#শেষ_পেইজ
#পর্ব_6
– আর আপনি কীভাবে বলতে পারেন আমি আমার ভাইকে এমন নৃংসশ ভাবে খুন করার চেষ্টা করব?
আমি থেমে গেলাম, বসে পড়লাম। পানি খেলাম, চেয়ার হেলান দিয়ে অর্পিতার দিকে তাকিয়ে বললাম,
-জানি আপনি করেন নি, আমাদের ট্রেনিং এ আছে ছোট মিথ্যা বের করতে বদ অপবাদ দিতে হয়।
আমার কথায় অর্পিতা থেমে গেল। চেয়ারে আবার বসে পানি খেল।
আমার দিকে তাকালো৷ বলল,
-যে আবীরের এই দশা করেছে তাকে শাস্তি দিচ্ছেন না কেন তাহলে?
আমি শান্ত গলায় বললাম,
-কেউ কি নিজের চোখে দেখেছে যে বন্যা আপু আবীর ভাইয়ের এই অবস্থা করেছে? আমার অভিজ্ঞতা আমাকে বলে সব সময় আমরা যা দেখি তা সঠিক হয় না।
যে বন্যা আপু শুধু আবীর ভাইয়ের জন্য নিজের সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। আপনার মতে হয়ত সে সাইকো। কিন্তু আমি তো বন্যা আপুর ভালোবাসা দেখছি।
বরং আপনিই আবীর ভাইয়ের দোষ গুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। আপনার ভাইয়ের প্রতিবেশিরা বলেছে বন্যা আপুকে মার ধর করা হতো।
সে বিষয়ে কিছু বলেন নি। কিংবা সেদিন কি হয়েছিল আসলে?
উনি চুপ করে আছে দেখে আমি আবার বললাম,
– আপনি না বললেও আমাকে তো তা বের করতে হবে? আপনি শুধু বলুন বন্যা আপু কে আছে এখন। যে তার জন্য কিছু করবে বলে মনে হয়। ভাই বোন বন্ধু?
অর্পিতা কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল,
– বন্যার মা বাবা মারা যাওয়ার পর বন্যা যার কাছে যেত তা হলো রায়হান।
-রায়হান? মানে যার সাথে বন্যা আপুর সাথে যার বিয়ে ঠিক হয়েছিলো। তার সে বন্ধু?
অর্পিতা নাক কুচকে অনেকটা ঘৃণা টেনে বলল,
-হুম, বন্যা ওর সাথে সর্ম্পকে জড়িয়েছিলো আবার। তা নিয়ে বন্যা আর আবীরের এত ঝামেলা। আবীর বন্যার গায়ে হাত তুলতো।
বন্যার আপুর জীবনে গল্প যেন আবাক হওয়ার সব ক্ষমতা কে হার মানাচ্ছে। রায়হান ভাইয়াকে আমরা চিনতাম। বন্যা আপুর ছোট বেলার ফ্রেন্ড যার সাথে আমাদের ও পরিচয় ছিল। বন্যা আপুর বাসা থেকে উনার মায়ের দেওয়া জিনিসপত্র নিয়ে আসতো। আমরা সবাই বুঝতাম রায়হান ভাইয়া বন্যা আপুকে কত ভালোবাসতো।
যেমন দেখতে ছিলো। তেমন বিনয়ী, লাজুক ও ছিলো। বন্যা আপুকে শুধু একবার দেখতে আসতো। আমরা সবাই মজা নিতাম।
সেই রায়হান ভাইয়ার সাথেই উনার মা বাবা হুট করে বিয়েটা ঠিক করে ফেলে। বন্যা আপু আমাকে ফোন করে বলেছিলো সে কথা৷
শুনেছিলাম রায়হান ভাইয়া এরপর আমেরিকার চলে গিয়েছিলো।
আমি অর্পিতার দিকে তাকিয়ে বললাম,
– রায়হান ভাইয়াকে কোথায় পাওয়া যাবে?
-বন্যার মোবাইলে নিশ্চয়ই নাম্বার থাকবে। আমি এখন যেতে পারি? আমার বাচ্চারা অপেক্ষা করছে।
আমি চোখ তুলে তাকাতেই উনি জোর গলায় বললেন, ওরা আমারেই বাচ্চা যত চোখ তুলে তাকান এই সত্য চেঞ্জ হবে না।
– আপনিও যত জোর গলায় বলেন না কেন ওরা কার সন্তান তা চেঞ্জ হবে না।
অর্পিতা ওর ব্যাগ টা কাধে তুলে নিয়ে বের হয়ে গেল।
আমি হেমা কে বলে বন্যা আপুর মোবাইল টা আনালাম,
ওপেন হয়ে গেল, কোন লক নেই। তেমন কোন ছবি বা নাম্বার নেই।
রায়হান ভাইয়ার নাম্বার পেতে কষ্ট হলো না৷
ওখান থেকে নাম্বার নিয়ে কল দিলাম,
কয়েক বার রিং হতেই খুব সুন্দর গলায় বলে উঠলেন, হ্যালো কে?
