#মেনি_কুইন।
#পর্বঃ০৫
#লেখকঃরবিউল_হাসান।

রবিঃএখন আর কি ঘুম তুমি ঘুমাও তোমার অনেক ঘুমানো প্রয়োজন। তোমার অনেক কিছু করতে হয়ছে।
রাব্বাইতঃশুধু আমার একার তুমি কর নি?
রবিঃনা মানে আমি তো করতে পারব।আমার তো শক্তি আছে।আর মশালও।

রাব্বাইতঃওকে ঘুমাব একটা শর্তে….(দুষ্টামির হাসি দিয়ে)
রবিঃওকে রাজি।
রাব্বাইতঃরাজি মানে আগে শর্তটা শুনবে তো নাকি?
রবিঃতুমি কি বলবে জানি।হয়তো বলবে নদীর পাড়ে বসে গল্প করতে হবে নয়তো রোমাঞ্চকর সিনামা দেখতে হবে।এসবই তো বলবা।

জানি তো তুমি এত্ত রোমান্টিক। না জানি বিয়ের পরে কি কি করবা….

রাব্বাইতঃদেখ বিয়ের পরের কথা পরে হবে।আর তুমি যেগুলো বললে সে গুলো না।অন্য শর্ত।
রবিঃওকে বল তাহলে কি শর্ত……
রাব্বাইতঃএই পাহাড়ের মাঝে থাকাটা কত রোমান্টিক একটা দৃশ্য তাই না…..!
রবিঃজ্বি না কত ভয়ানক একটা পরিস্থিতি।
রাব্বাইতঃওফ একটুও রোমান্টিক না তুমি।
রবিঃতোমার মত রোমান্টিকতা আমার মাঝে নেই।
রাব্বাইতঃসে যাই হোক বিয়ে পরে রোমান্টিক করে নিব(চোখ মেরে)
রবিঃতখন দেখা যাবে।তা বল কি শর্ত তাও তাড়াতাড়ি ঘুমাও।
রাব্বাইতঃতোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাব।
রবিঃমানে এরা দেখলে কি বলবে আর আমাদের এখনো বিয়ে হয় নি ওকে…!
রাব্বাইতঃএত কিছু বুঝি না।এভাবে ঘুমাব বলছি তো ঘুমাব। এই বলে রবিকে জড়িয়ে ধরে রবির কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ল।

রবির খুব ভালো লাগে রাব্বাইতের করা এই বাচ্চামি গুলো।তাই তো এত ভালোবাসে।রাব্বাইতের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো পাগলি একটা।

সেটা রাব্বাইত শুনে ফেললো,যদিও রবি বিরবির করে কথাটি বললো।কিন্তু রাব্বাইত শুনে রবির কোল থেকে ওঠে রবিকে……

ছিহ ছিহ আর বলব না(হি হি হি)
আরে পাঠক রাগ করে কই যান, আর রাব্বাইত তুমি গল্প না পড়ে কই যাও?বলছিলাম না শেষে রোমান্টিকতা দিব বুঝ এবার…..হি হি হি হি হি হি হি….

রাব্বাইত রবির কোল থেকে ওঠে রবিকে একটা কিস বসিয়ে দিল যেটার জন্য রবি একদম প্রস্তুত ছিল না।তাও আমার রবির ঠোঁটে……

রবির ঠোঁটে চুমু দিয়ে রাব্বাইত আবারো রবিকে জড়িয়ে ধরে তার কোলে ঘুমিয়ে গেল।

রবি চিন্তা করে এখন সামনে কি কি করতে হবে।এসব চিন্তা করতে করতে কখন যে রবির চোখ লেগে গেল বুঝতে পারে নি।
রবিও রাব্বাইতের পিটে মাথা দিয়ে ঘুমিয়ে গেল।সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখে রাব্বাইত আর রবি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আছে আর চারপাশে রাহী,ইমরান আর তিশা দাড়িয়ে আছে।আর মিট মিট করে হাসতেছে।

