মেঘের_আড়ালে_মেঘ”৫”
#জেরিন_আক্তার_নিপা

মেহরীনের মন খারাপ দেখে যেন আকাশেরও মন খারাপ হয়ে গেল। এতক্ষণ মাথার উপরে যে কালো মেঘ গুলো মনের খুশিতে উড়ে বেড়াচ্ছিল, এবার তারা বৃষ্টি হয়ে ঝড়তে লাগল। আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে দেখেও মেহরীন কোথাও দাঁড়াল না। সে জেদ ধরে হেঁটে যাচ্ছে। অনন্ত মাথার ওপরে হাত ধরে রেখে বৃষ্টি থেকে বাঁচার বৃথা চেষ্টা করতে করতে মেহরীনকে ডাকল।

“ওই মেহু দাঁড়া। দেখ ভালো হচ্ছে না কিন্তু। এমনিতেই তোর জ্বর। এখন আবার আমার উপর জেদ করে ভিজছিস।”

মেহরীন তার কথা কানে নিলে তো! সে আগের মত করেই হেঁটে যাচ্ছে। অনন্তর ডাকে তার চলার গতি এতটুকুও কমছে না।

“তুই কি চাস লোক ভর্তি রাস্তার মাঝে আমি তোকে কোলে তুলে নিই? না চাইলে চুপচাপ কোথাও দাঁড়া। ভারি হয়ে বৃষ্টি পড়ছে। তোর জন্য আমিও ভিজে যাচ্ছি।”

এবার মেহরীন দাঁড়াল। অনন্তর কথা শুনে তার চোখের সামনে আজ সকালের দৃশ্য ভেসে উঠেছে। মেহরীন ভেতরে ভেতরে কেঁপে উঠল। এতক্ষণে অনন্ত এসে মেহরীনের হাত চেপে ধরেছে। সে মেহরীনকে টেনে নিয়ে একটা দোকানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দাঁতে দাঁত চেপে অনন্ত বলছে,

“রাগ অনেক বেড়ে গেছে না তোর! আমার কথাও শুনছিস না! কানের নিচে একটা লাগালে দেখবি সব রাগ সুরসুর করে কোথায় উড়ে গেছে। নিজে প্রথমে উদ্ভট উদ্ভট সব কথা জিজ্ঞেস করবে। আর তার বদলে আমি কিছু বললেই মুখ ফুলিয়ে রাখবে। ঢং পেয়েছিস নাকি? আমি অন্য সব বয়ফ্রেন্ডের মত পালিত ডগির বাচ্চা হয়ে কুতকুত করে গার্লফ্রেন্ডের পেছন পেছন ঘুরতে পারব না।”

অনন্ত কিসব যেন বলেই যাচ্ছে। কিন্তু মেহরীন তার কথা শুনতে পাচ্ছে না। সে আজ সকালের ছোট্ট ছেলেটার কথা ভাবছে। তাকে ছেলেটা মা ডেকেছে। অনন্ত ওকে নিয়ে একটা চায়ের দোকানের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। এই দোকানটা মেহরীনের দেখা অন্য সব দোকানের থেকে একটু বেশিই ছোট এবং নোংরা যেন। দোকানের সাথে লাগানো টিনের ছাউনির ছোট বারান্দায় একটা টুল পাতা। ওখানে আগে থেকেই কয়েকজন পুরুষ মানুষ বসে ছিল। অনন্ত একজনের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল,

“ভাই একটু ওদিকে চাপেন তো। আমার বউকে নিয়ে একটু বসি।”

