#The_murderous_mafia
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ১২

ভারতীয় সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে রক্ষা পেলো এই শহর।ফোন বাজাতেই রিসিভ করে কানে দিলাম।

রাশেদ ফোন দিছে,কক্সবাজারেও কোনো বোমা ফেটে যেতে পারে নি।কিন্তু এক জায়গায় একটা বোমা ফেটে গেছে।আর সেখানে একজন মারাও গেছে ধারণা করা হচ্ছে ওটাও তাদের লোক। কাজ কেমন হচ্ছে তা জানতে ওই লোকটাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।আর কোথাও বোমা বিস্ফুরণ হয় নি।

আমিঃঠিক আছে দেখি লোকটা কে,আর পুলিশ নিশ্চয় এই বিষয়ে জড়িয়ে গেছে।নাক ঢুকানো-ই তো ওদের কাজ।
রাশেদঃহ্যা কারণ ওখানে বোমা বিস্ফুরণ হয়েছে বলে কথা নাক না ঢুকালে তো পুরো দেশে আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে।
আমিঃহ্যা কিন্তু আমি বুঝতেছি না, এই দেশে হামলা হবে তা প্রশাসন জানে না কেন?
রাশেদঃপ্রশাসন জানে এই ব্যাপার গুলো কিন্তু উপরেই চাপে তারা চুপ ছিল।সবাই তো আর তোর আমার মত দেশের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিবে না তাদেরও বউ বাচ্চা পরিবার আছে।
আমিঃতোরও আছে নাকি?(হেসে বললাম)

রাশেদঃনা মানে ইয়ে….

আমিঃহা হা বুঝছি না মানে ইয়ে,তারপর বলবি বউ, বাচ্চা নেই।
রাশেদঃহ্যাঁ কিন্তু পরিবার তো আছে।
আমিঃ আচ্ছ বল আর কি অবস্থা?
রাশেদঃএকটা খারাপ সংবাদও আছে….

খারাপ সংবাদের কথা শুনে নিজের মধ্যে তুফান শুরু হয়ে গেল।কারণ আমার সব থেকে বেশি চিন্তা আপুকে নিয়ে। জানি না কি খারাপ সংবাদ আছে……
তখনই রাশেদ আবারো বলল…..
রাশেদঃআরে এত চিন্তা করিস না আমি জানি তুই আপুর কথা চিন্তা করছিস আপু ঠিক আছে আর আপুর সাথে তো মাহমুদও তো আছে ওসব নিয়ে চিন্তা করিস না।অন্য দুঃসংবাদ আছে….
আমিঃআমার কাছে আর কোনো দুঃসংবাদ-ই দুঃসংবাদ মনে হয় না।বল কি সমস্যা…..?
রাশেদঃএমপির ছেলে আর তার বন্ধুরা পালিয়েছে।
আমিঃএটা দুঃসংবাদ?
রাশেদঃহ্যাঁ।
আমিঃকোনো ব্যাপার না আমি খুব ভালো করে জানি ওরা পালালেও কোথায় যেতে পারে।আর আমাকে কি করতে হবে!
রাশেদঃওকে।আর একটা কাজ এখানে বোমা নিয়ে আমরা যাদের ধরেছি তাদের কি করব?
আমিঃওরা সাধারণ কোনো অপরাধী নয়, দেশ বিরোধী অপরাধী ওরা,দেশদ্রোহী,মানবতা বিরোধী ওদের একটাই শাস্তি মৃত্যু…… (কথাটা খুব রেগে বললাম)
সাথে সাথে ফোনেও ওপাশে গুলি চলার শব্দ শুনতে পেলাম।হয়তো ফোনের ওপাশে পড়ে আছে দেশদ্রোহীদের রক্তাক্ত দেহ।

আমিও এসে আমার ধরা সব অপরাধীকে শুট করে দিলাম।এদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।এরা সাপের থেকেও ভয়ঙ্কর। আমার শুট করা দেখে রাহী আবাক নয়নে তাকিয়ে আছে। কারণ সে কল্পনায় করতে পারে নি আমি এত ভয়ঙ্কর হতে পারি।
হঠাৎ দেখলাম পাশে একটা মেয়ে আমার শুট করা সব কিছু ভিডিও করছে।মেয়েটাকে দেখে একটু অবাক লাগলো। সাবিত বিষয়টি দেখতে পেয়ে মেয়েটাকে শুট করে দিচ্ছে তখনই আমি সাবিতকে ধাক্কা দিলাম। সবাই অবাক হয়ে গেছে এই ফুটেজ যদি মেয়েটা পুলিশকে দেখায় তাহলে আমার জেল হতে পারে। সে মেয়েকে আমি শুট করতে দিলাম না!

