#অপরাজিতা

#২য় পর্ব

সিলভিয়া নুপুরের হাতে চাপ দিতেই চোখাচোখি হয় ছেলের মায়ের সাথে।
ভদ্রমহিলা নুপুরের কথাটা বোধহয় শুনে ফেলেছে। খুব
লজ্জার কথা।

: তুই এগ্লা কি কস নুপুর?
সিলভিয়া ফিসফিস করে কথা বলছে আর ছেলের মাকে খেয়াল করছে। নুপুর সিলভিয়ার কোন কথা কানে তুলেনি। সে একটু পরপর রিফাতের দিকে তাকাচ্ছে।
কারন ছেলেটা এখনও চুপচাপ করে বসে আছে।
এতগুলো মানুষের মাঝে সে আশ্চর্য রকম অসহায়।
বিষয়টা নুপুরকে ভাবিয়ে তুলে।

: এ্যাই নুপুর কি বলছি শুনছিস?

: চাচী তুমি দেখছো? ছেলেটা কেমন অপ্রস্তুত হয়ে বসে আছে। কারোর সাথে স্বাভাবিকভাবে কথাও বলছে না।

: ধুর, কি বলিস। বিয়ের সময় ছেলেরা এমনই বিব্রত হয়ে যায়। তখন দেখতে বোকা বোকা লাগে। তোর চাচাও আমাকে যখন প্রথম দেখেছে কি যে ভ্যাবলার মত কান্ড করেছে।

সিলভিয়া মিটমিট হাসছে।
সে হাসি থামাতে পারছে না। নুপুর অবাক হয়। কি অদ্ভুত মানুষ। সব জায়গায় নিজের কথা টেনে আনে। এতে কি তার সন্মান বাড়ে নাকি কমে বুঝে না।

: চাচী, মাকে এদিকে আসতে বলো তো।

সিলভিয়া মনে হয় রাগ করল। সে নুপুরের কথা পাত্তা দিলো না। উল্টো শাসন করতে লাগল।

: চুপ করে বস তো। খালি ছটফটানি। তোর মাকে দেখছিস কিভাবে থাকে। এরা খুব পয়সাওয়ালা মানুষ। এদের সাথে ঠিকমত কথা বলতেও যোগ্যতা লাগে। সেগুলো বুঝিস?

: কেন মা আবার কি করল?

: কি করল মানে, বাদ দে।
নুপুর শোন দেখিস এই ছেলের সাথেই তোর বিয়ে হয়ে যাবে, এটা ভেবেই এখন একটু ভালো মুডে থাক। জানিস ওরা অনেক বড়ঘরের মানুষ।।এমন বিয়ে সাত জন্মের সাধনা বুঝলি?

বেশ কঠিন কথা। নুপুর জানে এমন কথা চাচী সবাইকে শুনিয়ে অভ্যস্ত। তার লাগামছাড়া কথার বিষ সেই ছোটবেলা থেকে সহ্য করে আসছে ।

: তুমি কি বললে চাচী, দেখতে এলেই কি বিয়ে হয়ে যায়?

সিলভিয়া লাল ঠোঁটে মিটিমিটি হেসে শেষ।
তার আচঁল গড়িয়ে লুটোপুটি।
: তুই এত বোকা কেন নুপুর।
আমি একটা ভবিষ্যৎ করলাম যেন তোর ভাগ্যটা এখানেই বেঁধে যায়। মেয়ে হবার জ্বালা তুই কি বুঝবি।
আমাদের সবগুলা মেয়ে। আমরা জানি এর জ্বালা।

নুপুর এটুকুতে থামে। সে জানে তার বাবার ক্ষমতা কম। সব কিছু আদিল চাচা না দেখলে ওরা টিকে থাকতে পারত না। বলতে গেলে এই সংসারটা চাচার কারনে বেঁচে আছে। এটুকুর জন্য নুপুর চাচীকে কখনও কিছু বলতে যায় না। বরং কৃতজ্ঞতায় মনে মনে নুয়ে থাকে।

