বাদামী সংসার
পর্ব ৪৪

দীর্ঘদিন পর অফিসে নীলাক্ষীকে দেখে কলিগরা সকলেই একবারের জন্য হলেও চোখ তুলে তাকাচ্ছিল। নিজের চেয়ারে বসার পর থেকেই একটার পর একটা জেরার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নীলাক্ষী কারও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না। একটা দরখাস্তে মাত্র কয়েকটা লাইন লিখে এমডি স্যারের চেম্বারে জমা দিয়ে এসেছে। স্যার নীলাক্ষীকে কিছুই বলেননি। হয়তো সব রাগ একসাথে ঝেড়ে দেবেন, যেটার সময় এখনো আসে নি। কিংবা হতে পারে স্যার নীলাক্ষীর ব্যাপারটা ভুলে গিয়েই শান্তি পাবেন।

কাজে মন বসছিল না কিছুতেই। অসংখ্য কাজ জমা হয়ে আছে। সবকিছু বুঝিয়ে নিতেই দুপুর পেরিয়ে গেলো। দুপুরের পর ভীষণ বিষণ্ণতা চেপে বসলো বুকের ভেতর। অনেক কষ্টেও বিষণ্ণতা কাটাতে পারছিল না নীলাক্ষী। নিজের কাজগুলো শেষ করে শান্ত ভঙ্গীতে বসে রইলো। অফিস ছুটির পর রাস্তায় এসেই সিএনজি ডেকে নিলো নীলাক্ষী। চালক “কোথায় যাবেন” জিজ্ঞেস করলে উত্তরে শ্বশুরবাড়ির ঠিকানা বলে দিলো। পরক্ষণেই মনে পড়ে গেল এই ঠিকানায় সে আর থাকে না। তার বদলে যাওয়া ঠিকানা কেবল ক্ষণিকের জন্যই ছিল।

বাড়িতে ফিরে মাকে জড়িয়ে ধরে নীলাক্ষী বলল, “কি রান্না করেছো আজ? কতদিন বাড়ি ফিরে তোমাকে এই প্রশ্ন করি না।”
“তুই হাতমুখ ধুয়ে আয় মা। ভাত দিচ্ছি। বেগুন দিয়ে ইলিশ মাছ রেঁধেছি।”
“উফফ আমার পছন্দের খাবার এটা। আচ্ছা আম্মু, তোমার বিয়ের পরের গল্প বলবে আমাকে?”
“কী গল্প শুনতে চাস? সব তো জানিস।”
“সব জানি না। তুমি সব বলেছো নাকি? এই ধরো আব্বু তোমাকে কেমন ভালোবাসতো, ঝগড়া হতো কি না, এসব।”
“ধুর পাগলী। যা ফ্রেশ হ। আমি খাবার দেই।”

নীলাক্ষী নিজের ঘরের দিকে পা বাড়াল। মা পেছন থেকে বলে উঠলেন, “জামাই কল দিয়েছিল।”
চমকে উঠলো নীলাক্ষী। স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। অম্লান তার ফোনে কল না দিয়ে সরাসরি মায়ের ফোনে কল দিয়েছে, বিষয়টা ভাবতে বাধ্য করলো ওকে। সবকিছু বলে দেয় নি তো? নীলাক্ষী মায়ের মুখের দিকে সপ্রশ্ন দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে।
মা বললেন, “আমরা কেমন আছি, এসব জিজ্ঞেস করছিল। তুই অফিসে গেছিস কিনা তাও জানতে চাইলো। তোর ফোনে কল দিয়েছে, নাম্বার নাকি ব্যস্ত। ফোন দিয়েছিলি পরে?”
নীলাক্ষী চমকে উঠে উত্তর দিলো, “হ্যাঁ। ফোন দিয়েছিলাম। তুমি ভাত দাও। আমি আজকে পেট ভরে ভাত খাবো।”
নিজের ঘরে ঢুকে দরজা আটকে দিলো নীলাক্ষী। স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো দরজার সাথে ঠেস দিয়ে। নীলাক্ষী বাসায় এসেছে কিনা সেটা জানার জন্যই ফোন করেছে অম্লান, এটা ওর বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু খারাপ লাগছে, কেন এমন যন্ত্রণা হচ্ছে নীলাক্ষী বুঝতে পারছে না। বুকের ভেতর কিসের যেন তীব্র দহন। ঘামে ভেজা কামিজটা খুলে বিছানার ওপর ছুঁড়ে মারলো নীলাক্ষী। আয়নায় নিজের নগ্ন দেহের দিকে তাকিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠলো। আজীবন যারা সততার সাথে বাঁচে, ঠিক কোনো এক অসৎ লোকের পাল্লায় পড়ে তার সর্বস্ব হারাতে হয়। এটাই বুঝি জগতের নিয়ম।

