#গ্রামের_সেই_মেয়েটি।
।।
পর্বঃ ০১
।।
সকালে ঘুমিয়ে আছি কিন্তু কোথা থেকে জানো আমার মুখের উপড়ে পানি এসে পরল।
আমার মুখের উপড়ে পানি পরাতে আমি জেগে যাই এটা দেখার জন্য যে আমি স্বপ্ন দেখছি না তো কেন না এই চার তলা ছিদ্র হয়ে আমার মুখের উপরে পানি আসলো কই থেকে।
কিন্তু না আমার পাশে ভদ্র বোন টা বসে আছে।
ভদ্র বলছি এইজন্য সবার কাছে সাধু সেধে থাকে আর আমার কাছে দুষ্ট যতো ধরনের ঝালা আছে সব আমাকে পোয়াতে হয় ওর জন্যও।
আমি ওকে দেখেই বুঝতে পেরেছি এটা যে ওর কাজ তার পরেও,
আমি- তুই আমাকে এইভাবে পানি দিলি কেন?
আমার কটা শুনে ও 😆😄😁 হাসা শুরু করে দিলো আমার এইসব দেখে রাগ উঠছিল তার পরেও আবার জিগ্যেস করলাম কেন করলি এটা।
আমার জবাবে বলতে লাগলো আজকে আমাদের কোথায় যাবার কথা ছিলো তার পরেও আমি পরে পরে ঘুমাইতেছি।
আমি- সেটা আমার মনে আছে তাই বলে আমাকে এইভাবে ঝালাবি এখনি বের হয় আমার রুম থেকে এটা বলে আমি খাট থেকে উঠে ওকে বের করে দরজা লাগিয়ে দিলাম।
ও আপনাদের তো ওর নাম তা বলা হল না ওর নাম অনু আমার ছোট বোন খুবি আদরের বোন তাই বাদর হয়ে গেছে কথায় আছে না বেশি আদর করলে মাথায় চরে নাচে বাদর ওর অবস্থাও এমনি।
এর মাঝে আমার পরিচয় টাও দিয়ে দেই আমি আফিফ ইসলাম,
লেখা পড়া শেষ করে আব্বুর সাথে এখন বিজনেস সামলাচ্ছি।
আর পরিবার বলতে আমি আব্বু-আম্মু আর ছোট বোন অনু।
ও এইবার ইন্টার এ পরছে আর আজকে আমাদের গ্রামের বাড়ি যাবার কথা অনেক বছর পরে গ্রামের বাড়ি যাবো।
যাই হক আবার আব্বু ডাকতে আসবে তার আগে ফ্রেশ হয়ে নেই।
ব্রাশ নিয়ে ওয়াশরুমে চলে আসলাম,
ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে পরি।

বের হয়ে রুমে এসে টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছে,
রুম থেকে বেরিয়ে পরি।
বের হয়ে আম্মুর কাছে চলে আসলাম এসে দেখি সবাই রেডি হয়ে নিয়েছে আমাকে এই অবস্থাতে দেখে,
আম্মু- আফিফ তোর কি যাবার ইচ্ছা নেই যে এখনো রেডি হইসনি,
না যেতে ইচ্ছা হলে যাওয়া লাগবো না।
আম্মু এটা বলে আমি আমি- আম্মু আমি একা থাকবো বাসায় কি খাবো কি করবো একা একা।
আর অনেক বছর ধরে গ্রামেও যাওয়া হয় না তার পরেও বলে আমার ইচ্ছা নেই বা আম্মু ভালো তো।
আম্মু- তোকে দেখলে তো এমনি মনে হয়।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আব্বু রুমে এসে তিনিও একি কথা বলতে লাগলো আফিফ এখনো রেডি হস নাই যাবার ইচ্ছা নেই।
আমাকে দেখ সবাই দেখি একি কথা বলা শুরু করলো।
আমি- আচ্ছা আমি রেডি হয়ে নিচ্ছি দুই মিনিটে,
