#Gangster_Husband
#Part_12
#Writer_Fariha_Jannat_Oriddhi
চারিদিকে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। জানালা ভেদ করে আসছে মিষ্টি রোদ যা পরেছে বর্ণের মুখে আর বিন্দুর পিঠে।
সকালের মিষ্টি রোদ বর্ণের চোখে পরাতেই একটু একটু করে বর্ণ চোখ খুলার চেষ্টা করছে।বুকের উপরে ভারি কিছু অনুভব করছে তা কি ভালো করে বোঝার জন্য চোখ দুটো ভালো করে খুলে তাকিয়ে ও নিজেই শকড, একি এ কি করে সম্ভব! আমি তো কালকে বারে ছিলাম ড্রিংকস করছিলাম তারপর তারপর কিছু মনে পড়ছে না কেন ?আহ্! “বর্ণ মাথাটা দু হাত দিয়ে ধরলো, মাথাটা কেন জানি ভারি ভারি লাগছে উফ! তারপর নিজের অজান্তেই হাত গেলে তার বুকের উপর চুপটি মেরে ঘুমিয়ে থাকা ছোট্টো পরীর দিকে। মনে হচ্ছে পৃথিবীর সমস্ত সুখ তার বুকের উপর কিন্তু এই মেয়েকেই ত সে এতো দিন কষ্ট দিয়েছিলো। ক্ষমা করবে কি তার পিচ্চি টা? মনের ভিতরে নানান জমানো প্রশ্ন। এসব ভাবতে ভাবতে ও ভালো ভাবে খেয়াল করে বিন্দু ও নিজের দিকে দুজনের কারো শরীরে কাপড়ের ছিটে ফোঁটা ও ছিলো না, চাদর দিয়ে তাদের শরীর ঢাকা। বর্ণে আস্তে আস্তে সব মনে পড়ছে ও নেশার ঘোরে কি করে ফেলছে যদিও বিন্দু ওর বৌ কিন্তু ও নেশা করা অবস্থায় বিন্দুর মতামত না নিয়ে ও এটা ঠিক করে নি। নিজেকে নিজের কাছেই ছোট মনে হচ্ছে! বর্ণ কিছু ভাবতে পারছে না।
বিন্দুও নড়েচড়ে উঠল একটু সময় নিয়ে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে সে বর্ণের বুকে, বর্ণকে খুব শক্ত করে ধরে আছে তারপর নিজের দিকে তাকিয়ে নিজের অবস্থা ও কাল রাতের কথা মনে পরতে চোখ দিয়ে দু ফোটা জল গড়িয়ে বর্ণের উন্মুক্ত বুকে পরে যায় বর্ণ চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় অনুভবে বুজতে পারছে। বিন্দু চাদর শরীরে জরিয়ে একবার বর্ণের দিকে তাকিয়ে ওয়াশরুমে যায়।
বিন্দু যাওয়ার পরে বর্ণ চোখ খুলে এবং তার খুব খারাপ লাগে, সে এমন করতে চায় নি। ও ত শুধু প্রতিশোধ নিতে বিয়ে করেছিলো !
বিন্দু ওয়াশরুম থেকে গোলাপি রঙের শাড়ী পরে চুলে টাওয়াল পেচিয়ে বেড়িয়ে আসে। দুজনের চোখাচোখি হয়, বিন্দু চোখ সরিয়ে নেই। বর্ণ এক ধ্যান এ বিন্দুর দিকে তাকিয়ে থাকে। বিন্দু চুল গুলো মুছে রেডি হয়ে নীচে চলে যায়। বর্ণ বিন্দুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে।
বিন্দুকে নিচে নামতে দেখে মনিমা বলে উঠলো “একি তুমি নামছো কেন বৌমনি? তুমি ত অসুস্থ! তোমার খাবার আমি কুসুমকে দিয়ে পাঠিয়ে দিবো। তুমি উপরে যাও।
–“মনিমা আমি ঠিক আছি। সারাদিন রুমে থেকে আমি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বো। বলে বিন্দু ডাইনিং টেবিলের দিকে যায় চোখ পড়ে বসে থাকা 27-28 বছর বয়সী একটা ছেলের দিকে, ছেলে বললে ভুল হবে যুবক এর দিকে।
সেই অচেনা লোকটি মনিমা কে প্রশ্ন করে “মনিমা এই ছোট্ট পুতুলটি কে গো?
–“এটা তো বর্ণের বৌ
–“ওহ্ আচ্ছা !বলে শ্রাবণ বিন্দুর দিকে এগিয়ে যেয়ে বলে —পুতুল ভাবি আমি কিন্তু তোমার বুড়ো দেবর বুজলে !
বিন্দুর অস্তিত্ব ফিল হচ্ছে তার মধ্যে উপর থেকে বর্ণ নেমে আসে বর্ণকে দেখে শ্রাবণ দৌড়ে তাকে জড়িয়ে ধরে দুজন দুজনকে জড়িয়ে নেয়।
শ্রাবণ বলতে শুরু করে —“সালা বিয়ে করলি অথচ আমায় একটি বার ও বলার প্রয়োজন মনে করলি না?
–“ভাই ঠিক তা না হঠাৎ করেই হয়ে গেলো। তুই কখন আসলি?
–“আমি ত কাল রাতে এসেছি। আমি চাইছিলাম তোকে সারপ্রাইজ দিতে তার আগে আমি নিজেই সারপ্রাইজ পেলাম।
–“আসলে নানা টেনশনে তোকে বলতে ভুলে গেছি।
–“ভুলে না বল সময় পাস নি এতো সুন্দর বউকে সময় না দিয়ে কি আমায় দিবি !এতো সুন্দর বউ রেখে কি ঘুম হয় তোর?
ওদের কথা চলছে বিন্দু মনিমার কাছে বসে আছে মনিমা বলে
–“অনেক কথা হলো এবার খেতে এসো বর্ণ শ্রাবণ। কুসুম উপরে যেয়ে বর্ষাকে ডেকে নিয়ে আয়
বর্ষার কথা শুনে শ্রাবণের বুকের ভিতর কেমন জানি করে উঠে।
সবাই খেতে বসে বর্ষাও এসে যায় কিন্তু ও আজকে অন্য দিনের মতো কথা বলছে না চুপচাপ খেয়ে উঠে যায়। মনিমার আদেশ বিকালে সবাই একসাথে ঘুরতে যাবে বর্ণ, বর্ষা ,বিন্দু ও শ্রাবণ ।
তাই সবাই খেয়ে যে যার রুমে বিশ্রাম নিচ্ছে বিন্দু ওর রুমে না যেয়ে বর্ষার রুমে যায় ।
বিন্দু যেয়ে দেখে বর্ষা শুয়ে আছে।
–“বর্ষা শরীর খারাপ নাকি তোমার? কপালে হাত দিয়ে
–“না ভাবি আমি ঠিক আছি।
–“ত মন খারাপ। আজকে তোমায় অন্যরকম লাগছে খাবার খেতে যেয়েও আজকে কথা বলো নি ! কি হয়ছে? আমায় বলো
কিছুনা বৌমনি বলে বর্ষা বিন্দু কে জরিয়ে ধরে ।
,
পাঁচটায় বর্ণ ও শ্রাবণ গাড়িতে ওয়েট করছে বর্ষা ও বিন্দুর জন্য।
বর্ষা ও বিন্দু দুজন রেডি হয়ে গাড়ি কাছে আসে। বর্ণের চোখ আটকিয়ে যার বিন্দুকে দেখে, বিন্দু কালো রঙের জামদানী পড়েছে হালকা মেকআপ নম্বা চুল গুলো পিঠে ছড়িয়ে আছে শরীরে হালকা গহনা সব মিলে এক অপরূপাকে দেখছে বর্ণ।
এদিকে শ্রাবণ সামনে তাকিয়ে দেখে বর্ষা লাল রঙের লং জামা পড়ে এসেছে ওকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছে দুজনের চোখাচোখি হওয়া ই দুজন চোখ নামিয়ে নেয়। শ্রাবণ বর্ণকে হালকা ধাক্কা দেয়। ওর ঘোর কেটে যায়।
বর্ণ ড্রাইভিং সীটে বসে তারপাশে বিন্দু পিছনে শ্রাবণ ও বর্ষা।
ওরা একটা নদীর পারে যায় বিন্দু নদী দেখে এগিয়ে যায় পিছনে বর্ণ ও যাচ্ছে
এদিকে বর্ষা ও শ্রাবণ দাড়িয়ে আছে
সব নীরবতা ভেঙে শ্রাবণ বর্ষাকে বলে
–কেমন আছো?
—আলহামদুলিল্লাহ! “আপনি ?
–আছি একটু ভালো একটু খারাপ।
–“একটু ভালো একটু খারাপ কেন ?
–একটু ভালো কারণ অনেক দিন পর তোমাদের সাথে দেখা হয়ে। একটু খারাপ কারণ যার জন্য এসেছি সেই ত আমার সাথে কথা বলে না।
–“সে কে? ভাবি নাকি!
–“বলতে পারো!
শ্রাবণের কথা শুনে বর্ষার চোখ পানি আসে ও নিজেও জানে না কেন ?
এদিকে বিন্দু ও বর্ণ দুজন দু প্রান্তে দাড়িয়ে আছে। কেউ করো সাথে কথা বলছে না। বিন্দু বলছে না রাগে ভয়ে আর বর্ণ! ও যা করছে এতে করে বিন্দুর সাথে কথা বলতেও ওর লজ্জা করছে ।
হঠাৎ করে বর্ণে চোখ যায় পাশ দিয়ে যাওয়া……..
,
,
,
চলবে,,,,,,???
[ বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ]