গল্পঃ হৃদয়ের বন্ধন।
পর্বঃ ৬।
লেখাঃ#মেহের।

আজকে ঐ মহিলাগুলো না এলে আমার মৃত্যু ছাড়া কোন উপায় থাকতো না।

এসব চিন্তা করতে করতে হঠাৎ জেসিকার মনে পড়ল সে তো রাহুলের সাথে দেখা করতে জয়াকে নিয়ে গিয়েছিল।

কিন্তু আতংক ও ভয়ে তখন ওঁর কথা ভুলে ওকে ওখানে রেখেই চলে এসেছে।
না জানি মেয়েটা কি অবস্থায় আছে!
আমি স্বার্থপরের মত শুধু নিজেকে বাঁচিয়ে চলে এসেছি আর আমার সাথে নিয়ে যাওয়াতে জয়াকে বিপদে পড়তে হলো।

আমার এখনেই জয়াকে ফোন করে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে যে ও বাসায় এসেছে কিনা;এসব ভাবতে ভাবতে জেসিকা ফোন খুঁজতে লাগল।
ফোন খুঁজতে যেয়ে মনে পরলো হোটেলের রুমেই মোবাইল সেট ফেলে এসেছে ।

এখন কিভাবে জয়ার সম্পর্কে জানতে পারবে তা ভাবতেই খেয়াল আসে ওঁর আরেকটি সেট আছে যেটি বেশিভাগ সময় বাসায় রেখে বাহিরে যায়।

আজকেও তো রেখেয় গিয়েছে।
সেটা খুঁজতে হবে ভেবেই
রুমের আসেপাশে চোখ বুলাতে লাগল।
রুমে অন্ধকার হওয়াতে তেমন করে কিছুই দেখতে পারছিল না।
তাই অন্ধকারের মধ্যেই লাইটের সুইচ খুঁজে লাইট জ্বালিয়ে মোবাইল খুঁজতে শুরু করে।

খুঁজতে যেয়ে ডেসিং টেবিলে চোখ গেলে এক কোনায় মোবাইল দেখেই তাড়াহুড়ো করে সেখানে থেকে মোবাইল হাতে নিয়ে জয়াকে কল করে।

প্রথম বার জয়া ফোন না ধরায় জেসিকা প্রচন্ড ভয় পেতে শুরু করে।
মেয়েটা তার জন্য হয়তো চরম বিপদে আছে এসব চিন্তা ভাবনা করছে।
জেসিকা ভাবলো আরেক বার ট্রাই করে ওকে না পেলে হোটেলে গিয়ে দেখবে ওকে পায় কিনা।

তা ভেবে জেসিকা আবারও ফোন করে জয়াকে ।
জয়া দ্বিতীয় বারে ফোন রিসিভ করে ।

জয়ার মুখে হ্যালো শুনে তাতেই জেসিকা মনে হলো জীবন ফিরে পেয়েছে ।
জয়ার আওয়াজ শুনে তাকে জিজ্ঞেস করে ঠিক আছে কিনা?

জয়া জেসিকা কে বলে, আমি ঠিক আছি কিন্তু যা হচ্ছিল তাতে ঠিক নাও থাকতে পারতাম ।
তুই আমার বান্ধবী হয়ে আমাকে কিভাবে রেখে আসতে পারিস?

যেখানে হোটেলে আমি গিয়েছি একমাত্র তোর কারণে।
এভাবেই আমাকে ফেলে এসে কি আমাদের এতো দিনের বন্ধুত্বের পরিচয় দিলি!

জেসিকা জয়াকে বলে, আসলে রাহুলের আক্রমনে আমি প্রচন্ড আতংক ও ভয়ে দিশেহারা হয়ে গেছিলাম তাইতো আমার দ্বারা এমন ভুল হয়েছে।
আমাকে মাফ করে দে প্লিজ ।

জয়া ফোনের আওয়াজেই বুঝতে পারছে জেসিকা মনে কি অবস্থা।
তার বান্ধবী যে মনে প্রচন্ড ধরনের আঘাত পেয়েছে।
এবং জেসিকা নিজের বিশ্বাস ভঙ্গ হওয়ার পরেও ঠিক থাকবেই কি করে!

