#The_murderous_mafia
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ১৭

রাত হতেই প্রিয় বাইক আর প্রিয় পোশাক পড়ে নিয়ে চলতে লাগলাম গন্তব্যের দিকে।আজ একজন ধর্ষক পৃথিবীর থেকে বিদায় নিবে।

অনেক দ্রুত বাইক চালিয়ে চলে গেলাম তাদের বাড়ির কাছে।ভিক্টিমের ঘরে এখনো আলো জ্বলছে তার মানে হয়তো এখনো জেগে আছে। আমি আস্তে আস্তে তাঁদের বাড়ির দরজা বরাবর গেলাম। দরজা ভেতর থেকে লক করা।কিন্তু দরজায় কাঁচ লাগানো।ভেতরে কি হচ্ছে তা দরজার কাঁচ দিয়ে দেখা যায়। ভেতরে কেউ নেই দরজা খুলতে হলে আলাদা করে একটা চাবি লাগবে।আমার কাছে চাবি আগে থেকে ছিল।এই চাবি দিয়ে দু’শর ও বেশি তালা খুলা যায়।প্রপোজ অনুসারে এই চাবি বড় ছোট করা যায়।

চাবি দিয়ে দরজার লক খুললাম।একটা ছোট্ট শব্দ হল।আমি দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলাম।আস্তেধীরে দু’তলায় ওঠলাম।অপরাধীর রুমের কাছে যেতে দেখলাম বেচারা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। আস্তে করে মুখে রুমাল বসিয়ে দিলাম।মেডিসিন মেশানো ছিল তাই অজ্ঞান হয়ে গেল। আমি আস্তে করে তাঁকে পাশে থাকা চেয়ারে বসিয়ে হাত বেঁধে নিলাম।আর মুখেও কাপড় দিয়ে বেঁধে নিলাম।তারপর পাশে থাকা পানি মুখে ছিটিয়ে দিতে চোখ খুলল।আমাকে দেখেই বুঝে গেছে আমি কে!

অপরাধীকে তত বেশি সময় দেওয়া ঠিক নয়।তাই শুধু বললাম”তাসিয়া ধর্ষণের বিচার করলাম,আজ তুই ওপারে চলে যাবি আর কাল ব্রেকিং নিউজ হবে RK is back ”

আর কিছু সময় না দিয়ে গলায় ইনজেকশন পুশ করে দিলাম।সাথে সাথে তার গলার রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে গেল।আস্তে করে চোখ বন্ধ করে ফেলল।এলার্জি থাকার কারণে খুব তাড়াতাড়ি বেটা ওপরে চলে গেল।

বুকে চুরি দিয়ে লিখে দিলাম RK। তারপর একটা চিরকুট রেখে দিয়ে পাশে চলে আসতে যাব তখনই কারো উপস্থিত বুঝতে পারলাম।গুলি দুইটস সাইলেন্স ছিল।একটা বের করে সামনে ধরতেই দেখি একটা মেয়ে।দেখলাম মেয়েটা ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাকে আর শুট করতেও হয় নি।মেয়েটাকে আস্তে করে ধরে বিছানায় রেখে আমি আগের মতো দরজা দিয়ে বের হয়ে যেতেই রাস্তায় পুলিশ দেখে একটু অবাক হয়।অসময়ে পুলিশ কেন।তাও রাত তিনটা বাজতে চলল।আমি উল্টো পথে গিয়ে ঘুরে বাইকের কাছে গেলাম।বাইক স্টার্ট করতে পুলিশ আমার দিকে তাকাল কিন্তু সাথে সাথে আমি অদৃশ্য হয়ে গেলাম।

আগেই বলেছিলাম এটা কোনো সাধারণ বাইক নয়।প্রয়োজনে অদৃশ্য হওয়া যে কোনো দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে এই বাইক অসাধারণ কাজ করে।বলা যায় রোবটের মত কাজ করে।

আমি অদৃশ্য হতে পুলিশ গুলো চোখে হাত দিয়ে আবার আমার দিকে তাকায় কিন্তু আর তো আমায় দেখতে পাই নি।একটানে বাইক নিয়ে চলে এলাম বাসায়।আমি বাসায় ঢুকতে আপুকে সামনে পেলাম।আমি অবাক হলাম কারণ আমি তো আপুকে ঘুমে দেখে গেলাম আমার কাজ হতে সর্বোচ্চ বিশ মিনিট সময় লেগেছে তাতেই আপু বুঝতে পেরেছে আমার বের হওয়া।

আপুর সামনে পড়তেই আপু প্রশ্ন করা শুরু করে দিল….