বাদামী সংসার
লেখা- মিশু মনি

দুটো দিন পেরিয়ে গেলো। যন্ত্রণা এতটুকুও কমে নি। রোজ রাতে বালিশে মুখ গুঁজে হু হু করে কাঁদে নীলাক্ষী। কান্নায় বুক ভেসে যায় ওর। বাবা মা কেউই টের পান না ওর কান্না। একটা বয়সে এসে চোখের জল নিজেকে ছাড়া আর কাউকে দেখানো যায় না।
আজ অফিস শেষ করে নীলাক্ষী শ্বশুরবাড়িতে এলো। দোয়েল দরজা খুলে নীলাক্ষীকে দেখে প্রথমে ভুত দেখার মতো চমকে ওঠে। অবাক হয়ে বলল, “এ কি রে! তুই কোথ থেকে? এই অবেলায়..”
দোয়েলের কথা ফুরাবার আগেই নীলাক্ষী ওকে জাপটে ধরে বলল, “ভাবী, কেমন আছো তুমি? তোমাকে ভীষণ মনে পড়ছিল গো। মা কেমন আছে?”
“আহা রে আমার পাখিটা। তুই অনেক শুকাই গেছিস নীলু। ওখানে কি খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করিস নি?”
“করেছি তো। ভেতরে চলো। মাকে দেখবো।”
“মা তো বাসায় নেই, বাইরে গেছে।”
বাঁকা চোখে তাকালো নীলাক্ষী, “তাহলে আমি দেখা করবো না?”
“আজব কথা। তুই কি এখনই চলে যাচ্ছিস নাকি? আচ্ছা তুই কবে এলি ঢাকায়? দেখে তো মনে হচ্ছে আগেই এসেছিস। অফিস থেকে ফিরলি?”
“হ্যাঁ। বাসায় উঠেছি। আব্বু আম্মুকে খুব মিস করছিলাম, সেজন্য। মাত্র দুদিন হলো এসেছি। অফিসে যা ঝাড়ি খেয়েছি ভাবী, কী আর বলবো!”
“সে তোমাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে ম্যাডাম। চেহারাটা একদম শুকিয়ে কাঠ। গায়ের রংটাও তামা হয়ে গেছে পুরা। অম্লানকে আজ আচ্ছা বকে দেবো আমি।”

