#নিরবতায়_হৃদয়_কোনে
#জিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#পর্ব_০৭
চেয়ারম্যান বাড়িতে খুশির আমেজ। হৈ-হুল্লোড়ে মেতে আছে ছোট বড় সবাই।
বাহারী পদের রান্না চড়েছে হাঁড়িতে। বাড়ির মেজো ছেলে ইশরাক বাড়ি ফিরছে দীর্ঘ সময় পর।
চেয়ারম্যান সাহেবের দুই ছেলে হলেও নির্ভীক সহ বাড়িতে মোট তিনটি ছেলে রয়েছে। সে আজ দৌঁড়ঝাপের উপর আছে। ভাই বাসায় আসছে। মা – মামি এটা ওটা আনতে বাজারে পাঠাচ্ছে। মিতালীর সাথে দেখা করার ফুঁসরত নেই। গতকাল মামিকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলো বিধায় সন্ধ্যায় দেখা হয়নি।
কয়েকবছর পূর্বে আইইএলটিএস কোর্স করে বিদেশে এডমিশনের জন্য চলে যায় ইশরাক। তার দীর্ঘ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল নিয়ে আজ দেশের মাটিতে পা রাখছে। আলেয়া বেগম বেজায় খুশি। কতদিন পর স্বচক্ষে ছেলেটাকে দেখবেন।
★★★
এলাকার ভাঙা রাস্তা ধরে সকালের টিউশনে পৌঁছালো মিতালী। চাকরি না পাওয়ার দুঃসংবাদটি মোটেও নির্ভীককে দিতে ইচ্ছে করলোনা। রিতু জিজ্ঞেস করলো,
-“ম্যাম, স্যার কেমন আছেন?”
মিতালী ছোট্ট করে উত্তর দিলো, “ভালো। ”
ম্যামের মন মেজাজ ভালো নেই বুঝতে পেরেই রিতু আর প্রশ্ন করলোনা। সংসার কিভাবে সামলাবে? চাকরি কোথায় পাবে? মস্তিষ্কে এসব ছক কষতে কষতে অংক ভুল করে বসলো মিতালী। বোঝাতে গিয়েই নিজের ভুলটা চোখে পড়লো। রিতুর চাচাতো বোন কিছু বলতে গেলেই সে হাত ধরে থামিয়ে দিলো। নিজ থেকেই বলল,
-“ম্যাম, আপনাকে আজ ক্লান্ত দেখাচ্ছে। বেশি পড়াতে হবেনা, বাড়িতে গিয়ে রেস্ট করুন।”
মিতালী খানিকটা হাসলো। সে এতটা ফাঁ*কি*বা*জ শিক্ষক হতে চায়না। তাই বলল,
-“আমি ঠিক আছি। তোমরা দুজন পড়ায় মন দাও।”
হেঁটে হেঁটে দেয়ালে টাঙ্গানো বিজ্ঞাপন দেখলো। কোনো আশানুরূপ ফল পাচ্ছেনা। তার যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো চাকরি এই মুহূর্তে পাবেনা।
পুরোদিন অসহায় হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ালো। বাড়ি ফিরলো তিনটায়। গোসল সেরে না খেয়েই আবার ও বেরিয়ে পড়লো। মা যখন খাওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলো? তখন মি*থ্যা বললো মিতালী।
-“বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে। সবাই একসাথে দুপুরে খেয়ে নিয়েছি।”
রোজী বেগমের বোধহয় বিশ্বাস হলোনা। মায়ের চোখ মেয়ের শুকনো মুখ দেখেই সব আন্দাজ করে নিলেন। মায়ের তুখোড় দৃষ্টি এ*ফোঁড়*ওফোঁ*ড় করতে পারলোনা মিতালীকে। দীর্ঘশ্বাস ফে*লে বলল,
-“বাঁচতে হলে আরও অনেক কিছুই সহ্য করতে হবে মা। দেখো, একদিন ঠিকই সুখ ধরা দেবে।”
মিতালী বেরিয়ে যেতেই রোজী বেগম চোখের পানি ছে*ড়ে দিলেন। পিয়ালী এসেই ঝাঁঝালো স্বরে বলল,
-“এত নাটক কিভবাে যে করতে পারেন। দুপুরের এঁটো বাসনগুলো ধুয়ে আনুন, যান। এতগুলো মানুষের রান্নার পেছনে কলুর বলদের মতো খাটতে খাটতে কোমর ধরে গিয়েছে।”
বাসন ধুতে গিয়ে ভাবলেন রোজী বেগম। এমন করেতো সংসার চলেনা। ওদের সাথে থেকে না নিজেরা সুখে থাকছেন আর না মেয়েটা ঠিকমতো দুটো রান্না করে খাচ্ছে।
বিকেলেই বের হলেন তিনি। তিনটে বাড়ি ফারাক চতুর্থ এক আলিশান বাড়ির সামনে দাঁড়ালেন। ভেতরে প্রবেশ করে স্বাভাবিক আলাপ চললেও একসময় রোজী বেগম ইনিয়েবিনিয়ে বোঝালেন তিনি এই বাড়িতে কাজ করতে চান।
বাড়ির বউ খানিকটা অস্বস্তিবোধ করলো। এতদিন প্রবল আত্মসম্মানবোধ নিয়ে চলা নারীটি আজ অসহায় হয়ে তাদের বাড়িতে কাজ করতে চায়?
নীলার ভেতরকার অবস্থা বুঝতে পেরেই রোজী বেগম আরও ছোট হয়ে গেলেন। ধরা গলায় বললেন,
-“আমার মাইয়্যাগো কষ্ট আর সহ্য হয়না মা।”
নিলার নিজেকেই কেমন ছোট লাগছে। এই নারীটিকে ছোট হতে দেখলে তারই খা*রা*প লাগবে। সে এক দারুণ সিদ্ধান্ত নিলো। বলল,
-“চাচি, আপনি প্রতিদিন সকাল-বিকাল এসে আমার শাশুড়ীকে একটু সঙ্গ দেবেন। এটা ছাড়া আপনার বাড়তি কোনো কাজ নেই। বাকী সময়টুকু আপনি চাচাকে দেখবেন।”
রোজী বেগম হাত জোড় করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন। কাজের পাশাপাশি নিজের অসুস্থ স্বামীকে ও দেখার সুযোগ পাচ্ছেন।
★★★
কয়েক বছর পর আজ চোখের সামনে নিজের শৈশব কাটানো বাড়িটি দেখতে পাচ্ছে ইশরাক। দরজা সামনে দাঁড়াতেই ভেতরে দ্রিমদ্রিম হাতুড়ি পে*টা*র শব্দ হলো।
আলেয়া বেগম ছেলে ফেরার অপেক্ষায়, মুখিয়ে আছেন দরজা খুলতে। কলিং বেলের শব্দ পেয়ে আর দেরি করলেননা। ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দিলেন। নির্ভীকের পেছনে দাঁড়ানো নিজের নাড়িছেঁড়া ধনকে দেখে দুচোখ জুড়ালেন। সজল নয়নে তাকিয়ে থাকতেই নির্ভীক সরে গেলো। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদলেন আলেয়া বেগম। ইশরাক মাকে জড়িয়ে সমানে হেসে গেলো। আলতো করে মায়ের কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল,
-“এভাবে কাঁদলে হবে? আমিতো ফিরে এসেছি তোমার বুকে।”
আলেয়া বেগম চোখ মুছে বললেন,
-“এবার আর কোথাও যাইতে দিমুনা তোরে।”
ইশরাকের ঠোঁটে আবারও চমৎকার হাসি খেলে গেলো।
-“আচ্ছা, রেখে দিও তোমার কাছে।”
একে একে ভাবি, ফুফু সবার সাথে কথা বলে মালিহার কাছে গেলো। হাঁটু মুড়িয়ে নিচু হয়ে বসলো। ছোট্ট তুলতুলে মেয়েটিকে কোলে তুলে নিয়ে মিষ্টি করে বলল,
-“আমার ছোট আম্মু কেমন আছে?”
মালিহা আপ্লুত হলো। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে দেখলো চাচ্চুকে। ভিডিও কলে দেখলেও আজ সরাসরি দেখে একটু ভড়কালো। কথা বলে সহজ হতে একটুখানি সময় নিলো। ইশরাক মালিহার নরম নাকের ডগায় ঠোঁট ছুঁইয়ে দিয়ে বলল,
-“আম্মু কি আমার সাথে কথা বলবেনা?”
মালিহা এবার কথা বললো। ছোট করে উত্তর দিলো,
-“তুমি আমার জন্য কী এনেছো?”
মালিহার কথায় সবাই হেসে ফেললো। ইশরাক মুখ ছোট করে ভুলে যাওয়ার ভান করে বলল,
-“ইশ! আমি তো এই আম্মুটার কথা ভুলেই গিয়েছি। সবার জন্য গিফট আনলেও তোমার জন্য আনতে ভুলে গিয়েছি।”
মালিহা গাল ফুলিয়ে ফেললো। আস্তে আস্তে ফুঁপিয়ে উঠতেই চমকে দেওয়ার মতো ইশরাক বলল,
-“আমার ছোট আম্মুর জন্য অনেক চকলেট আর খেলনা নিয়ে এসেছি।”
মালিহা একেবারে সহজ হলো। তাকে নামিয়ে ইশরাক ঘরে গিয়ে দেখলো সব পছন্দমতো গোছানো। এটা মায়ের কাজ ভেবেই হাসলো। গোসল সেরে এখনি কোনো খাবার নিলোনা।
নির্ভীক ঝটপট শরীরে শার্ট জড়িয়ে বেরিয়ে পড়লো। কাল বিকেল থেকে আজ সারাদিন মিতালীর সাথে দেখা নেই।
মিতালী সবে স্টুডেন্ট এর বাসা থেকে বেরিয়েছে, সামনেই নির্ভীককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো। কিছু বাজার করার আছে। আজ হাঁটের তারিখ। তাজা সবজি আসবে বাজারে। আগামীপরশু থেকেই বাবা-মায়ের খাওয়ার সময়।
নির্ভীক এগিয়ে এসে কৈফিয়ত দেওয়ার ভঙ্গিতে বলল,
-“গতকাল থেকে ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। তোকে তো বলেছি আজ ইশরাক ভাইয়া আসার কথা। সেজন্যই দেখা করতে পারিনি।”
মিতালী কথা না বলে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটলো। নির্ভীক আবার ও বলল,
-“আজ স্কুলে গিয়েছিস?”
হাঁটতে হাঁটতেই নির্বিকার ভঙ্গিতে জবাব দিলো মিতালী,
-“নাহ্, চাকরি হয়নি।”
আশ্চর্য হলো নির্ভীক। চোখেমুখে রাজ্যের বিষ্ময় নিয়ে বলল, “মানে!”
সমস্ত ঘটনা ব্যাখা করলো মিতালী। নির্ভীক খানিকটা রাগত স্বরে বলল,
-“এরা পেয়েছে টা কী? চাকরিতে নেবেনা আগে বললেই পারতো। তাছাড়া তুই একথা আমায় কাল জানালিনা কেন?”
-“তোর সাথে দেখা হয়নি।”
নির্ভীক বিরক্ত হলো। ভ্রু কুঁচকে বলল,
-“আমার নাম্বার কি তোর কাছে নেই?”
মিতালী হালকা হেসে বলল, “নাম্বার আছে, ব্যলেন্স নেই।”
আর কথা বাড়ালোনা নির্ভীক। এ ব্যাপার বাদ দিয়ে বলল,
-“এখন কী করবি ভেবেছিস?”
-“জানিনা, আজ টিউশন টাইম ছাড়া পুরোদিন চাকরির বিজ্ঞাপন খুঁজেছি।”
নির্ভীক নিজেও চিন্তিত হলো। মিতালী বলল,
-“তোর সময় হবে? আমি একটু বাজার করবো।”
সায় দিয়ে নির্ভীক মিতালীর সঙ্গে গেলো।
ঘুরে ঘুরে কমদামি মাছটিই কিনলো। অথচ কোনো মাছ খাওয়ার কথা বললে কষ্ট হলেও বাবা বড় সাইজের মাছ কেনার চেষ্টা করতেন। মাছের টাকা পরিশোধ করে দরদাম করে কিছু সবজি নিলো।
সময়টা সন্ধ্যার পর গড়ালো। দুজনে বাজারের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতেই নির্ভীক একটা রিকশা নিলো। বাড়ি আসতে এখনো অনেকটা পথ বাকী। রিকশা যখন মিতালীর বাড়ির সামনে থামলো, দ্রুত নেমে পড়লো সে। নির্ভীক ভাড়া বের করার পূর্বেই মিতালী ভাড়ার পাট চুকিয়ে দিলো।
নির্ভীক বলল,
-“রিকশা আমি নিয়েছি, ভাড়া তুই দিলি কেন?”
মিতালী বলল,
-“আরেকদিন তুই দিয়ে দিস।”
বাজার হাতে নিয়ে ভেতরে ঢুকলো মিতালী। নির্ভীক দাঁড়িয়ে রইলো। মাহবুব বাইরে থেকে ফেরার পথেই নির্ভীককে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলো। দাঁত কিড়মিড় করে বলল,
-“চো*রে*র মতো বাড়ির সামনে উঁকি দিতাচস ক্যান? তোরা তো সাধু-সন্ন্যাসী, ছোঁকছোঁক করস না। তাহলে রাইতবিরাইতে এগুলা কী? গেরামের মানুষ ডাকুম না-কি?”।”
কথা বাড়াতে গিয়েও থেমে গেলো নির্ভীক। এমনিতেই মিতালী দুশ্চিন্তায় আছে। সে শুধু শুধু ঝা*মে*লা বাড়াতে চায়না। এক পর্যায়ে সেখানে মিতালীর নামটা ও উঠে আসবে। চুপচাপ বাড়ি ফিরে গেলো সে।
★★★
মাহার কথা শুনে হতবাক হলো মিতালী। সে কখনো ভাবেনি মা এমন কিছু করতে পারে। মাহা বলল,
-“আপু, মা নীলা ভাবিদের বাড়িতে কাজ নিয়েছে। সকাল-বিকাল তাদের বাড়িতে চাচির দেখাশোনা করবে। আমি না করেছি, অথচ আমার কথা শোনেনি।”
মিতালী অস্ফুট স্বরে বলল,
-“তোকে এসব কে বলেছে?”
-“রুম্পা বলেছে। তার ভাবির সাথে মায়ের কথা বলার সময় সে শুনে নিয়েছে।”
মিতালী সোজা মায়ের কাছে গেলো। কৈফিয়ত চাওয়ার ভঙ্গিতে বলল,
-“কী শুরু করলে মা? আমি কি ম*রে গিয়েছি? শেষমেশ তুমি অন্যের বাড়িতে কাজ নেবে? আমি বেঁচে থাকতে তোমাদের এই দিন দেখতে হবে?”
রোজী বেগম গম্ভীর হলেন। মেয়েদের সাথে সব ব্যাপারে নরম হওয়া মানায়না। মা হিসেবে তার দায়িত্ব সংসারটাকে আগলে নেওয়া। তাই কাঠকাঠ সুরে জবাব দিলেন,
-” আমি ভাবনাচিন্তা কইরাই সিদ্ধান্ত নিছি। এখন আর রান্ধন লাগবোনা। আমি রুম্পা গো বাড়ি থেইকা তোর জন্য ভাত আইনা থুইছি। খাইয়া ঘুমাই যা। সকালে আবার টিউশনে যাইবি।”
মিতালীর নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হলো। মা তার জন্য অন্যের বাড়ি থেকে চেয়ে ভাত নিয়ে এসেছে? সেই বাড়িতে কাজ করবে? অশ্রু সজল চোখে মাকে বোঝালো মিতালী,
-“মা তুমি এটা করতে পারোনা। নিজের আত্মসম্মান বিসর্জন দিতো পারোনা তুমি।”
অতঃপর বাবাকে ছুঁয়ে বলল,-“আব্বা তুমি কিছু বলবেনা আম্মাকে?”
মতিন সাহেবের চোখের কার্ণিশ বেয়ে জল গড়ালো।
রোজী বেগম শক্ত হয়ে বললেন,
-“আমিতো চু*রি করতাছিনা। কাম কইরা খাইতে লজ্জা কিসের? অভুক্ত ম*রা*র চাইতে কাম কইরা খাওয়া ভালো না?”
মিতালী চোখ মুছে বলল,
-“তুমি যদি নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতে চাও, তবে থাকো। আমি কালই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাবো। যেদিকে দু-চোখ যায় যাবো, জীবনে কখনো আমার দেখা পাবেনা।”
রোজী বেগম ভেঙে পড়লেন। এই মেয়ে কেন বোঝেনা, যাদের টাকা নেই তাদের এমন কঠিন আত্মসম্মান থাকতে নেই। পরিস্থিতি মানুষকে কতটা অসহায় বানিয়ে ফেলে।
মতিন সাহেব বিছানায় শুয়ে থেকেও আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন “স্ত্রী – কন্যাদের জীবনে শীঘ্রই সুখ আসুক। এতটা কষ্ট না দেখিয়ে তার মৃ*ত্যুটা হয়ে যাক।
মাহা ফুঁপিয়ে কান্না করছে।
-” আমাদের জীবন এমন হয়ে গেলো কেন, আপু? আমি পড়াতে ও মন বসাতে পারিনা।”
বোনকে বুকে চেপে ধরে মিতালী আদুরে স্বরে বলল,
-“তোর কিসের চিন্তা? সব ভাবার জন্য আমি আছিতো। তুই শুধু পড়ালেখায় মন দে।”
মাহা বুকে মাথা রেখেই বলল,
-“সব ভাবার জন্য আমি আছিতো, কথাটি বলে আমাকে শান্তনা দেওয়ার মতো তুমি আছো? কিন্তু তোমাকে শান্তনা দেওয়ার মতো কে আছে?”
#চলবে……
(গত দুদিন গল্প পোস্ট না করার কারণ বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছেদ। আজ নেটওয়ার্ক থাকলেও শুনলাম আমাদের এলাকায় শনিবার পর্যন্ত বিদ্যুৎ এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদি আজ বা কালকের মধ্যে বিদ্যুৎ না আসে, তবে পরবর্তী পর্বের জন্য শনিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ফোনে খুব একটা চার্জ নেই।)