#Gangster_Husband
#Part_4
#Writer_Fariha_Jannat_Oriddhi
,
বর্ণ বেডের দিকে তাকিয়ে দেখে বেডে একটা পরী শুয়ে আছে,,,,, বর্ণ বিন্দুকে এর আগেও অনেক বার দেখেছে কিন্তু তা প্রতিশোধের দৃষ্টিতে
ভোরের আলোতে বিন্দুকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে
যাকে বলে ডানা কাঁটা পরী,,,,, 😊
,
বর্ণ বিন্দুর মুখের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে,,,,,
বিন্দুর মুখটা জেনে মায়ায় ভরা,,,,
বর্ণের চোখ যায় বিন্দুর শরীরের দিকে,,,,,,
বর্ণ আঁতকে উঠে সে কাল রাতে রাগের মাথায় মেয়েটার কি অবস্থাটায় না করেছে,,,,,,,
নিষ্পাপ পিচ্চি মেয়াটাকে সে রাক্ষসের মত কামড় দিয়েছে,,,,
বিন্দুর ফর্সা শরীরে বর্ণের দেওয়া কামড় গুলো কেটে বসেছে,,,,,,
বিন্দু পুরা শরীরেই বর্ণ রাগের মাথায় কাল,,,,, বাঘের মত কামড় দিছে,,,,,,,,, যা বিন্দুর মতো পিচ্চি মেয়ের এ যন্ত্রণা সহ্য হয় নি,,,,,,,,,
,
বর্ণ অনুতপ্ত হয়ে বিন্দুর দিকে এগিয়ে যায়,,,,,,,
বিন্দুর মাথার পাশে বেডে যেয়ে বসে,,,,,,,
বর্ণ বিন্দুকে যে অবস্থার রেখে গেছে সে অবস্থায় আছে,,,,,,,
শাড়িটাও এলোমেলো হয়ে আছে,,,,,, যার জন্য সব ক্ষত স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে,,,,,,
বর্ণ কল্পনাও করতে পারে নি সে বিন্দুর এমন অবস্থা করবে,,,,,,
বিন্দুকে এই অবস্থায় দেখে তার বুকের ভেতর কেঁপে ওঠে নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে দু ফোঁটা পানি বের হয়,,,,,,,
,
বর্ণ উঠে যেয়ে বিন্দুর জন্য মলম নিয়ে আসে
বিন্দুর ক্ষত স্থানে লাগানোর জন্য
বর্ণ মলম হাতে নিয়ে যখন বিন্দুর ক্ষত স্থান গুলোতে লাগাতে যাবে তখন বর্ণের আগের কথা মনে পরে যায়,,,,,
তাদের সাথে ঘটে যাওয়া অত্যাচার,, অবিচার,,, আঘাতের কথা মনে পড়ে যায়
,
বর্ণ সাথে সাথেই ভয়ানক রূপ ধারণ করে
হাতের মলম ছুড়ে ফেলে দেয়
বর্ণ সেন্সলেস হওয়া বিন্দুকেও ছাড় দেয় না,,,,, বিন্দুকে ঐ অবস্থায় বেডে বসিয়ে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে বলে
,
আমি তোকে আর তোর বাবাকে কোন দিনও ক্ষমা করবো না,,,,, আরে তোরা তো মানুষ নামে অমানুষ,,,,,, মানুষের থেকে তোরা শুধু কেড়ে নিয়েত জানিস,,,, তোদের মত মানুষরা যে কোন বেচে আছিস,,,, তোরা সমাজের কলঙ্ক,,,,,, আমি তোকে আর তোর বাবাকে কিছুতেই ছাড়ব না,,,,,,,
আরে তোর বাবার দেওয়া আঘাতের থেকে আমার দেওয়া আঘাত তো সামান্য মাএ
তোদের বাবা মেয়ে কে আমি আঘাতে আঘাতে শেষ করব,,,,,, আমি জানি এখানে থাকলে আমি তোর উপর অত্যাচার করতে পারব না
মনি মা বাধা দিবে,,,,,,
আমি তোকে অনেক দুরে নিয়ে যাব,,,,,,,, কয় দিন ঘুমিয়ে নে শান্তি করে আর তো মাএ কয়েকটি দিন তোদের বাবা মেয়ের শান্তির ঘুম আমি হারাম করব,,,,, [ শয়তানি হাসি দিয়ে ]
