#মেঘের_অন্তরালে
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
পর্বঃ ০৭
ডাইনিং টেবিলে চুপচাপ নিজেদের ব্রেকফাস্ট সেড়ে নিচ্ছে রেজওয়ান পরিবার। সবাই খাবার খাচ্ছে মনিরা আর নিহানের মা সার্ভ করছে। ইসরা অনেকটা সাহস নিয়ে নিজের রুমের বাইরে পা রাখলো। আজ সাহস না দেখালে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করবে সে।
ইসরাকে দেখে নিহানের মুখের কাছে নেয়া চামচ থেমে গেলো। ইসরাকে প্রথম সেই খেয়াল করেছে আর তারপর নিহানের মায়ের নজরে এলো।
একটু অবাক হয়ে নিহানের মা বললো, তুমি এখানে ?
নিহানের মায়ের আওয়াজে সবাই খাওয়া বন্ধ করে তার দৃষ্টি অনুসরণ করে ইসরাকে দেখতে পেলো। ইসরাকে দেখে বরাবরের মতোই সবার মাঝে বিরক্তি লক্ষ্য করা গেলো। ইসরা কিছু না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো।
নিহান বিরক্ত হয়ে বললো, সকাল সকাল তোমার ড্রামা দেখার জন্য এখানে কেউ বসে নেই। তোমার কোনো কাজ না থাকলেও, এখানে উপস্থিত প্রত্যেকটা মানুষের কাজ আছে। তাই কিছু প্রয়োজন হলে দ্রুত বলো আর নাহলে আমাদের সময় নষ্ট করো না, যাও এখান থেকে।
নিহানের বাবা গম্ভীর গলায় বললো, নিহান তোমার মা কথা বলছে তো, তুমি এর মধ্যে কথা কেনো বলছো ?
নিহান চুপ করে গেলে নিহানের মা ইসরাকে আবার একই প্রশ্ন করলো। ইসরা নিচের দিকে তাকিয়ে বললো, আমার বাইরে কিছু কাজ আছে, তাই বাইরে যেতে হবে।
আমিরা উপহাস করে বললো, তোমার আবার বাইরে কী কাজ ?
নিহানের বাবা আমিরাকে চুপ করতে বলে নিজে বললো, কী কাজ আছে বাইরে ?
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছি, এডমিশনের জন্য কিছু কাজ আছে।
পড়াশোনার ব্যাপারে নিহানের বাবার মনে সবসময় একটা আলাদা জায়গা আছে। আমিরা ভালো স্টুডেন্ট, তার জন্য তিনি আমিরাকে তার পছন্দের জিনিস দিতে কার্পন্য করেনি কখনো। নিহানও ভালো রেজাল্ট করার পর কিছু চাইলে তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করতেন দেওয়ার। ইসরার রেজাল্ট শুনে বেশ ভালো লাগলো তার।
গম্ভীর গলায় বললো, কার সাথে যাবে তুমি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ আমাদের বাসা থেকে বেশ অনেকটাই দূরে।
ইসরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়ে বললো, আমি একাই চলে যেতে পারবো, সমস্যা হবে না।
আকরাম সাহেব একটু চিন্তা করে বললেন, নিহান তোমার অফিস থেকে তো তোমাকে গাড়ি দেওয়া হয়েছে ?
নিহান ভ্রু কুঁচকে বললো, হ্যাঁ কিন্তু কেনো ?
বাসস্টপে নামিয়ে দিয়ে যেও ইসরাকে। তারপর ও একা চলে যাবে আর তুমি অফিস চলে যেও।
ইসরা একটু অবাক হলো আকরাম রেজওয়ানের ব্যবহারে। এই প্রথম ইসরাকে এই মেয়ে না বলে নাম ধরে বললো।
ইসরার ভাবনার মাঝেই আকরাম খাওয়া শেষ করে বললো, আমার অফিসে আজ একটু কাজ আছে আগে যেতে হবে, আমি আসছি।
আমিরার বাবা আমির রেজওয়ান বলে উঠলো, দাঁড়াও ভাইয়া আমারও যেতে হবে। আজ আমার গাড়ি আসবে না, তুমি একটু ড্রপ করে দিও।
ঠিক আছে তাড়াতাড়ি চল।
আকরাম আর আমির বের হয়ে গেলো। আমিরা আর তার মায়ের খাওয়া শেষ হয়ে গেলে তারও নিজেদের রুমের দিকে চলে গেলো, ইসরার দিকে একবার বাঁকা চোখে তাকিয়ে। নিহান রাগী চোখে নিজের প্লেটের দিকে তাকিয়ে আছে, রাগে ইচ্ছে করছে ইসরাকে মাথায় তুলে আছাড় দিতে। এই মেয়েকে তার পাশের সীটে বসিয়ে নিয়ে যেতে হবে ভাবতেই রাগ লাগছে।
নিহানের মা নিহানের কাঁধে হাত রেখে বললো, কী হলো খাওয়া শেষ কর।
নিহান উঠে দাঁড়িয়ে বললো, রেডি হয়ে থাকতে বলো। আমি কারো জন্য একদমই ওয়েট করতে পারবো না।
নিহান ধুপধাপ পা ফেলে নিজের রুমের দিকে এগোতে লাগলো।
ইসরা সেদিকে তাকিয়ে মলিন হেঁসে নিজের রুমের দিকে এগোলে নিহানের মা বললো, কী বলেছে শুনেছো তো ?
জী শুনেছি, আমার কানে কোনো সমস্যা নেই।
নিহানের মা ভ্রু কুঁচকে তাকালে ইসরা তা উপেক্ষা করে নিজের রুমে চলে গেলো। তার প্রয়োজন ছিলো এই বাসা থেকে বাইরে যাওয়া। সেই অনুমতি পেয়েছে আর কিছুর প্রয়োজন নেই তার। নিজের সময় মতো রেডি হয়ে বাসার বাইরে বের হয়ে এলো। মনিরা দেখলেও কিছু বলেনি নিজের কাজ করেছে চুপচাপ। ইসরার জন্য বকা খাওয়ার পর সে ইসরার থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে। বাড়ির সামনে রাস্তায় কিছুটা সময় দাঁড়িয়ে থাকতেই রিকশা পেয়ে গেলো আর তাতে উঠে পড়লো।
নিহান রেডি হয়ে নিচে এসে মনিরাকে বললো, আন্টি মেয়েটাকে আসতে বলো গিয়ে।
ঐ মাইয়া তো কখন বাইর হইয়া গেছে।
নিহান অবাক হয়ে বললো, বের হয়ে গেছে মানে ?
হ, বোরখা পরে একেবারে হাত-পা ঢেকে বের হয়ে গেছে আগেই।
রাগে নিহানের চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো। যেখানে সে নিয়ে যেতে রাজি হয়েছে সেখানে এই মেয়ে তাকে উপেক্ষা করে চলে গেছে। নিহান ভেবে পাচ্ছে না মেয়েটার সাহস হলো কী করে, তাকে এভাবে অপমান করার ? রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নিহান অফিসের জন্য বের হয়ে গেলো। গাড়িতে বসতেই ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট দিলো আর সে ইসরাকে এর জন্য একটা শিক্ষা দেওয়ার চিন্তা করতে লাগলো।
১১.
কলিংবেলের শব্দে হুর বিরক্তি নিয়ে একবার মেইন ডোরের দিকে তাকালো। গলা ফাটিয়ে মাকে ডেকে কোনো সাড়া পেলো না। হুর জানে তার মা ইচ্ছে করে সাড়া দিচ্ছে না। কারণ তিনি হুরের উপর রেগে আছে মেডিকেলে চান্স না পাওয়ায়। হুর আশেপাশে তাকিয়ে কাজের মহিলাকে না দেখে নিজেই উঠে এলো অলস ভঙ্গিতে।
দরজা খোলে সামনের মানুষকে দেখে চিৎকার করে বললো, ইশু,,,,,
হুরের চিৎকার শুনে ইসরা কানে হাত দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলো। কিছুসময় পর পিটপিট করে তাকালো হুরের চিৎকার বন্ধ হয়েছে কিনা দেখার জন্য। ইসরার কিছু বুঝে উঠার আগেই হুর জাপ্টে জড়িয়ে ধরলো ইসরাকে।
কেমন আছিস বোন ?
আলহামদুলিল্লাহ, তুই কেমন আছিস ?
এতোক্ষণ ভালো ছিলাম না, এখন তোকে দেখে একদম ভালো হয়ে গিয়েছি, চল ভেতরে চল।
ইসরা ভেতরে যেতে যেতে বললো, তুই শুধু আমার চোখ দেখে সবসময় কী করে চিনে ফেলিস ?
হুর মুখ ভর্তি হাসি দিয়ে বললো, তোর মতো মায়াবী চোখ আমি এখনো কারো দেখিনি। তোর চোখদুটো পদ্ম পুকুরের স্থির জলের মতো, শান্ত অথচ গভীর।
ইসরা হুরের মাথায় থাপ্পড় মেরে বললো, সাহিত্যিক হতে হবে না, গিয়ে আমার জিনিসগুলো নিয়ে আয়।
হুর সিরিয়াস হয়ে বললো, তুই নিজে বাসায় গিয়ে নিয়ে আসতে পারতি তাহলে আমাকে দিয়ে কেনো আনালি ? ফুপিও তোকে দেখতে পেতো একটু। মানুষটা কাঁদিয়ে ভাসায় তোর জন্য। তুই কেনো গেলি না ?
আছে কিছু কারণ তবে এখনো সময় আসেনি তোর জানার। এখন গিয়ে জিনিসগুলো নিয়ে আয়।
হুর নিজের রুমের দিকে চলে গেলো। ইসরা হুরকে দিয়ে নিজের বাসা থেকে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র আনিয়েছে। আপাতত নিজের বাসায় যাওয়ার কোনো ইচ্ছে ইসরার নেই। হুরের কাছে সেই কাগজপত্র নিতেই এসেছে ইসরা। বেশ অনেকটা সময় সোফায় বসে রইলো।
ইসরার মামি কিচেন থেকে উঁকি দিয়ে ইসরাকে দেখে ড্রয়িংরুমে এসে বললো, কেমন আছো ইসরা ?
ইসরা সোফায় বসে ছিলো মামিকে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে বললো, আলহামদুলিল্লাহ,,, আপনি কেমন আছেন ?
আল্লাহর রহমতে ভালোই থাকি সবসময়। তা ওবাড়িতে ঠিক আছো তো তুমি ?
পরের কথাটা ইসরার মামি একটু অন্যভাবে বললো। সেটা ইসরা বুঝতে পারলেও হাসিমুখে বললো, আমি ঠিক আছি।
এতো কাহিনির পর কতো ঠিক আছো বুঝতেই পারছি। তা ব্রেকফাস্ট করে এসেছো, নাহলে হুরের সাথেই করো ?
যদিও ইসরা ব্রেকফাস্ট করেনি তবু বললো, আমি ব্রেকফাস্ট করেই এসেছি।
চল আমার হয়ে গেছে।
হুরের কথায় দু’জনেই হুরের দিকে তাকালো। হুর একদম রেডি হয়ে তবেই এসেছে।
হুরের মা ভ্রু কুঁচকে বললো, তুই কোথায় যাচ্ছিস ?
কোথায় আবার ইশুর সাথে যাচ্ছি।
ইসরার সাথে গিয়ে তুই কী করবি ? তুই তো আর চান্স পাসনি ?
এতোদিন পর ইশুর সাথে বাইরে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করবো ভেবেছো ?
ইসরা কিছু বলার আগেই হুর ইসরার হাত ধরে টেনে বাইরে যেতে লাগলো।
হুরের মা চেঁচিয়ে বললো, তোর জন্য যে নুডলস রান্না করতে বললি এখন সেটা কে খাবে, তোর বাপ ?
ঠিক আছে, বক্সে করে বাবার কাছে পাঠিয়ে দাও।
আর কিছু শোনার আগেই বের হয়ে এলো দু’জনে। একটা রিকশা ডেকে উঠে পড়লো।
ইসরা এবার মুখ খুললো, তুই না আসলেও হতো। মামি রাগ করলো মনে হয়।
ধূর তুই ছাড় তো মায়ের কথা। মা সবসময়ই এমন করে সেটা তো তুই জানিসই।
হুম, তো তুই কী করবি ঠিক করলি ?
ভাবছি ফ্যাশন ডিজাইনিং করবো। তুই তো জানিস এটার প্রতি আমার আগে থেকেই ইন্টারেস্ট একটু বেশি। বাবার সাথে কথা বলেছি বাবাও রাজি হয়ে গেছে। মা সেটা নিয়েই আরো রেগে আছে।
ওহ্
এখন চল, আগে ব্রেকফাস্ট করে নেই। আমি জানি তুই কিছু খাসনি, খেয়ে তারপর কাজ করা যাবে।
ইসরা মাঝে মাঝে অবাক হয় হুরকে দেখে। মেয়েটা তাকে যতটা বুঝে ততটা হয়তো আর কেউ বুঝে না। এতোটা বুঝার পরও এতবড় একটা ভুল কী করে করলো ইসরা জানে না। যে দুজন মানুষ আজ ইসরার এই জীবনের জন্য দায়ী, তারা দুজনেই ইসরাকে সবচেয়ে বেশি বুঝতো। ইসরা হুরকে মাফ করে দিয়েছে কারণ মেয়েটা প্রয়োজনের চেয়েও অনেকটা বেশি সহজসরল। তাকে যে কেউ নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারবে একটু ইমোশনাল কথা বলে। কিন্তু ইসরা নিজের বাবাকে মাফ করতে পারছে না কারণ সে তো হুরের মতো নয়। সে তো একজন বুঝদার মানুষ।
কী ভাবছিস বল তো ? কখন থেকে নামতে বলছি শুনতে পাচ্ছিস না ?
হুরের চিৎকারে ইসরা কিছুটা হকচকিয়ে গেলো। পরে ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সরি বলে রিকশা থেকে নেমে পড়লো। দুজনেই আগে খাওয়াদাওয়া করে তারপর কলেজের দিকে গেলো। কাজ শেষ করতে দুটোর বেশি বেজে গেলো। তবু কমপ্লিট হয়নি আবার আরেকদিন আসতে হবে। ইসরা যেমন ক্ষুধা সহ্য করতে পারে, হুর আবার তার বিপরীত। ক্ষুধা পেলে তার হুঁশ উড়ে যায়। কলেজ থেকে বের হয়ে প্রায় পাগল হয়ে গেছে খাওয়ার জন্য। ইসরা বাসায় গিয়ে খাবি বলে অনেকটা পথ চলে এসেছে কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
মাঝরাস্তায় বাস থেকে নেমে গিয়ে বললো, না খাওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে এক পাও যেতে পারছি না।
ইসরা আশেপাশে তাকিয়ে বললো, চল রাক্ষুসী সামনের ঐ রেস্টুরেন্টে। যত পারিস খেয়ে নে তারপর বাসায় যাবো।
হুর খুশী হয়ে বললো, তাড়াতাড়ি চল।
হুর আগে আগে গেলে ইসরা পেছন থেকে বললো, পাগলী একটা।
চেয়ারে বসে ইঁদুরের বাচ্চার মতো ছটফট করছে হুর কখন খাবার আসবে। ইসরা গালে হাত দিয়ে হুরকে দেখছে।
তুই এতো খাস মোটা হসনা কেনো বল তো ?
এতো কোথায় খাই ? শুধু খাওয়ার টাইম হলে সহ্য করতে পারি না। খাওয়ার সময় তো পরিমাণ মতোই খাই।
তা অবশ্য ভুল বলিসনি।
খাবার চলে এলে হুর কোনোদিকে না তাকিয়ে খাওয়া শুরু করলো। ইসরা মুচকি হেঁসে তাকিয়ে আছে হুরের দিকে। হুরের প্রায় পেট ভড়ে এলে পানি খাওয়ার সময় খেয়াল করলো ইসরা এখনো তার দিকে তাকিয়ে আছে।
এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেনো ? আমার পেট খারাপ করবে তো, তুই নিজেরটা খা না বোন।
ইসরা হুরের মাথায় গাট্টি মেরে এক চামচ খাবার মুখে দিতে গিয়ে থেমে গেলো সামনে বসা মানুষটাকে দেখে। তার ঠিক সামনের টেবিলে নিহান বসে আছে আর নিহানের সামনে এক সুন্দরী মেয়ে। হুর ইসরার দৃষ্টি অনুসরণ করে নিহানকে দেখে কিছু বলবে তার আগেই ইসরা ওকে চুপ করিয়ে দিলো।
মেয়েটা টেবিলের উপর নিহানের হাত আঁকড়ে ধরে বললো, দেখো নিহান আমি তোমাকে সেই কলেজ লাইফ থেকে ভালোবাসি। কিন্তু কখনো বলার সুযোগটা হয়ে উঠেনি। হঠাৎ তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। বিয়ের পর যখন তোমার সাথে হওয়া প্রতারণার কথা আর তোমার ডিভোর্সের কথা জানতে পারলাম তখন মনে হয়েছে এটা হয়তো আমার জন্য একটা সুযোগ। এখনও না বলতে পারলে হয়তো সারাজীবন আফসোস করতে হবে।
হুর আর ইসরা স্তব্ধ হয়ে বসে আছে মেয়েটার কথা শুনে। নিহানের আশেপাশে খেয়াল নেই তাই ওদের খেয়াল করেনি এখনো। ইসরার হাতের ফোনটা কেঁপে উঠলে ইসরার হুঁশ ফিরে, স্কিনে তাকিয়ে দেখে মায়ের নাম্বার।
ফোনটা নিয়ে উঠে একটু দূরে গিয়ে রিসিভ করতেই মায়ের আওয়াজ শুনতে পেলো, ইশু তোর বাবা হার্ট অ্যাটাক করেছে। অফিস থেকে সিটি হসপিটালে নিয়েছে, আমি সেখানেই যাচ্ছি, তুই পারলে এখনই আয় মা।
ইসরা পাথর হয়ে গেছে মায়ের কান্না জড়িত গলায় বলা কথাগুলো শুনে। নিহানের টেবিলের দিকে তাকিয়ে নিহানের হাতে রাখা মেয়েটার হাত আরেকবার দেখে নিলো। হাতের উল্টো পিঠে চোখ মুছে দ্রুত বের হয়ে গেলো রেস্টুরেন্ট থেকে। ইসরাকে বের হতে দেখে হুর দ্রুত বিল মিটিয়ে ইসরার পেছনে ছুটলো।
চলবে,,,,