#তুমি_থেকে_যাও_আমার_হয়ে।
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ০২
আমার বলা কথা গুলো অহনা এখনো খুব গুরুত্বের সাথে শুনছে।তবে দেখাই যাচ্ছে চোখের কোনে পানি জমে গেছে।
আমার কথা বলা বন্ধ করাই অহনা আবার বলল…
অহনাঃতারপর কি হল বল না।(আবেগে আপ্লূত হয়ে)
—তারপর আমি বাসায় চলে এলাম সেই দিন।তারপর থেকে যে কয় দিন এক্সামের সময় ছিল খুব ভালো করে পড়লাম।
অহনাঃতো তুমি কি ফাস্ট হয়েছিলে?
—সেটা না হয় অজানা থাক।
অহনাঃঅজানা থাকার কি আছে তুমি তো ফাস্ট হয়েছিলে।শুধু তোমাদের কলেজে নয় পুরো উপজেলা মিলে তুমি ফাস্ট তা আমরা সবাই জানি।
—হুম। তাই তো আর কাউকে কখনো ভালোবাসতে মন চাই নি।হারনোর ভয় আর নিজের পাওয়া কষ্টের কথা মনে করে।
অহনাঃএখন তো তোমার প্রতি আমার আগ্রহ টা আরো বেড়ে গেল।মনে চাচ্ছে তোমায় একটু জড়িয়ে ধরি।
—ফাজলামো রাখ আমি গেলাম।
অহনাঃকয় যাবে তুমি?
—চারপাশে দেখ পুরো ভার্সিটিতে কেউ আছে কি না।সে কখন ভার্সিটি বন্ধ হয়ে গেল হিসাব আছে তোমার?
রবির কথা শুনে অহনা চারপাশে দেখে অবাক। কারণ সত্যি তো কেউ নেই।ভার্সিটির সব রুম বন্ধ করে ফেলছে।সবাই চলে গেছে।শুধু অহনা আর রবি বসে আছে। অহনা হালকা ভয় পেল যদি রবি এই সময় অহনার সুযোগ নেয়।
রবি অহনার চেহারা দেখে বুঝল সে ভয় পাইছে।তার ভয় কাটাতে রবি বলে ওঠল চলো যায় অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমি বলছিলাম তোমায় সে অতীত বললে সারাদিন শেষ হবে না।এখন তো মাত্র আমায় সাথে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা তোমায় বললাম।তারপর যে আরো অনেক কিছু হলো।
আচ্ছা চল সেগুলো না হয় অন্য একদিন বলব।বাসায় আপু একা আমাকে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে।তারপর অহনাকে একটা রিকশায় তুলে দিয়ে রবি বাসায় চলে গেল।
অহনা বাসায় যেতে অনেক প্রশ্ন শুরু করে দিল তার মামা।অহনা মামার বাসায় থেকে এই ভার্সিটিতে পড়ে।তার মামাতো বোনও তার সাথেই পড়ে।অহনার মামাতো বোন ইশিতা।আজ কেন জানি ইশিতা ভার্সিটিতে আসে নি।
এদিকে রবি বাসায় যেতে আপু তাঁকে হাজারো প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে কোথায় ছিলো? এতক্ষণ কেন দেরি হল আজকে আরো কত প্রশ্ন।
বেশি কিছু বলার দরকার নেই শুধু বলল একটা ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতে বলতে দেরি হয়ে গেল আর কিছু না। তারপর নাস্তা করে শুয়ে পড়ল কারণ অনেক ক্লান্ত সারাদিন ক্লাস।
রাতে পড়াশোনা শেষ করে সকালে আবারো ভার্সিটিতে গেল। এখন আবার অহনা তার কাছেই আসল।
সে প্রথমে ভেবেছিল হয়তো আর আসবেনা কিন্তু এখন আরো ঝামেলা বেধে গেল।
রবি ক্লাস শেষ করে গাছের নিচে এসে বসলো আর সেই সময় অহনাও তার কাছে এসে গা ঘেঁসে বসলো কাল হয়তো একটু ফাঁকা ছিল কিন্তু আজ গা ঘেষেই।
বিষয় টা রবির ভালো লাগছিল না তাই সে একটু সরে বসল।কিন্তু অহনা আরো চেপে বসল।রবি অহানকে ইশিতার কথা বললো।কেন সে ভার্সিটিতে আসছে না কালও আসে নি।
অহনাঃপরশু থেকে সে একটু অসুস্থ তাই দুই দিন আসে নি।
–ওহ।তা চলো বাসায় যায় এভাবে বসে থাকলে দেরি হবে কাল দেরি হওয়ায় আপু কত প্রশ্ন করল আমায়।
অহনাঃনা এখন বাসায় যাব না কালকে বলছিলে রিহির কথা এর পর থেকে আবার শুনব।বল এর পর কি হয়ছে?