নীলাক্ষী ধীরপায়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। চারপাশে তাকাতেই শরীরটা ঝনঝন করে উঠলো ওর। এই লিভিং রুমটা ওর বড্ড আপন। সেই বিয়ের পরেরদিন, ঠিক এই জায়গাটায় দাঁড়িয়ে অম্লান বারবার ওকে দেখছিল। হাসাহাসি করছিল ওর বন্ধুরা। প্রায়ই রাত্রিবেলা দুজনে সোফায় বসে টেলিভিশন দেখতো, কখনো পরিবারের সবাই মিলে হতো জম্পেশ আড্ডা। সব আগের মতোই আছে। অথচ এই বাড়িতে দুজন মানুষ এখন থাকে না!
এটেল মাটির কাঁদার ভেতর ডুবে যাওয়ার মতো পা থমকে গেছে নীলার। ভেতরে যেতে পারছে না সে। রান্নাঘরের দরজা, দেয়ালে টাঙানো ছবি, সবকিছু ওকে স্বাগত জানাচ্ছে যেন। নিজের ঘরে কীভাবে যাবে ও! ওর সাধ্য নেই ঘরে যাওয়ার।
দোয়েল নীলাক্ষীর হাত ধরে তার নিজের ঘরে নিয়ে এলো। দোয়েলের হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে দেখে নীলাক্ষী ওকে বিব্রত করলো না। ছুটে গেল দাদীর সঙ্গে দেখা করতে। অনেকদিন পর দাদীকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল নীলাক্ষী। দাদী নীলাক্ষীর মুখের দিকে অনেক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন, “সবকিছু শেষ হয়ে গেছে?”
নীলাক্ষীর শ্বাস রুদ্ধ হয়ে এলো। বিস্ফারিত চোখে সে দাদীর দিকে তাকালো। দাদী শান্ত গলায় বললেন, “তোকে আর ভালোবাসে না?”
চারপাশে সবকিছু থমকে আছে। একটু আগেও বাতাসে নড়ে ওঠা জানালার পর্দাটাও স্থির হয়ে গেছে। বোধহয় ঘড়ির কাঁটারও শক্তি নেই চলার।
দাদী নীলাক্ষীর হাত ধরে বললেন, “তোর চোখ এমন হইছে ক্যান? শরীর এমন হইছে ক্যান? ঘুমাস নাই রাতে? সব শেষ কইরা ফেলছোস পোড়া কপালি?”
নীলাক্ষী দাদীর কোলে মাথা রেখে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। দাদী ওকে বাঁধা দিলেন না। থমকে যাওয়া সমস্তকিছু দুলতে শুরু করলো। এবার একটু বেশিই জোরে দুলছে। এই বুঝি দুলতে দুলতে সবকিছু ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে।
প্রায় মিনিট দশেক কান্নার পর থামলো নীলাক্ষী। দোয়েল ওর কান্নার শব্দ শুনে দরজায় এসে দাঁড়িয়েছে। কৌতুহলী চোখে নীলাক্ষীর দিকে তাকিয়ে আছে দোয়েল। নীলাক্ষী চোখ মুছে বলল, “আমার অপরাধ আজও বুঝতে পারলাম না দাদী।”
দাদী একটা নিশ্বাস ফেলে বললেন, “তোদের দেইখাই আমার ভয় লাগত রে। মনে মনে ভয় পাইতাম কোনদিন না জানি অম্লান বদলাইয়া যায়। ও আসলে ওই একটা মাইয়া ছাড়া আর কাউরে কখনো চিন্তাতেও নিয়ে আসে নাই। আমরাই তোর জীবনটা নষ্ট কইরা দিলাম।”
নীলাক্ষী আর কাঁদছে না। ওর কষ্ট হচ্ছে, ভয়ংকর রকমের কষ্ট। কিন্তু বেশী কষ্টে মানুষ পাথর হয়ে যায় বলে একটা কথা থাকে। নীলাক্ষী নিথর হয়ে বসে রইলো।
দোয়েলের নির্নিমেষ চোখে পলকও পড়ছে না। অশ্রুতে ভিজে উঠছে চোখ। ছলছল চোখে সে নীলাক্ষীর দিকে তাকিয়ে রইলো। নীলাক্ষী হাসিমুখে বলল, “ভাবী, আল্ট্রা করছো?”
দোয়েল নীলাক্ষীর কাছে এগিয়ে এলো। ঝাপসা চোখে দেখতে পাচ্ছে সিক্ত চিবুকেও মেয়েটার মুখে হাসি। এই হাসি দোয়েলের চেনা। এতগুলো বছর ধরে সে-ও একই রকম হাসি হেসেছে। ভেতরটা যখন ব্যাথায় কাতরাচ্ছিল, তখনও মুখে হাসি ধরে রেখেছিল সে। আজ সেই বিভীষিকাময় হাসি নীলাক্ষীর ঠোঁটে!
দোয়েল নীলাক্ষীর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো। নীলাক্ষী ওর হাত চেপে ধরে বলল, “মাকে কিছু বোলো না প্লিজ। উনি শুনলে অনেক কষ্ট পাবেন।”
“নীলু, তুই যেদিন হুট করে আমাদেরকে বললি, আজ রাতের বাসে আমি টেকনাফ যাবো; আমি সেদিনই এই আশংকা করেছিলাম।”
“আমি অনেক বোকা গো ভাবী। আমিই বুঝতে পারি নি। যাইহোক, আমি বাসায় যাবো। মা আসলে বলে দিও আমি ঢাকায় এসেছি। আরেকদিন আসবো মাকে দেখতে।”
দোয়েল নীলাক্ষীকে জড়িয়ে ধরে বলল, “আজকে থেকে যা। এটা তোর বাড়ি, তোর সংসার। তুই এখানেই থাকবি। কোথাও যাস না।”
“একা একা সংসার হয় ভাবী?”
দোয়েল একটা নিশ্বাস ফেলে বলল, “হয়। ছেলেদের জন্য সংসার করতে নারী লাগে। মেয়েদের জন্য লাগে না রে। দেখিস না, পাশের বাড়িতে মিতালী ভাবিকে রেখে ওর স্বামী ছয় বছর ধরে দেশের বাইরে। দুইটা বাচ্চাকে নিয়ে মিতালীর কী যে কষ্টের জীবন। স্বামী নেই, কোনো পুরুষ মানুষ নেই বাসায়। একবার এই বাচ্চা কাঁদে, আরেকবার ওই বাচ্চা সবকিছু ভেঙে ফেলে। এতকিছু সামলে, কাজের মেয়ের মতো বাসার সব কাজ করে ভাবী কেন পড়ে আছে এখানে? কারণটা হচ্ছে সংসার। স্বামী ছাড়াও সংসার হয় রে। যাদের স্বামী মারা গেছে, তারাও স্বামীর ভিটায় পড়ে থাকে। যার ডিভোর্স হয়ে গেছে, সে বাচ্চা নিয়ে পথে পথে ঘুরে, তাও সংসারেই থাকে। সংসার থেকে মেয়েরা কোনোদিনও বের হতে পারে না। একটা ছেলে চাইলেই সংসার থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। হুট করে যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারে, হুট করে বউকে ছেড়ে দিতে পারে, আরেকটা বিয়ে করতে পারে। কিন্তু একটা মেয়ে এসব পারে না। আমরা জন্মগত ভাবেই অসহায়।”