অনন্তর মুখে বউ কথাটা শুনে মেহরীন যারপরনাই অবাক হলো৷ এই ছেলে সজ্ঞানে থেকে কথাটা বলেছে তো! ছয় মাস ধরে যাকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে কুত্তা পাগল হয়ে ছিল মেহরীন। দিনরাত কানের কাছে ঘ্যানঘ্যান করেও কোন লাভ হয়নি। নানান থ্রেট, ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেও কাজ হয়নি। আল্লাহর বান্দা কিছুতেই বিয়ে করতে রাজি হলো না। শেষে বাধ্য হয়ে ও নিজেই হাল ছেড়ে দিয়েছে। আজ সেই লোকটাই লোকের সামনে ওকে বউ বলে পরিচয় দিচ্ছে! মেহরীন তীক্ষ্ণ চোখে অনন্তর দিকে তাকালে অনন্ত ওকে দেখে চোখ টিপে হাসল। গা জ্বলে গেল মেহরীনের। ব্যাটা বজ্জাত তার সাথে মজা করছে।
অনন্ত আদুরে গলায় বলল,

“ওগো এসো, বসো।”

মেহরীন কটমট করে তাকিয়ে চোখ দিয়েই ওকে গিলে খেতে চাইল। ফাজিল পোলা। অনন্ত মেহরীনকে আরও রাগিয়ে দিতে পেরে মনে মনে এক আকাশ সমান খুশি হলো।
.
.
ইরফান আজ কতদিন পর হামনার রুমে এলো? হিসেবে করতে চায়না সে। এই রুমের সবকিছু আগের মতই সাজানো গুছানো আছে। নেই তো শুধু মানুষটা। হামনা যেটা যেভাবে রেখেছিল ঘরের প্রতিটা জিনিস এখনও সেভাবেই আছে। হুমায়রা বোনকে কতটা ভালোবাসে তা ইরফানের অজানা নয়। সে জানে হামনার অবর্তমানে হুমায়রা এই ঘরটাকে কতটা যত্ন সহকারে আগলে রেখেছে। বেড সাইড টেবিলের উপর হামনা আর হুমায়রার একটা ছবির ফ্রেম হাতে নিল ইরফান। বোনের সাথে হামনা কত খুশিতেই না ছবি তুলেছে। দীর্ঘশ্বাস ফেলল ইরফান। হামনার সাথে জড়ানো প্রতিটা জিনিসই এখন স্মৃতি। হুমায়রা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ডাকল,

“এইযে মিস্টার, খাবেন চলুন।”

ইরফান ছবিটা আগের জায়গায় রেখে ঘুরে দাঁড়িয়ে কিছুটা অবাক হবার ভান করে বলল,

“এত তাড়াতাড়ি রান্না শেষ? বাবাহ! শ্যালিকা দেখছি পাক্কা রাঁধুনি হয়ে গেছে।”

হুমায়রা ইরফানের টিটকারি বুঝতে পেরে ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল,

“জি না। রান্না আমি করিনি। দুপুরে বোয়া করে দিয়ে গেছে। খাবার অনেক বেচেছিল। আমি তো শুধু এখন ওগুলো ফ্রিজ থেকে বের করে গরম করলাম।”

“এই যাহ! এতদিন পর শ্বশুড়বাড়িতে এলাম। এখন শুনছি শ্যালিকা আমাকে বাসি খাবার খাওয়াবে। ”

“এটাই আপনার শাস্তি জনাব। অনেক দিন পর এসেছেন এই গর্বে তো মাটিতে পা পড়ছে না। যেন বিশাল কোন পুণ্যের কাজ করে ফেলেছেন। আসুন এখন বাসি পঁচা খেয়েই আমাকে উদ্ধার করুন।”

ওরা রুমে থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে ইরফান বলল,

“বাবা কোথায়? ”

“বাসায় নেই। মেজ চাচার কাছে গেছে। রাতে মনে হয় ফিরবে না। বাবা তো আর জানত না আজ উনার গুণধর জামাই আসবেন। জানলে থেকে যেত।”

ইরফান খেতে বসে দেখল রান্নাবান্নার বিশাল আয়োজন। সে চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলল,

“এত আয়োজন! আজ দুপুরে এই বাড়িতে স্পেশাল কারো দাওয়াত ছিল নাকি?”

হুমায়রা লজ্জা পেল। মুহূর্তের জন্য ওর মুখের ভাব পরিবর্তন হয়ে গেলেও সাথে সাথেই সে নিজেকে সামলে নিল।

“ছিল।”

“কে সেই ভাগ্যবান ব্যক্তি?”

“এই বাড়ির হবু ছোট জামাই।”

“বাহ! তাহলে তো দুপুরে এলে ভাইরা ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়ে যেত।”

“এনগেজমেন্টের দিনই এলেন না! এখন আবার চাপা মারছেন। ওর সাথে দেখা করার ইচ্ছা থাকলে কবেই দেখা করতেন।”

হুমায়রা খাওয়াতে খাওয়াতেও ইরফানকে নানান কথা বলে খোঁচাচ্ছে। অনেক দিনের জমিয়ে রাখা রাগ যে হুমায়রা ইরফানের উপর এভাবে বের করছে তা বুঝতে বাকি রইল না ইরফানের। ইরফান এক ঢুকে গ্লাসের সবটুকু পানি শেষ করে বলল,

“খাবার দেখছি গলার নিচে নামতে দিবে না। বাচ্চা ছেলেটাকে খেতে বসিয়ে এভাবে টর্চার করলে আল্লাহ সহ্য করবেন না।”

“কে বাচ্চা ছেলে! বুইড়া দামড়া হয়ে নিজেকে বাচ্চা দাবি করতে লজ্জা করে না আপনার?”

হুমায়রার কথা শুনে আয়াম হাসতে লাগল। সাথে বলতে লাগল,

“পাপা বুইড়া দামড়া। খালামনি পাপাকে বুড়া বলেছে। পাপা বুড়ো মানুষের তো চুল সাদা থাকে। দাদুর, নানুর যেমন আছে। তোমার চুল কালো কেন পাপা। খালামনি পাপা বুড়ো হয়নি। দেখো আমার পাপার সব চুল কালো।”

আয়ামের কথা শুনে হুমায়রাও হাসতে লাগল। ইরফান জিজ্ঞেস করল,

“বাবার শরীর এখন কেমন আছে? এখনও বুকে ব্যথা হয়?”

“মাঝে মাঝে হয়। বাবার আর ভালো থাকা। আপনিই তো বাবাকে ভালো থাকতে দেন না। একটা মাত্র নাতি উনার। তাকে মাসে একবারও কাছে পায় না। তখন কান্নাকাটি করে।”

ইরফান কথা ঘোরানোর চেষ্টা করে বলল,

“তোমার হাজবেন্ড কী করে?”

“এখনও তো বিয়ে হয়নি। হাজবেন্ড বলছেন কেন?”

“হবে তো।”

“সেটা হলে পরেরটা পরে বলবেন। এখন হাজবেন্ডের আগে হবু লাগাবেন।”

“আচ্ছা। কী করেন উনি?”

“সে আপনার মত নামিদামি উকিল না। পরিচয় দেবার মত বিশেষ কিছু নেই। ছোট্ট একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে জব করে।”

“কোন কাজই ছোট না হুমায়রা। বৈধ ভাবে এক টাকা উপার্জন করাও সম্মানের। অবৈধ ভাবে অসৎ পথে সমাজের সবচে উঁচু স্থানে উঠে গেলেও সেটা গর্বের না। কাজের প্রতি শ্রদ্ধা থাকাটাই বড় কথা।”

“হুম বুঝলাম। উকিল মানুষের সাথে কথায় পেরে ওঠা যাবে না।”

“তোমাদের বিয়েটা কবে হবে? ”

“জানি না। এখনও বিয়ের ডেট ঠিক করা হয়নি। বিয়ের ব্যাপারে ও-ও কিছু বলেনি।”

“তোমাদের লাভ ম্যারেজ?”

“বলতে পারেন, হ্যাঁ আবার না। আমি তার প্রেমে পড়েছি। সে আমার প্রেমে পড়েছে কিনা জানি না।”

ইরফান কপাল কুঁচকে তাকালে হুমায়রা বলল,

“আমি তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি। সে রাজি হয়ে গেছে। আসলে কী জানেন দুলাভাই, মানুষটা বড্ড চাপা স্বভাবের। কোন কিছুই মুখ ফুটে বলে না। সব কথা মনে মনেই রেখে দেয়।”

আয়ামের খাওয়া হয়ে গেলে সে বলল,

“খালামনি আর খাব না।”

“আচ্ছা। তুমি আমার রুমে গিয়ে ফোনে গেমস খেল। আমার ড্রয়ারে আয়াম সোনার জন্য একটা জিনিস আছে। দেখো তো গিয়ে বাবা।”

আয়াম চলে গেলে ইরফানও খাওয়া শেষ করল।

“মানুষটাকে নিয়ে এত কথা বললে অথচ ওর নামটাই বললে না শ্যালিকা। যাকে আমার দুই নম্বর ঘরওয়ালি ভালোবেসেছে তার নামটা না জানলে নিজেকে অপরাধী লাগবে। ইশ! আমার তো এখন থেকেই ভাইরা ভাইয়ের উপর প্রচুর হিংসে হচ্ছে। আমার একটা মাত্র শালীকে চুরি করে নিয়ে গেল।”

“দুলাভাই, একটু বেশিই বলে ফেলছেন না! আপনার আফসোস দেখে শেষে আমি না জানি বিয়েটাই ভেঙে দিই। আর আপনার গলায় ঝুলে পড়ি।”

ইরফান জিভে কামড় দিল। হুমায়রা মৃদু হেসে বলল,

“ওর নাম অনন্ত। অনন্ত আহমেদ।”

ইরফান দশটার পর ওদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলো। আসার আগে আয়ামকে বারবার বলেছে, “আমাকে ছাড়া খালামনির কাছে থাকতে পারবে তো বাবা?” তার উত্তরে আয়ামের আগে হুময়ারা বলেছে, “খুব পারবে। আপনার ছেলে বড় হয়ে গেছে। আপনি শুধু শুধু চিন্তা করবেন না।”
তবুও ইরফানের মনের খচখচানি দূর হচ্ছে না।
.
.
অনন্ত মেহরীনকে নিয়ে রিকশায় করে এসে ওর ফ্ল্যাটের সামনে নামল। অনন্ত রিকশা ভাড়া মিটিয়ে দিল। মেহরীন এখন চুপ আছে। কিন্তু রিকশায় সে অনন্তকে অনেক কথাই জিজ্ঞেস করেছে। যেমন, “আজ সারাটা দিন কোথায় ছিলে?” অনন্ত ইদানিং মেহরীনের সামনে মিথ্যা বলতে পারে না। মেহরীনকে মিথ্যা বলতে গেলেই মুখে কথা বেজে যায়। নার্ভাস হয়ে পড়ে যেন সে। তবুও কোনরকমে অনন্ত এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে।
“কোথায় থাকব আবার? অফিসে ছিলাম।”
মেহরীন ফের প্রশ্ন করেছিল,
“আমরা কবে বিয়ে করব?”
এই প্রশ্নে কাশি উঠে গিয়েছিল ওর। কাশতে কাশতে বলেছিল,
“করব এক সময়। এত তাড়া কিসের তোর? বিয়ের জন্য দেখছি মরে যাচ্ছিস। এখন কি আমরা ভালো আছি না?”
“হুম। কিন্তু আমি তোমাকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই। প্রেমিক হিসেবে না।”
অনন্ত চটে গিয়ে কিছু বলতে নিয়েও থেমে গেছিল। তার পর থেকেই মেহরীন মুখ ভার করে রেখেছে। অনন্ত মেহরীনের চোখে চোখ রাখতে পারছে না। মেহরীন ফ্ল্যাটে যাওয়ার আগে অনন্ত সহজ গলায় বলল,

“সারাদিন উল্টাপাল্টা লাখখানেক কথা বললাম। অথচ কাজের কথাটাই বলা হলো না। হাসান সাহেব যে উকিলের সাথে দেখা করতে বলেছিল, তার কাছে গিয়েছিলি?”

“না।”

“কেন? ”

“এসবের কী দরকার বলো? আমি তো ভালোই আছি। ভাইয়া আমাকে বাবার সম্পত্তি দিবে না, এতে কোর্ট কাচারি করে লাভ আছে? ”

“লাভ নেই বলছিস তুই! তুই জানিস, তোর বাবার সম্পত্তির ৩০ ভাগ পেলেও বিশ লাখ টাকার উপরে পাবি। বিশ লাখ টাকা, এই জীবনে কামাই করতে পারবি তুই?”

“না পারি। ভাইয়া ওর বাবার টাকাপয়সা আমাকে দিতে না চাইলে আমি জোর করে আনব কেন?”

“ওর বাবা তোর বাবা না?”

“হ্যাঁ বাবা। কিন্তু জন্মদাতা বাবা না। আমি উনার পালিত মেয়ে। বাবা বেঁচে থাকতে কখনও আমাকে পালিত মেয়ের মত মনে করেনি। আমিও উনাকে নিজের বাবাই ভেবে এসেছি। উনার অবর্তমানে, উনারই ছেলের সাথে সম্পত্তির ভাগের জন্য কেস মামলা করলে বাবা শান্তি পাবেন না। আর আমি তো ওই সম্পত্তির কিছু পাবো না। বাবা আমাকে কাগজে কলমে লিখে দত্তক নেননি। কোর্টে গেলে আমিই ভুল প্রমানিত হব। মা বেঁচে থাকলেও অন্য কথা ছিল। মা আমাকে কখনও ঠকতে দিত না।”
.
.
.
আয়াম ঘুমিয়ে পড়েছে। হুমায়রা ওর মাথার কাছে বালিশে হেলান দিয়ে বসে উপন্যাসের বই পড়ছে। বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে একবার করে আয়ামকে দেখে নিচ্ছে সে। কত দিন পর ছেলেটাকে নিজের কাছে পেয়েছে। চোখ থেকে চশমা খুলে রেখে বইটাও পাশের টেবিলে রাখল। ঘুমন্ত আয়ামের কপালে চুমু দিয়ে ফোনটা হাতে নিল। অনন্তর নম্বর বের করল সে। লোকটা যে দুপুরে গিয়েছে তারপরে একটা কল পর্যন্ত দেয়নি! কেমন আজব লোককে বিয়ে করতে যাচ্ছে ও! পরক্ষণে হুমায়রা ভাবল, লোকটা যেমনই হোক,সে ওকেই ভালোবাসে। একটু গম্ভীর চাপা স্বভাবের। তাতে কি? হুমায়রা ঠিক মানিয়ে নিতে পারবে।
সে অনন্তকে কল করল। কয়েকবার রিং হবার পর অনন্ত কল তুলল। তার কথাগুলো জড়ানো। সে মনে হয় এক্ষুনি ঘুম থেকে উঠেছে। হুমায়রা বলল,

“আপনি কি ঘুমোচ্ছিলেন?”

অনন্ত মেজাজ ঠিক রাখার চেষ্টা করে, ঘুম জড়ানো গলায় বলল,

“না, মাত্রই চোখটা একটু লেগে এসেছিল। এত রাতে কল করলে! কিছু হয়েছে? বাড়ির সবাই ঠিক আছে।”

“আরে না, না। আপনি ব্যস্ত হচ্ছেন কেন? সব ঠিকই আছে। আমি এমনি কল করেছি। আপনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, আমি বুঝতে পারিনি। ঘুম ভাঙানোর জন্য দুঃখিত।”

“দুঃখিত হতে হবে না। বলো কী বলবে?”

“তেমন কিছু বলার ছিল না। দুপুরে গেলেন কল করলেন না। তাই… আচ্ছা আমি তাহলে এখন রাখি। আপনি ঘুমান। শুভ রাত্রি।”

চলবে___

প্রিয় পাঠক, এরকম নাইস,নেক্সট করলে আগামী তিনদিন গল্প আসবে না। কষ্ট করে গল্প লিখি একটু ভালো ভালো কমেন্ট তো করতে পারেন। 🌚

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here