বন্ধ_দরজায়_তুমি🖤Part: 47
#Written_By_Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr [ Mêhèr ]
…..

🖤…

সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ না খুলেই শোয়া থেকে বসতে যায়। কিন্তু কিছু একটাতে আটকে যায়। তাই আবার বিছানায় মুখ গুঁজে শুয়ে পরে। কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছে না। একবার এপাশ তো আরেকবার ওপাশ। কিন্তু দুঃখ জনক ভাবে কোনপাশেই ফিরতে পারছে না। যেন কেউ দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছে। একপ্রকার অসহ্য হয়েই তুর উঠতে গেল কিন্তু পারল না। উল্টে জোর করে উঠতে চাওয়ার কারনে পরে নাকে প্রচন্ড ব্যাথা পেল। তুর নাকটা ঘষতে ঘষতে বিরক্তি নিয়ে চোখ খুলল। চোখ খুলতেই চোখের সামনে গোলাপিবর্নের ফর্সা শক্ত মেঝে আবিষ্কার করে। যাতে ও শুয়ে আছে। কিন্তু এমন কোন টাইলস হয় বলে জানা ছিল না। কারন জায়গাটা উঁচু-নিচু। তুর কিছুটা ভ্রু কুঁচকে উপরের দিকে তাকাতেই তীব্রের মুখ দেখতে পায়। বুঝতে পারে যাতে ও শুয়ে আছে সেটা কোন টাইলস নয় তীব্রের বুক। ব্যাপারটা চিন্তা করেই যেন তুরের মাথায় যেন বাজ পরে। ও এবার পুরোপুরি খেয়াল নিয়ে নিজেকে দেখে।একই চাদরে নিচে ও তীব্রের খালি বুকের উপর শুয়ে আছে। বুঝতে বাকি থাকে না কী হয়েছে? দ্রুত নিজেকে ছাড়িয়ে উঠতে চায়। কিন্তু ঘুমের মাঝে বিরক্ত হয়ে তীব্র তুরকে বুক থেকে ফেলে ওপাশ ফিরে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।

এটা দেখে তুরের রাগের মাত্রা যেন কয়েক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যায়। থার্মোমিটারের পারদ যেমন গরম পেলে লাফিয়ে উঠে ও তেমনি নিজের হাই ভোল্টেজ রাগটাকে কন্ট্রোল করতে না পেরে চিৎকার করে উঠে। হঠাৎ এমন চিৎকার সহ্য করতে না পেরে তীব্র ওর মুখ চেপে ধরে উঠে বসে। বেশ বিরক্তির সুরেই বলে, ” সমস্যা কী তোমার? সারাটা রাত জ্বালিয়েও শান্তি হয়নি? এখন সকাল ও নয় যে কাকের মত চেঁচাচ্ছ? ”

তুর রেগে ওকে ধাক্কা দিতেই তীব্র বসা থেকে শুয়ে পড়ে। আর তুর ওর গলা চেপে ধরে।

” আরে কী করছ? ”

” আপনার সাহস কী করে হয় আমাকে স্পর্শ করার? কেন করলেন এমনটা? ” প্রচন্ড চেঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে।

তীব্র তৎক্ষনাৎ ওকে সরিয়ে উঠে বসে। হাপিয়ে বলতে থাকে, ” ঠিক এই কারনেই মেজাজ গরম হয়? কাল আমি নই তুমি আমাকে টার্চ করেছিলে। কী জ্বালানটাই না জ্বালালে। উফফ… ”

” একদম বাজে বকবেন না। আমি আপনাকে জোর করেছি। কচি বাচ্চা আপনি? আমি বলেছি আপনি শুনেছেন? আমি জোর করেছি তাই নিজেকে সেভ করতে পারেনি। নিজে এসব করে এখন আমাকে… ”

কথাগুলো শুনে হাসিতে ফেটে পরে তীব্র। ” আমাকে তোমার কী মনে হয় বলত? আমি তোমার সাথে জোর করেছি? ”

” ঠিক তাই… ” ক্রোধানলে জ্বলছে তুর। আর তীব্র আবুল দৃষ্টিতে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবছে। তাতে তুরের রাগের মাত্রা আরো বাড়তে লাগল। ” এভাবে তাকিয়ে কী দেখছেন? ”

” দেখছি না ভাবছি ( ভাবুক ভঙ্গিমায় ) এটাই ভাবছি কাল রাতে ভালোবাসছি না কেন সেই কারনে তুমি আমাকে মেরেছ পর্যন্ত। আর সত্যি কাল আমি না। তুমি আমাকে ভালোবেসে ছিলে। ”

এটা শুনে তুর নিজের চুল ছিড়তে ছিড়তে বলে, ” একদম বাজে কথা বলবেন না। আপনি আমাকে যা বুঝাবেন আমাকে তাই বুঝতে হবে? আমাকে অবুঝ বাচ্চা পেয়েছেন? ”

কথাটা শুনে চরম বিস্ময়ের ভাব মুখে ফুটিয়ে তুলে নিজের হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বলে, ” তুমি আর বাচ্চা। এতদিন ভাবতাম তুমি ছেলেমানুষ কিন্তু এখন সেই ধারনাও নেই। কাল যা করেছ আমার সাথে। ”

” একদম মিথ্যে বলবেন না। ”

তীব্র মুখে বিরক্তির রেশ ফুটিয়ে বলল, ” বিশ্বাস হচ্ছে না তো… দাঁড়াও দেখাচ্ছি। ”

তারপর কিছু একটা নিতে বিছানা ছেড়ে উঠল। তুরের দিকে তাকিয়ে প্রচন্ড রাগ ফুটিয়ে বলল, ” আমি জানতাম তুমি এমনটাই বলবে? তাই সাক্ষী প্রমান সব রেডি করে রেখেছি। তীব্র কাঁচা কাজ করে না। ”

বলেই মোবাইলটা তুরের সামনে ধরে। ” নিজেও দেখ আমি ভালোবাসতে চেয়েছি নাকি তুমি। ”

মোবাইলের স্ক্রিনে দৃষ্টি দিতেই তুর দেখে ও নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওকে ভালোবাসতে বলছে। তারপর নিজেই তীব্রের কপালে চুমো দিচ্ছে। নিজের এমন কাজে ও বেশ লজ্জা পেল। আর তারচেয়েও বেশি রাগ লাগল তীব্রের উপর। ও রেগে তীব্রের মোবাইল নিতে ধরলেই তীব্র তা সরিয়ে নেয়।

” উহুমম… বোকা পাখি সেটি হচ্ছে না। এটা তো তোমাকে দিতে পারছি না। ”

” ওটা এখনি দিন বলছি… ”

ভ্রুকুঁচকায় তীব্র। ” কেন পুরোটা ফুটেজ দেখার ইচ্ছে হচ্ছে। ”

” দেখুন… ”

” এইটুকু বয়সে তোমার জন্য আর কতকিছু দেখতে হবে আমার? উফফ… ” হাফ ছেড়ে।

এটা শুনে তুর চেঁচিয়ে বলে, ” আমি নাহয় নেশায় ছিলাম তাই এমন করেছি আপনি কেন…. ”

তীব্র ওর কথায় আকাশ থেকে পরার রিয়েকশন দেয়। ” আমি কেন তোমাকে বাধা দেব? যার ভালোবাসা মানে যে বউয়ের ভালোবাসা পাবার জন্য আমি ৭ বছর ছটফট করেছি সে কাল রাতে নিজে থেকে আমাকে ভালোবাসতে বলেছে আর আমি তাকে ফিরিয়ে দেব? বোকা নাকি তুমি?”

” তীব্র…. ”

” একমিনিট। আচ্ছা নেশায় ছিলে মানে। ( হেসে দেয়। ) মানে নেশায় থাকলে কী তুমি সবসময় এমন কর? ”

তুর অগ্নিদৃষ্টি নিক্ষেপ করে। তীব্র তাতে চুপ। ” সরি একটু বেশি বলে ফেলেছি… বাই দ্যা ওয়ে তুমি এতটা রোমান্টিক হতে পারো আমি ভাবতেও পারিনি। ”

” তীব্র… আপনি মোবাইলটা আমাকে দিন। ”

তীব্রের কাছ থেকে মোবাইলটা নেওয়ার জন্য জবরদস্তি শুরু করে। কিন্তু লম্বা হাতের কারনে নাগাল পাচ্ছে না। এক পর্যায়ে নিজের বাহু বন্ধনে আবব্ধ করে তীব্র। ”

” মোবাইলটা দিবেন কিনা? ” তুরের কোন খেয়াল নেই তীব্র ওকে ধরে রেখেছে। তাই তীব্র বলে উঠে, ” কোনটা ছাড়ব? মোবাইলটাকে নাকি তোমাকে? এই এই যেকোন একটাই….”

এবার তুরের খেয়াল আসে… ” আমাকে ছাড়ুন। “

“ তাইলে কিন্তু মোবাইল পাবে না। রাজি আছ। “

কিছুটা শান্ত হয় তুর । তারপর তীব্রের চোখে চোখ দিয়ে বলে ,“ ঠিক আছে তাহলে মোবাইলটাই দিন। ”

“ স্মার্ট উত্তর। মোবাইল পরে না দিলেও পরে তো ছেড়ে দিতেই হবে তাইনা। আচ্ছা যখন বলেছি তারমানে মোবাইল তো দিতে হবেই। তবে মনে রেখ মোবাইল দিলে কিন্তু তোমাকে সহজে ছাড়ব না। রাজি আছ?”

তুর ক্রোধান্তিত চোখে তাকিয়ে আছে। কিন্তু ওর মোবাইলটা চাই। তীব্র কতক্ষন আর ওকে জড়িয়ে ধরে থাকবে। ছাড়তে তো হবেই। তাই অ্যাটিউডের সাথে বলে দিল , “ ওকে ডান। “

ঠোঁটের কোণে তুরের গায়ে জ্বালা ধরানোর বাঁকা হাসি ফুটিয়ে তুলল। ভালো করেই বুঝতে পারছে মোবাইলটা ওর হাতে দিলেই তার দফা রফা করতে চাইবে। কিন্তু কী? সো মুখে হাসি রেখেই তুরকে মোবাইলটা দিল। হাতে মোবাইল পেয়ে তুরের মুখে দাম্ভিক হাসি দৃশ্যমান হলো। চোখের চাহনিতে তা প্রকাশ করল। কিন্তু পর মূহুর্তে তার প্রতুত্তর হিসেবে তীব্র রহস্যময় হাসি দেয়। যার কারন উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলেও পরক্ষনেই তা স্পষ্ট হলো তুরের সামনে। কারন মোবাইল লক করা। যা তীব্র ছাড়া কেউ খুলতে পারবে না। রেগে যায় তুর। প্রচন্ড বেগে ছুড়ে মারে মোবাইল‘টা । কিন্তু কী লাভ? মোবাইল মশাই ভাঙ্গার নাম নিল না। কিন্তু তুরের এই বোকামি দেখে তীব্র হাসিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।

তুর এবার প্রচন্ড রেগে বলে ছাড়ুন আমাকে। ” নিজেকে ছাড়াতে চাইলে আরো শক্ত করে আঁকড়ে ধরে তীব্র ওকে ।

“ সেটা তো হচ্ছে না । তুমি বলেছিলে । “

“ ছাড়ুন ফ্রেশ হতে যাবো। “ অন্যদিকে মুখ ঘুড়িয়ে বলল তুর। তা দেখে বাঁকা হেসে বলল , “ এখন গিয়ে কী করবে? আজ তো তোমার বিয়ে নয় যে তোমাকে তাড়াতাড়ি উঠতে হবে। “

তুর কঠোর চোখে ওর দিকে তাকায়। “ আপনি ছাড়বেন কিনা? ”

তীব্র শান্ত চোখে ওর দিকে তাকিয়ে অ্যাটিউডের সাথে বলে , “ না। ছাড়ব না। তবে যদি আমার শর্তে‍ রাজি হও তবে,,, ভেবে দেখতে পারি। “

“ কখনো না। “

“ ভেবে দেখ । অলরেডি ১১টা বাজে। আর এখনো তুমি আমার সাথে আছ। ব্যাপারটা কী ভালো দেখায়? তাছাড়া দরজায় কয়েকবার নক পরেছে। কিন্তু তোমার জন্য যেতে পারিনি । যেভাবে জড়িয়ে ছিলে ,, “

“ আপনি??”

“ রিলাক্স তুর। আমি শুধু আমার কথা বলেছি। আমার শর্ত মানবে কিনা? আর যদি না মান তার জন্যও ব্যবস্থা আছে। যে ভিডিও আমার কাছে আছে সেটা,,, “

“ কি সেটা ? সবাইকে দেখাবেন? “

হেসে উঠে তীব্র। “ ঠিক তাই। কী করব সেটা পরেই দেখবা । তবে মুল কথা তুমি আমার কথা শুনবা। “

চুপ করে আছে তুর। এটা দেখে তুরের কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায় তীব্র। তারপর ওকে ছেড়ে দেয়। “ যাও তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে। রেডি হয়ে নেও। “

তুর প্রচন্ড বিরক্ত তীব্রের উপর। তুরকে ছেড়ে দিতেই ওকে ধাক্কা দিয়ে চলে যা‍য়। এটা দেখে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকে তুরের যাওয়ার দিকে। নিজ মনে কিছু একটা ভেবে নেয় । তারপর গিয়ে মোবাইলটা তুলে ভিডিওটা দেখে । ৭ মিনিটের ভিডিও। তীব্র হালকা হেসে উঠে। জানত তুর এটা নিয়ে কাহিনি করবে। তুরকে তো এতটুকু জানেই এই মেয়ে কোন মতেই বশ্যতা স্বীকার করবে না। মনে যতই ভালোবাসা থাকুক না কেন? প্রকাশ তো করবেই না বরং এই পাগলামী বাড়াবে।