আপুঃকোথায় গেছিলি আর এই ড্রেস কেন?
আমিঃএকজনের জীবন শেষ করে দিয়ে আসলাম।
আপুঃকার জীবন আর কি অপরাধ?
আমিঃসকালে বলব এখন ঘুমাও যাও।
আপুঃএখন বল ব্রেকিং নিউজ করব।
আমিঃতাসিয়ার কথা মনে আছে?যাকে এমপির ছেলে সাকিব আর তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করেছে?ওই বন্ধুের থেকে এক জনকে শেষ করে দিয়ে আসলাম।

আপুঃওকে যা তুই ঘুমা আমি ভোরে ওঠে ওখানে চলে যাব টিম নিয়ে।আর ঠিকানাটা বল।

আমি আপুকে ঠিকানা দিয়ে ঘুমাতে গেলাম।ঘুম ভাঙলো দশটা বাজে তাও টিভির খবর শুনে…..

ব্রেকিং নিউজ……………
সবার ধারণা পাল্টে দিয়ে ফিরে আসল RK।সবাই মনে করছিল RK মারা গেছে। কিন্তু RK আবারো ফিরে আসছে।তার স্বীকার হলো আরো এক ধর্ষক। এবার আর ধর্ষণ হবে না বলে ধারণা আমাদের।ধর্ষকের গায়ে চুরি দিয়ে কেটে লেখা হল RK.পাশে ছিল এক চিরকুট। তার মধ্যে লেখা ছিল….”কেউ ধর্ষন করছে শুনলে তার মৃত্যু অনিবার্য, হয়তো আমার হাতে নয়তো অন্য কারো হাতে।আমি ফিরতে চাই নি তোমাদের ধর্ষকের সমাজ আমাকে ফিরতে বাধ্য করেছে।আজ থেকে কোনো ধর্ষক আমার সামনে পড়লে তার মৃত্যু অনিবার্য। তাসিয়া ধর্ষণের সাথে যারা জড়িত তাদের সবার মৃত্যু এক এক ভয়ানক ভাবে হবে।আমি ধর্ষণ মুক্ত দেশ চাই।যদি কেউ আমার পথে বাঁধা হয়ে আসার চেষ্টা করে তাহলে তার মৃত্যু অনিবার্য।

আমার কানে বাজছে তাসিয়ার আত্ম চিৎকার। আজ থেকে সব ধর্ষকের ঘুম হারাম করে দিলাম।খুব তাড়াতাড়ি বিচার হবে তাসিয়া ধর্ষণের। কেউ আর ধর্ষণ করে বাঁচতে পারবে না।RK is back. “এই ছিল চিরকুটে লেখা।

কে এই RK জানতে চাই আমরা। নিশ্চয় খুব বড় মানের কেউ হবে।যার কাছে অনেক ক্ষমতা রয়েছে।খুব তাড়াতাড়ি সবার সামনে আসতে চলেছে RK।চোখ রাখুন আমাদের পর্দায়।আপনাদের সাথে ছিলাম আমি নাসরিন সোলতানা প্রিয়া।

খবর টা শুনে আমার হালকা ঘুম ভাঙলেও নিশ্চিন্তে শুয়ে আছি আমি।এই দিকে খবর দেখে আমাদের বাড়ির কাজের মেয়ে নিশাত ভয় পেয়ে গেল আবার আনন্দও পেল।মনে মনে দোয়া করল পৃথিবী থেকে যেন ধর্ষণ শব্দ টা মুছে যায়। হয়তো সেটা এই RK ই পারবে।

নিশাত RK এর জন্য দোয়া করল।আর অপর দিকে এই খবর দেখে পুরো দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সব থেকে বেশি আনন্দিত তাসিয়ার ভাই আসিফ আর তার পরিবার। আজ তার বোনের এক ধর্ষণকারী শাস্তি পেয়েছে আশা করছে বাকিরাও খুব তাড়াতাড়ি শাস্তি পাবে।কিন্তু ধর্ষনকারীরা ভয়ে কাঁপতে শুরু করল। সাময়িক কিছু শান্তির জন্য হয়তো প্রাণ টাই দিতে হবে।

সব থেকে বেশি ভয় পেল এমপির ছেলে আর তার বন্ধু। কারণ RK এর ফিরে আসাতে সবচেয়ে বেশি দায়ী তাসিয়ার ধর্ষণ কান্ড।সাকিব তো দেশ ছাড়তে রেডি হয়ে গেল।কিন্তু এসব যে সে কখনো করতে পারবে না।কারণ সে এই দেশ থেকে বের হতে কখনো পারবে না।তার পেছনে এমনিতেই পাঁচ জন পোলাপান আছে।যারা তার গতিবিধি অনুসরণ করছে। কোথায় যাচ্ছে কি করছে সব।যার প্রতি সেকেন্ডের খবর রাশেদের কানে আসছে।তাছাড়া মাহমুদ তো তার লোকেশন চেক করেই যাচ্ছে সারাক্ষণ।

