#The_murderous_mafia
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ০৯

মাহমুদঃহুম এই কথাটা ঠিক।কিন্তু রিস্কও আছে যদি ওরা যেনে যায় যে আমরা তাদের মিশনের ব্যাপারে জেনে গেছি তাহলে তারা আরো বড় কিছু প্ল্যান করতে পারে।

আমিঃএত কিছুর দরকার হবে না। আমিও দেখব ওরা কেমন মাফিয়া আর আমার দেশের কি করতে পারবে।

মাহমুদঃতাহলে আজ এই টুকু।রাশেদের কাজ হল পুরো টিমকে লড়াইয়ে জন্য রেডি করা এবং এমপিকে তুলে নিয়ে আসা।আর আমি পিকাসোর দিকে নজর রাখব আর এমপির সাথে এই কাজে কে কে জড়িয়ে আছে তাদের ডিটেইলস বের করব।

আমিঃওকে। সবাই খুব সাবধানে কাজ করবি।মনে রাখবি একটা ভুল হলে তোর জীবন যাবে তার থেকে বড় দেশের ক্ষতি হবে।

সবাইকে সতর্ক করে সবাই চলে গেল।আসার সময় যেভাবে আসছে ঠিক সেভাবেই যেতে হবে।দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কোডিং অপশন লক খোলে তারপর বের হতে হবে।তারপর সবাই বাসায় চলে গেলাম।একটু রাত হতেই রাশেদ ছদ্মবেশ ধরে এমপির বাসায় চলে গেল।বুলেট প্রুফ জ্যাকেট আর গুলি তো সাথেই থাকে।এমপির বাসায় গিয়ে গার্ড দেখতে পেলো।ভেতরে গেলেই ওরা দেখবে।তাই রাশেদ পেছন দিকে গিয়ে ছাঁদে চলে গেল।ছাদের দরজা খুলে আস্তে আস্তে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামলো।এমপির পাশের রুমে সাকিব শুয়ে আছে সাথে আরো একটা মেয়ে কিন্তু সাকিব তো বিয়ে করে নি।আর না আছে তার কোনো বোন।তাহলে মেয়েটা নিশ্চয় অন্য কেউ আর তাও না হলে পতিতা হবে।আবার এমনও হতে পারে জোর করে তুলে এনেছে ভোগ করতে।

রাশেদ ওই দিকে চোখ না দিয়ে নিজের কাজে গেল।এমপির রুমের সামনে যেতে দেখল এমপি শুয়ে আছে।আর তার পাশে স্ত্রী। রাশেদ কোনো শব্দ ছাড়াই আস্তে করে দরজা খুলল।দরজা খুলতেই এমপি নড়ে ওঠল। রাশেদ রুমের ভেতরে পর্দার আড়লে লুকিয়ে গেল।এমপি কিছু সময় পর আবারো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। নাক ডাকা শুরু করল।রাশেদ এক পা দু-পা করে আস্তেধীরে এমপির কাছে গেল।সাথে সাথে হাতে থাকা স্প্রে তাদের মুখের সামবে ছেড়ে দিল।রাশেদ মাস্ক পড়া ছিল তাই তার কোনো সমস্যা হয় নি।এমপি আর তার স্ত্রী ঘুমের মধ্যে অজ্ঞান হয়ে গেল। রাশেদ এমপিকে নিয়ে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে দেওয়ালের কাছে গেল।দেওয়ালের ওপাশে রাশেদের লোক আছে তাই এমপিকে বের করতে আর কোনো সমস্যা হয় নি।এমপিকে নিয়ে চলে এলো রাশেদ নিজের গোপন ঘরে।যেখনে রাশেদ ছাড়া কেউ না আসতে পারে না যেতে পারে।তাকে ওখানেই রেখে দেওয়া হল।রাশেদ ইমেইল করে জানিয়ে দিল মাহমুদ কে এমপিকে তুলে নিয়ে আসা হয়ছে।তারপর রাশেদ ঘুমিয়ে গেল।

এইদিকে এমপির বউ ঘুম থেকে ওঠে এমপিকে না দেখে খানিকটা অবাক হল।কারণ প্রতিদিন আগে এমপির বউ ওঠে তারপর এমপিকে ডেকে তুলে।কিন্তু আজ আগেই এমপি ওঠে গেল।হয়তো ওয়াশ রুমে গেছে এই ভেবে এমপির স্ত্রী শুয়ে রইল।প্রায় দশ মিনিট পরও এমপি বের না হলে তার স্ত্রী গিয়ে দেখে দরজা খোলা।কিন্তু ভেতরে গিয়ে দেখে এমপি নেই।তাহলে গেল কই?
কই গেছে জানতে ফোন দিতে যাবে তখন দেখে পর্দার আডালে কারো পায়ের ছাপ।কিন্তু এত বড় পায়ের ছাপ কেন এখানে থাকা কারো পায়ের ছাপ তো এত বড় নয়।তাহলে এটা কার পায়ের ছাপ?
আগে এমপি কোথায় তা দেখতে পুরো বাসা ঘুরে কিন্তু এমপিকে কোথাও পাইনা।সাকিবও তার সাথে থাকা মেয়েটা ওঠে গেছে এমপির বউয়ের চিৎকার শুনে। সবাই চারপাশে খুজেও এমপিকে পায় নি।পরে বাধ্য হয়ে ফোন দিল এমপিকে।রিং হচ্ছে কিন্তু কেউ ফোন ওঠাচ্ছে না।

