#The_murderous_mafia
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ০৬

হঠাৎ পেছনে দেখলাম একটা গাড়ি আমাদের ফলো করছে।অনেক সময় ধরে বিষয়টা আমি লক্ষ্য করলাম।
আপুকে অস্থির অস্থির লাগছে…
আমিঃআপু তুমি ঠিক আছ তো কি হয়ছে এমন করছ কেন?
আপুঃনা আমি.. আমি ঠিক আছি।কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো।
আমিঃওকে। পেছনের গাড়িটা কার আমাদের ফলো করছে মনে হয়।
আপুঃনা, আমার মনে হচ্ছে না।মনে হয় ওরা ওদের কাজে যাচ্ছে।
আমিঃওকে তাহলে দেখি ওরা কোন দিকে কোন কাজে যাচ্ছে।

আমি ড্রাইভারকে গতি বাড়িয়ে দিতে বললাম।এক টানে আপুর অফিসের সামনে চলে গেলাম।আপুকে নামিয়ে দিয়ে আমি রিকশা নিয়ে চলে গেলাম ভার্সিটিতে। আমি জানি আপু কোনো বিপদে পড়তে পারে।তাও আমি নিশ্চিন্তে চলে গেলাম।ক্লাস করতেছি তিনটা করে বের হলাম।অনেক দিন ভার্সিটিতে যাওয়া হয় নি।তেমন কাউকে আমি চিনিও না আবার আমাকেও তেমন কেউ চিনে না বললেই চলে।আমি বের হয়ে আসতে যাব তখনই কিছু মেয়ে ডাক দিল।আমি দেখেই বুঝলাম এরা মাফিয়ার লোক,নতুন কোন কোন মাফিয়া নাকি জন্ম হয়েছে তাদের লোক।
আমি ওদের সামনে গেলাম।দেখলাম মেয়ে গুলো আসলেই খারাপ কি রকম কাপড় পড়ছে বলার বাইরে।সব গুলো ছেলেদের পোশাক।
আমি ওদের সামনে দাড়াতে একজন বলল…
-কিরে নতুন মাল নাকি আগে তো দেখি নি?
আমিঃনতুন মাল মানে আমি আন্তর্জাতিক মানের পুরোনো মাল।
আমার এমন ঘাড়ত্যাড়া কথা শুনে ওরা একটু অবাক হল।তাদের মধ্যে একজন বাইকে লম্বা করে শুয়ে আছে।এমন ভাবে শুয়ে আছে মুখটা দেখা যাচ্ছে না।
-কিরে জানিস আমরা কারা?
আমিঃদেখে মনে হচ্ছে না কোনো ভদ্র পরিবারের মেয়ে।
এবার আমার কথা শুনে শুয়ে থাকা মেয়েটি ওঠে ঠাস করে একটা বসিয়ে দিল…..
আমি জানতাম না এমন করে একটা খেতে হবে।আমি ডান হাতটা মুটো করলাম কিন্তু খুললাম না।হাতের মুঠো খুললে সবার লাশ পড়ে যাবে।হাতটা নিয়ে মুখে দিলাম।বলা যায় মেয়েটার হাতে জোর আছে।
আমি আর কিছু না বলে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছি।মেয়েটা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর বলছে….
–ঐ তুই অভদ্রতার কি দেখলি?
আমিঃএসব কাপড় ছেলেরা পড়ে আর এখন আপনারা পড়ে আছেন।
-ডানা গজিয়েছে না?ডানা ভেঙে দিল উড়তেও পারবি না।
আমিঃতা তো সমম…আর কিছু বলার আগে ফোন আসল।আমি ফোনটা রিসিভ করে যা শুনলাম মাথায় আগুন ওঠে গেল।চোখ গুলো আগুনের মতো লাল হতে শুরু করল আমার সামনে থাকা মেয়ো গুলো ভয়ে পেছাতে লাগলো। কিন্তু তাদের লিডার মেয়েটা যে আমাকে চড় মেরেছে সে ঠাঁই দাড়িয়ে আছে।

