#ফুচকাওয়ালা যখন স্পেশাল অফিসার
#পর্বঃ০৭
#লেখকঃরবিউল_হাসান

ফয়সালঃহা হা যা তোর এই একটা ইচ্ছে পুরণ করলাম।তাহলে শুন কার জন্য আমি কাজ করতেছি।এই কাজ একটা মেয়ের জন্য করতেছি।তুই তাকে চিনবি না।সে তুকেও মারতে চায়।শুধু তুকেও এখানে পাইছি।

তাই আমাদের ম্যডামও তুকে দেখতে আসতেছে চিন্তা করিস না তুকে না দেখিয়ে ম্যডামের চেহারা, মারব না।ম্যডামের চেহারা দেখবি তারপর তুকে মারব তারপর তুর মাক্সের চেহারার পেছনে আসল চেহারাটা দেখব।
আমিঃকখন আসবে তুর ম্যডাম আমারো অনেক শখ তোর ম্যডামকে দেখার।

৫মিমিট পর একটা সাদা কার আসল।বোরকা পড়া তাই চেহারাটা দেখা যাচ্ছে না।তারপর আমার সামনে আসল।
এসে বলতে লাগল,কিরে তুর নাকি আমাকে দেখার ইচ্ছে হয়ছে।তাহলে দেখ আমাকে।
(বলে চেহারা বের করল)
আমি তো চেহারা দেখে অবাক।এই মেয়ে এখানে কেন?
এই মেয়েটা আর কেউ নয় লিজা মেয়েটার নাম, এর সাথে ৫-৭ দিন আগে আমার পরিচয় হয়ছে কলেজে। মেয়েটা ফুচকা খেতে আসছিল রিজয়ের সাথে(রিজয় আমার নিয়মিত কাস্টমার)

আমিঃওহ মিস লিজা তাহলে,এদের লিডার?
লিজাঃকি তুই আমার নামও জানিস তাহলে?
আমিঃহা হা জানব না কেন?মিস লিজা আপনাকে আমি আমি একসময় সম্মান করতাম কিন্তু আজকে আপনাকে এদের সাথে দেখে যতটা সম্মান করতাম তার থেকে হাজার গুণ ঘৃণা হচ্ছে।
লিজাঃসম্মান করতি মানে, কোথায় সম্মান করতি আমাদের তো আজই প্রথম দেখা।তাহলে….?
আমিঃনা আমাদের আগেও দেখা হয়েছে।কিন্তু সেটা অন্য ভাবে।আপনার সাথে আমার কথাও হয়েছে।কিন্তু আপনি আমাকে চিনতে পারবেন না।

যাইহোক আপনি এই সাংবাদিককে কেন ধরে এনেছেন?
লিজাঃএর কাছে আমাদের অনেক গোপন তথ্যা আছে।টাকাও দিছিলাম যাতে তথ্যা গুলো আমাদের দিয়ে দেয় কিন্তু দেয় নি তাই ধরে আনলাম।এখন মেরে পেলব একে।সাথে তুকেও।
আমিঃ হা হা আপনি কি মনে করছেন আপনি বললেন চাইলেন তাই আমি হাত পকেটে ডুকিয়ে বসে থাকব?
লিজাঃঠিক আছে তাহলে দেখি তুই একা দশ জনের সাথে কি করতে পারিস।
এই মার ওকে…..(বলতে দেরি তারা আমাকে মারতে আসতে দেরি না।)

আমি আপুকে কে বললাম আপু তুমি একটু ওই দিকে যাও।এদের একটু থেরাপি দিয়।
আপু সে দিকে যেতে চাচ্ছে না তাও জোর করে সেদিকে পাঠিয়ে দিলাম।

তারাপর সবাই আমাকে মারতে আসল।আমিও তাদের সাথে মারামারি করতে লাগলাম।হঠাৎ লিজা আমার আপুকে মারতে গেল, আমি আর কিছু করতে না পেরে কোমর থেকে গুলি বের করে লিজার পায়ে গুলি করে দিলাম।বাকি সবাইকেও ইচ্ছে মত দিলাম।
তারপর ফয়সালের কাছে গেলাম। লিজা আর ফয়সালকে বেধে দিলাম চেয়ারে।
তারপর ফয়সালকে বললাম।
আমিঃবল রাশেদ কোথায় তাকে কোথায় নিয়ে গেছিস?
ফয়সালঃনা বলব না, মেরে পেললেও বলব না।
আমিঃওকে তাহলে মর(বলে পায়ে একটা গুলি করলাম)সাথে সাথে বলে দিল রাশেদ পেছনের ঘরে আছে।আমিও তাদেরকে সেখানে রেখে আমি আর আপু রাশেদের কাছে গেলাম।দেখলাম রাশদকে বেধে রেখেছে।আমি তাকে খুলে নিয়ে বললাম…
চল হসপিটালে যায়?
রাশেদঃপরে যাব।
আমিঃনা এখন চল তুকে অনেক মেরেছে।
রাশেদঃ হা হা এই মার কিছু হবে না।তারা সাধারণ পাবলিককে মারার মত মেরেছে
আমিঃতাহলে চলে একজন অভিনেত্রীর সাথে পরিচয় করাব তোকে।
রাশেদঃওই তুই আপুকে বাঁচাত এসেছিস, অভিনেত্রীর সাথে দেখা করতে নয়।
আমিঃএই তো আপু।চল যারা আপুকে কিডনাফ করেছে তাদের দেখবি।
রাশেদঃহুম চল।

গিয়ে দেখলাম ফয়সালের পায়ের থেকে অনেক রক্ত পড়তেছে।তার বাকি পুলাপান তো আগেই পালাইছে ।

আপুঃএদের এখন কি করবি?
রাশেদঃকি আর করবে, মেরে দিবে।নয়তো আবার ঝামেলা করতে পারে।(আপুকে ইঙ্গিত করে)
ওহ আপনাদের তো বলাই হয়নি সাংবাদিক রোবাইয়া নাসরিন আর কেউ নয়, আমার আপু।যে কোনো মিশন শেষ করে আমি ফোন গুলো আপুকেই দিতাম।
রাশেদঃআচ্ছা দাড়া আমি আমাদের টিমকে ফোন দিয়ে দেখি এদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না?
আমিঃওকে ছবি পাঠিয়ে দেয়।
রাশেদঃওকে।
তারপর রাশেদ লিজা আর ফয়সালের ছবি তুলে পাঠিয়ে দিল।
আমাদের টিমের হেড হচ্ছি আমি, আর আমার পরের অবস্থান রাশেদের।
আমার আমার অবর্তমানে রাশেদ সব দায়িত্ব পালন করে।
রাশেদ টিমকে ফোন দিল…..

R.h2:স্যার আপনি যে ছবি গুলো দিয়েছেন, তারা মোস্ট ওয়ান্টেড।
রাশেদঃকি বলছেন এসব?আপনি কি সিওর?
R.h2:yes sir,তারা মাফিয়াদের হয়ে কাজ করে।তিনটা দেশ তাদের খুজতেছে।নারি প্রাচার থেকে শুরু করে ড্রাগ্স প্রাচার সহ সব অবৈধ কাজে এরা দুই জন যুক্ত আছে।
রাশেদঃআর কোনো কিছু?
R.h2:yes sir,যারা এদেরকে ধরতে পারবে মৃত বা জীবিত তাদের সরকার থেকে সম্মানিত করা হবে।
রাশেদঃওকে ফোন রাখছি।
R.h2:yes sir….

তারপর রাশেদ সব ঘঠনা আমাকে বলল, আমি শুধু থাকিয়ে আছি লিজার দিকে।

একটা মেয়ে কেমনে এসব কাজের সাথে জড়াতে পারে?
মেয়ে হয়ে কিভাবে মেয়ে প্রাচার করতে পারে?

রাশেদঃকি ভাবছিস এদের কি মেরে দিব?
আমিঃনা, তুই একটা কাজ করে আপুকে নিয়ে বের হয়ে যা।আমি এদের দেখছি।
রাশেদঃওকে।
আপুঃকিহ তুই আমাকে নিয়ে যেতে বলছিস, আমি তুর সাথেই যাব!!
আমিঃআপু তুমি রাশেদের সাথে যাও, আমি আসছি।
রাশেদঃহুম আপু চলেন(রাশেদ আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছোট থেকেই আমার সাথে রাশেদের ভালো বন্ধুত্ব, আমাদের বাসায় যাওয়া আসা একদম ফ্রী, রাশেদ আপুকে বড় বোনের মত দেখে।আপুও তাকে ছোট ভাইয়ের মতো দেখে।)
আপুঃওকে চল…আর শুন তুই ১০ মিনিটের মধ্যে আসবি আমি বাইরে অপেক্ষা করব (আমাকে বলল)
আমিঃঠিক আছে এখন যাও।

তারপর আপু আর রাশেদ চলে গেল।

আমি লিজা আর ফয়সালের কাছে গেলাম।
আমিঃমিস লিজা আমি তো আপনাকে ভালো মনে করতাম কিন্তু আপনার মাঝে এত জঘন্যতা থাকবে সেটা আমার কল্পনায়ও ছিল না।
লিজাঃকি বলতে চাস তুই?
আমিঃআমি কি বলতে চাচ্ছি সেটা আপনি ভালো করে বুঝতে পারছেন।কিভানে পারেন একটা মেয়ে হয়ে আরেকটা মেয়েকে প্রাচার করতে?

আর ফয়সাল তুকে তো আমি শুধু এম পির চামচা মনে করতাম,কিন্তু তুইও মোস্ট ওয়ান্টেড কেমনে হলি?

ফয়সালঃদেখ তুই অনেক কিছু জানছিস,ভালো হবে তুর যদি আমাদের ছেড়ে দিস,তুর যত টাকা লাগে আমি দেব,তাও আমাদের ছেড়ে দেয়।
আমিঃতুদের কি মনে হয়, R.K ঘুস নিয়ে তুদের ছেড়ে দিবে?
দাড়া ৫ মিনিট পর তুদের সাথে বুঝা পড়া হবে।

তারপর আমি ফোন দিলাম R.h2 কে।

R.h2:yes sir…
আমিঃতুমরা কি সিওর যে এরা মাফিয়াদের সাথে কাজ করে?
R.h2:জ্বী স্যার।
আমিঃতাহলে এরা প্রকাশ্য এত দিন কিভাবে ঘুরছে বাহিরে?যদি তারা ওয়ান্টেড হয়?

R.h2:স্যার এরা দুই জনই প্লাস্টিক সার্জারি করেছে যাতে চিনতে না পারে।তাই বাহিরে ঘুরছিল।
আমিঃতাহলে আপনি কি করে বুঝলেন এরাই তারা?
R.h2:স্যার রাশেদ স্যার ছবি দেওয়ার পর আমরা ডাটাবেইজ চেক করছিলাম।
হঠাৎ করে তাদের চোখের প্রিন্ট মিলে যায়।তাই তাদের শনাক্ত করতে অসুবিধা হয় নি।তাদের পুরো রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।
আমিঃok good job
R.h2:tnx u sir…

তারপর ফোন কেটে দিলাম।

আমিঃমিস লিজা আপনাকে কিছু প্রশ্ন করব যদি সঠিক উত্তর দেন তাহলে কষ্ট না দিয়ে বিদায় দিব,আর যদি না দেন তাহলে কষ্ট পেতে হবে।
ফয়সালঃদেখ R.k তুই আমাদের ছেড়ে দেয় যত টাকা লাগে দিব তাও ছেড়ে দেয়।
আমিঃR.k কে যদি ছিনতি তাহলে আমার কলিজার বোনকে কিডনাফ করতি না।
চল কিছু প্রশ্ন করব উত্তর দেয় নয়তে খারাপ হবে।এমনিতে আপু বাইরে ৮ মিনিট ধরে দাড়িয়ে আছে।
বল তুদের মাফিয়া টিমের কয় জন সদস্য? আর তুদের এই এলাকায় কোথায় গ্যাং আছে?
ফয়সালঃতাহলে তুই এটাও জানিস আমাদের গ্যাং আছে?
লিজাঃR.K তুই আমাদের হয়ে কাজ কর শুধু টাকা আর টাকা পাবি।আর তুই যা করিস মনে হয় না টাকা পয়সা পাস,চল আমাদের সাথে হাত মিলা শুধু টাকা আর টাকা পাবি।
ফয়সালঃহুম আমাদের সাথে হাত মিলা।এ পৃথিবীতে এখন টাকা ছাড়া কিছুই পাবি না,না পাবি ভালোবাসা না পাবি সম্মান আর না পাবি ভালো কিছু করার সুযোগ।

(মনে মনে ভাবলাম এদের মারলে তো কিছু বললবে না বরং এদের সাথে একটা চাল চালি)

আমিঃযদি তুদের সাথে হাত মিলায় তাহলে কি আমাকে তুদের কালো ব্যাবসার ৩০% শেয়ার দিবি?
ফয়সালঃকি বলিস আমরা দুই জন মিলে পায় ৪০% পার্সেন্ট, যা তুকে আমাদের থেকে ১০% দিব।

আমিঃতুরা দুই জন মানে ৪০% মানে, বাকি ৬০% কোথায় তাহলে?(আমার মূল চাল ছিল এটা)
লিজাঃবাকি ৬০% এম পির।
আমিঃওহহ তাই তো বলি এম পি এত উড়ে কেন।
ফয়সালঃবল ১০% দিব রাজী কি না?
আমিঃতাহলে কি ৬০% পুরো এম পি নেয়?গ্যাং কে দেয় না?
লিজাঃগ্যাং কে ৫% করে দেয়।
আমিঃকত জন আছে গ্যাংএ, আমি সহ হলে?(আরেকটা পয়েন্ট)
ফয়সালঃএ ধর তুই সহ ৩০+ হবে।
আমিঃযদি আমি তুদের সাথে হাত মিলায় তাহলে আমাকে তোরা কোথায় রাখবি তোদের গ্যাংয়ের সাথে নাকি?
লিজাঃহ্যা, অনেক সুবিধা পাবি ওখানে।
আমিঃতো আপনাদের গ্যং কোথায়,মানে আমি যোগ দিলে কোথায় থাকব আমরা(আরেকটা পয়েন্ট)
লিজাঃআমাদের পুরো গ্যাং তো চিটাং ওখানে থাকবি।
আমিঃচিটাগং কোথায়?
ফয়সালঃচিটাগং………….. এই জায়গায়।(একটা নাম বলে)
লিজাঃচল এবার আমাদের বাধন খুল,আর আমাদের সাথে চল।
ফয়সালঃহ্যা চল আমাদের হয়ে কাজ করবি আজ থেকে।
আমিঃতুদের কি মনে হয় কালো টাকা দিয়ে আমাকে কিনতে পারবে।
দেখ যদি আমি তুদের মারতাম তাহলে তুরা সত্যি টা বলতি না,তুরা কখনো বলতি না তুদের পেছনে কে আছে?তাই তুদের মুখ থেকে সত্যি টা বের করার জন্য চাল চেলেছি।এখন তোরা মরার জন্য প্রস্তুত হ।

লিজা আর ফয়সাল একে অপরের দিকে চোখ বড় করে করে থকাল।তারা হয়তো ভাবছে আমি তাদের সাথে হাত মিলাব।

লিজাঃতুই আমাদের ধোকা দিলি তাহলে?
আমিঃআমি কখন ধোকা দিলাম?
ফয়সালঃতুই তো একটু আগে আমাদের সাথে কাজ করার জন্য রাজি হয়েছিলি?
আমিঃআমি কি একবারো বলছি আমি রাজী?
লিজাঃতা বলিস নি তাই বলে…..

আমিঃদেখ এত কথা শুনতে চায় না।তোদের এখন মরতে হবে,শেষ ইচ্ছা থাকলে বল।
ফয়সালঃশেষ ইচ্ছে তেমন কিছু নাই, শুধু তোকে একবার দেখব।
আমিঃআর লিজা আপনার কি ইচ্ছে?

To_be_continue…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here