রবি, ইমরান,রাহী,রাব্বাইত আর তিশা, তারা পাঁচ বন্ধু আজ প্রায় চার বছর ধরে একসাথে আছে।কলেজ লাইফ দুই বছর আর ভার্সিটি লাইফ দুই বছর। সবাই কোনো রহস্য উন্মোচন করতে গেলে একসাথে যায়।হুম তারা পাঁচ জন রহস্য উন্মোচন করতে ভালোবাসে।

সম্প্রতি জানলো সোমপুর বোদ্ধ বিহারে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে, বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি শুরু হয়ে গেছে।গভীর রাতে পাহাড়ে কিছু হাটার শব্দ শুনা যায়।কিন্তু কোথথেকে সে শব্দ আসে তা কেউ বুঝতে পারে না।অনেকে জানার চেষ্টা করেছে কিন্তু যারা সে রহস্যের সন্ধানে গেছে সবাই নিখোঁজ। তাই পুরো দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গেছে।

তারা পাঁচ জন আজ রাতে বিহারের উদ্দেশ্য রওনা দিল।সবাই প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে নিলো।রবি সবাইকে এডভাইস দিয়ে দিলো কি কি নিতে হবে।কেরোসিন, দড়ি,গান,আর কিছু কেমিক্যাল,লাইট, ম্যাপ সব নিলো।ঢাকা ভার্সিটি থেকে রওনা দিল। তারা পাঁচ জন একই ভার্সিটিতে পড়ে।অনেক রহস্য উন্মোচন করেছে।কিন্তু এবারের টা একটু বেশি রিস্ক আছে।তাই তারাও আগের থেকে বেশি সতর্ক হয়ে গেলো।

পৌছালো বিহারে প্রায় সকাল হয়ে গেছে তাই তারা একটু হোটেলে ওঠলো।তাদের চিন্তা কাল কে সকালে তাদের মিশন শুরু হবে। কে কি করবে কোন দিকে যাবে টিমের নাম কি হবে (রিলেন নাম নিয়ে তার টিম বানায় না,সবাই মিলে একটা মিশনে একটা করে নাম সিলেক্ট করে) ঠিক করল।এবারের কাজ যখন একটু হার্ড তাই টিমের নাম নিলো “Unraveling Difficult Mysteries (UDM)”-কঠিন রহস্য উন্মোচন।

UDM পর দিন তাদের মিশন শুরু করলো।সকালে তারা পাহাড়ের কাছে যেতে চাইলো কিন্তু দেখলো পুলিশ সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না।অনেক লোক রহস্যের জালে হারিয়েছে তাই প্রশাসনের অনেক চাপ তাই তারা কোনো ভাবে বিহারের ভেতরে কাউকে যেতে দিচ্ছে না।বাধ্য হয়ে UDM আবারো হোটেলে চলে এলো।এসে সবাই মিলে একটা ফন্দি আঁটলো।যাতে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢুকা যায়।যে ভাবা সে কাজ একটু অন্ধকার হতেই একটা লোক চিৎকার করতে করতে বললো বাঁচাও কে আছো…!
পুলিশের চোখ সেদিকে যেতে UDM টিম বিহারে ঢুকে পড়লো।

লোকটা কে কিছু টাকা দিলো UDM আর সময় অনুযায়ী অদ্ভুত ভাবে চিৎকার করতে বললো।তাহলে বুঝতেই পারছেন লোকটা UDM এর কথা মতো কাজ করলো।পুলিশ গিয়ে দেখে সেখানে কিছু নেই তাই লোকটাকে সেদিক থেকে নিয়ে এসে তার গন্তব্যের দিকে পাঠিয়ে দিল। UDM টিম বিহারের একপাশে হাটতে লাগলো।কিছু সময় পর মনে হলো তাদের বিশ্রামের প্রয়োজন তাই তারা একটা জায়গা নির্বাচন করলো রাতে থাকার জন্য। সকালে তাদের মিশন শুরু করতে হবে।কারণ রাতের দিকে একটু বেশি রিস্ক থাকে।

উপযুক্ত স্থান নির্বাচনে তারা খুবই পারদর্শী তাই অল্প সময়ে তাদের রাত কাটানোর জায়গা ঠিক করে নিল।তবে জায়গাটা যখন একটু রিস্ক তাই রাতে দুই জন জেগে পাহারা দেওয়ার সিন্ধান্ত নিল আর বাকিরা ঘুমানোর। সময় বদল করে বাকি দু-জন পাহারা দিবে আর একজন সারাক্ষণ ঘুমাবে।প্রথম অর্ধরাত্রি পাহারা দিবে ইমরান আর তিশা।শেষ অর্ধ রাত্রী পাহারা দিবে রবি আর রাব্বাইত।সবাই আসার সময় খাবার আনছিল রাত দশটা হতে সবাই খেয়ে নিল।

রবি, রাব্বাইত আর রাহী ঘুমিয়ে গেলো ইমরান আর তিশা জেগে রইলো।যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে প্রতিরোধ করতে পারবে।ইমরান আর তিশা কথা বলতে বলতে অনেক সময় হয়ে গেলো তারা একজন আরেকজন কে লাইক করে। তো প্রেমালাপ না হয়ে কি পারে……?

এবার রবি আর রাব্বাইতের পাহারা দেওয়ার সময়।তাই তারা উঠে গেলো আর বাকিরা ঘুমিয়ে গেলো।রবি আর রাব্বাইতের মাঝেও চক্কর চলতেছে।কিন্তু সেটা রাহী ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না।তারা কথা বলছিল আর চারপাশে তাকাচ্ছিল হঠাৎ কিছু টা দূরে লক্ষ্য করলো কিছু লাল বর্ণের চোখের মতো দেখা যাচ্ছে। মানুষের মতো আকৃতি কিন্তু চোখ গুলো যেন লাল। রাব্বাইত বললো,’কি এগুলো’?
রবিঃএগুলো হলো মেনি কুইন। যারা পৃথিবী তে আর কোথাও নেই।কেবল বাংলাদেশে আর এই বিহারে অবস্থান করছে।
রাব্বাইতঃমেনি কুইন কি আর এগুলো কেমন মারাত্মক নাকি?
রবিঃহুম অনেক বেশি মারাত্মক। কারো গাড়ে একবার চেপে গেলে তার মৃত্যু অনিবার্য।
রাব্বাইতঃকিহ তাহলে এখন আমাদের কি হবে?
রবিঃরাব্বাইত ভয় পাচ্ছ কেন তুমি?(বাকিরা সবাই তুই করে বলে কিন্তু রাব্বাইত আর রবি তুমি করে বলে)
রাব্বাইতঃএত মারাত্মক ভয় তো পাব।
রবিঃতার দরকার নেই।এগুলো যেমন মারাত্মক তেমন এগুলোকে প্রতিহত করার জন্য আমাদের কাছে উপযুক্ত জিনিস আছে।
রাব্বাইতঃকি জিনিস আছে আমাদের কাছে?

রবিঃকেরোসিন ছিটলে এগুলো আর সামনে আসতে পারবে না।কারণ এগুলো কেরোসিনে থাকা হাইড্রোকার্বন গোত্রের তরলকে ভীষণ ভয় পাই।বলা যায় খুব বেশি কোনো মেনি কুইনের শরীরে হাইড্রোকার্বন গোত্রের তরল যদি একটু ও পড়ে তাহলে সে মেনি কুইন কিছু সময়ের মধ্যে মারা যাবে।তবে কেমিক্যালের কারণে নয় ভয়ে মারা যাবে।এই কেমিক্যাল তেমন ক্ষতি করে না।কিন্তু মেনি কুইন ভয়ে মারা যায়।

রাব্বাইতঃতা মিস্টার এত তথ্য কিভাবে পেলেন?
রবিঃএটা কি আর তেমন কিছু নাকি?(তাচ্ছিল্য স্বরে)আচ্ছা চলো তোমাকে আরো কিছু দেখায়।

বলে রবি ম্যাপ বের করলো।রাব্বাইতকে বললে দেখো এই ম্যাপের এই অংশে এখন আমরা আছি।আর এখান থেকে এই জায়গাটা খুব মারাত্মক আর বিপদজনক, এই অংশে যারা যায় সবাই নিখোঁজ হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত জানা যায় নি যারা নিখোঁজ তারা বেঁচে আছে কি না মরে গেছে।তবে আমাদের সেখানেও যেতে হবে।আর হ্যা সেখানে আমার জানামতে এমন কিছু আছে যেখানে পা রাখলে অদৃশ্য হয়ে যায়। মানে এখন যে জিনিস টা দেখলে সে জিনিস টা হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যাবে।বলতে পারো এটা একটা জটিল রহস্য কিংবা মায়া।

আর কিছু না বলে রবি হঠাৎ কেরোসিন হাতে নিলো আর রাব্বাইত কে রবির পেছনে যে বললো।রাব্বাইত নিজের পেছনে থাকিয়ে দেখে কত গুলো লাল বর্ণের চোখ ওয়ালা পুতুল। রাব্বাইত ভয় পেয়ে গেলো।পুতুল কিভাবে হাটে? আর পুতুলের তো কোনো জীবন নেই তাহলে এগুলো হেটে আসতেছে কিভাবে?
রাব্বাইত রবির পেছনে চলে গেলো।আর রবি কেরোসিন বের করে প্রথমে মাটিতে ছিটলো কিন্তু পুতুল গুলো যাচ্ছে না বরং আরো সামনে এগুতে লাগলো।এবার রবিরও কিছু ভয় লাগলো।যদি কেরোসিনে কাজ না হয় তো তাদের সবার মৃত্যু অনিবার্য। কারণ মেনি কুইন মানে পুতুল গুলো রবির জানতামে কেরোসিন কে ভয় পাই।
মেনি কুইন সামনে আসতে লাগলো আর রবি, রাব্বাইত পেছাতে লাগলো।হঠাৎ রবি আরো কিছু কেরোসিন নিয়ে মেনি কুইনের উপরে ছুড়ে মারলো।সাথে সাথে সেখানেই কিছু মেনি কুইন দৌড়ে ওল্টো দিকে পালালো।তাদের সাথে অন্য মেনি কুইন গুলোও পালালো।

রবি বুঝতে পারলো প্রথমে মেনি কুইন গুলো কেন সামনে আসছিল,মেনি কুইন প্রথমে বুঝতে পারে নি এগুলো কেরোসিন পরে গায়ে পড়লে বুঝতে পেরে পালালো।

চলুন মেনি কুইন সমন্ধে একটু ধারণা দিয়…..

রাব্বাইত জানো এগুলো কি?
রাব্বাইতঃপুতুল?কিন্তু দেখে মনে হয় না সাধারণ পুতুল।

রবিঃবস বুঝাচ্ছি।
রবি আর রাব্বাইত আবারো তাঁবুর মধ্যে বসে গেলো।
রাব্বাইতঃবলো এবার…..

রবিঃএগুলো কোনো সাধারণ পুতুল নয় এগুলো জীবন্ত পুতুল।যারা হাটা চলা করে কিংবা কারো ইশারায় চলতে পারে।বলা যায় রোবটের মতো।এগুলো কারো ইশারায় চলতেছে এখনো।এগুলো একটা মরলে আর একটা তৈরি হয়ে যায়। মানে বলা যায় এগুলো সহজে হারানোর মতো নয়।তবে এদেরকে একেবারে হারানোর জন্য একটি মাত্র উপায় আছে আর সেটাই আমাদের খুজতে হবে। যেটা পাওয়া গেলে আমরা হারানো মানুষ গুলোকে জীবিত কিংবা মৃত খুঁজে পাব আশা করি।

এতটুকু বলে রবি থেমে গেলো।একটা দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে আবার বলতে শুরু করলো….
এই পুতুল গুলো জীবন্ত তাই এদের নাম দিলাম মেনি কুইন। এই মেনি কুইন সৃষ্টির পেছনে আছে এক ইতিহাস। সেটা না হয় কোনো একদিন বলবো।
রাব্বাইতঃ না এখন বলো শুনতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে।

রাব্বাইতের কথা তো রবি ফেলতে পারে না তাই আবার বলতে শুরু করলো….

এখানে আজ থেকে কয়েক বছর আগে বলা যায় শত বছর হবে।দাদুর কাছে শুনেছিলাম….
(বিদ্রঃবাস্তবে আমি দাদাকে দেখি নি।কিন্তু দাদিকে দেখেছি)
উনি যখন ব্যাবসা করতেন তখন এই পাহাড়ে একজন বৌদ্ধ ছিল। যিনি প্রার্থনা করতে অধিক সময় এই পাহাড়ে থাকতো।দেশের প্রতি ছিল তারা খুব মায়া আর ভালোবাসা। দেশের মানুষের সাথে ছিল তার খুব ভালো সম্পর্ক। একদিন সন্ধার সময় তিনি প্রার্থনা করতে পাহাড়ে চূড়ায় উঠে। উপর থেকে নিচে ভালো করে দেখা না গেলেও এত টুকু দেখা যায় যে কেউ আসছে কিংবা যাচ্ছে তা দেখা যায়। একদিন তিনি প্রার্থনা করছিল পাহাড়ের নিয়ে মানুষ চলাচলের জন্য যায়গা ছিল।তাই কেউ গেলে নিরবে চলে যেত যাবে প্রার্থনা করতে সমস্যা না হয়।

তো তিনি প্রার্থনা করছিল হঠাৎ বুঝতে পারলো কেউ তার দিকে আসছে তাই তিনি চোখ খুললো দেখলো কিছু লোক মুখ কাপড় পড়ে আসছে সে প্রার্থনা কারী লোকটার দিকে।সবার হাতে গুলি ছিল।তাই একটু ভয় পেয় যান তিনি।গুলি হাতে নেওয়া লোক গুলো এসে বলে এই পাহাড় থেকে প্রার্থনা কারি লোকটাকে চলে যেতে আর মানুষের যাতায়াত বন্ধ করতে।

এতটুকু বলে আবারো থেমে যায় রবি।রাব্বাইতের দিকে থাকিয়ে দেখে রাব্বাইত গভীর আগ্রহ আর মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনছে।রবির থেমে যাওয়ায় রাব্বাইত নড়ে বসলো আর রবির দিকে এক নাগাড়ে থাকিয়ে থাকায় লজ্জা পেলো।লজ্জা কাটিয়ে রাব্বাইত রবিকে জিজ্ঞেস করলো….
রাব্বাইতঃতারপর কি হয়ছিল লোকটা কি চলে গিয়েছিল? আর মানুষের যাতায়াত কি বন্ধ হয়ে ছিল?আর লোকটার কি নাম ছিল?

রবিঃআরে বাবরে এত প্রশ্ন একসাথে…..
রাব্বাইতঃহুম বলো।

রবি বুঝলো পুরো ঘটনা রাব্বাইতকে না বললে রাব্বাইত রবিকে ছাড়বে না।তাই রবি আবার বলতে শুরু করলো…

প্রথমে লোকটা যায় নি।আর মানুষের যাতায়াত ও বন্ধ হয় নি আর লোকটার নাম কি সেটা আমার মনে নেই।

রাব্বাইতঃআচ্ছা ধরে নিলাম লোকটার নাম ‘এ’তারপর কি হয়ছিল বলো।
রবি আবার বললো…..

লোক গুলো এ কে হুমকি দিয়ে চলে যায় কিন্তু এ সে স্থান ছেড়ে যায় নি।আবারো সব কিছু আগের মতো চলছিল।কিন্তু প্রায় পনেরো দিন পর বন্ধুক ধারী লোক গুলো আবার সেখানে আসে আর এ কে নিষেধ করার পরেও সেখানে আসায় তর্ক হয়।তাদের কথা অনুসারে এ পাহাড়ে থাকলে তারা নিজেদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করতে পারবে না আর মানুষের যাতায়াত থাকলেও তা হবে না।তাই এ কে দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করতে চেয়েছিল।কিন্তু এ এসব শুনে নি।যার ফলে তাঁকে মেরে ফেলা হয়।

রাব্বাইতঃকিহ মেরে ফেললো কেন আর তাদের উদ্দেশ্য কি ছিল আর তোমার দাদু এসব কিভাবে জানলো পরে?

রবিঃতারা বাংলাদেশের কেউ ছিল না।
(বিদ্রঃ তখন বাংলাদেশ নয় ভারত বর্ষ ছিল কারণ শত বছর আগে পাকিস্তানও ছিল না।ভারত,পাকিস্তান,বাংলাদেশ, মিয়ানমার মিলে ছিল ভারতবর্ষ)
সবাই ছিল নেপালের বন্ধুকধারী।তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল এই পাহাড়ে এক অমূল্য সম্পদ ছিল সেটা নিয়ে যাওয়া।আর নেপালে গিয়ে সে সম্পদ দিয়ে তাদের দেশকে সমৃদ্ধ করা।কিন্তু এ জানতো এখানে কিছু অমূল্য রত্ন ভান্ডার আছে।তাই এ পাহাড়ে প্রার্থনা করতে যেতো আর পাশাপাশি মূল্যবান সম্পদ রক্ষা করা।কিন্তু বন্ধুকধারী গণ এ এর কারণে সে সম্পদ উত্তোলন করতে পারছিল না তাই তাঁকে মেরে ফেলে। মেরে ফেলার আগে এ কে হুমকি দেওয়ার কথা গুলো আমার দাদুকে এসে বলেছিল।
এবং তাঁকে মেরে ফেলার সময় একজন লোক দেখেছিল তার নাম ছিল মে বি রহিম মিয়া।সে প্রতিবাদ করার সাহস পাই নি যদি তাঁকে মেরে ফেলে সে ভয়ে।তবে বন্ধুক ধারী যখন এ কে গুলি করল তখন সে মাটিতে পড়ে গিয়ে বলেছিল, -তোমার যতই চেষ্টা করো সে সম্পদ তোমার কখনো খেতে পারবে না।অভিশপ্ত তোমরা।সে সম্পদ তোমদের দেশের কেউ ব্যবহার করতে পারবে না।আর এই পাহাড়ে আজ থেকে যে আসবে সে হারিয়ে যাবে অনেক দূরে আটকে যাবে ফিরতে পারবে না অভিশাপ দিলাম আমার বানানো পুতুল গুলো সারা পাহাড় পাহারায় রাখবে কেউ টিকে থাকতে পারবে না এই পাহাড়ে।কেউ না।”

এসব বলে এ মানে প্রার্থনা করা সে বোদ্ধ মরে যায় আর তার লাশ টা কফিনে করে বন্ধুকধারী লোক গুলো নেপালে নিয়ে যায়। আর তার বানানো পুতুল গুলো সেভাবেই রয়ে যায়।

এসব রহিম মিয়া এলাকার মানুষকে জানায় ফলে ভয়ে এই পাহাড়ের পাশ দিয়ে মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। রহিম মিয়া এসব বলার পরে সত্যি এমন কিছু হচ্ছে কি না দেখতে আসে পাহাড়ের অবস্থা দেখে সে অবাক হয়ে যায়। এ নামক লোকটা যেখানে প্রার্থনা করতো সে জায়গা টা অদৃশ্য হয়ে গেছে বানানো পুতুল গুলো আগের থেকে বড় হয়ে গেছে। আর বিভিন্ন স্থানে গর্ত করা। এসব দেখে রহিম মিয়া বুঝে গেছে গর্ত গুলো থেকে নেপালের লোক গুলো গুপ্ত ধন নিয়ে গেছে আর অভিশাপের কারণে প্রার্থনা করার স্থান অদৃশ্য হয়ে গেছে।আর পুতুল গুলো জীবন্ত হতে শুরু করেছে।

এ-টুকু বলে রবি থেমে গেলো দেখলো রাব্বাইত খুব বেশি মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনছে।আর রবি কথা বলতে বলতে কখন যে সকাল হয়ে গেছে তা খেয়াল নেই।রবি পাশে থাকিয়ে দেখে বাকিরা ঘুম থেকে ওঠে কখন যে রবির কথা শুনছিল তার হিসাব নেই।রবি বা রাব্বাইত কেউ খেয়াল করে নি ওরা ঘুম থেকে ওঠে গেছে।

রবি সবার উদ্দেশ্য বললো রেডি হতে এখন এখান থেকে সামনে যেতে হবে।রাব্বাইত এখনো ঘুরের মাঝে আছে।রবি রাব্বাইতের গায়ে হাত দিতে রাব্বাইত চমকে ওঠলো।যেনো মনে হচ্ছে রাব্বাইত কোনো অদৃশ্য মায়ার ভেতরে ঢুকে গেছে।

রবিঃকি হলো রাব্বাইত তুমি কই হারিয়ে গেলে?
রাব্বাইতঃনা মানে কোথাও না।

রবি সবার উদ্দেশ্য আবার বললো….

To be continue……………….
#মেনি_কুইন
#পর্বঃ০১
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#RK9023DXWC
#অনুমতি_ছাড়া_কপি_করা_নিষেধ।

#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here