#মন_নিয়ে_খেলা(১৪)
***********************

ফাহাদ, অরণীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তার আগেই পূনম ফিরে আসলেন৷ পূনম রুমে ঢুকে বললেন, কী খবর, কেমন আছ?

ভালো। এসো। তুমি কেমন ছিলে?

আমি খুব ভালো ছিলাম। হ্যান্ড ব্যাগটা টেবিলে রেখে, বিছানায় হেলান দিয়ে বসলেন পূনম। পূনমের বসা দেখে ফাহাদ একটু অবাক হলেন। পূনম সচরাচর এই রুমে এসে বিছানায় বসেন না। সবসময় সোফাতেই বসেন। কখনও যদি মুড খুব ভালো থাকে, তখন হঠাৎ বিছানায় গা এলিয়ে দেন।

পূনম লাগেজের দিকে তাকিয়ে বললেন, কাঞ্জিভরম শাড়িগুলো পেয়েছিলে?

হুম।

সবগুলো?

মনে হয়। জামিল মার্কেটে গিয়েছিল। ও শাড়ি ভালো কিনতে পারে। অবশ্য ওর সাথে মিঃ আগারওয়াল এর লোক ছিল। খুলে দেখতে পারো। বড়ো লাগেজটায় শাড়ি আছে।

পরে দেখব। তুমি কিছু খেয়েছ?

হুম। স্যুপ খেয়েছি।

আচ্ছা শোনো, আজ রাতে গুলশান ক্লাবে শেখরের অনুষ্ঠানে যেতে হবে।

আজকে? আজকে আমি আর কোথাও বেরুচ্ছি না।

এটা কেমন কথা? কিছুক্ষণ আগেই শেখরের সাথে আমার কথা হল। আমি তো বলে দিলাম, রাতে আমরা আসছি।

তুমি যাও। এমন তো না, যে আমাকে ছাড়া তুমি একা কোথাও যাও না।

পূনমের ভ্রুজোড়া কুঁচকে গেলেও, তিনি সাথে সাথে নিজের মেজাজ ঠিক করে নিয়ে বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে৷ আমি একাই চলে যাব। তোমার যখন টায়ার্ড লাগছে, তুমি আজকে রেস্ট নাও।

তোমার ক্লাবের কী খবর? নেতৃত্ব কেমন উপভোগ করছ?

আর নেতৃত্ব?

কেন, কী হয়েছে?

আরে কতগুলো বদ মহিলা একসাথে হয়ে আমার পিছেই পড়ে গেছে। এদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয়, আমি যেন একটা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট না। গোটা দেশটার প্রেসিডেন্ট।

মানে কী?

দেশের প্রেসিডেন্টের যেমন দেশের মানুষকে ভালো রাখার দায়বদ্ধতা থাকে, এরা আমার কাছে তেমন দায়বদ্ধতা আশা করে!

আশা তো করবেই। তুমি দায়িত্ব নিয়েছ। এখন যাতে তুমি ভালোভাবে ক্লাবের দায়িত্ব পালন করতে পারো, এটা তো তাঁরা তোমার কাছেই আশা করবে।

আমি যাতে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারি, সেটাই তাঁরা চায়। সেই কারণেই আমার যে কোনও ডিসিশনকেই তাঁরা প্রশ্নবিদ্ধ করছে। সবসময় আমার পেছনে লেগে থাকে।

কী আর করবে, বলো? মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত তোমাকে তো এসব সামলে দায়িত্ব পালন করতেই হবে।

তা তো হবেই। আজকের মিটিংয়ে একটা ডিসিশন নিলাম। এতে অবশ্য সবাই আমাকে সাপোর্ট করেছে।

কী ডিসিশন?

বেশ কিছু চ্যারিটি করা হয়েছে। এবার নিজেদের জন্য একটু কিছু করার দরকার। গতবারের প্রেসিডেন্ট কাশ্মীর ট্যুরের ব্যবস্থা করেছিল। বিশজনের টিম গিয়েছিল কাশ্মীরে।

তুমি গিয়েছিলে?

আমি কোথায় গেলাম? আমরা তো তার আগের বছরই কাশ্মীর ঘুরে এসেছিলাম। ওরা যখন কাশ্মীর গেল, আমরা তখন কুইবেক গেলাম। মনে নেই তোমার?

ওহ আচ্ছা, ঐ সময়ে… হুম মনে পড়েছে।

আমি আজকে একটা অ্যানাউন্সমেন্ট করে এসেছি।

কী?

গতবারের প্রেসিডেন্ট কাশ্মীরি টিউলিপ দেখিয়ে এনেছেন আর আমি ঠিক করেছি এবারের ট্রিপ হবে আমস্টারডামে। টিউলিপের বাগান দেখে পাগল হয়ে যাবে সবাই।

বাহ, ভালো তো। কবে যাচ্ছ তোমরা?

যাব। টিউলিপের সিজন মাথায় রেখেই ডেট ফাইনাল হবে। আমি কিন্তু তোমার হয়ে একটা কথা বলে এসেছি।

কী কথা?

আমাদের এয়ার ফেয়ারটা তোমার কোম্পানি স্পন্সর করছে।

আচ্ছা। আচ্ছা কথাটা বলার পরই ফাহাদ বুঝতে পারলেন বিষয়টা। বললেন, আমার কোম্পানি কিসের স্পন্সর করবে?

এয়ার ফেয়ার।

এয়ার ফেয়ার? কার এয়ার ফেয়ার আর কোথাকার এয়ার ফেয়ার?

কোথাকার আবার? ঢাকা টু আমস্টারডাম।

আমাকে কয়জনের টিকিটের টাকা স্পন্সর করতে হবে?

আমাদের পুরো টিমের। সবাই তো আর যাচ্ছে না। এবারও বিশজনের মতোই হবে।

তাঁদের সবার টিকিটের টাকা আমি দেবো!

তুমি এত অবাক হচ্ছ কেন? এটা কী তোমার জন্য খুব বেশি কিছু?

বেশি না কম, সেই হিসাব পরে করব? কথা হচ্ছে, তোমাদের এন্টারটেইনমেন্ট এর জন্য আমি কেন অযথা এতগুলো টাকা পানিতে ফেলতে যাব?

পানিতে ফেলতে যাবে কেন? এখানে আমার মানসম্মানের বিষয় জড়িত। আমি আগের প্রেসিডেন্টের চেয়ে ওপরে থাকতে চাই৷ আর এতে তোমার সম্মানটাও তো বাড়ছে, তাই না?

ফাহাদের মেজাজের পারদ ওপরের দিকে চড়ে যাচ্ছিল; কিন্তু তিনি মেজাজটা চড়তে দিলেন না। রাগ, ক্ষোভের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখার, তাঁর এক আশ্চর্য ক্ষমতা আছে। তিনি বললেন, আমি তোমার টিকিটের টাকা টিতে পারি। শুধু টিকিটের টাকা কেন, তোমার তরফ থেকে সবাই জন্য দুটো ডিনারের খরচও আমি দিচ্ছি।

আর বাকিদের টিকিটের টাকা কে দেবে?

সেটা তোমরা জানো। আমার জানামতে, তোমাদের ক্লাবে এমন কোনও মেম্বার নেই, যিনি নিজের পয়সায় আমস্টারডাম যেতে পারবেন না।

তা পারবে না কেন? সবাই পারবে; কিন্তু আমি চাই, এবারের ট্রিপটা সবাই স্পেশালভাবে নিক। মানে আমি যে আসলেই স্পেশাল, এটা সবাই বুঝুক। তুমি স্পন্সর করলেই এটা সম্ভব হবে।

ফাহাদ এর আগে পূনমের ছোটো-বড়ো নানা ধরণের আবদার মিটিয়েছেন। সেটা কেবলমাত্র সংসারে অশান্তি আর ঝামেলা এড়ানোর জন্য। চ্যারিটির জন্য যতটুকু টাকাপয়সা দিয়েছেন, সেগুলো ভালো কাজে খরচ হয়েছে; কিন্তু তাই বলে বিশজনের জন্য রাউন্ড ট্রিপের টিকিট! এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। যদি ঢাকা-কক্সবাজার হতো, তা-ও একটা কথা ছিল। তাঁর মনে হচ্ছে এবার রাশ টেনে ধরা উচিত। নইলে পূনমের অন্যায় আবদার দিন দিন বাড়তেই থাকবে। ফাহাদ আর কোনো রাখঢাক না করে সরাসরি বললেন, স্যরি পূনম। আমাদের কোম্পানি এখন এমন কোনোকিছুর স্পন্সর করতে পারবে না।

কেন?

বগুড়ায় একটা স্পোর্টস একাডেমি হচ্ছে। আমরা এবার ঐ একাডেমির স্পন্সর হয়েছি।

তাতে কী হয়েছে? তোমরা তো সারাবছর কতো কিছুর স্পন্সর হও। প্লিজ, না করো না। আমি আজকে অ্যানাউন্স করে ফেলেছি। এখন কোনোভাবে পিছে সরে আসা যাবে না। এটা এখন আমার জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ফাহাদ এবার সত্যি সত্যি সারেন্ডার করার ভঙ্গিতে দুই হাত তুলে বললেন, এবার আর কিছুতেই হচ্ছে না। তুমি যেভাবে পারো, এটা বন্ধ করার ব্যবস্থা করো। কোম্পানিতে বেশ কিছুদিন ধরে টাকাপয়সার ঝামেলা চলছে। আমি এখন কোনো টাকা দেবো না। একান্তই যদি দিতে হয়, তবে….

পূনম আশার আলো দেখে বললেন, তবে কী?

টাকাটা তবে তোমার একাউন্ট থেকে দাও।

পূনম বড়ো বড়ো চোখ করে স্বামীর দিকে তাকিয়ে আছেন। ফাহাদ এভাবে তাঁর মুখের ওপর না বলে দেবেন, এটা মানতে তাঁর কষ্ট হচ্ছে। ফাহাদও খুব ভালো করে জানেন, পূনম কখনোই তাঁর একাউন্ট থেকে এতগুলো টাকা তুলবেন না। তিনি পূনমের প্রতিক্রিয়া দেখার অপেক্ষায় আছেন। পূনম হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে টেবিল থেকে ব্যাগ তুলে নিয়ে দরজার দিকে হেঁটে গেলেন।

ফাহাদ, অরণীর বিষয়ে পূনমের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন; কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে ঐ প্রসঙ্গ না তোলাই ভালো। পূনম যখন অত্যাধিক রেগে যান, তখন তিনি হাতের কাছের জিনিসপত্র ছোড়াছুঁড়ি করেন অথবা একদম নিশ্চুপ হয়ে যান। তাঁর এই শীতল মৌনতা বলে দিচ্ছে, এখন তাঁর ভেতরে আগুনের হল্কা বয়ে যাচ্ছে।

