#ফুচকাওয়ালা যখন স্পেশাল অফিসার
#পর্বঃ০৮
#রবিউল_হাসান।

ফয়সালঃশেষ ইচ্ছে তেমন কিছু নাই, শুধু তুকে একবার দেখব।
আমিঃআর লিজা আপনার কি ইচ্ছে?
লিজাঃআমিও তুকে একবার দেখব, আর কোনো ইচ্ছা নেই।
আমিঃঠিক আছে, আমাকে দেখার যখন এতই শখ তাহলে দেখ আমাকে…..(বলে মুখ থেকে মাক্স সরিয়ে নিলাম)

লিজা+ফয়সালঃতুই……
আমিঃহ্যাঁ আমি। কেন অবাক হচ্ছিস?অবাক হওয়ার কিছুই নেই!!নে এবার মরার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়।
যা পড়ার পড়ে নেয়।
ফয়সালঃতুই তাহলে R.K ,ফুচকাওয়ালা সেজে আমাদের ফলো করছিলি
আমিঃহুম আমি।

তারপর তাদের দুই জনকে মাথায় গুলি করে দিলাম।ফয়সাল তো ১ মিনিটের মধ্যে মরে গেছে, কিন্তু লিজা তার অনেক রক্ত যাচ্ছে তাও ৫ মিনিট পর সে মরে গেল।
কথায় আছে, (আপনি কাউকে কষ্ট দিলে আপনাকেও একই রকম কষ্ট পেতে হবে,যেটা লিজার সাথে ঘটেছে।বা ঘটবে….)

তারপর তাদের মেরে বাইরে চলে আসলাম।
বাইরে আসার পর আপুর প্রশ্ন তো শুরুই…..
আপুঃতুই বলছিলি ১০ মিনিটের মধ্যে আসবি,এখন কয় মিনিট হয়ছে?
আমি ঘড়িতে থাকিয়ে দেখলাম ২০ মিনিট হয়ছে।
আমিঃ২০ মিনিট হল মাত্র।
আপুঃ২০ মিনিট হল তাও মাত্র বলছিস(আসলে আপু আমাকে খুব ভালোবাসে তাই ১০ মিনিট দেরি হওয়াতে আপু রেগে গেছে)
আমিঃআপু এটা আর কি বল,তাদের তো উপরে পাঠিয়ে আসতে হবে তাই না?
আপুঃকিহ ওদের মেরে ফেলেছিস?
আমিঃহুম মেরে দিছি।
আপুঃকি করলি এটা তুই, তাদের না মারলে কি হত না?
আমিঃনা আপু এদের না মারলে হত না,কারণ এরা মোস্ট ওয়ান্টেড আসামী। দুই জনই প্লাস্টিক সার্জারি করে পুলিশ থেকে নিজের চেহারা লুকিয়ে রেখেছে।
আপুঃকিহ, তুই কিভাবে জানলি?
আমিঃগোপন সুত্রে জেনেছি।(আমার যে একটা টিম আছে সেটা আপু জানে না।শুধু এতটুকু জানে আমি ফুচকা বিক্রি করি)
রাশেদঃহয়ছে এবার চল এখানে বেশিক্ষণ থাকলে ঝামেলা হতে পারে।
আমিঃহ্যা চল।
আমিঃরাশেদ তুই আপুকে বাসায় পৌঁছে দে,আমি বাসায় যাচ্ছি আর কালকে সকাল ১০ টায় মিটিং আছে সবাইকে ডাকবি।
আপুঃসবাইকে ডাকবি মানে কি?
আমিঃতেমন কিছু না আপু, আমার ফ্রেন্ডদের সাথে কথা বলব তাই সবাইকে ডাকতে বললাম।
আপুঃওহ্(আপু কিন্তু আমার কথাটা বিশ্বাস করে নি তা আমি খুব ভালোই বুঝতে পারছি।)

আমিঃওকে রাশেদ যা তাহলে।আর আপু সাবধানে যাবে বাসায় পৌঁছে আমাকে ফোন দিবে।
আপুঃওকে বাই।

তারপর চলে আসলাম বাসায় এসে একটা ঘুম দিলাম।

পরের দিন চলে গেলাম সেই গভীর মাটির নিচে।মিটিংয়ের সবাই এসে গেছে তাই মিটিং শুরু করলাম।

আমিঃসবাই কেমন আছেন?
সবাইঃভালো স্যার আপনি কেমন আছেন?
আমিঃহুম ভালো।যাই হোক আজকে যে জন্য আমরা এখানে আসলাম সে আলোচনা শুরু করি।
সবাইঃইয়েস স্যার।
আমিঃআপনারা জানেন আমার নির্দিষ্ট সময় প্রায় শেষের দিকে। আর মাত্র ৫ দিন সময় আছে এই সময়ে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে।
সবাইঃইয়েস স্যার।
আমিঃআপনারা হয়তো জানেন আর ২ দিন পরে….. বিশ্ব বিদ্যালয়ে একটা অনুষ্ঠান আছে।
আর সে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবে আমারদের এম পি।
সবাইঃইয়েস স্যার জানি সেটা।
আমিঃঠিক আছে। তাহলে ওই দিন আমারদের সব কাজ শেষ করতে হবে।সবাই ওই দিন ওখানে উপস্থিত থাকবেন।
সবাইঃইয়েস স্যার।
আমিঃঠিক আছে আমি আপনাদের সবাইকে বুঝিয়ে দিচ্ছি কে কোন দিকে থাকবেন।
সবাইঃওকে স্যার।
আমিঃআমাদের প্রথম কাজ হবে,সবাই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট গায়ে দেওয়া।কারণ ওখানে অনেক ঝামেলা হতে পারে।
সবাইঃওকে স্যার।তারপর কি করব?
আমিঃহুম তারপর।r.h1 আপনি থাকবেন এম পির সামনে করে ডানপাশে,সাথে বাম পাশে থাকবেন r.h2
R.h1+r.h2:yes,sir…..
আমিঃr.h3&r.h4 থাকবেন সামনের বিল্ডিংয়ে।
তারপর r.h5&R.h6 থাকবেন ডানপাশের বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায়।
আর r.h7&rh8 থাকবেন পাবলিকের সাথে একজন থাকবেন মাঝখানে আরেকজন থাকবেন পেছনে।
আর r.h9 আপনি থাকবেন এম পির যে মানুষ দাড়াবে তাদের সাথে মিশে যাবেন।
সবাই একসাথেঃyes sir….
R.h2:স্যার আমাদের টার্গেটে কে সেটা তো বললেন না?
আমিঃআমাদের টার্গেটে এক জন নয়।তার ১০ জন মত আছে।আজ রাতে তাদের মধ্য ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করবে।তাদের পরে আরো ৩ জন গ্রেফতার করবে।
r.h3:তাহলে বাকি দুই জনকে গ্রেফতার করবে না কেন?
আমিঃকারণ ওরা দুই জন খুব পাওয়ারফুল লোক। তাদের আটক করলে পুরো এলাকায় ঝামেলা হবে তাই বুদ্ধি দিয়ে তাদের আটকাতে হবে।
R.h4:তাহলে স্যার কারা তারা?
আমিঃসেটা আমি ছাড়া আর কেউ জানে না।কালকে সে দিন তাদেরকে ইনকাউন্টার করব।সবাই রেড়ি থাকবে।
রাশেদঃস্যার তারা কারা আমরা কি জানতে পারি না?(কাজের সময় রাশেদ আমাকে স্যার ডাকে)
আমিঃহুম জানতে সবাই পারেন।কিন্তু সেটা এখন নয় কারণ এখন যদি কাউকে বলি বা তাদের নাম প্রকাশ করি তাহলে ঝামেলা হতে পারে।
রাশেদঃকি রকম ঝামেলা স্যার?
আমিঃসেটা আমি আপনাদের পরে বলব।এখন বলা যাবে না।
সবাইঃok sir….
আমিঃঠিক আছে তাহলে আজ এত টুকু।মনে রাখবেন আমাদের সময় আর ৫ দিন কাজ করতে হবে পরশু মানে সময়ের দুই দিন আগে কাজ শেষ করতে হবে।কালকে সবাই আবারো আসবেন।এখন সবাই আসতে পারেন।
সবাইঃok sir…(তারপর সবাই স্যালুট দিয়ে চলে গেল)
আমিঃরাশেদ চল।
রাশেদঃতারা দুই জন কারা আমাকেও বলবি না?
আমিঃতুকে বলব না তা কেমনে হয় বল?
রাশেদঃতাহলে বল তারা কারা?
আমিঃএখানে বলা যাবে না।
রাশেদঃকেন এখানে বললে সমস্যা কোথায়?
আমিঃএখানে চার দিকে ক্যামরা যদি কেউ একটু কথা বলে তাহলে সেটা আমার টিমের সবাই শুনতে পারবে তুকে পরে বলব।
রাশেদঃওহ সরি মনে ছিল না।
আমিঃঠিক আছে এখন চল।
রাশেদঃচল…..
তারপর আমি আর রাশেদ চলে এলাম।
বিকালে একটু কলেজ টা দেখতে গেলাম।সকালে তো যায় নি ফুচকার গাড়ি নিয়ে গেলেও কাজ হবে না তাই এমনি বের হলাম ঘুরব বলে।

কলেজে গিয়ে রাকিবের সাথে দেখা।
রাকিবঃকি মামা আজকে গাড়ি কোথায়?
আমিঃমামা আর গাড়ি নিয়ে আসব না।
রাকিবঃতাহলে আমরা ফুচকা কিভাবে খাব?
আমিঃকি বল মামা আমি না আসলে অন্য কেউ হয়তো আসবে।
রাকিবঃতাও মামা তোমার ফুচকা অনেক মিস করব।
আমিঃতাই না….…
রাকিবঃঠিক আছে মামা এখন আসি।
আমিঃআচ্ছা।

তারপর রাকিব চলে গেল।আমিও চারদিকে একটু ভালো করে দেখতে লাগলাম।

হঠাৎ রিমিকে দেখলাম।তার কাছে গেলাম।
রিমিঃতা কেমন আছেন আপনি?
আমিঃজ্বী মুই ভালো।আপনি কেমন আছেন?
রিমিঃহুম আমিও ভালো আছি,তা আজকে ফুচকা নিয়ে আসেন নি কেন?
আমিঃআর তো আসব না….
রিমিঃআসবেন না মানে?কেন আসবেন না?
আমিঃহুম মুই আর ফুচকা নিয়ে আসব না।
রিমিঃকেন আসবেন না সেটা তো বলবেন?
আমিঃঅন্য কাজ করব, ফুচকা ছেড়ে দিব।
রিমিঃওহ…..(মন খারাপ করে)
আমিঃএকি আপনি মন খারাপ করলেন কেন?
রিমিঃএমনি।
আমিঃআচ্ছা মুই এহন আসি।
রিমিঃহুম,শুনেন….
আমিঃজ্বী….
রিমিঃআপনি কাজ এখানে করবেন নাকি অন্য কোথায়?
আমিঃহু সেটা তো মুই জানি না এহনো।তবে এহানেই করতে পারি।
রিমিঃএখানে করলেই ভালো হবে।
আমিঃকেন?
রিমিঃএমনি বললাম।আমি এখন আসি….

তারপর রিমি চলে গেল।যতটুকু বুঝলাম রিমির অনেক মন খারাপ হয়তো আমি চলে যাব বলে নয়তো আমার ফুচকার কথা মনে করে
এই কয় দিনে রিমিকে আমি অনেক ভালোবেসে পেলেছি হয়তো রিমিও R.K কে অনেক ভালোবাসে।

তারপর চলে আসলাম বাসায়।রাশেদ ফোন দিল।
রাশেদঃকিরে কোথায় তুই?
আমিঃএইতো বাসায় আছি।তুই কোথায়?
রাশেদঃআমিও বাসায় আছি।টিভিটা অন কর।
আমিঃকেন কি হয়ছে?
রাশেদঃআগে অন করে দেখ তারপর বুজবি।
আমিঃওকে রাখছি।

টিভি অন করলাম।খবর চলতেছে।
ব্রেকিং নিউজ…..
দুইটা লাশ পাওয়া গেছে বর্তমানে এম পির পুরাতন বাংলোতে। এম পি কে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন তিনি এসব কিছুই জানে না।তিনি আরো জানান তিনি অনেক দিন ধরে সে বাংলোতে যান নি।তবে একটা বিষয় শুনিশ্চিত এই খুন দুইটিও করেছে R.K, এরা কারা সেটাও R.k পরিষ্কার করে বলে দিছে।এটাও বলে দিছে তাদের গায়ে R.k লিখা না থাকার কারণ।R.K তাদের মেরে একটা চিঠি লিখেছিল যেটাতে তিনি এদের ব্যাপারে জানান।তো চলুন সে চিঠিতে কি ছিল দেখে আসি।

চিঠি….

আমি R.K, এরা দুই জন ধর্ষক সেটাও নয়,লোকটা হল ফয়সাল আর মেয়েটা হল লিজা।তারা দুই জন মাফিয়াদের সাথে মিলে এদেশের নারী প্রাচার করছে বিভিন্ন দেশে। তাই এদেরকে আমি শেষ করে দিলাম।আপনারা হয়তো বলতে পারেন।এরা দুই জনকে আমি কিভাবে চিনি?
তাহলে সেটা আমি আপনাদের জানাচ্ছি। এরা দুুইজন যে চেহারা নিয়ে বর্তমানে আছে সেটা তাদের আসল চেহারা নয়। তারা দুউ জন মোস্ট ওয়ান্টেড আসামী। পুশিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের খুঁজ চলছে, কিন্তুু দুখের বিষয় তাদের কেউ চিনতে পারেনি।এরা দুই জন প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজের আসল চেহারা বদলে নিয়েছে।তাদের প্লাস্টিক সার্জারি সরিয়ে নিলে তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসবে।
এরা দুউ জন এপ পির খুব বিশ্বাস যোগ্য ছিল।তাদের প্লাস্টিক সার্জারি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধে রইল।
…………………..….ইতি R.K
এই ছিল তার চিঠি।
সব আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের চ্যানেলে।

খবর দেখার পরে আমি রাশেদকে ফোন দিলাম।
রাশেদঃহ্যা দেখছিস খবর?
আমিঃদেখছি…..
রাশেদঃতুই যে চিঠি লিখলি সেটা আমাকে বললি না কেন?
আমিঃএমনি বলি নি এখন তো দেখলি।
রাশেদঃহুম আচ্ছা ওই দুই জন কারা নাম বল।
আমিঃতাহলে আমার সাথে আজ রাতে ঘুরতে বের হবি?
রাশেদঃআজব তো ঘুরতে বের হলে বলবি নাকি?
আমিঃহ্যা বলবও দেখাবও।
রাশেদঃমানে?
আমিঃসেটা দেখা করলে আর ঘুরতে বের হলে বুঝবি।
রাশেদঃওকে।

আমিঃআচ্ছা রাখছি ঠিক নয় টার সময় গান নিয়ে আমার বাসায় আসবি।
রাশেদঃআচ্ছা।
তারপর ফোন কেটে দিলাম।

To_be_continue…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here