#ভাগ্যবতী
#লাবিবা_তানহা_এলিজা
#পর্ব_৯
সাদ রেগে গিয়ে দাত কিরমির করে বলে, ” হাউ ডেয়ার ইউ? আমার রুমে ঢুকার স্পর্ধা হয় কি করে তোমার?”
” আআআমিই কফি দিতে আসছি। ”
” তুমি কেনো কফি আনবে? জমিলা কোথায়? ”
” বড়মা আমাকে আপনার কফি দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। ”
” ও রিয়েলি?? সত্যি সত্যি তুমি ঝি গিরি শুরু করে দিয়েছো। সে তুমি যাই করো না কেনো আমার কফি জমিলা নিয়ে আসবে তুমি নও। কানে গিয়েছে কথাটা? কফি দাও আমার। ”
বলেই হাত থেকে মগ টা নিয়ে নেয়। চুমুক দিতে যাবে তখন দেখে হাফ মগ কফি। সাদ থমকে যায়। জিহবা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়। এদিক ওদিক তাকিয়ে মাথায় হাত বুলায়। স্বভাবিক ভাবে জিজ্ঞাসা করে,
” কফি কে খেয়েছে? ”
” আআআমিই খেয়ে ফেলেছি। ”
” তুমি আমার জন্য কফি এনেছো দেন হাফ মগ কফিও খেয়ে ফেলেছো। নিজের মুখ লাগিয়েছো তারপর তুমি আমাকে খেতে দিচ্ছো। তোমার মুখ লাগানো কাপ.. এটো কফি খাবে এই সাদমান শেখ ..তাইতো? ”
” সরিই…. তবে একটা কথা কফিটা তেতো ছিলো। ”
সাদ মগটা ফেলে দিয়ে পূরবীকে ধাক্কা দিয়ে দেয়ালে ঠেকিয়ে চোখে চোখ রেখে বলে, ” কোনটার জন্য সরি?”
” আল্লাহ। আমি সরি। ” পূরবী রীতিমত কাপছে।
” কোনটার জন্য? তোমার মতো মেয়েদের না আমার চেনা আছে বুঝলে? তোমরা দুখী ভাব নিয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলবে তারপর তার থেকে সহানুভূতি আদায় করবে তারপর ঘাড়ে চেপে বাড়িতে আসবে দুদিন থেকে বড় একটা চুরি করে পালাবে। ভালো মেয়ে মনে করে হেল্প করতে গেলাম। এখন উল্টো আমার উপরেই আঙুল নাড়াচ্ছো। ” আঙুল তুলে শাসিয়ে শাসিয়ে বলে সাদ। পূরবীর চোখ থেকে টুপ টুপ করে জল পড়ছে।
” আআআআমি চোর নই ।”
” তুমি একটা বজ্জাত মেয়ে। ছলনাময়ী। ছলনা করে আমার ঘাড়ের উপর উঠে বসেছো। এই মূহুর্তে আমার চোখের সামনে থেকে চলে যাও। গেট লস্ট।”
লাস্টের ধমক খেয়ে পূরবী জোরে জোরে কেঁদে ফেলে ঠায় দাঁড়িয়ে। সাদ ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় পূরবীর কান্না দেখে।
” এই মেয়ে কাদছো কেনো? এটা আমার বাড়ি ওকে? যখন তখন কাদবেনা বলে দিচ্ছি। শব্দ দূষণ একদম পছন্দ করিনা আমি। চুপ করো বলছি।”
পূরবীর চুপ করার নাম নেই। কান্নার শব্দে নিচ থেকে মমতা চলে আসে। দরজা খুলা দেখে ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ। পূরবী দেয়ালের সাথে কাঁচুমাচু হয়ে কাদছে আর তার সামনে দাঁড়িয়ে সাদ টাওয়েল পড়ে…
” সাদ। কি করেছো তুমি ওর সাথে? তোমার এই অবস্থা কেনো? ”
” মা.. মা.. আই ডিড নাথিং.. ট্রাস্ট মি আই ডিড নাথিং ” বলতে বলতেই প্যান্ট নিয়ে বাথরুমের দিকে ছুটে। মমতা এসে পূরবীকে ধরে। পূরবী কাপছে।
” ভয় পেয়েছো? পূরবী? ”
পূরবী মাথা নাড়ায়।
” কি করেছে সাদ তোমার সাথে?আনসার মি। ”
” কিছুই করেনি।উনার ধারনা আমি চুরি করে পালিয়ে যাবো। আমি খারাপ মেয়ে।”
মমতা যেনো রেহাই পায়। না তার এতোকিছু ভেবে ফেলা উচিত হয়নি। তার ছেলে যথেষ্ট ভদ্র। পূরবীও অনেক ভালো মেয়ে। ধমক খেয়ে ভয় পেয়ে গেছে মনে হয়। পূরবীকে সাথে নিয়ে চলে আসে মমতা।