তোমাদের আগেই রেডি হয়ে নিতে পারবো এটা বলে আম্মুর রুম থেকে বের হয়ে আমার রুমে চলে আসলাম।
রুমে এসে আমার ড্রেস গুলো খুলে দেখলাম আমার পছন্দের কিছু ড্রেস হাওয়া আর,
একটা ড্রেস খাটের উপরে রেখে গেছে,
আমার বুঝতে বাকি থাকলো না এটা অনুর কাজ,
গ্রামে যাচ্ছি তাই কিছু ড্রেস নিয়ে নিয়েছে যেটা রেখে গেছে সেটাই পরে নিলাম।

রেডি হয়ে এসে,
আমি কিছু খাবার খুঁজতে লাগলাম, কেন না এখন পর্যন্ত নাস্তা করা হয়নি।
খাবার মতো কিছুই পেলাম না তাই আম্মু কে ডাক দিলাম কিছু দেওয়ার জন্য।
কিন্তু আম্মু বলতে লাগলাম বাসায় কিছুই করা হয়নি একবারে বাহির থেকে নাস্তা করে ট্রেনে উঠা হবে।
আমি মনে হয় মরেই যাবো,
তার পরেও কিছু বললাম না,
আমি শুধু বললাম আচ্ছা।
আমি- তোমরা এখনো বের হচ্ছ না কেন আমাকে তো তখন যা ইচ্ছা তাই বলছিলে।
আম্মু- আমাদের তো সব কিছুই ঘুছান শেষ তোর বোনের এখনি হয়নি।
আমি- জানতাম এটা বলবে ওর জন্যওই সব কিছু হয়।
আমি আর কিছু বলতে যাবো তার আগেই অনু এসে আমাকে বলতে লাগলাম আমাকে নিয়ে কোন কথা বলবি না আমার অনেক কাজ করতে হয়েছে আর আমি এখন রেডি হয়ে এসেছি।
ও আসলে আমরা সবাই এক সাথে বাসা থেকে বেরিয়ে পরি।
আমাদের গাড়ি করে ট্রেন এস্টেসনে।
আমাদের এখানে ছেরে দিকে আমরা আমাদের সিট খুঁজতে লাগলাম আব্বু আগেই আমাদের টিকিট কানেট করে রেখে ছিলো।
সেখানে আসলে আমাকে এখানে বসিয়ে রেখে তারা চলে গেলো নাস্তা করার জন্য রেস্টুরেন্ট আমাকে রেখে গেলো যা নিয়ে এসেছে সেই গুলো পাহারা দেওয়ার জন্য আমিও কিছু বলতে পারলাম না কেন না আমি আব্বুর উপড়ে কোন কথা বলতে পারি না।
আমি তাদের জন্য এখানে বসে বসে ওয়েট করতে লাগলাম আর ফোন টা বের করে সেটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করা শুরু করে দিলাম।
অনেক সময় সবাই চলে আসলো।
এসে আমাকে কিছু খাবার ধরিয়ে দিয়ে বলে আমাকে খেয়ে নিতে।
আমি কিছু না বলে খাবার গুলো হাতে নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম অনেক ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল।

কিছুক্ষণ পরে আমাদের ট্রেন ছেরে দিলো।
আমার পাশে আম্মু বসেছে আর আব্বুর কাছে অনু বসেছে।
আমি আম্মুর সাথে গল্প পরছি অন্য দিকে অনু আর আব্বু ফোন কি জানো দেখছে।
এর মাঝে আমি ঘুমিয়েও পরি।
আমাকে একেবারে গ্রামে পৌছানোর পরে আম্মু ঘুম ভাঙ্গাল।
আমার ঘুম ভাঙলে হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম বিকাল চার টা বেজে গিয়েছে।
এতো সময় যে কোথায় থেকে গেলো বুঝতে পারছি না, দুপুরে কিছু খাওয়াও হল না।