আমি মেয়েটাকে দেখেই তো মুগ্ধ হয়েছি।আমি মেয়েটার কাছে গেলাম।চাইলেও মেয়েটা দৌড়ে পালাতে পারবে না।তাই মেয়েটা ঠাঁই দাড়িয়ে রইল….
আমিঃনাম কি?
—রোব্বাইত অহনা।
আমিঃআহহ ক্রাশ নেইম(ছোট করে বললাম)
—কিছু বললেন?
আমিঃভিডিও করলেন কেন?
—কেউ মানুষকে মেরে ফেলবে আর আমি বসে দেখব তা কেমনে হয়?
আমিঃপুলিশ না সাংবাদিক?
—কেউ না তবে এই দেশের একজন নাগরিক।
আমিঃকোনো বাঁধা ছাড় আপনি দেশে থাকতে চাইলে এমন কয়েক জনকে মারতেই হবে।
–কেন মারতে হবে ওরা কি অপরাধ করেছে?

সাবিত পেছন থেকে এসে বলল”এই মেয়ে সাহস কি করে হয় ভাইকে প্রশ্ন করার”

আমিঃআহা সাবিত বাদ দাও না।বাদ দাও না আমি কথা বলছি তো….
সাবিতঃসরি ভাই..(সাবিত পেছনে চলে গেল)

আমি অহনাকে আবার বললাম…..

আমিঃদেখবেন নাকি শুনবে?
–বলেন।
আমিঃবললে আপনার গল্প মনে হবে দেখলে বাস্তবতা।
—ওকে দেখন কি অপরাধ ওদের?
আমিঃওকে চলেন।অহনাকে একটু সামনে নিয়ে গিয়ে বোমা গুলো দেখালাম অহনা বোমা দেখে ভয়ে পিছিয়ে আসল।
আমিঃভয় পাইয়েন না এগুলো ডিফিউজ করা।চলেন আরেকটু কিছু দেখুন।
তারপর মাহমুদ কে ফোন দিয়ে বললাম বোমা ফেটে চারপাশ জ্বলে গেছে এবং একজন মারা গেছে এই ভিডিওটা আমাকে সেন্ট করতে বললাম।মাহমুদ ভিডিও দিল আমি ভিডিওটা অহনাকে দেখালাম।অহনা দেখে নিজের ভারসাম্য ঠিক রাখতে পারছিল না।আমি অবস্থা বুঝতে পেরে পাশে থাকা চেয়ারটা টেনে অহনাকে বসতে বললাম।সে বসলো আর নিজের মুখে হাত দিয়ে বসে রইল।মুখে চিন্তার ছাপ। আমাকে প্রশ্ন করতে যাবে তার আগেই আমি অহনাকে বললাম…..
আমিঃহ্যা এরাই সে বোমা গুলো ফাটিয়েছে।আর এখানে যত বোমা আছে সব ওরা এখানে রেখেছিল যাতে এই শহরের সৌন্দর্য আর দেশের মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

—আই এম সরি আমি বুঝতে পারি নি,তাই ভিডিও করছিলাম।আর এদের তো আপনি পুলিশের কাছে দিতে পারতেন।
আমিঃপুলিশ হা হা হা, ওরা কি করবে? নেতাদের ছাপে ছেড়ে দিবে। তারপর ওরা গিয়ে কি করবে?ওরা গিয়ে আরো নতুন কিছু প্ল্যান করবে।
তাই ওদের সুযোগ দেওয়া মানে এই দেশকে আবারো বিপদে ফেলা।তাই ওদের কোনো সুযোগ নাই।

—আপনি কে তাহলে এদের শাস্তি দেওয়ার?
আমিঃআমিও আপনার মত একজন দেশের নাগরিক। এত থেকে বড় পরিচয় আমার আর কিছু নেই।
আচ্ছা আপনার ফোনে করা ভিডিও ডিলেট করে দেন।

সে ডিলেট করতে না চাইলে আমি নিয়ে ডিলেট করে দিলাম। তারপর ওখান থেকে চলে এলাম।নিজের শহর কক্সবাজারে।
আসতে আসতে সকাল হয়ে গেল।গাড়িতে তেমন ঘুম হয় নি।দরজাই নক করতে আপু দরজা খুলে দিল।তারপর আপুর কি অবস্থা আর মাহমুদ ঘুমিয়েছে কি না জিজ্ঞেস করে আমি নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।দিনের বারোটা বাজতে ঘুম ভেঙে গেল।ওঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।সকালে কিছু খাইনি তাই তাড়াতাড়ি টেবিলে গিয়ে বসলাম।আপু ভাত দিল খেয়ে নিলাম।মাহমুদও পাশে বসে ল্যাপটপে কি যেন করছে।আমি খেয়ে তার পাশে গিয়ে বসলাম।দেখলাম কাল কি কি করলাম আর যে লোক গুলোকে মেরে দিছি তাদের খোঁজ নিচ্ছে।