ভদ্রমহিলা নুপুরের হাত ধরে আলতো করে একটা চুমু খেলেন।
: বাহ, তুমি তো ভারী সুন্দর। এতটা সুন্দর আমি ভাবতেই পারছি না। ছবিতে যতটা ভালো লেগেছে এখন সামনাসামনি তো একেবারে পরী।

ছেলের মা সালমা বেগমকে উদ্দেশ্য করে বললেন।

: মেয়ে আমাদের খুব পছন্দ হয়েছে। মাশাল্লাহ।
আল্লাহ আমার রিফাতের জন্য এত চমৎকার একটা মেয়ে রেখেছেন এটা আমার সৌভাগ্য।

সালমা বেগম লুকিয়ে চোখের পানি মুছে।এটা তার ভাগ্য। সুন্দরী মেয়েরা সত্যি ভাগ্য নিয়ে জন্মায়।

ড্রইরুমের সব অতিথি হাসিমুখে ছেলের মায়ের কথায় সম্মতি দিতেই ছেলের বাবা শফিককে ডেকে এনে পাশে বসান। তার হাত চেপে ধরে।বললেন।

: আমার ছেলের জন্য তার মা আপনার মেয়েকে পছন্দ করেছে। এখন আপনি আর ভাবী চাইলে আমরা আংটি পড়াতে পারি, কি বলেন সবাই?

নুপুর দেখল তার বাবা কাদঁছে। সবার কাছে এটা খুশীর অথবা মেয়েকে বিদায় করার কান্না হতে পারে। কিন্ত নুপুর জানে তার বাবা অক্ষমতায় কাঁদছে।

: জ্বি এটা আমাদের সৌভাগ্য। আপনারা বড় মুখ করে এসেছেন। তবে এতটা হুট করে আমরা ভাবতে পারছি না। দেখি সবার সাথে কথা বলে।
আদিল চোখের ইশারায় শফিককে কি একটা বলতে চাইল কিন্ত সিলভিয়া পাশ থেকে টেনে আদিলকে নিয়ে অন্য রুমে চলে যায়।

ছেলের বাবাও একটু অপ্রস্তুত হল।
: ঠিক আছে আপনারা কথা বলেন, আমরা আছি।

এদিকে ছেলের মা বক্স থেকে আংটি বের করে ফেলেছে। বিষয়টা কেমন জানি তাড়াহুড়া। সালমা অবাক হয়।

: ভাবী ভাই শুনেন এত আলোচনা আমরা পরে না হয় করি।আগে আমি আমার মেয়েকে নিজের করে নিতে চাই

ভদ্র মহিলার দৃষ্টিকে উপেক্ষা করে সালমা বেগম উঠে আসে।

: আপা এটা শুভ কাজ। অবশ্যই সব হবে। আগে আপনারা কিছু খেয়ে নিন।

ভদ্রমহিলা কিছুটা দমে গেলেন। তিনি আংটিটা আবার ব্যাগে রেখে দিলেন।

: ঠিক আছে। তবে রিফাত তুমি তো নুপুরকে কিছু জিজ্ঞাস করলে না।

: আমার কিছু বলার নাই।

ভরাট কন্ঠের আওয়াজ শুনে নুপুর আড়চোখে দেখল।
খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলল ছেলেটি। নুপুর এতক্ষনে স্বস্তিও পেয়েছে।

সালমা উঠে এসে নুপুরকে নিয়ে ভেতরে নিয়ে যায়।সবাইকে খাবার দেয়া হয়েছে। সার্ভ করা হয়েছে বসার ঘরেই। আদিল একা হাতে সব দিক সামলাচ্ছে। আইটেম খুব বেশী না। ওদের আনা মিষ্টি সাথে কয়েক রকম ফল আর ড্রিংক।

মিটিং বসেছে ভেতরের রুমে। আদিল শফিক সালমা আর সিলভিয়ার সাথে। আর নুপুর চলে গেছে পাশের রুমে। গিয়েই শাড়ি খুলে ফেলেছে। তারপর তিশাকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষন কাঁদল।
রাইমা আধশোয়া হয়ে ইয়ারফোন গুজে গান শুনছিল।
এসব দেখে নাক মুখ কুঁচকে ফেলে।
” যত্তোসব ঢং “।

: রাইমা কিছু বললে নাকি?

তিশা কথাটা শুনতে পেয়েছে। তবুও জানতে চাইল কিন্ত রাইমা না করে ফেলে।
সে কথা ঘুরিয়ে ফেলল।

: আমি খুব চাইছি নুপুর আপু তোমার বিয়েটা হয়ে যাক। ইশ আমরা কত প্লান করে রেখেছি। ড্রেস কোড ঠিক করব। তারপর লেহেঙ্গা শাড়ি এগুলো কিনতে হবে। মেহেদী হলুদের ঝাক্কাস প্লান তো আমিই করব। শোনো গানের সিলেকশান আমি ছাড়া কিন্ত কেউ করতে পারবে না।

তিশা বাঁকা হাসি হাসছে। এতে রাইমা ক্ষেপে যায়।

: তুই হাসছিস কেন রে তিশা?

: এতকিছু আমরা করতে পারব না। রাইমা। তোমার এত এত শখ সেটা তোমার বিয়েতেই পুষিয়ে নিও।
রাইমা হৈ হৈ করে উঠে।

: আমি বিয়েই করব না।

: তাহলে রাফির কি হবে রে রাইমা?

রাইমা প্রেম করে ঘুরে বেড়ায়। আজ এর সাথে কাল ওর সাথে এসব বাড়ির কেউ তেমন একটা জানে না।
মাত্র কলেজে পা রেখেছে রাইমা।
: এই রাফিটা কে রে তিশা?

রাইমা ভেজা বেড়ালের মত চুপসে যায়। তিশাও কিছু বলে না।
নুপুর আবারও জিজ্ঞাস করে।
কিন্ত ওরা কেউই দম ফেলে না।

নুপুরের ক্ষিধে পেয়েছে। সকাল থেকে তেমন একটা খাওয়া হয়নি। আবার এই মুহুর্তে উঠে গিয়ে কিছু খাবে সেটাও ইচ্ছে করছে না। বাড়িতে এত লোক। সবার সামনে একলা খেতেও সংকোচ হচ্ছে।

তিশা নুপুরকে জড়িয়ে ধরে আছে। কদিন পর হয়তো এভাবে আর কাছে পাবে না নিজের বোনকে।

: আপা তোর এই শাড়িটা আমায় দিবি?
: কি করবি এই শাড়ি দিয়ে? পড়তে চাইলে পড়।

: না, একবারেই দিয়ে দে। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। বিয়ে হয়ে গেলে তুই কত দামী দামী শাড়ি পড়ে ঘুরে বেড়াবি। নুপুর হেসে ফেলল।

: ঠিক আছে। দিয়ে দিলাম যা।
তিশা আরো শক্ত করে নুপুরকে জড়িয়ে ধরে।

রাইমা ইয়ারফোন ফেলে নুপুরের কাছে আসে।

: এ্যাই জিজুর সাথে কথা হয়েছে?

: না।

রাইমা চেচিয়ে উঠে।

:আরে বাহ! এতো দেখি পুরাই সিনেমাটিক ব্যাপার।
তোমার সাথে জিজুর বিয়ের রাতে প্রথম দেখা প্রথম কথা। উফ! জিজু তোমার হাত ধরবে তারপর তুমি কি করবে, এ্যাই নুপুর আপু বলো না কি করবে?

নুপুর হাসতে হাসতে শেষ।
: রাইমা তুই ভাবতে থাক। এদিকে আমার পেট চু চু করছে ক্ষিধের জ্বালায়। তিশা যা তো কিছু নিয়ে আয় আমার জন্য।

তিশা খাবার আনতে চলে গেলো। কিছুক্ষন পর প্লেট ভর্তি খাবার নিয়ে হাজির।
পোলাও রোস্ট আর কাবাব।
নুপুর প্লেট হাতে খেতে শুরু করে।
তিশাকেও খাইয়ে দেয়।
তিশার চোখে পানি চলে আসে। সে মাথা নিচু করে খেতে থাকে।

: তিশা কাঁচা মরিচ নিয়ে আয় কয়েকটা ।
তিশা আবার ছুটে বের হয়। পাঁচ মিনিট পর প্লেটে মরিচ লেবু আচার নিয়ে আসে।

নুপুর অবাক হয়ে যায়।
: এতকিছু আনলি কেন?

: তোর জন্য আনলাম, খা।
কাঁচা মরিচ ভেঙে নুপুর গপগপ খেতে লাগল। ঝালের চোটে তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।

: আপা তুই এত ঝাল খাচ্ছিস কেন। পরে পেট ব্যথা করবে।

: করুক।
চোখের পানি মুছতে মুছতে নুপুর খেয়েই যাচ্ছে। তার ভেতরটা জ্বলে যাচ্ছে। কষ্ট রাগ যন্ত্রনায়। সব এখন চোখের পানিতে ভেসে যাচ্ছে কিন্ত কেউ তা বুঝল না।

মিটিং চলল প্রায় আধঘণ্টা। এর মাঝে অতিথিদের খাবার শেষ হয়েছে। আদিল একবার গিয়ে সব দেখে এসেছে। ড্রইরুমে আসতেই ছেলের বাবা এক গাল হেসে আদিলকে বসতে বলে।

: আপনারা বসুন। আমরা আসছি।

: ভাই আর কতক্ষন।

: এই তো দশ মিনিট।

কিছু জিনিস ঘোলাটে হয়ে আছে সবার কাছে। ওরা মেয়ে দেখতে এসেছে। সবকিছু ভালো ভাবে না দেখেই আংটি পড়াতে আগ্রহী হয়ে যাচ্ছে। একটু বেমানান বিষয়টা। সবচেয়ে বড় কথা ওরা এত আগ বাড়িয়ে কেন এখানে সম্পর্ক করতে চাইছে সেটা ভাবনার কথা।
কারন ওরা বড়লোক শ্রেনীর। অনেক টাকা আছে। প্রতিষ্ঠিত ছেলে। এমন ছেলের জন্য নুপুর নয় এটাই চিন্তার বিষয়।
শফিক দোটানায় আছে। কি বলবে বুঝতে পারছে না।

: ভাই আদিল আমাকে একটু বুঝাও তো। ওরা নুপুরকে আংটি পড়াতে এত অস্থির হয়ে গেছে কেন?

: আহা তোমরা এতকিছু ধরলে কেমনে। ওদের মেয়ে পছন্দ হইলে আংটি পড়াবে না?

সিলভিয়া পাশ থেকে উশখুশ করছে কিছু বলার জন্য।

: ভাইয়া ভাবী আমার কথাটা শোনো, এখন সময়টা বদলে গেছে।বিয়ের বাজারে মেয়েদের দাম কোথায় আছে খোজ রাখো? যার বাপের পয়সা আছে তার মেয়েকে নিয়ে চিন্তা নাই। আর দেখো তো তোমাদের কি আছে যে পয়সা খরচ করে মেয়ে বিয়ে দেবে, বলো?
সালমা শফিক চুপ করে গেলো।

: বাস্তববাদী হও। বাচ্চাদের মত আচরন করো না। কেন কি এতসব বাদ দিয়ে আল্লাহ আল্লাহ করো যেন এখানে নুপুরের বিয়েটা হয়ে যায়।
তোমাদের মেয়ে সুন্দর এটা ঠিক কিন্ত পারবা লাখ টাকা খরচ করে মেয়েকে ভালো একটা ছেলের হাতে তুলে দিতে?

