#ধূসর_রঙের_প্রজাপতি
#ফাতেমা_তুজ
#part_46

রক্তিম আকাশে মেঘের মেলা। মেঘ নাকি কুয়াশা ঠিক ঠাওর করা যাচ্ছে না। শীতের পরিযায়ী পাখি রা মাথার উপর দিয়ে ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে । কুয়াশা যেন আকাশ কে চাঁদরে মুরিয়ে নিয়েছে। সূর্যের দেখা মেলা ভার।
অভিনবর মন খারাপ। আজ চারদিন হলো ঝিলের সাথে দেখা হয় না। কয়েক মিনিট ফোনে কথা বলে কি মন ভরে ?

এই যে সেদিন ঝিলের জন্য ওদের বাসায় গিয়েছিল। শুধু মুখেই ফিরে আসতে হয়েছে। কড়া গার্ড দেওয়া। মারামারি করে নিজের ইমেজ খারাপ করতে চায় না সে। ফোন দিলেই ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাঁদে মেয়েটা। বাড়ির ছেলে পুলে গুলো ফুল সাপোর্ট এ থাকলে ও বড় রা মানতে পারছেন না।
হাজার হোক ত্রিশ বছরের দ্বন্ধ এতো সহজে কি যায় ?
সূর্যের সেটুকু আলো পৃথিবী কে রাঙিয়ে ছিলো সেটা ও নিভে যাচ্ছে। সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততা কাটিয়ে এখন সে বিশ্রাম নিবে। মন খারাপের মাঝে অভিনবর বাজে এক ইচ্ছে হলো।
হাতের কাছে সিগারেট থাকলে এই অনুচিত কাজ টা নির্দ্বিধায় করে নিতো। আফসোস সেটা ও নেই। হঠাৎ ছোট ছোট পায়ের আওয়াজ এলো।
পেছন ফিরতেই ফুল আর রূপা কে দেখতে পেল। অভিনব এগিয়ে ফুল কে কোলে তুলে বলল
_ কি হয়েছে ফুল ঝুঁটি ?

_ দুপুরে খেতে আসলে না কেন ভাইয়া ?

_ খেতে ইচ্ছে করছে না যে আমার।

ফুল রূপার দিকে তাকালো। রূপা একটু এগিয়ে এসে বলল
_ তুমি না খেলে আমরা ও খাবো না।

_ রূপা তোমার এখনো লাঞ্চ করো নি ?

রূপা আর ফুল মাথা কাত করলো। অভিনবর ভেতরে লুকায়িত দীর্ঘশ্বাস টা কেমন করে যেন বেরিয়ে আসলো। এদের মুখের দিকে তাকিয়ে বারন করতে পারছে না। তাছাড়া না খেয়ে থাকা টা বোকামি। এতে কোনো সমাধান তো হবেই না উল্টো অসুস্থ হতে হবে।
পরিশেষে দুজন কে নিয়ে ডাইনিং এ চলে আসলো। ঝিলের কথা ভাবতেই খাবারের ইচ্ছে টা মরে যাচ্ছে। না জানি মেয়েটা খেয়েছে কি না ।

” মাহিন প্লিজ কিছু করো ! ঝিল কি এখনো খাচ্ছে না ? ”

_ শুনছে না কারো কথা। তুমি একটু বোঝাও প্লিজ। মেয়েটা পুরো পাগল। আমাদের ই ধমকাচ্ছে।

_ হাতের জখম টা কতদূর ?

_ মোটামুটি ঠিক ঠাক ই আছে । তবে ঔষধ না খেলে বিপরীত হতে পারে ।

অভিনবর মুখে বিরক্তি। ঝিল কেন বাচ্চামো করছে। এতো বার বলার পর ও শুনছে না। আচ্ছা এভাবে কি সমাধান হয় ?
মাহিন কোনো শব্দ না পেয়ে কান থেকে ফোন নামালো। কল ঠিক দেখে আবার বলল
_ আমার কথা শুনছো অভিনব ?

_ হ্যাঁ শুনছি। আচ্ছা শোনো না কোনো ভাবে দু একদিনের মধ্যে একটু বাইরে নিয়ে আসতে পারবে ওকে ?

মাহিন একটু ভেবে সম্মতি জানালো। অভিনবর অধর কোনে হাসি ফুটলো। মেয়েটাকে কাছে পেলে ভালো করে বোঝানো যাবে। দিন রাত কান্না করে ঠান্ডা বাঁধিয়েছে। এভাবে চললে জ্বর বাঁধাবে অতি শীঘ্রই।

*

দানেশ এর সাথে লডু খেলছে রূপা। টান টান উত্তেজনা নিয়ে খেলছে। ইহরিমা দু চোখ ভরে দেখছে। ছোট সময়ে ভাইদের সাথে ডাবা খেলতেন ওনি। কতো সুন্দর ছিলো সে সময়।

ডিবাইনে বসে নখ কামড়াচ্ছে অভিনব । এই বিচিত্র স্বভাব টা ছিলো না তাঁর । আজকাল সব কেমন উল্টো পাল্টা হচ্ছে। মুখের রঙ পাল্টে গেছে। অতি চিন্তায় চোখ দুটো কোটরে ঢুকে গেছে। ফর্সা মুখে লাল লাল ছোপ তাঁর সাথে চোখের নিচের অংশে কালি জমেছে। ভয়ঙ্কর সুন্দর ছেলেটা কে আজকে ভয়ঙ্কর ই লাগছে। এমন বিদঘুটে রূপ কখনো হয় নি তাঁর। মানুষ কতোটা পরিবর্তন হতে পারে তাঁর ই উদাহরন। অহেদ অনলাইনে মিটিং সেরে লিভিং রুমেই আসছিলেন। প্রচন্ড কাজ হাতে ব্যস্ত ওনি।
আমেরিকায় বেশ কয়েকটি প্রপার্টি কেনার কথা। তবে এখন কিনতে চাইছেন না।
সেটা নিয়ে পার্টনার দের সাথে একটু দ্বন্ধ চলছে। যদি ও সেটা অতি সূক্ষ্ম আর অন্তর গস্ত। তবে দুশ্চিন্তা যে মরন ব্যাধির মতো।
অভিনবর ধ্যান অন্য দিকে। অহেদ ইশারা করতেই ইহরিমা উঠে দাঁড়ালো। দুজন দুপাশে বসে পরতেই অভিনবর ধ্যান ভাঙলো।
_ খুব বেশি চিন্তায় আছো মনে হচ্ছে ?

_ নো ডেড। আম ওকে !

_ মামাদের জানিয়ে দিলে ভালো হতো না ?

_ উহহুহ। মম ইউ নো দ্যাট কত বড় মনের দ্বন্দ্ব চলছে। এটা শুনলে ডিভোর্স পেপার রেডি করে ফেলবে। জানোই তো সবার মাঝে এক অদ্ভুত ধারনার সৃষ্টি হয়েছে।
তাই তাঁর আগে আমাদের এমন কিছু করতে হবে যার কারনে দু পরিবার একে অপরের আগের টান অনুভব করে।

অতি মনোযোগ দিয়ে কথা গুলো শুনলেন অহেদ আর ইহরিমা । বরাবর ই ছেলের সিদ্ধান্ত কে প্রাধান্যে দিয়ে এসেছেন। এতে করে লাভ ই হয়েছে। অভিনবর মস্তিষ্ক বেশ দূরন্ত আর খোলা মেলা।
চট জলদি সব সামলে নিতে পারে। অভিনব একটু হাসার চেষ্টা করলো।বাবা মা কে সান্ত্বনা দিলে ও মন কে বোঝাতে পারছে না।
প্রিয় মানুষ কে হারানোর ব্যথা অনুভব হচ্ছে। যে যন্ত্রনা একটু একটু করে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে।

তামিম এসে একটু আগে ডেকে গেছে। অভিনব কে নিয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করবে। এতো রাতে আলোচনা করার একটাই কারন যাতে কেউ বুঝতে না পারে। গাঁয়ে জ্যাকেট জড়িয়ে হাঁটা লাগালো অভিনব। পায়ের গোড়ালি তে ব্যথা অনুভব হলো। ভ্রু দুটো বেঁকে গেল কারন গোড়ালি তে পিন ফুটেছে। পিন টা হাতে তুলেই বুক ভারী হয়ে গেল। ঝিলের সেপটি পিন এটা। চোখ যেন বর্ষন নামাতে চাইছে।
নিজের উনত্রিশ বছরে এসে অনুভব হলো একটা পিচ্ছি মেয়ের জন্য সে উম্মাদ হতে চলেছে।
ভালোবাসার এমন তেজ সত্যিই অবিশ্বাস্য। চোখের পানি কে বাড়তে না দিয়ে লাইব্রেরির দিকে রওনা হলো।

প্রচুর উত্তেজনা নিয়ে হাঁটাহাটি করছে তামিম আর সাদাদ। অন্য সময় হলে আরফান বিরক্ত হতো। তবে আজ হচ্ছে না। টকটবগে রক্তে নিজে ও দাঁড়িয়ে পরলো। বন্ধু মহলের দুষ্ট ছেলে সে। তবে প্রেম করা না হলে ওহ প্রেমের হেল্প করেছে বহুবার।
পুরনো দিন গুলো মনে হতেই মুখে হাসি ফুটে ।

অভিনব স্থির নয়নে সবার নির্লিপ্ত মুখে দিকে কিছুক্ষন তাকালো তারপর ই বললো
_ তোমাদের পায়চারি হয়েছে ?