পূরবীর জন্য বরাদ্দ রুমে এনে বসায় পূরবীকে। পূরবী এখনো হিক তুলে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পর পূরবী শান্ত হয়। মমতা মাথায় হাত বলে, ” পূরবী নিশ্চয় কিছু একটা হয়েছে যার কারনে সাদ তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। ফ্লোরে ভাঙা কফিমগ দেখেই বুঝতে পারলাম সাদ ভয়ানক রেগে আছে। আমার ছেলে বলে বলছিনা সাদকে আমার শিক্ষায় বড় করেছি। আমার বিশ্বাস সে তোমার সাথে খারাপ কিছু কখনোই করবে না। করতে পারে না। তুমি ভয় পেও না । সংকোচ দূর করার চেষ্টা করো। সাদের সাথে যা নিয়ে তোমার সমস্যা হয়েছে মিটিয়ে নাও। কারন এখন থেকে তোমাকে আমাদের সাথেই থাকতে হবে। ”
পূরবী মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানায়। মমতা চলে যেতেই দরজা বন্ধ করে দেয়। নিজের ছোট্ট কক্ষে একবার চোখ বুলিয়ে বলে , সমস্যা মেটাতে গেলে যে আশ্রয়টুকু হারাতে হবে বড়মা। রাস্তার কুকুর বেড়াল ছিড়ে খাবে। শেষ হয়ে যাবে পূরবী। একটু বেঁচে থাকার আশায় নাইবা হলাম ছলনাময়ী। আমিযে জোর করে এ বাড়িতে এসেছি তা আপনাকে না বলতে পারার জন্য আই এম সরি। ”
নূরা দেখতে এসেছে পূরবীকে। এসে প্রথমেই সাদের রুমে চলে এসেছে। এটা তার বরাবরের অভ্যাস। এমনো দিন গিয়েছে যে সকালে এসে স্কুল কলেজ যাওয়ার জন্য সাদকে বিছানা থেকে টেনেটুনে নামাতে হয়েছে। ঘুমে ঢুলু ঢুলু ছাদকে ধরে রাস্তা হেটে স্কুলেও পৌঁছে গেছে। রাস্তা আর কফির ব্যপারটা শুনতেই নূরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। সাদ রেগে মেগে আগুন। ধমকে বলে, ” তোর হাসি বন্ধ করবি প্লিজ? কেনো এসেছিস সেইটা বল। ”
নূরা নিজেকে কন্ট্রোল করে বলে, ” আমার কাজিন এ বাড়িতে আছে । এখন যদি আমি দেখতে না আসি খোঁজ খবর না নেই তখন ধরা পড়ে যাবো না? আন্টি তো বলবে কেমন বোন তুমি আমার কাছে রেখে গিয়ে আর খোঁজ খবর নিলে না? ”
” যত তাড়াতাড়ি পারিস একটা ব্যবস্থা করে বিদায় কর আমার বাড়ি থেকে। আমি আর নিতে পারছি না একে। ভাবতে পারিস ওতগুলো লোকের সামনে কিভাবে আমাকে ফাসিয়ে দিলো? আমার বউ নাকি ও? পুরো নাটকবাজ বজ্জাত একটা মেয়ে । না জানি কজনের সাথে এমন নাটক করে ঠকিয়েছে। সুন্দরী মেয়েদের এজন্য বিশ্বাস করতে নেই। ”
” তুই যেমনটা ভাবছিস তেমনটা নাও হতে পারে। মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রথম বস্তুটা কি জানিস? ফুড এন্ড দেন শেলটার। মুখে দুটো ভাত আর মাথার উপর একটা ছাদ পাবার জন্য মানুষ কত কি না করে! পূরবী নয় একটু নাটক ই করলো। ”
” তুই ওকে সাপোর্ট দিচ্ছিস? ”
” তো কি করবো? নিজের বাসায় নিয়ে যাবো ভবিষ্যত সতীন হিসেবে? হোস্টেলে দিয়ে আসবো ওর জীবনটা কাটাময় করে তুলতে? নাকি রাস্তায় ফেলে দিবো ফুলের মতো শরীরটা নরপশুদের দিয়ে খাওয়াতে। ”
সাদ চুপ করে যায়। নূরার থেকে চোখ ঘুরিয়ে নেয়। হুটহাট নূরা যে এমন কথা বলবে ভাবতেও পারেনি। নূরার কথাগুলোর সত্যতা নিশ্চিত। বিছানায় বসে দু হাতে দু মুঠ চুল টেনে ধরে নূরার দিকে তাকিয়ে বলে,
