#গল্পের_নাম: পরিশিষ্ট
#লেখিকা: অজান্তা অহি (ছদ্মনাম)
#পর্ব_০৯

দ্বিকবিদিক হারিয়ে এক দৌঁড়ে অপূর্বর রুমে ঢুকতেই কারো সাথে ধাড়াম করে ধাক্কা খেল রোদ্দুর।ডান হাতের ব্যথা পাওয়া জায়গায় হাত বুলিয়ে সামনে না তাকিয়েই বিরক্ত গলায় বললো,

—“কোন শালী রে!দেখে চলতে পারিস না?”

সঙ্গে সঙ্গে তার মাথায় হালকা একটা থাপ্পড় পড়লো।দ্রুত চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে সামনে তার পিএইচডি ধারী বাবা ড. মুজিবুর রহমান দাঁড়িয়ে আছে।কোনো একটা অজ্ঞাত কারণে তার বাবা নিজেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনে করে এবং সবসময় বুক উঁচিয়ে হাঁটে।

রোদ্দুর মাথায় হাত রেখে অগোছালো ভাবে বলল,

—“বাবা!তুমি এত সকালে এখানে কেন?বাসায় যাও নি তোমরা?”

মুজিবুর রহমান একটা হাই তুলে বলল,

—“তোর শরীরের তাপমাত্রা কমেছে?এখন কত ডিগ্রি? ”
—“কত ডিগ্রি জানি না বাবা।তবে জ্বর নেই।একদম স্বাভাবিক।”

—“আমি তিন মিনিট দাঁড়ালাম।থার্মোমিটার দিয়ে মেপে এ্যকুরেট টেম্পারেচার বলবি।তোর মাকে গিয়ে আবার বলতে হবে!”

রোদ্দুর বিস্ফারিত নয়নে বলল,

—“মা কোথায়?”

মুজিবুর রহমান বিছানায় গিয়ে পা তুলে বসলেন।চোখ দুটো বন্ধ করে যোগব্যায়ামের ভঙ্গি করলেন।তারপর শীতল গলায় বললেন,

—“গতরাতে বারোটার দিকে আমি আর তোর মা বাসায় চলে গিয়েছিলাম।তোর জ্বর,সেজন্য তোর মা যেতে চাইলো না।কিন্তু ওদিকে খালি বাসা।শুধু কাজের লোক দুটো রয়েছে।বলা তো যায় না বিপদ আপদের কথা।পরে তোর খালার কথায় আমরা দুজন চলে গেলাম।কিন্তু সারা রাত তোর মা ঘুমাতে দেয়নি।আযানের সময় আমাকে লাথি দিয়ে উঠিয়ে পাঠিয়েছে।তোর টেম্পারেচার মেপে থার্মোমিটার সাথে করে নিয়ে যেতে বলেছে।তাড়াতাড়ি কর!”

রোদ্দুর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।সে যে বড় হয়ে গেছে তা তাদের মা বাবাকে কে বোঝাবে!এখনো তার বাবা তুই তুকারি করে,দু একটা চড় থাপড়ও কপালে জুটে মাঝে মধ্যে।

সে এগিয়ে গিয়ে বগলের নিচে থার্মোমিটার চেপে বেলকনিতে গিয়ে দাঁড়ালো।বেলকনিতে দাঁড়াতেই রোদ্দুরের সব ধরনের অস্থিরতা দূর হয়ে গেল।বাইরের হিমশীতল বাতাসে পুরো ভেতর বাহির শীতল হয়ে গেল।

চারিদিকে ফর্সা হয়ে গেছে।তবে সূর্য এখনো উঠেনি।অল্প অল্প কুয়াশায় মোড়ানো সকালটা রোদ্দুরের অন্য রকম ভালো লাগতে শুরু করলো।বার বার মনে হলো,আজকের সকাল আর অন্যান্য দিনের সকাল এক নয়।

কিছুক্ষণ পর সে ভেতরে এসে থার্মোমিটার টেবিলের উপর রেখে বলল,

—“বাবা!এই যে!”

মুজিবুর রহমান উত্তর দিল না।রোদ্দুর তাকিয়ে দেখে তার পিএইচডি ধারী বাবা কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমের দেশে তলিয়ে গেছে।

সে রুমের দরজা ভিড়িয়ে নিচে নামলো।এক কাপ চা খেতে হবে।কেউ বোধ হয় ঘুম থেকে উঠেনি।নিজেরই চা করতে হবে।

রোদ্দুর সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে গুনগুন করে গান ধরলো।

“ক্ষতি নেই…..
কাছে না বলে তুমি চলে এলে…
দেখো সেই…
খুশি সাজাবো আমি হাজার ফুলে….
প্রতিদিন,সবসময় দেখা বেশি হলে বড় ভালো হয়… ”

একরাশ ভালো লাগা নিয়ে রান্নাঘরে পা রাখতেই চমকে উঠলো সে।অহি কোমড়ে ওড়না পেঁচিয়ে হাত নেড়ে নেড়ে টুংটাং আওয়াজ তুলে কি যেন করছে!

