#সময়ের_পালাবদল
শামসুল ইসলাম
পর্বঃ-১০
.
কফিল মিয়ার মৃত্যুতে হাসু হাঁফ ছেড়ে বাঁচে, কারন তাঁর আর কোন শত্রু থাকলো না।
হাসু হাসিকে নিয়ে শুখে শান্তিতে ঘর সংসার শুরু করলো, এভাবে কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পর হাসু সুদে কারবার শুরু করে। হাসি বাঁধা দেই, তবুও হাসু তাঁর কথার তোয়াক্কা করেনা। বেশি কিছু বললে আর বোঝাতে গেলে হাসিকে রীতিমত উত্তমমধ্যম করে, হাসি আর তেমন প্রতিক্রিয়া করেনা হাসুর খাপছাড়া সুদে কারবারের বিপক্ষে।

হাসি আর হাসুর বিয়েছে প্রায় আট বছর, এর মাঝে হাসির গর্ভে কোন সন্তান ধারন করেনি। এই সন্তান না হওয়ার জন্য হাসিকে নিয়মিত কটুকথা আর ঠুনকো বিষয়ে কথা কাটাকাটি হলেই হাসু তাঁর গায়ে হাত উঠায়।
সুখের সংসারে একটা সন্তানের জন্য অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে তাঁদের জীবনে।
এই সন্তান না হওয়ার জন্য হাসু হাসিকেই দায়ি করে, তাকে বলে অপয়া বন্ধ্যা ইত্যাদি নানান কটুকথা।
কিন্তু সন্তান না হবার জন্য যে পৃথিবীর কোন মানুষ দায়ি নই, আল্লাহপাক যাকে ইচ্ছা সন্তান দান করেন আবার যাকে ইচ্ছা তাকে বন্ধ্যা করে রাখেন। সবকিছু আল্লাহ তায়ালার হাতে, তিনি যেভাবে ইচ্ছা সন্তান নামের নেয়ামত মানুষকে দান করেন।
হাসু দিনদিন গ্রামের ভিতরে প্রভাবশালীতা অর্জন করছে, গ্রামের শালিসি কর্মকান্ডে মাঝেমধ্যে তাঁর ডাক পড়ে। এভাবেই ক্রমান্বয় তাঁর আধিপত্য সর্বময় গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
হাসু এখন গ্রামের মোড়ল মাতব্বরদের ভিতরে উল্লেখযোগ্য একজন, তাঁর উপস্থিতি ছাড়া গ্রামের কোন রায় বিচারকার্য সম্পাদন হয় না। তাঁর যদি একটা সন্তান থাকতো তাহলে সে গ্রামের সমস্ত ক্ষমতা নিজহাতে কুক্ষিগত করতে পারতো।
তো যাইহোক! হাসু গ্রামের ভিতর সহ আশেপাশে গ্রামের গরিব অসহায়দের মাঝে সস্থা মৌসুমে ফসল ধার দিয়ে দামের সময় চড়াদামে মূল্য আদায় করে। যারা মূল্য পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়, তাঁদের গরুছাগল বা ঘরের টিন খুলে এনে রেখে দেই বা তা বিক্রি করে মূল্য আদায় করে।
হাসুর সম্পদের অভাব নেই, গোয়াল ভরা গরু পুকুরভরা মাছ মাঠভরা ফসলের সমাহার। তাঁর সম্পদে যেন জোয়ার বয়ছে, চারিদিকে উপচে উপচে পড়ছে। কিন্তু এই সম্পদ ভোগ করার ভবিষ্যৎ কোন প্রজন্ম তাঁর বংশে আবির্ভাব হয়নি, আর হওয়ার সম্ভাবনাহীন।
গ্রামের মসজিদের ইমাম তালহাকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত করার পর এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি পাল্টানো হয়েছে, বর্তমানে যে ইমামটি অবস্থান করছে সে একটু সৎসাহসী। কোরাআন হাদীসের বাণী ও তর্জমা অসঙ্কোচে উপস্থাপন করেন, তো গ্রামের ধনী শ্রেনীদের ফসলের যাকাতের ব্যাপারে গত জুম্মার খোৎবায় আলোচনা করার দরুন বর্তমান ইমামকে মসজিদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মসজিদের ইমাম সাহেব যাকাত সম্পর্কে আলোচনা করলে হাসু প্রকাশ্যে ঘোষনা করে-” আমি নিজে উপার্জন করে আমার সম্পদ থেকে কেন গরিবকে ভাগ দিবো? এবং যাকাত অর্থ যদি বৃদ্ধি পাওয়া হয় তাহলে সম্পদ গরিবকে দিলে তো কম হয়ে যাবে! তাহলে বৃদ্ধি পাবে কিভাবে?”