আমাদের সবাই কে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পরে আব্বু।
আমরা ট্রেন থেকে নামার পরে আব্বু বলতে লাগলো যার যার ব্যাগ গুলো হাতে নিয়ে হাটা ধর তা হলে।
আমি তার কথা শুনে অভাগ্য হয়ে গেলাম কি বলে আব্বু এই গুলো।
হেটে যাবো মানে সারাদিন না খেয়ে থাকার পরে এখন আবার বলে হাটতে আমি পারবো,
কিন্তু এটা আমি আব্বু কে কি করে বলি তাকে তো আমি খুব ভয় পাই কেন পাই এটা বলতে পারি।
আমি এই গুলো ভাবছিলাম এখনি,
অনু আমার মনের কথা টা বলে দিলো,
অনু- এটা কি বলো আব্বু হেটে যাবো মানি আমি পারবো।
আব্বু- এটা আমাদের ওখান কার শহর না যে গাড়ি করে যাবি,
ভুলে যাস না আমরা গ্রামে এসেছ।
অনু- তাই বলে হেটে যেতে হবে,
কত টা সময় লাগবো।
আব্বু- বেশি না পনেরো মিনিট এর মতো হাটলেই চলবে।
আমি একপ্রকারে বলেই দিলাম।
আমি পারবো না এতো টা পথ হেটে যেতে।
আম্মু- আফিফ কিছু করবার নেই এইভাবে আমাদের যেতে হবে।
এখানে তেমন গাড়ি পাওয়া যায় না।
আব্বু- তোরা ভুলে যাস না আমি গ্রামের ছেলে কতো কষ্ট করেই আমি যেখানে আছি সেখানে এসেছি।
আমি জানি এখন যদি আমি কথা বলি পুরানো কথা সব বলা শুরু করে দিবে সেটা আমি শুতে চাচ্ছি না তাই,
আমি- আচ্ছা আমরা কি এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলবো, নাকি যাবো।
এটা বললে আমি আমার ব্যাগ হাতে নিয়ে হাটা শুরু করে দিলাম।
আব্বু-আম্মুও আর অনু এক সাথে হাটা ধরলাম আর গল্প করছি আমরা ।
দশ মিনিট হাটার পরে আমি আর পারছি না তাই আমি দাঁড়িয়ে পরলাম।
আর তারা যেতে লাগলো আমাকে রেখে।
অনেক সময় আমি একা একা ওখানে দাঁড়িয়ে আছি আম্মু-আব্বু হয় তো খেয়াল করেনি এটা।
কিছুক্ষণ পরে একটা গ্রামের ভ্যান দেখতে পেলাম তাকে দেখে আমি ডাক দিলাম।
ডাক দিলে ভ্যান টা নিয়ে আমার কাছে চলে আসলো।
কিন্তু প্রবলেম হল ভ্যানে একটা মেয়েও রয়েছে।
ভ্যান চালক আমাকে জিগ্যেস করলেন আমাকে ডাক দিলাম কেন।
আমি- আসলে আমাকে একটু হ্লেপ করবেন।
আমি আব্বুর বাড়ি নাম বলে সেখানে নিয়ে যেতে বললাম যতো টাকা দরকার আমি দিবো।
আমি এই কথা বললে ভ্যানে বসা মেয়ে টা হাসতে লাগলো।
এটা দেখে আমার প্রচুর রাগ হলো তাই আমি….
আমি আব্বুর বাড়ি নাম বলে সেখানে নিয়ে যেতে বললাম যতো টাকা দরকার আমি দিবো।
আমি এই কথা বললে ভ্যানে বসা মেয়ে টা হাসতে লাগলো।
এটা দেখে আমার প্রচুর রাগ হলো তাই
আমি – আপনি এইভাবে হাসছেন কেনো আমার কথা শুনে আমি কি এখানে হাসার মতো কিছু বলেছি, শুনেছি গ্রামের মেয়েরা নাকি অনেক ভালো হয় দয়াশীল হয় কিন্তু আপনাকে দেখো তো উল্টো মনে হচ্ছে।