আমি আর কিছু না বলে চলে আসতে যাব তখনই মেয়েটা আবার ডাক দিল।আমি পেছনে তাকালাম। মেয়েটা আবার বলল….
–কই যাস তুকে যেতে বলেছি?(রেগে)
আমার ট রাগ দেখে সবাই পেছনে চলে গেল কিন্তু এই মেয়ে এখনো আমার সাথে তর্ক করছে তাও আবার আমাকে চড় মেয়ে?
আমি নিজের রাগ কনট্রোল করে বলললাম, আমার কাজ আছে তাই যেতে হবে।
–মেয়েটা আবার আমাকে চড় মারতে যাবে আমি হাত ধরে ফেললাম। মেয়েটার হাত ধরতেই মেয়েটা ব্যথা পেল।কারণ সাধারণ মানুষের মতো না আমার হাত।একটু বেশি শক্ত। তখন-ই প্রিন্সিপাল স্যার আসতে দেখে মেয়ে গুলো ছেড়ে দিল।আমি সেখান থেকে চলে এলাম নিজের বাসায়।আপু কোথায় তা কেউ জানি না।একটু আগে যে ফোন আসছিল তা রাশেদের সে ফোন দিয়ে বলল আপুকে পুরো অফিসে দেখা যাচ্ছে না।ফোন দিলেও বন্ধ আসছে।আমিও ফোন দিলাম কিন্তু আপুর ফোন এখনো বন্ধ আসছে।আমি সন্দেহ করছিলাম এমন কিছু হবে তাই রাশেদকে ফোন দিয়ে পাঁচ জন লোক পাঠাতে বললাম আপুকে ফলো করতে কিন্তু তারা কেউ দেখতেই পারে নি আপনি কই গেছে।রাশেদের লোক গুলো আপুর উপর নজর রাখছিল কিন্তু হঠাৎ করে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ আপুকে নিয়ে গেছে।

মাহমুদ কে ফোন আসতে বললাম। আপুকে খুজতে হবে কারণ আমার মনে হয় আপু আমার কাছ থেকে কিছু লোকাচ্ছে তাই আপু আসল কি লোকাচ্ছ তা জানার জন্য আপুকে কানের দুল দিলাম। আর সে দুলে ছিল ছোট্ট ক্যামরা আর একটা ট্রেকিং ডিভাইস ছিল।তাই সকালে আপুকে এই দুল পড়তে জোর করলাম।মাহমুদ চলে এলো বাইরে গাড়ি দাঁড় করানো।আমি গিয়ে গাড়িতে ওঠলাম মাহমুদের সাথে সারাক্ষণ ল্যাপটপ থাকে আমি গাড়িতে ওঠে আপু কোথায় আছে জানতে আপুর লোকেশন বের করতে বললাম। আপুর সামনে কি হচ্ছে তা আমরা দেখতে পাচ্ছি কিন্তু কোথায় আছে তা জানতে হবে।লোকেশন বের করে আমরা চলে যেতে লাগলাম।রাশেদকে লোকেশন টা দিয়ে দিলাম।সেও গাড়ি নিয়ে সাথে পুলাপান নিয়ে আসতে লাগল।আমরা স্কিনে তাকিয়ে দেখছি আপুর সামনে তিনজন লোক বসে আছে।তারা বসে তাস খেলছে কিন্তু সময় পর একটা লোক এলো সে আপুর থেকে কোনো ফাইল খুঁজতেছে কিন্তু আপু তাদের ফাইল দিতে অস্বীকার করে।সে আপুকে চড় মারে আমার রাগের পরিমাণ আরো।বেড়ে গেল।মাহমুদ তাড়াতাড়ি গাড়ি চালাতে লাগলো এই দিকে রাশেদ চলে এলো।আমরা গিয়ে সে ঘরের চারপাশ ঘিরে ধরলাম।আমি গাড়িতে বসে আছি বাকিরা গিয়ে দরজা ভেঙে ঢুকে গেল।এভাবে রাশেকে দেখে সবাই ভয়ে কাঁপতে শুরু করল।সবার চোখে ভয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। রাশেদ আর মাহমুদ গিয়ে আপুকে খুলে দিল।
মাহমুদঃআপু ওরা কোন ফাইনালে কথা বলছিল?
আপুঃওরা সবাই মিলে কিছু ড্রাগস ডিল করছে। আর সব কিছু নিয়ে আমি একটা ফাইল বানিয়েছি ওটা সেটাই খুজতেছে।