রাব্বাইত এখনো ঘুমিয়ে আছে।রবি অনেকটা লজ্জা পেলো আর রাব্বাইতকে ডেকে তুললো।সেও লজ্জা পেলো।

রাহী তো পুরাই আগুণ হয়ে গেছে।তাদের উপর।কিছু সময় পর সবাই শান্ত হলো।তারপর সব কিছু নিয়ে সেখান থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে গেলো।পুলিশ সারাক্ষণ এখানে পাহারা দিয়ে রাখে যাতে কেউ ঢুকতে না পরে।তারা সবাই মিলে নেপালের দিকে রওনা দিল।

আকাশ পথে যেতে অনেক সময়ের ব্যাপার।পাসপোর্টের,ভিসা, টিকেট অনেক ঝামেলা আর সময়ের ব্যাপার।তাই সবাই জল পথে রওনা দিল।যেতে লাগলো সমুদ্র পথে।
রাব্বাইত আর রবি পাশাপাশি বসছে।রাহী সিঙ্গেল পোলা একা বসে আছে আর ইমরানের সাথে তো তিশা আছেই।কি রোমান্টিক একটা মুভমেন্ট তা কি আর রাহী বুঝবে সিঙ্গেল পোলা বলে কথা।
রবির কাঁধে রাব্বাইত মাথা রেখে কত আল্পনা-জল্পনা করছে।কত ঝামেলা পেরিয়ে আজ তারা এতটুকু আসতে পেরেছে।

সবাই কল্পনায় বিভোর। রবি সবাকে বলল…
রবিঃগায়েস সবাই মিলে একটা গেম খেলি।অনেক দিন ধরে তো আনন্দের সময় পাই নি।চল সবাই ট্রুথ -ডেয়ার খেলি।সবাই রাজি হয়ে গেল।

তিশার ব্যাগে বোতল ছিল সেটা বের করলো।প্রথমে তিশা বোতল ঘুরালো বোতল টা রাহীর দিকে থামল।

তিশাঃতা মিস্টার সিঙ্গেল বল কি নিবি?
রাহীঃসিঙ্গেল বলবি না, আর ট্রুথ নিলাম।
তিশাঃতা বল প্রেম করিস না কেন?
রাহীঃএই শহরে প্রেম বলতে কিছু নেই সবটা মিথ্যা মায়া তাই হারানোর ভয়ে প্রেম করি না।

কথাটা এত সহজে বললেও তার গভীরতা ছিল অনেক বেশি।তাই খানিকক্ষণের জন্য সবাই চুপ হয়ে গেল।

সবাই মন খারাপ করে ফেললো তা রবি ঠিকই বুঝতে পারল।তাই কথা ঘুরিয়ে রবি বলল চল এবার তুই বোতল ঘোরা(রাহীকে বলল)
রাহী বোতল ঘুরালো আর বোতল রাব্বাইতের কাছে গিয়ে থামলো। রাব্বাইত ডেয়ার নিল।
রবি রাব্বাইকে ডেয়ার দিতে চাইলেও ইমরান সেটা করতে দিল না।ইমরান রাব্বাইতকে ডেয়ার দিল।কিন্তু তাও যেমন তেমন ডেয়ার না।
রাব্বাইত কে দিল কিস করতে হবে যাকে লাভ করে তাঁকে।
এই ডেয়ার পেয়ে রাব্বাইত লজ্জা পেলেও খুশি হল, ভাবলো এই ডেয়ার যদি দেয় তাহলে সে সব সময় ডেয়ার নিবে…..(মিষ্টি করে হাসলো)

এই দিকে রবি তো তাজ্জব হয়ে গেল।এ কেমন ডেয়ার দিল এখন তো তার ঠোঁটের উপর হামলা হবে।রবি সেখান থেকে ওঠে যেতে চাইলে তিশা আর রাহী ধরে ফেলে।

