গল্প:-মনের মহারাণী
লেখিকা:-Sohani_Simu
পর্ব:-২১
সাদ ভাইয়া একহাতে চাকু নিয়ে আছেন আর অন্যহাতে ফোন কান থেকে সড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
‘উম কোথায়?’
আমি শুকনো ঢোক গিলে বিছানা থেকে নেমে বললাম,
‘ওওওয়াশরুমে।’
সাদ ভাইয়া ভ্রু কুচকে আবার ফোন কানে ধরে বেরিয়ে গেলেন।আমি দরজার দিকে তাকাতে তাকাতে ওয়াশরুমের দরজার কাছে আসলাম।ভেতর থেকে পানির শব্দ আসছে।গলা ফাটিয়ে ডাকলেও উমান শুনতে পাবেননা।তাই আমি জোরে জোরে দরজা ধাক্কাতে লাগলাম।উমান দরজা খুলে বাইরে উঁকি দিয়ে বললেন,
‘হোয়াট?’
আমি উনাকে দেখেই অন্যদিকে তাকালাম।উনি শুধু টাওয়াল পড়ে আছেন।শ্যাম্পু আর বডি ওয়াশ দিয়ে একদম সাদা ভূত সেজেছেন।উনার দিকে পিঠ ফিরিয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘আমার না সাদ ভাইয়াকে অনেক ভয় লাগছে।আপনি দরজা খুলে রাখুন।’
উনি পেছন থেকে এক হাতে আমার পেট জড়িয়ে ধরে আমাকে তুলে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলেন।আমি চেঁচিয়ে বললাম,
‘এই এই কি করছেন?ভিজে যাচ্ছি তো!উফ্ কি ঠান্ডা পানি!’
উনি আমাকে শাওয়ারের নিচে দাঁড় করিয়ে দিয়ে উনার চুলে ফেনা করতে করতে মুচকি হেসে বললেন,
‘আমার সাথে শাওয়ার নিবি বললেই হতো,এত ড্রামা করতে হবে?’
থমথমে মুখ করে ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসলাম।উমান ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে ভেজা চুল ঠিক করছিলেন।আমাকে দেখেই বললেন,
‘এখানে আয়,গলায় আবার মেডিসিন লাগিয়ে দিই।’
ভেজা টাওয়াল চুল থেকে খুলে নিয়ে উনার দিকে ছুড়ে মেরে সোফায় এসে বসলাম।উনার মতো লুচু নির্লজ্জ মানুষ আমি এর আগে কখনও দেখিনি।রাগে নিজের চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে।উমান চিড়ুনী আর মেঝে থেকে টাওয়াল তুলে নিয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ালেন।আমি মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকিয়ে কটকটা গলায় বললাম,
‘থাপ্পড় খেতে না চাইলে দূর হোন আমার সামনে থেকে।’
উনি আমার হাতে চিড়ুনী ধরিয়ে দিয়ে টাওয়াল নিয়ে ব্যালকনিতে যেতে যেতে বললেন,
‘তোর কথা খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে।কাজের বেলায় তো কিছু পারেনা কথার দিকে আছে ষোল আনা।আবার আসুক ওই লোকগুলো এবার তোকে ওদের সাথে পাঠিয়ে দিব।’
উনার পিঠে চিড়ুনী ছুড়ে মেরে বললাম,
‘তুই আর তোর সাদ ভাইয়া বের হয়ে যাবি আমার বাসা থেকে।’
উনি ব্যালকনিতে চলে গেলেন।একটু পর ফিরে এসে মেঝে থেকে চিড়ুনী তুলে নিয়ে আমার পাশে এসে বসে আমার গাল টিপে ধরে বললেন,
‘তোর মুখ সেলাই করে দিব।’
‘তোরা আবার মারামারি করছিস?’
