#মনের_কোণে🥀
#আফনান_লারা
#পর্ব_২৪
.
নাবিল ঝাল খায় প্রচুর, এটা লিখি জানতোনা,কিন্তু গরম মশলাতে স্বাদ খারাপ হয়ে যাওয়ায় নাবিলের প্রথমে কাশি এসেছিল।পানি খেয়ে কাশি থামাতে তার চোখ লাল হয়ে গেছে।লিখি তো মনে করে বসে আছে ওরে ঝালে ধরেছে।
কিন্তু এক মিনিটের মাথায় নাবিল স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় সে তো অবাক।
কেউ জানতেই পারলোনা ও নুডুলসের বারোটা বাজিয়ে রেখেছিল।
নাবিল আস্তে করে বাটিটা সরিয়ে রেখেছে সবার নাগালের বাহিরে।কিন্তু এর মধ্য দিয়ে বাবুর হাতে পড়ে গেলো সেই নুডুলস।লোভ সামলাতে না পেরে টুকুস করে নিয়ে মুখে পুরে ফেলেছে সে।কিন্তু গরম মশলা বেশি হবার কারণে তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেলো।
সে আবার ঝাল খেতে পারেনা।সে কি কাশি,সে কি চেঁচামেচি!!
লিখি মুখে হাত দিয়ে দেখছে আর ভয়ে কাঁপছে।মিসেস সামিয়া জানলে তুলকালাম বাঁধাবে।
বাবু বলে দিলো নুডুলসে অতিমাত্রায় গরম মশলা পড়েছে।
সামিয়া সাথে সাথে আন্দাজ করে ফেললেন ঠিক কি ঘটছে এখানে।অগ্নি দৃষ্টিতে তিনি লিখিকে দেখছেন এখন।লিখি ভয়ে চুপসে আছে।
হঠাৎ তিনি উঠে দাঁড়িয়ে চলে গেলেন তার রুমে,যেতে যেতে বলে গেলেন লিখি যেন নতুন করে নুডুলস বানিয়ে তার রুমে দিয়ে যায়।
লিখি বুঝে গেছে তাকে আজ মনমত বকাঝকা করবে এই মহিলা।
ভয়ে ভয়ে নতুন করে নুডুলস বানিয়ে বাটি হাতে বাহিরে গিয়ে দাঁড়ালো মিসেস সামিয়ার রুমের।
তারপর আস্তে করে বলতে চাইছিল আসবো?তার আগেই সামিয়া ওকে দেখে বললেন আসতে।
ওর হাত থেকে নুডুলসের বাটি নিয়ে ঘুরিয়ে দেখলেন,এরপর মুখে দিয়ে বললেন,’স্বাদ ভালই।তবে আমার ছেলের জন্য বানানো নুডুলসের এই বেহাল দশা কেন?মনি কখনও খারাপ নুডুলস বানায়না।আমি নাহিদের বাটি থেকে নুডুলস খেয়েছি,আজকের নুডুলস দারুণ হয়েছে।তবে আমার নাবিলের নুডুলসের বাটিতে এত বেশি গরম মশলা কেন হলো?
দেখো লিখি!!তুমি নাবিলকে নিজের সমবয়সী ভাবলেও আমি তোমায় বলে দিই তুমি এখন থার্ড ইয়ারে পড়ছো,নাবিল চার বছর আগেই থার্ড ইয়ার পাশ করে গেছে।
সে তোমার চার বছরের বড়।তোমরা মোটেও সেম এইজের না।তোমার হাসবেন্ড হয় সে।
এসব ও সহ্য করলেও আমি তো এসব সইতে পারবোনা,তার চোখ লাল হওয়া দেখেই আমি বুঝে গেছি নুডুলসে সমস্যা আছে।এর আগেও তুমি নাবিলের সাথে বাচ্চাদের মতন ব্যবহার করেছো। আমি এমন পুত্রবধূ কখওনই চাইনি।
তুমি শিক্ষিত, বুদ্ধিমতী তবে সংসার জীবনের শিক্ষার অভাব আছে তোমার মাঝে।আমি তোমার খুঁত ধরছিনা,শুধু তোমায় বোঝাতে চাই আমার নাবিলের জন্য ভাল স্ত্রী হতে হবে তোমায়।এরকম বাচ্চামো আমার চোখ মেনে নিলেও জনাব অনাবিল কোনোদিন মানবেননা।তিনি সোজা কথার মানুষ এবং কঠোর।
সোজা মুখের উপর বলে দেবেন ডিভোর্স পেপারে সই করে দিতে।
তুমি যখন সবই ভাল পারো তবে কেন তোমার মাঝে এত চঞ্চলতা??
অনাবিল পরিবারের বড় বউয়ের এসব মানায় না,ছোট বউ হলে মানা যেতো।
তোমাকে বদলাতে হবে।আমি আর একদিন আছি এখানে,বেশিদিন থাকতে পারবোনা,তিনি সন্দেহ করবেন।আজ নয়ত কাল নয়ত এক মাস/ দুমাস পর তিনি জেনেই যাবেন নাবিল বিয়ে করেছে।তখন তিনি তোমায় দেখতে চাইবেন।এইসব দুষ্টুমি তার চোখের বি*ষ।তিনি এসব অপছন্দ করেন।আমি চাইনা তুমি তার থেকে অপমানিত হও।আমি চাই তিনি যেন তোমায় দেখেই বলে দেন নাবিল যাকে বিয়ে করেছে সে আসলেই তার যোগ্য’
লিখি মূর্তির মতন দাঁড়িয়ে আছে।কথাগুলো পর্দার ওপার থেকে নাবিল ও শুনেছে।তার খারাপ লাগছে,লিখির তো আরও খারাপ লাগার কথা।আজ পর্যন্ত লিখির সব চঞ্চলতাকে সে স্বাভাবিক ধরে নিয়েছে।তার এমনই মেয়ে পছন্দ ছিল,কিন্তু এটাও সত্যি বাবা এমন মেয়ে পছন্দ করেন না,চোখের সামনে সহ্য করা তো দূরের কথা।মা কখনও এত কঠোর হতেন না তাদের সাথে।কিন্তু বাইরের মানুষের কাছে তিনি অনেক কঠোর।
লিখির সাথেও তেমন হলেন।লিখির চোখে পানি ছলছল করছে।
কোনোমতে নুডুলসের বাটি নিয়ে চলে এসেছে। বাটিটা টেবিলে রেখে একা একা বেরিয়ে গেছে।কোথায় গেছে কেউ জানেনা।
নাবিল জানতোনা সে রাগ করে ঠিক কোথায় যাবে।ও ভেবেছে হয়ত বাসায় যাবে।কিন্তু তার ভুল ধারণা প্রমাণ হলো দুপুরের দিকে।সবাই দুপুরের খাবার যখন খেতে বসেছে তখন লিখির খোঁজ নেই দেখে মিসেস সামিয়া জানতে চাইলেন সে কোথায়।
নাবিল তখন তাদের বাসা থেকে এসেছিল।এসে বললো লিখি নাকি সেখানে নেই,কোথায় গেছে তাও জানেনা।
সামিয়া গম্ভীর গলায় বললেন,’এত রাগ ভালনা’
——
নাবিল মামার বাসায় আর ঢুকলোনা। কথাটা বলে বেরিয়ে গেছে ওকে খুঁজতে।তার ভুল হয়েছে তখন ওকে একা যেতে দেওয়া।এত বকা খেয়ে একটা মেয়ে কি করে ঠাণ্ডা থাকে তাও লিখির মতন একটা মেয়ের তো ঠাণ্ডা থাকারই কথানা।পুরো কলোনি হেঁটে এসেও লিখিকে সে পেলোনা কোথাও।এবার চিন্তা হলো ওর ভাইয়ার কথা ভেবে।ঐ ওসমান যদি একবার হাতের কাছে লিখিকে পায় তবে শেষ!!আর ছাড়বেনা।সোজা ওর বাবার কাছে নিয়ে যাবে।লিখি কেন যে একা বের হতে গেলো!!!
