#শৈবলিনী—২৬
#লেখিকা-মেহরুমা নূর

★আদিত্যর ভালোবাসার রঙ নূরের ওপরও লেগেছে। মাত্রই নিজেকে সেই রঙে পুরোপুরি রাঙাতেই নিয়েছিল নূর। ঠিক তখনই ঘটে গেল অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যারজন্য নূর মোটেও প্রস্তুত ছিলনা। আদিত্যকে নামিয়ে দিয়ে হাসিখুশি মুখেই বাড়ি ফিরলো নূর। তখনও সব ঠিকই ছিলো। খাবার টেবিলে যখন অমালিয়াকে দেখতে পেলনা নূর। তখন সে মায়ের কাছে জানতে চাইলো অমালিয়া কোথায়? লতিকা বেগম জানালো অমালিয়া নাকি সন্ধ্যার আগে বান্ধবীর বাসার কথা বলে বের হয়েছে। সেখানে কোনো দরকারী নোট নিতে গেছে সে। এমনটাই বলে গেছে সে। নূর বলল,
–তো এতক্ষণে তো চলে আসার কথা। এখনো আসেনি কেন?

ইভান বলল,
–আরে ওর কথা বলো নাতো। ও কি করে না করে ঠিক করে বলে নাকি। দেখ গিয়ে নোটের নাম করে ওখানে আড্ডা দিচ্ছে। ওর দায়িত্ব জ্ঞান বলতে কিছু আছে নাকি। ওকে দরকার ইচ্ছেমত থাপড়ানো। তবেই ওর মগজ ঠিক জায়গায় আসবে।

নূর ফোন বের করে ফোন দিলো অমালিয়ার নাম্বারে। কিন্তু ফোন ধরছেনা সে। নূর ভাবলো হয়তো একটু পরে চলে আসবে। তাই আর বেশি ঘাটলোনা। তবে রাত দশটার পরও যখন অমালিয়া ফিরলোনা তখন ঘাটতে বাধ্য হলো নূর। ফোন করলো আবারও। কিন্তু এখন ফোন বন্ধ আসছে। এবার প্রচুর চিন্তা হতে লাগলো নূরের। অমালিয়ার বান্ধবীর নাম্বারও জানে না। তাই সেই নাম্বারেও ফোন দিতে পারছেনা। আপাতত বসে অমালিয়ার ফেরার অপেক্ষা ছাড়া কিছুই করতে পারছেনা সে। লতিকা বেগম আর ইভানও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল। দেখতে দেখতে রাত এগারোটা তারপর বারোটাও বেজে গেল। এখনো অমালিয়ার কোনো খবর নেই। এবার নূরসহ পুরো পরিবার ভয় পেয়ে যাচ্ছে। অমালিয়ার ফোন এখনো বন্ধ আসছে।টেনশনে মাথা ফেটে যাচ্ছে নূরের। আর বসে থাকতে পারলোনা সে। বাইরে বেড়িয়ে অমালিয়ার সেসব ফ্রেন্ডের বাসা চেনে সেখানে গিয়ে খোজ নিয়ে দেখলো । এদিকে ইভানও খোঁজাখুঁজি শুরু করলো। যতোই রাগ দেখাক, বোনের জন্য চিন্তাতো ঠিকই হচ্ছে। লতিকা বেগম এতক্ষণে ভয় দুশ্চিন্তায় কলিজা কাঁপছে। দিনকাল ভালোনা, মেয়েটা কোনো বিপদে না পড়লে হয়।এমনিতেই মেয়েটা একটু বেয়ারী স্বভাবের। এত করে শাসন করার পরও বুদ্ধি হলোনা ওর।

ভয় আর দুশ্চিন্তার মাঝে একসময় রাত গড়িয়ে মধ্য রাত হয়ে গেল। ঘড়ির কাঁটা দুই এর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল। এবার নূরসহ পুরো পরিবার রীতিমতো আতঙ্কে পড়ে গেল। লতিকা বেগম কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন। নূর আর ইভান অমালিয়ার সব পরিচিত বন্ধু বান্ধবের বাসায় খোঁজ নিয়ে দেখলো। কিন্তু কোনো খবর পেলনা। ভয়ে হাত পা কাঁপছে নূরের। তার বোনটা কী সত্যি করে কোনো বিপদে পড়ে গেল? এখন কী করবে সে? কী করে খুঁজে বের করবে বোনটাকে? শেষমেশ পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। কিন্তু লতিকা বেগম তাতে বাঁধা দিতে চাইলো। তারমতে এতে করে লোক জানাজানি হবে আর মেয়ের বদনামি হবে। কিন্তু সেসবের ধার ধারলোনা। সে তার মাকে বুঝিয়ে বলল,এই মুহুর্তে অমালিয়াকে খুঁজে বের করাটাই সবচেয়ে জরুরি। জানই যদি না থাকে তাহলে কীসের বদনাম আর সুনাম। তাই এখন পুলিশের সাহায্য নেওয়াই সবচেয়ে জরুরি। মাকে বুঝিয়ে সে ইভানকে সাথে নিয়ে পুলিশের কাছে গেল মিসিং রিপোর্ট লেখাতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে আরেক ঝামেলা হলো। চব্বিশ ঘণ্টার আগে নাকি মিসিং রিপোর্ট নেয়না তাঁরা। তবুও নূর অনেক রিকুয়েষ্ট করলো তাদের যেন অমালিয়াকে খুঁজে বের করার জন্য একটু সাহায্য করে তাঁরা। কিন্তু পুলিশ সাহায্য তো করলই না বরং উল্টো আরও বিদ্রুপমূলক কথা বলতে লাগলো। বলল, অমালিয়া হয়তো কোনো ছেলের সাথে ভেগে টেগে গেছে। নাহলে কারোর সাথে ডেটিংয়ে গেছে। সকাল হলেই চলে আসবে। দুশ্চিন্তার সময় এমন বিদ্রুপমূলক কথা শুনে নূরের মাথা গরম হয়ে গেল। নূর রাগের বশে উল্টো পাল্টা কিছু করতে যাবে তা বুঝতে পেরেই ইভান নূরের হাত চেপে ধরে শান্ত হতে বলল। এখন উত্তেজিত হলে চলবেনা। বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করতে হবে। আশাহত হয়ে ফিরে এলো নূর। বাড়িতে এসে ধপ করে বসে পড়লো সে। মাথা গোলগোল ঘুড়ছে তার। কী করবে? কোথায় যাবে সে? কিছুই বুঝতে পারছেনা। মেয়েটাকে কতবার করে সে মানা করলো এমন বেপরোয়া ভাবে না চলতে। অথচ সে শুনলোই না। একবার পাই ওকে। তারপর বুঝাবো আমি কী জিনিস। অনেক ভালো করে বলে দেখেছি। এবারতো ওকে আসল শাসন দেখাতেই হবে। ব্যাস ভালোভাবে যেন পাই ওকে।

অনেক চেষ্টা করেও যখন অমালিয়ার কোনো খোঁজ পেলনা তখন হতাশ হয়ে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলোনা নূর।নিজেকে এমুহূর্তে সবচেয়ে অসহায় ব্যাক্তি মনে হচ্ছে ওর।ভয়,দুশ্চিন্তা আর আতঙ্কের মাঝে রাতটা যেন ভারী হয়ে গেল পুরো পরিবারের ওপর। কালো রাতটা যখন ভোরের দিকে পা বাড়াচ্ছিল, ঠিক তখনই সেটাকে আমাবস্যার রাতে পরিবর্তন করে বাসায় ফিরলো অমালিয়া। ছেঁড়া ফাটা কাপড় আর র,ক্তা,ক্ত অবস্থায় কাতরাতে কাতরাতে কোনোরকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এলো সে। তার এই বিধ্বংস অবস্থা দেখে আৎকে উঠল পুরো পরিবার। তার সাথে ঠিক কী ঘটেছে তা বুঝতে বাকি রইলনা কারোর। আর বুঝতে পেরেই রুহ কেঁপে উঠল নূরের। হাত পা অবশ হয়ে আসছে তার।তবে কী সে যে ভয়টা পাচ্ছিল সেটাই হলো শেষমেশ। লতিকা বেগম মুখে হাত চেপে ধরে ঠাস করে মাটিতে বসে পড়লো। অমালিয়া কোনোরকমে বাসার ভেতর আসতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেল। নূর নিজেকে সামলে নিয়ে দৌড়ে গেল বোনের কাছে। গায়ের ওড়নাটা বোনের গায়ে পেঁচিয়ে দিলো।ইভানও দৌড়ে এলো। অমালিয়াকে কোলে নিয়ে ভেতরে নিয়ে এসে শুইয়ে দিলো। ইভানকে বের করে দিয়ে নিজেই কাপড়চোপড় পাল্টে দিলো তার। হাত পা থরথর করে কাঁপছে নূরের। বোনকে এই অবস্থায় দেখে তার কলিজা চিপে ধরছে।