আমি ঘুমাতে চাইলে আবারো নিশাত দরজায় দাড়িয়ে ডাকা শুরু করে।
—ভাইয়া, ভাইয়া ওঠেন না একটা খবর শুনেন। তাজা খবর।
আমিঃতুই তো শুনলি তাতেই হবে।আমি শুনে এসব কি করব?
—আরে ভাইয়া ওঠেন না আগে খবরটা শুনেন।
আমিঃআরে বইন শুনলাম তো,যা এখন ঘুমাতে দেয়।
—ভাইয়া…(ডাক দিয়ে যাচ্ছে)
আমিঃআরে উঠতেছি চিল্লানি বন্ধ কর।

আমার রুমে ঢুকতে পারে না বলেই প্রতিদিন দরজায় দাঁড়িয়ে চেল্লানো ওর কাজ।

মা মারা যাওয়ার পর থেকে নিশাত আমাদের সাথে থাকে।কাজের পাশাপাশি পড়াশোনাও করে।আপু ফ্রী থাকলে নিশাতকে আপু পড়ায়।আর কাজের সময়ও নিশাতের সাথে আপুও কাজ করে।নিশাত আমাদের পরিবারের একজন বলা যায়।

নিশাতের ডাকাডাকিতে না ওঠে পারলাম না।আমি ওঠেই দিয়ে দিলাম এক ধমক।
আমিঃতোর সকাল সকাল চেঁচাতে এত ভালো লাগে কেন রে?
—আমি চেঁচায় নাকি?
আমিঃকি করছিলি এতক্ষণ না চেচিয়ে?
—দূর ভাল্লাগে না তোমাকে ডাকতে আর।
আমিঃবইন তোর যখন ভালো লাগে না আমাকে ডাকতে তাহলে আর ডাকিস না।অন্তত ভালো করে ঘুমটা যেতে পারব।
—ঠিক আছে কাল থেকে ঘুমের বারোটা বাজাবো তখন বুঝবেন।
আমিঃকিহ তুই আমার ঘুমের বারোটা বাজাবি?এক চড় খেলে ঠিক হয়ে যাবি।
—হুহ আইছে আমারে চড় মারতে।আপুকে সব বলে দিব আজ।
আমিঃআরে এখানে আপুকে কেন আবার?
—আপনি আমাকে বকবেন আর আমি বসে বসে বকা খাব?আপনি খাবেন না?
আমিঃহয়ছে আর বকব না।তাও বলিস না।
—সত্যি তো?
আমিঃহ্যাঁ সত্যি আর কখনো বকব না।আপুকে বলিস না।

—ঠিক আছে বলব না।এখন নাস্তা করে নেন।আর আপুর অফিসে যান।আপু বলল যাওয়ার সময় আপনাকে নয় টা ত্রিশ হলে ওঠিয়ে দিয়ে অফিসে পাঠাতে।
আমিঃকিহ তুই এই কথা আগে বলিস নি কেন?
—ঐ যে রাগ করেন তাই।
আমিঃএখন রাগ আরো বেশি হচ্ছে। তুই নাস্তা কর,আমি গেলাম।

এই বলে নিজের রুমে চলে এলাম।আপু যেতে যখন বলেছে তখন হয়তো আপু ভয় পাচ্ছে কোনো বিষয় নিয়ে।আমি তাড়াতাড়ি বাইক নিয়ে চলে গেলাম।আপুর অফিসে ঢুকতে আপুকে দেখতে পেলাম না।আপুর একটা কলিগ থেকে জিজ্ঞেস করলে আপু কোথায় তখন সে জানায় বসের রুমে গেল মাত্র। আমিও দেরি না করে বসের রুমে গেলাম।আমি রুমে যাওয়ার সাথে সাথে বস এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। কারণ বসটা আমার খুব পরিচিত। চা দিতে বলল কিন্তু আমি নিষেধ করে দিলাম।আপুকে বললাম কাজ আছে নাকি বাসায় যাবে,আপু বলল একটু কাজ আছে তারপর বাসায় যাবে।আমি আপুর পাশের চেয়ারে বসে পড়লাম।বস আপুকে কাজ বুঝিয়ে দিচ্ছে। আপু আমাকে বাইরে যেতে বললেও বস ইশারায় আমাকে থাকতে বলল তাই বসে আছি।একটু পর আপুকে একটা ফাইল দিল আর কিছু ছবি।

আপুকে খুলে দেখতে বলল আপু না চাইলেও খুলতে হল।সবার উপরে লিখা সাকিবের নাম।আমি একটু অবাক হলাম এসব কিসের লিস্ট! হঠাৎ বস বলা শুরু করল….

