#The_murderous_mafia
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ০৮

কাল যে গাড়িটা এক্সিডেন করেছে তা কি প্ল্যান করা নাকি অন্য কিছু? আর সব রুগীকে এক হসপিটালে কেন নেওয়া হচ্ছে? নাকি ওখানেও কোনো গন্ডোগোল হচ্ছে এসব জানতে মাহমুদকে ফোন দিলাম।

মাহমুদ ফোন রিসিভ করতে….
আমিঃকি করছিস আর কালকের এক্সিডেন্টের ব্যাপার গুলো দেখছিস?
–না দেখার সময় হয়। ভাবলাম এখন দেখে জানাব তার আগেই তুই ফোন দিলি।
আমিঃওকে দেখ তো ওখানে কি হচ্ছে?
–ওকে।

আমি নাস্তা করে নিলাম।আর আপুকে অফিসে যেতে বললাম।কিন্তু আপু যেতে আরো সময় হবে নাকি।তাই কিছু সময় আপুর সাথে আড্ডা দেওয়া যায়…
আমিঃকালকের এক্সিডেন্টে টা তো দেখলে তোমরা কি মনে হয় এভাবে এক্সিডেন্টে হতে পারে?
আপুঃআমারো মনে হচ্ছে এটা প্ল্যান করে করা।
আমিঃআরো একটা ব্যাপার হচ্ছে সব গুলোকে একই হসপিটালে নেওয়া হচ্ছে।
আপুঃএখানেও অবশ্যই কোনো ঝামেলা নিশ্চয় আছে।
আমিঃআমারো তাই মনে হচ্ছে, মাহমুদকে চেক করতে বললাম। দেখি সে কি বলে।

দশ মিনিট পর মাহমুদ ফোন দিয়ে বলল এটা প্ল্যান করা এক্সিডেন্টে আর হসপিটালে যে রোগী গেছে তাদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ডাক্তাররা।আর তাদের পেছনে আছে এমপির ছেলে সাকিব।আর বিদেশি কোনো ডন।

আমি কথা শুনে বুঝলাম এই দেশ ও দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু বানাতে চাই ওরা।আমি আপুকে মাহমুদের বলা কথা গুলো বললাম।আপুও অবাক।মাহমুদ কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দিয়ে জানালো অনেক রুগী মারা গেছে আর অনেকের অপারেশন করানো হয়েছে। তখন আমার কেমন যেন সন্দেহ হলো।কারণ যেভাবে আহত হয়েছে অপারেশন করানোর দরকার নেই।আমার তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে নিয়ে নিচ্ছে না তো?

আমি তাড়াতাড়ি রাশেদকে ফোন দিলাম।আর হসপিটালে যেতে বললাম।এমন কিছু হচ্ছে কি না দেখতে।আমি আপুকে অফিসে দিয়ে এলাম।যদিও আপু আমাকে নিতে চাই নি।আপুকে অফিসের সামনে নামিয়ে দিয়ে বললাম, হসপিটালে ব্রাকিং নিউজ করতে যেও ডাক্তাররা দূর্ণীতি করতেছে ওখানে।আপু আমার কথা শুনে বুঝে গেল কি হচ্ছে ওখানে।
তারপর আমি বাসায় চলে এলাম।এই দিকে রাশেদ ছদ্মবেশ ধরে গায়ে রক্ত মেখে আহতের মতো করে হসপিটালে গেল।ট্রিটমেন্ট করতে গিয়ে ডাক্তার বলে অপারেশন করাতে হবে।রাশেদ জানতে চাইলে কি হয়ছে তখন ডাক্তার অনেক বড় রোগ হয়ছে বলে। আর অপারেশনের জন্য আপাতত এক লাখ টাকা লাগবে।সুস্থ হলে বাকি ৫০ হাজার দিতে বলে।রাশেদ সাথে থাকা আরেকজন ১ লাখ টাকা জমা করে দিল।সব গুলো অন্য জন প্রমাণ হিসেবে ভিডিও করতে লাগলো।রাশেদকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হল সে কিছু বুঝার আগেই তাকে ইনজেকশন পুশ করে দিল।কিছু বলতে চেয়েও সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।

ডাক্তার তো বেশ খুশি নগদ টাকা পেলো সাথে আরো একটা মানুষ। যার হার্ড, লিভার,কিডনি এমন কি চোখও বাকিগুলোর সাথে প্রাচার করে দিতে পারবে।এই বলে ডাক্তার খুশিতে রাশেদের গায়ে লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করছে।শরীরের বিভিন্ন অংশে লেগে থাকা রক্ত পরিষ্কার করে মুখের রক্ত পরিষ্কার করতে গিয়ে ডক্টর থেমে গেল।অর্ধেক পরিষ্কার করতে মনে হলো এই মুখটা তার চেনা।ডক্টর আবারো মুখটা পরিষ্কার করলো যখন পুরো মুখটা পরিষ্কার করে সামনে ভেসে ওঠল তখন ওখানে থাকা সবাই দূরে ছিটকে পড়লো।
মাফিয়াকে তারা প্রাচার করতে যাচ্ছিল আজ।ভয়ে ডাক্তার আবারো রাশেদের কাছে এলো।ডাক্তারের মধ্যে কথা হচ্ছে…..
–এই মাফিয়া কোথথেকে চলে এলো এখানে এখন কি করব?
~~এখন এ বেঁচে থাকলে আমরা মরব আর একে মারছি জানলেও আমরাই মরবো।
….কাটাটা খুব কঠিন জায়গায় লেগেছে না পারছি গিলতে না পারছি ফেলতে।

**এখন একটাই পথ খুলা আছে একে মেরে ফেলতে হবে আর যাতে কেউ না জানে সেভাবে কোথাও উধাও করে দিতে হবে।

–তাহলে তাই করি চল সবাই….

এই বলে সবাই রাশেদের কাছে যেতে সবাই ভয়ে কাঁপা শুরু করল।যখন রাশেদের হাতের শিরায় কেঁচি বসাতে যাবে তখনই বাইরে থেকে অনেক গুলো পোলাপান চলে এলো আর ওখানে থাকা সব ডাক্তারকে ধরে মারতে লাগল।ওখানে থাকা সব যন্ত্রপাতি ফেলে দিল।এবং চারজন ডাক্তারকে ইচ্ছে মতো মেরে বেহুশ করে ফেলে রাখলো এক কোনায়। রাশেদের ডান হাত রাশেদকে অনেক ডাকতেছে কিন্তু রাশেদ সাড়া দিচ্ছে না।এবার সবার আরো রাগ ওঠে গেল অজ্ঞান অবস্থায় ডাক্তার গুলোকে আবারো মারতে শুরু করল।

কিছু পোলাপান গিয়ে অন্য ডাক্তারকে ডেকে আনলো।উনি এসে রাশেদকে আরেকটা ইনজেকশন দিল প্রায় দশ মিনিট পর রাশেদের জ্ঞান ফিরল। ওঠে রাশেদ সবাইকে পাশে দেখে মাহমুদ মাথার পাশে বসে আছে।
রাশেদের জ্ঞান ফিরতে মাহমুদ কে বলল এখানে অনেক ঝমেলা হচ্ছে। ডাক্তার গুলো বলছিল কি যেন প্রাচার করবে হয়তো মানুষ প্রাচার করার কথা বলছে।

মাহমুদঃনা মানব প্রাচার নয় শরীর প্রাচারের কথা বলছে ওরা।সবাইকে পোলাপান ইচ্ছে মত খেলিয়েছে।এখন পুলিশকে ধরিয়া দেবার পালা।

তখনই টিভিতে ব্রেকিং নিউজ…..
চক্রান্ত করে গাড়ির এক্সিডেন করিয়ে রোগী হসপিটালে গেলে রোগীর কাছ থেকে অঢেল টাকা নেওয়া হচ্ছে আর অপারেশন করানোর নামে লিভার, কিডনি, চোখ প্রাচার করছে এই SK হসপিটাল।এই হসপিটালের মালিকের সাথে কথা বলে জানলাম সে এসব ব্যাপারে কিছু জানে না।সব কিছু করছে এখানে থাকা কিছু অসাধু ডাক্তার নামের কসায়।তাদের কাজে সহযোগিতা করছে এখানকার এমপি।আমরা এই ব্যাপারে এমপির সাথে কথা বলতে চাইলে সে আমাদের সাথে কথা বলে নি।

এসব সত্যি কি মিথ্যা জানতে এই শহরের মাফিয়া কিং রাশেদুল ইসলাম ছদ্মবেশ ধরে SK হসপিটালে যায়।তাঁকেও ঠিক সবার মত অপারেশন করতে হবে বলে নগদ এক লক্ষ টাকা আর কাজের পরে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে।রাজি হলে তারা রাশেদুল ইসলাম কে নিয়ে যায় অপারেশন থিয়েটারে। চলুন সে কেমন আছে এখন তার কি অবস্থা তার মুখ থেকে শুনে আসি।

-তা বলুন ওরা আপনার সাথে কি কি করেছে?
-রাশেদ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যা হল সব বলল।

কি করবে এখন সাধারণ মানুষ? যেখানে সাধারণ মানুষের রক্ষা করতে এমপি মন্ত্রীদের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হয় সেখানে ওরাই যদি মানুষের সাথে এমন ব্যাবহার করে তাহলে সাধারণ মানুষ কি করবে?
এই ছিল আজকের খবর।আপনাদের সাথে আমি নাসরিন সোলতানা প্রিয়া।

হ্যাঁ আপু এতক্ষণ খবর দেখাচ্ছিল।আপু ছাড়া আর কারো এমপি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে এভাবে বলার সাহস নেই।খবর শেষ করে ক্যামরা অপ করে আপু রাশেদের কাছাকাছি যেতে মাহমুদ বসা থেকে ওঠে আপুকে বসতে দিল।আপু রাশেদকে বলল….
আপুঃতুই কেন এত রিস্ক নিতে গেলি?
আপুর কথা শুনে সব পোলাপান একজন আরেক জনের দিকে তাকাচ্ছে। কারণ যেখানে রাশেদ কিংবা মাহমুদের সাথে দেখা করতে চাইলে তাঁকে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হয় সেখানে এই মেয়ে সোজা চলে এলো।আবার আসতেই মাহমুদ উঠে বসতে দিল।আবার একটু আগে টিভিতে আপনি করে বললো কিন্তু এখন সামনে এসে তুই বলে,মানুষ কাউকে কিছু বলতে বা করতে না পারলে পেছনে বদনাম করে তুই করে বলে গালিগালাজ করে। কিন্তুএই মেয়ে সামনে এসে করে বলে বলতেছে সবাই অনেকটা অবাক।

মাহমুদ সব পোলাপান কে বাইরে যেতে বলল…তারা চলে গেল।আপু আবার রাশেদকে বলল….
আপুঃতুই কেন এত রিস্ক নিলি?কাউকে তো পাঠাতে পারতি এভাবে নিজের রিস্ক নেওয়া তোর একদম ঠিক হয়নি।যদি তোর কিছু হয়ে যেত তাহলে……
রাশেদঃআরে আপু তুমিও না!একটু রিস্ক নিতেই হয়।না হলে বুঝব কেমনে কে আপন কে পর?কে রক্ষক আর কে ভক্ষক?
আপুঃতোর নীতি কথা শুনতে আমি এখানে আসি নি।তোদের নীতি কথা বলতে এসেছি।বুঝলি?
মাহমুদঃওকে আপু বল এখন কি করতে হবে?
আপুঃএরকম রিস্ক আর কখনো নিবি না।

রাশেদঃআচ্ছা ঠিক আছে আপু আর কখনো নিব না।

রাশেদের অবস্থা যেনে আমি হসপিটালে গেলাম।সবাই বসে কথা বলতেছে।আমাকে দেখে রাশেদ ওঠে বসল।আমিও রাশেদকে এমন রিস্ক না নিতে বললাম।
হঠাৎ কারো আওয়াজ শুনে পাশে দেখলাম।ডাক্তার চার জন পড়ে আছে।মাহমুদ ওসিকে ফোন দিয়ে হসপিটালে আসতে বলল….

কিছু সময়ের মধ্যে ওসি চলে আসল।মাহমুদ আর রাশেকে দেখে মনে অনেক ভয় জমে আছে।মাহমুদ পড়ে থাকা ডাক্তারদের দেখিয়ে মানব প্রাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করতে বলল…
ওসি চারজন ডাক্তরকে নিয়ে চলে গেল থানায়।মাহমুদ যাওয়ার সময় বলে দিল এদের থার্ড ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে আর দিতে হবে না।একটু ট্রিটমেন্ট করলে হবে।

আমরা সবাই হসপিটাল থেকে বের হয়ে এলাম।বাইরে রাশেদের সব পোলাপান দাড়িয়ে আছে। আপু আর আমি অন্যদিকে গেলাম।আর মাহমুদ-রাশেদ এক দিকে গেল।তারা বাসায় চলে গেল আমরাও বাসায় চলে গেলাম। বাসায় গিয়ে খবর দেখলাম এমপির বাসার সামনে পুলিশ আর সাধারণ জনতা। সাধারণ মানুষ এমপির বাসায় পাথর মারছে আর পুলিশ নিজের কাজ করছে তাদের বাঁধা দিয়ে।বলা যায় সাধারণ জনতা আর পুলিশের মধ্যে মারামারি চলতেছে।

