#The_murderous_mafia
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ০৫
আমার রুমে আপু ছাড়া আর কারো আসার পারমিশন নেই তাই আসে না।আমি মাহমুদের কাছে গেলাম।
মাহমুদঃকিরে তোর এখন কি অবস্থা?
আমিঃআমার আবার অবস্থা? তা বল কাজ কতটুকু হল?
মাহমুদঃসবসময় কাজ ছাড়া আর কোনো কথা নেই নাকি?
আমিঃঅসময়ে অন্য কথা কেন বলব।কাজের সময় কাজ।
মাহমুদঃপ্রথমে কেউ রাজি হতে চাই নি।পরে রাজি হল তোর নাম শুনে।
আমিঃকি নাম শুনে RK?
মাহমুদঃহ্যা।আজ রাতে সবাই আমার বাসায় আসবে।
আমিঃওকে। তাহলে কাজটা তুই লিড দিবি।আর চারদিকে নজরে রাখবি।যাতে কেউ বেইমানী করতে না পারে।
মাহমুদঃঠিক আছে সেসব নিয়ে ভাবতে হবে না।
আমিঃওকে।
আপু এলো চা নিয়ে,সবাই চা খেলাম আড্ডা দিয়ে মাহমুদ চলে গেল।আমি তাড়াতাড়ি কিছু খেয়ে নিলাম।তারপর ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়লাম। মাহমুদ কেমন কাজ করছে দেখতে হবে আর তারা কেমন কাজ করছে দেখতে হবে।
একটু অন্ধকার হতেই সবাই মাহমুদের বাসায় চলে গেল।আর মাহমুদের সেই পুরোনো গোডাউনে সবাইকে নিয়ে গেল।সিকিউরিটি সিস্টেম খুব হার্ড ওখানকার। দশ সেকেন্ডের মধ্যে দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।যেতে বা আসতে এই দশ সেকেন্ডে সময় নির্ধারিত। সবাই সে অনুযায়ী চলে গেল।তারপর সবাই কম্পিউটারের সামনে বসে পড়ল।সব কম্পিউটার মাহমুদ আগে ঠিক করে রেখেছিল তাই যাওয়ার মাত্র কাজ শুরু করে দিল।এসব আমি নিজের ল্যাপটপ স্কিনে দেখতে পাচ্ছি।
সবাই নিজের কাজে পারদর্শিতা দেখানোর জন্য অনেক ভাবে স্যাটেলাইট হ্যাক করতে চাচ্ছে কিন্তু কেউ পারছে না।সবার মধ্যে ভয় কাজ করছে যদি পুলিশ ধরে ফেলে তাদের তাহলে কি হবে?
কিন্তু মাহমুদ কোনো ভয় পাচ্ছে না।কারণ সে তো জানে পুলিশ ধরলেও ১০ মিনিটের বেশি রাখতে পারবে না।সবাই দু’বার করে ট্রাই করার পরও ব্যর্থ হল।এবার মাহমুদের কাজ। চারপাশে ভালো করে চোখ বুলিয়ে নিল।মাহমুদ আর আমার মধ্যে কথা হচ্ছে তা আমরা দু’জন জানি।বাকি চারজন কিছু জানেনা। মাহমুদ কম্পিউটার স্কিনে হাত দিল স্কিনটা একটু নিচু করে নিলো।তারপর কি বোর্ডে হাত চালাতে লাগলো।প্রায় দশ মিনিট পর মাহমুদ স্যাটেলাইটের সিকিউরিটি সিস্টেম ধরতে পারলো।সাথে সাথে সবাইকে এই সিস্টেম পাস করে দিল।সবাই মাহমুদের এই ক্ষিপ্রতা দেখে অবাক হয়ে গেল।এত দিন RK এর নাম শুনেছিল।কিন্তু আজ RK এর ফ্রেন্ডের সাথে কাজ করছে।ভাবতে নিজের মধ্যে গর্ববোধ চলে এলো।এইও চিন্তা করল মাহমুদ যদি এত ক্ষিপ্র গতিতে কাজ করতে পারে আবার এত সাবধানে কাজ করতে পারে তাহলে RK কতটা পারতো?কতটা ভয়ংকর ছিল সে?আজ সবাই বুঝতে পারছে RK শুধু নাম নয় এটা একটা ব্রান্ড।
সবাই সিকিউরিটি সিস্টেম বুঝতে পারার সাথে সাথে কাজে লেগে পড়ল।মাহমুদ কাজ ছেড়ে সবার পেছনে গিয়ে দাঁড়ালো আর বাকিদের কাজ গুলোর দিকে চোখ বুলাতে লাগল।
মাহমুদঃআমাদের মুল কাজটি আমরা করব এর থেকে বেশি কিছু কেউ করবেন না।সবাই মনে রাখবেন আমরা শুরু বাসটা খুঁজব এর থেকে বেশি কিছু করতে যাবেন না কেউ।তাহলে দেশের ক্ষতি হতে পারে।
সবাইঃওকে।
আমি মাহমুদ কে বললাম…
আমিঃসবার কম্পিউটার স্কিনে এক, দুই, তিন, চার লিখে দেয় যাতে আমি বুঝতে পারি কার কাজ কতটুকু হচ্ছে।মাহমুদ তাই করল।কাগজ নিয়ে সবার কম্পিউটারের উপরে লিখে দিল।সবাই এই কাজ দেখে মাহমুদ কে জিজ্ঞেস করল এক দুই লিখে এসব দিচ্ছে কেন?
মাহমুদঃএখানে আমি ছাড়া আরো একজন আমাদের কাজ গুলো দেখছে তাই।
–কে দেখছে?
মাহমুদঃসেটা আপনাদের জানার দরকার নেই।আপনারা নিজেদের কাজে মনোযোগ দিন।
মাহমুদের কথা শুনে সবাই আবারো নিজের কাজে লেগে পড়ল। আমি মাহমুদ কে বলতেছি কি করতে হবে।বা ভুল কোনটা হচ্ছে। মাহমুদ আমার কথা অনুযায়ী কাজ এগিয়ে নিতে লাগল।
মাহমুদ আমাকে বলল,”তাদের সার্ভার ডাউন হতে লাগল”
আমিঃএটা হলে সমস্যা হবে।পুরো স্যাটেলাইট হ্যাক করা বাদ দেয়।শুধু ক্যামরা হ্যাক কর।আর বাসটা খুঁজ।
মাহমুদ সবাইকে তাই বলল।সবাই স্যাটেলাইট কনট্রোল করতে চাচ্ছে। মাহমুদের কথায় ক্যামরার উপর ফোকাস দিল।স্কিন সামনে আসতেই বাচ্চাদের সেই বাসটা যেতে দেখা যাচ্ছে।
পুলিশের চেক পোস্ট পর্যন্ত গেল এরপর গাড়ি ধীরগতি করল তারপর পুলিশের ইশারায় গাড়িটা সামনের দিকে চলতে লাগল। চলতে চলতে স্কুলের সামনে যেতেই স্কুলের বিপরীত দিকের রাস্তায় ঢুকে গেল। তারপর সেদিকেই গাড়িটা যেতে থাকলো বেশ কিছুক্ষণ যাওয়ার পর আরেকটা গাড়িতে তুলে নেওয়া হল সব বাচ্চাদেরকে। সবাই ওই গাড়িটা নিয়েই চলে গেল এমপির পুরোনো বাড়ির দিকে।
আমি তো এসব দেখে অবাক সত্যিই আমার সামনে এসব করতেছে এমপি!কি দেখতেছি এসব আমি অনেক রাগ উঠে গেল। মাহমুদকে বললাম ঠিক আছে বাচ্চাগুলো কোথায় এখন আমি বুঝে গেছি। তারপর মাহমুদ সবাইকে যেতে বলল আর সবাই চলে গেল মাহমুদ আমার বাসায় চলে এলো।
মাহমুদার আমি বসে আড্ডা কিছুক্ষণ কথা বললাম। আমি জানি এমপির বাসায় পুলিশ কিছু করতে পারবে না। তাই মাফিয়াদের দিয়ে কিছু করাতে হবে।এ কাজটা সব থেকে ভালো করতে পারবে হচ্ছে রাশেদ।তাই রাশেদকে ফোন দিয়ে আমার বাসায় আসতে বললাম দশ মিনিটের মধ্যে রাশেদ আমার বাসায় চলে আসলো এরপর তিনজন মিলে প্ল্যান করলাম কিভাবে কি করব।