বসঃআমিও চাই এই দেশ থেকে ধর্ষণ শব্দ টা মুছে দিতে। আর তাই এই ফাইলটা আমি নিজের হাতে বানিয়েছি।এখানে প্রতিটি ধর্ষকের নাম,ফোন নাম্বার, আর এড্রেস আছে।
আপুঃএসব দিয়ে কি করব আমরা?
বসঃএই ফাইলে যাদের নাম আছে তাদের নাম গুলো আপনি খবরের মাধ্যমে বলে দিবেন।আপনার একসাথ অনেক কাজ জানি, রিপোর্টার-সাংবাদিক তাও তোমায় বলছি কারণ তুমি ছাড়া এই নাম গুলো কেউ বলতে পারবে না।সবাই ভয়ে কাঁপা শুরু করবে নাম গুলো পড়লে।
আপুঃতো এসব বলে লাভ কি হবে?
বসঃএটা আমার থেকে তুমি বেশি জান।কারণ RK ফিরে আসছে এটা সবার আগে তুমি বলেছ।আর আমি জানি তুমি এই খবরটা বললে সব ধর্ষক RK এর চোখে পড়ে যাবে।আর তাদের এই দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিবে।আমিও চাই ধর্ষক মুক্ত সমাজ।

আর আমি জানি RK কোনো সাধারণ লোক নয়।তোমার গতিবিধি সে খুব ভালো করে জানে।কারণ তুমি সবার আগে বলেছ মানে তুমিও তাঁর চোখে পড়ে গেছ।এখন খবরটা তুমি দিলে সেটা RK এর কাছে তাড়াতাড়ি পৌছাবে বলে মনে হয়।
আপুঃঠিক আছে।আমি ফাইলটা সোজা RK কে দিব।কিন্তু খবরে বলা যাবে না তাতে সব ধর্ষক সচেতন হয়ে যাবে।

বসঃকিহহহহ তুমি RK কে দিবে?পাগল হয়ছ নাকি তাকে কয় পাবে তুমি?ওর কাছে যেতে চাইলেও তোমার মৃত্যু হতে পারে?বুঝতে পারছ আমার কথা?
আপুঃRK বিনাদোষে কাউকে মারে না।আর তার কাছে যেতে কি করতে হবে তা আমি খুব ভালো করে জানি বস।
বসঃওকে সাবধানে যাবে।প্রয়োজন হলে গার্ড নিয়ে যেও নিজের সিকিউরিটি আগে ঠিক কর।

আপুঃওসব নিয়ে আপনি চিন্তা করবেব না।আমি RK এর কাছে পৌছে গেছি মনে করেন।
বসঃওকে সাবধানে যাবে।

আপু আর কিছু না বলে অফিস থেকে বাইরে চলে এলো।তারপর গিয়ে গাড়িতে ওঠল আমাকে বলল আপুর পেছনে থাকতে।আমি বুঝতে পারছি না আপু কেন ভয় পাচ্ছে এত।আমি বাইক নিয়ে আপুর পেছনে চললাম। আপু নিজের গাড়িতে।

হঠাৎ সামনের রাস্তায় কিছু লোক মারামারি করতেছে। আপু ইশারা করল সামনের টা হয়তো চক্রান্ত। ড্রাইভার বিপরীত রাস্তা বেছে নিল।কিন্তু সেদিকেও আরেকটা ঝামেলা। আমার বুঝতে বাকি রইল না কেন আপু ভয় পাচ্ছিল এত।

আমি আপুর গাড়ি একটু দূরে দাঁড় করিয়ে লোক গুলোর কাছে গেলাম।

আমিঃকি ভাই রাস্তায় কেন ঝামেলা করছে গাড়ি যেতে পারছে না তো।
–কে রে তুই যে আমাদের দিকে চোখ তুলে কথা বলিস?

আমিঃআরে ভাই পথটা ছাড়েন গাড়ি যাবে পেছনে সাংবাদিক।
–ঐ সাংবাদিককে মারার জন্য তো এত ঝামেলা।নিজের জীবন বাঁচাতে চাইলে যা এখান থেকে।

#To_be_continue…….
#RK9023DXWC
#অনুমতি_ছাড়া_কপি_করা_নিষেধ।
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here