—বাদ দাও না সে সব।আমি এই বিষয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।
অহনাঃপ্লিজ প্লিজ প্লিজ বলো না কি হয়েছিল?
—ফুচকা খাবে?
রবির কথা শুনে অহনা আড় চোখে তাকাল।রবি বুঝতে পারল অহনা কি ভাবছে। তাই সে কথা ঘুরিয়ে বলল..
–না মানে কাল তো অনেকটা সময় কথা বলছিলাম কিন্তু কিছু খাওয়া হলো না।তাই ভাবললাম আজ না হয় কিছু খাই।তোমার সমস্যা হলে থাক খেতে হবে না।
অহনাঃনা না আমি তা বলিনি,খাব তো।
–তো আঁড় চোখে তাকাচ্ছ কেন?
অহনাঃনা মানে এমনি।কেন তোমার দিকে তাকানো যাবে না নাকি?
—তা বলি নি।কিন্তু তাকানোর মধ্যে একটু ভিন্নতা আছে তাই বললাম।
অহনাঃহয়ছে চলো ফুচকা খাই গিয়ে।
—ওকে চল।
তারপর রবি আর অহনা ফুচকা খেতে গেল।দুই প্লেট ফুচকা নিলো।দুই জন পাশাপাশি বসল।ফুচকা খাচ্ছে আর বলা শুরু করল…..
অহনাঃতারপর কি হলো বলো।
—তারপর আমি তার বিষয়ে বেশি খুঁজ নিয় নাই।তবে কিছু শুনছিলাম তার ফ্রেন্ড নাসিফার কাছ থেকে।
অহনাঃকি শুনছ?
—শুনলাম…..
রিহি এক্সাম দেওয়া পর ভাবলো সে এবার টপার হবেই।কারণ সব বিষয়ে তার অনেক ভালো উত্তর হয়েছে।কিন্তু সে ভুলে গেছিল কেউ একজন তার থেকে ভালো রেজাল্ট করতে পড়ছে।জান অহনা স দিনের পর থেকে আমি একটা মিনিটও নষ্ট করি নি।দরকার হলে কলেজে যেতাম।স্যারদের লেকচার শুনতাম।আর স্যার বের হয়ে গেলে আরেকটা স্যার আসতে যতটুকু সময় লাগতো সেই সময় টুকুও আমি পড়তাম।
তো এক্সাম দিলাম আমি টপার হলাম।রিহি চেয়েছিল কলেজের টপার হতে কিন্তু আমি পুরো জেলায় টপার হওয়ার চিন্তা করছিলাম।রিহি রেজাল্টের পর আমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তাঁকে কথা বলতে সুযোগ দেয় নি।হয়তো সে আমাকে নতুন কোনো জালে আটকাতে চেয়েছিল।
আমি এক্সাম শেষ করে জানতে পারলাম রিহি সেখানে থেকে যাবে তাই আমি চলে এলাম এখানে।জান অহনা রিহি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিল শেষে। হয়তো আমাকে সরি বলত কিন্তু আমি সেই সুযোগ তাঁকে দেয় নি।নাসিফাও আমার সাথে রিহির কথা বলিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তাতেও আমি সেই সুযোগ দেয় নি।
অহনাঃতারপর কি হল বল।
—তারপর আর কি সে দিন জানতে পেরে আমি এই ভার্সিটিতে চলে আসি।আর রিহি সেখানে থেকে যায়।শুনছিলাম অনেকের সাথে এমন করে ছিল।তার সাথেও একজন ঠিক তেমন টাই করলো।কে করলো জান?