আমার এমন কথা শুনে মেয়ে টা হাসি থামিয়ে চুপচাপ হয়ে যায়,
এটা দেখে ভ্যান ড্রাইভার কে বললাম আপনি জান চাচা আমি একা হেটেই যেতে পারবো,
এমন কথা বললে,
মেয়েটা- সরি আমি বুঝতে পারছি আপনি এতো টা রেগে যাবেন,
আপনি যে বাড়ি যাবার কথা বলছেন আমিও সেই বাড়ি যাবো।
আসলে এই ভ্যান টা আপনাদের আনার জন্যওই নিয়ে গেছিলাম কিন্তু, আপনাদের পাচ্ছিলাম না তাই চলে আসছিলাম,
আর আমি এই জন্য হাসেছি,
যেখানে যাবার জন্য কিছু নেই সেখানে আপনি টাকার কথা বলছেন, এটা আপাদের শহর না যে যাই চাইবেন তাই পাবেন।
আমি- আমি ভুল কিছু বলেনি, তার দরকার টাকা আমার দরকার বাসায় পৌছান।
মেয়েটা- আচ্ছা আপনি উঠে পরুন তো এতো কথা না বলে, আপনার আব্বু-আম্মু কত টা গেছে।
আমি ভ্যানে বসতে বসতে অনেক টা গেছে মনে হয় আমি হাটতে পারছিলাম না তাই এখানে দাঁড়িয়ে পরছিলাম।
এমন কথা শুনে মেয়ে টা আবার হাসতে লাগলো,
মেয়ে টা তো ভারি দুষ্টু,
এইবার আমি আর কিছু বললাম না,
পিচ্চি মেয়ে তো।
আমি উঠে পরলে ভ্যান চালাতে লাগলো।
আর আমি এইভাবে মনের শুরে প্রকৃতী দেখে যাচ্ছিলাম এখনি ভ্যানের পিছু থেকে পরে গেলাম মাটি তে।
আমি শুরু পরে বললাম মা আমি গেলামরে এমন টা দেখে মেয়ে টা ভ্যান থামতে বলে।
মেয়ে টা হাসতে হাসতে আমার কাছে এসে বলতে লাগলো,
আপনি পরে গেলন কিভাবে এতে করেও পরে যায়।
আমি কিছু না বলে হাতটা বারিয়ে দিলাম আমাকে উঠান জন্য।
মেয়ে টাও ওর হাত বারিয়ে আমাকে মাটি থেকে তুলে নিলো।।
আমাকে তুলে দিলে আমি আবার ভ্যানে এসে বসে পরলে,
মেয়েটা- একটু সাবধানে বসবেন একটু,
রাস্তা তো ভাল না দেখতেই পাচ্ছেন।
আমি- ওকে,
কিছু সময় পরে আমরা নাকি বাসায় এসে পৌছে গেছি মেয়ে টা আমাকে ভ্যান থেকে নামতে বলে।
আমি ওর কথা শুনে ভ্যান থেকে নেমে পকেট থেকে টাকা বের করে যেই লোকটাকে দিতে যাবো তখনি,
মেয়েটা- আরে আপনি এটা কি করছেন তাতে টাকা বাবা দিয়ে দিয়েছে।
আমি তার পরেও টাকা দিলাম যে যদিও নিতে চাইনি,
আমি বললাম আমি এটা খুসি হয়ে দিচ্ছি তার পরেও যখন নিতে চাইলো না মেয়ে টা বলার পরে নিয়ে নিলো।
মেয়ে টা আমার ব্যাগ নিয়ে নিলো নিজ থেকে আমি নিতে চাইলে দিলো না।
আমিও জোর করলাম না শুধু মেয়ে টার পিছু পিছু যেতে লাগলাম।

আমাকে নিয়ে একটা বাসায় নিয়ে আসলো বাড়ি টা আগের মতো রয়ে গেছে সেই ছোট বেলায় এসেছিলাম আবার অনেক বছর পরে আসলাম।
শুধু শুনেছি এখানে নাকি
,
আব্বুর এক দূর সম্পর্ক চাচাতো ভাই এটা দেখা শুনে করে,
ও আপনাদের আর একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আমার দাদি গ্রামে থাকে এখানে,