এদিকে বাইরে লতিকা বেগম কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ায় চলে গেছে। মিছরি বেচারি এসব দেখে সেও ভয়ে কাঁপছে। ইভান কোনোরকমে সামলানোর চেষ্টা করছে তাদের। মিনিট বিশেক পর জ্ঞান ফিরলো অমালিয়ার। নূর ওর পাশেই বসে ছিলো। জ্ঞান ফিরেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো অমালিয়া। নূর ওকে সামলানোর চেষ্টা করছে। কান্নার শব্দ শুনে লতিকা বেগম আর ইভানও ছুটে এলো। কাঁদতে কাঁদতে মুচড়ে যাচ্ছে অমালিয়া। কান্নারত অবস্থায় বলছে,
–আমার সব শেষ হয়ে গেল আপু। আমার সব শেষ। এসব কেন হলো আমার সাথে…

ইভান বলে উঠল,
–এইজন্যই আপু তোকে বারবার এসব বেপরোয়া ভাবে ঘোরাফেরা করতে মানা করতো। কিন্তু তুই বুঝতে পারলেতো। এখন দেখ তোর জিদের ফল কী হলো।

নূর ইভানের উদ্দেশ্যে বলল,
–ইভান, চুপ কর। এখন এসব বলার সময় না।

অমালিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলল,
–ও ঠিকই বলেছে আপু। তোমার কথা না শুনেই আজ আমার এই অবস্থা হয়েছে। তোমার কথা মানলে এমন হতোনা। তোমার কথা অমান্য করার শাস্তিই পেয়েছি আমি। আমি আর বাঁচতে চাইনা। মরে যেতে চাই আমি।

এবার আর রাগ দমাতে পারলোনা নূর। ঠাস করে অমালিয়ার গালে একটা থাপ্পড় মেরে দিয়ে ক্ষিপ্ত স্বরে বলল,
–মরে যাবি? এতোই সহজ মরে যাওয়া? মরলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল? আরে এসব হলো ভীতু ব্যাক্তির কথা। সমস্যা দেখে পিঠ দেখিয়ে পালিয়ে না গিয়ে সাহস থাকলে সমস্যার সামনা করে দেখা। এখন কান্না বন্ধ কর, আর বল এসব কীভাবে হলো?

অমালিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো,
–আমার কলেজে কিছু নতুন ফ্রেন্ড হয়েছিল। আর আজ ওরা ডিসকো ক্লাবে যাওয়ার প্ল্যান করেছিলো। আমারও যাওয়ার খুব শখ ছিলো। কিন্তু তোমাদের বললে কখনো যেতে দিবেনা। তাই মিথ্যে বলে গিয়েছিলাম আমি। ওখানে ক্লাবে গিয়ে মজা করছিলাম আমরা। কিন্তু হঠাৎ ছেলেদের একটা গ্রুপ এসে আমাদের সাথে ফ্লার্টিং করা শুরু করে।ছেলেগুলো সব ম,দ খেয়ে মাতাল ছিলো। প্রথম প্রথমে মানা করলেও ওরা শোনেনা। আমাদের ডিস্টার্ব করতে থাকে। পরে রাগ হয়ে আমি একটা ছেলেকে থাপ্পড় মেরে দেই। সিকিউরিটি তখন ওদের সরিয়ে নিয়ে যায়। পার্টি শেষে আমরা বের হই। আমার ফ্রেন্ডগুলো যারা যার বাড়ে দিকে চলে যায়। আর আমিও আমার বাসায় আসার জন্য রওয়ানা হই। ঠিক তখনই একটা হাইস গাড়ি এসে আমার সামনে থামে। আর গাড়ির ভেতর থেকে সেই ছেলেগুলো নামে। আর আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তারপর কোনো এক বাসায় নিয়ে যায়। আর সেখানে গিয়ে যাকে আমি চড় মেরেছিলাম ওই ছেলেটা আমার সাথে……

আর বলতে পারেনা অমালিয়া। চাদরে মুখ চেপে কাঁদতে থাকে সে। নূর অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে চোখ বুজে নেয়। অতি কষ্টে সে নিজের কান্নাটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাকে যে ভেঙে পড়লে চলবেনা। নাহলে সবাইকে সামলাবে কে। ইভানের চোখেও পানি চলে আসে ছোট বোনের এই করুন অবস্থা দেখে। আর লতিকা বেগম আহাজারি করেই যাচ্ছে। নূর নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করে আবার জিজ্ঞেস করলো অমালিয়াকে,
–তারপর? শুধু ওই ছেলেটাই? নাকি…

অমালিয়া বলল,
–না। শুধু একজনই। অতিরিক্ত নেশা করায় সবগুলো জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকে। সেই সুযোগে আমি পালিয়ে আসি ওখান থেকে।

–হুমম,বুঝেছি।

নূর অমালিয়াকে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে ভালো করে গোসল করিয়ে দেয়। গোসল শেষে পরিস্কার কাপড় পড়িয়ে ওকে আবার বিছানায় শুইয়ে দেয়। ওকে আরাম করতে দিয়ে নিজের রুমে চলে আসে নূর। এতক্ষণ নিজেকে অনেক কষ্টে শক্ত রাখলেও আর পারলোনা সে। রুমে এসে মুখ চেপে ধরে মাটিতে বসে পড়ে গুমরে কেঁদে উঠলো নূর। চোখের সামনে ছোট বোনের এই নির্মম পরিণতি কীভাবে সহ্য করবে সে। নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে চরমভাবে অক্ষম হয়ে গেল সে। দায়িত্ব পালনে ব্যার্থ হয়ে গেল। ও যদি বোনের প্রতি আরেকটু সাবধানতা অবলম্বন করতো তাহলে আজ এই দিন আসতো না। এতো বাহাদুর হয়ে কী লাভ হলো যখন নিজের বোনকেই সুরক্ষিত রাখতে পারলোনা এই অপারগতার দায়ে নিজেকে কী শাস্তি দিবে সে?

বেলা দশটার দিকে নিজেকে আবার শক্ত করে ড্রয়িং রুমে এসে ইভানের উদ্দেশ্যে বলল,
–ইভান চল,বের হতে হবে এখন। মা,যাও লিয়াকে নিয়ে এসো।

লতিকা বেগম হকচকিয়ে উঠে বলল,
–কিন্তু যাবি কোথায়?

–পুলিশ স্টেশন।

–পুলিশ স্টেশন? তুই কী লিয়ার ঘটনা পুলিশকে জানাতে চাচ্ছিস? দেখ এটা ভুলেও করিসনা। নাহলে বাকি মানসম্মানও ধুলোয় মিশে যাবে। এখন তাও যে কথা চার দেয়ালের মাঝে আছে তা সবাই জেনে যাবে। বদনামী হবে আমাদের। কোথাও বিয়ে দিতে পারবোনা ওকে। আর ওরজন্য তোরও ভালো কোথাও বিয়ে হবে না। তাই এসব কেস কাহিনির চিন্তা বাদ দে। যা হবার হয়ে গেছে। কেস করে কী সেসব ফেরত আসবে? ও যেমন অবাধ্য হয়ে উচ্ছনে গিয়েছিল তেমন তার ফলও পেয়েছে। তাই ওরজন্য পুরো পরিবার বদনাম করার দরকার নেই।

নূর দৃঢ় কন্ঠে বলল,
–মা,তুমি পাগল হয়ে গেছ? তুমি চাইছ এতবড় একটা অন্যায় আমি মুখ বুঁজে সহ্য করবো? যেই আমি একজন অপরিচিত মানুষের সাথে অন্যায় দেখলে রুখে দাঁড়াই, সেই আমি নিজের বোনের সাথে হওয়া অন্যায় চুপচাপ মেনে নিবো। শুধুমাত্র মানসম্মানের ভয়ে এতবড় একটা অন্যায় মেনো নিবো? সরি মা, এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। মানলাম লিয়া অবাধ্য হয়ে গিয়েছিল, তাই বলে কোনো ব্যক্তিই এতবড় অন্যায় ডিজার্ভ করে না। শুধু ও কেন, একজন দেহকর্মীর সাথেও যদি এমনটা হয় তবুও সেটা অন্যায়। নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে যে কারোর সাথে এমন কাজ হলে তার শতভাগ অধিকার আছে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার। সমাজে তোমাদের মতো মানুষের জন্যই এসব অন্যায়কারী পার পেয়ে যায়। মানসম্মানের ভয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়না। আর এভাবেই তারা বাহবা পেয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা আরও অনেকের সাথে নির্দ্বিধায় এসব করে বেড়ায়। হাজার হাজার মেয়ের জীবন নষ্ট হয়ে যায় শুধু এই চুপ থাকার কারণে। তবে আমি তা হতে দিবোনা মা। যারা আমার বোনের সাথে এই ঘৃণিত কাজ করেছে তাদের আমি তাদের আমি ফাঁ,সি,র দড়িতে ঝুলিয়ে ছাড়বো। অপরাধীকে চিহ্নিত করে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত আমি ক্ষ্যান্ত হবোনা।

নূর অমালিয়ার সামনে এসে বলল,
–তুই আমাকে অনেক নিরাশ করেছিস। তবুও তোকে আমি আরেকটা সুযোগ দিতে চাই। আমি তোর অন্যায়কারীদের যথাযথ শাস্তি দিতে চাই। তবে তারজন্য তোকে আমার সহযোগিতা করতে হবে। বিছানায় মুখ না লুকিয়ে অপরাধীকে খুঁজে বের করতে হবে। বল মানবি আমার কথা?

অমালিয়া মাথা ঝাকিয়ে বলল,
–হ্যাঁ আপু, তুমি যা বলবে তাই হবে। আমি তোমার কোনো কথার আর অবাধ্য হবোনা।

–হুম ঠিক আছে। তাহলে এখুনি রেডি হয়ে চল আমার সাথে।

নূর, ইভান আর অমালিয়া পুলিশ স্টেশনে এলো ধ,র্ষ,ণ কেস করতে। কিন্তু আবারও পুলিশ কাজের কাজ না করে বিব্রতকর কথাবার্তা বলতে লাগলো। নূর তবুও রাগ হজম করে নিলো। এই মুহুর্তে সিন ক্রিয়েট করলে হিতে বিপরীত হবে। পুলিশের স্বভাব জানা আছে নূরের। তাই আর বেশি কথা না বাড়িয়ে শুধু কেস ফাইল করে চলে এলো। পুলিশ দায়সারাভাবে বলল,তারা অপরাধীকে খোঁজার চেষ্টা করবে। কোনো জানকারী পেলে জানাবে তাদের। তবে নূর জানে পুলিশ টাকা না খাওয়া পর্যন্ত চেয়ার থেকে নড়ে না। তাই এখন যা করার নিজেরই করতে হবে। অপরাধীদের ও নিজেই খুঁজে বের করবে। ওই বা,স্টা,র্ড,কে ফাঁ,সি,র দড়িতে ঝুলিয়েই ছাড়বে নূর। তার আগে ক্ষ্যান্ত হবেনা সে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here