#মেনি_কুইন।
#পর্বঃ০৩
#লেখকঃরবিউল_হাসান।

রবিঃকোথায় দেখেছ চিন্তা করো হসপিটাল?গাড়ি? সিনামা?বই?কোথায় দেখেছ?
রাব্বাইতঃকোনো বইয়ে দেখেছি মনে হয়।
রবিঃকোন বইয়ে তোমার সেই শত বছরের পুরনো বইতে নাকি?

রাব্বাইতঃহুম মনে পড়ছে সে বইয়ে দেখছি।
রাহীঃতাহলে বল এর অর্থ কি ছিল?
রাব্বাইতঃএর অর্থ কি যেম ছিল কি যেন ছিল(বলে মাথা চুলকাতে লাগলো)

রবিঃমনে করো একটু একটা একটা শব্দের মানে বের করো…..
রাব্বাইতঃরক্ত……শক্তি………. দাও/নাও।(বিরবির করে বললো)

রাব্বাইতঃ মনে পড়ছে এমন কিছু ছিল…
রবিঃরক্ত,শক্তি, দাও,নাও…এগুলোকে এক লাইনে করলে…..
রাব্বাইতঃমনে পড়লো এটার অর্থ ছিল”রক্ত দাও,শক্তি নাও”

রবিঃতার মানে এই মশালে রক্ত দিলে শক্তি পাবে?
তিশাঃহতে পারে এমন আবার উল্টোও হতে পারে।
ইমরানঃসব সময় উল্টো ভাবার কি আছে ভালোটা ভেবে এগিয়ে যেতে হবে।
রবিঃঠিক বলছিস হয়তো এটা আমাদের জন্য কোনো ক্লো।

এই বলে রবি হাতে পাওয়া আঘাত থেকে রক্ত ফেললো সে মশাইলের উপর।সাথে সাথে মশালের থেকে রশ্মি বের হতে লাগলো।আর এই রশ্মি নীল রঙের। একটু পর সে মশাল নিস্তব্ধ হয়ে গেল।
তখন রবি সেটা তুলে নিল কিন্তু এবার আর মশালের কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না। কিন্তু এই মশালের কাজ কি আর কিভাবে করে তা কেউ জানে না।

রবি হাতে মশালটা ভারী হতে লাগলো।তখন সে মশালটা মাটিতে রাখলো।রবি তখনই অদ্ভুত আচরণ করতে লাগলো।নাক মুখ দিয়ে ধৌঁয়া বের হতে লাগলো।শরীরের পরিবর্তন হতে লাগলো।
ঘ্রাণ শক্তি বাড়তে লাগলো।দৃষ্টি শক্তি প্রকর হতে থাকলো আর চোখ গুলো নীল বর্ণ ধারণ করতে লাগলো।শরীরে শক্তি বাড়তে লাগলো। শ্রবন শক্তি বেড়ে গেলো।সবাই এসব দেখে ভয় পেয়ে গেলো।রবির কাছ থেকে সবাই পেছাতে লাগলো।

তখনই তিশা বললো….
তিশাঃআমি বলেছিলাম হিতে-বিপরীত হতে পারে কিন্তু কেউ শুনলি না তো আমার কথা দেখ এখন কি হচ্ছে।

তখন রবি ইশারায় ওদের চুপ থাকতে বললো।হঠাৎ করে রবি জ্ঞান হারালো।সবাই ভয় পেয়ে গেলো রবির এমন অবস্থা দেখে। কিন্তু তাৎক্ষণিক রবির আবার জ্ঞান ফিরে আসলো।আর স্বাভাবিক ভাবে ওটে বসলো।তারপর সবার উদ্দেশ্যে বললো….
রবিঃগায়েস এটা সাধারণ কোনো মশাল নয়।এই মশাল এক অলৌকিক শক্তির অধিকারী।এই মশাল হাতে নেওয়ার পর আমি বুঝলাম আমার শক্তি কয়েক গুণ বেড়ে গেলো। আর পুরো শরীরের পরিবর্তন হতে শুরু করলো।মাটেতে ভারি মারলে আমার শরীরের পরিবর্তন হয়ে যায়।আমি কোনো হিংস্র পশুর মতো হয়ে যায় বুঝতে পারি কোন জায়গায় কি আছে আর দূরে কি আছে।

রাব্বাইতঃআমি কতটা ভয় পেয়ে গেছিলাম জানো….(আবেগি ভালোবাসা যুক্ত কন্ঠে)
রবিঃজানি সবাই ভয় পাইছে।তবে এই মশাল আমাদের জন্য খুব কার্যকরি।চলো সবাই তাড়াতাড়ি এই মশাল নিয়ে এই মিশন শেষ করতে হবে।

রবি মশালটা ভালো করে দেখলো আর সেখানে তিনটা বাটন দেখলো।
উপরের টা আগে ক্লিক করাতে রবির শরীরের পরিবর্তন হলো।এবার দ্বিতীয় বাটন ক্লিক করতে ঘরটির পাশে একটা গাছ মাটি ফেঁড়ে উঠতে লাগলো।বুঝে গেলো এটাই সেই গাছ যেটা দিয়ে পুরো UDM টিমকে রহস্যের উন্মোচন আর নেপালে নিয়ে যাওয়া সম্পদ ফেরত আনতে সাহায্য করবে।

সবাই গাছের কাছে গেলো।আর গাছের চারপাশ ভালো করে দেখলো।তিশা গাছ থেকে একটা পাতা ছিড়লো আর আকাশে মেঘ জমতে শুরু করলো। পতাটা তিশার হাতেই রইলো।যখন পাতাটা ফেলে দিল আকাশে গুড মড করে মেঘ ডাকতে শুরু করলো।

রাহী ঐ পাতাটা নিয়ে গাছের শেকড়ের কাছে রাখতেই একটা পাহাড় ভাগ হতে শুরু করলো।আর সেখানে অনেক মানুষ কে দেখা যাচ্ছে যারা অনেকে জীবিত আবার অনেকে মৃত।আবার অনেকের কংকাল পড়ে আছে।

রবি এটা সবাইকে বললো যে,ওখানে যারা দেখা যাচ্ছে তাদের সবাইকে এখান থেকে বের করতে হবে।কিন্তু সেখানে তো যাওয়ার যাবে না।পাহাড় টা ভাগ হয়ে এমন ভাবে দাড়িয়ে গেছে সেখানে কোনো মানুষের যাওয়া অসম্ভব। কিন্তু ওদের তো বাঁচাতে হবে কোনো উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

সবাই সে পাহাড়ের নিচে যেতে লাগলো।যখনই সবাই সে পাহাড়ের নিচে গেলো ঠিক তখনই পাহাড় টা বন্ধ হয়ে গেলো আর তারা সেখানে আটাক পড়লো।তাদের কাছে এমন কোনো পথ নেই যে সেখান থেকে বের হতে পারবে।কিন্তু তাঁদের তো বের হতে হবে আর ওই দেখা মানুষ গুলোকে বের করতে হবে। কিন্তু কিভাবে।আর তারা কোথায় আটকা পড়লো…..?

চারদিকে তাকাচ্ছে কিন্তু কিছু দেখতে পাচ্ছে না।হঠাৎ তাদের সামনে কি যেন একটা দৃশ্যমান হতে লাগলো।পুরো দৃশ্যমান হয়ে দেখলো একটা বৃদ্ধ লোক আর যেখতে বৌদ্ধদের মতো লাগছে।

রবি তাকে উদ্দেশ্য করে বললো….

কে আপনি আর এখানে কি করেন কিভাবে দৃশ্যমান হলেন?

লোকটি সেখান থেকে জবাব দিল,”আমি সে যে এই পাহাড় রক্ষার জন্য দেশের সম্পদ রক্ষার জন্য চেষ্টা করেছিলাম।কিন্তু সে নেপালের লোক গুলো আমাকে বাঁচতে দেয় নি।”

ইমরানঃআত্মা….বলে জোরে চিল্লাতে লাগলো,ভয়ার্ত কন্ঠে

লোকটা জবাব দিল হুম আমার আত্মা আজো মুক্তি পাই নি।তোমরা ভয় পেয়ে না আমি তোমাদের ক্ষতি করবো না তোমাদের সাহায্য করব।তবে আমার একটা শর্ত পূর্ণ করতে হবে।তাহলে তোমাদের সাহায্য করব।আর অশুভ সব কিছু থেকে রক্ষা করব।আর মেনি কুইন গুলো আমি বললে তোমাদের ক্ষতি করবে না।যদি তোমার আমার শর্তে রাজি হও তাহলে আমি তোমাদের জন্য অনেক কিছু করব।বল রাজি…..?

রাহীঃবলেন আগে কি শর্ত?

লোকটা আবার বলতে লাগলো, যদি তোমরা আমার আত্মাকে মুক্তি দাও তাহলে তোমাদের সাহায্য করব।
রবিঃআপনার আত্মাকে কিভাবে মুক্তি দিব?

~~পারবে তবে তোমারই পারবে।শুধু তোমাদের মনে রাখতে হবে তোমার হাতে যে মশাল টা আছে সেটা যেমন তেমন মশাল না।(রবিকে উদ্দেশ্য করে)

রবিঃতাহলে কেমন মশাল আর এটার কি কাজ?

~~এটা এমন এক মশাল যেটা মাটিতে রাখলে তোমার শরীরের কয়েক গুণ শক্তি বেড়ে যাবে।আর তোমাকে এটা সাবধানে রাখতে হবে।কাউকে দিতে পারবে না এটা।এই মশাল মৃত।কিন্তু কেউ এতে রক্ত ফেললে সেটা জীবিত হয়ে যায়।এখন তোমার হাতে সেটা জীবিত অবস্থায় রয়েছে।যদি তুমি এটা সামলে রাখতে পারো তাহলে সবাই মুক্ত পাবে এখান থেকে।

রবিঃওহ তাহলে তো এই মশালের অনেক গুরুত্ব আছে।আর আপনি বললেন মেনি কুইন আপনার আর সেগুলে আপনি বললে হামলা করা বন্ধ করবে।তাহলে এতবার আমাদের উপর হামলা করালেন কেন?

~~এখানেই সমস্যা, তোমাদের উপর যে মেনি কুইন হামলা করলো সেগুলো আমার মেনি কুইন ছিল না।

তিশাঃতাহলে সেগুলো কার ছিল?

~~সেগুলো অন্য কারে।কিন্তু সেটাও মেয়ে ছিল।যে আমার অগোচরে এই পাহাড়ে বাস করতো।সারারাত ধরে কালো যাদু করতো। আর যে মানুষ গুলোকে তোমরা একটু আগে দেখলে স মানুষ গুলোকে ঐ মেয়েটি মেরে ফেলছিল মেনি কুইন দিয়ে।আর আমার মেনি কুইন সাদা সেগুলো তোমাদের উপর হামলা করে নি।কিন্তু তোমাদের পাশে ছিল ছায়ার মতো।যদি তোমরা কোনো কারণে হেরে যাও তাহলে আমার মেনি কুইন সে মেনি কুইন গুলোর উপর হামলা করতো।কিন্তু তা আর প্রয়োজন হয় নি।কারণ তোমরা খুব চালকির সাথে সব বাঁধা পার হয়ছ।

রবিঃতাহলে এখন আমরা কি করব আর যে মানুষ গুলো জীবিত কিংবা মৃত আছে সেগুলোকে কিভাবে বের করবো?
~~তার একটা মাত্র উপায় আছে। তোমরা এই মশাল নিয়ে নেপালে যাবে।সেখান থেকে আমার লাশ আর এখান থেকে নিয়ে যাওয়া সম্পদ ফেরত আনবে।
তার আগে আরো কিছু কাজ আছে।সেগুলো এখানেই করতে হবে।তারপর সেখানে গিয়ে এসব নিয়ে এসে এই পাহাড়ে পুঁতে দিবে তাহলে এই পাহাড় আগের মতো হয়ে যাবে। আর সে সম্পদ ঠিক আগের যায়গায় চলে যাবে।

রাব্বাইতঃতাহলে আমাদের আগে কি কাজ এখানে করতে হবে?

~~মারতে হবে সে ডাইনি মেয়েটাকে যে কালো যাদু করতো।
ইমরানঃঐ মেয়েটি কি এখনো বেঁচে আছে নাকি?কি যা তা বলছেন?
~~মরে গেছে কিন্তু তার আত্মা এখনো এই পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তোমার উপরে যে হামলা করেছিল তোমার মুখ বন্ধ করে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল সেটা ছিল ঐ মেয়েটির আত্মা। (রাব্বাইতের দিকে তাকিয়ে)
আর ঐ আত্মা কে পুড়িয়ে দিতে পারলেই সব কিছু সোজা হয়ে যাবে।তোমাদের পথে সবচেয়ে বড় বাঁধা হিসেবে আছে সে আত্মা।

রাহীঃতাহলে আমরা সে আত্মাকে কিভাবে পোড়াতে পারব আর কোথায় বা সে আত্মার খোঁজ করব?
~~তোমরা এখান থেকে বের হয়ে সামনে যাবে আর কিছু দূর গিয়ে দেখবে একটা গোহা তবে মনে রাখবে গোহার ভেতর যাওয়া টা খুব ঝুকিপূর্ণ। যদি এদিক সেদিক হয় তাহলে তোমরা সবাই মারা যাবে।আর যদি সাবধানতার সাথে সে গুহায় পৌছাতে পার তাহলে সব কিছু আবারো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

রবিঃতাহলে আমরা গুহায় গিয়ে কি খোঁজব।আর কি করব?
~~তোমার হাতে যে মশাল আছে তার তিন নাম্বার সে সুইচ টা আছে সেটা চাপলে তোমরা বুঝতে পারবা কি করতে হবে।পথ হারিয়ে গেলে সে মশাল তোমাদের সঠিক পথে নিয়ে যাবে।কি করতে হবে সেটা মশাল দেখলে তোমরা বুঝতে পারবে।

রাব্বাইতঃতাহলে মশালের মাধ্যমে আমরা সেখানে যাব মানে সে গুহায় তারপর কি করব?
~~সেখানে গিয়ে একটা ছোট সুরঙ্গ পাবে সে সুরঙ্গ দিয়ে তোমাদের ভেতরে যেতে হবে।ভেতরে গিয়ে দেখবে অনেক গুলো কংকাল সেখানে যে কংকাল তোমাদের অন্য রকম মনে হবে বা যে কংকাল অন্য কংকাল থেকে আলাদা হয়ে থাকবে বা মশাল যে কংকালের দিকে নিবে সে কংকালটা হাতে স্পর্শ না করে জ্বালিয়ে দিবে।যদি হাতে স্পর্শ কর তাহলে ঐ মেয়ের আত্মা শক্তিশালী হয়ে ওঠবে।এমন কি ঐ মেয়ের পুরো শক্তি এই আত্মার মধ্যে চলে আসতে পারে।তাই হাতে না ছুঁয়ে জ্বালিয়ে দিবে।

তিশাঃআমাদের সেখানে কি বিপদ থাকতে পারে যদি বলতেন?
~~বিপদের কথা শুনলে তোমরা এখানেই হার মেনে যাবে।তবে এটা মনে রেখো তোমাদের মধ্যে যে কোনো একজন মারা যেতে পারে।আর সেখানে একটা গুহা তোমাদের জন্য খুব বিপদের যদি ভুলেি সে গূহার পানিতে কেউ স্পর্শ করো তাহলে সবাই পাহাড় ধ্বসে মারা যাবে।
আর তোমাদের মধ্যে কেউ সে পানিতে পা দিতে পার।

এমন অনেক বিপদ আছে,যেগুলো শুনলে তোমাদের মনে ভয় ঢুকে যাবে।

রাব্বাইতঃতাহলে আপনিও চলুন আমাদের সাথে যাতে আমাদের বলতে পারেন কোথায় কি হবে?
~~আমি এখান থেকে বের হতে পারব না।ঐ মহিলা আমার আত্মাকে এখানে আটকে রেখেছে।যদি বের হতে পারতাম তাহলে তোমাদের সাহায্য অবশ্য করতাম।তোমাদের অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে যাও তোমরা তাড়াতাড়ি যাও তোমাদের হাতে মাত্র আজকে রাত টুকু সময় আছে।

রবিঃআজকে রাত মানে এর পর কি হবে?

~~আজকের পর ঐ মেয়ের আত্মা কয়েক হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে যাবে।আর শক্তিশালী হলে তোমরা কেউ ওর কিছু করতে পারবে না।
যাও তোমার তাড়াতাড়ি। এখান থেকে বের হতে তোমার মশাল উল্টো করে মাটিতে আঘাত করলে হবে।কিন্তু সেটা খুব কমই ব্যবহার করবে বেশি ব্যবহার করলে সেটার পাওয়ার কমে যাবে।

তিশাঃওকে যাচ্ছি আর আপনার আত্মাকে আমরা মুক্ত করবই।

~~যাও তোমরা, পারবেই তোমরা পারতেই হবে তোমাদের।

রবিঃআচ্ছা আপনার নামটা যেন কি?

~~কেঞ্চি যং লুগি।

রবিঃওওওওওওওহ মনে পড়লো।দাদু কেঞ্চি বলে ডাকতো।

~~যাও তোমার।

রবি মশাল উল্টো করে মাটিতে আঘাত করতেই কেঞ্চি অদৃশ্য হয়ে গেলো। আর পাহাড় উপরের দিকে উঠতে লাগলো।

পাহাড় এক সময় থেমে গেলো।আর সাবাই চারপাশে তাকিয়ে দেখল মাটি থেকে শূন্য অবস্থায় আছে।কিন্তু নামার মতো কোনো কিছু নেই।

তিশাঃএখান থেকে কিভাবে নামব?
রাব্বাইতঃএখানে তো নামার মতো কিন্তু কিছু নেই তাও আমাদের কোনো ওয়ে বের করতে হবে।

রবিঃএকটা ওয়ে আছে।আমি মশাল দিয়ে এই পাহাড় কে আবারো নিচে ঠেলে দিব।যখন মাটির কাছাকাছি যাবে তখন সবাইকে লাফ দিয়ে মাটির উপরে যেতে হবে।
রাহীঃএটা একটু রিস্ক হয়ে যাবে না?
রবিঃএর থেকে বড় রিস্ক আমাদের আছে।আর আমরা কেন ভুলে যাচ্ছি সামান্য রিস্ক নিতে না পারলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।

তিশাঃওকে এইটুকু রিস্ক নিতে হবে আমাদের।

রবিঃওকে গায়েস সবাই মানসিক ভাবে রেডি হয়ে যাও।
সবাই জাম্প করতে প্রস্তুত হয়ে গেলো।রবি মশাল দিয়ে আঘাত করতেই পাহাড় আবারো নিচে যেতে লাগলো।আর তখনই রবি সহ সবাই জাম্প করলো। কিন্তু তিশার জাম্প করতে একটু দেরি হয়ে গেলো।তিশা মাটি বরাবর পৌছাঁতে পারে নি।তবে হাত দিয়ে মাটি ধরে ফেলছে।হাত ছাড়লে বিশাল গর্তে পড়ে যাবে।
রবি তিশার হাত ধরে ফেললো।সবাই মিলে তিশাকে তুললো।

তিশাঃTnx
রবিঃএসব ছাড়া কি আর মাথায় কিছু থাকে না?সবার বিপদে সবাই আছি সো এসব বলবি না।আর হ্যা সবারই মনে রাখতে হবে আমরা সবাই এক প্রাণের মতো দেহ আলাদা হলেও।

রাব্বাইতঃহুম। চলো সবাইকে এখন সে গুহা খুঁজত হবে।

তারপর সবাই নেঞ্চির বলা পথ ধরে হাটতে লাগলো।একটু একটু আধার ঘনিয়ে আসছে।তারা এখন কোথায় আছে তাও জানে না।চলতে চলতে প্রায় বিশ মিনিট গেলো।তারপর একটা গুহার মতো কিছু দেখতে তারা থেমে গেল।কিন্তু সে গুহার কাছে যেতেই আরো তিনটা গূহা দৃশ্যমান হলো।নেঞ্চি কোন গুহার কথা বললো এখান থেকে সেটা তারা খুঁজবে কিভাবে আর কোন গুহাটা হবে এখানে।
তিনটা গুহার মধ্যে দুইটা মায়া আর একটা আসল গুহা।

রাহীঃএখন কি করবি? নেঞ্চিতো বলেছিল একটা গুহা কিন্তু এখানে তো তিনটা গুহা।
রবিঃহুম কোনটা আসল গুহা সেটা আমরা মশালের মাধ্যমে জানব।

To be continue…………….

#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here