#ইসলামিক_গল্প
#ফেরা :
দুই বোনের ইসলাম গ্রহণের গল্প
লেখাঃ সিহিন্তা শরীফা
পর্ব-১
তখন আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। নতুন ভার্সিটিতে উঠেছি,অন্য রকম এক অনুভূতি! নিজেকে অনেক বড় বড় লাগা শুরু হলো। ইন্টারের স্টুডেন্টদেরও মন হতো বাচ্চা! ভর্তি হয়েছি প্রাণরসায়নে, পছন্দের বিষয়। খুব আগ্রহ নিয়ে ক্লাস করতাম। ওভার স্মার্ট ছিলাম না কখনোই তবে ফ্যাশনেবল ছিলাম। চুল স্টাইল করে কাটা থাকতো। ড্রেসের সাথে ম্যাচিং কানের দুল,মাথার ক্লিপ পরতাম। নেল পলিশ দেয়া আমার খুব প্রিয় ছিল। ক্লাসে ছেলে মেয়ে সবাইকে তুই করে বলতাম। কারণ তুই এর সম্পর্ককে অন্যদিকে নেয়া এতো সোজা না যতোটা তুমি এর সম্পর্ককে অন্য কিছুতে কনভার্ট করা সোজা।
ক্লাসে আমি আর একটা ছেলে মাত্র খ্রীস্টান ছিলাম। ধর্ম নিয়ে আমার তেমন মাথা ব্যথা ছিলনা। মাঝে মাঝে চার্চেও যেতাম, রেগুলার না।
ভার্সিটিতে আমাদের ক্লাসেরই এক ছেলে একদিন হটাত আমাকে ইসলামের উপর একটা বই পড়তে দেয়। মওলানা তারিক জামিলের একটি ঊর্দু বই এর বাংলা ট্রান্সলেশন ছিল ওটা। আমি বইটা বাসায় আনি কিন্তু দুই তিন পাতার বেশি পড়িনি। এমনি ফেলে রেখেছিলাম বইটা। তখনো জানতাম না যে আমার বোন অলরেডি ইসলামের দিকে হাটা শুরু করেছে। ওকে দেখতাম বাইবেল পড়তো, বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতো। তবে এগুলা নিছক আগ্রহ হিসেবেই দেখতাম। বইটা আমি পড়িনি কিন্তু সিহিন্তা ঠিকই পড়েছে। এবং ওই বইটা পড়ে ওর সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে ধারনা জন্মে এবং ওকে ইসলামের দিকে আরো আগ্রহী করে তোলে। সম্ভবত আল্লাহ বইটা ওর হাতে পৌছানোর জন্যই আমার মাধ্যমে ব্যবস্থা করেন। আমার জীবনে ওই বইএর কয়েক পাতা পড়া দিয়েই ইসলামের সূচনা হয় আলহামদুলিল্লাহ!
আমার বোন প্রায়ই বলতো যে একটা না একটা ধর্ম তো সত্যি হবেই। সব ধর্ম তো একসাথে সত্যি হতে পারেনা। আমি জানতাম ও বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করছে। বাসায় অনেক বই দেখতাম। বাংলা কুরআন ছিলো,বুখারী শরীফ ছিলো,আরো অনেক বই ওকে কিনতে দেখেছি। আমি ক্লাস, পড়া, টিউশনি নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম। এসব বই কোনোটাই পড়ে দেখতাম না। ও পড়তো আর আমাকে বলতো যে ইসলাম ধর্মই সত্য। আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা।কুরআনের কিছু মিরাকেল এর কথা বলতো।
ও যা যা জানতে পারতো অনেক কিছুই আমার সাথে আলোচনা করতো। আমি জানতাম সিহিন্তা আমাকে মিথ্যা বলবেনা এবং ও যদি বলে কিছু একটা সত্য তাহলে অবশ্যই জেনে শুনেই বলবে। তাই ও যা বলতো তাই এক বাক্যে মেনে নিতাম। যেহেতু খ্রীস্টান ধর্মের প্রতিও আমার খুব একটা আগ্রহ ছিলোনা তাই আমি প্রশ্নও কম করতাম। আমিও মেনে নিলাম আল্লাহই সত্য এবং একমাত্র তার কাছেই দুআ করতে হবে।
তবে তখনো আমি সত্যিকার অর্থে ইসলাম কি, রাসূল (সা) এর সুন্নত, কি কি করা যাবে, কি করা যাবেনা, কেনো যাবেনা, কবীরা গুনাহ কোনগুলা ভালো মতো জানতামও না। শুধু মেনে নিলাম আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ! আমরা আসলে আমাদের আসে পাশের মানুষকে দেখে ইসলাম কি শিখতে পারিনা। আমার কিন্তু মুসলিম ফ্রেন্ডই বেশি ছিলো। কিন্তু আমি আল্লাহ বা ইসলাম সম্পর্কে ওদের থেকে কখনো কোনো ধারনা পাইনি। ওরা পুরাপুরি ইসলাম না মানলেও আল্লাহকে যে অনেক ভালোবাসতো তা ঠিকই বুঝতে পারতাম।
আমি ও আমার বোন একসাথে পড়াশোনা করতাম। কয়েকদিন ধরে দেখছিলাম ওর পড়ার ভঙ্গিটা খুব অদ্ভুত। একদম সোজা হয়ে বসে কোলের উপর বই রেখে বির বির করে পড়তে থাকতো। ওর এই পড়ার স্টাইল নিয়ে আমি ফান করতাম ওর সাথে। ততোদিনে আল্লাহ যে সত্যি এবং ইসলামই যে আসল ধর্ম তা পুরাপুরি বিশ্বাস করতাম আমরা দুজন। সিহিন্তা বিভিন্ন বই পড়ে আরো অনেক যুক্তি দেখাতো। যদিও আমি নিজে তেমন বই পড়তাম না। ও যা বলতো তাই মানতাম।
এখন বিশ্বাস তো করলাম,কিন্তু মুসলিম হবার প্রথম ধাপ সালাত আদায় করা, যেহেতু আমরা মুসলিম আমাদেরও সালাত আদায় করতে হবে কিন্তু আমরা তো আরবি জানিনা। কারো থেকে যে শিখবো সে উপায়ও নাই। তখন ইন্টারনেটে একটা ওয়েব সাইটের কথা জানলাম সিহিন্তার থেকে। .মাউন্টহিরা! সেখান থেকে সুরা শিখা যায় সহজে। সময় পেলে হেডফোনে ওই পেইজ থেকে সূরা শিখতে লাগলাম। যেহেতু তখন ধারনা ছিলোনা, আমি আয়াতুল কুরসি প্রথমে শিখা শুরু করলাম। এটাকেই নামাযের সূরা ভেবেছিলাম।যখন প্রায় অর্ধেক শিখেছি তখন সিহিন্তা বললো এটা না আগে সূরা ফাতিহা শিখতে!
এতো কষ্ট করে এতোখানি শিখলাম এখন বলে এটা না!! আয়াতুল কুর্সি বাদ দিয়ে এবার শুরু করলাম সূরা ফাতিহা শিখা। দিনেবেলা যেহেতু আমার ক্লাস, টিউশনি ইত্যাদি থাকতো তাই রাত ছাড়া আমার সময় ছিলনা শিখার্। কিন্তু রাতে সবাই বাসায় থাকে। তাই সবাই ঘুমায় যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। ঘুমায় গেলে পিসিতে সূরা নিয়ে বসতাম। ফলে ধীরে ধীরে আগাতে লাগলো। এদিকে সিহিন্তার কতোদূর আগালো আমি জানিনা।
একদিন আবার ওর পড়ার স্টাইল নিয়ে হাসছিলাম তখন সে বললো সে এভাবে আসলে ইশারায় সালাত পড়ে! আমি সূরা শিখা শুরু করার আগেই তার সব শিখা শেষ এবং সালাতের পদ্ধতি ও দুআ ও শিখা শেষ! এবং সে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ছাড়াও তাহাজ্জুতের সালাতও পড়ে!! আমি সূরা শিখা শুরু ঠিকই করেছিলাম কিন্তু স্ট্রং ঈমান তখনও ছিলোনা। কিন্তু সিহিন্তার প্রগ্রেস থেকে বুঝলাম ও ইসলামের ব্যপারে আসলে কতোটা সিরিয়াস।
নামায পড়া শিখতে আমার অনেক সময় লেগেছে। যেহেতু আমি খুব বেশি কিছু জানতাম না ইসলামের ব্যপারে, তাই খুব বেশি আগ্রহ দিয়ে শিখতামও না। কিন্তু আমার বোন নামায পড়ে আমি পড়িনা, কেমন জানি লাগতো। এক সময় আমিও নামাযের জন্য প্রয়োজনীয় সূরা, দুআ শিখে ফেল্লাম। সারাদিন বাসায় কেও না কেও থাকে। লুকিয়ে নামায পড়ার উপায় নাই। তাই প্রায়ই দেখা যেতো সবাই ঘুমায় গেলে রাতের বেলা পাঁচ ওয়াক্তের নামায এক সাথে পড়তে হতো। তাও আবার ইশারায়। কারন রুমের দরজা খোলা থাকে, কেও বাথরুমে যেতে উঠলে নামায পড়তে দেখে ফেলতে পারে। কতোদিন এমন হয়েছে যে নামায পড়তে থাকতাম রাতে, কেও রুমে ঢুকতো আর লাফায় উঠে বই পড়ার ভান করতে থাকতাম। আমি রাতে পড়ি সব সময়, তাই কেও সন্দেহ করেনি। তাছাড়া ঘুমের ঘোরে থাকতো তাই খেয়ালও করতো না।
আমার নখ বড় ছিলো। আগেই বলেছিলাম নেইল পালিশের হবি ছিলো আমার্। ওজু হবেনা তাই নখ কেটে ফেললাম। সবাইকে বললাম সামনে ফার্স্ট ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা, নখের পিছে সময় নষ্ট হয় অনেক তাই কেটে ফেলেছি। পরীক্ষার পর আবার রাখবো। তবে পরীক্ষার পর আর রাখিনি। তখন কেও কিছু বললে বলতাম মনে থাকেনা,ভুলে দাঁত দিয়ে নখ কেটে ফেলি!
মজার ব্যপার হচ্ছে নামায পড়তাম, সখের নখ কেটে ফেললাম কিন্তু তখনো আমি কুরআন পড়িনি, তেমন হাদিস জানতাম না। রাসূল (সা) সম্পর্কে ভালো ধারনাও ছিলোনা। ততটুকুই জানতাম যা সিহিন্তা বলতো। ও বার বার না বললে মনেহয়না নামায, ওজু এগুলাও এতো তারাতারি শিখা হতো না। আমরা দুই বোন ছোট বেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছি। একজন আরেকজনের উপর অন্ধ বিশ্বাস করতাম, এখনো করি। ও যা বলতো তার সত্যতা নিয়ে তাই মাথায় কখনো প্রশ্ন আসতোনা। তাই আল্লাহ যে সত্য, ইসলামই যে আসল ধর্ম মনে প্রাণে বিশ্বাস করতাম। হিজাব কেনো করতে হবে, পর্দা না করার কুফল কি, কেনো চুল ঢাকতে হবে এগুলা সবই বুঝতাম সিহিন্তার বদৌলতে।
সিহিন্তাকে দেখতাম বাসা থেকে নরমালি বের হতো, বাসা থেকে কিছুদূর গিয়ে মাথায় কাপর দিতো। আর ফুল হাতা কামিজ পরতো। আমিও থ্রি কোয়ার্টার হাতা বা ফুল হাতা জামা পরতাম। কিন্তু মাথায় কাপর দেয়ার ক্ষেত্রে শয়তান আমাকে আটকে ফেললো। আমি গরম সহ্য করতে পারতাম না। বেশি গরমে থাকলে অসুস্থ্য হয়ে যাই। ক্লাসে মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার রেকর্ডও আছে আমার্। ফলে মাথায় কাপর দেয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো আমার জন্য। কয়েকদিন চেষ্টাও করেছি কিন্তু গলা মাথা ঢেকে বেশিক্ষন থাকতেই পারতাম না। মাথা ব্যথা করতো নাহলে মাথা ঘুরাতো। তাই মাথায় কাপর দেয়া এক রকম ছেড়েই দিলাম। তবে আগের মতো ফ্যাশন করে চুল কাটা, ম্যাচিং চুরি, কানের দুল পরা,ইত্যাদি ছেড়ে দিলাম। মাথায় কাপর দেয়ার ব্যপারে যে শয়তান আমাকে আটকিয়ে দিলো তা তখন এতো ভালোভাবে উপলব্ধি করিনি। এভাবেই কাটতে লাগলো দিন।
তবে অনেক কিছুই চেঞ্জ হয়ে গেছে ততোদিনে। নামায পড়তাম গুরুত্য নিয়ে। হিজাব করতেও চেষ্টা করতাম। সবই ছিল সিহিন্তার থেকে শিখা। আমি নিজে ইসলাম নিয়ে স্টাডি করা বলতে যা বুঝায় তা তেমন করতাম না। এরই মাঝে এসে পরলো পবিত্র রমাদান মাস! লুকিয়ে রোজা রাখাটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। একই বাসায় থেকেও না খেয়ে থাকা এবং তা কাওকে বুঝতে দেয়াও যাবেনা! কিন্তু তাই বলে কি আর রোজা রাখবোনা?
শুরু হলো আরেক নতুন যুদ্ধ! সবার সাথে থাকবো, রোজা রাখবো আবার তা বাকিদের বুঝতে দেয়া যাবেনা। নি:সন্দেহে কঠিন কাজ। তবুও এটা মুসলিম হবার পর প্রথম রমাদান মাস! রোজা রাখবোনা ভাবাই যায়না! প্রথম সমস্যা হলো সেহেরি করা নিয়ে। রান্নাঘরে যেতে হয় মা-পাপার রুমের মধ্যদিয়ে। সুতরাং ভাত তরকারি পাবার কোনো আশা নাই। পাউরুটি কিনে রাখলাম আমরা রুমে। রাতে সেহেরি তো হবে। এতেই আমরা খুশি। সকালে এমনিতেও আমি নাস্তা না করে ক্লাসে যাই। তাই সকালের ব্যপারে চিন্তা নাই। তাছাড়া মা চাকরী করে। বাসায় মা পাপা কেও থাকেনা সারাদিন। খেয়েছি কিনা দুপুরে দেখার কেও নাই। আর ভাই বাসায় থাকে কিন্তু ও খেয়ালও করবেনা না খেলে।
তো শুরু হলো রোজা রাখা। প্রথম রোজা রাখার অনুভূতি যে কি দারুন ছিলো, কখনোই ভুলবোনা। শুক্রবার মা পাপা বাসায় থাকতো, তাই ওইদিন রোজা রাখতে পারতাম না। দেখা যেতো সারাদিন রোজা রেখেছি, বিকালে টিউশনি করে আসার সময় নানীর বাসায় গেছি দেখা করতে, নানী চা এনে দিলো। খাবোনা বলতে পারিনা কারন নানীর চা অনেক মজার হয় ও আমার প্রিয় সে জানে। কষ্ট করে রোজা রেখে তা ভেঙ্গে ফেলতে হতো। কারো বাসায় যাওয়াই ছেড়ে দিলাম রমাদানে। সেহেরি যে রোজ করতে পারতাম তাও না। যেদিন কিছু থাকতোনা পানি খেয়ে রোজা রাখতাম। রাতে লাইট জ্বালানো যাবেনা তাই পিসির মনিটরের আলোতে আমরা সেহেরি করতাম। একদিন আমরা বনরুটি খাচ্ছি এমন সময় মা রুমে প্রবেশ করলো। সিহিন্তা পিসির সামনেই ছিলো। কি করবে বুঝতে না পেরে মনিটর বন্ধ করে দিলো! আর আমরা খাবার লুকায় ফেললাম। মা কি বুঝলো জানিনা। তেমন প্রশ্ন করেনি। ইফতারিতে খুব একটা সমস্যা হতোনা। ইফতারির আগে রাস্তায় জ্যাম থাকে বলে মা ইফতারির সময় অফিস থেকে বের হতো। তাই ইফতারিতে ভাত খেতে পারতাম।
কিন্তু যেদিন আগে বের হতো অফিস থেকে সেদিন ইফতারি আর করা হতোনা। দুপুরে সিহিন্তা ইচ্ছা করে কম ভাত রাধতো যাতে হাড়ি দেখে মা ভাবে আমরা খেয়েছি তাই এতো অল্প ভাত রয়েছে। তখন দিন বড় ছিলো। তবুও রোজা রাখছি এই আনন্দের কাছে না খাওয়ার কষ্ট কষ্টই মনে হতোনা। রাতে একসাথে পাঁচ ওয়াক্তের সালাত পড়তাম, পানি বা পাইরুটি দিয়ে সেহেরি করতাম, ইফতারি পারলে করতান না পারলে পানি খেয়ে রোজা ভাংতাম। তাও সেই রমাদান মাসটা অনেক স্পেশাল ছিলো আমাদের জন্য। একেকটা রোজা রাখতাম আর অন্য এক ধরনের শান্তি অনুভব করতাম মনের মধ্যে! আলহামদুলিল্লাহ!! কিছু ছোট ছোট ঘটনা উল্লেখ করবো। সম্ভবত এই ঘটনা গুলো বাসায় সন্দেহ জাগাতে সাহায্য করে।
আমার বোন খ্রীস্টান ধর্মের ব্যপারে জানার জন্য গ্রানীকে প্রশ্ন করেছিলো কিছু যার উত্তর গ্র্যানী (নানী) দিতে পারেনি। আবার আমার এক দূর সম্পর্কের এক মামা জিহবায় বিশ্বাসি ছিলো। জীহবা হচ্ছে খ্রীস্টানদেরই একটা অংশ যারা বিশ্বাস করে দুনিয়াতেই সবার বিচার হবে, যে ভালো ভাবে চলবে সে ভালো ফল পাবে, যে খারাপ ভাবে চলবে দুনিয়াতেই তার শাস্তি সে পেয়ে যাবে। তারা খ্রীস্টান ধর্মের যে প্রচলিত ভুলগুলো আছে তা বাইবেল থেকে বের করে আলাপ করে কিন্তু এরপর যে আরেক নবী এসেছে ও আল্লাহ যে আখিরাতে বিচার করবেন তা বিশ্বাস করেনা। তো সেই মামা একদিন খ্রীস্টান ধর্মের ভুল গুলো আমার খালার সামনে বলছিলো। আমার বোন তখন সাথে তার কথাকে সাপোর্ট করে এটা নিয়ে পরে খালা মা, নানীর কাছে নিন্দা করে কথা বলে।
💖💖💖💖💖💖💖