অহনা ভার্সিটিতে আমাদের ক্লাসের সিনিয়র ক্রাশ। দেখতে মাশাল্লাহ। কিন্তু অহনা কোনো ছেলেকেই পাত্তা দেয় না।একদিন রিহান এসে অহনাকে প্রপোজ করে বসে কিন্তু সে দিন দেখলাম অহনার রাগটা কেমন।রিহানের মুখের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গেছিল চড় খেয়ে।

কিন্তু এই দিকে সানিও অহনার সাথে রিলেশনে যেতে চায়।কিন্তু সানির ক্যরেকটার খুব খারাপ। ভার্সিটিতে নতুন কোনো মেয়ে আসলে সেটার সাথে রিহান রিলেশন করবেই।সেটা বড় লোক কিংবা গরীব তা সানি দেখে না।

কিন্তু এই দিকে হাবাগোবা ছেলে রবি তেমন কারো সাথে মিশে না।সব সময় একা থাকতে চাই।দুই একটা ছেলে বন্ধু আছে কিন্তু কোনো মেয়ে বন্ধু নাই।কারণ মেয়েদের সাথে সে তেমন মিশে না।অহনা লক্ষ্য করল ভার্সিটির সবাই অহনার দিকে তাকিয়ে থাকলেও রবি তার দিলে তাকায় না।বিষয় টা অহনাকে খুব ভাবায়।

একদিন অহনা রবির সাথে কথা বলতে চাই।কিন্তু রবি মেয়েদের ব্যাপারে পুরো ভিন্ন। প্রথম রিলেশনের পর থেকে সে মেয়েদের একদম ই বিশ্বাস করে না।তাই সে নিজেকে পাল্টে অন্য ভার্সিটি ছেড়ে এখানে এসে ভর্তি হল।

অহনা প্রথম দিন কথা বলতে না পেরে নিজের উপর রাগ করল।কিন্তু সেও হাল ছাড়ার কথা নয়।দ্বিতীয় দিন রবি ভার্সিটিতে আসতে অহনা তার কাছে যায়।রবি সেখান থেকে ওঠে চলে যেতে চাইলে অহনা রবির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

অহনাঃকি সমস্যা তোমার?
—(কিছু বলছে না শুধু মাথা তুলে তাকালো অহনার দিকে)
অহনাঃআজব তো আমি কিছু বলছি তোমায়?
—হুম বল!
অহনাঃভার্সিটির সবাই আমার জন্য পাগল জান তো তুমি?
—হ্যা জানি,তো?
অহনাঃতো মানে?
—তো এখন কি ওই পাগলদের ভীড়ে আমাকেও পাগল হতে হবে?
অহনাঃআমি বলি নি পাগল হতে হবে।কিন্তু একটু কথা তো বলতে পার?
—তোমার সাথে কথা বলার জন্য পুরো ভার্সিটির সবাই আছে।কিন্তু তুমি আমার পেছনে কেন পড়ে আছ?
অহনাঃকারণ যারা আমার পেছনে পড়ে আছে সবার ক্যারেকটার খারাপ।

—তার মানে তোমারও ক্যারেকটার খারাপ নাকি?
অহনাঃদেখ মুখ সামলে কথা বলো।
—প্লিজ আমাকে একা থাকতে দাও।

এই বলে রবি অহনাকে কিছু বলতে না দিয়ে ভার্সিটির রুমে চলে গেল।এই দিকে সবাই এই অবস্থা দেখে অবাক।কারণ অহনার জন্য যেখানে পুরো ভার্সিটি পাগল সেখানে রবি অহনাকে ইগনোর করছে।
রবি ক্লাস রুমে চলে গেল।কিছু সময় পর স্যার আসল।এতক্ষণ অহনা বাইরে ছিল।রবি পেছনের দিকে একটা বেঞ্চে গিয়ে বসল।অহনাও সেখানে গিয়ে বসল।এই ব্যাপারটা ক্লাসে কারো চোখ এড়াই নি এমন কি স্যারও আড় চোখে তাকালো অহনার দিকে। ভার্সিটির সবাই তো অহনা আর রবির দিকে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছে। কিন্তু রবির সেদিকে লক্ষ্য করার সময় নেই।স্যার কি বলছে তা মনোযোগ দিয়ে শুনছে।

ক্লাস শেষ হতে রবি তাড়াতাড়ি চলে গেল বাইরে যাতে অহনা তাকে ডিস্টার্ব করতে না পারে।কিন্তু সেও কম নয় এত সহজে হাল ছাড়বে তা কিন্তু নয়।অহনা রবির পেছন পেছন যেতে লাগলো।বিষয় টি বুঝতে পেরে রবিও তাড়াতাড়ি হাটতে লাগল কিন্তু অহনা পেছনে থেকে ডাকছে পরে বিষয়টা নিয়ে তাঁকেও ঝামেলায় পড়তে হতে পারে ভেবে থেমে গেল।রবি গিয়ে একটা গাছের নিচে বসল।অহনাও গিয়ে সেখানে গিয়ে বসল।

—কি সমস্যা আপনার বলেন তো?
অহনাঃতুমি আমাকে এভয়েড করছ কেন?
—গায়ে পড়া স্বভাব কেন আপনার?
অহনাঃগায়ে সবার জন্য পড়া যায় না।আমি তোমাকে পছন্দ করি।
—কিহ আমাকে? আমার মতো হাবাগোবা ছেলেকে। আমার মনে হয় এটা তোমার মায়া পরে ঠিক হয়ে যাবে।

এই বলে রবি অন্য দিকে তাকিয়ে রইল।কিন্তু অহনা রবির আরো পাশে গিয়ে বসল।যা রবির বিরক্ত লাগছে।এখন অহনাকে কিছু বললেও ঝামেলা।

অহনাঃনা এটা মায়া নয়।হয়তো আমি তোমাকে ভালোবাসি।
—ভালোবাসা হা হা হা…
অহনাঃকি হল হাসছ কেন?
—আমার না এই শব্দ থেকে বিশ্বাস ওঠে গেছে।
অহনাঃকেন বিশ্বাস ওঠে গেছে কি এমন হল?
—শুনবে তাহলে?
অহনাঃহ্যা বল শুনব।
—শুনতে গেলে বিকাল হয়ে যাবে কিন্তু আমার বলা শেষ হবে না।
অহনাঃতাও শুনব বল প্লিজ।
—তাহলে শুন……

কলেজের প্রথম দিন একটা মেয়েকে দেখে আমার ভালো লেগে যায়, আমি মেয়েটাকে প্রপোজ করি। মেয়েটা অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে রাজি হয়ে যায়। আমি মনে করছিলাম আমাকে রিজেক্ট করবে দু-একটি চড় মারবে।কিন্তু এমনটা হলো না।সে আমার প্রপোজালে রাজি হয়ে যাওয়াতে কলেজের সবাই অবাক হয়ে গেছিল।কারণ তার পেছনেও অনেক ছেলে ঘুরত।যেমন আজকে তোমার পেছনে ঘুরছে।

অহনাঃতারপর কি হল?
—তারপর ওর সাথে আমার ভালোই রিলেশন চলছিল।কি যেন নাম ছিল….মাথায় হাত দিয়ে।

হ্যাঁ মনে পড়ল…..
নাসিফা ওর সব থেকে ভালো ফ্রেন্ড ছিল।হঠাৎ একদিন সে আমাকে বলল রিহি মানে আমার গার্লফ্রেন্ড ভালো মেয়ে না।ছেলেদের সাথে টাইম পাস করাই ওর কাজ।আর যদি সে বড় লোক হয় তো কথাই নেই।ঘোরাঘুরি শপিং করা এসবে করে সে বড় লোকের ছেলেদের সাথে মিশে ওদের থেকে টাকা নেয়।