তুর ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে দেখে তীব্র ওভাবেই বসে আছে। তুর কোন তোয়াক্কা না করে চুল আচরাতে থাকে । হঠাৎ করেই দেখে তীব্র আয়নায় ওর দিকে তাকিয়ে আছে। বেশ অস্বস্তি হচ্ছে তুরের। কিন্তু তবুও এমন একটা ভাব ধরে আছে যেন কিছুই হয়নি। কিছুক্ষন পর ও যখন নিজের নজর সরালো না তীব্র; তখন বেশ রেগে গেল তুর।

“ কি হল ? এভাবে তাকিয়ে দেখছেন টা কী? বুঝতে পারছেন না বিরক্ত হচ্ছি আমি। “

“ তোমাকে কেমন জানো বউয়ের মত লাগছে? “

কথাটা শুনেই তুর আয়নায় নিজেকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে থাকে। কিছুক্ষন দেখার পর তীব্রকে ভৎর্সনা করেই বলে, “ বউ তো আমি তখন ছিলাম যখন আপনি আমাকে বিয়ে করেনি । আর এখনো আছি যখন আপনি আমাকে ডির্বোস দিয়েছেন। সো বউয়ের মত লাগলে তাতে দোষ কী? বউ তো নই। “

তীব্র চুপ। তা দেখে তুর আবার বলে, “ ছাড়ুন । বলে কি লাভ? আপনি তো আমাকে প্রথমেই বলে দিয়েছিলেন আমাকে বউয়ের সব কাজ করলেও কোনদিন বিয়ে করবেন না। তারপরেও শুধু মাত্র নিজেকে শুদ্ধ রাখতে আমাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন । সামাজিক ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন তাই বা কম কিসে? “

এবারো তীব্র চুপ।

“ হোয়াট এভার… সে যাই হোক। যা চলে গেছে , গেছে । কিন্তু একটা কথা আমি বুঝলাম না। কাল এটা কেন করলেন? আই মিন আপনি তো আমাকে ডির্বোস দিয়েছিলেন। তাহলে? আমি তো ভালা না সেইটা সবাই জানে। তাহলে আপনি কেন খারাপ হলেন? “

কথার উত্তর দেওয়ার ইচ্ছে না মানসিকতা তীব্রের নেই। তাছাড়া তুরকে কিছু বলা বা বোঝানো অপাত্রে দান ছাড়া কিছু না । তাই ও কথা না বাড়িয়ে বাথরুমে চলে গেল। তুর ওকে শুনিয়ে বেশ জোরেই বলল, “ আমি তো ভালা না। কিন্তু এটাও বলতে পারছি না ভালা লইয়া থাইকো। তাই সরি। কারন আপনার কপালে ভালা নাই। “

তীব্র ওর কোন কথাই গায়ে মাখল না। ও শাওয়ার নিয়ে একটা কালো টাওজার আর ছাই রঙের টি-শার্ট পরে বাইরে আসে। তোয়ার কাছে যায়। তাইয়্যানের কথা জিজ্ঞেস করলে জানতে পারে ও তুরের বাবা মায়ের কাছে আছে। তারপর ও ডায়নিং এ যায়। আজ রাতেই বিয়ে । বাইরে তার তোর জোর চলছে । তীব্র খাবার টেবিলে যায়। অনেক বেলা হয়েছে। এমনি তেমন খাওয়া হয়নি। ক্ষিদে পেয়েছে। ও টেবিলে বসতেই তায়ান এসে ওর পাশে বসে। সার্ভেন্টরা তীব্রকে খাবার দেয়। আর তায়ানকে তোয়া এসে চা দেয়। তায়ান কোন কথা না বলে চা খেতে খেতে পেপার দেখছে। তবে ব্যাপারটা তীব্রের কাছে ঠিক লাগছে না। কারন দুজনেই মুখ টিপে হাসছে। তখনি সেখানে আগমন ঘটে তুরের। ও ঝড়ের বেগে এসেই বলে, “ আমার ক্ষিদে পেয়েছে। খেতে দেও। “

তোয়া ওর এহেন আচরনে বিরক্তির শ্বাস ছেড়ে সার্ভেন্টদের খাবার দিতে ইশারা করে। তীব্র মাথা নিচু করে খাচ্ছে। কিছুক্ষন পর রিদ্ধ আসে।

“ স্যার আজকে আপনি এত বেলা করে ঘুম থেকে উঠলেন যে আমি তো ভেবেছি আমার বিয়ের আগে আপনার দেখা পাব না। “

