#তুমি শুধু আমার
#লেখিকাঃমোনালিসা
#পর্বঃ১১
বাজে ভাবে এক্সিডেন্ট হওয়ার কারনে মেঘের অবস্থা খুব খারাপ।সব ডাক্তার আর নার্স রা ছুটা ছুটি করে কাজ করছে।বৃষ্টি এইসব দেখে একজন নার্স কে থামিয়ে বলে?কি হয়েছে, আপনারা এইভাবে ছুটাছুটি করছেন কেনো,,,মেঘ স্যারের অবস্থা খুব খারাপ আপনারা সবাই আল্লাহ কে ডাকুন এই বলেই নার্স সেইখান থেকে চলে যায়। নার্সের মুখ থেকে এই কথা শুনা মাএই বৃষ্টি”মেঘ” বলে চিৎকার করে উঠে।
আকাশ,বউমনি প্লিজ, বউমনি তুমি শান্ত হও।ভাইয়া আমি কিভাবে শান্ত হবো আর দাদিকেই বা কি জবাব দেবো।বউমনি মেঘের কি,,,,,
আকাশ,,হ্যালো রনি বলো,,,,
রনি,স্যার, মেঘ স্যারের গাড়ি যে ব্রেকফেল করেছে তাকে আমাদের লোক ধরে আধ ভাঙা পুরানো বাড়িতে বেধেঁ রেখেছে।
আকাশ;;ok, আমি আসছি,,,,এই বলেই কল কেটে দেয়।বউমনি তুমি এইখানে থাকো আমি আসছি,,,আর কোন সমস্যা হলে আমাকে কল করো।
বৃষ্টি,,হুম ভাইয়া,,তারাতারি চলে এসো আমার ভয় করছে।কিছু হবেনা বউমনি, তোমার এই ভাইয়ের প্রতি বিশ্বাস রেখো,মেঘ সুস্থ হয়ে উঠবে।এই বলে আকাশ হাসপিটাল থেকে বের হয়ে গাড়িতে বসে চলে যায়।
রনি;;কিরে মুখ খুলবি না,,,শফিকের কথা তুই মেঘ স্যারের গাড়ি ব্রেকফেল করিয়েছিস তাই না,,,,এখন স্যার এসে তোর খবর নিবে।এইটা বলা মাএই চারদিকে লাইটের আলো জ্বলে উঠে।আকাশ রনির ঠিকানা মতো পৌছে যায়।লোক টা কে চেয়ারের সাথে বসিয়ে হাত পা বেধেঁ রেখেছে।আকাশ লোকাটার সামনে এসে একটা চেয়ারে বসে পরে।
আকাশ;;কি ভেবে ছিলি তুই, তোমার খবর আমরা কেউ পাবো না।এখন বল এইকাজ টা কে করতে বলেছে তোকে এই শফিক শেখ তাই তো।কিরে চুপ করে আছিস কেনো নিজের মৃত্যুকে এতো কাছে দেখে ভয় পেয়ে গেলি। লোকটা আকাশের দিকে তাকিয়ে উচ্চসরে হেসে বলে আপনি আমার কিছু করতে পারবেনা,আমাকে ছেড়ে দিলেই আপনার ভালো হবে।আকাশ লোকটার মুখে কথাশুনে বাকাঁ হেসে বলে,,,,কি বললি তুই, তোকে ছেড়ে দিবো।তুই আমার ভাই,আমার বন্ধুর দিকে হাত বারিয়েছিস আর তুই বলছিস আমি তোকে ছেড়ে দিবো।আকাশ রনির দিকে তাকাতেই,,রনি সাথে সাথে ফুটন্ত গরম পানি এনে লোকার পুরো শরীরে ঢেলে দেয়,সঙ্গে সঙ্গে লোকটা চিৎকার করে উঠে।আকাশ দাড়িয়ে একপা চেয়ারে রেখে হাতে গান নিয়ে লোকটা দিকে তাকিয়ে বলে তোর সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি এই বলেই আকাশ লোকটার হাটু বরাবর গুলি করে এতে করে লোকটার কাপড় ভেদ করে গুলি হাটুতে লেগে ছিটকে উঠে।গুলি লাগার সাথে সাথেই লোকটা চিৎকার করে উঠে।আকাশ প্রচুর রেগে গর্জন করে চেয়ার টা তুলে এতো জোরে আছাড় দিয়ে ভাঙে যে, তার আশে পাশে রনি সহ গার্ডরা সবাই চমকে উঠে।আকাশ রিভলভার টা লোকার মাথা ধরে বলে না তোকে এতো সহজ ভাবে মেরে ফেলবো না,,,তুই আমার ভাইকে যতো টা কষ্ট দিয়েছিস তার থেকে দিগুন কষ্ট আমি তোকে দিবো।প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন,,আমি শফিক স্যারের কথায় এই কাজ টা করেছি, প্লিজ আমাকে মারবে না।আকাশ রনির দিকে তাকাতেই,রনি হাতে করে ব্ল্যাড আর লালমরিচ মিশ্ররিত লবন নিয়ে আসে।আকাশ হাতে ব্ল্যাড নিয়ে লোকটার সামনে গিয়ে হাতের মাঝ বরাবর এক টান দেয়া মাএই লোকটা চিৎকার করার আগেই রনি মুখ চেপে ধরে,,রনির হাত থেকে মিশ্ররিত লবন মরিচের গুড়া লোকটার গায়ে দিয়ে দেয়ার সাথে সাথে ছিলা মুরগীর মতো কাতরাতে থাকে,,,পর পর এইভাবে আকাশ লোকটার শরীরে এইভাবে আঘাত করতে থাকে।তুই এই হাত দিয়ে আমার ভাইয়ের এক্সিডেন্ট করেছিস তাই না, তোর এই হাত আমি ভেঙে ফেলবো,এই বলেই আকাশ লোকটার হাত ভেঙে ফেলে।রনি আর গার্ডরা সবাই যেনো আকাশের এই চেহারা থেকে ভিষন ভয় পেয়ে যায়।আকাশ কে দেখতে এখন পুরাই সাইকোর মতো লাগছে।🥶
আকাশ রাগের মাথায় এদিক ওদিক তাকাতাকি করছে।কোন দিশাই পাচ্ছে না কি করবে।অবশেষে মোটা একটা রডের দিকে আকাশের চোখ পরে।সঙ্গে সঙ্গে রড টা হাতে তুলে আকাশ লোকটার ডান পাশের চোখে একদম ঢুকিয়ে দেয়,লোকটা নিজেই অন্তর আন্তা ছেড়ে চিল্লিয়ে উঠে।লোকটার চিৎকার শোনা মাএ আকাশ ডান চোখ থেকে রড বের করে বাম চোখে ঢুকিয়ে দেয়,বাম চোখ থেকে রড টা বের করা মাএই রক্তে লোকটার শরীর ভিজে যায়।আকাশ রড টা লোকটার বুকের মাঝ বরাবর ঢুকিয়ে দেয়,সাথে সাথে লোকটা সেইখানে মারা যায়।আকাশের এমন রূপ দেখে রনি ভিষন ভয় পেয়ে যায়।
আকাশ;;রনি,এই জানোয়ার টাকে এমন জায়গায় ফেলে আসবে যেনো কেউ খুজে না পায় আর হ্যাঁ এই বাড়িটা এমন হওয়া চাই যেনো এইখানে কিছুই হয়নি।ক্লিয়ার!!
রনি;;ওকে স্যার,, (মেঘ স্যার কি কম ছিলো বাবা রে আকাশ স্যার পুরাই মেঘ স্যারের কার্বন কর্পি🥶)
আকাশ নিজেকে শান্ত করে গাড়িতে বসে নিজের সার্টের দিকে তাকায় রক্তে ভিজে আছে সাদা সার্ট টা।মেঘের কথা মনে পরতেই আকাশ তারাতারি করে গাড়ি চালিয়ে হসপিটালে পৌছে যায়।
আকাশ;; বউমনি কি অবস্থা মেঘের,,,,
বৃষ্টি;;তুমি এসেছো ভাইয়া,,মেঘের মুখে অক্সিজেন দিয়েছে, হাতে মাথায় ব্যান্ডেজ করা।ভাইয়া আমি মেঘের কাছে যেতে চাই প্লিজ।আমি মেঘ কে দেখবো,,,,আচ্ছা আমি ডক্টরের সাথে কথা বলে আছি।
বৃষ্টি;;আল্লাহ তুমি আমার মেঘ কে সুস্থ করে দেও,আমি আর কিছু চাই না,,,,,!!হঠ্যাৎ করেই বৃষ্টির ফোন বেজে ওঠে। ফোন হাতে নিয়ে দেখে এলিনা কল করেছে।বৃষ্টি এইটা দেখা মাএই নিজের শান্ত রেখে কল রিসিভ করে,,,,
বৃষ্টি;;হ,,হ্য,,হ্যালো দাদি,,,
এলিনা;;বৃষ্টি কোথায় তুই আর এইরকম ভাবে দৌড়ে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে কোথায় গেলি কিরে চুপ করে আছিস কেনো কথা বল,,কি হয়ছে?
বৃষ্টি,দাদি মেঘের এক্সিডেন্ট হয়েছে।তাই মেঘ কে হসপিটালে এনেছি।তুমি চিন্তার করো না তেমন কিছুই হয়নি,আকাশ ভাইয়া সাথেই আছে।
এলিনা,,,কিইইইই, আমার মেঘ দাদু ভাইয়ের এক্সিডেন্ট হয়েছে, তুই এইসব কি বলছিস।আমি এখনি আসছি।
—-বৃষ্টি, তোমাকে আসতে হবে না,, আমরা একটু পরে চলে আসবো তুমি চিন্তা করোনা,মেঘ সুস্থ আছে,এই বলেই বৃষ্টি কল কেটে কান্না করে দেয়।
আকাশ;;বউমনি চলো,,,কি হলো বউমনি তুমি কান্না করছো কেনো।
বৃষ্টি;;দাদি কল করেছে ভাইয়া।
আকাশ;; তুমি চিন্তা করো না মেঘ সুস্থ হয়ে যাবে, এখন চলো মেঘ কে দেখবে, আমি দাদিকে সামলে নিবো,,এই বলেই আকাশ আর বৃষ্টি মেঘের কেবিনে ঢুকে।একটা বেডে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে মেঘ।মুখে অক্সিজেন লাগালো।মেঘের এই অবস্থা দেখা মাএই বৃষ্টি কান্না করে দেয়।বৃষ্টি গিয়ে সামনে বসে হাত ধরে মেঘের কপালে আস্তে করে চুমু এঁকে দেয়।মেঘ তুমি শুনতে পাচ্ছো আমার কথা, তোমার জানপাখির কথা,উঠো না মেঘ। একবার তোমার বৃষ্টি কে জড়িয়ে ধরো মেঘ,এইভাবে আমাকে কষ্ট দিও না মেঘ। প্লিজ মেঘ একবার জানপাখি বলে ডাকো মেঘ।ভাইয়া, মেঘ কেনো কথা বলছে না আমার সাথে ওকে কথা বলতে বলো, আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। এই ভাবে মেঘ আমি দেখতে পারচ্ছি না।
আকাশ;;বউমনি তুমি শান্ত হও,মেঘ আবার আগের মতো সুস্থ হয়ে যাবে।আগের মতো তোমার সাথে আবার কথা বলবে।মেঘ যে তোমাকে ভালোবাসে।তোমার সাথে কথা না বলে থাকতেই পারবে না,এইটা বলেই আকাশের চোখ দিয়ে পানি চলে আসে,সাথে সাথে আকাশ চোখের পানি মুছে ফেলে।
✨✨✨
শফিক শেখ;;আজ আমি ভিষন খুশি।আমার পথে কাটা সরে গেছে।অনেক বার বেরে ছিলি মেঘ তুই তাই না,নে এইবার উপরে গিয়ে শান্তিতে থাক।সেই সময় শফিকের কল আসে।
রাতুল;;হ্যালো স্যার,,,
শফিক;;হুম রাতুল বলো,,,,
রাতুল;;স্যার,, মেঘ বেচেঁ গেছে,,,মেঘ মারা যায়নি,,,,
শফিক;;কিইইই,,বলছো তুমি,,এতো বড় একটা এক্সিডেন্ট হয়েছে।তাহলে মেঘ কিভাবে বেচেঁ গেলো।তুমি কি ঠিক বলছো।
রাতুল;;স্যার আমি সত্যি বলছি, মেঘ মারা যায়নি বেচে আছে।আর মেঘ এখন হসপিটালে আছে।
শফিক কল টা কেটে হাত থেকে ফোন টা আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলে আর সাথে সাথে মেঘ বলেই চিৎকার করে উঠে।এইবার ও আমি হেরে গেলাম মেঘ তোর কাছে এইবারও বেচেঁ গেলি।না না না না আমি মেঘের কাছে হেরে যেতে পারি না এই বলেই হাতের সামনে ফুলের টপ দিয়ে সামনে থাকা আয়না টা ভেঙে ফেলে।শফিক নিজেকে শান্ত রেখে বলে, এইবারের মতো বেচেঁ গেলেও পরের বার বেচেঁ ফিরতে পারবি না মেঘ, বলে বাকাঁ হাসি দেয়,,,,,
#চলবে,,,,,
(লেখায় ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।সবার কাছে আজকের পর্ব কেমন হয়েছে তা কমেন্টে জানাবেন।জানি না গল্প টা সাজিয়ে লিখতে পেরেছি কি না তারপরেও আপনাদের কাছ থেকে ভালো কমেন্টের আশা করছি)