এধরনের আরো কয়েকটি কথা হয় মসজিদে, তাঁরপরে জুম্মার সালাত শেষে আসরের ওয়াক্ত থেকে ইমাম সাহেবের চাকরি নেই।

তালহা নিজ নিজে পরিশ্রম করে বাদাম আর তিল চাষাবাদ করেন, পলি মাটিতে ফসলের জোয়ার বয়ছে।
মনে হচ্ছে আল্লাহপাক সরাসরি নিজ কুদরতি হাতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দিয়েছে। তালহা তাহেরা কয়েকদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ফসল সংরক্ষন করে, ফসল সংরক্ষন করার পর বাজারজাতকরণের জন্য তালহা বস্তায় ভরতে লাগলো প্রায় ত্রিশ মন বাদাম আর দশ মন তিল পরিমাপ করে বস্তায় ভরলো।
বাদামের ভিতর থেকে দেড় মন ও তিলের ভিতর থেকে বিশকেজি আলাদা করে রাখলো বাকিগুলো সব বাজারজাতকরণ করার জন্য নৌকাতে উঠাতে নির্দেশ দেই তালহা। তাহেরা তালহাকে বললো-
« এগুলো রেখে দিচ্ছেন কেন?»
« এগুলো আমাদের নই, গরিবের হক এগুলো।»
« এতোগুলো কেন? দুপাঁচ কেজি দিলেই তো হয়ে যায়!»
« না প্রিয়তমা, আল্লাহপাক যাকাতের নির্দিষ্ট বিধান করে দিয়েছেন তাঁর বাহিরে অমান্য করলে কঠিন গোনাহ হতে হবে। আর এই সম্পদ দানে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি রয়েছে। ইহকালীন অনাবিল শান্তির ঠিকানা আছে।»
« বুঝলাম তবে ফসলের যাকাতটা কেমন?»
« শুধু ফসলের যাকাত না সমস্ত কিছুর একটা নির্ধারিত বিধান আছে যাকাতের।»
« ওহ্! তো সেগুলো আমাকে বলুন শিখে রাখি।»
« যে সকল মালের যাকাত ফরযঃ-

আল্লাহ তা‘আলা তাঁর বান্দাদেরকে ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং সেই সম্পদের কিছু অংশ গরীবদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। তবে সকল সম্পদের উপর যাকাত ফরয করেননি। বরং পাঁচ প্রকার মালের যাকাত আদায় করার নির্দেশ এসেছে। যা নিম্নরূপ-

(১) بهيمة الأنعام তথা গৃহপালিত পশু : কারো নিকট গৃহপালিত পশু নিছাব পরিমাণ থাকলে তার উপর যাকাত আদায় করা ফরয। আর তা হল, (ক) উট, (খ) গরু ও (ঘ) ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

مَا مِنْ رَجُلٍ تَكُوْنُ لَهُ إِبِلٌ أَوْ بَقَرٌ أَوْ غَنَمٌ لاَ يُؤَدِّى حَقَّهَا إِلاَّ أُتِىَ بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْظَمَ مَا تَكُوْنُ وَأَسْمَنَهُ، تَطَؤُهُ بِأَخْفَافِهَا، وَتَنْطَحُهُ بِقُرُوْنِهَا، كُلَّمَا جَازَتْ أُخْرَاهَا رُدَّتْ عَلَيْهِ أُوْلاَهَا، حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ النَّاسِ-

‘প্রত্যেক উট, গরু ও ছাগলের অধিকারী ব্যক্তি যে তার যাকাত আদায় করবে না, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন তাদেরকে আনা হবে বিরাটকায় ও অতি মোটাতাজা অবস্থায়। তারা দলে দলে তাকে মাড়াতে থাকবে তাদের ক্ষুর দ্বারা এবং মারতে থাকবে তাদের শিং দ্বারা। যখনই তাদের শেষ দল অতিক্রম করবে, পুনরায় প্রথম দল এসে তার সাথে এরূপ করতে থাকবে, যাবৎ না মানুষের বিচার ফায়ছালা শেষ হয়ে যায়।[1]