সাদ ভাইয়ার কথা শুনে দুজনই অপ্রস্তুত হয়ে দরজার দিকে তাকালাম।উমান উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,
‘আমাদের দুজনকে বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলেছে।কত বড় সাহস!ওর বাপের সাহস নেই আমাকে বের করে দেওয়ার আর ও কে না কে এসেছে আমাকে বের করে দিতে।আজকে একে একটা লেসন দিতেই হবে।’
আমি ভ্রু কুচকে উনার দিকে তাকিয়ে আছি।সাদ ভাইয়া উনার কথা শুনে বিরক্ত হয়ে বললেন,
‘লেসন পরে দিস আগে আয় আমার সাথে।কখন থেকে ওয়েট করছি।’
উমান একমুহূর্তও দেরি না করে সাদ ভাইয়াকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।আমি আয়নার সামনে এসে বসলাম।একা একা ভয় ভয় লাগছে তাও উনাদের পেছনে আর গেলাম না।রেগে আছি আমি এখন।
বিকেল তিনটা বেজে যাচ্ছে তাও উমান আমাকে খেতে ডাকলেন না।উনারা কি খেয়ে নিয়েছেন?এতক্ষণ একবারও রুমে আসলেন না কেন!!আমি বই বন্ধ করে চেয়ার টেনে উঠে দাঁড়ালাম।গুটি গুটি পায়ে রুম থেকে বেরিয়ে ড্রইংরুমে এসে দেখি কেউ নেই।সাদ ভাইয়ার রুমে এসে দেখি এখানেও নেই।গেল কোথায়!!পুরো বাসা খুঁজেও উনাদের পেলামনা।ডাইনিংয়ে খাবারগুলো ওইভাবেই ঢাকা দিয়ে রাখা আছে।উনারা খানও নি।উনারা কি সত্যি সত্যি বাসা থেকে চলে গেলেন?ভয়ে শুকনো ঢোক গিলে দৌঁড়ে মেইন দরজায় আসলাম।দরজা লক করা।কোন দিক থেকে লক করা বুঝতে পারছিনা।আমার কাছে চাবিও নেই।আমি এবার ভ্যা ভ্যা করে কান্না জুরে দিলাম।
দরজায় হেলান দিয়ে আধঘন্টা ধরে কান্না করছি।উনারা এখনও ফিরে আসেননি।বিভিন্ন চিন্তায় আমার ভয় আর কান্নার বেগ আরও বেরে যাচ্ছে।রাতেও যদি উনারা না আসেন তাহলে আমার কি হবে!!কি করব,কোথায় যাব কিছুই বুঝতে পারছিনা।দুই হাঁটুতে মুখ গুজে হেঁচকি তুলতে লাগলাম।
হঠাৎ উমানের কথা শুনে মাথা তুলে সামনের দিকে তাকালাম।উনি ব্যস্ত হয়ে আমার কাছে আসতে আসতে বললেন,
‘তুই ওখানে কি করছিস?’
পায়ে স্যান্ডেল ছিল খুলে নিয়ে উনার দিকে ছুড়ে মারলাম।আজ পর্যন্ত আমার একটা নিশানাও ঠিক হয়নি,এটাও হলো না।স্যান্ডেলটা উনার ধারের কাছেও গেল না,মুখে লাগলে একটু খুশি হতাম।
উনি আমার সামনে এসে আমাকে টেনে দাঁড় করিয়ে বললেন,
‘এখানে বসে কাঁদছিস কেন?’
উনাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করতে করতে বললাম,
‘কোথায় গিয়েছিলেন?একা একা ভয় করছিল।ভেবেছিলাম সত্যি চলে গিয়েছেন।’
উনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
‘কাজ করছিলাম তো।তোকে রেখে কোথায় যাব?পড়ছিলি তাই তোকে ডাকিনি।’
সাদ ভাইয়া ডাইনিং থেকে বললেন,
‘এই তাড়াতাড়ি আয় তো,ক্ষুধায় আমার পেট জ্বলে যাচ্ছে।তোরা কি আবার যুদ্ধ করছিস?তাহলে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি নে,খেয়ে শক্তি করে নিয়ে তারপর আবার নতুন উদ্যমে শুরু করিস।’
উমানকে ছেড়ে দিয়ে হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখ মুছে নাক টেনে বললাম,
‘কোথায় গিয়েছিলেন আপনারা?পুরো বাসা খুঁজে পায়নি।আমি তো ভেবেছি সত্যি সত্যি বাসা থেকে চলে গিয়েছেন।’
উমান মুচকি হেসে বললেন,
‘শিক্ষা হয়েছে?আর যেতে বলবি?’
আমি ভাঙ্গা গলায় বললাম,
‘আমাকেও সাথে নিয়ে যাবেন তার আগে বলুন কোথায় ছিলেন?’
উমান আমার হাত ধরে হাঁটা দিয়ে বললেন,
‘খেতে খেতে বলছি চল।’
আমি পিছুটান নিয়ে বললাম,
‘না।’
উনি ভ্রু কুচকে বললেন,
‘কেন?’
আমি মিনমিনে কন্ঠে বললাম,
‘সাদ ভাইয়াকে ভয় লাগছে।’
উনি আমাকে জোর করে ডাইনিংয়ে নিয়ে আসলেন।সাদ ভাইয়ার পাশে আমাকে বসিয়ে দিয়ে উনি আমার বামপাশে বসলেন।আমি উমানের দিকে চেপে বসে উনার ডানহাত ধরতেই উনি সাদ ভাইয়াকে বললেন,
‘মিতি নাকি তোকে ভয় পাচ্ছে।কথা বল তো একটু।’
সাদ ভাইয়া খেতে খেতে বললেন,
‘কেন?আমাকে ভয় পাচ্ছিস কেন?মুখের কাঁটা দাগ দেখে?এগুলো এক্সিডেন্টের জন্য হয়েছে।ট্রাকের সাথে আমার কার ক্রাশ করেছিল।আর তখন বললি আমি তোকে মেরেছি।কিভাবে মারবো বল তোর সাথে তো আগে কখনও দেখায় হয়নি।’
উমান সাদ ভাইয়ার প্লেট থেকে অর্ধেক খাওয়া মাছভাজা তুলে নিয়ে বললেন,
‘এটায় নিতে হল তোর?এটা আমার বউ ভেজে ছিল আমার জন্য।’
ডাহা মিথ্যে কথা।আমি একটা মাছ ভেজেছিলাম তাও নিজের জন্য।সাদ ভাইয়া আরেকটা মাছভাজা নিয়ে বললেন,
‘ও আমি চিনতে পারিনি আসলে।’
আমি একহাতে উমানের হাত ধরে ফিসফিস করে বললাম,
‘সাদ ভাইয়া আমাকে চাকু দিয়ে মেরেছিলেন না সেদিন?’
সাদ ভাইয়া আমার কথা শুনতে পেয়ে ভ্রু কুচকে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
‘কোনদিন?’
উমান প্লেটে খাবার নিতে নিতে বললেন,
‘ওই পাপন এসেছিল একদিন।মিতিকে মেরেছিল আমি তোর কথা বলেছিলাম তাই ও ভেবেছে ওটা তুই।’
আমি ভ্রু কুচকে উমানের দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘মানে?’
উমান আমার প্লেটে খাবার দিতে দিতে বললেন,
‘মানে সেদিন ওটা সাদ ছিল না।তোর বাপের না হওয়া জামাই ছিল।ওর সাথেই চাচ্চু তোকে বিয়ে দিতে চেয়েছিল।’
আমি রেগে বললাম,
‘একদম বাজে কথা বলবেন না।আপনি একটা মিথ্যুক।আপনি বলেছিলেন সাদ ভাইয়া মারা গেছে।তাহলে সাদ ভাইয়া কোথায় থেকে আসলো?’
উমান আমার দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বললেন,
‘তুই তো দেখছি ডিটেকটিভের নানি।তাহলে তুই খুঁজে বের কর সাদ ভাইয়া কোথায় থেকে আসলো।’
আমি চোখমুখ শক্ত করে কয়েকসেকেন্ড উমানের দিকে তাকিয়ে থাকলাম তারপর সাদ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘ভাইয়া আপনি কোথায় থেকে এসেছেন?
সাদ ভাইয়া খেতে খেতে বললেন,
‘কবর থেকে।’
এমন কথা শুনে আমার আত্মা কেঁপে উঠলো।ধড়ফড় করে চেয়ার টেনে উঠে উমানের পেছনে দাঁড়িয়ে উনার কাঁধে হাত রেখে বললাম,
‘মমমানে!!’
দুজনই হু হা করে হেসে দিলোন।আমি সন্দেহী চোখে সাদ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।ভূত টুত নয় তো!!উমান আমাকে টেনে উনার অন্য পাশের চেয়ারটাতে বসিয়ে দিলেন।আমার সামনে আমার প্লেট দিয়ে বললেন,
‘ভীতু একটা!’
আমি ফিসফিস করে উমানকে বললাম,
‘সাদ ভাইয়া সত্যি কবর থেকে এসেছে?’
সাদ ভাইয়া এবারও আমার কথা শুনতে পেয়েছেন।মৃদু হেসে বললেন,
‘হান্ড্রোড পার্সেন্ট সত্যি।সেদিন তোকে স্কুলে নিতে গিয়েছিলাম আর এক্সিডেন্ট হয়ে মরে গিয়েছিলাম।এখন আবার বেঁচে ফিরে এসেছি।’
চোখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকালাম।এবার তো আমি উনার পাশে নেই তাহলে কিভাবে শুনতে পেলেন?পরক্ষণেই গা শিউরে উঠলো।চেয়ারে পা তুলে বসে উমানের দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘সত্যি?’
উমান মাথা নাড়ালেন।আমি তো ভয়ে শেষ।সাদ ভাইয়া হাসতে হাসতে বললেন,
‘আরে না,মজা করছিলাম।হসপিটাল থেকে এসেছি।’
তারপর উনি উমানের দিকে তাকিয়ে বললেন,
‘পাপন আগে এ্যাটাক করেছিল?’
উমান খাওয়া থামিয়ে বললেন,
‘সেদিন ছাদের দরজা খোলা ছিল,ওইদিক দিয়ে এসেছিল।ওরা ভাবছে তুই সত্যি মারা গিয়েছিস আর আমাদের বুঝাচ্ছে তুই আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছিস।শালা বাউন তোর মতো লম্বা হওয়ার জন্য উঁচু বুট পরে এসেছিল।’
সাদ ভাইয়া ভ্রু কুচকে বললেন,
‘পাপন কোথায়?’
উমান খেতে খেতে বললেন,
‘হসপিটালে।নাইফ হ্যান্ডেলটা তোর থেকেও ভাল শিখেছে,ভেঙ্গে দিয়েছি দুই হাতই।’
সাদ ভাইয়া ভ্রু কুচকে বললেন,
‘গাছগুলো মারা গেছে?’
উমান মুচকি হেসে বললেন,
‘দেড় ফুট হয়েছে।’
তারপর উনি আমার দিকে তাকিয়ে ধমক দিয়ে বললেন,
‘খাচ্ছিসনা কেন?’
অপ্রস্তুত হয়ে খাবার মুখে দিলাম।উনারা আর কোন কথা বললেন না।খাওয়া শেষ করে সাদ ভাইয়া উনার রুমে চলে গেলেন আমি উমানের পেছন পেছন আমার রুমে আসলাম।টেবিলে বসে নোটবুক বের করে মনে জমে থাকা একটার পর একটা প্রশ্ন লিখতে লাগলাম।মনে মনে ঠিক করলাম সন্ধ্যায় উমান আর সাদ ভাইয়াকে নিয়ে বসে সব প্রশ্নের উত্তর ক্লিয়ার করে নিব।আমাকে লিখতে দেখেই উমান ভ্রু কুচকে আমার কাছে আসতে আসতে বললেন,
‘কি লিখছিস?’
আমি নোটবুক বন্ধ করে বললাম,
‘কিছুনা।’
উমান টেবিলে হেলান দিয়ে বুকে হাত গুজে বললেন,
‘বাসায় একা থাকতে পারবি?দুঘন্টা?’
আমি কোন ভণিতা না করে বললাম,
‘না।’
উনি রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন।আবার যদি আমাকে একা রেখে কোথাও চলে যান সেই ভয়ে আমিও উনার সাথে সাথেই আসলাম।ড্রইংরুমে এসে দেখি সাদ ভাইয়া কালো প্যান্ট শার্ট পরে রেডি।উনাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে বাইরে যাবেন।উমান আমাকে বসতে বলে কিচেনে গেলেন।সাদ ভাইয়া সিঙ্গেল সোফায় বসে ফোন টিপছেন।আমি দাঁড়িয়ে থেকেই বললাম,
‘আপনি চলে যাবেন সাদ ভাইয়া?’
সাদ ভাইয়া একবার আমার দিকে তাকিয়ে আবার ফোনের দিকে বললেন,
‘বাইরে যাব একটু।’
‘অহ।’
বলেই আমি কিচেনের দিকে তাকালাম।উমান কি করছেন!ভেবেই গুটি গুটি পায়ে কিচেনে আসলাম।উমান কেবিনেটের উপর এক গ্লাস জুস রেখে জুসের মধ্যে দুটো ট্যাবলেট দিয়ে চামচ দিয়ে নাড়তে লাগলেন।আমাকে দেখেই মুচকি হেসে জুসের গ্লাস এগিয়ে দিয়ে খেতে বললেন,
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,
‘আপনি এটাতে কি মেশালেন?’
উনি মুচকি হেসে বললেন,
‘সুগার ফ্রি ট্যাবলেট।’
আমার কেমন যেন সন্দেহ হচ্ছে।আমি চলে আসতে আসতে বললাম,
‘খাব না,আপনি খান।’
উমান আমেকে পেছন থেকে চেপে ধরলেন।জোর করে সব জুস খাইয়ে দিয়ে তারপর আমাকে ছাড়লেন।আমি মুখ কুচকে বললাম,
‘তিতা কেন?’
উমান শুধু মুচকি হাসলেন তারপর আমার হাত ধরে রুমে এনে বিছানায় শুয়ে বললেন,
‘চল ঘুমাই আমরা,সাদ ঘুরে আসুক বাইরে থেকে।’
আমার তো এমনিতেই মাথার ঘুরছে।তাই একটুও দেরি না করে চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
চলবে………………
(রি-চেইক করা
হয়নি)