এসব ভেবে জয়া জেসিকাকে বলে , তোকে শক্ত হতে হবে ।
অনেক সময়ে বিপদে সম্মুখীন হলেই প্রকৃত অর্থে মানুষ চেনা যায় ।
তোর কপাল এতই ভালো যে এমন একজন মানুষকে পেয়ে…..
এরমধ্যে জয়ার কথা শেষ করতে না দিয়েই জেসিকা জয়াকে বলল,জয়া আমার এখন কোনো কথা বলতে ভালো লাগছে নারে
ভালো থাকিস।
কিছু মনে করিস না পরে কথা হবে ।
এখন রাখছি।

জয়া মনে মনে বলল, জেসিকা তুই আমার পুরো কথাটা না শুনেই ফোন রেখে দিল।
তুই কী ভেবেছিল আমি রাহুলের কথা বলতে চাচ্ছি তোকে?
কিন্তু নারে সেকথা আমি বলতে চায়নি।
আমি তো বলতে চেয়েছি মারুফ ভাইয়ের কথা ‌।
বান্ধবী তোর জানা উচিত যে তোর ইজ্জত ও সম্মান তোর স্বামী বাঁচিয়েছে।
কিন্তু ওতো আমার কথা না শুনেই ফোন রেখে দিল।
জয়া বিরবির করে বলছে,এখন তোকে এ বিষয়ে বলতে পারিনি তাতে কি হয়েছে!
তোকে পরে অবশ্যই মারুফ ভাইয়ের সম্পর্কে বলবো।
একটা কথা জানিস জেসিকা তুই কাঁচ ভেবে হিরেকে অবহেলা অনাদাড় করেছিস!
আর কাঁচকে হিরে ভেবে মাথায় আসন গেড়ে বসতে দিয়েছিল।

এদিকে কথা শেষ হতেই জেসিকা বিছানার উপর ফোন ছুঁড়ে মারল।
তারপর হাঁটু গেড়ে ফ্লোরে বসে পড়লো।
জেসিকার চোখে ভেসে আসে একে একে রাহুলের সাথে কাটানো অনেক মূহুর্ত।
ঘুরতে যাওয়া , একসাথে ক্যান্ডেল লাইট ডিনার করা।
আরো কত স্মৃতি এসে হানা দিচ্ছে।

জেসিকা যা থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছে তাই চোখের সামনে ভেসে আসাতে জেসিকার নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে ।
সে কিভাবে এমন একজন চরিত্রহীন লম্পট ছেলের স্মৃতি মনে জায়গা দিতে পারে।
আজকে থেকে রাহুলের জন্য এই মনে ঘৃণা ছাড়া কিছুই জায়গা দখল করতে পারবে না।

জেসিকা ভেবে পাচ্ছে না রাহুলের মত জঘন্য একজন মানুষের প্রেমে অন্ধ হয়ে কিভাবে নিজের বাবা ও মায়ের সাথে খারাপ আচরণ করেছে!

যে বাবা ছোট থেকে আজ পর্যন্ত কখনো ওঁর কোন চাওয়া অপূর্ণ রাখেনি। সেই বাবার সাথেই দিনের পর দিন বেয়াদবি করেছে।
মায়ের কথায় পাত্তা দেয়নি।
জেসিকা এখন সেসব মনে হলে বাঁচতে ইচ্ছে করে না।
নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করছে।
বুকের ভিতরে মনে হচ্ছে তুসের আগুন জ্বলে সব ছারখার হয়ে যাচ্ছে।
মনে চাচ্ছে রাহুলকে সেই আগুনে জ্বলসে দিতে।
ওঁর নিজের উপরে এতো দিন একটা আত্মবিশ্বাস ছিল যে রাহুল ওঁর জীবনে থাকলে কেউ ওঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
কিন্তু সেই রাহুলের হাতেই বর্বরতার স্বীকার হয়ে যেত যদি সেই মূহূর্তে ওনারা না এসে বাঁচাত।
এসব ভেবে জেসিকার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।

অন্যদিকে মারুফ বাসায় এসেছে অনেকক্ষণ হলো।
মায়ের সাথে দেখা করে রুমে ঢুকে বসে আছে।
মারুফ দোকানে বসেই কোমলের কাছে ফোন করে জেনেছিলো জেসিকা বাসায় আছে কিনা।
বাসায় আছে শুনে তখন একটু সস্থি পায়।
নাহলে তো দোকানে তার মন টেকা দায় হয়ে পড়েছিল।
অন্যদিনের তুলনায় আজকে বেশি সময় বাজারে মন বসাতে পারছিল না।
তাইতো আজকে একটু তাড়াতাড়ি দোকানে থেকে বাসায় ফিরে এসেছে।

মারুফ বাসায় আসার পর পরেই কোমলের সাথে দেখা হয়।
কোমল তার ভাইকে বলেছে , জেসিকা আজকে রুমে থেকে বাহির আসেনি বা কারো সাথে খারাপ ব্যবহারও করেনি।
আর আজকে নাকি জেসিকার রুমে কোন শব্দ পাওয়া যায়নি।
যেখানে ভাবী বাহিরে থেকে এসেই সবার সাথে চেঁচামেচি করে।
নিজের রুমে বসে বেশি সাউন্ড দিয়ে গান শুনে।
সে মানুষ আজকে অনেক শান্ত হয়ে বসে আছে।

এসব শুনে মারুফ ওঁর বোনকে বলছে জেসিকার যেমন ইচ্ছে তেমন থাকুক।
কিছুদিন পরে তো জেসিকা মারুফ নামের এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে।
এটা শুনে কোমল মন খারাপ করে চলে আসে নিজের রুমে।
কোমল চায় না তার ভাইয়াকে নিয়ে কেউ বাজে কথা বলুক।
কিন্তু ভাইয়ার তালাক হলে মানুষের মুখের কথার বান দিয়ে ভাইয়াকে আঘাত করবে।
কোমল মনে মনে ভাবে জেসিকা ভাবী একটু ভালো হলেই তো ছাড়াছাড়ি হতো না । তাহলে আর কোন সমস্যাই হতো না।

কোমলের সাথে কথা বলার পর থেকে মারুফ রুমে বসে ভাবছে জেসিকা যেহেতু রাহুলকে ভালোবাসে এবং সারারাত মোবাইলে কথা বলতে
শুনেছিল ।
আবার কখনো কখনো জেসিকা রাহুলকে মোবাইলে চুমু দিতেও দ্বিধা বোধ করতো না।
তাহলে মনে হয় তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক আছে।
কিন্তু আজকে নিজেকে বাঁচাতে ছটফট করতে দেখে মারুফের ভাবনার ভুল বুঝতে পারছে।

মারুফ এতো দিন ভেবেছিল জেসিকার সাথে তার প্রেমিকের ঘনিষ্ঠ অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে তা যে ভুল সেটা জেসিকার চিৎকার শুনে বুঝতে পারছে ।

তার স্ত্রীর প্রতি এই সাধারণ ধারণার করেই মনে মনে ঘৃণা করতো।
কিন্তু ধারণা করা যে কতবড় ভুল ছিল তা এখন বুঝতে পারছে।
হয়তো আগে বুঝতে পারলে জেসিকার প্রতি আরেকটু বেশি খেয়াল রাখতে পারত।

কিন্তু এখন আর কিছু ভেবে লাভ নেই।
আজকে তো মারুফের আরেকটু দেরি হলেই তার বাড়ির সম্মান ধূলোয় মিশে যেতে।
আর জেসিকার জীবন অন্ধকারে তলিয়ে যেতো।
মেয়েটা এতোটা বেপরোয়া কেন?
নিজের ভালো মন্দ বুঝতে চেষ্টা করে না।
জেদের বশে নিজের ক্ষতি করতে দ্বিধা বোধ করে না।
মেয়েটা এমন এলো মেলো কাজ করেইতো জীবনকে কঠিন করে তুলেছে।
ওঁর ইচ্ছে বা সামান্য চেষ্টা থাকলে ওঁর হৃদয়ের সাথে আমার হৃদয়ের বন্ধন থাকার কথা ছিল।
কিন্তু সে নিজের দোষে আমার হৃদয়ের আশেপাশে কোথাও নেই।
জেসিকা জায়গায় সেখানে আছে কিছু হাহাকার।
নাহ্ ভুল বললাম, হাহাকার করবো কেন আমার যা
পাওনার কথা ছিল ।
হয়তো আল্লাহ আমাকে সেটা বা তার চেয়ে দ্বিগুণ দিচ্ছেন।
জেসিকাকে ভেবে সারারাত পার করলেও
কোন লাভ হবে না।
নাহ্ আর এসব কিছু আমি ভাবতে চাই না।
যার সাথে আর মাত্র এক সপ্তাহ কাগজের সম্পর্ক আছে।
তাকে নিয়ে চিন্তা করা বৃথা।
মারুফের এসব ভাবনার মধ্যেই রুমে কেউ নক করল।
নক শুনে মারুফ বলল, কে ?
আলো ভিতরে ঢুকে বলে, আমি ভাইয়া।
মারুফ আমতা আমতা করে বলল, কিছু বলতে এসোছো নাকি?
জী ভাইয়া , আপনি এসেছন কখন এখনো কিছু খেলেন না।
তাই ফুফু আমাকে পাঠাল আপনাকে খাবারের জন্য ডেকে নিতে।

মারুফের অসুস্থি হচ্ছে আলো তার রুমে আসায়।
মারুফ চায় না তার কোন কাজে বা সামান্য কোন বিষয়েও আলো ওঁর প্রতি দুর্বল হোক।
আলোর এ বাড়িতে আসা এবং তার পরিবারের ও দাদুর প্রতি আলোর ব্যবহারেই মারুফের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না।
আলোর মনের কথা।
আলো এখনো এই বাড়ির বউ হতে চায়।
কিন্তু মারুফ এবার বিয়ে নিয়ে কিছু ভাবতে চাচ্ছে না ‌
আগে জেসিকার ঝামেলা শেষ করে তারপর দরকার হলে এস বিষয়ে পরে দেখা যাবে।

এসব চিন্তা ভাবনা করে মারুফ বলে, আলো তুমি নিজের কাজে যাও।

আমি পরে আসছি।
এটা শুনে আলো বলে, আপনি খাবেন না?

আলোর শুনে মারুফ বলল, আমার ক্ষুধা লাগেনি যদি পরে আমার ক্ষুধা লাগে
তাহলে নাহয় তখন কোমলেই খাবার দিতে পারবে।

তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পর।
আলোর মনটা খারাপ হয়ে গেল।
মারুফ ভাই কি কখনো ওঁর মন বুঝতে পারবে না।
সে মানুষটিকে পাগলের মত ভালবাসে।
কিন্তু মারুফ ভাইয়ের চোখে আজ পর্যন্ত তার প্রতি সামান্য দূর্বলতা দেখেনি।
উল্টো তার থেকেও অপরিচিত মেহমানদের প্রতি মারুফের এর চেয়ে বেশি নজর থাকে।

মারুফের অবহেলা দেখে আলো মন খারাপ করে রুমে থেকে বের হয়ে আসে।

আজ দুইদিন হয়েছে জেসিকা ঘর থেকে বের হয় না।
সারাদিন ঘরের ভিতরে বসে থেকে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা মনে করে , খাওয়া দাওয়া ভুলে কাঁদতে থাকে।