কিন্তু জান অহনা…
আমি না সে দিন নাসিফার কথা গুলো বিশ্বাস করতে পারি নি।

অহানঃতারপর কি হল?
—তারপর আমাদের রিলেশন দীর্ঘ দুই বছর হতে চললো।আর মাস খানেক হলে দুই বছর।জান আমি রিহিকে খুব ভালোবাসতাম।এক দিন রিহি এসে বলল তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।তাও তার নাকি এক কাজিনের সাথে, এটা নাকি ছোট থেকে ওর বাবার ঠিক করা ছিল।কিন্তু রিহি নাকি এসব বিষয়ে জানত না।আমি সে দিন রিহিকে অনেক বুঝালাম আমি তাঁকে অনেক ভালোবাসি কিন্তু সে দিন রিহি আমাকে ফিরিয়ে দেয়।কয়েক দিন পর আমার ইন্টারমিডিয়েট এক্সাম।পড়াশোনা ঠিক মতো করতে পারছি না।না পারছি নিজেকে ধরে রাখতে।কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দিলাম।প্রায় পনেরো দিন আমি কলেজ যায় নি।অনেক কিছু হয়ে গেল এই পনেরো দিনে আামর সাথে।আমার কলিজার বন্ধু রাশেদ না থাকলে হয়তো আমিটা আজ তোমার সাথে বসে কথা বলতে পারতাম না।আমি ডিপ্রেশনে চলে গেছিলাম।রাশেদ আমাকে অনেক বুঝিয়ে ছায়ার মতো পাশে থেকেছে।অনেকে বলে অন্ধকারে নিজের ছায়াও পাশে থাকে না।কিন্তু সেটা ভুল কারণ ভুল জায়গায় দাড়ানোর কারণে ছায়া দেখা যায় না।

রাশেদ সে দিন অন্ধকারেও আমার পাশে ছিল।এই পনেরো দিনে রিহি আমাকে একটা ফোন কিংব এমটা মেসেজও করে নি।আমি অনেক ফোন দিয়েছিলাম।কিন্তু সে আমার ফোন ধরে নি।ভাবলাম নিজেকে এই পৃথিবীর সংযোগ থেকে বিছিন্ন করে নিব।কিন্তু রাশেদ তা করতে দেয় নি।পনেরো দিন পর কলেজে গিয়ে দেখি সবাই স্বাভাবিক আছে।রিহি অন্য একটা ছেলের সাথে হাত ধরপ হাটতেছে।ব্যাপারটা আমার একদমই ভালো লাগে নি।কারণ আমি কখনো এভাবে সবার সামনে রিহির হাত ধরে কখনো হাটি নি।

এতটুকু বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়ল রবি।পাশে বসে থাকা অহনা রবির কথায় যেন ডুবে গেছে।এক নজরে তার দিকে তাকিয়ে আছে।অহনার মনটা খারাপ তা মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে। রবি আবারো বলা শুরু করল।

সে দিন আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারছিলাম না।তাও সে দিন ইম্পরট্যান্ট ক্লাস ছিল।আর এক্সামের ব্যাপারেও স্যার কিছু নির্দেশ দেওয়ার কথা ছিল তাই গেলাম।চারপাশে না তাকিয়ে সোজা ক্লাস রুমে গিয়ে পেছনে করে একটা বেঞ্চে বসে পড়লাম।সাথে রাশেদও ছিল।স্যার নির্দেশনা দিয়ে চলে যাওয়ার সময় আমায় অফিসে ডাকল।আমাদের রিলেশনের ব্যাপারে স্যারেরা সহ সব স্টুডেন্ট জানত।

স্যার ক্লাস রুম থেকে চলে গেলে আমি রিহির দিকে একবার ভালো করে তাকায়।কি ছলনাময়ী মুখ তা আমি আগে বুঝতে পারি নি।আমি অফিস রুমে গেলে স্যার আমাকে বসতে বলে। পিয়ন চাচাকে দুইটা চা দিতে বলে আমি না খেতে চাইলেও স্যার দ্বিতীয় বার বলায় খেতে হল।স্যার আমাকে রিহির ব্যাপারটা নিয়ে বলা শুরু করল।