আমি কিছু সময় পর রাশেদ আর মাহমুদ কে ফোন দিলাম।আর আমাদের স্পেশাল গোপন আস্তানায় আসতে বললাম।বিকাল হতে তারা চলে এল।এখানে অবশ্য খুব দরকারি কথা কিছু বললে আসা হয়।আর এই জায়গায় আমরা তিনজন ছাড়া কেউ আসতে পারে না।প্রথমে তিনজনের চেহারা দেখে দরজার মধ্যে কোডের অপশন আসবে, যদি মুখের সাথে না মিলে তাহলে কোডের অপশন আসবে না।কোডের অপশন আসার পরে কোড দিয়ে দরজা খুলতে হবে।আর দরজা একটা হলেও তিনজনের কোড আলাদা।কেউ পর পর তিনবার ভুল কোড দিলে পাশে থাকা গুলি থেকে অটো ফায়ার হবে।তিনটা গুলি থেকে একসাথে ফায়ার হবে।বলা যায় ওখানে মৃত্যু অনিবার্য।

তিনজন গিয়ে একটা টেবিলে বসলাম।
মাহমুদঃদেশের অবস্থা খুব খারাপ হচ্ছে এভাবে চললে দেশের ধ্বংস অনিবার্য।
রাশেদঃদেশে অনেক মাফিয়া বেড়ে গেছে।আর ড্রাগস ডিল থেকে শুরু করে মানব প্রচার, ধর্ষণ সবকিছু আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।আর আন্ডার ওয়ার্ল্ড এদেশকে তাদের অস্ত্র রাখার জন্য নিবার্চন করেছে।আর এমপির মতো কিছু লোক তাদের কাজে সাহায্য করছে।হয়তো বাধ্য হয়ে নয়তো বাধ্য করে।

মাহমুদঃআর পিকাসো এখন দুবাইতে আছে।দেশের এই অবস্থা ঠিক করতে হলে আমরা যে কোনো সময় পিকাসোর হাতে পড়তে পারি।

রাশেদঃদু’এক দিনের মধ্যে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের একজন ডন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এটাক করবে।তবে জানা যায় না তারা কোথায় এটাক করতে পারে।তবে আমাদের নজরে রাখতে হবে দেশের যে স্থানে জনসংখ্যা বেশি বা চলাচল বেশি সেসব স্থানে।
সাথে নির্জন স্থানেও আমাদের চোখ রাখতে হবে।তারা কখন কোন সময় হামলা করবে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায় নি।তবে ধারণা করা যায় রাতে তারা এই হামলা করতে পারে।

আমি এতক্ষণ চুপ থেকে ওরা দুজনের কথা শুনছিলাম।কিন্তু এবার না বললে হবে না।

আমিঃআগে এমপিকে ধরে নিয়ে আয় আর তার থেকে কথা বের কর কে বা কারা হামলা করতে পারে।আর তাসিয়া ধর্ষণের বিচারও খুব তাড়াতাড়ি হবে।

রাশেদঃতাহলে এখন কি আগে এমপিকে ধরে নিয়ে আসব?
আমিঃহুম আগে ওকে ধরে আন তারপর থর্ড ডিগ্রি দেয় কথা বের হবে।তাও না বললে আরেকটু কষ্ট করে নক গুলো তুলে নিবি।তারপর তোতা পাখির মতো বলে দিবে।

মাহমুদঃপিকাসোর কাছে আমাদের খুব তাড়াতাড়ি যেতে হবে।ইতোমধ্যে পিকাসো অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে।আশা করছি কে বা কারা এদেশের উপর হামলা করতে যাচ্ছে তার কিছু টা তথ্য পিকাসোর থেকে পাওয়া যাবে।

আমিঃকিন্তু এই সময় আমাদের রিস্ক নেওয়া যাবে না।পিকাসোর কাছে যেতে অনেক রিস্ক। আগে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে।

রাশেদঃআমাদের পাশাপাশি দেশে যে কতগুলো ডন হয়েছে তাদেরও সচল করতে হবে।তারাও এই মিশন থেকে দেশকে রক্ষায় ভুমিকা রাখতে পারে।

মাহমুদঃহুম এই কথাটা ঠিক।কিন্তু রিস্কও আছে যদি ওরা যেনে যায় যে আমরা তাদের মিশনের ব্যাপারে জেনে গেছি তাহলে তারা আরো বড় কিছু প্ল্যান করতে পারে।

#To_be_continue…….
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here