আর দাদা মারা গিয়েছে অনেক আগেই।
আমি বাসার ভিতরে ঢুকতে যাবো তখনি দাদি এসে আমাকে জরিয়ে ধরে কেঁদে দেয়।
আমিও তার সাথে কেঁদে দেই কেন না অনেক দিন পরে দেখা হয়েছে তার সাথে,
তাকে আমাদের সাথে থাকতে বলি সে কিছু তেই এখান থেকে যাবে না।
তার জন্য প্রতিমাসে আব্বু এখানে আসে আর আম্মুও মাঝে মাঝে আসে কিন্তু আমাদের আশা হয় না।
নাতি বলে কথা তার জন্য দেখেই কেঁদে দিয়েছে আমি তাকে ছেরে দিলে,
দাদি- তিশা মনি, তুই আফিফ কে কোথায় পেয়েছিলি।
তিশা- তুমি না তাদের আনতে বলছিলা না তাই গিয়েছিলাম, অন্য কাউকে পেলাম না তার সাথে দেখা হল তাকে নিয়ে আসলাম।
এই মেয়ে তো ভালই ফাজিল আমাকে বলে নিয়ে এসেছে,
আমি কিছু না বলে দাদি কে বললাম আমার রুম টা একটু দেখিয়ে দিতে।
দাদি- তিশা মনি ওকে ওর রুম টা একটু দেখিয়ে দেয় তো।
তিশা- আচ্ছা দাদি,
আপনি আমার সাথে আসেন তা হলে।
এটা বললে,
আমি তিশার পিছুপিছু যেতে লাগলাম ।
আমার নিয়ে একটা রুমে এসে বললো এই টা আপনার রুম এখানে থাকবেন আপনি,
কিছু লাগলে আমাকে বলবেন আমি এনে দিবো।
আমি- আপনাকে কেন বলতে হবে,
এই বাসায় কি আর কেহ নেই।
তিশা- একানে তো আমি আর দাদি থাকি সে বুড়া মানুষ সে তো কিছু এনে দিতে পারবে না আমি ভালোর জন্য বলেছি এখন আপনার ভালো না মনে হলে দরকার নেই,
এই জন্য নিজ থেকে কাউকে হ্লেপ এর কথা বলতে হয় না।
গুরু জনরা বলেছে কাউকে হ্লেপ করতে যাবেন না তা বলে আপনি শেষ,
এটা বলে ফাজিল মেয়ে টা চলে গেলো।

আমি রুমে এসে ব্যাগ টা রেখে দিয়ে,
ওয়াসরুমে চলে আসলাম,
আমাকে যে রুম টা তে থাকতে দিয়েছে সেই রুমের ভিতরেই ওয়াসরুম রয়েছে।
আমি ফ্রেশ হয়ে বের হতেই কে জানো আমার দরজা নক করছে আবার,
তাই দরজা খুলে দেখলাম তিশা দাঁড়িয়ে আছে,
আমি- কি প্রয়োজন, আবার।
তিশা- আপনাকে খাবার খেতে ডাকতেছে আন্টি।
আমি- আচ্ছা আমি আসতেছি আপনি জান তা হলে।
তিশা- আপনাকে আমার সাথে করেই নিতে যেতে বলেছে এখনি চলেন তো।
আমি- আচ্ছা চলেন,
এটা বলে আমি রুম থেকে বের হতে যাবো তখনি,
তিশা- আপনি দাঁড়ান তো একটু আপনার সাথে আমার কথা আছে,
আপনি আমাকে আপনি আপনি করে বলতেছেন কেন আমি আপনার অনেক ছোট তাই আমাকে তুমি করে বলবেন।
এখন চলেন টা হলে।
এটা বলে আবার হাটা দিলো মেয়ে টা আরর আমি বোকার মতো ওখানে দাঁড়িয়ে থাকলাম এই মেয়ে এতো পাজি কেন এটা ঠিক ও আমার চেয়ে অনেক ছোট হবে।
আমি ওখানে দাঁড়িয়ে আছি এটা পিছু ফিরে দেখতে পেলে,
তিশা- আপনি আবার দাঁড়িয়ে পরলেন কেন ওখানে তাড়াতাড়ি আসেন তো.