(২) النقدان তথা স্বর্ণ ও রৌপ্য : কারো নিকট নিছাব পরিমাণ স্বর্ণ ও রৌপ্য থাকলে অথবা এর সমপরিমাণ অর্থ থাকলে তার উপর যাকাত ফরয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

وَالَّذِيْنَ يَكْنِزُوْنَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلَا يُنْفِقُوْنَهَا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيْمٍ- يَوْمَ يُحْمَى عَلَيْهَا فِيْ نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكْوَى بِهَا جِبَاهُهُمْ وَجُنُوْبُهُمْ وَظُهُوْرُهُمْ هَذَا مَا كَنَزْتُمْ لِأَنْفُسِكُمْ فَذُوْقُوْا مَا كُنْتُمْ تَكْنِزُوْنَ-

‘যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সুসংবাদ দাও। যেদিন জাহান্নামের অগ্নিতে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্বদেশ ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেওয়া হবে। সেদিন বলা হবে, এটা তাই, যা তোমরা নিজেদের জন্য সঞ্চয় করতে। সুতরাং তোমরা যা সঞ্চয় করেছিলে তা আস্বাদন কর’ (তওবা ৯/৩৪-৩৫)।

হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَا مِنْ صَاحِبِ ذَهَبٍ وَلاَ فِضَّةٍ لاَ يُؤَدِّى مِنْهَا حَقَّهَا إِلاَّ إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ صُفِّحَتْ لَهُ صَفَائِحَ مِنْ نَارٍ فَأُحْمِىَ عَلَيْهَا فِىْ نَارِ جَهَنَّمَ فَيُكْوَى بِهَا جَنْبُهُ وَجَبِينُهُ وَظَهْرُهُ كُلَّمَا بَرَدَتْ أُعِيْدَتْ لَهُ فِىْ يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِيْنَ أَلْفَ سَنَةٍ حَتَّى يُقْضَى بَيْنَ الْعِبَادِ فَيُرَى سَبِيْلُهُ إِمَّا إِلَى الْجَنَّةِ وَإِمَّا إِلَى النَّارِ-

আবু হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক স্বর্ণ ও রৌপ্যের মালিক যে তার হক (যাকাত) আদায় করে না, নিশ্চয়ই ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য আগুনের বহু পাত তৈরী করা হবে এবং সে সমুদয়কে জাহান্নামের আগুনে গরম করা হবে এবং তার পাঁজর, কপাল ও পিঠে দাগ দেওয়া হবে। যখনই তা ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন পুনরায় তাকে গরম করা হবে (তার সাথে এরূপ করা হবে) সে দিন, যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাযার বছরের সমান। (তার এ শাস্তি চলতে থাকবে) যতদিন না বান্দাদের বিচার নিষ্পত্তি হয়। অতঃপর সে তার পথ ধরবে, হয় জান্নাতের দিকে, না হয় জাহান্নামের দিকে’।[2]

(৩) عروض الةجارة তথা ব্যবসায়িক মাল : যে সকল মাল লাভের আশায় ক্রয়-বিক্রয় করা হয় সে সকল মালের যাকাত ফরয। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا أَنْفِقُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ وَلاَ تَيَمَّمُوْا الْخَبِيْثَ مِنْهُ تُنْفِقُوْنَ وَلَسْتُمْ بِآخِذِيْهِ إِلاَّ أَنْ تُغْمِضُوْا فِيْهِ وَاعْلَمُوْا أَنَّ اللهَ غَنِيٌّ حَمِيْدٌ-

‘হে মুমিনগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা ভূমি হতে তোমাদের জন্য উৎপাদন করে দেই তন্মধ্যে যা উৎকৃষ্ট তা ব্যয় কর এবং এর নিকৃষ্ট বস্ত্ত ব্যয় করার সংকল্প কর না; অথচ তোমরা তা গ্রহণ করবে না, যদি না তোমরা চোখ বন্ধ করে থাক। আর জেনে রেখ যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রশংসিত’ (বাক্বারাহ ২/২৬৭)।

অত্র আয়াতে বর্ণিত مَا كَسَبْتُمْ অর্থাৎ ‘তোমরা যা উপার্জন কর’ দ্বারা ব্যবসায়িক মালকে বুঝানো হয়েছে।