কথাটা শুনে তীব্রের মস্তক উঠে গেল। তায়ান আর তোয়া শব্দ করেই হাসল। কিন্তু তীব্র ওদের দিকে দেখতেই দেখে দুজনে নিজেদের কাছে ব্যস্ত হয়ে হাসছে। যেন রিদ্ধ কী বলেছে শুনতে পায়নি। নিজেদের কোন কারনে হাসছে। আর তুরকে দেখে ওর রাগ লাগল। তুর কিছু হয়নি এমন ভাব নিয়ে খাচ্ছে। তাই ও ক্রোধান্তিত চোখে রিদ্ধর দিকে তাকায়। রিদ্ধের চোখে চোখ পরতেই ও বলে উঠে, “ স্যার আপনার ডান থুঁতনিতে কী হয়েছে? “

কথাটা শুনে তীব্র সচকিত হয়ে সেখানে হাত দেয়। ব্যাথার অনুভব হয়। এবার তায়ান আর তোয়ার হাসার ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়। কিন্তু তুরের কোন খেয়াল নেই। রিদ্ধ ওকে আবার জিজ্ঞেস করে, “ কি হলো স্যার? “

তীব্র বুঝতেই পারছে রিদ্ধ হাসি মুখে ওর জান কবচ করার ফন্দি এটেছে। কিন্তু রিদ্ধকে এখন কিছু বলা মানেই ওকে ফোঁড়ন কাঁটার ‍‍‍সুযোগ করে দেওয়া । তবুও তীব্র আরেকটা ব্যাপার চিন্তা করে বলল, “ আসলে কাল অনেক দিন পর জংলি বিল্লির কবলে পরেছি তো । তাই আর ছাড়া পেলাম না। কথায় আছে না অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো না। তাই ভালোবাসার ওভার ডোজ দিয়ে এই অবস্থা । আর কিছু শুনবে “

কথাটা শুনেই সবার হাসিতে নাজেহাল অবস্থা । আর তুর এতক্ষন ডোন্ট কেয়ার ভাব ধরে থাকলেও এবার খাবার গলা থেকে নামাতে পারল না। মস্তকে উঠে গেছে খাবার । তোয়া দ্রুত পানি এগিয়ে দেয়। পানিটা খেয়েই তুর রাগে কটমট করতে থাকে। তা দেখে তোয়া বলে, “ কিরে তুর এত তাড়াতাড়ি তোর ঘুম ভেঙ্গে গেল। তুই তো.. “

“ তুই কি শুনতে চাইছিস বলত? “ ভ্রু কুঁচকে।

“ না না কিছু না। “ আলত হেসে।

এটা দেখে তুর কঠোর কন্ঠে বলে, “ ভুলে যাস না ওনার সাথে আমার ডির্বোস হয়েছে তাই উল্টো-পাল্টা ভাবা বন্ধ কর। “

এটা শুনে রিদ্ধ সন্দিহান হয়ে বলে ,“ সত্যি স্যার আপনি ডির্বোস দেওয়া বিড়ালের আচর খেলেন। “

আবার হাসির রোল পরে গেল। তাতে তোয়া বলে উঠল, “ ভাইয়া ডির্বোস দিয়েছেন তাতে কী? আপনাদের বিয়ে একটা সই দিয়ে হয়েছিল সইয়েই শেষ এখন আবার রিদ্ধর সাথে বিয়ে করে নিলেই তো হয়। “

“ রিদ্ধের সাথে বিয়ে করবে মানে? আমি কী,,, “

“ রিদ্ধ,,,”

“ সরি স্যার,,, “ খিকখিক করে গলা পরিষ্কার করে।

এবার তীব্র তুরের দিকে তাকায় । তারপর বলে , “ তুর বিয়ে করবে আমাকে? “

কথাটা শুনে তুরের হাতের চামচ পরে যায়। তীক্ষ্ণ নজরে ওর দিকে তাকায়। তুর কিছু না বলেই টেবিল থেকে উঠে চলে যায়। তীব্র নিজেও ওর পিছে যায়। তুর ওখান থেকে বেড়িয়ে গেলেই তীব্র ওর হাত ধরে।

“ আমার হাত ছাড়ুন তীব্র। নাহলে আমি কিন্তু…”

তীব্র ওকে টান দিয়ে নিজের কাছে নিয়ে আসে। তুরের দু‘বাহু ধরে বলে, “ এখনো এমন করতে হবে তোমাকে? আর কত? অনেক তো হলো। এবার কী স্বাভাবিক হতে পারি না? আমার জন্য না হলেও নিজের জন্য । এটা তুমিও ভালো করেই জান আমি তোমাকে যতটা না চাই, তার চেয়ে বেশি তুমি আমাকে চাও। “

তুর নিশ্চুপ।

“ প্লিজ তুর চুপ করে থেক না। “

“ আপনার সত্যি মনে হয় যা হয়েছে তারপরেও… আপনি আমাকে বিয়ে করতে চাননি? আমার সাথে এত কিছু করলেন। আবার যখন আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম তখন আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন । এখন আবার ফিরে এসে নতুন গান শুরু করেছেন? আর কী চাই আপনার? “

তুমি ভুলে কেন যাচ্ছ আমি কিন্তু ৬ বছর আগেও তোমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। তখন তুমি পালিয়ে গেছ। তারপর তোমার বাবা-মায়ের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম কিন্তু তুমি? আর ছেড়ে যাওয়ার কথা । তোমাকে ওয়াদা করেছিলাম। তোমার সুস্থ হওয়ার জন্য দরকার ছিল। কারন তুমি তখন আমাকে সহ্য করতে পারতে না। তাই যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। আর যদি এটা ভাব তোমাকে ভালোবাসিনা তাহলে এটাই বলতে হবে তাহলে এতকিছুর পর তোমার কাছে ফিরেই আসতাম না। ”

তুর চুপ।

“ আমি বলছি না আমি নির্দোষ কিন্তু সবকিছুর দোষীও নই। তাই আমাকে সব দোষ দেওয়া বন্ধ করো। “

“ ডির্বোস তো দিয়েছিলেন। “ তীব্রের দিকে তাকিয়ে। “ কিহল ডির্বো‍স দিয়েছিলেন তো । আর তারপরে বিয়ের কোন মূল্য থাকে না। আর বিয়ে করলে সেটা অবৈধ হয়। যদি সত্যি বলি কাল রাতে নেশায় কী করেছি জানিনা। কিন্তু এটা জানি যা করেছি তা নজরে পাপ ছিল। তখনো ছিল আর কাল রাতেও। “

বলেই তীব্রকে ছাড়িয়ে নিতে চায়। কিন্তু তীব্র ছাড়েনা । আরো শক্ত করে ধরে ওকে। “ যদি জানতে পার তা পাপ ছিল না তাহলে বিয়ে করতে রাজি হবে। “

অবাক হয়ে তাকায় তীব্রের দিকে । “ মানে? “

“ মানে পরেই জানবে। তোমাকে বলেছিলাম না তোমাকে দামী কিছু দিতে চাই। “

আনমনেই মাথো নাড়ায় তুর।

তীব্র ওর হাতে চুমো দিয়ে বলে, “ সেই জিনিস আমি তোমাকে দিব। কিন্তু একটা শর্তে যদি তুমি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হও তো । “

“ যদি বলি আমি চাই না। “

“ সেটা দেখার পর যদি তোমার চাইতে মন না চায় তবে বিয়ে করতে হবে না। আর যদি ভালো লাগে তাহলে মনে রেখ আমাকে বিয়ে না করে তাকে ছুঁতেও পারবে না। ”

কিছুক্ষন ভেবে নিল তুর। “ ঠিক আছে তাই হবে। “

“ উহুম,, । এভাবে হবে না । তুরকে দেয়ালের সাথে মিশিয়ে বলে ওর হাতটা তীব্রের বুকে ধরে। তুর বুঝতে পারে না কী করতে চাইছে তীব্র। তখন তীব্র ওর দিকে তাকিয়ে বলে, “ আমাকে ছুঁয়ে তোমাকে কথা দিতে হবে। যদি তা তোমার প্রয়োজন হয় তো তোমাকে আমায় বিয়ে করতে হবে। এবং আমার অনুমতি নিয়েই তা স্পর্শ করতে হবে। “

তুর এবার বেশ ঘাবড়ে গেল। তীব্র এতটা জোর দিয়ে কিভাবে বলছে? ওকে ছুঁয়ে কথা দিতে হবে। এমনি এমনি তীব্র এমন‘টা বলবে না।

” কিহল তুর আমাকে ছুঁয়ে কথা দিতে ভয় হচ্ছে। ”

তুর এবার নিজেকে শক্ত করে নেয়। তারপর বলে, ” আপনার কাছে এমন কিছুই নেই যা আমি চাইতে পারি? ”

আলত হাসল তীব্র। ” হুমম। শুধু আমি ছাড়া। সে যাই হোক। ” ওর কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বলে, ” যা দিতে চাই তা তখনি পাবে যখন আমাকে চাইবে। ”

বলেই তুরের গালে একটা চুমো দেয়। আকস্মিক তীব্রের এই কান্ডে ভীত হয়ে পড়ে ও। তীব্রকে সরাতে চায় কিন্তু কী মনে করে ধাক্কা দিতে গিয়েও আঁকড়ে ধরে। তীব্র ঠোঁটের কোণে হাসি তুলে ওর চুল কানে গুজে দেয়। চলে যায় কোথাও…