এটা বললে আমি ওর সাথে সাথে চলে আসলাম।
এসে দেখি সবাই খেতে বসে পরেছে আমাকে আম্মু বসতে বললে আমি চেয়ারে বসে পরি।
আমি বসার পরে তিশা আমাকে খাবার বেরে দিতে লাগলো।
আমি চুপচাপ খেয়ে ওখান থেকে উঠে আমার রুমে চলে আসলাম রুমে এসে খাটে শুয়ে পরতেই ঘুমিয়ে যাই কেন না অনেক জানি করেছি তার জন্য শরীল টা খারাপ লাগছিলো

একেবারে আমি সন্ধ্যা হলে ঘুম থেকে জেগে যাই নিজে নিজে,
উঠে ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসি।
বাসার ভিতর থেকে উঠানে চলে আসলাম।
গ্রামের সবার বাসার সামনে উঠান থাকে এটা সবাই জানে,
উঠানে এসে দেখি আম্মু-আব্বু আর দাদি বসে গল্প করছেন তারা আমাকে দেখে দাদি আমাকে তার কাছে ডাক দেন।
আমিও তার কাছে চলে আসলাম।
আমি তাদের কাছে আসলে দাদির পাশের চেয়ারে বসতে দিলো।
আমি চেয়ারে বসার পরে,
দাদি- দাদুভাই গ্রামে কেমন লাগছে।
আমি- গ্রামে কার না ভালো লাগে বলো, তবে কালকে আমাকে গ্রাম টা ঘুরে দেখার ব্যবস্থা করতে হবে।
দাদি- আচ্ছা তিশা মনি কে বলে রাখবো ও তোকে ভাল করে ঘুরিয়ে দেখাবে ও গ্রামে সব কিছু চিনে এখানে সব কিছু জানে এখনকার মেয়ে তো।
আমি- না দাদি ও না অন্য কাউকে আমার সাথে পাঠাবে।
আমি এই কথা বললে,
আব্বু- আফিফ ও না কেন মেয়ে টা অনেক ভালো,
ও আর ওর বাবা তোর দাদির সব কিছু দেখা শুনা করে ওদের জন্যও আমার মা কে এইভাবে এখানে রাখতে পারেছি।
আমি আর কিছু বললাম না কেন না এখানে আমার আর কথা বলা যাবে না,
আর মেয়ে টা যে কত টা ভদ্র এটা আমার বুঝা হয়ে গেছে।
আমরা গল্প করছিলাম এর মাঝে অনু আর তিশাও চলে এসেছে এখানে।
ওদের দুজের সাথেই ভালো মিল রয়েছে দুনোটা দুষ্ট দল।
আমার আর এখানে বসে থাকতে ভাল লাগছে না বলে একটু একা থাকার জন্য সাইট হলাম।
একা বসে বসে ফোন টা বের করে,
সেটা নিয়ে গেমস খেলতে লাগলাম।
নেট ওপেন করলে দেখলাম তেমন নেট পাই না তাই বসে বসে গেমস খেলছিলাম।
কিন্তু এটা আর বেশিক্ষণ হল না কেন না অনু আর সাথে ফাজিল টা এসে হাজির হলো।
এসেই প্রশ্ন করে বসলো আমি এখানে একা একা বসে কি করছি।
আমি- কেন দেখছ না গেমস খেলতেছি,,
তার পরেও জিগ্যেস করতে হয়।
অণু- ভাইয়া চল না ওইদিক টা তে একটু হেটে আসি।
আমি- না রাতে আর কোথাও যেতে হবে না তুই বাসার ভিতরে যায় শুনেছি গ্রামে রাতে নাকি ভুত বের হয় তোকে ধরবো।
তিশা- এখানে কিছু নেই আপনি আপু কে এইভাবে ভয় দেখাচ্ছেন কেন আমি কিন্তু আঙ্কেল কে বলে দিবো।
আপনি বলতে পারেন না আপনার যেতে ভয় করছে।
এই মেয়ে দেখি আব্বুর ভয় দেখায় তা হলে কি অনু বলে দিয়েছে আমি যে আব্বু কে প্রচুর ভয় পাই।
আমি এই গুলো মনে মনে ভাবছিলাম তখনি,
তিশা- ওই আপনি আবার কি ভাবছেন যাবেন কিনা বলেন আমরা দুজনেই যাবো।
ওদের একা যেতে দেওয়া ঠিক হবে না তাই আমিও যেতে রাজি হলাম।
তিনজন মিলে নীরজন আধারে হাটতে লাগলাম।
নিজের ভিতরে কিছু টা ভয় ও কাজ করছে এটা ওকে বলতে পারছি না ছেলে হয়ে ভয় পাচ্ছি এটা যদি ওরা জানতে পারে তা হলে আমার মানসম্মান সব শেষ তাই চুপচাপ হাটতে লাগলাম ওদের সাথে কিন্তু কিছু দূর যাবার পরে কিসের জানো একটা আওয়াজ শুনতে পেলাম আমি শুনে ওখান থেকেই..
#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here