আপুর সেই স্পেশাল কফিটা বানিয়ে দিলো আমাদের। আমরা তিনজন খেলাম আর রাশেদ চলে গেল নিজের বাসায়।রাশেদ ফোন দিয়ে শত খানি পোলাপান রেডি করল।বাচ্চাদের উদ্ধার করতে সবাই মিলে গাড়ি আর গান নিয়ে চলে গেল এমপির পুরোনো বাসার দিকে।রাশেদের বের হওয়ার এসব তথ্য এমপি পেয়ে বাচ্চাদেরকে সরিয়ে ফেলা ট্রাই করল।কিন্তু শেষে কোন কাজ হল না রাশেদ তার আগে গিয়ে ওখানে পৌঁছে গেল।
রাশেদ যেতে এমপির লোক গুলো পথ আঁটকে দাঁড়ালো কারণ রাশেদ সামনে ছিল না সে সবার মধ্যে মিশে গেছিল।সবার সামনে ছিল রাশেদর একজন পুরোনো মানুষ। প্রায় মিশনে সে রাশের সাথে ছিল।এমপির লোক গুলো রাশেদের লোকদের বাঁধা দিল….
–কি চাই এখানে?
~আমরা কি চাই তা তোরা ভালো করেই জানিস। বাচ্চারা কোথায় বল?
_কি বাচ্চা এখানে কোনো বাচ্চা নেই যা এখান থেকে।
~জানিস আমরা কার লোক?
-জানি জানি বস সব বলেছে রাশেদ মাফিয়ার লোক।এসব এখন বস ভয় পাই না যা এখান থেকে।
~যাব তবে বাচ্চাদের নিয়ে।বের করে দেয় বাচ্চাদের।
-যদি না করি তো?
~না করিস তো আমরা বের করে নিব।
-হা হা হা পারবি না।তোদের চারপাশে থাকিয়ে দেখ সবাই গুলি নিয়ে দাড়িয়ে আছে। একটু ইশারা পেতেই সবাই মারা যাবি।তোদের বস রাশেদ আসলেও না কেউ বাঁচতে পারবি না।আজ সবাইকে এখানেই মেরে দিব।তোদের কারণে আমাদের বসের অনেক ক্ষতি হয়েছে।আজ থেকে আর হবে না।সবাই আজ এখানেই শেষ হয়ে যাবি।
এমপির লোক গুলো জানত না এখানে রাশেদও এসেছে।যখন রাশেদ ভিতর থেকে সামনে আসলো তখন সবার চোখ কপালে উঠে গেল। সবার হাত-পা কাঁপতে শুরু করল এবং হচ্ছে কোন এক ভয়ানক দানব তাদের সামনে চলে এলো। সবার হাতে থাকা গান এমনিতেই পড়তে শুরু করল।এসব দেখে রাশেদের সব পোলাপান হাসাহাসি শুরু করলো।
রাশেদ সব বাচ্চাদের বের করে আনলো তারপর আরেকটা বাস ডেকে এনে ওইটাতে উঠালো বাচ্চাদের। হঠাৎ পেছন থেকে কেউ একজন গুলি করতে রাশেদের একটা লোকের হাত থেকে গান মাটিতে পড়ে গেল।রাশেদ সাথে সাথে নিজের গান বের করে সোজা যে ছিল তাকে শুট করে দিল।রাশেদের শুট করার সাথে সাথে তার সাথে থাকা সব পোলাপান শুট করা শুরু করল।প্রায় পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানে থাকা মাটি লাল বর্ণ ধারণ করল।রাশেদের পোলাপান গুলো এক একটা আগুন। তারা সবাই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। তাই কারো ফায়ার মিস হওয়ার নয়।রাশেদ সেখানে রক্তের বন্যা বয়ে দিল।