জেসিকার রুমের ভিতরে খাবার দিয়ে গেলেও ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করে না।
কাজের মেয়েটা প্রতিবেলা খাবার দিতে এসে প্লেটে খাবার পরে থাকতে দেখে বলে, ভাবী ভাইজান কিন্তু খাওন নষ্ট করা একদম পছন্দ করে না।
হেই এইগুলো দেখলে আপনার উপরে ক্ষেপে যাবে।
বুয়া এই কথা বলে রুমে থেকে চলে গেল জেসিকা মনে মনে ভাবছে,যার পছন্দ অপছন্দ আমার জানার কথা ছিল ।
আমি তার কোন কিছুর দিকে ফিরেও তাকায়নি।
আর যার জন্য পাগল ছিলাম সে আমার জীবনের বড় সর্বনাশ করতে চেয়েছে।
আমার এ জীবনে করা ভুলের সংখ্যা গুনেও শেষ করা যাবে না।
সবচেয়ে বড় ভুল বা অন্যায় হচ্ছে মারুফের পরিবার ও মারুফকে কষ্ট দেওয়া।
সবাইকে কত বাজে কথা বলেছি তবুও মারুফ আমার সাথে তেমন খারাপ আচরণ করেনি।
কোমল কে মারার জন্য শুধু আমার গায়ে হাত তুলেছে।
আমি ওকে চরিত্রহীন লম্পট বলেছি কিন্তু তার পরেও সে কখনো আমার দিকে খারাপ দৃষ্টি দেয়নি।
এতো কিছুর পরেও আমার সব অপরাধ সহ্য করেছে।
বাবা হয়তো ঠিক বলে, আমার ভিতরে মনটা পঁচে গেছে তাই আমি মারুফকে দেখে চিনতে পারিনি।
তবে এখন আমি মারুফকে চিনতে চায়ও না।
কারণ ওকে আমার মতো খারাপ মেয়ের থেকে মুক্তি দিতে হবে।
তাইতো শেষ মুহূর্তে সম্পর্কে মায়ার বাঁধনে জড়াতে চায় না।
এ কাজের জন্য হয়তো বাবা কখনো আমাকে মাফ করবেন না
তারপরেও আমার জন্য ভালো কারো জীবন তো নষ্ট হতে দিতে পারি না।
এটা ভাবতেই শান্তি লাগতাছে।
আমি চলে গেলে নিশ্চিয়ই মারুফের জীবনে ভালো জীবন সঙ্গী আসবে।
আমার কাছে যা পায়নি হয়নি তার কাছে তা পাবে।
ঐ ঘটনার পরে থেকে জেসিকা হতাশায় ভুগছে।
ওঁর কাছে এখন নিজের জীবন তুচ্ছ মনে হচ্ছে।
নিজের মনের মধ্যে সারাক্ষণ নানা প্রশ্নে ঘুরাফেরা করতে থাকে।

সে কী পারবে তার এই হতাশাগ্রস্থ আঁধার জীবনে থেকে আশার আলো খুঁজে বের করতে?
এমন আলো যা তার জীবনকে বদলে দিতে পারে।
যে হৃদয়ের আশেপাশেও তার জন্য সামান্য জায়গা নেই ।
সেখানে জায়গা করে হৃদয়ের বন্ধনে নিজেকে আবদ্ধ করতে?

জেসিকার নিজেই যে মরুভূমি তৈরি করেছে পারবে কী সেখানে পানি দিয়ে জীবনের সজীবতা ফিরিয়ে আনতে করতে?

নিজের মনের ভিতরের খারাপ অস্তিত্বকে বিলীন করে পারবে কী সেখানে এক নতুন জেসিকা তৈরি করতে?

যে কিনা একজন ভালো মেয়ে , শ্বশুর বাড়ির যোগ্য বউ এবং স্বামীর যোগ্য স্ত্রী হবে।
ছোট এ জীবনে যে প্রশ্নের পাহাড় তৈরি করছে পারবে কী সময় থাকতে সব উত্তর খুঁজে নিতে।
দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়া থেকে পারবে কী এক সুতোয় বাঁধতে?

নোটঃ দুঃখিত এই দুই দিন গল্প না দেওয়ায় জন্য।
আমার বাসায় গেস্ট এসেছে তাই লেখতে একদম সময় দিতে পাচ্ছি না।
ফ্রি হলে আবার নিয়মিত গল্প দিতে চেষ্টা করব।

বিঃদ্রঃ লেখায় ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
লাইক ও কমেন্ট করে সঙ্গে থাকবেন।
আপনাদের সাপোর্ট আমাকে লেখতে সাহায্য করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here