পরে রাব্বাইত দীর্ঘ দশ মিনিট রবির ঠোঁটের উপর হামলা চালিয়ে শান্ত হলো।

সে কি ভীষন লজ্জা দু-জনের মধ্যে।কিন্তু কিছু করার নেই।ডেয়ার নিল তো করতে হবে।

এভাবে সবাই ট্রুথ আর ডেয়ার খেললো। নেপালে যেতে তাদের কম করে হলেও একটা পুরো দিন লাগবে।তাই খাওয়া দাওয়ার জন্য সব ব্যবস্থা করে রাখল শীফে।
ওহ হ্যা বলেই রাখি শীফ সোজা নেপালে যায় না যাত্রী থাকে না বলে।তাই UDM (কি ভুলে গেলেন তাদের টিমের নাম)

পুরো শীফ ভাড়া করে নেপালে যাচ্ছে। এগারোটা হতে শীফ কেমন যেন ধাক্কা দিতে লাগলো এখন তারা সমুদ্রের মাঝ পথে।এখানে শীফ খারাপ হয়ে গেলে তাদের বড় সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে।আর এই মাঝ সমুদ্রে ঠিক করার মতো কিছু নেই।সবার মুখে চিন্তার ভাজ পড়লো।

রবি শীফ থামতে বললো।শীফ থামালো।কিছু ক্ষণ পর মনে হলো এখানে তারা কোনো বিপদে পড়তে যাচ্ছে। হয়তো খুব বড় কোনো বিপদ।শীফ টা কাঁপতে লাগলো।চারপাশে ঢেউ উঠে গেল।

সবাই প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিয়ে নিল।হঠাৎ এভাবে উত্তাল হাওয়ার সাডে তীব্র ঢেউয়ের জন্য তারা কোনো ভাবে প্রস্তুত ছিল না।কি করবে এখন কি করা যায় তা কেউ বুঝতে পারতেছে না।রবি কোনো উপায় না পেয়ে পাশে রাখা মশাল হাতে নিয়ে দাড়িয়ে গেল।মশালের উপর ভর পড়তে শীফ নিরব হয়ে গেল।এই অবস্থা দেখে তারা বুঝে গেল এখানে কোনো বিপদ তাদের সামনে আসছে।আর এটা থেকে সবাইকে রক্ষা করতে হবে।যদি কোনো ঝামেলার সৃষ্টি হয় তাহলে পুরো UDM টিমের বদনাম হয়ে যাবে।আর অভিশপ্ত সে বিহারকেও উদ্ধার করতে পারবে না।তাই তারা শীফ আবারো চালাতে বলল।রবি মশাল নিয়ে দাড়িয়ে আছে।যদি কোনো বিপদ সামনে আসে সে জন্য। বেশ কিছুক্ষণ দাড়ানোর পর রবির পা ব্যথা করাই বসে চাইলে শীফে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।

তার মানে এখনো বিপদ তাদের পেছনে লেগেই আছে।রবি এবার কোনো দিকে না থাকিয়ে চোখ বন্ধ করল।আর চোখ খুলে পানিতে একটা মশাল দিয়ে জোরে আঘাত করল।যেটার জন্য UDM এর বাকি সদস্যরা প্রস্তুত ছিল না।রবি পানিতে আঘাত করার সাথে সাথে পানি থেকে একটা বিশাল দানব ওঠে এলো।সবাই তা দেখে ভয় পেয়ে গেলো।

দানবটি তাদের আক্রমণ করতে লাগলো।কিন্তু সাগরের মাঝখানে দানব কিভাবে এলো?নাকি এটাও কোনো চাল তাদের জন্য?আসল অপরাধীর কংকাল তো পুড়িয়ে দিছে তাহলে এটা কাদের চাল হতে পারে?

নাকি রবি যেটা সন্দেহ করেছিল সেটা…..?

রবি সে দানবটার সাথে লড়াই শুরু করে দিল।অন্য যে কোনো বিপদে মশালের ভারি খেলে সবকিছু হার মেনে যেত কিন্তু এবার তার বিপরীতে কিছু হচ্ছে। মশাল আর কোনো কাজ করছে না।কি করবে তারা বুঝতে পারছে না তাও সবাই মিলে সে দানবটার সাথে লড়াই করতে লাগল।

সবাই বেশ খানিকটা আহত হলো।শেষে রবি মশাল দিলে সে দানবের চোখে আঘাত করতে দানবটা গর্জে উঠে পানির ভেতরে ঢুকে গেল।তারা মনে করলো হয়তো দানবটা আর আসবে না।কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমান হলো।শীফ আরো কিছুটা চলার পর সে দানবটা আবারো তাদের সামনে এলো।আবারো হামলা চালালো তাদের উপর।এবারের হামলা হয়তো রাগে করেছে।বেশিক্ষণ সে দানব টি UDM টিমের সামনে লড়াই করতে পারল না।কারণ আগের বার চোখে আঘাত করাতে সে দানব অনেকটা কষ্ট পাচ্ছে যার কারণে বেশিক্ষণ থাকা সম্ভব হয় নি।পরে আবারো পানির নিচে তলিয়ে গেল।

শীফ আবারো চলতে লাগলো।এবার আর কোনো বিপদ হয় নি। সবাই নেপালের মধ্যে ঢুকে গেল।কোন জায়গায় নেঞ্চির লাশ আছে তা ওরা জানে না।তাই নেঞ্চির লাশ খুজতে হবে তাদের।তাই তারা নেপালে একটা হোটেল ভারা করলো।সবাই মিলে হোটল রুমে বসে নেপালের বিভিন্ন জায়গার ম্যাপ আর বিভিন্ন এলাকা সমন্ধে ধারণা করতে লাগল।কোন কোন জায়গায় নেঞ্চির লাশ থাকতে পারে সন্দেহ করে সেসব স্থান মার্ক করলো।

কিন্তু তারা জানে না আদৌকি নেঞ্চির লাশ খুজে পাওয়া যাবে?নাকি পাবে না।তাও খুজতে তো আর সমস্যা নেই।সবাই কি করবে কোথায় যাবে তা ঠিক করে ঘুমিয়ে গেল খাওয়া দাওয়া করে।তারা পৌছাতে রাত হয়ে গেছিল।

সকালে ঘুম থেকে ওঠে সবাই খাবার খেয়ে নিল।আর পাঁচ জন মিলে নেপালের রুপনদেহি জেলার লুম্বিনীতে যান।কারণ এখানে সব থেকে পুরোনো বৌদ্ধ ছিল।আর যদি এখানে কিছু তথ্য পাই তাহলে তাদের সুবিধা হবে সে আশা নিয়ে তারা এখানে এলো।

তাদের বাসা গুলো দেখে রাব্বাইতের মধ্যে সে কি রোমান্স চলে এলো বুঝানো যাবে না।
তারা প্রথমে একটা গ্রামে ঢুকল খোঁজ খবর নিয়ে তেমন কিছু পেল না যা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। তাই তারা চলে আসতে লাগলো।কিন্তু হঠাৎ দূরে কিছু একটা দেখে রবির চোখ আটকে গেলে।একটু দূরে ছোট্ট একটি পাহাড় আর সে পাহাড়টা কেমন যেন অদ্ভুত। পাহাড় দেখে মনে হচ্ছে আগুনের মত কিছু জ্বলছে।

UDM এর বাকি সদস্যদের দেখালে তারা তেমন কিছু দেখে না।এবার রবি নিশ্চিত হলে গেল ওখানেই কিছু আছে। তবে তারা না দেখার পেছনে হয়তো স্পেশাল কিছু আছে।
সবাই মিলে যখন সেদিকে হাটা দিল তখনই কিছু লোক এসে তাদের পথ আটকায়ে দিল।লোক গুলোর মতে ঐ পাহাড়টা অভিশপ্ত সেখানে যারা যায় তার আর ফিরে আসতে পারে না।এমনকি লাশটাই শুধু পাওয়া যায় সকাল হলে।

