলে বসে পড়ে সে। ওয়েইটার জিজ্ঞাসা করে, ‘ ম্যাম আপনাকে কি হেল্প করতে পারি? ‘
রুকু মিষ্টি হেসে জবাব দেয়, ‘ নিউ কিছু থাকলে এনে দিতে। ‘
‘ লাইব্রেরিয়ানকে এখনি বলছি ম্যাম।’
‘ একটি ক্যাপাচিনো পাঠিয়ে দিও। ‘
‘ ব্রেকফাস্টে কি নিবেন ম্যাম ?’
‘ খিচুড়ি হবে? গরম গরম খিচুড়ি উইথ শুকনো মরিচ আর বেগুন ভাজা? ‘
ওয়েইটার লাজুক হাসি দিয়ে বলে,
‘ ম্যাম এখানে খিচুড়ি করা হয়না। আপনি বার বার একটি খাবারের কথাই বলেন। আজকে আমাদের স্যার এখানেই আছেন। আমি এক্ষুনি আপনার জন্য স্যারের নিকট এই রেসিপি টি রাখার জন্য বলবো। ‘
‘ ধন্যবাদ। আপাতত যা আছে তাই পাঠিয়ে দিন। ‘

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here