তারপর তীব্রের সাথে ওর আর দেখা হয় না। তীব্র যাওয়ার পর তুর তীব্রের রুমে গিয়ে বসে থাকে দরজা বন্ধ করে। আর ভাবতে থাকে কী এমন দিতে চাইছে ও। তীব্রের কথায় স্পষ্ট ধারণা পাচ্ছে এমন কিছুর কথা বলছে যা তুর পেতে চাইবে। কিন্তু এমন কী হতে পারে? বুঝতে পারে না ও। তুর ভাবতে ভাবতে বিছানায় শুয়ে পড়ে। তখনি খেয়াল হয় কাল রাতে এইখানেই তীব্রের বুকে ছিল ও। সারাজীবন যদি থাকে খুব বেশি খারাপ হবে? হয়ত না? কিন্তু অভিমান? তা যে চেয়েও কাছে যেতে দিচ্ছে না। পরক্ষনেই তুর আবার ভাবল। অভিমানের দেয়ালও কী পেরেছে তীব্রের কাছে যাওয়া আটকাতে? নাকি তীব্রকে কাছে আসতে বাঁধা দিতে পারছে। বরং না চাইতেও বাধ্য হচ্ছে….

কথা গুলো ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে গেল নিজেও জানে না….
,
,
,
,

,
,

তুরের ঘুম ভাঙতেই ও উঠে বসে। আশেপাশে দেখে ঘড়ির দিকে চোখ যায়। ৪টা বাজে। অনেকক্ষন ঘুমিয়েছে। তাই ও ফ্রেশ হয়ে আসে। তখনি খেয়াল করে সামনে একটা ল্যাহেঙ্গা। ক্রিম কালারের। একদম নরমাল। বিয়ে বাড়ি তাই ও কিছু না ভেবে পরে নেয়। কোন রকম সাজ ছাড়া চুলগুলোয় ফ্রেশ বেনী করে বেড়িয়ে যায় বিয়ের স্টেজের দিকে। সন্ধ্যার পর বিয়ের অনুষ্টান। তাই সবাই ব্যস্ত। তুর সেদিক থেকে কাল রাতে পিচ্চি ছেলেটার সাথে যেদিকে ছিল সেই দিকে যায়। ওই দিকটা নির্জন। তখনি মনে পরে ওই পিচ্চির নামটাই জানা হলো না। পরক্ষনেই ভাবল কীভাবে জানবে? পিচ্চিটা যখনি এসেছে তখনি কোন না কোন ঝামেলা হয়েছে। আর কাল রাতে ওর নেশার জন্য যে অবস্থায় ছিল তাতে… কালকে ডিপ্রেশন বেশি ছিল বিধায় এমন করেছে। আজকে হয়ত ততটা হবে না। ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। ও গিয়ে সেই বেঞ্চে বসল। কিছুক্ষন নীরবে শান্ত চোখে তাকিয়ে রইল সামনের দিকে।

বেশ কিছুক্ষন এভাবে থাকার পর কারো ডাক শুনতে পায়… ” এই যে তাল পাতার সিপাহি কী ভাবছ? ” তুর আওয়াজের উৎসের দিকে তাকাতেই সেই পিচ্চিকে আবিষ্কার করে। অজান্তেই স্মিত হাসে ও। তাইয়্যান এসে ওর পাশে পা দুলিয়ে বসে।

” কাল তোমার সাথে এখানে ঘুমিয়েছিলাম। আর উঠে দেখি রিদ্ধ আংকেলের কাছে ঘুমিয়েছি। ওকে জিজ্ঞেস করলাম ওনি বলল পাপা মাম্মাকে আনতে গেছে। আমি তো পাপাকে তোমার কথা বলেছি। আর পাপা বলেছে তোমাকে ওনার পছন্দ হয়েছে। আর তোমাকেই আমার মাম্মাম বানাবে। ”

তারপর কিছুক্ষন চুপ থেকে আবার বলে উঠে তাইয়্যান, ” তাহলে তো কাল পাপা তোমাকেই আনতে গিয়েছিল। এখন বলো পাপা কই? ”

ওর কথায় সচকিত হয় তুর। বিস্মিত দৃষ্টিতে পিচ্চি ছেলেটির দিকে তাকায়।

“কী হল? পাপাই তো বলেছিল। তোমাকে মাম্মাম বানাবে? তোমাকে বিয়ে করবে? তুমি কী আমার মাম্মাম হবে না? ”

তুর কী বলবে বুঝতে পারছে না। বাচ্চাটাকে যে বোঝানো সম্ভব না। মাম্মাম করে পাগল হয়ে গেছে।

” কীহল বল? ” তুরের হাত ঝাকিয়ে।

তুর কী করবে বুঝতে পারছে না। ” শোন তুই… ” কিন্তু তাইয়্যান কোন কথাই শুনছে না। তাই তুর রেগে ওকে একটা ধমক দিল। ” এই ছেলে চুপ। ”

তাইয়্যান কিছুটা ঘাবড়ে যায়। এবার তুর রাগী মুখ করে বলে, ” আগে যা বলছি তার উত্তর দে। পরে ভাবব তোর মা হব নাকি তোর বাবার বউ… ”

” হলে তো দু’টোই হতে হবে? পাপাই তো বলল বিয়ে করে মা এনে দেবে। ” তুরের দিকে তাকিয়ে সন্দিহান দৃষ্টিতে।

এবার তুরের চুল ছিড়তে ইচ্ছে করছে। ” তুই যদি আরেকবার বলিস… “ তখনি তুর মনে মনে ভাবল, এই ছেলেকে এভাবে বললে হবে না। তাই ও শান্ত হয়ে বলল, ” আচ্ছা ঠিক আছে… আগে তোর সম্পর্কে আমাকে বল। তোর যেমন আমাকে পছন্দ হয়েছে আমাকেও তো তোদের পছন্দ হতে হবে।”

” তাহলে মাম্মাম হবে… ”

” ভেবে দেখব… ”

” আচ্ছা বলো কী জানতে চাও? ”

” গুড। আগে তোর নাম বল? তোর বাবার কে? তোর মা… ”

” ওর নাম তাইয়্যান। তাইয়্যান শুভ্রতুর রায়হান। son of Dr. Rayhan… যাকে তুমি তীব্র নামে চেন। আর মা হিসেবে তোমাকেই চাই… ”

কথাগুলো শুনে যেন তুর স্তব্ধ হয়ে গেল। আওয়াজদাতা দিকে তাকানোর সাহস পেল না। তাইয়্যানের দিকে তাকিয়ে রইল। তাইয়্যান আওয়াজদাতাকে দেখে হাসছে। হঠাৎ ওর সামনে থেকে দৌড়ে তাইয়্যান ” পাপাই ” বলে তার কাছে গেল। কিন্তু তুর এখনো সেদিকে তাকায়নি। তুরের কাছে নিজেকে হালকা মনে হচ্ছে। হাত পা ঈষৎ কাঁপছে।

তীব্র তাইয়্যানকে কোলে নিয়ে ওর কাছে যায়। তাইয়্যান কোলে বসে অভিমানী সুরে বলে, ” পাপাই কাল তুমি কোথায় ছিলে? ”

তীব্র ছেলের দিকে তাকিয়ে আলত হাসে। ওর গালে চুমো দেয়। তারপর বলে, ” তোমার মাম্মাকে বিয়ের জন্য রাজি করতে। তা মিস তুর আমার সন্তান আপনাকে নিজের মা হিসেবে চুছ করেছে। আর আপনি ওর বায়োলজিক্যাল মাদার হওয়ার কারনে আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাচ্ছি। এখন তো সব জানলেন। আর আমার কথা অনুযায়ী আপনার যদি নিজ গর্ভে ধারনকৃত সন্তানের মা হতে চান। তাহলে আমার দেওয়া শর্ত মোতাবেক আমাকে বিয়ে করতে হবে। বাকিটা আপনার উপর। নাহলে কিন্তু ছুঁয়েও দেখতে পারবেন না। আমাকে ছুঁয়ে কথা দিয়েছেন আপনি। ”

তুর নিশ্চুপ। এখনও ওর মতিষ্ক ব্যাপারটা বুঝতে পারেনি। সব কথা গুলো কেমন জানি লাগছে ওর। শুধু এটাই বুঝতে পারছে। কী বলছে তীব্র এসব? তাইয়্যান ওর গর্ভের সন্তান? কিন্তু তা কীভাবে সম্ভব? তাহলে কী ওর সন্তান মারা যায়নি? তাইয়্যান সেই সন্তান। তুর যন্ত্রমানবের ভঙ্গিমায় উঠে দাঁড়িয়ে একবার তাইয়্যানের দিকে আরেকবার তীব্রের দিকে তাকায়। কথা বলার শক্তি নেই। চোখ দিয়ে নোনা জলের স্রোত গড়িয়ে পরছে। বাকরুদ্ধ হয়ে ইশারায় জানতে চাইছে তীব্র সত্যি বলছে নাকি মিথ্যে। তা দেখে তীব্র পলক ফেলে বুঝিয়ে দেয় ও সত্যি বলছে তাইয়্যান মানে শুভ্রতুর ওর নিজের সন্তান।
.
.
.
.
.
.
.
.
[ বাকিটা পরের পর্বে জানবেন🖤 ]

Åriyâñà Jâbiñ Mêhèল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here