স্যারঃআমি জানি তুমি খুব ভালো স্টুডেন্ট। তুমি প্রায় পনেরো দিন ক্লাস করো নি, আর কেন কর নি তাও আমরা ভালো করে জানি।তোমাকে নাসিফা আগে সতর্ক করছিল রিহির ব্যাপারে।কিন্তু তুমি তার কথা শুন নি।নিজের মতো করে রিহিকে বিশ্বাস করে গেছ।কিন্তু দেখলে তো শেষে কি হল?

–হুম স্যার।শেষ টা আমার হল(মলিন হাসি দিয়ে)

স্যারঃনা শেষ তোমার হয় নি।শেষ তো তোমার হওয়ার কথা নই।এখন যে সময় টা আছে এই সময় যদি তুমি মন দিয়ে পড়াশোনা কর তাহলে আমরা তোমার থেকে ভালো কিছু আশা করি।কারণ তুমিই আমাদের কলেজের ফাস্ট বয়।আর তোমার কাছে আমরা শুধু এ+ আশা করি না।সাথে তোমাকে দিয়ে আরে কয়েকটা এ+ এর আশা করি।তুমি এখন থেকে মন দিয়ে পড়াশোনা কর।

–জ্বি স্যার দোয়া করবেন।

স্যারঃরিহি কখনো তোমাকে নিজের করে চাই নি।শুধু তোমার থেকে নোট নিতে তোমার সাথে এমন টা করল।
আর শুন তুমি নাসিফার সাথে কথা বলে রিহির ব্যাপারে জেনে নাও।

তারপর অফিস থেকে চলে এসে নাসিফার কাছে গেলাম।
সে আমাকে দেখেই দৌড়ে এলো আর বললো

নাসিফাঃআগে তোকে আগে বলছিলাম মেয়েটা সুবিধা নয়।ছেলেদের সাথে টাইম পাস করা আর তাদের টাকায় শপিং করা ওর কাজ।কিন্তু তুই আমার কথা শুনিস নি।

—সরি রে আমি সে দিন তোর কথা বুঝতে পারি নি।

নাসিফাঃআচ্ছা এসব ভেবে মন খারাপ করিস না।যা হওয়ার ভালোর জন্য হয়।

—একটা প্রশ্ন আমার রয়ে গেছে কেন সে আমার সাথে এমন করল আমার তো টাকা পয়সা ছিল না?

নাসিফাঃতোর কাছে টাকা ছিল না কিন্তু তোর জ্ঞান সে কাজে লাগাতে চেয়েছিল।তাই তো তোর সাথে রিলেশনের অভিনয় করেছিল।

—হুম আগে না বুঝলেও এখন বুঝলাম।

নাসিফাঃতা বল এত দিন কলেজে আসিস নি কেন?
—এমনি রে দিন কাল ভালো যাচ্ছিল না তাই আসি নি।
নাসিফাঃএখন থেকে মন খারাপ করিস না।

—আরেকটা কথা….
নাসিফাঃহুম বল কি কথা?
—না মানে কিছু মনে করিস না ওকে?
নাসিফাঃহুম বল?
—-রিহির কি আদৌ বিয়ে হয়ে গেছে নাকি আমাকে ছাড়তে এমন বলেছে?

নাসিফাঃকিহ বিয়ে? ওর কেন বিয়ে হবে পাগল নাকি?
—বুঝলাম আমাকে ভালো লাগছিল না তাই নিজের থেকে বানিয়ে মিথ্যা বলল।জানিস সে আমাকে কি বলেছিল?
নাসিফাঃকি বলেছিল?
—সে বলেছিল ওর নাকি ছোট থেকে বিয়ে ঠিক করা ছিল কোনো কাজিনের সাথে। কিন্তু সেটা নাকি রিহি জানত না।পরে এটা জানতে পেরে আমায় ছেড়েছে।

নাসিফাঃসব মিথ্যা। ওর কোনো কাজিন মানে ছেলে কাজিন অবিবাহিত নেই।দুইটা ছিল দুই জন-ই বিয়ে করেছে অনেক আগে।

—হুম বুঝলাম পুরোনোর কদর করতে জানলো না।

নাসিফাঃএকটা কথ বলব?
—হ্যাঁ কেন নয় বল?
নাসিফাঃতোর মেধার জোরে অনেক মেয়ে তোর কাছে আসবে।হয়তো শুধু মাত্র তোর থেকে নোট নিতে।কিন্তু প্লিজ তুই কাউকে পাত্তা দিস না।যদিও দিতেই হয় শুধু মাত্র ফ্রেন্ড হিসেবে।এর বাইরে কিছু ভাবিস না।

—হ্যাঁ রে।আর কাউকে ভালোবাসতে পারব না রে।

নাসিফাঃআর শুন রিহি এবার বোর্ড এক্সামে সবার থেকে ভালো রেজাল্ট করতে চাই।কিন্তু সেটা হয়তো ও করতে পারবে।আবার তুই চাইলে নাও করতে পারে।
—আমি চাইলে কেন পারবে না?
নাসিফাঃকারণ তুই যদি ওর থেকে ভালো কিছু করিস তাহলে তুই ওর থেকে ভালো করতে পারবি।আর আমিও চাই তুই সব থেকে ভালো কর।
–জানি না রে পারব কি না।তবে মনে হয় না পারব।
নাসিফাঃকিহ তুই পারবি না?মনে আছে তুই বলেছিলি এস এস সি তে তোর কিছু সমস্যা থাকায় তুই পড়াশোনা করার সময় পাস নি।মাত্র এক্সামের আগের রাত পড়ে তুই এক্সাম দিয়েছিস।আর এক্সাম দিয়ে এসে আবারো কাজে চলে গেছিস?

—-হ্যাঁ মনে আছে আমার।সে দিনের কথা গুলো কি আর ভুলা যায়?

নাসিফাঃতাই বলছি এই কয়দিন তুই ভালো করে পড়াশোনা করলে তুই রিহির থেকে ভালো করতে পারবি।

—নারে এটা এসএসসি এক্সাম নয়।এইচ এস সি বুঝলি?

নাসিফাঃআমি জানি তুই পারবি।কারণ যে এক রাত পড়াশোনা করে এ+ পেতে পারে তার কাছে এসব কিছু না।

—সে দিন হয়তো মিথ্যা বলছিলাম আমি।

নাসিফাঃপ্রথমে আমারো মনে হয়েছিল।তাই তোর বন্ধু রাশেদের থেকে জিজ্ঞেস করলাম।সেও একই কথা বলল।কিন্তু তাতেও আমার বিশ্বাস হয় নি।পরে তোর রেজাল্ট নিজে দেখলাম।এ+ ঠিকই আছে কিন্তু কত দিন পড়াশোনা করেছিস তা বুঝতে পারি নি।তাই তোর স্কুলের একটা স্যার আমার পরিচিত আঙ্কেল। উনার থেকে তোর ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি তুই পুরো বছরে শুধু এক্সাম দিতে আসছিলি আর কোনো সময় তোকে স্কুলে দেখাও যায় নি।

–এত কিছু জেনে নিলি?

নাসিফাঃহ্যাঁ।আচ্ছা আমি গেলাম।নিজের খেয়াল রাখিস।আর হ্যাঁ এবারো তোকে টপার দেখতে চাই।

আমার বলা কথা গুলো অহনা এখনো খুব গুরুত্বের সাথে শুনছে।তবে দেখাই যাচ্ছে চোখের কোনে পানি জমে গেছে।

To be continue…..

#তুমি_থেকে_যাও_আমার_হয়ে।
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ০১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here