” মা এতো সহজেই মেয়েটাকে থাকতে দিলো। এরকম তো কখনোই মা করবেনা। অনেকেই মার কাছে আসে। মা আগে ভালোভাবে টেষ্ট করে দেন শেলটার দেয়। পূরবীকে কেনো এককথায় শেলটার দিয়ে বসলো? স্ট্রেঞ্জ।”
” আমার কাজিন শুনে কিছুই করার প্রয়োজন বোধ করেনি। স্বজনপ্রিয়তা বড় ব্যপার।
নূরা উঠে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। মমতার কাছে গিয়ে দরজায় টুকা দিয়ে বলে, ” আন্টি আসবো? ”
” হে নূরা আসো। তো কি খবর? ”
” এইতো ভালো আন্টি। পূরবীর জন্য এলাম।”
” দেখা হয়েছে? ”
” না এখনো যাইনি ওর কাছে। ”
” আন্টি বলছিলাম কি ..পূরবী কয়েকটা দিন এখানে থাকলে কি সমস্যা হবে? মানে ওর বাবা কাকা খোজা খোজি করছে। ওনারা খুব ডেঞ্জেরাজ। আমার আত্মীয় তো আমি চিনি। পূরবীকে পেলেই ঐ ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে। ”
” তুমি তো তোমার অনান্য রিলেটিভদের বাসায় রাখতে পারতে ওকে। সাদের বাসায় কেনো পাঠালে? তোমার কি মনে হয়না পূরবীর মতো একটা সুন্দর মেয়েকে ছেলেদের থেকে দূরে রাখা উচিত সে যতই তোমার বিশ্বস্ত হোকনা কেনো। ”
” আ. আমি আন্টি আসলে সাদকেই তো বেশী বিশ্বাস করি তাই আর কি তাছাড়া তুমি তো আছোই। ”
” আমি আছি নূরা। পূরবীকে আমার কাছেই রাখছি। আর তোমার বলা মিথ্যার জন্য তোমাকে ধিক্কার জানাচ্ছি। ”
” আন্টি?? ”
” পূরবী সবটা বলেছে আমাকে। আমাকে মিথ্যা বলা তোমার উচিত হয়নি। ”
” আন্টি. .আমি আসলে.. আসলে ঐ মূহুর্তে সত্যিই কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। আর ঐ মূহুর্তে সত্যি টা বললে তুমি রাজি হবে কিনা সেটা নিয়েও কনফিউশন ছিলো। আমি সরি আন্টি। প্লিজ ফরগিভ মি। প্লিজ। আর হবেনা এমন। প্রমিজ ।”
মমতা মৃদু হেসে বলে, ” ওকে। পূরবীর সাথে দেখা করে যেও।আমি পূরবীর দায়িত্ব নিচ্ছি। ”
” থ্যাংকস আন্টি। বাট তোমার ছেলেটা ওকে তাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ও যেনো কখনো সাক্সেস না হয় ।”
” সে দেখা যাবে। ”
” আমি পূরবীর কাছে গেলাম আন্টি। ”
” যাও। ”
নূরা পূরবীর কাছে আসে। পূরবী নূরাকে দেখেই আপু বলে জড়িয়ে ধরে। নূরা হাসতে হাসতে পূরবীর মাথায় হাত বুলিয়ে আদর দেয়। একদিনেই কতো আপন লাগছে পূরবীকে। নিজের ছোট বোনের মতো মনে হচ্ছে। পূরবী রুমটা চোখ ঘুরিয়ে দেখে নেয়। পূরবীর মাথা তুলে বলে,
” বাহ দারুন একটা রুম পেয়েছো তো। খুব সাজানো গোছানো। আমার আগে এই রুমে আসা হয়নি। এটা মূলতো এক্সটা একটা রুম। ”
” জি আপু। আমার অনেক ভালো লেগেছে । খালাকে বলে প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো আনিয়েছি। তারপর পুরোটা রুম নিজের হাতে গুছিয়েছি। ”
” বাহ। তুমি তো অনেক লক্ষী মেয়ে। কোন প্রয়োজন হলে বা কাউকে কিছু না বলতে পারছো না এমন প্রবলেম হলে আমাকে ইনফর্ম করবে। এমনিতেই আন্টি অনেক হেল্পফুল এন্ড ফ্রি মাইন্ডেড। বাই দ্যা ওয়ে পূরবী তুমি সাদের রুমে গিয়েছিলে? সাদের রুমটা কেমন লাগে তোমার? ” নূরার মুখে মিটি মিটি হাসি ফুটে উঠেছে।