রোদ্দুরের ডান হাত আপনা-আপনি বুকে চলে গেল।তার হার্টবিট আবার ক্রমাগত ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে যাচ্ছে।হাত পা কাঁপছে।শরীরের ভরটুকু পা আর ধরে রাখতে চাইছে না।সে দরজার ঠেস দিয়ে নিজের ভরটুকু ছেড়ে বুকে চাপ দিয়ে ধরলো।হার্টবিটের শব্দ যেন অহির কানে না যায়!

অহির থেকে দৃষ্টি সরাতে পারছে না সে।যেন চোখ দুটোর উপর তার নিজের নিয়ন্ত্রণ নেই।অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে।অহিকে কেমন বউ বউ লাগছে।চুল হাতখোঁপা করায় ঘাড়ের অনেকখানি উন্মুক্ত।কফি কালারের রঙটা যেন ঠিকরে পড়ছে।

অহি একটু পর পর সামনের অবাধ্য চুলগুলো আঙুলের সাহায্যে কানের পাশে গুঁজে দিচ্ছে।রোদ্দুর আর পারলো না।ধপ করে দরজা ধরে ফ্লোরে বসে বলল,

—“ও মাই গড!”

হালকা শব্দে অহি পেছন ঘুরে তাকায়।রোদ্দুরকে ওভাবে ফ্লোরে বসে থাকতে দেখে চোখ বড় বড় হয়ে যায়।দৌঁড়ে এসে বলে,

—“রোদ্দুর ভাই, এভাবে বসে আছেন কেন?বুকে হাত কেন?হার্টের এ্যাটাক ট্যাটাক হবে নাকি?আল্লাহ গো!”

রোদ্দুর ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,

—“অজান্তা,আমার থেকে দশ হাত দূরে দাঁড়িয়ে কথা বল।যাহ!পিছিয়ে যাহ!আমি ঠিক আছি!”

অহি ভয়ে কিছুটা পিছিয়ে গেল।রোদ্দুর ভাই কাল থেকে কেমন অস্বাভাবিক আচরণ করছে!সে ভয়ার্ত স্বরে বলল,

—“বুকে হাত কেন রোদ্দুর ভাই?বুকে ব্যথা করছে নাকি?শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে?”

—“বললাম তো আমি ঠিক আছি।আর বুকে হাত রাখবো নাকি পা উঠিয়ে রাখবো সেটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার।”

অহি কিছু না বলে জগ থেকে গ্লাসে পানি ঢেলে এগিয়ে দিয়ে বলল,

—“পানিটুকু খান!ভালো লাগবে!”

রোদ্দুর ধমকে বলল,

—“বললাম না কাছে আসবি না!পিছিয়ে যা!”

অহি ধমকে কেঁপে উঠলো।কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,

—“রো-রোদ্দুর ভাই!আপনি ফ্লোরে বসে কেন?”

—“ইচ্ছে হয়েছে বসেছি।প্রয়োজনে শুয়ে থাকবো।তাতে তোর কোনো সমস্যা আছে?”

—“ন-না!তা নেই।কিন্তু ফ্লোরে তো অনেক ময়লা।”

রোদ্দুর ভুলবশত অহির দিকে তাকালো।এলোমেলো চুল,ভয়ার্ত চোখ-মুখ,কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম,কাঁপা কাঁপা ঠোঁট!সব মিলিয়ে অন্য রকমের সুন্দর লাগছে।তাকে মুহূর্তে ঘোরে ফেলতে পারে!সে দ্রুত চোখ সরিয়ে শক্ত কন্ঠে বলল,

—“ময়লা তাতে কি?তোকে কি বলবনি আমায় শাওয়ার করিয়ে দে?নাকি বলবনি আমার ড্রেসগুলো ধুয়ে দে?বলবো তো না!এখন আমি ফ্লোরে শুয়ে থাকবো।”

বলেই অহিকে চমকের শীর্ষ পর্যায়ে রেখে রোদ্দুর দরজা বরাবর ফ্লোরে শুয়ে পড়লো।বড় বড় করে শ্বাস টানলো।শুয়ে চোখ বন্ধ করে বিড়বিড় করলো।

অহি কেঁদে দিয়েছে প্রায়।বৃষ্টি আপুর শোকে অবশেষে মানুষটা পাগল হয়ে গেল?সে মুখে হাত রেখে রোদ্দুরকে ডিঙিয়ে এক দৌঁড়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে উঠতে বলল,