আমি কি পরিচয় দিবো বুঝতে পারছি না। আগে প্রফেশনাল টায় দিলাম,
– হ্যালো আমি উত্তরা থানা থেকে বলছি, আপনি বন্যা নামে কাউকে চেনেন?
– চিনি। আমি অপেক্ষায় ছিলাম আপনাদের কলের।
আমি খানিক টা অবাকেই হলাম,,
যদি জানেনেই বন্যার এই অবস্থা একবার ও দেখতে এলেন না।
-আপনি কি একবার আসতে পারবেন থানায়?
-আমার একটা মিটিং আছে৷ শেষ করে আসছি।
আমি আর কিছু না বলে চুপ হয়ে গেলাম।ফোন রেখে দিয়ে ভাবতে লাগলাম সব কিছু এক নজরে৷
বন্যা আপুর পালানো, আবীর ভাইয়ের জীবনে এইসব। আবার ফিরে যাও। ছেড়ে চলে আসা। বন্যা আপুর ফিরে যাওয়া।
অর্পিতা, বন্যা আপুর বাচ্চা, এইভাবে খুন। রায়হান ভাইয়া।
সব কিছুই যেন এখনো ধোঁয়াশা। কেন বন্যা আপুর শরীরের এত মারের দাগ? আবীর ভাইয়াকে এইভাবে কে কাটলো? বন্যা আপু? কিন্তু পালানো না কেন?
বন্যা আপু কি সত্যিই দোষী? নাকি আসল ভিক্টিম বন্যা আপু? নাকি আবীর ভাইয়া?
না। সব এলোমেলো লাগছে। চা এর অর্ডার দিলাম।
অঙ্কিতা কে ফোন দিলাম, অনেকক্ষন রিং হওয়ার পর সে ধরল,
– কি রে কেমন আছিস?
– আমার আর থাকা। আগারগাঁও কারখানায় আগুন লেগেছে। কি যে রোগীর চাপ কাল সারারাত ঘুমাই নি।
– ও। দেখেছি আমি। এক কলিগ ও মারা গেল সেখানে।
– হ্যাঁ, দুইজন পুলিশ আর চার জন ফায়ারম্যান ও মারা গেল৷ কান্নাকাটি আহাজারি। কোন দিন না আমি সাইকো হয়ে যাই। যার কাছে কান্না না শুনলে দিন মাটি হয়ে যাবে।
– বন্যা আপুর কি অবস্থা?
– বেটার, এখনো সেন্সলেস। পালস এখন নরমাল হচ্ছে৷ তবে অনেক দুর্বল। উনার কোন ফ্যামিলি মেম্বার কে খরব দিস নি? কেউ তো আসে নি।
– বন্যা আপুর মা বাবা মারা গিয়েছে। উনার কেউ নেই।
– কি বলিস? কত কিছু হয়ে গেল বন্যা আপুর সাথে? তুই কি কি খোঁজ পেলি এখন?
– আবীর ভাইয়ার বোন এসে জবান দিচ্ছিলো এতক্ষন। বন্যা আপুর কারণে তাদের জীবন কীভাবে নরক হয়ে গেল। বন্যা আপু সাইকো ছিলো। নিজের বাচ্চা নাকি নিজে খুন করেছে। তার নিজের মা বাবাকেও।
– ফালতু কথা। বাচ্চাগুলোর খোঁজ পেলি?
-হ্যাঁ। আছে আবীর ভাইয়ার বোনের কাছে। সে দাবী করে এইগুলো তার বাচ্চা।
-বদমাশ মেয়ে৷
-আবীর ভাইয়ার কি অবস্থা?
– উনার অবস্থা ভালো না। বাঁচার সম্ভবনা নেই। কেমনে বেঁচে আছে সেটাও জানি না। প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে। তোর কি মনে হয় বন্যা আপু এইভাবে কেটেছে?
– জানি না রে। সব এখনো অন্ধকার। অর্পিতা বলল, রায়হান ভাইয়ার সাথে নাকি তার সর্ম্পক ছিল।উনাকে আসতে বলেছি।
-রায়হান, সেটা আবার কে? কাল ও নার্স বলছিল কে নাকি জিদ করছি বন্যা আপুর সাথে দেখা করতে। তার নাম রায়হান ছিলো।
– তাই? কয় টার দিকে গিয়েছিলো?