এমপিকে তুলে আনার সময় তার ফোনটাও নিয়ে আসছিল।কারণ এমপির সাথে কেউ যোগাযোগ করা মানে কিছু তথ্য হাতে পাওয়া।আর তার থেকে অনেক কিছু খুঁজে বের করতে হবে।এমপিকে ফোন দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু পাশে রাশেদ পড়ে থেকে ঘুমাচ্ছে। ফোনটা রাশেদের সাথে নিয়ে এলো। যাতে এমপি জ্ঞান ফিরে তার লোকেশন কাউকে জানাতে না পারে।
ফোনের আওয়াজে রাশেদের ঘুম ভেঙে গেল।এই দিকে এমপি ঘুমিয়েছিল নিজের বাসায় বেড় রুমে কিন্তু এখন নিজেকে আবিষ্কার করলো অন্য রকম একটা ঘরে যেখানে সে ছাড় অন্য কোনো মানুষ কিংবা পশু পাখিও নাই।ভয়ে এমপির গলা শুকিয়ে গেল।কে তুলে আনলো কোথায় আনলো তাও সে জানে না।এখন তাহলে কি হবে?

ঐ দিকে এমপির বউ ফোন দিয়েও না পেয়ে ভয় পেয়ে গেল।সারা বাড়িতে তুলপাট শুরু হয়ে গেল।আবার এও ভয় পাচ্ছে যদি মানুষ জেনে যায় এমপি নিখোঁজ তাহলে সবাই হাসাহাসি তো করবেই পার্টির লোকেরাও ঝামেলা করতে চাইবে।

সবাই চুপ করে বসে আছে।কাউকে কিছু না জানানোর জন্য তারা সিন্ধান্ত নিল। জানলে তাদেরই বিপদ।সবাই চুপিচুপি এমপিকে খোঁজার সিদ্ধান্ত নিল। আর সাকিবের সাথে থাকা মেয়েটাকে বেঁধে রাখল সন্দেহ করে।তার উপর দুইদিকে সন্দেহ করছে প্রথমত এমপিকে উধাও করার ক্ষেত্রে মেয়েটার হাত আছে নাকি।আবার এমপি নিখোঁজ এই ব্যাপারটা বাইরে জানাজানি হয়ে যাবে।

সবাই এমপির জন্য চিন্তা করতে লাগল।কোথায় যেতে পারে সব জায়গায় খোঁজ নেবে তারা।এইদিকে এমপি পাগলের মত করছে অপরিচিত কোনো জায়গায় এভাবে হঠাৎ চলে আসা।তাও আবার ঘুমের মধ্যে।

এই দিকে ফোনের ছাপে ঘুমে থাকতে না পেরে রাশেদ ঘুম থেকে ওঠে গেল।ফোন হাতে নিয়ে দেখে এমপির বউয়ের নাম্বার থেকে তিনটা কল আর ছেলের নাম্বার থেকে চারটা কল।রাশেদ ওঠে নাস্তা করে নিও।আর ফোন দিল মাহমুদ কে।রাশেদ আর মাহমুদ গিয়ে দেখল এমপি পাগলের মতো করতেছে সব দিকে প্রায় জিনিস ফেলে দিয়েছে।কিন্তু এমন কোনো জিনিস নেই যেটা দিয়ে এমপি চাইলেও আত্মহত্যা করতে পারে।

রাশেদ আর মাহমুদ কে চেনে না এমন লোক নাই বললে চলে বাংলাদেশে।তবে তারা বেশিরভাগ সময় ছদ্মবেশ ধরে চলে।এমপিকে যেখানে রাখা হয়েছে মাহমুদ আর রাশেদ সেখনে গেল।ওদের দুই মাফিয়াকে একসাথে দেখে এমপির অবস্থা খারাপ হয়ে গেল।প্যান্ট ভেজানোর মতো অবস্থা। যদি ওরা মেরে ফেলে তাহলে……..