—“কে কোথায় আছো?বের হও তাড়াতাড়ি! রোদেলা আপু বের হও!রোদ্দুর ভাই পাগল হয়ে গেছে!রোদ্দুর ভাই পাগল হয়ে গেছে।হসপিটালে নিতে হবে।”

পাঁচ মিনিটের মাথায় সবাই ঘুম ঘুম চোখে ড্রয়িং রুমে হাজির হলো।নিচে নেমে কোথাও রোদ্দুরকে খুঁজে পাওয়া গেল না।রোদেলা ফোন বের করে রোদ্দুরকে ফোন দিল।রোদ্দুর ফোন রিসিভ করলো না।কিন্তু এক মিনিট পরেই টুং করে একটা এসএমএস আসলো।

“রোদ আপু!আমি বাসায় যাচ্ছি।একটু দরকারি কাজ আছে।”

রোদেলা একটা হাই তুলে ম্যাসেজটা পড়লো।তাকে রেডি হতে হবে। কলেজে যেতে হবে।

মুজিবুর রহমান অহিকে বলল,

—“মা-জননী! তুমি শুধু শুধু ভয় পাচ্ছো।আমি আর একটু ঘুমিয়ে নেই এখান থেকে।বাসায় গেলে তোমার খালামণি ধমকা ধমকি করবে!”

সবাই যার যার মতো হাই তুলে রুমে চলে গেল।অহি চিন্তিত মুখে দাঁত দিয়ে হাতের নখ কাটা শুরু করলো।এটা কি হলো?

———————

দুপুরের দিকে রোদেলার ক্লাস শেষ হলো।কলেজ শেষ হতে এখনো দেড় ঘন্টার মতো বাকি।কিন্তু এই দেড় ঘন্টায় তার আর কোনো ক্লাস নেই।

টিফিনের পরে তার একটা ক্লাস। বি বয়েজ শুধু।আর টিফিনের আগে চারটা।এই মোট পাঁচটা ক্লাস ডেইলি।

রোদেলা ব্যাগ থেকে পানির পট বের করে গলা ভেজালো।এই দেড় ঘন্টা বসে থাকতে হবে শুধু শুধু।কলেজ টাইম শেষ হলে তখন বাসায় যেতে পারবে।

নিজের ডেস্কে বসে পেপার হাতে নিল।গতকালের পেপার।পেপার পড়ার অভ্যাস তার নেই।কোনোকালে ছিলও নাহ!এখন সময় কাটানোর জন্য চোখ বুলালে দোষের কি!

—“মিস রোদেলা ম্যাম!”

রোদেলা ঘাড় ঘুড়িয়ে দরজার দিকে তাকালো।আকাশী রঙের ইউনিফর্ম গায়ে অল্প বয়স্ক একটা ছেলে।এটা তো নতুন প্রিন্সিপাল মানে সাদিদ স্যারের পিয়ন।এ কলেজে প্রতিটি পিয়নের এক রকমের ইউনিফর্ম।

সে স্বাভাবিক কন্ঠে বলল,

—“হ্যাঁ,বলুন।”

ছেলেটা হাতে রাখা খাতাতে চোখ বুলিয়ে বলল,

—“ম্যাম,আপনাকে সাদিদ স্যার দেখা করতে বলেছে।কলেজ শেষে।অর্থাৎ আড়াইটার সময়।ম্যাম,একটু টাইমলি আসার চেষ্টা করবেন।”

রোদেলা মাথা নেড়ে সায় জানালো।ছেলেটা চলে যেতেই তার কপালে চিন্তার রেখা ফুটে উঠলো।সাদিদ স্যার তার সাথে কেন দেখা করতে চাচ্ছে?

সাদিদ স্যার এ কলেজে এসেছে আজ সতেরো দিন।এই সতেরো দিনে রোদেলা তার ধারে কাছেও ঘেঁষেনি।সেই যে রিসিপশনের দিন দেখা হয়েছিল।আর হয়নি!রোদেলা ইচ্ছে করে তার থেকে পালিয়ে বেড়িয়েছে।কারণ সে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে মি. জুলকারনাইন সাদিদ ম্যারিড এবং তার পাঁচ বছরের একটা মেয়ে আছে।

রোদেলার চোখ দিয়ে অশ্রু বের হলো।তার এক তরফা ভালোবাসা তাহলে পূর্ণতা পেল না।ভালোবাসা এমন কেন?সবসময় ভুল মানুষকে বেছে নেয়!সে সাবধানে টিস্যু দিয়ে চোখ মুছে নিজেকে স্ট্রং করলো।সাদিদ স্যারকে তাকে ফেস করতে হবে!

২ টা বেজে ৩৬ মিনিটে রোদেলা সাদিদের কেবিনের দরজায় টোকা দিয়ে বলল,

—“আসবো স্যার?”