,
বিন্দুর এখন আস্তে আস্তে করে জ্ঞান ফিরছে,,,,, কারণ বর্ণ যে ভাবে ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে কথা বললো তার উপর আবার কথা শেষ করে বর্ণ বিন্দুকে বেডে ফেলে দিয়ে যায়
,
বিন্দু সারা শরীরে খুব ব্যথা অনুভব করছে,,,,,, মাথাটা ভারি লাগছে আর কানের কাছে ভাঙা চোরার আওয়াজ আসচ্ছে,,
বিন্দু কিছু বুঝাতে পারে না,,,,,,
সে একটু একটু করে চোখের পাতা খুলে,,,,
চোখটা খুলার শক্তিটুকু ও পাচ্ছে না বিন্দু
এতটা খারাপ লাগছে তার বলে বুঝানো যাবে না,,,,,,,,,
বিন্দু তাকিয়ে দেখে বর্ণ রুমের জিনিস গুলো ভাঙ্গছে
বর্ণ কে দেখতে একদম রাগি বাঘের মতো লাগছে,,,,,,
বিন্দু এমন অবস্থায় বর্ণ কে দেখে ওর বুকটা ভয়ে কেপে উঠে সে কান্না করে দেয়,,,,,,
কালকে বর্ণের দেওয়া আঘাতের ব্যথায় ও আজকে এমন অবস্থায় বর্ণকে দেখে
বিন্দুর গলা শুকিয়ে যায় ভয়ে,,,, কি ভাবে সে এই মানুষ রূপী রাক্ষসটার কাছে থেকে মুক্তি পাবে,,,,,
কি এমন ভুল করেছে সে যার জন্য এই রাক্ষসটা তাকে ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে,,,,,,
বিন্দু কিছু বুঝতে পারছে না,,,,,,
ওর চোখ দিয়ে শুধু অঝর ধারায় পানি পরছে
মুখে হাত দিয়ে কাঁদছে ও
যাতে করে ঐ রাক্ষটা শুনতে না পারে,,,,
এমন অবস্থা যদি দেখে বিন্দু জেগে গেছে তাহলে ওকেও ছুড়ে ফেলে দেবে,,,,,,,,,,
,
বর্ণের কিছুটা রাগ কমে যায়,,,,,
ও বাহিরে যাওয়ার জন্য ডোর খুলতে যেতে নেয় আর তখনি কান্নার আওয়াজ শুনতে পারে,,,,
বেডে তাকিয়ে দেখে বিন্দু কাঁপছে আর ওর মাথা নড়ছে,,,
ওপাশে হয়ে শুয়ার কারণে তার মুখকা দেখা যাচ্ছে না,,,,,,,,
,
বর্ণ শয়তানি হাসি দিয়ে বিন্দুর দিকে এগিয়ে যায়,,,,,,
বিন্দু বুঝতে পারে নি,,,,,
বুঝবেই বা কি করে ও তো অন্য দিকে মুখ দিয়ে কাঁদছে,,,,,,,,,
কিন্তু তাও বর্ণের চোখ এড়াতে পারে নি,,,,,,,,,
,
বর্ণ বিন্দুর কানে কাছে যেয়ে জোরে চিৎকার দেয়
আচমকাই এমন চিৎকারে বিন্দু খুব ভয় পেয়ে যায়,,,,,
বিন্দু পিছনে ফিরে বর্ণ কে দেখে জোরে জোরে কেঁদে দেয়,,,,,,,,
,
বিন্দুর এভাবে কাঁদা ও ভয় পাওয়া দেখে বর্ণ জোরে শব্দ করে হেসে দেয়
বিন্দর কষ্ট পাওয়াতে ওর থেকে বেশি সুখী ব্যক্তি মনে হয় কেউ নাই,,,,,,
,
বর্ণ হাসি থামিয়ে বিন্দিকে একঝটকায় বেড থেকে তুলে
এমন আচমকাই এভাবে তুলাতে বিন্দু ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়
বিন্দু দাড়াতে পাড়ছে না ব্যথায়
ওর পুরো শরীর ব্যাথা করছে,,,,
ও ফ্লোরে ধপ করে পড়ে যায়
,
বর্ণ বিন্দুর দিকে তাকিয়ে আছে
বিন্দু উঠার মত শক্তি টুকু হাড়িয়ে ফেলেছ ,,,,,
বর্ণ যেয়ে বিন্দুর পাশে ফ্লোরে বসে
বিন্দু ঘৃণার চোখে বর্ণের দিকে তাকায়
বর্ণ বলতে শুরু করে,,,,,,
কি জান খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না,,,,,, [শয়তানি হাসি দিয়ে ]
কোথায় গেলো তোমার বড় বড় লেকচার শুধু একটু কামড় উপসসসস্ সরি কিস দিছি তাতেই এমন অবস্থা
আর তো কিছু করিই নি,,,,,,,
কাল যা করেছি তার পরে থেকে জানে যদি ভয় থাকে তাহলে আমার মুখে মুখে কথা বলবে না,,,,,,,
আমি যা যা যেমন যেমন যেভাবে বলব তাই করবে,,,,,,
আর এইসব কাঁদার নাটক আমার সামনে করতে এসো না,,,,,,
,
তাড়াতাড়ি ওয়াশরুমে যেয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো
বিন্দুর হাতে একটা শাড়ি ধরিয়ে দিয়ে বললো কথাটা
বিন্দু চোখ বন্ধ করে আজর ধারায় কান্না করছে,,,,,,,
ওর সাথে কাল থেকে যা যা হচ্ছে ও কিছুই বুঝতে পারছে না,,,,,
একটা খারাপ সপ্নের মত লাগছে,,,,,
,
এই মেয়ে কথা শুনো না
জোরে কথা না বললে হয় না
,
বিন্দু নিচের দিকে হয়ে কাঁদছে
,
বর্ণ ওর গান টি নিয়ে বিন্দুর দিকে টার্গেট করে,,,,,
ধমক দিয়ে বলে এখন যদি না ওঠো তাহলে আমি কি করতে পারি তা ভালো করে জানো তুমি,,,,,,,
আর না জানলে বলো আমি প্রয়োগ করে দেখিয়ে দেয়,,,,,
,
বিন্দু ভয় পেয়ে ধীরে ধীরে উঠে ওয়াশরুমে যায়
শাওয়ার ছেড়ে দিয়ে কাঁদতে থাকে বিন্দু
কেন বর্ণ তার সাথে এমন করছে,,,,,,
বর্ণ কে দেখে তো Gangster মনে হয় না
ও কেন এই পথ বেছে নেয়,,,,
কেন তাকে এসব করছে,,,,,,,
বিন্দু জোরে জোরে চিৎকার করে কাঁদছে
আর নিজের শরীর বার বার ওয়াস করছে,,,,, বিশেষ করে বর্ণ যে জায়গা গুলিতে কামড় দিছে,,,,,, শরীরে পানি পড়াতে বর্ণের কামড় ও আচরের লাগ গুলো স্পষ্ট হয়ে গেছে,,,,,,,,
বিন্দু কে তার বাবা কখনো কনো কষ্ট দেয় নি,,,,, তাকে কেউ কখনো একটা থাপ্পড় অবধি মারে নি আর আজ তাকে কতো কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে,,,,,,,
বিন্দু কেঁদে বলে পাপা আমি এই কষ্ট থেকে মুক্তি চাই,,,,, আমি আর এই gangster টাকে সহ্য করতে পারছি না,,,,,,,
তুমি আমায় নিয়ে যাও পাপা
আমি যে মরে যাবো,,,,,,,,
চিৎকার করে করে বলছে
,
ওয়াশরুমে কেউ জোরে জোরে নক করে
বিন্দু ভয় পেয়ে যায়
নক করার শব্দ ক্রমশই বাড়তে থাকে
মনে হচ্ছে এখন ডোরটা ভেঙ্গে যাবে,,,,,,
বিন্দু কি করবে বুঝতে পারছে না এ যে বর্ণের কাজ তা ভালো করেই জানে সে,,,,,,,
,
একসময় শব্দটা কম হয় বিন্দু হাব ছেরে বাচে কিন্তু এটা আর বেশি ক্ষণ স্থায়ী হলো না,,,,,,,,,
আবার নক করে,,,,,,,,
এবার বিন্দু খুব রেগে যায়
এমনি তে ও সব সময় বিন্দুর উপর অত্যাচার করে করে বিন্দুর শান্তি টুকু কেড়ে নিছে,,,,,,
আর এখন ওর মন খুলে কান্না করা টুকু ও সহ্য হচ্ছে না,,,,,,,,,,,
বিন্দু উচ্চস্বরে কে বলে ঝাঁঝালো কন্ঠে,,,,,,,
,
ওপাশে থেকে,,,,,,,,,,
,
,
,

চলবে,,,,,,,,,,,,,,
#তোতাপাখি
[ বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here