————————-

রাতে আর কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। পূনম পার্টিতে চলে গিয়েছিলেন আর ফাহাদ তাঁর রুমেই খাবার আনিয়ে নিয়েছিলেন। খাবার বলতে, একটা হাতে বানানো রুটি আর এক বাটি সবজি। ইদানিং খাওয়াদাওয়ার প্রতি তাঁর কেমন যেন অভক্তি চলে এসেছে। খেতে হবে বলেই, কষ্ট করে খান। শরীরটা কয়েকদিন যাবত কেমন দুর্বল মনে হচ্ছে। প্রতিবছর ডিসেম্বরে তিনি সিঙ্গাপুর যান চেক-আপের জন্য। ডিসেম্বর আসতে এখনও দেরি আছে। তাঁর মনে হচ্ছে এরমধ্যে একবার যাওয়া দরকার। মদ তিনি কখনও খাননি। এটা তাঁর মতো লোকের সঙ্গে বেশ খানিকটা বেমানান। কারণ এমন দিন কমই আসে, যখন তাঁর সামনে বসা মানুষটি মদ্যপান করেন না৷ ক্লায়েন্ট, বন্ধুবান্ধবের প্রায় সকলেরই ঐ গুনটি আছে। তিনি যে একেবারেই ঐ তরল চেখে দেখেননি, তা নয়। এক-দুবার চুমুক দিয়েছিলেন এবং কোনোবারই এটিকে তাঁর কাছে খুব লোভনীয় কোনও পানীয় মনে হয়নি৷ পয়সা খরচ করে, দুঃখ কেনার কোনও মানে হয় না। তাই এই পথে তিনি আর কখনও হাঁটেননি। তবে কমবেশি সিগারেট খেয়েছেন অনেক বছর। গতবছর চেক-আপের সময় ডাক্তার তাঁকে কঠিনভাবে সিগারেটের ব্যাপারে নিষেধ করেছেন৷ কারণ ফুসফুস বিগড়াতে শুরু করে দিয়েছিল। ডাক্তারের কথা মেনে তখনই সিগারেট ছাড়তে পারেননি, তবে এরপর থেকে ধীরে ধীরে সিগারেট খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। গত তিনমাস ধরে তো একদমই বন্ধ। এরমধ্যে একটা সিগারেটও তিনি খাননি। নেশাটা কেটে যাওয়ায়, তিনি মনে মনে অনেক খুশি হয়েছেন। কারণ এই নেশা ছুটে যাবে, এটা তাঁর কল্পনাতীত ছিল।

ফাহাদ আজ দেরি করে অফিসে যাবেন। স্ত্রী আর কন্যাদের সঙ্গে সকালের নাস্তা শেষ করে, তিনি রুমে চলে এসেছেন৷ পুতুলকে বলে এসেছিলেন, গ্রীন টি যেন তাঁর রুমে পৌঁছে দেয়। কাপ হাতে পূনমকে রুমে ঢুকতে দেখে, ফাহাদ অবাক হলেন। কারণ একটু আগে ডাইনিং টেবিলে পূনম তাঁর সঙ্গে একটা কথাও বলেননি। ফাহাদ, পূনমের হাত থেকে কাপ নিয়ে মনে মনে ভাবলেন, আবারও বোধহয় টিকিটের ব্যাপারটা শুরু হয়ে যাবে। তিনি গ্রী টি তে চুমুক দিয়ে বললেন, দাঁড়িয়ে আছ কেন? বসো।

পূনম সোফায় বসে বললেন, তোমার মেয়ের কোনো খোঁজ-খবর রাখো?

ফাহাদ বুঝে গেছেন যা বোঝার; কিন্তু তিনি নিজে থেকে কিছু বলতে চান না৷ আগে পূনমের মনোভাব জানা দরকার। তিনি বললেন, মেয়েরা আবার কী করল? তোমার কথা মতো বুয়েটে ভর্তি হয়ে ক্লাস করছে তো।

আমি নীলোর্মির কথা বলিনি। তোমার বড়ো মেয়ের কথা বলেছি।

অরণী কী করেছে?

তোমার মুখ উজ্জ্বল করার ব্যবস্থা করেছে।

কী বলতে চাচ্ছ পূনম, বুঝিয়ে বলো।

তোমার মেয়ে প্রেম করছে।

ফাহাদ হেসে বললেন, প্রেম তো করতেই পারে। ওদের বয়সটাই তো প্রেম করার।

কার সাথে প্রেম, কোন ছেলে, বাপ-মা কেমন, কিছুই জানতে চাইলে না! বলে দিলে প্রেম তো করতেই পারে। তুমি কেমন মানুষ!

আহা, এত উত্তেজিত হয়ে পড়ছ কেন? একটু শান্ত হয়ে কথাটা বলো। অরণী কী করেছে?

বললামই তো। প্রেম করছে।

অরণী তোমাকে বলেছে?

তোমার মেয়ে আমাকে বলেনি। সে ভেজা বেড়াল সেজে থাকে। বড়ো আপুর কাছে ধরা পড়ে গেছে। আপুর কাছে সব শুনে, আমি জোর করে তার মুখ থেকে সব স্বীকার করিয়েছি। তার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। কোথায়, কার সঙ্গে সম্পর্ক করতে হয়, এরা সেটাও শেখেনি।

তুমি এত রেগে যাচ্ছ কেন? ছেলেটা কে? কী করে?

অরণীর সঙ্গে পড়ে। বাবা সরকারি চাকরি করে। নির্ঝঞ্ঝাট মধ্যবিত্ত পরিবার! আমার মেয়ে থাকে ট্রিপ্লেক্স বাড়িতে আর ঐ ছেলের বাবার সেগুনবাগিচায় ছোটো একটা ফ্ল্যাট আছে। তুমি চিন্তা করতে পারো, এদের পছন্দের কী যা-তা অবস্থা!

ছেলে অরণীর সঙ্গে পড়লে আর সমস্যা কোথায়?

তাই তো, তোমার তো কোনো সমস্যা থাকবে না। তোমার নিজের মানসিকতাও তো বস্তির মতো। তোমার কাছে তো এই ছেলেকে রাজপুত্র মনে হবে। সবাই ওপরের দিকে তাকায় আর আমার মেয়েরা কতটা নীচে নামা যায়, সেই চেষ্টা করতে থাকে। ছিঃ।

ছেলেটার নাম কী? তুমি ছেলেকে দেখেছ, নাকি না দেখেই এইসব হাবিজাবি কথা বলে যাচ্ছ?

দেখে কী করব আর দেখবই বা কেন? “দিন আনে, দিন খায়” এইসব মধ্যবিত্তদের সঙ্গে আমাদের কী সম্পর্ক? অরণীর জন্য বাড়ির গেটে চারটা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে আর অরণী যদি ঐরকম কোনও ফ্যামিলিতে যায়, ওরা পারবে তোমার মেয়ের মর্যাদা দিতে? এরা তো আমাদের মেয়ের সিএনজিতে, বাসে চড়িয়ে ছাড়বে। অরণী কোনোদিন পারবে এমন ফ্যামিলিতে অ্যাডজাস্ট করতে? কখনও সম্ভব, তুমি বলো? তুমি পারবে ঐ ফ্যামিলিতে মিশতে?

ফাহাদের কাছে মনে হল, পূনম একেবারে ভুল কথা বলছে না। তাঁর দুই মেয়ের কেউই বিলাসিতা পছন্দ করে না; কিন্তু তারা তো বিলাসিতার মধ্যেই বেড়ে উঠেছে। রিকশা, বাসে চড়তে কেমন লাগে, এরা বলতেই পারবে না। হুট করে মধ্যবিত্ত কোনও পরিবারে গিয়ে অরণী কী আসলেই মানিয়ে নিতে পারবে?

ফাহাদ, পূনমকে বললেন, আমি অরণীর সঙ্গে কথা বলব। আমি আগে অরণীর কাছে সবকিছু শুনে নিই। তারপর তোমার সঙ্গে কথা বলব।…………………..

** আমার পরবর্তী বই “চলে যায় বসন্তের দিন” এর প্রি-অর্ডার চলছে। প্রিয় পাঠক, আপনারা আমার আইডি, পেইজ আর ছাপাখানা প্রকাশনী থেকে প্রি-অর্ডার করতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here