সাদিদ কি যেন লিখছে।দরজার দিকে না তাকিয়ে বলল,

—“জ্বি,অবশ্যই!”

রোদেলা ভেতরে ঢুকে সাবধানে দরজা ভিড়িয়ে দিল।তারপর কাচের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে সালাম দিল।সাদিদ সালামের উত্তর না দিয়ে বলল,

—“প্লিজ, সিট ডাউন।”

রোদেলা আড়ষ্ট ভঙ্গিতে চেয়ার টেনে বসলো।কেবিনটা এসি করা।তার শীত শীত লাগছে।গায়ের ওড়না দিয়ে হাতের ফাঁকা অংশ ঢেকে ফেলল সে।

সাদিদ প্রথমবার চোখ তুলে তাকালো।স্ট্রেইট বলল,

—“মিস রোদেলা জান্নাত,রাইট?আমার জানামতে আপনার কলেজ ছুটির আগে কোন ক্লাস ছিল না।কিন্তু আপনি ছয় মিনিট লেট করে কেবিনে ঢুকলেন!”

রোদেলা উত্তর দিল না।এক নজর সাদিদের দিকে তাকাল।সাদিদ আজ কালো ফ্রেমের চশমা পড়েছে।কি সুন্দর জ্ঞানী মানুষদের মতো লাগছে!

—“মিস রোদেলা জান্নাত!আপনি কি কারণে কলেজ ছাড়তে চাচ্ছেন?”

—“কোনো কারণ নেই স্যার।”

—“এটা বললে তো হবে না।আপনাকে প্রোপার কজ দেখিয়ে কলেজ ছাড়তে হবে।কারণ এতে কলেজের মানোন্নয়নে আমরা সোচ্চার হবো।আপনার মন চাইলো আর আপনি জয়েন করলেন,আবার মন চাইলো না তো রেজিগনেশন নিয়ে নিলেন।এটা হবে না!”

—“স্যার আমি মন মর্জি কলেজে ঢুকিনি।এক্সাম দিয়ে, ভাইভা দিয়ে, দুটো ডেমো ক্লাস করিয়ে চাকরি পেয়েছিলাম।এখন আর করতে চাই না।”

সাদিদ চশমার কাচ পরিষ্কার করে আবার চোখে পড়লেন।তারপর সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে রোদেলার দিকে চেয়ে বললেন,

—“মিস!আপনাকে কি আমি চিনি?”

রোদেলা যেন জানতো যে সাদিদ স্যার এই প্রশ্নটা করবে।সে স্বাভাবিক ভাবে বলল,

—“জ্বি না!”

—“কেন জানি আপনার চেহারাটা একটু পরিচিত মনে হয়।বাই দ্য ওয়ে,আপনার পেপারস গুলো দেখলাম গতকাল।আপনি যে কলেজে ছিলেন,ওই কলেজে আমি তিন মাসের মতো ক্লাস নিয়েছিলাম।এবং কাকতালীয় ভাবে সালটা আপনার সাথে মিলে গেছে।আপনি তখন ইন্টার প্রথম বর্ষে ছিলেন।আমি পদার্থ বিজ্ঞান ক্লাস নিতাম।আপনার কিছু মনে পড়ে?”

—“না স্যার!মনে পড়ে না।আপনি হয়তো অন্য সেকশনে ক্লাস নিয়েছিলেন।”

তারপর কয়েক মিনিট দু’জনে চুপ।সাদিদ ঘোর ভেঙে বলল,

—“মিস রোদেলা আপনি আসতে পারেন।আপনি এই মুহুর্তে কলেজ ছাড়তে পারবেন না।কিছুদিন পর এক্সাম সবার।কলেজের রেপুটেশনের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে আমাকে।এই মুহুর্তে নতুন টিচার ইনভলভ করা অনেক টাফ।আপনি আসুন!”

রোদেলা উঠে দাঁড়ালো।দরজার কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে বেরিয়ে গেল।

——————–

অহি ছটফট করছে।কারণ তার ফোনে তিনটে আননোন নাম্বার থেকে একই মেসেজ এসেছে।মেসেজ দুটো এমন..

“রোদ্দুর ভাই,এবার যদি আমাকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করিস তাহলে তোকে একদম খুন করে ফেলবো।তারপর নিজের গলায় দড়ি দিবো।আমার গল্পের প্রথম পাতায়,মাঝামাঝিতে বা শেষ অধ্যায়ে তুই না থাকলেও পরিশিষ্টে তোকে চাই!শুধু তোকে চাই!রোদ্দুর হিমকে চাই।”

এইটুকুই।একি মেসেজই তিনটে আননোন নাম্বার থেকে এসেছে।অহির হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে!এটা কার কাজ?রোদ্দুর ভাই না তো?

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here