নীলাক্ষী একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, “হুম। বাদামী সংসার। একটা বাদামকে বাইরে থেকে দেখলে মনেহয় ওখানে জুঁটি বাঁধা বাদাম, কত সুন্দর। অথচ খোসার ভেতরে ওরা সবসময় আলাদা। তোমরা এটাকে সংসার বলো?”
“তাছাড়া আর কী করবি? ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে মানুষ ভালো বলে না রে।”
“সেজন্য কষ্ট নিয়ে পড়ে থাকবো?”
দোয়েল নিশ্চুপ। নীলাক্ষী উঠে দাঁড়াল। ঘর থেকে বের হয়ে বেসিনে গিয়ে মুখ ধুয়ে এলো। দোয়েল এগিয়ে দিলো তোয়ালে। নীলাক্ষী মুখ মুছতে মুছতে বলল, “আমি জীবনে কখনো প্রেম করিনি জানো? কারণ আমার কাছে নারী পুরুষের এই সম্পর্কের বাইরেও জগতটা অনেক বিশাল। পড়াশোনা, ডিবেট, রিসার্চ, বই পড়া, দুনিয়ায় কত কিছু আছে করার মতো। স্কুল জীবনে অনেক কিছু নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। কই প্রেম করতে তো ইচ্ছে হয় নি। সংসার করতে হয় তাই করা, বাবা মা বিয়ে দিয়ে শান্তি পায়, তাই বিয়ে করা। তারমানে এই না যে, সারাজীবন এই সংসারই করা লাগবে। আমি আরও ভালো বেতনের চাকরি করবো। এক লাখ বিশ হাজার টাকা স্যালারি তুলবো, দু তিনমাসের বেতন জমিয়ে ঘুরতে যাবো থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ। দুনিয়াতে যত ভালো খাবার আছে, সব খাবো। সামনে যে দরিদ্রকে পাবো তাকেই সহায়তা করবো। জীবনে কত কী আছে করার মতো…”

কথাগুলো বলতে বলতে হাঁফিয়ে উঠলো নীলাক্ষী। দাদী নীলাক্ষীর হাত ধরে বললেন, “শান্ত হ বোন। দোয়া করি আল্লাহ তোকে অনেক সুখী করুক।”
“তোমাদেরকে আমি কিছু বলতে চাইনি। তুমি নিজেই বলেছো। ভালো করেছো। কিন্তু এইসব কথা আর কাউকেই বলবা না তোমরা। ‘বেশি বেশি প্রেম বেশিদিন টেকে না’, মানুষের এসব কথা আমি শুনতে চাই না।”
“ঠিক আছে। তুই কিছু খা।”
“দাদী, তুমি আমার সাথে ঘুরতে যাবা? এই ঘর ছেড়ে তো কোথাও বের হও নি কখনো।”
“হ যাবো। এখন যা, ফ্রিজে মিল্কশেক আছে নিয়া আইসা খা। মাথা ঠান্ডা কর।”
নীলাক্ষী ছুটে বেরিয়ে গেলো। রান্নাঘরে ঢুকে আরেক দফা ধাক্কা খেলো সে। এই ধাক্কা দ্রুত সামলে নিলো নীলাক্ষী। কোনোদিকে না তাকিয়ে ফ্রিজ খুলে একটা বোতল হাতে নিয়ে ছুটে এলো দাদীর ঘরে। ঘন্টাখানেক দাদী ও দোয়েলের সাথে সময় কাটিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। নিজের ঘরের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠছিল। দরজা খুলে একবার ঘরটা দেখার ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখলো নীলাক্ষী। সেচ্ছায় আর কষ্ট পেতে চায় না সে। সামনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। বিশাল জীবন পড়ে আছে তার সামনে।

চলবে..

/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here