#The_murderous_mafia
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ০৪

মাহমুদঃতাহলে বাচ্চাদের কিভাবে খুজব এখন?
আমিঃএর জন্য আমাদের অপরাধ….

আর কিছু বলতে পারলাম না।কারণ আপু আমার রুমে আসতেছে।

মাহমুদঃকি হল বল কি করতে হবে?
আমিঃএকটু পর কথা বলছি আপু আসতেছে।

তারপর ফোন কেটে দিলাম।আপু আমার পাশে এসে বসল।মনে হচ্ছে কিছু বলবে।
আমিঃকিছু বলবা আপু?
আপুঃকি করতেছিস তুই?
আমিঃএই তো ফোনে কথা বলছিলাম।
আপুঃভাবি নাকি আমার?
আমিঃতুমি সারাক্ষণ কটকটির মতো কর কেন (কিরণ মালার কটকটি,বিদ্রঃআমি আবার ওসব দেখি না।তবে পাড়ার আন্টি,খালাম্মা,ভাবিদের থেকে শুনেছি।)
আপুঃওই তোর কি সমস্যা আমি একটু ফান করলেই তুই কটকটি বলিস কেন?(রেগে গিয়ে)
আমিঃঠিকই তো বললাম দেখতেও তো একদম কটকটির মতোই লাগে…(আরেকটু রাগানোর জন্য)
আপুঃআমি কটকটি?
আমিঃসন্দেহ আছে?
আপুঃআমি কটকটি?
আমিঃ না এমনি বললাম।
{আপু অনেক রেগে গেছে।আর কোনো কথা তিনবার জিজ্ঞেস করার পর যদি সঠিক বা ভালোটা না বলি তো আপুর হাত আমার গাল….
হ্যা ভাই খুব মারে এই পিচ্চি পোলাডারে…. (কান্না আসতেছে মনে পড়তেই,এ্যায় এ্যায়)}

আপুঃএই তো এবার লাইনে আসলি। আর এক বার কটকটি বললে তোর বিয়ে দিমো না হ্যাঁ.….

(ভাই কেউ এদের বোঝাও এখন অনেক শীত…..বাকিটা আপনি জানেন…..হি হি হি হি হি হি হি হি হি হি হি হি)
আমিঃতার আগে তোমার বিয়ে দিতে হবে না?সমস্যা নেই পুলিশ অফিসার একটা ভালোই লাগছে।দেখি কথা বলে কি হয়।যত তাড়াতাড়ি পারি তোমার বিয়ে দিলে আমার পথ ক্লিয়ার….
আপুঃতবে তো…(আমার মাথার চুল আর আপুর হাত)

আমিঃআরের ছিড়ে যাবে সব চুল যেভাবে টানতেছ…
আপুঃআর বলবি কখনো আমার বিয়ের কথা?
আমিঃএইরে আমি তোমার বিয়ের কথা কখন বললাম?
আপুঃএই মাত্র-ই তো বললি?
আমিঃআরেহ না আমি তো বিয়ের কথা বলি নি।শুধু পোলাডার কথা বললাম।তুমি তো দেখছি এক ধাপ উপরে…… আপু আমার চুল ছেড়ে দিল।
আমিঃওফ হাফ ছেড়ে বাচালম।
আপুঃবোন বলে বাঁচিয়ে দিলাম।
আমিঃনিজে বিপদে ফেলে আবার বলে বাচিয়ে দিলাম।
আপুঃহয়ছে হয়ছে….
আমিঃতা বল কি যেন বলবে?
আপুঃনা তেমন কিছু না।

আমি জানি আপু কিছু বলতেই আমার রুমে আসল।কারণ আমি রুমে থাকলে আপু সহজে আসে না যদি কোনো কারণ থাকে তাহলে আসে।

আমিঃআরে বল না কি বলতে আসছ?
আপুঃবাচ্চাদের কোনো খোঁজ মিললো?
আমিঃনা তবে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি মিলবে।এটা নিয়ে মাহমুদের সঙ্গে কথা বলছিলাম।
আপুঃওহ আমিতো ভাবছি ভাবির সাথে কথা বলছিস।
আমিঃওকে ওকে তোমার জন্য ভাবি একটা দেখব।
আপুঃইসস শখ কত।ভাগ এখান থেকে….
আমিঃআমার রুমে এসে আমাকে তাড়াবে?
আপুঃওহহ তোর রুমে আচ্ছা আমি যাচ্ছি।

আমিঃতুমি কে যেন বলতে চাইলে বললে না যে?
আপুঃবাচ্চাদের খবর কি জানতে চাইলাম।
আমিঃআর কিছু না শুধু এটাই কি?
আপুঃকালকে অফিস যাওয়ার কথা তুই ভার্সিটিতে চলে যাস।
আমিঃওকে তো যাও।সমস্যা নেই।নাকি আবার আমাকে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে?
আপুঃতাই বলতে আসছি যাওয়ার সময় আমাকেও নিয়ে যাস।

আমি একটু অবাক হলাম কারণ আপু সহজে আমার সাথে যায় না।আমি নিতে চাইলেও যায় না।হঠাৎ আপুর কি হল আমাকে দিয়ে আসতে বলতেছে?আপুর জন্য একটা পার্সোনাল গাড়ি আর ড্রাইভার আছে।তাও আমাকে যেতে বলছে বিষয় টা কেমন যেন মাথার উপর দিয়ে গেল।তাও আমি আপুকে বললাম যাব।আপু জানত যদি আমাকে যেতে বলে আমি যাব।

আপু আমার রুম থেকে চলে যেতে আমি মাহমুদকে আবারো ফোন দিলাম।মাহমুদ ফোন রিসিভ করতে বলল..
হ্যা বল কি যেন করতে হবে বলছিলি।
আমিঃযদি বাচ্চা গুলোকে উদ্ধার করতে হয় তাহলে আমাদের অপরাধ করতে হবে।এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
মাহমুদঃবাচ্চাদের বাঁচাতে যদি কিছু অন্যায় করতে হয় তাহলে ওটা আমার মনে হয় না অন্যায় হবে।
আমিঃসরকারের অনুমতি ছাড়া এটা করা অইনের চোখে অপরাধ হবে।
মাহমুদঃকি করতে হবে?
আমিঃ স্যাটেলাইট হ্যাক করতে হবে।
মাহমুদঃএটাতো অনেক বড় রিক্সের ব্যাপার।
হ্যাঁ আমি জানি রিক্স এর ব্যাপার তাও আমাদের করতে হবে বাচ্চাদের বাঁচাতে হবে।
মাহমুদঃতাহলে কি টিম তৈরি করব?কারণ দুই একজনের পক্ষে স্যাটেলাইট হ্যাক করা পসিবল না।
হ্যাঁ প্রয়োজনে টিম রেডি করতে হবে তাও বাচ্চাদের খুঁজতে হবে। আর একটা কথা মনে রাখতে হবে যাতে এই বিষয়টা একদম গোপন থাকে। কোন ভাবে যাতে বাইরে কেউ না জানে।যদি জেনে যায় তাহলে বাচ্চাদের যে উদ্দেশ্যে নিয়ে গেছে সেটা বাদ ওদের উপর হামলা করতে পারে । এমন কি তাদের প্রাণের ঝুঁকিও রয়েছে।

মাহমুদঃঠিক আছে তাহলে আমি এগারো জনের টিম মানে তোর বানানো সেই পুরোনো টিমকে ফোন করি?
আমিঃনা ওদেরকে করা যাবে না কারণ ওরা অনেক পুরাতন হয়ে গেছে। হয়তো ওদের সবকিছুর সাপোর্ট ভালোভাবে দিতে পারবেনা। আবার এমন হতে পারে যে তারা তাদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে।
মাহমুদঃতাহলে টিম কিভাবে রেডি করব?
আমিঃতুই একটা কাজ কর যারা বর্তমানে একদম ভালো লেভেলের হ্যাকিং জানে, তাদের সবার ডাটা হ্যাক কর আর তাদের সাথে যোগাযোগ কর।
মাহমুদঃআমি তো সবার ডাটা একসাথে হ্যাক করতে পারবোনা আমি একার পক্ষে এসব পসিবল হবে বলে মনে হয় না।
আমিঃআরে তুই একা করবি। কারণ একজন একজন করে করতে সমস্যা হবে না। সবার একসাথে করতে হবে না।
মাহমুদঃআচ্ছা ঠিক আছে আমি ঘন্টা খানেকের মধ্যে ডাটা পাঠিয়ে দিচ্ছি তোর ফোনে।
আমিঃওকে রাখছি….
এই বলে ফোন কেটে দিলাম আর এদিকে মাহমুদ বসে গেল কম্পিউটারের সামনে। যত দ্রুত পারছে ততই কিবোর্ড এর উপর ক্লিক করতেছে। প্রায় ৪০ মিনিট পরে সবার ডাটা হ্যাক করলো আর সব থেকে ভালো পাঁচ জন হ্যাকার পেল। যারা এর আগে অনেক বড় বড় হ্যাকিং এর সাথে জড়িত ছিল অবশ্যই তারা দেশের কাজেই নিজের কাজ কে ব্যবহার করছে।মাহমুদ এই পাঁচ জনের লিস্ট বের করে পাঠিয়ে দিল আমাকে। পাঁচ জনের মধ্যে দুজন কে আমি দেখে আমি তো অবাক কারণ আমি আগে থেকেই চিনি এই দু’জনকে আর ছোটো ছোট কাজের মধ্যে ছিল তারা। আবার তারা আজকে এত বড় হ্যাকার হয়ে গেল? ভাবতেই কেমন জানি লাগছে…..

আমি নিজে ওদের ডাটা সব কিছু চেক করলাম সবকিছু ঠিক ঠাক আছে কিনা, দেখলাম সবই ঠিক আছে তবে এক জনকে কেমন যেন সন্দেহ হচ্ছে। মনে হচ্ছে দেশের কাজে সে থাকবে না এমনকি দেশের কাজে বিপদ আনতে পারে। মনে হচ্ছে আগে দেশের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করছিল সে। এসব জানার জন্য তার নামের ফাইল বানালাম। আর সিকিউরিটি সিস্টেমের মধ্যে সবকিছু চেক করে দেখলাম তার নামে পুরো একটা বড় ফাইল। ফাইল টা ওপেন করতে দেখি ওখানে কোনো ডাটা নাই। হ্যাঁ অবশ্যই ফাইল টা পুলিশের মধ্যে ছিল। কিন্তু তাদের কাছ থেকে এই ডাটা হ্যাক করে সবকিছু নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এমন হতে পারে সে অনেক বড় অপরাধী দেশের জন্য। আবার এটাও হতে পারে মাফিয়াদের কোন এজেন্ট। তার নামের সব ফাইলকে আমি রিকোভার দিলাম। সবকিছু আমার সামনে আসতে কেমন যেন উধাও হয়ে গেল। নিজেও একটু শক খেলাম এইসব দেখে।তাহলে কি এমন কিছু আছে যেটার কারণ এই তথ্যগুলো সহজেই উধাও হয়ে যায়?নাকি কোন ভাইরাস এখানে এড করে রাখছে একটু চিন্তিত হয়ে গেলাম।

আবার রিকোভার দিতে গিয়ে দেখি রিকভারি হয়েছে কিন্তু ফাইল টা ওপেন হচ্ছে না তার কিছুক্ষণ পরে দেখি আমার নিজের ল্যাপটপ আর কাজ করতেছেনা একজনের কন্ট্রোলে চলে গেছে। আমি তাড়াতাড়ি মাহমুদকে ফোন দিলাম আর আমার ল্যাপটপ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিতে বললাম। অবশ্যই আমিও চাইলে পারতাম কিন্তু আমার কাছে মাত্র এই ল্যাপটপটা আছে আর কিছুই নেই এজন্য মাহমুদকে ফোন দিয়ে মাহমুদের কন্ট্রোলে নিতে বললাম। মাহমুদের সামনে অনেক কম্পিউটার আছে। কিন্তু আমার কাছে এই ল্যাপটপটি ছাড়া আর কিছুই নেই কারন আমি সবকিছু ছেড়ে দিয়ে ভালো হয়ে গেছে তো চেয়েছিলা। কিন্তু এখন হয়তো আর সেটা হবে না।
কিছু সময় চেষ্টার পর মাহমুদ আমার ল্যাপটপ নিজের নিয়ন্ত্রণে নিল। আর আমার ল্যাপটপে কিছু ভাইরাস ঢুকিয়ে দিল। যাতে আমার ল্যাপটপ আর কেউ তার নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারে বা হ্যাক করতে না পারে।আমি আবারও আমার ল্যাপটপ চালু করলাম তারপর যা দেখলাম মাথায় আগুন ওঠে গেল। কারণ এই হ্যাকার গত বারে দু’শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সাথে জড়িত।বর্তমানে তার লোকেশন ট্রেস করা যাচ্ছে না।

ওকে বাদ দিয়ে বাকি চারজন নিয়ে টিম গঠন করতে বললাম।আর স্যাটেলাইট হ্যাক করে বাসটার খোঁজ নিতে বললাম।মাহমুদ ওদের সাথে কনটাক্ট করল প্রথমে ওরা কি কাজ জানতে চাইলে মাহমুদ বলে নি।ফলে ওরা কাজ করতে চাই না।সামনে আসলে কি কাজ করতে হবে তা বলে ফলে দেখা করতে রাজি হয়।মাহমুদ ওদের সাথে দেখা করতে একটা রেস্টুরেন্টে যায়।দেখা করে কাজের কথা বলে কিন্তু স্যাটেলাইট হ্যাক তাই কেউ রাজি হয় নি।মাহমুদকে ওরা ভালো করে চিনে না।যার কারণে রাজী হয় নি।যখন মাহমুদ R.K এর কথা বললো সবার চোখ কপালে ওঠে গেল।সবাই একসাথে বলে ওঠল R.K?

মাহমুদঃহুম আমি RK এর বন্ধু। আর কাজ করতে গিয়ে আমাদের ভুল পথে যেতে হলেও উদ্দেশ্য কিন্তু ভালো।
~~R.K তো মারা গেছে?
মাহমুদঃসবাই তো এটাই বলে।
–তাহলে আপনি কি মনে করেন RK মারা গেছে?
মাহমুদঃনদীতে পড়ে যাওয়ার পর তো আর খুঁজে পাওয়া যায় নি তাঁকে। তাই সবাই মনে করে সে মারা গেছে।
~আমরা কাজ করতে রাজি।সব থেকে বড় কথা আপনি RK এর ফ্রেন্ড। আবার পথ ভুল হলেও উদ্দেশ্য ঠিক।
মাহমুদঃতাহলে কি আপনারা সবাই রাজি?
সবাইঃহ্যাঁ রাজি।কি কাজ করতে হবে যদি আরেকটু ক্লিয়ার করে বলেন তাহলে ভালো হয়।
মাহমুদঃআপনারা নিশ্চয় শুনেছেন।বাচ্চাদের একটা বাস কেউ উধাও করে দিছে।আর সেখানে অনেক বাচ্চা ছিল ধারণা করা হচ্ছে বাসটা কিডন্যাপ করা হয়েছে।আর যারা করেছে তারা হয়তো প্রাচারের উদ্দেশ্যে করেছে।তাই তাদের খুঁজতে আমাদের কাজ করতে হবে।
~~তাহলে কখন কাজ করতে হবে?
মাহমুদঃআজ রাতে সবাই এই এড্রেসে চলে আসবেন।

মাহমুদ ওদের সবার হাতে একটা এড্রেস দিয়ে দিল।তারপর সবাই নিজের মতো চলে গেল।মাহমুদ সোজা আমার বাসায় এলো বিকাল হয়ে গেল।
আপু গিয়ে দরজা খুলে দিল।আপুর সাথে কথা শেষ করে মাহমুদ আমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল।

আমার রুমে আপু ছাড়া আর কারো আসার পারমিশন নেই তাই আসে না।আমি মাহমুদের কাছে গেলাম।
মাহমুদঃকিরে তোর এখন কি অবস্থা?

#To_be_continue…..
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here