অনেকটা পথ হাঁটার পর সামনে গোলমাল বিঁধেছে দেখে ছুটে আসলো নাবিল দেখার জন্য।এসে দেখলো দূরে মাইক্রো বাস থামানো আর এখানে লিখি।ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে ওসমান।লিখি অনবরত কান্নাকাটি করছে আর বলছে সে যাবেনা।
নাবিল ওসমানের হাত থামিয়ে বললো,’খবরদার! ‘
‘তুমি সেই ছেলেটা না??পুলিশ!
নাবিল হ্যাঁ বা না কিছুই বললোনা।লিখিকে নিচ থেকে তুলে দাঁড় করালো ।লিখি কেঁদে কেঁদে চোখ মুখ ভাসিয়ে ফেলেছে।ভেজা চোখে নাবিলকে সে ঝাপসা দেখছিল,তাও আশার আলো দেখে মুখে হাসি ফুটলো তার।কান্নাজড়িত কণ্ঠস্বরে বললো,’আমি যাব না ভাইয়ার সাথে,আমাকে নিয়ে যান আপনি’
নাবিল ওর হাত ধরে কিছু বলতে যাবার আগেই ওসমান ওর হাত থামিয়ে বললো,’তুমি পুলিশ মানলাম, কিন্তু ও আমার বোন।ওকে নিয়ে যাওয়ার রাইট আমার আছে।এখানে পুলিশের তদারকি চলবেনা’
নাবিল ব্রু কুঁচকে বললো,’না রাইট নেই।ওকে আপনি নিয়ে যেতে পারবেন না যতক্ষণ না ও চাইবে।একজন সাবালিকার উপর জোর খাটানো যায়না’
‘যায়না নাকি যায় সেটা আমি দেখবোনা।তুমি পুলিশ বলে কি আমি বড় ভাইয়ের সামনে আইন বুঝাবে?তুমি তোমার কাজ করো।আমি আমার বোন নিয়ে যাই।তুমি পারলে বরং সাহায্য করো।
আমার এই বোন দেড় বছর পালিয়ে বাইরে -বাইরে ছিল।তোমরা তো খুঁজে দাওনি।এখন যখন পেয়েছি তখন এত কথা কিসের?নিজের চরকায় তেল দাও।’
কথাটা বলেই ওসমান এক টান দিলো লিখিকে।নাবিল আবারও পথ আটকে দাঁড়ালো।ওরা বিবাহিত এটা জানলে লঙ্কা কান্ড মতন অবস্থা সৃষ্টি হবে তাই নাবিল এই টপিক উঠায়নি।লিখিকে আবারও ওসমানের হাত থেকে ছাড়িয়ে ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বললো,’দৌড়াবে যখন আমি বলবো
১….২…৩,দৌড়াও!!!’