” মি. ডাক্তারের রুমটা বিশাল বড়ো। সাথে এডজাস্ট বাথরুম এবং বেলকনিও আছে দেখলাম। আজ সকালেই উনার রুমে গিয়েছিলাম। উনার রুমের মতো আমার বাড়িতে আমার রুম ছিলো। তবে একটুখানি ছোট। নড়েচড়ে সানন্দে চলাফেরা করা যায়। ডিনারের পর পায়চারিও করা যায়। কয়েকবছর থেকে সেই রুমটা আর আমার নেই।
”
মন খারাপ করে ফেলে পূরবী। তার চোখদুটো ছল ছল করছে। নূরার বুঝতে দেড়ি হয়না যে পূরবী তার বাবার বাড়ির কথা বলেছে। নূরা যে তার মামার বাড়ি থাকে কয়েকবছর থেকে তা আগেই বলেছিলো। নূরা চটপট কথা ঘোরায়।
” জানো পূরবী সাদ আর আমার ফ্রেন্ডশীপ ক্লাস সিক্স থেকে। আমরা দুজনেই দুজনকে ছাড়া চলতে পারি না। একচুয়েলি চলতে চাই না। আমাদের ভিতরে একটা আত্মার সম্পর্ক। অনেক বছর একসাথে থাকার পর আমার জীবনে বিজয় আসে। প্রথমদিকে আমাদের বন্ধন দেখে বিজয় একটু হাস ফাস করেছে তবে আমার কাছে প্রকাশ করেনি। যখন বুঝতে পেরেছে সাদ আমার জীবনের কতটুকু জুড়ে আছে আর সাদের জন্যই সে আমাকে তার জীবনে পেয়েছে তারপর থেকে সে পুরো নিশ্চিন্ত।সেই গল্প তোমাকে পরে বলবো। আমার দিক থেকে কোন ঝামেলাই রইলো না। কিন্তু ঝামেলা হবে সাদের বউকে নিয়ে। পাত্তা না দিলেও এটাই সত্যি মেয়েরা একটু সন্দেহ ভজন হয়। তাদের মনে একটু হলেও ঈর্ষা কাজ করে। ধরো হুট করে একটা মেয়েকে সাদ বিয়ে করে আনলো তখন সে আমাদের বন্ধুত্ব টাকে ভালো চোখে নাও দেখতে পারে। যখন তখন আমি সাদকে পাবো না। এইযে এসেই যে আমি তার রুমে যাই সেটাও যেতে পারবো না।আমাদের বন্ধুত্বের মধ্যে অনেকভাবেই ফাটল ধরার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে আমার তোমার মতো একজন প্রয়োজন। না তোমাকেই প্রয়োজন। তুমি বরং সাদের বউ হয়ে যাও। তাহলে আমি নিশ্চন্ত হবো। তুমি যেহেতু আমাদের সম্পর্কে জানো আর আমাকেও ভালোবাসো সেহেতু ননদ হিসেবে বলো বন্ধু হিসেবে বলো মেনে নিতে কোন প্রবলেম ই হবে না। তোমার সাথে সাদের বিয়ে হলে তো আমি যখন তখন তোমাদের দুজনকেই পাবো। ফ্রিলি চলতে পারবো। তুমি সাদকে বিয়ে করে নাও বুঝলে। কয়েকদিন পটানোর চেষ্টা করো এমনি এমনি পটে যাবে। ”
” এসব কি বলছো আপু? আআআ আমি কেনো বিয়ে করবো? মি.. ডাক্তার… আমি না এটা সম্ভব না। ”
পূরবীর কাপা দেখে নূরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়া অবস্থা। পূরবী ঠোঁট চৌখা করে তাকিয়ে থাকে। নূরা হাসি থামিয়ে বলে,
” রিলাক্স পূরবী। আমি মজা করছিলাম। তুমি আমাদের ছোট বোনের মতো ।ছোট বোন হয়েই থাকো। ”
পূরবী চোখ বন্ধ করে শ্বাস ফেলে। নূরা মুচকি হেসে বলে,
” আমি সত্যিই মজা করছিলাম পূরবী তোমার রিয়েকশন দেখার জন্য। কিন্তু মিথ্যা বলিনি। এটা বাস্তবতা। জীবনে ছোট মনের কারো আগমনে বহু বছরের বন্ধুত্ব নিমেষেই নষ্ট হয়ে যায়। ”
নূরার হাসি হাসি মুখটা চুপসে যায়। পূরবী মাথা নাড়িয়ে বলে, ” বাবুকে নিয়ে আসোনি? ”
” মার কাছে রেখে এসেছি। ”
” কত বছর বাবুর? ”
” এক বছর নয়মাস মাস পাঁচদিন। ”
” অনেক কিউট। ”
” হুম ।”
চলবে,