কথাটি শুনে তারা একটু অবাক হল।কিন্তু সেখানে তো তারা যাবেই।কিন্তু তারা যখন লোক গুলোর কথা অমান্য করে সেদিকে যাবে তখন লোক গুলো লাঠি নিয়ে দাঁড়ালো। তাদের মতে সেখানে কেউ যাবে না।তারা কাউকে সেখানে যেতে দিবে না।যদি কেউ একজন ভুল করেও সেখানে যায় পরের দিন এল জনের বদলে দুই জনের লাশ পাওয়া যায়।
প্রথম জন যে সেখানে গেছে।দ্বিতীয় জন এই এলাকার একজন।কারণ সেখানে যাওয়া থেকে আটকাতে পারে নি বলে এই এলকার লোক মারা যায়।

রবি বুঝলো এখানে বড় ধরণের ষড়যন্ত্র চলছে।আর এলাকার অসহায় মানুষ গুলোকে বোকা বানানো হচ্ছে। হয়তো আমাদের দেশ থেকে যে সম্পদ তারা চুরি করেছে সেসব হয়তো ঐ পাহাড়ে আছে।কিছু সেখানে তো এলাকার লোক যেতে দিচ্ছে না।

তাহলে রাতে যেতে হবে এই এলাকার মানুষের চোখ ফাঁকি দিয়ে।
এলাকার লোক গুলোর সাথে আর কোনো ঝামেলা না করে তারা চলে এলো। রাত হতে অপেক্ষা করতে লাগলো।যখনই এলাকার সব লোক ঘুমিয়ে গেল তখন UDM এর সবাই সে পাহাড়ে চলে গেল।পাহাড়ের চারপাশে চোখ বুলিয়ে দেখল কিন্তু তেমন কিছু দেখল না।ঝিম ঝিম করছে পাহাড়।একটু ভেতরে ঢুকতে তারা দেখল সেখানে একটা কিছুর উপর আগুন জ্বলছে। যখন তারা সে আগুনের উৎস খুঁজতে যাবে তখনই কি যেন একটা এসে ইমরানের গায়ে লাগলো আর ইমরান মাটিতে পড়ে গেল।

কি সেটা দেখার জন্য যখন হাতের দিখে দেখল তখন সবাই অবাক হয়ে গেল।রক্ত নের হচ্ছে আর ক্ষত দেখে মনে হল কেউ গুলি করেছে।
তখনই আবারো কেউ গুলি করল তবে সেটা কারো গায়ে লাগে নি পাশে থাকা গাছে এসে লাগলো।
তারা বুঝতে পারে নি কোনদিক থেকে গুলি করতেছে আর কারা করতেছে।তাই তারা অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার জন্য রবি মশাল উল্টো করে মাটিতে পর পর তিনবার আঘাত করল।আর অদৃশ্য হয়ে গেল।

রাহীর হাতে তিশা আর রাব্বাইত কাপড় বেঁধে দিল। রবি দেখল যারা গুলি করতেছে তারা একটু দূরে গাছের আড়লে দাড়িয়ে আছে।
(মশালের মাধ্যমে তারা আঁধারেও দিনের আলোর মত দেখতে পাই)