এমপির লোক ছিল সেখানে প্রায় ৫০ জন।তার মধ্যে পাঁচ জন জায়গায় মারা গেছে।বাকিরাও বাঁচবে কি না সন্দেহ আছে।রাশেদ এমপির লোক সবাইকে বলল ‘RK এর অবর্তমানে তার সব কাজ করার দায়িত্ব আমার’।যদি কেউ বাঁধা হয়ে দাঁড়াস কাপন পড়ে ফিরে যেতে হবে কথাটা মনে রাখিস।প্রায় সবাই R.K এর নাম ভুলতে বসেছে কিন্তু হঠাৎ যখন আবারো তার নাম সামনে চলে আসে তো সবার ভয় পাওয়ার কথা।
তারপর বাচ্চাদের গাড়িতে করে আবার নিয়ে আসল।দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর এই বাচ্চারা তাদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে পারল।সবার বাবা-মা বাচ্চাদের ধরে কত কান্না করতেছে। আজ কি থেকে কি হয়ে গেছিল।যদি রাশেদ না থাকতো আজ হয়তো তাদের বাচ্চা ফিরে পেতো না।সবাই রাশেদকে আগে থেকেই চেনে।সবাই ভালো বলে জানে।এর আগে দেশের জন্য রাশেদ অনেক কাজ করেছে। কিন্তু RK এর মৃত্যুতে সবাই ভেঙে পড়েছিল।তবে আজ মনে হচ্ছে RK না থাকলেও এই রাশেদ দেশকে কনট্রোল করতে পারবে।সবাই রাশেদ নামে হাত তালি দিতে লাগল।
রাশেদ কাজ শেষ করে নিজের বাসায় চলে গেল।আজ কত দিন পর আবারো গুলি হাতে নিলাম।আজ আবারো মানুষ মারলাম।ওরা কি কখনো ভালো হবে না।আর রবি বা কেন এমপিকে কিছু করতে নিষেধ করল?নাকি তার আরো বড় কোনো প্ল্যান করা আছে এমপিকে নিয়ে? রবিকে কি ফোন দিব?
এসব ভাবতে ভাবতে রাশেদ আমাকে ফোন দিল।আমি ফোন রিসিভ করতে বললাম….
মারা কত জন গেল।আর আমাদের লোকের কি অবস্থা?
রাশেদ আমার মুখে আমাদের লোকের কি অবস্থা কতাটা শুনে একটু অবাক হল।কারণ আমি এত দিন তোর লোকের বলতাম আজ হঠাৎ আমাদের লোক বলায় কেমন যেম অন্য রকম লাগলো।তাই রাশেদ আমাকে জিজ্ঞেস করলো”আমাদের লোকের”?
আমিঃহ্যাঁ আমাদের লোকের কোনো ক্ষতি হয় নি তো?
রাশেদঃতার মানে তুই আবারো ফিরবি?
আমিঃফিরতে হবে।কারণ আছে অনেক।
রাশেদঃসত্যি বলছিস?(অনেকটা খুশি হয়ে)
আমিঃহ্যা ফিরব আমি খুব তাড়াতাড়ি চিন্তা করিস না। আর নতুন কোনো ভয়ংকর মিশনের জন্য সবাইকে রেডি কর।
রাশেদঃঠিক আছে কাল থেকে সব পোলাপান রেডি করব।আর আমাদের কারো তেমন কিছু হয়নি শুধু একজনের হাতে গুলি লেগেছে।বাকিরা কারো চুলও ছিঁড়তে পারে নি।আর তাদের পাঁচ জন জায়গায় শেষ।আশা করি কম করে হলেও আরো দশ জন যাবে।
আমিঃএটাই সব সময় ভয় পাই আমি তুই যেখানে যাবি সেখানে কয়েক জন মারা যাবে।
রাশেদঃতা বল এমপিকে কেন কিছু না করতে বললি?
আমিঃকাজ আছে ওকে নিয়ে।অনেক বড় রাঘববোয়ালদের ধরতে হবে এমপিকে দিয়ে।
রাশেদঃরাঘববোয়াল মানে?
