#শুভ্র_বর্ষণ
#প্রভা_আফরিন
#পর্ব_৯
ঘন কালো মেঘের আবরণীতে ঢাকা পড়েছে আকাশ। বাতাসও শুরু হয়ে গেছে। শুকনো পাতা এবং রাস্তার ধুলাবালি বাতাসে মিশে চারিদিকে উড়ছে। পথে বিরাজমান মানুষগুলো ব্যস্ত পায়ে ছুটছে। ছুটছে শোভাও। এক ঝকঝকে আকাশ দেখে বের হয়েছিলো ভার্সিটি থেকে। মাঝ পথেই সে রুপ বদলে কালো হয়ে উঠেছে। এখনো অনেকটা পথ বাকি। এমনিতেই রিক্সা পাওয়া দুষ্কর। তারওপর বৃষ্টিতে ওর এলাকার রাস্তায় রিক্সা থাকবে না এটা একশত ভাগ নিশ্চিত সে।
মিহা আজ আসেনি। কাল শুক্রবার। এবং ওর শ্বশুর বাড়ির মানুষদের দাওয়াত করা হয়েছে বিধায় মিহা কিছুটা ব্যস্ত। তাছাড়া আজ নিশান্ত আসতে পারে। তাই আর আশা হয়নি মিহার। শোভা বাস থেকে নেমে পড়েছে। বাকি মিনিট বিশেকের পথটুকু যেতে হবে রিক্সা করে। বৃষ্টি ইতিমধ্যে পড়তে শুরু করে দিয়েছে। রিক্সাও নেই। শোভার মাথায় হাত পড়লো। এখন কতক্ষনে বৃষ্টি থামবে এবং সে রিক্সা পাবে? না পেলেও হেটে ফিরতে হবে। কাদার মধ্যে যা কষ্টকর।
একটা ছাউনির নিচে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে রইলো শোভা। বৃষ্টির বেগ বাড়ছে। রাস্তাঘাট ফাকা হয়ে গেছে। শোভা মিনিট সাতেক অপেক্ষা করার পর একটা রিক্সা দেখতে পেলো। সেটা ওর ছাউনির সামনে দিয়েই যাবে। কাছাকাছি আসার পর যেইনা শোভা সেটাকে হাতের ইশারায় থামালো তখনই কোথা থেকে একজন লোক এসে উঠে পড়লো রিক্সায়। শোভা খেয়াল করে করে দেখলো লোকটা আর কেউ নয় রিয়াদ। সাথে সাথেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো। রিয়াদ রিক্সার নীল পলিথিন দিয়ে কোমড় অবধি ঢেকে বললো,
“মামা চলেন।”
শোভা বৃষ্টির মাঝেই রাস্তায় নেমে পড়লো। রিক্সা আগলে দাঁড়িয়ে বললো,
“চলেন মানে? আমি রিক্সা দাড় করালাম আর আপনি কোথা থেকে উড়ে এসে দখল নিয়ে নিলেন?”
“দখল কোথায় নিলাম! খালি পেয়েছি তাই উঠে পড়েছি।”
“রিক্সাটা আমি দাড় করিয়েছি। আপনি কেনো উঠবেন?”
“কোনো প্রমাণ আছে যে তুমি দাড় করিয়েছো?”
শোভা রিক্সাওয়ালার দিকে তাকিয়ে বললো,
“মামা আপনিই বলেন। আমিই তো আপনাকে হাত দিয়ে ইশারা দিলাম।”
শোভা কথা বলতে বলতে ততক্ষনে পুরো ভিজে গেছে। রিক্সাচালক মাঝবয়সী লোকটা কি করবে বুঝতে পারলো না। রিয়াদকে উদ্দেশ্য করে বললো,
“হয় মামা। ইনি আমারে আগে ডাকছিলো।”
শোভা গর্বের হাসি দিয়ে বললো,
“দেখি এবার নামুন। আমায় উঠতে দিন।”
“ইম্পসিবল। আমি আগে উঠেছি তাই আমিই যাবো এটা দিয়ে। মামা আপনার ভাড়া আমি ডাবল দেবো। এমনিতেই বৃষ্টিতে আপনি তেমন যাত্রী পাবেন না।”
“আপনি মামাকে টাকার লোভ দেখাচ্ছেন? মামা আপনি ভুলেও উনার কথা শুনবেন না। আমি যখন দাড় করিয়েছি আমার সাথেই ন্যায় করবেন আপনি।”
রিক্সাচালক দুজনের মাঝে পড়ে শোভাকে বললো,
“আপনে তো পুরাই ভিজ্যা গেছেন। এক কাম করেন। দুইজনেই একলগে উডেন। শেয়ারে যাইবেন।”
এটা শুনে শোভা চেচিয়ে বললো,
“অসম্ভব। উনার সাথে আমি রিক্সায় উঠবো না।”
রিয়াদ তাচ্ছিল্য করে বললো,
“আমি তোমার সাথে যাবোও না আর রিক্সা থেকে নামবোও না ফুল চোর।”
ফুল চোর কথাটা শোভার গায়ে লাগলো। কিন্তু রাস্তায় এভাবে ঝগড়া করাটা ঠিক হচ্ছে না ভেবে চুপ করে গেলো।
রিক্সাচালক মামা বললো,
“তাইলে এইবার কে যাইবেন আপনেরাই ঠিক করেন।”
রিয়াদ গম্ভীর মুখেই রিক্সাতে বসে রইলো। সে মোটামুটি আধ ভেজা হয়ে গেছে ঝগড়া করে। শোভা এমনিতেই ভিজে গেছে আবার যানবাহন বিহীন রাস্তা। কিন্তু রিয়াদের সাথে ভুলেও যাবে না। আর জেভা শরীর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকারও মানে হয় না। তাই বাকি পথটুকু হেটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। আজ নাহয় একটু বৃষ্টি বিলাসী হওয়া যাক। শোভা সামনে থেকে সরে গিয়ে বললো,
“দয়া করলাম। যান এবার।”
রিয়াদ একটু হেসে বললো,
“কথায় পরাস্ত হলে এভাবেই লেজ গুটিয়ে পালানোকে দয়া ভাবে বোকারা। মামা চলেন।”
রিয়াদের রিক্সা আস্তে আস্তে করে শোভার সামনে দিয়ে চলে গেলো। অপমানে থমথমে মুখ নিয়ে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে পিচ ঢালা রাস্তায় পা বাড়ালো শোভা। রিয়াদের এমন অপমানের জবাব সে দেবেই দেবে। শোভার মন খারাপ বেশিক্ষন রইলো না। বৃষ্টিতে হেটে বাড়ি যেতে বরং ওর ভালোই লাগছে। ব্যাগ ওয়াটার প্রুফ হওয়ায় জিনিসপত্র ভিজে যাওয়ার কোনো চিন্তা নেই। বর্ষাকালে ওয়াটার প্রুফ ব্যাগ ব্যবহারের বুদ্ধিটা ছিলো মিহার। শোভার এখন একটা চুমু খেতে ইচ্ছা করছে মিহাকে এই আইডিয়াটার জন্য।
খালি রাস্তায় দুই হাত প্রসারিত করে লাফাতে ঝাপাতে প্রায় তিন-চার মিনিট পথ শোভা হেটে যাওয়ার পর হুট করেই সেই রিক্সাটাকে দেখতে পেলো শোভা। রিয়াদের আবার উল্টোদিকে আসার মানে বুঝলো না সে। কিন্তু সেদিকে দৃষ্টিপাত না করে এগিয়ে যেতে লাগলো। রিক্সাটা থামলো শোভার সামনে। তা দেখে ও ভ্রু কুচকালো। রিক্সাচালক ওকে দেখেই হাসলো। পেছন থেকে রিয়াদ গম্ভীরভাবে অন্যদিকে মুখ করে বললো,
“উঠে এসো।”
শোভা বুঝতে না পেরে বললো,
“মানে?”
“বাংলা বোঝো না? রিক্সায় ওঠো এক্ষুনি।”
“আমি কেনো আপনার সাথে রিক্সায় উঠবো? এখন আমার দয়া আমাকে ফেরত দিতে এসেছেন?”
“হ্যা এসেছি। এখন না উঠলে বিকেলে মাইকে করে সবাইকে জানাবো কিভাবে ফুল চুরি করেছো।”
রিক্সাওয়ালা বললো,
“উইঠ্যা পড়েন আফা। রিসকা আর পাইবেন না অহন।”
শোভা নিজের সিদ্ধান্তে অটল রইলো। সে যাবেনা। তখন ভাব দেখিয়ে আবার এখন এসেছে দয়া করতে। এতো ভাব কোথা থেকে আসে এই লোকের! কিন্তু এই রিয়াদ কেনো আবার তাকে ফেরত নিতে এসেছে বুঝলো না। বললো,
“থ্রেট দিয়ে কেনো ওঠাতে চাইছেন? আপনার মতলব টা কি?”
“এতো বেশি বোঝো অথচ এইটুকু বোঝো না? নিজেকে একবার ভালো করে তাকিয়ে দেখো।”
শোভা ভ্রু কুচকে নিজের দিকে ভালো করে তাকালো। সাথে সাথেই আড়ষ্ট হয়ে গেলো। ভেজা হালকা গোলাপি জামাটা গায়ের সাথে লেপ্টে আছে একেবারে। এই জন্যই তবে রিয়াদ ওর দিকে সরাসরি না তাকিয়ে কথা বলছে? ইশ লজ্জায় ডুবে মরতে ইচ্ছা করছে। ভাগ্যিস রাস্তায় মানুষ নেই তেমন। কিন্তু যদি থাকতো! এতোটুকু কান্ডজ্ঞান নিশ্চই হওয়া উচিৎ ছিলো শোভার।
ছিঃ ছিঃ না জানি কি ভাবছে রিয়াদ। কিন্তু যখন ওর সাথে ঝগড়া করছিলো তখনও তো ভিজে গেছিলো শোভা। তখন কেনো রিক্সায় উঠতে বললো না? ফেলে গেলো কেনো? প্রশ্নটা মনে আসলেও আর কোনো কথা না বলে রিয়াদের পাশে উঠে পড়লো। কিছুটা অস্বস্তি লাগছে রিয়াদের পাশে এভাবে বসতে। কিন্তু এখন কিছুই করার নেই। রিয়াদ নিজের থেকে অর্ধেক পলিথিন এগিয়ে দিতে সেটুকু দ্বারা নিজেকে ঢেকে নিলো শোভা। সাথে সাথেই বৃষ্টিস্নাত পথ ঠেলে চলতে লাগলো রিক্সা।
________
বিকালে আসার কথা থাকলেও নিশান্ত বাড়ি এসেছে রাত নয়টায়। ক্লান্ত, শ্রান্ত দেহটা টেনে কোনোমতে মিহার রুমে গিয়ে দরজা ঠেলতেই চোখের সামনে যে দৃশ্য ভেসে উঠলো তাতে ওর ক্লান্তি বোধহয় কর্পূরের মতো উবে গেলো। চোখ ঝা ঝা করে উঠলো।
নিশান্ত যখন আসে মিহা শাড়ি পড়ার চেষ্টা করে। যদিও বাড়ির সবার সামনে বিষয়টা নিয়ে একটু লজ্জাও লাগে। আজ নিশান্ত দেরি করে আসছে দেখে মিহার শাড়ি পড়তে ইচ্ছা করলো। যেহেতু বাড়িতে মেয়েরাই থাকে সবসময় এবং মামাও বাড়ি নেই তাই দরজার ছিটকিনি আটকানোর কথা না ভেবেই শাড়ি পড়া শুরু করে মিহা। সবে কুচিগুলো হাতে নিয়েছে এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে চমকে উঠে পেছনে তাকালো সে। নিশান্ত দাত কেলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এমন একটা অর্ধপূর্ণ শাড়ি জড়ানো রুপে তার মাহযাবীনকে দেখে বুকে মৃদঙ্গ বেজে উঠেছে যেন।
নিশান্তকে দেখে মিহা থমকে গেলো কিছু মুহূর্ত। সাথে সাথেই রক্তিম আভায় ডুবে গেলো ওর মুখ। কোনোমতে শাড়ি আগলে দৌড় লাগালো বারান্দার দিকে। নিশান্ত এগিয়ে এসেও ধরতে পারলো না। তার আগেই মিহা বারান্দার দরজা আটকে দিলো। দরজার ওপাশ থেকে হাসির শব্দ পাওয়া গেলো। নিশান্ত শব্দ করে হাসছে। যা আরেকদফা লজ্জায় মুড়িয়ে দিলো ওকে। ইশ! দরজাটা আটকালে আজ এমন দিন দেখতে হতো না। ওপাশ থেকে নিশান্তের গলা পাওয়া যাচ্ছে।
“দরজা খোলো মাহযাবীন। আমার জন্যই তো এতো সাজ। অথচ আমার থেকেই লুকাচ্ছো? ভেরি ব্যাড।”
মিহা কিছু বললো না। দ্রুত হাত চালিয়ে শাড়ি পড়তে গিয়ে আরো নষ্ট করে ফেললো। নিশান্ত দরজায় দুইবার টোকা দিলো। মিহা কম্পিত গলায় বললো,
“আপনি ফ্রেস হয়ে নিন। আমি আসছি।”
“বাইরের ফ্রেসনেস এর আগে মনের ফ্রেসনেস দরকার। তারজন্য এখন তোমাকে দেখতে চাই। এসো বলছি।”
“একটু পরে প্লিজ!”