আমিঃতা বল কে কোথায় থাকে আর তাদের নাম কি জানলি তো?
মাহমুদঃহ্যাঁ, এটাও জানলাম ওরা সবাই ভারতীয় নয়।তারা মোট ৫০ জন এসেছে কিন্তু তার মধ্যে ৩০ জন ভারতীয়, ১০ জন আমার দেশের কুকুর।আর ১০ জনের কোনো পরিচয় পাওয়া যায় নি।
আমিঃপরিচয় নাই তার মানে এরা আরো বড় মাপের খেলোয়াড়। দেখি ওদের মুখটা…

মাহমুদ ওদের ছবি সামনে আনতে সবার মুখটা দেখতেছি ওদের মধ্যে একজনের মুখ দেখে আমি থমকে গেলাম।এই লোকটাকে আমি মনে হয় আগে কোথাও দেখেছি। কিন্তু কোথায় দেখেছি কোথায়…
মাথায় হাত দিয়ে মনে করার ট্রাই করছি কিন্তু মনে করতে পারছি না।এর পরের জনকে দেখলাম কিন্তু তাকেও চিনি না।সবাইকে দেখলাম দুই জনকে চেনা মনে হল কিন্তু কোথায় দেখলাম কিভাবে দেখলাম মনে করতে পারছি না।আপু কপি এনে দিল, কপিতে চুমুক দিচ্ছি আর কোথায় দেখেছি মনে করার ট্রাই করছি। হঠাৎ আমার কিছু অতীত মনে পড়ে গেল……

কোনো মিশন, ভুল বুঝাবুঝি, আমার এরেস্ট, আমি কাউকে শুট করলাম,আদালতে গেলাম……
আহ প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে কিছু মনে করতে পারছি না।হাত থেকে কপির কাপটা পড়ে ভেঙে গেল।আপু আমার পাশেই বসা ছিল।আমার হাত থেকে কাপ পড়ে যাওয়া আপু আমাকে ধরে ফেললো। আমার যখন অস্বাভাবিক কিছু হয় তখন আপু জানে আমার মাথা ব্যাথা করছে।আমি মাথায় হাত দিয়ে নিচু হয়ে গেলাম আপু গিয়ে ইনজেকশন এনে আমায় পুশ করে দিল।আমার আর কিছু মনে নেই চোখ বন্ধ হয়ে আসছে, সামনের সব ঝাপসা দেখছি……

চলে গেলাম ঘুমের রাজ্যে।ঘুম ভেঙে দেখি এক টা বাজে গেল।তার মানে আমি প্রায় বিশ মিনিট ঘুমে ছিলাম।মাথা এখনো ভারী। আমি মনে করতে পারছি না ওদের কোথায় দেখেছিলাম।মনে হয় মাহমুদ এই ব্যাপারে কিছু জানবে তাই তাকে বললাম….
আমিঃআমি কি কোনো সময় আদালতে ওঠেছিলাম?
মাহমুদঃআদালত আমিতো জানি না।

আপুর দিকে থাকালাম যদি আপু কিছু জানে এই বলে কিন্তু আপুও কিছু জানে না বলল।তাহলে রাশেদ কিছু জানে নাকি?রাশেদকে ফোন দিয়ে আসতে বললাম।মাথা এখনো ব্যাথা করছে।কিন্তু আমাকে জানতেই হবে কি ছিল আমার অতীত আর কেন আমার মাথা ঘুরে কিছু মনে করতে চাইলে?সবটা আমার জানতে হবে।রাশেকে ফোন দিয়ে আসতে বললাম।সে আমার বাড়ির পাশ দিয়ে নাকি কোথাও যাচ্ছিল।তাই আসতে দেরি হয় নি।অবশ্য লুকিয়ে আমাদের বাসায় আসছে।

রাশেদঃকিরে তোর আবার মাথা ব্যাথা ওঠছে নাকি?
আমিঃহ্যাঁ আমার কিছু মনে পড়ছিল, আদালত,ভুল বুঝাবুঝি,তারপর আমি কাউকে শুট করলাম।এসব কি?

আমার কথা শুনে রাশেদ চোখ বড় বড় করে ফেলল।তার মানে সে কিছু জানে।আমি রাশেদকে আবারো বললাম…

আমিঃবল কি এসব তুই নিশ্চয় জানিস।
রাশেদঃনা আমি কিছু জানি না।
আমি খুব ভালো করে বুঝলাম রাশেদ এসব ব্যাপারে জানে কিন্তু মুখ খুলছে না।আপুর দিকে চেয়ে সে চুপ করে আছে।আমি জানি আপুর সামনে আমি রাশেদ বা মাহমুদ কাউকে জোর করতে পারব না।আপু ওদের দুই জনকেও আমার মতো দেখে।আর ওরাও আপুকে নিজের বোনের মতো দেখে।এখন আমি জোর করলে আপু আমার উপর রেগে যাবে।তাই আর কিছু বললাম না।মাহমুদ ছবি গুলো রাশেদকে দেখালো তাদের তিন জনকেও রাশেদ চিনে।কিন্তু আমার সামনে বলছে না ওই তিন জন কে?আমি দুই জনকে চিনি মনে হচ্ছে কিন্তু মনে করতে পারছি না।রাশেদ তিন জনকে চেনে।

ছবি গুলো দেখার সময় রাশেদের চোখ ছানা বড় হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু পরক্ষণেই আবারো স্বাভাবিক হয়ে গিয়ে বলল চেনে না।আমিও নিজের রুমে চলে গেলাম। আমি জানি আমি ওখান থেকে সরে গেলে নিশ্চয় বলবে ওরা কারা।আমি চলে আসলাম ঠিকই কিন্তু ফোনটা রেখে আসলাম।যাতে আমি বুঝতে পারি কারা ওরা।

ওদের কথা শেষ হতেই আমি আবার চলে এলাম।গিয়ে ফোনটা নিতে নিতে বললাম,”ফোনটা ফেলে গেছিলাম”তারপর ফোনটা নিয়ে চলে এলাম।কানে হেডফোন দিয়ে তারা কি বলল এই লোক গুলোর ব্যাপারে তা জানতে রেকর্ডিং টা অন করলাম……

মাহমুদঃকারা এই লোক গুলো রবির সামনে বলতে চাচ্ছিস না কেন?
রাশেদঃওর সামনে বলি নি কারণ ও এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয়।যে কোনো সময় বিপদ হতে পারে।আর অতীত নিয়ে কিছু শুনলে তার মাথায় চাপ সৃষ্টি হতে পারে।তাই বলি নি।
মাহমুদঃতাহলে কারা এরা?
রাশেদঃএই দশ জনের মধ্যে তিন জনকে আমি চিনি।তারা হল আন্ডার কভার এজেন্ট।
আপুঃকিহ
রাশেদঃহ্যা ওরা তিন জন আন্ডার কভার এজেন্ট। আমি যখন আন্ডার কভার এজেন্ট হয়ে কাজ করছিলাম তখন ওদের সাথে আমাদের কাজ করতে হতো।রবিও ছিল আমাদের মধ্যে। ওরা হয়তো এখন আন্ডার কভার থেকে বের হয়ে গেছে।তাইতো ভারতীয়দের দলালি করতেছে।
মাহমুদঃযদি এরা এখনো আন্ডার কভার এজেন্ট হয়ে থাকে তাহলে তো দেশের দেশের জন্য বিপদ।সাথে আমাদের জন্য ও।
রাশেদঃতেমন কিছু হবে না।কারণ রবিউল আন্ডার কভার এজেন্টের সর্বোচ্চ পদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।প্রথম স্থানে রয়েছে অন্য কেউ।
আপুঃকিহ এসব তো আমরা কেউ জানি না।
রাশেদঃআমরা দু’বছর আগে দুবাই গিয়েছিলাম মনে আছে আপু?
আপুঃহ্যা মনে আছে।কোনো এক স্পেশাল ট্রেনিংয়ের জন্য।
রাশেদঃওটা শুধু নামে ছিল।আসল কাজ তো আন্ডার কভার এজেন্ট।
আপুঃকিহ। এসব আমাকে জানাস নি কেন এত দিন?
রাশেদঃএসব বলা ঠিক নয় তাই।
আপুঃতাহলে ও যে বলল ভুল বুঝাবুঝি, গুলি করা, আদালত এসব কি?
রাশেদঃসে তো এক লম্বা ইতিহাস। পরে এক দিন বলব যখন রবি বাসায় থাকবে না।

আপুঃওকে।কিন্তু আমাকে জানতেই হবে এসব কি।
রাশেদঃহুম আপু বলব।তবে আজ তো জেনেই গেলে আমরা কেউ মাফিয়া নয়,আন্ডার কভার এজেন্ট।প্রয়োজন অনুসারে আমরা বিভিন্ন রুপ ধারণ করি।

আপুঃভুল বললি, তোরা একধারে সব কিছু। আন্ডার কভার এজেন্ট,মাফিয়া আর সাইবার স্পেশালিস্ট।
মাহমুদঃঐ আর কি।

এই ছিল ওদের কথা আমি ফোনের রেকর্ড শুনে…..

#To_be_continue…….
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here