– আমি ছিলাম না। নার্স আমাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছিলো দেখা করতে দেবে কিনা। আমি বার্ণ ইউনিডে ছিলাম।
– আচ্ছা। জেনে আমাকে একটু বলিস। আর বন্যা আপুর সেন্স এলে আমাকে জানাবি।
-আচ্ছা।
বেশ কিছুক্ষণ পর রায়হান ভাইয়া এলো। আমাকে দেখে উনি মুচকি হাসলেন। যেন জানেনেই আমি এইখানে। কালো স্যূট পরা পরিপাঠি একটা মানুষ। তার চেয়েও পরিপাটি উনার হাসি। আমার দিকে হাত বাড়িয়ে বললেন,
– হাই, লাবণী কেমন আছো? অনেক বছর পর দেখা।
আমিও হাত বাড়ালাম।
-ভালো। আপনি আমাকে মনে রেখেছেন?
উনি মুচকি হেসে চেয়ার টেনে বসলেন। কোন উত্তর দিলেন না।
– বলো কেন ডেকেছো?
আমি বসে কিছুক্ষণ উনার দিকে তাকালাম।
সব চেনা মানুষ যেন কেমন ভিন্ন ভিন্ন রূপে।
আমি গলা খাকিয়ে বললাম,
– বন্যা আপুর এই ব্যাপার টা আপনি জানতেন?
– হ্যাঁ, নিউজে দেখেছি৷ এইও দেখেছি তোমরা ওকে ভালো একটা হাসপাতালে এডমিট করেছো৷
– উনার সাথে আপনার সর্ম্পক কেমন ছিলো? মানে এরমধ্যে যোগাযোগ-
মুচকি হেসে মাথা নিচু করে আমার দিকে আবার তাকালো। বললো,
-ওয়েল, আমি ঠিক করেই বলি। বন্যার সাথে আমার লাস্ট যোগাযোগ হয়েছে। চার বছর আগে। বন্যার সাথে বিয়ে ভাঙ্গার পর আমি আমেরিকার চলে যাই। কারণ বিয়ের আসরে বর না এলে যেমন মেয়ের জীবন নরক হয়ে যায়। তেমনি বউ না এলেও ছেলেদের জীবন ও নরক হয়ে যায়।
আমার সাথেও তার ব্যতিক্রম ছিলো না৷
পুরো সাজানো একটা ঘরে আমি ফিরে গিয়েছিলাম মাথা নিছু করে। পরাজিত হয়ে।
বন্যার উপর একটায় অভিমান ছিলো, আমি শুধু ওকে ভালোবাসতাম না ওর ভালো বন্ধু ও ছিলাম। সে আমাকে বলতে পারতো সে আবীর কে এত ভালোবাসে৷
নিজেকে কেমন যেন লুজার মনে হতো।
মাস তিনেক তো আমিই ঘর থেকে বের হতাম না। প্রথম প্রথম সবাই করুণ চোখে তাকিয়ে জানা কথাও বার বার জিজ্ঞেস করলেও আমি পেছন ফিরলে একটা হাসি এসে লাগতো কানে।
বন্যার বাবা একবার যোগাযোগ করেছিলো, যাতে বন্যাকে আমি বোঝাই ও যেন ফিরে না যায় আবীরের কাছে।
আমি শুধু বলেছিলাম, আপনাদের ওর ইচ্ছে গুলো বোঝা দরকার ছিলো আগে৷ ওকে বুঝানো না।
ওর ফ্যামিলির সাথে আমার আর যোগাযোগ ছিলো না৷ আমি পি এইজ ডি করতে আমেরিকা চলে যাই।
ওখানেই সেটেল হই। ওখানেই বিয়ে করি।
-কিন্তু আবীর ভাইয়ের বোন জানালো আপনার সাথে বন্যা আপুর আবার সর্ম্পক আর উনি নাকি আপনার সাথে পালাতে চেয়েছিলো-
– আমাকে শেষ করতে দাও। কে কি বলেছে তা জেনে সত্যিই আমার কোন লাভ নেই। আমি যা সত্যি তা বলতেই এসেছি। আমি চাই না বন্যা কোন রকম শাস্তি পাক।
– তাহলে আগে এলেন না কেন?