রাশেদঃকিরে কেমন হল ঘুম?
এমপিঃভাই আপনারা আমাকে তুলে আনলেন কেন?
মাহমুদঃশুনলাম আজকাল দিনে এক কাজ আর রাতে এক কাজ করিস?
এমপিঃকি করছি ভাই?

মাহমুদ আর রাশেদ এমপির কথা শুনে হাসতে লাগল।কি বাচ্চাদের মতো কথা।অবশ্য ভালো অভিনয় জানে।
রাশেদঃআমরা জানতাম তুই দিনে এমপি রাতে মাফিয়া।

মাহমুদঃআর এখন দেখছি সাথে অভিনেতাও।
এই বলে দু-জন হাসতে লাগল।এমপি ভয় পেয়ে গেল।কারণ এরা এমনি হেসে সময় নষ্ট করে না।রাশেদ কাছে গেল।আর এমপিকে বলল”আমি মানুষ টা একটু ভিন্ন সবাইকে একটা সুযোগ দিয় যদি তুই সোজা আমার কথার উত্তর দিস তাহলে তুই শান্তিতে এখানে থাকতে পারবি।আর যদি এদিক সেদিক করিস তাহলে খুব কষ্ট পাবি।তাই আমি আশা করি তোকে কষ্ট দিতে হবে না”

মাহমুদঃকাদের জন্য তুই কাজ করিস?
এমপিঃভাই আপনারা কি বলছেন আমি কিছু বুঝতেছি না।

রাশেদঃওকে আরো একবার ক্লিয়ার করে বলছি। তুই কোন দেশের মাফিয়াদের হয়ে কাজ করিস?
এমপিঃআমি কোনো মাফিয়াদের চিনি শুধু তিন জনকে চিনি।
রাশেদঃকারা সে মাফিয়া নাম বল?
এমপিঃআপনারা দুই জন আর RK। রাশেদ এবার রেগে গেল।এমপিকে ধমক দিয়ে বলল”তোকে এখানে তেল মারতে আনি নি।কার হয়ে কাজ করিস তা বল নয়তো আঙুল বাঁকা করতে হবে”

এমপিঃভাই আমি কোনো মাফিয়াদের হয়ে কাজ করি না।আর না আমি আপনাদের ছাড়া অন্য মাফিয়াদের চিনি।
মাহমুদঃওকে যে যেমন আমরাও তার সাথে তেমন খেলতে লাইক করি।শুন তোকে চাইলে জন সম্মুখে তুলে নিয়ে আসতে পারতাম।কিন্তু কেন এমনটা করি নি জানিস?যাতে কেউ না জানে তুই কিডন্যাপ হয়েছিস আর তুই যদের হয়ে কাজ করিস তারা যেন তোর সাথে কথা বললে তা আমরা জনতে পারি।ভোর থেকে তোর বউ আর ছেলে অনেক ফোন দিছে এখন তুই ফোন করে তাদের বলবি তুই পার্সোনাল কাজে গেছিস।আসতে সময় হবে।
এমপি এমনটা না বলতে চাইলে রাশেদ নিজের কোমর থেকে গুলি বের করে এমপির মাথায় ধরে।এমপি এবার আরো বেশি ভয় পেয়ে যায় আর রাশেদের কথা মতো বলতে বাধ্য হয়ে তার বউকে ফোন দেয় আর নিজের কাজে আসছে বলে জানায়।কিন্তু কাউকে না বলে আসায় তার বউ রাগ করল।সাথে ওর ছেলেও।

ওদের সাথে কথা বলা শেষ হতে ফোন কেটে দেয়।আর এমপির মুখ বেধে অন্য জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে রাশেদের পোলাপান আছে আর এমপির মুখ থেকে কথা বের করতে পারবে।
পোলাপান অনেক চেষ্টা করে এমপির মুখ খুলতে পারে নি।পরে রাশেদ গিয়ে আবার সামনে দাড়ায়।কিন্তু অনেক মারার পরও কোনো কাজ হয় না।পরে আমাকে জানালে আমি যায়। সেখান থেকে সব পোলাপান চলে আসে।কারণ আমি যে এখনো বেঁচে আছি তা কাউকে জানাতে চাই না।আমি গিয়ে এমপির সামনে বসলাম।

আমিঃকি ব্যাপার এমপি সাহেব শুনলাম আপনি মুখ খুলছেন না?