আমিঃকত গুলো নতুন মাফিয়াদের জন্ম হয়েছে।বলা যায় তারা দেশের বাইরে থেকে বাংলাদেশের উপর নজর রাখছে।আর দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করার প্ল্যান করেছে।
রাশেদঃকই এসব তো আমি শুনি নি।
আমিঃএখন শুনলি তো।তা বল এখন আমাদের পোলাপান কত জন হবে সব মিলিয়ে?
রাশেদঃআমার কাছে পাঁচশ মতো আছে মাহমুদের কাছেও চারশ মতো হবে।আর তোর তো আছে….
আমিঃঠিক আছে তোদের সবাইকে এক কর।তারপর ট্রেনিং দেয়, আরো একটা যুদ্ধ হবে দেশের জন্য। আর হ্যা কিছু নতুন গান কিন থাইল্যান্ড থেকে আমি ডিটেইলস পাঠিয়ে দিব তুই নিয়ে আসিস।
রাশেদঃওকে।পাঠিয়ে দিস।
তারপর ফোন কেটে দিয়ে কিছু সময় চিন্তা করলাম আপু কেন আমাকে তার অফিসে দিয়ে আসতে বলল?আমি কিছু বুঝতে না পেরে মাহমুদকে ফোন দিলাম একজোড়া কানের দুল আনতে বললাম।সে রাত দশটা হতেই চলে এলো।
আরো একটা কথা বলে রাখি আমার বাসায় মাহমুদ বা রাশেদ কেউ আসলে তারা ছদ্মবেশ ধরে আসে যাতে পাশের কেউ বুঝতে না পারে যে কেউ আমার বাসায় আসছে বা কোনো মাফিয়ার সাথে আমার উঠা বসা আছে।
মাহমুদ দুল নিয়ে চলে এল।আমি আপুকে ডাকলাম।রাত দশটা তাও মাহমুদ আপুর বানানো কপি খেতে চাইলো আপু কপি বনিয়ে দিল।খেয়ে মাহমুদ আপুকে দুল গুলো দিল।
মাহমুদঃআপু এগুলো তোমার জন্য।
আপুঃওয়াও নাইচ।কিন্তু কথা হচ্ছে এগুলো কেন আনতে গেলি?
মাহমুদঃনা মানে অনেক দিন তো তোমাকে কিছু দেওয়া হয় না।তাই আজ কিছু দেওয়ার বাহানায় হলেও যদি এক কাপ তোমার হাতের কপি খেতে পারি…!
আপুঃকি যে বলিস মন চাইলে চলে আসবি।
মাহমুদঃকি যে বল আপু মন চাইলে কি আর আসা যায়?অনেক কিছু চিন্তা করে আসতে হয় বুঝ না।
আপুঃঠিক আছে খেয়ে যাস।
তারপর আপু খাবার দিল।সবাই মিলে খেয়ে নিলাম।মাহমুদ চলে গেল।আমিও কিছু কাজ করে ঘুমিয়ে গেলাম।সকালে আপুকে অফিসে দিয়ে আসতে বললো তাই আমি রেডি হলাম কিন্তু আপুর তো দেরি হবেই। আপু অবশেষে আসলো কিন্তু আপুর কানে মাহমুদের দেওয়া দুল গুলো নাই।
আমিঃকি ব্যাপার কাল মাহমুদ যে দুল দিল সেগুলো কই?
আপুঃসে গুলো আরেক দিন পড়ব এখন না।
আমিঃনা ওগুলো এখন পড়ে এসো তো।
আপুঃনা না কাল পড়ব।
আমিঃতাহলে আমি তোমার সাথে যাব না।
শেষে বাধ্য হয়ে আপু দুল গুলো পড়ল।আজকে বাইক না নিয়ে আপুর গাড়িটা নিলাম।
আপু আর আমি গাড়ির পেছনে বসে আছি ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছে। আপুকে দেখে একটু অন্য রকম মনে হচ্ছে। গাড়ি চলতে লাগলো আপন গতিতে।
হঠাৎ পেছনে দেখলাম একটা গাড়ি আমাদের ফলো করছে।অনেক সময় ধরে বিষয়টা আমি লক্ষ্য করলাম….
#To_be_continue…….
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।