– কিসের জোরে আসবো? এখন ডেকেছো এসেছি।যা জানি বলছি।
– বলুন।
– আমি জানতাম না বন্যার লাইফে কি কি হচ্ছে। অনেক বছর পর আমার সাথে বন্যার ফেসবুকে আবার কথা হয়। ওকে আমি জানিয়েছি আমার বিয়ের কথা। সে উচ্ছ্বাস যেমন দেখায় নি, তেমনি দুঃখ ও ছিলো না। সে শুধু ক্ষমা চেয়েছিলো৷
সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলো। কথা বলতে চাইতো৷ যা ছিলো সব আবীরের কথা। সে চাইতো আমি যাতে আবীর কে বলি, আবীর যেন তার সাথে ভালো ব্যবহার করে।
কিন্তু এইটা কি সম্ভব? মাঝেমধ্যে আমার মনে হতো বন্যা স্বাভাবিক নয়।
আমি ওকে ডাক্তারের কাছে যেতে বলেছিলাম। ও রাজি ছিলো না। তখন আমি আমার এক ফ্রেন্ড কে ওর বাসায় পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আবীরের সাথে ঝামেলা হয়ে যায়। এক পর্যায়ে তা মারামারি অবধি যায়। আমার সে ফ্রেন্ডের সামনেই।
সে আমাকে বলেছিলো এইভাবে থাকলে বন্যা বেশি দিন বাঁচবে না।
তখন আমি ওকে বুঝাতে সক্ষম হই ওর এই দেশে চলে আসা উচিত।
আমি দেশে এসে ওর পাসপোর্ট রেডি করে ভিসা করি চলে যাওয়ার জন্য৷
যত খারাপ হোক না আমি বন্যাকে এই অবস্থায় রাখতে পারি না। ছোট বেলা থেকে কারো জন্য কোন ফিলিংস যখন তৈরী হয় তখন চাইলেই পারা যায় না এই মানুষ টাকে ফেরাতে। তাছাড়া, she needs help.
শেষ মূহুর্তে বন্যা জানালো, সে যাবে না আবীর কে ছেড়ে, সে প্রেগন্যান্ট।
আমি বলেছিলাম, অসুবিধা নেই তোমার যতদিন লাগবে আমাদের সাথে থাকবে।
সে শুনে নি।
সে আমাকে আবার ফিরিয়ে দিলো। কিন্তু আমি আবার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, ও আমাকে ফোন দিয়ে বলে, ওর ধারণা। আবীর আর আবীরের বোন ওকে আর ওর বাচ্চাকে খুন করতে চায়।
আমি আবীরের সাথে কখনো কথা বলতে চাই নি। বাট বন্যা নিড হেল্প। আমি আবীর কে শুধু বলেছিলাম ওকে ভালো করে কাউন্সিল করাতে।
আমার সে ফোন কল যে বন্যার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে আমি জানতাম না।
বন্যা তখন অভিযোগ করে আমিই নাকি ওর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। ওকে চলে আসতে বলছি।
এরপর আমার ওর সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় আবার। আমি চাইলেও করতে পারি নি। ও করেছিলো আবার। বলল, আবার সে তার বেবি হারিয়েছে।
আমার কিছু বলার ছিলো না। আমি শুধু শুনতাম বন্যাকে। আর কিছু না।কারণ ওকে শোনার মতো কেউ ছিল না।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে রায়হান ভাইয়া বলল,
-আমার মনে হয় না বন্যা এমন কিছু করতে পারে। যদিও করে তাহলে তা আত্মরক্ষার জন্য।
-আপনি বন্যা আপুকে লাস্ট কবে দেখেছেন?
– বছর চারেক আগে।
– মানে আপনাদের দেখা হয়েছিলো।
– হ্যাঁ। এরপর আর কোন দিন নয়? বাসায় গিয়েছেন কখনো?
-না।
– দেশে ফিরেছেন কত দিন হলো?
– একবছর।
– আপনার মেমোরি কেমন বলুন তো?
– খারাপ না।
– কাল যে আপনি বন্যা আপুকে দেখতে গেলেন। দেখলেন হাসপাতালে। তা ভুলে গেলেন যে?
উনি চুপ হয়ে আছেন দেখে আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম।
– বন্যা আপুর সাদা কুকুর টা কি আপনার দেওয়া? আবীরের বোন জানালো।
– বন্যার বিড়াল ছিলো, কালো বিড়াল। কুকুর না।
আমি হেমার দিকে ইশারা করতে সে একটা সাদা কাগজ নিয়ে এলো আর টিপ সইয়ের কালি।
আমি রায়হান ভাইয়াকে বললাম,
– হাতের ছাপ দেন।
-কেন?
– দেখা যাক বন্যা আপুর বাড়ি গোলাপি দেওয়ালে আপনার কোন হাতের ছাপ পাওয়া যায় কিনা।
-কিন্তু বন্যাদের বাড়ির দেওয়ালের রং তো সাদা-
কথাটা তিনি শেষ করতে পারলেন না। যেন আটকে গেলেন। আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। ততক্ষনে হেমা হাতের ছাপ নিয়ে নিয়েছে।
আমি চেয়ারে হেলান দিয়ে দুই হাতে কলম টা ধরে তাকিয়ে আছি উনার দিকে।
বললাম,
– আপনি খুব ভালোবাসতেন বন্যা আপুকে, তাই না?
-চলবে।