_ নাহ !

_ তাহলে আমি গেলাম।

_ আরে অভিনব চলে যাচ্ছিস কেন ?

_ তো ?

_ আরে ভাইয়া শোনোই না ঝাক্কাস এক প্ল্যান করেছি। এবার পাখি ধরা দেবেই।

_ সাদাদ কাল কি একটা প্ল্যান বলেছিলি মনে আছে ?

_ স্যরি ভাইয়া । আসলে মুভি তে হয় না মাথায় বন্ধুক ধরলেই সব ঠিক হয়ে যায় তাই আর কি

সাদাদ কে বলতে না দিয়ে তামিম অভিনবর পাশে বসলো। চার ভাই মাথা কাছাকাছি করে প্ল্যান নিয়ে আলোচনা করতে লাগলো।

*

” মৌন আমি পারছি না সামলাতে। ওকে ছাড়া আমি বাঁচবো না রে। আমাদের বিয়ের কথা বললে পাপা রা কেলেঙ্কারি করে বসবে। দু পরিবার আবার বিবাদ করবে। আমাদের ডিভোর্স করিয়ে ছাড়বে। ”

_ এমন বলিস না তো। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। একটু সাহস রাখ দোস্ত।

ঝিল উত্তর দিলো না। হাঁটু তে থুতনি দিয়ে বসে রইলো। ঝিলের এমন অবস্থা দেখে মৌনতার কপালের চামড়ায় ভাঁজ সৃষ্টি হলো। ভেতর থেকে আসলো দীর্ঘশ্বাস। বুক ফাঁটা হাহা কার নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসলো ।
আজ সারাদিন ঝিল কিছু মুখে তুলে নি। এভাবে মানুষ বাঁচে ?

করিডোর দিয়ে নিচে নামার সময় রোহনের রুম থেকে আসা কন্ঠস্বরে থেমে গেল। কাউকে ইচ্ছে মতো বকা দিয়ে যাচ্ছে। কন্ঠস্বর এতোটাই তীব্র যে মৌনতা বার বার কেঁপে উঠছে।
হাতে থাকা ওয়াটার বোতল টা সাইট টেবিলের সাথে লেগে ঝনঝন আওয়াজ তুলে নিলো।
দ্রুত স্থান ত্যাগ করতেই হাতে টান অনুভব হলো।
_ কে !

_ আমি মৌনতা !

মৃদু আলো তে একটু ঝুঁকে নিলো রোহন। মৌনতা কে ভয় পেতে দেখে হাত টা ছেড়ে দিলো। খানিকটা কঠিন স্বরে বলল
_ এতো রাতে এখানে কি করছিলে ?

_ নাহ মানে আমি

_ তুমি কি ?

_ আমি আসলে ঝিলের জন্য খাবার নিতে কিচেনে যাচ্ছিলাম। ওহহ তো এখনো খায় নি।

রোহন কিছুক্ষন ভ্রু কুচকে তাকালো। সারা দিন বাসায় ছিলো না আজ। তাই ঝিলের খবর নেওয়া হয় নি। সুমার বাসায় গিয়ে ও সুমা কে পায় নি। মেয়েটা কে ভালোবাসাই ছিলো জীবনের সব থেকে বড় ভুল। আশে পাশের সব জায়গায় ঝিলের নামে বাজে মন্তব্য রটিয়েছে।
শুধু মাত্র ভালোবাসার খাতিরে বাসায় বিষয়টা জানতে দেয় নি।
তবে এর শাস্তি তো পেতেই হবে। রোহন কিছু বলছে না দেখে মৌনতা বিরক্ত হলো। যাবে কি যাবে না বুঝতে পারছে না। মিনিট পাঁচেক পর রোহন পেছন ঘুরে তাকিয়ে অবাক স্বরে বলল
_ এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন ?

_ আপনি তো যেতে বলেন নি ।

মৌনতার কথায় থতমত খায় রোহন। পেছন ঘুরে বলে
_ যাও খাবার নিয়ে আসো আমি ঝিলের কাছে যাচ্ছি।

সম্মতি পেয়ে এক সেকেন্ড দাঁড়ায় না মৌনতা। বাতাসের গতি তে ছুটে যায়। যেন কোনো ভয়ঙ্কর মানবের সামনে দাড়িয়ে ছিলো।

অন্ধকার রুমে বসে আছে ঝিল। রাত দুটো বেজে গেছে প্রায়। ঘুম যেন হারাম হয়ে গেছে। রাত্রি বড্ড কঠিন। কারো জন্য সুখের আর কারো জন্য দুঃখের। কেউ ভালোবাসায় মত্ত কেউ বা বিচ্ছেদের রেখা গড়তে। এভাবেই কালের আবর্তনে সবাই কে চলতে হয়।
ঝিল ও তাঁর ব্যক্তিক্রম নয়। সূক্ষ্ম ভাবনায় মনের ফাঁক ফোঁকরে গহীন ব্যথা অনুভব হলো।
রোহনের হাতের স্পর্শে ঝরঝরে কাঁদে। ভাই কে জড়িয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা চালায়। আপন মানুষ নাকি ব্যথা কমায় কিন্তু ব্যথা কমছে না কেন ?
ব্যর্থতায় নুইয়ে যাচ্ছে ঝিল। পাপাদের সাথে কথা বলে না। তবু ও তাঁদের কঠোরটা যাচ্ছে না।
আজ মনে হচ্ছে খুব পর হয়ে গেছে। এভাবেই বুঝি সম্পর্ক ঠুনকো হয়ে যায় ?
মৌনতা খাবার নিয়ে আসে। রোহন খাবার হাতে নিতেই সরে যায় ঝিল।
কথা না বাড়িয়ে অভিনব কে ফোন লাগায়।
_ হ্যাঁ রোহন সব ঠিক আছে ?

_ খাচ্ছে না !

_ মানে, জোড় করো !

_ আমাদের কথা মানে ওহ ? আস্ত বেয়াদব হয়ে গেছে। আগে ভাই দের ভালোবাসতো এখন বাসে না।

রোহনের কথায় ঝিল কিছু বলে না। মনের ব্যথা সারানোর উপায় অভিনবর সাথে সান্নিধ্য । হাজার বছর দূরে থাকলে ও কষ্ট হয় না । যদি না বিচ্ছেদের রেখা সৃষ্টি হয়। মানুষ তো আশা নিয়েই বাঁচে।

_ আচ্ছা ফোন টা দাও আমি দেখছি।

ফোন দিতেই ঝিল নাকোচ করে দেয়। কথা বললে ব্যথা বাড়বে। মৌনতা বোঝায় অভিনবর ওহ তো কষ্ট হচ্ছে।
পরিশেষে ফোন কানে তুলে মেয়েটা।

রোহন ইশারা করে মৌনতা কে বাইরে আসতে। মৌনতার মধ্যে আড়ষ্ঠতা দেখে নিজেই হাত ধরে বাইরে নিয়ে যায়। দ্রুত গতিতে বলে
_ পাশের গেস্ট রুমে ঘুমিয়ে পরো। ঝিল একা থাকুক আজ।

মৌনতা মাথা ঝাঁকায় । রোহনে লম্বা কদম ফেলে নিজ রুমে এগিয়ে যায়।

কেউ কোনো কথা বলছে না। একে অপরের নিশ্বাস গুলো গুনে চলেছে। ভারী নিশ্বাসে প্রকৃতি ও যেন ছন্দ তুলেছে। অভিনবর অতি কাতর কন্ঠে ভেসে আসতেই ঝিলের চিত্ত কেঁপে উঠলো।
_ ঝিল !

_ হুম

_ কেন পাগলামি করছো তুমি ? এভাবে না খেয়ে শরীর খারাপ করবে আমার চিন্তা হবে না বলো ?

_ আমি পারছি না আর।

_ ভালোবাসো তো আমায় ?

_ অভিনব!

_ তাহলে কেন গুটিয়ে যাচ্ছো। দুর্বলতার পরিচয় দিয়ে কি বোঝাতে চাউ আমাদের ভালোবাসা কপূরের ন্যায় ?

_ আমি জানি না , কিচ্ছু টি জানি না আমি । তোমাকে না পাওয়ার বেদনা আমি মেনে নিতে পারছি না। কেন আমাদের দূরে যেতে হচ্ছে । কেন তুমি থেকে ও নেই। আমি যে তোমাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এই কয়েকটা দিন আমি আমার জীবনের সেরা মুহুর্ত উপভোগ করেছি। নিজ অনুভূতির সাথে পরিচিত হয়েছি। ভালোবাসি আমি , খুব ভালোবাসি।

ঝিলের কন্ঠে অভিনবর বুকে ব্যথা অনুভব হলো। সান্ত্বনার বুলি দিতে চায় না। তবে কাল যেহেতু দেখা করার সুযোগ মিলবে তাই বলতে ইচ্ছে হলো। তবে মনের গহীন থেকে সে ইচ্ছে টাকে দমিয়ে নিলো। যদি দেখা না হয় ।

_ সারারাত প্রেমালাপ করেছো কখনো ?

_ মানে ?

_ এই যে সারা রাত কথা বলা। যদি তুমি খেয়ে নাও তো আমি সারা রাত কথা বলবো। আই মিন ফোনের চার্জ শেষ না হওয়া অব্দি ।
থাকবে তো আমার সাথে ? একটু ভালোবাসার সান্নিধ্য দেবে তো আমায় ? নিশ্বাস গুনার সুযোগ দেবে আমায় ?

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here