অহনাঃকে করছে এমনটা?
—আমার কলিজার বন্ধু রাশেদ তাঁর সাথে রিলেশন করলো তাঁকে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিল কারো মনে কষ্ট দিলে সেটা কতখানি সেই মানুষের উপর প্রভাব পড়ে।
অহনাঃকি করছিল রাশেদ রিহির সাথে?
—সেটা তো আরেকটা কাহিনি। শুনলে তুমি কষ্ট পাবে।আর আজকে তেমন সময়ও নেই তাই বলা যাবে না।অন্য কোনো বিকালে বলব তোমায়।
অহনাঃআচ্ছা বইলো।কিন্তু একটা কথা রাখবে?
—হুম বল?
অহনাঃআমি জানি তুমি আমার সাথে কখনো রিলেশনে যাবে না।কারণ তোমার অতীতে এখনো পড়ে আছ তুমি।তাই বলছি কি আমরা তো এখন ফ্রেন্ড আছি আমরা কি বেস্ট ফ্রেন্ড হতে পারি না?
—শুধু বেস্ট ফ্রেন্ড তাহলে এর থেকে বেশি কিছু না কিন্তু?
অহনাঃওকে বেস্ট ফ্রেন্ড।
–চলো আজ ওঠি।
অহনাঃনা মানে আরেকটু থাকা যেত না?
—কালকে আপু আমাকে কত প্রশ্ন করলো জান তুমি।আমি চাইনা সে প্রশ্ন আবার করুক।
অহনাঃকি বলছিল আপু?
–কার সাথে ছিলাম দেরি কেন হল…আরো কত প্রশ্ন….
অহনাঃতুমি কি বলছিলে?এক্সট্রা ক্লাস ছিল বলছিলে নাকি?
—-হাইরে কপাল। আপু হয় আমার এক্সট্রা ক্লাস কেমন থাকে তা আপু ভালোই বুঝে।
অহনাঃকি নাম আপুর কি করে?না মানে পড়াশোনা না জব?
—নাসরিন সোলতানা প্রিয়া। পড়াশোনা করে না জব করে নার্স।
অহনাঃতা কি বললে আপুকে?
—কি আর বল আমি মিথ্যা বলতে পারিনা তাই আপুকে বললাম যে একটা ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছিলাম। তাই বাসায় আসতে দেরি হল।
অহনাঃতো আপু আর কিছু বলে নি?
—কি বলবে, বকা খাওয়াতে চাচ্ছ নাকি হুম?
অহনাঃনা না তা বলি নি।এর পরে আর কিছু জিজ্ঞেস করছে কি না বললাম?
—না।কারণ আপু জানে আমি মিথ্যা বলি না।আচ্ছা দেরি হয়ে যাচ্ছে চল তো।
অহনাঃআচ্ছা চল।
তারপর ফুচকার বিল দিয়ে অহনা আর রবি চলে গেল।রিকশায় ওঠে বাসায় চলে গেল দুই জন।রবি খেয়ে ঘুম দিল কারণ রাতে ওঠে পড়তে হবে।এই দিকে অহনা গিয়ে ইশিতাকে বলল আজকে সারাদিন কি কি হল।
ইশিতাঃআচ্ছা তুই তো রবিকে ভালোবাসিস তাই না?
অহনাঃহুম বলতে পারিস লাভ করি।কিন্তু সে তো আমাকে এই বিষয়ে পাত্তা দেয় না।
ইশিতাঃদিবে দিবে একটু ধৈর্য ধরে লেগে থাক পাত্তা দিবে।কিন্তু একটা কথা আমার মাথায় ঢুকছে না তুই কেন ওর সাথে রিলেশন করে চাচ্ছিস।তোর বাবা এমপি আর রবির কে আছে কি করে কিছু তো জানি না।এখন তোর বাবা কি তোদের মেনে নিবে?
অহনাঃসেটা পরে দেখা যাবে।তবে আমি জানি বাবা আমার পছন্দের মানুষের সাথে আমার বিয়ে দিতে বিপত্তি সৃষ্টি করবে না। আচ্ছা ওসব বাদ দেয় অনেক সময়ের ব্যাপার।
ইশিতাঃশুরু থেকে এসব চিন্তা না করলে পরে তুই কষ্ট পাবি।আর সেও কষ্ট পাবে।
অহনাঃকি করব বল ওকে আমি ভালোবেসে ফেলছি।তাই ওর পাশে সারাক্ষণ থাকতে বেস্ট ফ্রেন্ড হলাম।ওকে আমার খুব ভালো লাগে।জানিস ওর সাথে থাকলে আমি নিজের ভেতরে অনেক প্রশান্তি খুঁজে পাই।
ইশিতাঃহয়ছে আর বলিস না।তোদের প্রেম তো ভালোই চলছে হুম।
অহনাঃযাহ ফাজিল। এখনো রিলেশনে যায় নি।তবে না গেলেও আমি ওকেই বিয়ে করব।প্রয়োজনে যা করা দরকার তাই করব।তাও আমি রবিকেই বিয়ে করব।
ইশিতাঃআরে কুল এত গরম হওয়ার কিছু নেই।আমি জানি তুই পারবি।আর যদি তুই রবিকে সত্যি ভালোবাসিস তাহলে কখনো হাত ছাড়া করিস না।
অহনাঃহুম কখনো হাত ছাড়া করব না।
ওরা দুই জন রবিকে নিয়ে আরো কত কথা যে বলল…..
সকালে রবির মাথা ব্যথা করছিল তাই ভার্সিটিতে যায় নি।এই দিকে অহনা ভার্সিটিতে গিয়ে রবিকে না দেখে মন মরা হয়ে বসে আছে।আজ অহনার সাথে ইশিতাও ভার্সিটিতে গেল।রবি থাকলে ক্লাসটাই যেন অন্য রকম থাকে।কিছু আজ একদম নিরব।স্যার ক্লাস করাতে এসে রবিকে না দেখে অবাক হল।কারণ ছেলেটাও ভালো পড়াশোনায় ভালো।সবার থেকে আলাদা হয়ে থাকে।এমন কি রাশেদের থেকেও।সারাদিন ক্লাসটা কেমন যেন মাথার উপর দিয়ে গেল অহনার।
অহনার কাছে রবির নাম্বার না থাকায় ফোনও দিতে পারছে না।শেষে রাশেদের কথা মনে হতে অহনা রাশেদের কাছে গেল।প্রথমে রাশেদ নাম্বার না দিলেও পরে ইশিতার কথা ভেবে নাম্বার দিল। রাশেদ মনে মনে ইশিতাকে লাইক করে।তাই ইশিতা আসতে নাম্বার দিতে বাধ্য হল।
অহনা রবির নাম্বার নিয়ে ফোন দিল কিন্তু রবির ফোন সাইলেন্ট থাকাই ধরতে পারে নি।অহনা চিন্তায় পড়ে গেল রবির কিছু হয় নি তো আবার।দুই তিন বার ফোন দিয়েও যখন রবি ফোন ধরল না তখন অহনার মনে ভয় ঢুকে গেল।আর মাত্র দুইটা ক্লাস আছে তারপর ভার্সিটি ছুটি হয়ে যাবে এই সময় টুকুও অহনা ধৈর্য ধরতে পারছে না।তাই রাশেদের থেকে রবির এড্রেস নিয়ে অহনা আর ইশিতা রবির বাসার দিকে রওনা হল।অবশ্য রাশেদের থেকে জিজ্ঞেস করছিল রবির কি হয়ছে কিন্তু রাশেদ না জানায় বলতে পারে নি।পরে রাশেদও দুই বার ফোন দিল কিন্তু তাও রবি ফোন ধরে নি।
পথের মধ্যে রিকশা নিয়ে রবির বাসায় যেতে যতক্ষণ লাগছিল ততক্ষণ অহনা রবিকে ফোন দিয়েই গেছে।রিকশা রবির বাসার সামনে গিয়ে থেমে যেতেই অহনা তাড়াতাড়ি করে রিকশার ভাড়া না দিয়ে ঢুকে যেতে চাইলে দারোয়ান দাড় করিয়ে রাখে।এই দিকে ইশিতা রিকশার ভাড়া দিয়ে রিকশা বিদায় করে।অহনার পাগলামি দেখে ইশিতার হাসি পাচ্ছে কিন্তু হাসলে যে অহনা ইশিতার উপর রেগে গিয়ে কি না কি করে বসে হিসেব নেই তাই মুখ চেপে হেসে চলছে।
এইদিকে রবি ফোন না ধরাই রাশেদও রবির বাসায় আসবে বলে ক্লাস না করে বেরিয়ে গেল। সেও রিকশা নিয়ে রবির বাসার দিকে রওনা হল।
এই দিকে দারোয়ান অহনা আর ইশিতাকে আটকায় কারণ রবির আপুর বলায় আছে কোনো মেয়ে যেন এই বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।আর বিশেষ করে রবি একা থাকলে।কারণ রবিও কোনো মেয়ে তার সাথে মিশুক তা চায় না।কারণ রবির অতীত এখনো তাঁকে কাঁদায়। যার প্রতিটি চোখের জল রিহির কথা ভেবে ঝরে।হয়তো রিহিকে রবি এখনো ভালোবাসে।কিন্তু বিশ্বাস ঘাতককে রবি কখনো ক্ষমা করে না।আর না তাঁকে দ্বিতীয় বার বিশ্বাস করে।
দারোয়ান অহনা আর ইশিতাকে দাড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলো কার কাছে যাচ্ছে?
দারোয়ান কথার উত্তর না দিয়ে অহনা ভেতরে আসতে চাইলে দারোয়ান গেইট বন্ধ করে দেয়।
রবির বারিটা এক তলা।আর চারপাশে দেয়ালে ঘেরা। বাসায় তেমন কেউ নেই।শুধু রবি, তার আপু আর একটা কাজের মেয়ে।
অহনাকে দারোয়ান ঢুকতে না দেওয়ার গেইটের মধ্যে চেচামেচি শুরু হয়ে গেল।আপু জানালা দিয়ে দেখে দুইটা মেয়ে দারোয়ানের সাথে তর্ক করতেছে ভেতরে ঢুকার জন্য কিন্তু দারোয়ান ঢুকতে দিচ্ছে না।উপর থেকে আপু ইশারা করলে দারোয়ান গেইট খুলে দেয় আর অহনা ভেতরে দৌড়ে চলে গেল সাথে ইশিতাও আস্তে আস্তে গেল।অহনা ভেতরে যেতেই দেখে একটা মেয়ে বসে টিভি দেখতেছে।অহনা বলল রবি কোথায়।মেয়েটার রবির রুম দেখিয়ে দিল।
অহনা দৌড়ে গিয়ে দেখে রবি শুয়ে আছে আর তার মাথায় একটা মেয়ে জলপট্টি দিচ্ছে। অহনা এটা দেখে…..
#To_be_continue…….
#RK9023DXWC
#অনুমতি_ছাড়া_কপি_করা_নিষেধ।
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন