#মেঘফুল_১৪_অন্তিম
#লেখনীতে_উম্মে_সুমাইয়া_আক্তার।
____________________________________

স্নেহা আর জান্নাতের নেওয়া উদ্যোগে আজ তারা সফল। তারা ভালোই ইনকাম করছে। অতটা না হলেও অনেকটাই এগিয়েছে। এরমধ্যেই স্নেহার জন্য একটা বিয়ের সম্বন্ধ আসলো। স্নেহার বাবা কিছুতেই পাত্র হাতছাড়া করতে চান না। এই অবস্থায় স্নেহা দু’টানার মধ্যে পড়লো। সে মন খারাপ করে জান্নাতকে বললো,’আমি না বিয়ে করতে ভীষণ ভয় পাচ্ছি পাখি! তোর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মনে পড়লে আমার লোমকূপ কেঁপে উঠে!’

জান্নাত মলিন হেঁসে বললো,’অমন মনমানসিকতা পাল্টা। হাতের পাঁচ আংগুল যেমন সমান নয় তেমনি দুনিয়ার সব মানুষও এক নয়। ভালো মন্দ নিয়েই দুনিয়া।’

জান্নাতের কথা শুনে স্নেহা সজল চোখে তাকিয়ে বললো,’ তা ঠিকই। কিন্তু আমি চলে গেলে তোর কি হবে?’

জান্নাত মৃদু হেঁসে বললো,’ কি আর হবে? আল্লাহ তো একজন আছেনই আমার সাথে। আমি আর ভয় করি না।
কারণ আমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা বলেছেন,
‘অবশ্যই যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট বিশুদ্ধচিত্তে আত্মসমর্পণ করে,তার প্রতিদান তার প্রতিপালকের কাছে রয়েছে এবং তাদের কোনো ভয় নেই ও তারা দুঃখিত হবে না।[১] তাছাড়া সবচাইতে বড় কথা হলো, আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন তাকে বেশি পরীক্ষা করেন।
তিনি বলেন,’আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করবো কিছু ভয়,ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।[২] কাজেই এত চিন্তা করে কি লাভ? তারপর ললাটে আংগুল রেখে বললো,’এই কপাল নামক নসিবে যা আছে তাই হবে। এজন্য ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি এতটা বিচলিত কিংবা চিন্তিত নই।’

স্নেহা মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় উচ্ছ্বসিত হয়ে বললো,’ দারুণ একটা কথা বলেছিস পাখি! আসলেই আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে একটু বেশিই চিন্তা করি। আমরা ভুলে যাই যে,আমাদের সাথে আল্লাহ আছেন। আর যার সাথে আল্লাহ আছেন,তার আর কি প্রয়োজন? সেই তো নেক আমলের দিক দিয়ে প্রকৃত বিত্তবান!’

‘ হু,আলহামদুলিল্লাহ।’

দু’জনেই নীরব হয়ে রইলো। এর মধ্যেই আসরের আজান হলো। তারা অজু করে নামাজ পড়ে নিলো। নামাজ শেষ করে উঠতেই সাদিয়া এসে বললেন,’ স্নেহা তোকে পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে মাগরিবের পর। বোরখা পরে তৈরি থাকিস।’

স্নেহা মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললো। জান্নাত সজল চোখে তাকিয়ে বললো,’ চাঁচিমা তাহলে তো নাশতা তৈরি করতে হবে। আপনি একা পারবেন না। চলুন আমি নাশতা তৈরি করে দিচ্ছি।’

সাদিয়া মিষ্টি হেঁসে বললেন,’ হ্যাঁ এসো।’

পাত্রপক্ষ এসে স্নেহাকে পছন্দ করে ফেললো। বিয়ের দিন তারিখও ঠিক করা হলো। পাত্রপক্ষ যখন চলে যাচ্ছিলো তখন জান্নাত স্নেহার বেলকনিতে ছিলো। না চাইতেও সে তানভী এবং তার সাথে দুইজন মহিলাকে স্নেহাদের গেট দিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখলো। তানভীকে দেখে জান্নাতের মনে খটকা লাগলো। তাকে সে তার বিয়ের দিন দেখেছিলো। লোকটি অনেক ফূর্তি করেছিলো। এছাড়াও মেঘালয়ের বাড়িতেও একদিন দেখেছিলো। কিন্তু এতটা পরিবর্তন দেখে সে অবাক না হয়ে পারলো না। কারণ তানভী ভীষণ হ্যান্ডসাম একটা ছেলে। তার ভাব ভঙ্গি আগে যেরকম ছিলো এখন তার উল্টো। আগে সে শার্ট-প্যান্ট পরতো আর এখন পাজামা-পাঞ্জাবি! মুখে সুন্নাতি দাঁড়ি।

জান্নাত বিড়বিড় করে বললো,’ আচ্ছা আমি কি এই বিয়েটা আটকাবো? ও তো মেঘালয়ের বন্ধু! মেঘালয়ের মতো যদি….নাহ,যেহেতু এতটা পরিবর্তন আসছে সেহেতু সে খারাপ হতে পারে না। হয়তো আল্লাহ তাকে হেদায়েত দিয়েছেন। জানিনা আমার মেঘালয়কে আল্লাহ কেমন রেখেছেন!’

স্নেহার বিয়েটা অবশেষে হয়ে গেলো। দুইদিন পর যখন সে বাবার বাসায় আসলো তখন জান্নাত তাকে সব কথা খুলে বললো। স্নেহা পুলকিত হয়ে বললো,’ তাহলে উনাকে দিয়ে মেঘালয় ভাইয়ার খোঁজ নিবো।’

‘খোঁজ নিয়েই কি হবে? সে কি আমাকে গ্রহণ করবে? জানিস, আমার ফোন নাম্বার তার কাছে থাকা সত্যেও সে কোনোদিন ফোন করেনি।’

‘ আচ্ছা তুই মন খারাপ করিস না। সময় হলে দেখা যাবে। আমি কি কখনো ভেবেছিলাম যে, এমন একজন জীবনসঙ্গী পাবো? জানিস,লোকটা অনেক ভালো। এমন তাকওয়াবান জীবনসঙ্গীই আমি মনেপ্রাণে চাইতাম। আল্লাহ আমাকে মিলিয়েও দিয়েছেন। আর আমি এটাও নিশ্চিত যে,মেঘালয় ভাইয়াও হয়তো দ্বীনে ফিরেছেন!’

‘দ্বীনে ফিরেছেন’, কথাটি শুনে জান্নাতের মনটা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলো। সে সজল চোখে তাকিয়ে বললো,’ তাই যেন হয়। দোয়া করিস।’


সকাল হতে ঝুম বৃষ্টি। এ বৃষ্টি থামার কোনো নামগন্ধও নেই। আজ আর জান্নাত তার কাজে যায়নি। স্নেহা ফোন করেছিলো। সে নাকি আজকে এখানে আসবে। কতদিন হলো বান্ধবীর সাথে তার দেখা হয় না। স্নেহাকে সে অনেক মিস করছে। এমন বান্ধবী খুঁজে পাওয়া বিরল। জান্নাত দেয়ালে হেলান দিয়ে জানালার সম্মুখে আধশোয়া হয়ে বসলো। জানালা গলিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলো। এক পশলা বৃষ্টি এসে তাকে ছুঁয়ে দিলো। বৃষ্টির ঝুম ঝুম শব্দে তার মনটা বারংবার নেচে ওঠছে। সে বিড়বিড় করে বললো,’ইশ আজ যদি উনি থাকতেন? তাহলে বৃষ্টিতে ভিজতাম।’ সে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কাঁথা গায়ে টেনে নিলো। আধশোয়া অবস্থায় দেয়ালে ঠেস দিয়েই ঘুমিয়ে পড়লো। স্বপ্নে দেখলো মেঘালয় তাকে নিতে আসছে। এদিকে সত্যি সত্যি মেঘালয় বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে গেস্ট রুমে ঢুকলো। রুমে ঢুকেই দরজা লক করে দিলো। তারপর ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো। চুলের পানি তোয়ালে মুছে জান্নাতের নাকের উপর ছুঁড়ে মারলো। মেঘালয়ের শরীরে একটা আলাদা স্মেল আছে। এই স্মেলটা জান্নাতের নাকে এসে যখন ঠেকলো সে তোয়ালিটাকে হাত দিয়ে নাকে চেপে ধরলো। চোখ বন্ধ করা অবস্থাতেই চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়লো। ওষ্ঠদ্বয় মৃদু কাঁপছে। সে বিড়বিড় করে কি যেন বলছে। মেঘালয় তা দেখে ফিচেল হাসলো। তারপর বিছানার পাশে মেঝেতে বসলো। জান্নাতের মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। কারো হাতের স্পর্শ পেয়ে জান্নাত পিটপিট করে চোখ খুললো। ভেবেছিলো স্নেহা বোধহয় এসে গেছে। কিন্তু এই মূহুর্তে সে তার এত কাছাকাছি মেঘালয়কে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো। চকমকানো ভাবটা সে প্রকাশ করলো না। মনে মনেই অনুভব করলো। মেঘালয়ের চোখে চোখ রেখে বললো,’আপনি সত্যিই এসেছেন? নাকি এটা আমার কল্পনা?’

মেঘালয় মুচকি হেঁসে বললো,’ আমি সত্যিই এসেছি। বিশ্বাস হচ্ছে না?’

জান্নাত বাচ্চাদের মতো মুখ বানিয়ে বললো,’না। আমার কপালে একটা চুমু এঁকে দিবেন?’

জান্নাতের এমন আবদার শুনে মেঘালয় রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বসলো। সে চোখ ছোট ছোট করে বললো,’ সত্যিই তুমি নিজ থেকে এ আবদার করছো? নাকি এখনও ঘুমের ঘোরে আছো?’

জান্নাত কিছু না বলে মেঘালয়ের পাঞ্জাবির কলারে ধরে কাছে টেনে এনে বললো,’ কি বলেছি আপনাকে? দিবেন? আমাকে ভালোবাসতে কি সমস্যা?’ তারপর আরও শক্ত করে মেঘালয়কে আরও কাছে টেনে এনে বললো,’ বলুন আমাকে ভালোবাসা দিবেন কি,না?ভালোবাসা না দিলে আজ আমি আপনাকে খুন করবো!’

মেঘালয় কিছুটা ভয় পাওয়ার ভঙ্গি করে বললো,’ সত্যিই খুন করে দিবা?’

মেঘালয়ের কথা শুনে জান্নাত রাগান্বিত হলো। চোখ লাল করে তার দিকে তাকালো। যেন চোখ দিয়েই তাকে ভস্ম করে দিবে।

মেঘালয় ফিচেল হেঁসে তার ওষ্ঠদ্বয় ছুঁয়ে দিলো জান্নাতের ললাটে। জান্নাত উঠে বসলো। এবার যেন তার বিশ্বাস হলো যে,মেঘালয় সত্যি সত্যিই তাকে নিতে এসেছে। সে বাচ্চাদের মতো ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললো। মেঘালয়কে ঝাঁপটে ধরলো। তার বক্ষপিঞ্জরে মাথা রেখে কেঁদে যাচ্ছে। মেঘালয় মাথায় পরম আবেশে হাত বুলিয়ে দিলো। সেও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,’ ভালো তোমাকে বাসি এবং বাসবোও। কিন্তু জানি না আমি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য কি, না? তোমার সাথে যে অন্যায় করেছি তার জন্য আমি রীতিমতো লজ্জিত এবং অনুতপ্ত। আমাকে ক্ষমা করে দাও জান্নাত?’

জান্নাত মেঘালয়ের মুখে হাত দিয়ে বললো,’ এভাবে বলবেন না প্লিজ। আপনার উপর আমার কোনো রাগ নেই। ক্ষমা তো আমার চাওয়া উচিৎ। কারণ আপনাকে সরাসরি কিছু না বলে একাই বেড়িয়ে পড়েছিলাম।’

মেঘালয় উদ্বিগ্ন হয়ে বললো,’ না,তুমি ঠিক কাজটাই করেছো। তাই আজ আমার এতটা পরিবর্তন। তোমার শূন্যতা আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি।’

জান্নাত এ কথা শুনে গাল ফুলিয়ে বললো,’ তাহলে এতদিন আমাকে নিতে আসেন নি কেন? একটা ফোন ও তো দিতে পারতেন?’

তোমার সাথে যোগাযোগ করিনি কারণ আমি চাইছিলাম নিজেকে পরিবর্তন করে,দ্বীনের পথে ফিরে এসে নিজের লাইফস্টাইল রাসূলের সুন্নাহ দ্বারা সাজিয়ে তারপর তোমার সামনে আসি। তুমি যেমন জীবনসঙ্গী আশা করতে!’

‘ আলহামদুলিল্লাহ। আপনাকে একটা কথা বলতে চাই?’

‘ বলো?’

‘পরিবারে একসাথে বসবাস করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে রাগ-অভিমান হবেই। আপনাকে যদি আমার ব্যাপারে কেউ আপনার কান ভারী করতে চায়,কিংবা আমার দোষ দেখিয়ে দেয়,তাহলে আপনি আগে সেটা আমাকে জিজ্ঞেস করবেন। কথাটা সত্য কি না? আমার সাথে বোঝাপড়া করবেন। তা না করে অন্যের বলা,শুনা কথা বিশ্বাস করে আমাকে ভুল বুঝবেন না প্লিজ!’

মেঘালয় পুনরায় অনুতপ্ত হয়ে বললো,’ আমি আমার সব ভুল বুঝতে পেরেছি জান্নাত। সাথে বাবা-মাও। আমার বাবা অনেক অসুস্থ। তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকায় এসেছিলাম। সেই থেকে এখানেই থাকছি। তুমি আমাকে বাবা-মাকে ক্ষমা করে দাও প্লিজ?’

‘ বললাম না,আপনাদের উপর আমার কোনো রাগ নেই। কিন্তু আপনি কি করে জানলেন আমি এ বাসাতে আছি?’

দ্বীনে ফেরার পর ভেবেছিলাম তোমার বাড়িতে যাবো। এবং সেটা আজকেই যেতাম। তার আগেই তানভী ফোন করে তোমার ব্যাপারে আমাকে সব বললো। তুমি নাকি তার ওয়াইফের বেস্ট ফ্রেন্ড হও! আমরা দু’জনেই অবাক হয়েছি। যাইহোক তার কথা শুনে দেরি বা করে এই বৃষ্টির মধ্যেই তোমাকে নিতে আসলাম। আমি আসার আগে ওরা দু’জন এসেছে। স্নেহা আপু তোমার সাথে দেখা করেনি কারণ আমাকে দিয়ে তোমাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে!’

জান্নাত অতি আনন্দে আবারও কেঁদে ফেললো। আকাশে থাকা মেঘগুলো সরে গিয়ে সূর্য উঁকি দিচ্ছে। এক পশলা বৃষ্টির পর প্রকৃতি যেমন সতেজতা ফিরে পেয়েছে তেমনি জান্নাতও তার সবকিছু ফিরে পেয়েছে।

মেঘালয় পরদিন জান্নাতকে নিয়ে তার বাসায় এসেছে। রাতের বেলা জান্নাত মেঘালয়ের কাঁধে মাথা রেখে দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে। মেঘালয় তখন জান্নাতের এক হাত তার বুকে চেপে ধরে বললো,

‘ তুমি আমার শ্যামলতা,
তোমায় নিয়ে হৃদয় জুড়ে সহস্র মুগ্ধতা!

জান্নাত মিষ্টি হেঁসে বললো,’ তাই নাকি!’

‘ হু। একটা কবিতা শুনাই তোমাকে?’