এমপি আমাকে দেখে অবাক হল।কারণ এমন সাদাসিধে ছেলেও মাফিয়ার হয়ে কাজ করে?কিন্তু সে তো জানে না।আমি নিজেই মাফিয়া আর ওরা সবাই আমার হয়ে কাজ করে।
এমপিঃতুমি? তুমি তো খুব সাদাসিধে ছেলে তুমি এসবে কিভাবে জড়ালে?
আমি এমপির কথা শুনে হাতে লাগলাম। কি বলে এসব?
আমিঃসেসব পরে বলব আগে বলেন আপনি কাদের হয়ে কাজ করেন আর দেশে যে হামলা হবে তা কারা করবে আর কোথায় করবে?
এমপিঃওওও তাহলে জেনে গেলে দেশে কি হতে চলছে?
আমিঃএখানে তোর ন্যাকামি দেখতে আসি নাই যা প্রশ্ন করছি তাই বল।(রেগে গিয়ে)
রাশেদঃভাই ও এভাবে শুনবে না।

রাশেদের কাছে ভাই ডাক শুনে এমপি বুঝে গেল তার সামনে যে বসে আছে সে অনেক বড় মাফিয়া। এমপির এবার ভয়ে চোখ লাল হয়ে গেল আর শীত কালেও ঘাম বের হতে লাগল।
আমিঃআমি জানি কিভাবে বোবাকে কথা বলাতে হয়। তুই গিয়ে মরিচের গুঁড়ো নিয়ে আয় দশ মিনিটের মধ্যে বুলি ফুটাচ্ছি।

রাশেদ এসে আমাকে প্লাস আর মরিচের গুঁড়ো দিল।এমপির হাত বেঁধে নিলাম চেয়ারের সাথে।
আমি এমপিকে আবারো বললাম যাতে সময় থাকতে বলে দেয় কিন্তু সে উন্নত মানের ঘাড়ত্যাড়া বলে না।শেষে বাধ্য হয়ে তার হাতের নক একটা তুলে নিলাম।কিন্তু তাও সে মুখ খুলছে না।বুঝলাম মালটা ভালোই ট্রেনিং প্রাপ্ত।দুই হাতের দুই আঙ্গুলের নক তুলে নিলাম ষাঁড়ের মতো চিৎকার করছে কিন্তু কিন্তু বলছে না এবার মনে হয় না আর না বলে থাকতে পারবে মরিচের গুঁড়ো গুলে তার নক উঠানো আঙ্গুলে লাগিয়ে দিলাম।চিৎকারের শব্দ আরো বেড়ে গেল।কিন্তু বলতেই চাচ্ছে না কার হয়ে কাজ করে আর কারা কোন সময় এদেশের উপর হামলা করবে।তাও না বলায় বাধ্য করল আরো কঠোর হতে কারেন্টের শক দিলাম এবার মনে হয় মুখ খুলবে।পানি খুজতেছে কিন্তু আগে কথা বের না হলে পানি দেওয়া যাবে না।আগে মুখ থেকে কথা বের করতে হবে তাই পানি না দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম কার জন্য কাজ করে আর হামলা কোথায় কখন হবে?

এমপিঃআমি তা সিওর জানি না ওরা বললো রাতের দিকে হামলা করবে।
আমিঃতাহলে বল কাদের হয়ে কাজ করিস?
এমপিঃওদের কাছে তোমরা কেউ যেতেও পারবে না।অনেক বড় মাফিয়া ওরা।তোমরা তো দেশ চালাও আর ওরা পুরো আন্ডার ওয়ার্ল্ড চালায়।
রাশেদঃসে না হয় পরে দেখা যাবে আগে বল কাদের হয়ে কাজ করিস?
এমপিঃওরা সবাই ভারতীয়। আর তাদের মিশন হল দেশের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করবে আর সবাইকে সে দিকে ব্যস্থ করে রাখবে আর অস্ত্র দেশে পূর্ণ করে রাখবে।বলা যায় তারা এক সময় এই দেশকে তাদের অঙ্গরাজ্য করার পরিকল্পনা করছে।

আমি এমপির কথা শুনে হাসতে লাগলাম।আমার দেশকে অঙ্গরাজ্য করতে চাই তাও ভারতীয়রা? একটু সাহসটা বেশি করে ফোললো। আমি আবার এমপিকে বললাম কোথায় এই হামলা হবে তা বল?
এমপিঃআমি জানি না কোথায় হামলা হবে।তবে ওরা বলেছে বিকালে আমাকে জানাবে।
আমিঃঠিক আছে বিকালে ফোন দিয়ে জেনে নিবি কোথায় হামলা করতে পারে।আর তুই কেমন মানুষ রে দেশের সাথে বেইমানী করিস?
এই বলে আরো একটা চড় মারলাম।আর পানি দিতে বলে চলে এলাম।
রাশেদ আর মাহমুদও আমার পেছন পেছন আসল।আমি ওদের বললাম এমপির উপর নজর রাখতে আর কে বা কারা ফোন দেয় সে ব্যাপারে খবর নিতে। আমি বাসায় চলে এলাম।খেলা এবার শুরু হবে আসল খেলা….

#To_be_continue……
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here