নিশান্ত আর কিছু বললো না। এমনিতেই বেচারি লজ্জাবতী তারওপর এমন পরিস্থিতিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। নিরবে চলে গেলো ফ্রেস হতে। মিহা কোনোমতে শাড়ি পড়ে বের হয়ে জলদি জলদি এলোমেলো চুলগুলো আচড়ে পিঠে ছড়িয়ে দিলো। একটু কাজল দিলে মন্দ হয় না। কিন্তু নিশান্ত যদি লজ্জা দেয়? বাথরুম থেকে পানি পড়ার আওয়াজ আসছে। নিশান্ত গোসল করছে। দেবেনা দেবেনা করেও শেষমেষ কাজলের টান পড়লো চোখে। সবশেষে আয়নায় নিজেকে একবার দেখে নিলো। নীল রঙের শাড়িতে গোলগাল মুখটা বেশ মোহনীয় লাগছে।
নিশান্ত বের হয়ে দেখলো মিহা ঠোঁট কামড়ে নতজানু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মাথা থেকে পা অবধি বেশ কয়েকবার চোখ বুলিয়ে এগিয়ে এসে ভেজা হাতে নাক টেনে দিলো মিহার। মিহা অন্যদিকে মুখ ফেরালো৷ নিশান্ত ঠোঁট টিপে হাসলো। হাত ধরে যেইনা নিজের দিকে ফেরাবে অমনি দরজায় মৃদু করাঘাত পড়লো। শিরীন বেগমের গলা পাওয়া যাচ্ছে। মিহাকে ডেকে বললো জামাইকে নিয়ে খেতে আসতে। মিহা পালানোর সুযোগ পেয়ে সাথে সাথেই দরজা খুলে বাহিরে পা রেখে নিশান্তকে বললো,
“চলুন খাবেন।”
নিশান্ত ফোস করে একটা নিশ্বাস ফেললো। মেয়েটা দিন দিন চালাক হয়ে যাচ্ছে।
খাবার টেবিলে শোভা ভ্রু বাকিয়ে মিহাকে চোখে ইশারা করলো। যার মানে দাঁড়ায় এমন যে মিহা হঠাৎ শাড়ি পড়ে সেজেছে কেনো?
পরমুহূর্তেই আবার চোখ টিপ দিয়ে হাসে। মিহা বিরক্ত হলো শোভার কান্ডে। এমনিতেই সেজেছে বলে বড়দের চোখের দিকে তাকাচ্ছে না। তারওপর শোভার ইশারায় দুষ্টুমি। মিহার মনে হচ্ছে পালিয়ে যেতে সবার নজর থেকে।
সকলের খেতে বসার আগেই আনোয়ার সাহেব চলে এলেন। আজকাল শরীরটা একটু বেশিই খারাপ লাগছে। অল্পতে হাপিয়ে ওঠেন। উনি এসে বসতেই খাবার টেবিলে ছোট খাটো একটা আড্ডা বসে গেলো। নিশান্ত নিজের পরিবার সম্পর্কে বলছিলো এবং সবাই সেটা আগ্রহ নিয়ে শুনছিলো। কাল নিশান্তের পরিবারের সাথে ওর বড় ভাই অনন্ত এবং ওর দুইজন বন্ধু রাফাত ও অভি আসবে। অনন্ত ছুটিতে আসছে। আজ রাতেই রওনা দিয়েছে। সকালের মধ্যে পৌছে যাবে। কাল যেহেতু ছুটির দিন তাই এই বাড়িতে ছোটখাট একটা আয়োজন করা হবে বলা যায়।
খাবার শেষে মামার সাথে কিছুক্ষণ বসে থেকে মিহা যখন রুমে ঢুকলো নিশান্ত ততক্ষনে আধশোয়া হয়েই ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছে। হয়তো একটু বেশিই ক্লান্ত ছিলো মানুষটা। মিহা একটু মন খারাপ করলো। ওর জন্য বোধহয় অপেক্ষা করতে করতেই ঘুমিয়ে পড়েছে। মিহা এগিয়ে এসে মাথার পেছনের বালিস টা ঠিক করে দিয়ে নিশান্তের পাশে বসলো। খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো নিশান্তকে। চেহারায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে। মিহা চুলে হাত দিতে গিয়েও একটু দ্বিধা বোধ করলো, যদি ঘুম ভেঙে যায়? তবু্ও আলতো করে আঙুল গলিয়ে দিলো নিশান্তর চুলে। এখনো হালকা ভেজা ভাব আছে। চুলগুলো ঠিক করে দিয়ে হাত সরিয়ে আনতে গেলে নিশান্ত ধরে ফেললো। ওর হাত নিজের বুকে চেপে ধরে ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো,
“নীল রঙ কোনো কালেই আমার খুব একটা প্রিয় ছিলো না জানোতো। তবে আজ থেকে এই রঙটা আমার পছন্দের তালিকায় শীর্ষে উঠে গেলো নীলাঞ্জনা।”
এরপর আবারো নিরবতা। মিহা মুগ্ধ হয়ে নিশান্তর মুখে চোখ বুলাচ্ছে। কিছুক্ষন পর নিশান্ত আবার বললো,
“তুমি নীল আকাশ হও
আমি শুভ্র মেঘ হবো।
তুমি নীল জোৎস্না হও
আমি জোৎস্নাবিলাসী হবো।”
চলবে…