(৪) الحبوب والثمار তথা শস্য ও ফল : অর্থাৎ যে সকল শস্য ও ফল গুদামজাত করা যায় এবং ওযনে বিক্রি হয় সে সকল শস্য ও ফলের যাকাত ফরয। যেমন- গম, যব, খেজুর, কিসমিস ইত্যাদি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তিনিই লতা ও বৃক্ষ-উদ্যানসমূহ সৃষ্টি করেছেন এবং খেজুর বৃক্ষ, বিভিন্ন স্বাদ বিশিষ্ট খাদ্যশস্য, যায়তুন ও ডালিম সৃষ্টি করেছেন- এগুলি একে অপরের সদৃশ এবং বিসদৃশও। যখন তা ফলবান হয় তখন তার ফল আহার করবে আর ফসল তুলবার দিনে তার হক (যাকাত) প্রদান করবে এবং অপচয় করবে না; নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদেরকে ভালবাসেন না’ (আন‘আম ৬/১৪১)।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

فِيْمَا سَقَتِ السَّمَاءُ وَالْعُيُوْنُ أَوْ كَانَ عَثَرِيًّا الْعُشْرُ، وَمَا سُقِىَ بِالنَّضْحِ نِصْفُ الْعُشْرِ-

‘বৃষ্টি ও ঝর্ণার পানি দ্বারা সিক্ত ভূমিতে উৎপাদিত ফসল বা নালার পানিতে উৎপন্ন ফসলের উপর ‘ওশর’ (দশ ভাগের এক ভাগ) যাকাত ওয়াজিব। আর সেচ দ্বারা উৎপাদিত ফসলের উপর ‘অর্ধ ওশর’ (বিশ ভাগের এক ভাগ) যাকাত ওয়াজিব’।[3]

(৫) المعادن والركاز তথা খনিজ ও মাটির ভেতরে লুক্কায়িত সম্পদ : المعادن হল খনিজ সম্পদ, যা আল্লাহ তা‘আলা মানুষের জন্য সৃষ্টি করে মাটির নিচে রেখেছেন। যেমন- স্বর্ণ, রৌপ্য, তামা ইত্যাদি। আর الركاز হল পূর্ববর্তী যুগের মানুষের রাখা সম্পদ, যা মানুষ মাটির ভেতরে পেয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا أَنْفِقُوْا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا كَسَبْتُمْ وَمِمَّا أَخْرَجْنَا لَكُمْ مِنَ الْأَرْضِ

‘হে মুমিনগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা ভূমি হতে তোমাদের জন্য উৎপাদন করে দেই তন্মধ্যে যা উৎকৃষ্ট তা ব্যয় কর’ (বাক্বারাহ ২/২৬৭)।

অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী (রহঃ) বলেন, ভূমি হতে উৎপাদন বলতে শস্য, খনিজ সম্পদ ও মানুষের লুকিয়ে রাখা সম্পদকে বুঝানো হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,

الْعَجْمَاءُ جُبَارٌ، وَالْبِئْرُ جُبَارٌ، وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ، وَفِىْ الرِّكَازِ الْخُمُسُ-

‘চতুষ্পদ জন্তুর আঘাত দায়মুক্ত। কূপ (খননে শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক) দায়মুক্ত, খণি (খননে কেউ মারা গেলে মালিক) দায়মুক্ত। রিকাযে (মানুষের লুক্কায়িত সম্পদ) এক-পঞ্চগোশত ওয়াজিব।[4]

[1]. বুখারী হা/১৪৬০, বঙ্গানুবাদ (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/১২১ পৃঃ; মুসলিম হা/৯৯০; মিশকাত হা/১৭৭৫, বঙ্গানুবাদ মিশকাত (এমদাদিয়া) ৪/১২৬ পৃঃ। [2]. মুসলিম হা/৯৮৭; মিশকাত হা/১৭৭৩, বঙ্গানুবাদ মিশকাত (এমদাদিয়া) ৪/১২৩ পৃঃ। [3]. বুখারী হা/১৪৮৩, ‘যাকাত’ অধ্যায়, ঐ, বঙ্গানুবাদ ২/১১৯ পৃঃ; মিশকাত হা/১৭৯৭। [4]. বুখারী হা/১৪৯৯, ‘যাকাত’ অধ্যায়, বঙ্গানুবাদ (তাওহীদ পাবলিকেশন্স) ২/১২৭ পৃঃ; মুসলিম হা/১৭১০; মিশকাত হা/১৭৯৮।»

…………(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here