মাহমুদ ওদের উদ্দেশ্য করে বলল কিরে তোরা তো দেখছি খুব বড় হয়ে গেছিস…বল তোরা কার লোক?
–ভাই মাফ করে দিন।
রাশেদঃওফফফফস মাফ (এই বলে রাশেদ মাথায় হাত দিল।)
রাশেদের কথা শুনে সবাই আরো ভয় পেয়ে গেল।কারণ পুরো শহরে কেন পুরো দেশে রাশেদকে চিনে না এমন কেউ নেই।রাশেদের মুখে এই কথা আসা মানে তাদের কোনো ক্ষমা নেই।
রাশেদঃআপুকে চড় মারছিলি না তুই?

আপুঃআমাকে চড় মারছে তোরা কিভাবে জানলি আর তখন তো তোরা ছিলি না?
মাহমুদঃনা মানে হয়ছে কি আপু এখানে ক্যামরা হ্যাক করে দেখছি।
আপুঃকিন্তু এখানে তো কোনো ক্যামরা নেই?
রাশেদঃআসলে আপু হয়ছে কি তোমার কানের দুল গুলো কোনো সাধারণ দুল নয়।ওগুলোতে ক্যামরা আছে তাই দেখলাম।
আপুঃকিহ…(রেগে)মাহমুদ আর রাশেদ মাথা নিচু করে ফেললো।কারণ আপু রাগ করলে ওরা দু-একটা চড় খাবেই সেটা ওরা ভালো করেই জানে।
মাহমুদঃএটা আমরা করি নি।ও করেছে।
আপুঃকে করেছে?
রাশেদঃভাই করেছে।

আপু এবার বুঝল ভাই মানে তারা আমাকে বুঝিয়েছে।নাম বলেনি কারণ পরে আবার আমার বিপদ হতে পারে।আপুকে ওরা নিয়ে গাড়িতে ওঠিয়ে দিল।আপু আমাকে দেখে অবাক হল।আর বলল তুই কেন এখানে?
আমিঃতোমাকে বিপদে রেখে আমি বাসায় বসে থাকব নাকি?
আপুঃকিন্তু ক্যামরা কেন দিলি?
আমিঃকাল থেকে তুমি কেমন যেন করতেছ তাই এটা করতে হল।যদি কি হয়েছে বলতে এটা করতে হত না।আর তুমিও এখানে এসে চড় খেতে না।
আপুঃবলিনি কারণ তুই জানলে রাগ করতি আর ওদের মেরে ফেলতি তাই বলি নি।
আমিঃওহহ ভালো এখন তো আমি রাগ করিনি।
এই বলে আমি গাড়ি থেকে নামতে যাব তখনই আপু আমার হাত ধরে ফেললো।
আপুঃনা তুই যাবি না।
আমিঃতোমার গায়ে হাত তুলবে আর আমি বসে তা দেখব?
আপুঃদেখতে হবে না তুই বাসায় চল আগে।
আমিঃঠিক আছে যাচ্ছি।

মাহমুদেকে মেসেজ দিয়ে বলে দিলাম।ওদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যেতে। মাহমুদ বুঝল এখন ওদের কিছু করলে আপু দেখবে তাই নিরাপদে নিতে বলল।

তারপর আমি আপুকে নিয়ে বাসায় চলে এলাম।রাশেদ-মাহমুদ লোক গুলোকে নিয়ে চলে আসল।আর যারা আপুকে তুলে নিয়ে গেছিল তাদেরকে আমার আস্থানায় নিয়ে গেল।