নাবিল লিখির হাত ধরে সামনে যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকে দৌড় মে*রেছে।আর পেছনে ফিরে তাকায়নি।লিখির ভাইয়া গাড়ীতে উঠেছে ধাওয়া করতে।নাবিল লিখিকে নিয়ে বুদ্ধি করে এলাকার বাহিরে বের হবার পর একটা চিকন গলিতে ঢুকে গেলো।ঐ গলিতে গাড়ী ঢুকবেনা বলে সবাই থেমে গেছে।
গাড়ী থেকে নেমে এবার তারা পায়ে হেঁটে ধাওয়া করলো।
——
গলি তো গলি,এমন গলি যে টিনের বাড়ি দুপাশে মাঝে একজন কোনোমতে হেঁটে যাবার মতন পথ।
লিখির ভাইয়া দুইটা বাড়ি খেয়েছেন মাথায়, এত বড় শরীর নিয়ে এই গলিতে ছুটতে গিয়ে।তার দলবলেও কম বাড়ি খায়নি।সবগুলা মোটা মোটা তাই ছুটতে গিয়ে শুধু বাড়ি খাচ্ছে।এত বাড়ি খেয়ে মাথা ফুলে গেছে কজনের।
নাবিল লিখিকে নিয়ে একটা টিনের ঘরে ঢুকে আলনার পেছনে লুকিয়ে পড়েছে।ওসমান আর তার দলবল ঐ টিনের ঘরের সামনে দিয়ে চলে গেলো অথচ ওদের দেখলোনা।জামাকাপড়ের পেছনে লুকিয়েছে দুজন।
যখন তারা বের হবে ঠিক সেসময়ে একটা যুগলকে দেখলো ঘরে ঢুকে ছিটকিনি লাগাতে।দেখে মনে হয় স্বামী- স্ত্রী তবে বিয়ে নতুন।
ছেলেটা ছিটকিনি লাগিয়ে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরেছে।নাবিল ইয়া বড় হা করে তাকালো।লিখি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।।
তারা এখনও জানেনি তাদের ঘরের ভেতর তারা বাদেও আরও মানুষ আছে এখানে।
শুধু জড়িয়ে ধরা যথেষ্ট ছিলনা,আরও কত কি ঘটে যাচ্ছিল।আরও ঘটতো! তখনই লিখি এক চিৎকার দিয়ে বললো থামতে।সেই তরুণ তরুণী হা করে তাকিয়ে রইলো আলনার দিকে।
নাবিল লজ্জা মাখা মুখ নিয়ে লিখিকে সাথে করে বের হলো আলনার ওপার থেকে।
নাবিল বললো,’শুরুতেই সরি।আসলে আমরা গুণ্ডাদের হাত থেকে পালিয়ে এখানে লুকিয়েছিলাম।খারাপ ভাববেননা।আপনারা আপনাদের কাজ চালিয়ে যান,আমরা আসি।টাটা।হ্যাপি বাসর ঘর’
নাবিল লিখির হাত ধরে টুকুস করে ছিটকিনি খুলে বেরিয়ে গেলো।সেই তরুণ তরুণী থ মে*রে দাঁড়িয়ে আছে এখনও।কি ঘটলো চোখের সামনে,এরা কারা?কোথা থেকে এলো।কি জন্য লুকালো? সব মাথার উপর দিয়ে গেছে তাদের।পরে যখন হুশ আসলো দুজনের তখন দরজার কাছে গিয়ে ওদের দুজনের চলে যাওয়া দেখলো।নাবিল লিখিকে নিয়ে গলি থেকে বেরিয়েছে।এবার তারা বড় রাস্তায়।ওসমান আর তার দলবল কোথায় জানেনা তারা।আশেপাশে দেখা যাচ্ছেনা কিন্তু হঠাৎ করে যদি সামনে এসে পড়ে তাহলে তো বিপদ।
লিখি হাঁপিয়ে গেছে।সকালেও কিছু খায়নি আর এখনওনা।
নাবিলকে বললো তার খিধে পেয়েছে।
নাবিল ওর হাত ধরে একটা ছোটখাটো দোকান থেকে একটা জুস আর কেক কিনে দিয়ে যখন মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করছিল তখন পাশেই ওসমানকে দেখলো।সে খেয়াল করেনি ওদের।সেও দোকানে এসেছে খাবার কিনতে।নাবিল টাকাটা বোয়ামের ওপর রেখে লিখির হাত ধরে চলে আসলো ওখান থেকে।দোকানের পেছন দিকটায় একটা পুকুর আর ঘাট। ওখানে লিখিকে বসতে বললো পাশে থাকা কাঠের চৌকিতে।এটা আপাতত সেফ জায়গা।ওসমানের দলবল কোনদিকে সেটা জানা মুশকিল।এখন পালাতে গেলে ওদের কারোর নজরে পড়ে যাবে।লিখি নিচে কাঠের চৌকিতে বসে কেক মুখে পুরে নাবিলকেও সাধলো।কিন্তু নাবিল তখন ওরা কেউ আসছেনা কিনা সেটা দেখছিল।
—-
বিকাল হয়ে গেছে,চারটা বাজে।
লিখি আর নাবিল দোকানের পেছন থেকে বেরিয়ে সামনেটা দেখতে দেখতে হাঁটছে।মনের ভেতর ভয় ঘুরলো যদি সামনে এসে যায়।এত ডে*ঞ্জা’রাস কেন!!