সবাই সেখানে গেল।আর যারা গুলি করছিল তারা চার জন আছে সবার থেকে গান কেঁড়ে নিল।কিন্তু কারা বা কে তাদের কাছ থেকে গান নিয়ে নিচ্ছে সেটা তারা দেখতে না পেয়ে প্রচুর ভয় পেলে আর জ্ঞান হারালো।
এই সুযোগে সবাই মিলে যেখানে আগুণ জ্বলছিল সেখানে গেল।আগুণ তো অনেক বেশি।আর আগুন জ্বলতেছে ডেক্সি/হাঁড়ির ভেতর থেকে সেগুলো মাটির হাড়ি।
কিন্তু মশাল সে আগুনের দিকে তাক করতে আগুন নিবে গেল।সেখানে দুইটা হাড়ি ছিল।দুটাই তারা নেঞ্চির লাশ খুঁজতে লাগল।কিছু সময় খুজে লাশ পেল আর সবাই মাটি খুঁড়ে লাশটা বের করল।কফিন সবাই ধরাধরি করে পাহাড় থেকে বের করে আনলো।লোক গুলো এখনো অজ্ঞান হয়ে আছে তাই আনতে কোনো সমস্যা হয় নি।
তার ছিল এই পাহাড়ের লুকায়িত থাকা মূল্যবান সম্পদ চুরি করতে আসা লোক।এলাকার মানুষের মধ্যে তারাই ভয় ঢুকিয়ে দিছিল।কেউ পাহাড়ে আসলে এলাকা থেকেও একজন ধরে এনে মেরে ফেলত।

তারা সম্পদের জন্য এলেও এই সম্পদ নিতে পারে নি।কারণ এই সম্পদের গায়ে অভিশাপের ছায়া লেগে ছিল।শত চেষ্টা করেও আগুণ নেভাতে পারে নি।তাই পাহাড়া লুকিয়ে সম্পদ গুলো পাহারা দিচ্ছিল তারা।

হাঁড়ি দুইটা আর লাশ একটা গাড়িতে করে সমুদ্রের কাছে নিয়ে এলো।আবারো শীফে করে বাংলাদেশে চলে এলো সবাই।

নেঞ্চির লাশ আর প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা হাড়ি দুইটি বিহারে এনে মাটির কুঁডে পুতে দিল।কাজ শেষ হতেই পেছনে কে যেন বলল”তোমাদের অনেক ধন্যবাদ ”

সবাই পেছনে ফিরতে নেঞ্চিকে দেখতে পেল।
রবিঃআপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনি না বললে হয়তো আমরা এত কিছু করতে পারতাম না।

নেঞ্চিঃআজ থেকে এই পাহাড় এই বিহার আবারো সেই শত বছর পুরোনোর মত হয়ে যাবে।সুন্দর হয়ে যাবে আগের থেকে।
এই বলে নেঞ্চি অদৃশ্য হয়ে গেল।হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হল।সবাই জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।

যখন জ্ঞান ফিরল তারা পাহাড়ের অবস্থা দেখে অবাক।কারণ পাহড় পুরোটা কেমন যেন হয়ে গেল।আগের মত নেই।আর রবির হাতে থাকা মশালটাও নেই।

তাহলে কি নেঞ্চি নিয়ে গেল সেটা?
প্রশ্ন রয়ে গেল পাঠকদের কাছে।
সবাই আজ কত আন্দিত।UDM আর আরো একটা মিশনে সফল হয়েছে।

রবির কাছে একটা প্রশ্ন গুরপাক খাচ্ছিল, প্রথম দৃশ্যমান হওয়া নেঞ্চিকে কেন যেন সন্দেহ হয়েছিল।মনে হয়েছিল নেঞ্চি খারাপ আর UDM কে নিজের ইচ্ছে মত পরিচালনা করতে চাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হল না।

মুক্তি পেলো এই বিহার।আর বন্ধী হয়ে থাকা হাজারো আত্মা।

রোব্বাইত তো সোজা রবির কাছে এসে তার ঠোঁটের উপর হামাল চালিয়ে দিল।

কে জানে এই রোব্বাইতের জ্বালায় কত লিপস্টিক আমাকে কিনতে(হি হি)

গল্পটা কেমন হলো অবশ্যই জানাবেন।

…………………..সমাপ্ত……………………..

#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।
#ভালো_লাগলে_জানাবেন।

#আল্লাহ_হাফেজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here