তোমরা ভাবছো ওরা কেন আংটি পড়াবে। আর আমি ভাবছি বিয়ের কথাটাই তুলে ফেলব সুযোগ পেলে।
দুনিয়া চলে একদিকে তোমরা চলো আরেকদিকে।

সিলভিয়ার শেষ কথাটা মনে ধরল আদিলের। তার মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। ঠিকই তো বলেছে। এত বড় ঘর থেকে বর এলে সুযোগ কেন মিস করবে।

মিটিং শেষ। সবাই এসে বসার রুমে ঢুকল। কিছু আলাপচারিতার পর নুপুরকে নিয়ে আসা হল। নুপুর শাড়ি বদলে থ্রিপিস পড়েছে। কড়া নীল রঙের। ফর্সা ধবধবে গায়ের রঙে জ্বলজ্বল করছে মেয়েটাকে।
সালমা ছোট্ট করে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। এত সুন্দর মেয়েটার কপালে না জানি কি আছে। কারন গরীব ঘরের সুন্দরী মেয়েরা তো অভিশাপই হয়।

আংটি পড়ানোর কথা ফাইনাল হল। কিন্ত সমস্যা হল ছেলেপক্ষের আংটি আর মেয়েপক্ষের আংটি একদিনেই হলে ঝামেলা কম হত।

আদিল এক ফাঁকে বলল, ” তাহলে আমি গিয়ে আংটি কিনে নিয়ে আসি। ”
ছেলের মামা এতে রাজী না আরেকটা প্রস্তাব দিয়ে বসে।
প্রস্তাবটা হল “আজ মেয়েকে আংটি পড়িয়ে আমরা ডেট ঠিক করে যাই। তারপর খুব অল্প সময়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে যাবো, কি বলেন আপনারা”

সিলভিয়া এই কথার অপেক্ষায় ছিল। সে সবার সামনে দুম করে বলেই ফেলল।
: আমার একটা কথা ছিল। যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আজই আমরা বিয়ের আসল কাজটা সেরে ফেলি। কারন আপনাদের যখন আমাদের মেয়েকে এতই পছন্দ হয়েছে। মেয়েকে ঘরে নেবেনই তবে শুভ কাজটা আজ হলে ক্ষতি কি। বরং এটাই খুব ভালো হয়।

আপনাদের এমন আন্তরিকতা সত্যি মুগ্ধ হবার মত। আপনারা সব জেনে বুঝে এসেছেন। আমাদের টাকা পয়সা কম। মেয়েকে তেমন কিছু দিতে পারব না তবে ছেলের জন্য আপনারা ভালো একটা শ্বশুড়বাড়ি পাবেন। এটুকু নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

ছেলের মা খুব খুশী হলো এই প্রস্তাবে। সে নুপুরকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল।
: আমি রাজী।

নুপুর বোকার মত তাকিয়ে আছে রিফাতের দিকে। সে দেখল এক ঝলক একটা হাসি দিয়ে রিফাত মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।

আশ্চর্য ছেলেটার হাসিটা এত সুন্দর। ও গড। নুপুর স্তব্ধ হয়ে গেছে সেই হাসি দেখে।

বিঃদ্র- প্রিয় পাঠক ভালবাসার বিনিময়ে ভালবাসা দিলাম আজকের পর্ব দিয়ে।
গল্পটা বড় করার ইচ্ছেটা প্রবল হচ্ছে। এরপর থাকছে ৩য় পর্ব। তবে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে।
আগামী দুদিন পর পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
সবাই ভালো থাকবেন আর নিরাপদে থাকবেন।

…… তামান্না হাসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here