লিখির কথা এটা,নাবিল ওর কথায় তাচ্ছিল্য করে বললো,’আমার বাবার দল দেখলে হা’র্ট এ’টাক আসবে তোমার।বাবা আরও ডে*ঞ্জা’রা’স। এখন তোমার ভাই আমাদের পেয়েও হারালো আর বাবা হারিয়ে পেয়ে যেতো।বাবার ভাঁড়া করা লোকগুলো অনেক স্ট্রং।’
‘আচ্ছা আপনিও তো মনে হয় কিছু খাননি,কেক দুই পিস আছে এখনও।খাবেন?’
‘নাহ,বিপদে আমার খিধে পায়না।চলে যায়।তুমি ঐ দুটো পিস খেয়ে নাও।সামনে আর পাবেনা।যা দেখছি, মনে হয় আরও অনেকটা পথ ছুটতে হবে।এটা কোন এলাকায় এসে পড়েছি তাও বুঝতেছিনা!নেট ও কাজ করেনা যে গুগল ম্যাপ দেখে বের হবো।’
লিখি নাবিলের হাত থামিয়ে বললো,’প্লিজ এই দুটো পিস খান।আমি জানি আপনারও খিধে পেয়েছে’
‘না পায়নি।তুমি খাও নয়ত ফেলে দাও।’
লিখি গাল ফুলিয়ে সত্যি সত্যি ফেলে দিলো।ভাবলো নাবিল উঠিয়ে আনবে। তেমনটাই হলো।নাবিল উঠিয়ে এনে বললো,’খাবার ফেলে দিতে হয়না,বলেছি বলে তেমনটাই করবে?নাও হাতে রাখো।কেক দু-পিস হাতে রাখলে কি হবে তোমার?
এই যে এতসব হচ্ছে সব তোমার কারণে।কি দরকার ছিল জেদ করে একা বেড়িয়ে যাবার?’
‘আমাকে যে আপনার মা কত কি বললো সেগুলো জানেন?জীবনে আমার আব্বু ও আমার দুষ্টামি নিয়ে দুটো কথা শুনায়নি’
‘শুনেছি সব।এক দিক দিয়ে ভাল আর একদিক দিয়ে খারাপ লাগলো।যাই হোক,গুরুজনের কথা তেতো হলেও ভালোর জন্য হয়।যেমন নিমপাতা।তেতো তবে উপকারী।
আমার মা তোমায় অনেক ভালবাসবে,এটা তেমন বড় কিছুনা।দেখবে এখন ফিরে গেলে তোমায় নিজ হাতে খাইয়ে দেবে।হয়ত এখন টেনসনও করছে তোমার জন্য’
——
কথা বলতে বলতে তারা আরও দূরে চলে আসলো।এই এলাকার মানুষ গুলো অন্যরকম।সবার চোখ ওদের দিকে।
নিজেদের কেমন এলিয়েন মনে হলো লিখি নাবিলের।একটা বাচ্চাকে থামিয়ে নাবিল জানতে চাইলো দলবল নিয়ে কাউকে আসতে দেখেছে কিনা।ছেলেটা সঙ্গে সঙ্গে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো।।
নাবিল মাথা তুলে দেখলো ওসমান ছুটে আসছে দূর থেকে।।
চলবে♥