আপুর সাথে কথা বলতে বলতে বিকাল হয়ে গেল।আসার পর থেকে আপু সারাক্ষণ আমার সাথে ছিল।পাশ থেকে একদম নাড়া ছাড়াও করতেছিল না।পরে একটু অন্ধকার হতে আপুকে বললাম মাহমুদের সাথে দেখ করতে হবে সে অসুস্থ, বলে বের হলাম।সোজা চলে গেলাম মাহমুদের বাসায়।মাহমুদের একটা স্পেশাল রুম আছে যেটাতে সে ছাড়া আর কেউ ঢুকতে পারে না।কারণ রুমটা পুরোটা সিকিউরিটি সিস্টেমে আবদ্ধ। মাহমুদের মুখ দেখলে দরজা খুলবে নয়তো খুলবে না।কেউ বেশি জোরাজোরি করলে একটা বিষাক্ত গ্যাস বের হবে।

আমি মাহমুদের বাসায় যেতে সে আমাকে তার স্পেশাল রুমে নিয়ে গেল।তারপর কিছু কাপড় বের করে দিল।যেগুলো RK পড়ে।এই কাপড়ে RK এর অনেক ছবি পাবলিশ হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ নিজের চোখে RK কে দেখে নি।ছবিতে যতটুকু দেখেছে ততটুকু।আমি কাপড় গুলো পড়ে নিলাম।তারপর মাহমুদের সাথে চলে গেলাম লোক গুলোর কাছে যে লোক গুলো আপুকে তুলে নিয়ে গেছিল।

আমি তাদের সামনে যায় নি রাশেদ ওখানে আগে থেকে ছিল।সাথে কিছু পোলাপান। মাহমুদ আসতে রাশেদ বুঝে গেল এখন RK এন্ট্রি নেবে। তাই সব পোলাপান কে চলে যেতে বলল।তারা চলে যেতে মাহমুদ আর রাশেদ নিজের গান বের করে লোক গুলোর দিকে ধরল।হঠাৎ করে গান ধরাই ঐ লোক গুলো ভয় পেয়ে গেল।তাদের মধ্যে একজন বলল….
-ভাই আমাদের ভুল হয়ে গেছে আমরা জানতাম না উনি আপনাদের বোন।ভাই মাফ করে দিন জীবনেও আর এমন হবে না।
রাশেদঃতোরা কার লোক বল কার জন্য কাজ করিস?
~ভাই ওর নাম বললে আমাদের মেরে ফেলবে।
মাহমুদঃআর না বললে আমি তোদের মেরে ফেলব।
–ভাই মাফ করে দিন।

রাশেদঃ বল তোরা কার লোক?
-ভাই যদি আমরা কার লোক বলি তাহলে ওরা আমাদের মেরে ফেলবে সাথে আমাদের পরিবারকেও।
মাহমুদঃযদি না বলিস আমরা তোদের মেরে দিব।বল কার লোক তোরা?

–(চুপ করে আছে)
মাহমুদঃচুপ যখন তখন এই নে মর।
এই বলে একজনের পায়ে শুট করল।সে ব্যাথায় কেঁদে ওঠল।রক্ত পড়তে লাগল।
রাশেদঃএখনো সময় আছে বল তোরা কারা তোদের পাঠিয়েছে আপুকে তুলে নিতে?
–এটা তো উনি যানে ভাই।আমাদের মুখ দিয়ে বলার সাথে সাথে ওরা আমাদের পরিবারকে মেরে ফেলবে।খুব বড় লোক ওরা।আন্ডার ওয়ার্ল্ডে কাজ করে ওরা।
মাহমুদঃযদি তোদের সামনে RK এর তখন তোরা কি করবি?

RK এর নাম শুনতে ওরা আরো ভয় পেয়ে গেল।কিন্তু মৃত মানুষ এখানে কিভাবে আসবে?তাও সবাই ভয়ে এক সাথে বলে ওঠল RK?

ইয়েস RK (আমি বের হয়ে এলাম)
সাবাই আমার দিকে থাকিয়ে আছে।ডান হাতে গুলি বাম হাতে RK লিখা।মুখে মাস্ক দেখে যে কেউ ভয় পাবে।কারণ এভাবে দেখতেও অনেকটা ভয়ঙ্কর। কিন্তু এর পেছনে থাকা লোকটা কত ভয়ঙ্কর হতে পারে?

সাবই একসাথে বলে ওঠলঃR.K?
আমিঃহুম R.K
–কিন্তু RK তো মৃত তাহলে এখানে কিভাবে?
আমিঃএত সহজে তোরা RK কে মারতে পারবি না।শুধু একজনই মারতে পারে ঐ আল্লাহ।কারণ তোদের মত পিপড়া RK এর ছায়াও দেখতে পারে না।তুই না আমার আপুকে মেরেছিস?
এই বলে তার গালে দুইটা বসিয়ে দিলাম।এত জোরে দিলাম নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। সবাই ভয়ঙ্কর রুপ দেখে কেঁদে দিল।এত দিন RK এর নাম শুনেছে কিন্তু আজ সামনে থেকে কথা বলছে।

আমিঃতোরা খুব বড় ভুল করেছিস প্রথমে আমার কলিজার টুকরা বোনকে তুলে নিয়ে গেছিস তার উপর হাত তুলেছিস?
কোন হাত তুলেছিস এই হাত না? এই বলে আপুকে যে হাত দিয়ে চড় মেরেছে সে হাত তার দেহ থেকে একটানে আলাদা করে নিলাম।আমার এমন ভয়ঙ্কর রুপ দেখে মাহমুদ আর রাশেদও ভয় পেয়ে গেল।এ যেন কোনো নতুন RK কে দেখছে।তারাও ভয়ে কিছু টা পিছনে গেল।হাত নিয়ে ওদের দিকে আবার তাকাতেই লোকটা অজ্ঞান হয়ে গেল। সবাই তো কান্না করতেছে, তারা মোট পাঁচ জন ছিল এদের মধ্যে বাকি চারজন কাঁদতে কাঁদতে চোখ দিয়ে রক্ত পড়ছে।কিন্তু আমার চোখে আগুন।
বাকি চারজন ওঠে এসে আমার পায়ে পড়ে গেল।এক লাতিতে চারজন গিয়ে দেয়ালে লাগলো।পরে জ্ঞান হারালো।সবার জ্ঞান আবারো ফিরিয়ে এনে ইচ্ছে মত মারলাম।এক পর্যায়ে মারতে মারতে আমি জ্ঞান হারানোর মত অবস্থা। রাশেদ আ মাহমুদ এক সাথে আমাকে জড়িয়ে ধরল।আমার এমন রুপ তারা আগে কখনো দেখে নি।তারা আজ বুঝতে পারছে আমি আপুর জন্য কি করতে পারি।

আমি ওদের মধ্যে যে আপুর গায়ে হাত তুলেছে তাঁকে বললাম তোর শেষ ইচ্ছে কি বল। আজ তোকে এখানে পুতে দিব।তুই আপুর গায়ে হাত তুলেছিস।লেকটা কাঁদতে কাঁদতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলল কিন্তু আমিতো ছাড়ব না।আমার কলিজার বোনটার গায়ে হাত দিছে মানে আমি তার প্রাণ টা নিয়ে নিব।
মাহমুদ আর রাশেদ অনেক বলায় কিছু টা শান্ত হলাম।বাকি চারজনকে ওয়ার্নি দিয়ে ছেড়ে দিলাম।এটাও বলে দিলাম RK বেঁচে আছে এটা তোরা ভুলে যাবি।এমন কি আজ সারাদিন কি হল সব ভুলে যাবি।আপুর দিকে কেউ তাকালে চোখ উঠিয়ে নিব এর পরে।তারা শপথ করে বলল আর ভুলেও এই শহরে থাকবে না।চলে যাবে এই শহর থেকে।

আপুর গায়ে যে হাত তুলেছে তাঁকে কোনো ক্ষমা নেই।গানে থাকা সব বুলেট তার শরীরে ঢুকিয়ে দিলাম।সব বুলেট শেষ হতে মাহমুদের টাও নিয়ে শুট করলাম।তাও যেন আমার রাগ কমবার নয়……

#To_be_continue…….
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here