‘ বাহ্! আমার শূন্যতা কি আপনাকে কবি হতেও সহায়তা করেছে?’

মেঘালয় হেঁসে বললো,’হলে সমস্যা কি? আমি তো কবি নই কিন্তু তারপরও আমার জঘন্য কিছু কাজ আমাকে প্রতিনিয়ত পীড়া দেয়। মনের শোকে কবিতাটি লিখেছিলাম। এবার বলি,__
‘ পল্লবিত এই শহুরে,
তিক্ত-বেয়াড়ায় ছিলাম আমিময় উন্মত্তা।
টাকা-কড়ি বিলানোই ছিলো মদীয় প্রমত্তা।
একদা তুমি সজনী প্রতিভাত হলে আমার জীবনে।
আমার সর্বত্র তখনই হয়ে উঠেছিলো ভয়ঙ্করদর্শনে।

রাশি রাশি মিছে তিক্ততায় আচ্ছন্ন হয়েছিলো আমার অন্তর্দেশ।
তখন তোমায় অত্যাচার করে পেতাম আমি পৈশাচিক পরিতোষ।
সহ্যের সীমা যখন পেরিয়েছিলাম আমি,
নিদাঘের এক দিনে দৈবাৎ তুমি হয়েছিলে বিদ্রোহীনী।
ভালোবাসা আদায়ের নেশায় বুদঁ তুমি হয়েছিলে প্রণয়িনী।

তোমার ভালোবাসার পরশ দিয়ে যখন,আমার পাথুরে মনে ফুটাতে চেয়েছিলে প্রেমের পরশফুল।
মায়াবতী তখনই,তোমার রূপের মায়াজালে ফেঁসে গিয়েছিলাম আমিময় নিকৃষ্ট মেঘফুল।
অতঃপর হাজারো যন্ত্রণা-বিচ্ছেদের পরে,
তোমার-আমার পূর্ণতা পেলো মেঘঢাকা আকাশের এক ফালি বৃষ্টিবিলাসের উপসংহারে!’

জান্নাত প্রকম্পিত হয়ে বললো,’ দারুণ কবিতা লিখেছেন। আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি। আপনি শুধু আমার মেঘফুল।

মেঘালয় তাকে জড়িয়ে ধরে বললো,’ আমি মেঘালয় থেকে মেঘফুল হয়েছি শুধুমাত্র তোমার জন্য। আমিও তোমাকে প্রচন্ড ভালোবাসি মায়াবতী। হ্যাঁ,আমি শুধু তোমারই মেঘফুল। শুধুই তোমার মেঘফুল!’

_____
রেফারেন্সঃ-
[১]সূরা আল বাকারাহ্,আয়াত নম্বর:১১২
[২]সূরা আল বাকারাহ্ আয়াত নম্বর:১৫৫

____সমাপ্তি।

বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটা শেষ করে দিলাম। কারণ মে মাসের ১৯ তারিখ আমার প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা। হাতে মাত্র এক সপ্তাহ বাকি আছে। গল্পটা শেষ না করে শান্তি পাচ্ছিলাম না। পড়ায়ও মনোযোগ দিতে পারছিলাম না। তাই এখানেই শেষ করতে হলো। আমি আশাবাদী যে, আপনারা গঠনমূলক মন্তব্য করবেন। নীরব পাঠকসহ সবাই এবার সাড়া দিবেন। আপনাদের কতিপয় মন্তব্যগুলো বলে যাবেন। ও হ্যাঁ পরীক্ষার পর ‘বিলম্বিত বিয়ে’ গল্পের দ্বিতীয় খন্ড লিখবো। নতুন গল্পটি পড়তে চাইলে অবশ্যই আমার পেইজটি ফলো করে সী ফার্স্ট করে রাখবেন। সাথে আমার গ্রুপেও জয়েন হবেন। নিচে গ্রুপের লিংক দিয়ে দিবো। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের জন্যও অনেক দোয়া রইলো। আনা উহিব্বুক ফিল্লাহ প্রিয় পাঠকবৃন্দ।💞

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here