#প্রাণহন্ত্রী (১১) [ সমাপ্তি পাতা ]
দেখতে দেখতে কেঁটে গেছে তিনটে মাস। প্রতি নিয়ত নিজের কাজের প্রতি ফোকাস করে যাচ্ছে দীপ্তি। হাত চালান টা ও বেশ ভালো হয়েছে। মোটামুটি সে এখন দক্ষ পুলিশ অফিসার। সমস্ত সাহায্য ই করেছে কুশল। যদি ও কুশল চিত্র শিল্পী তবে তাঁর এই কারুকার্যের বাহিরে ও অস্ত্র শিক্ষা রয়েছে। বেশ ভালোই জানে সে। হয়তো আর ও ভালো জানতে পারতো যদি না এগারো বছর বয়সেই নিজের পরিবার কে না হারাতো। বয়স ত্রিশ পেরিয়ে গেছে। নাস্তার টেবিলে বসে হুট করেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দীপ্তি” আমার অফিসের এক ম্যাম আপনাকে বেশ পছন্দ করেন। ওনার বয়স সাতাশের কাছাকাছি। এই বয়সেই বেশ ভালো সফলতা জমিয়েছে। দেখতে ও খুব সুন্দরী, তো ওনি বললেন আমি যেন আপনাকে বিষয় টা জানাই। বিয়ে করবেন ওনাকে? ”

” হঠাৎ আমার বিয়ে নিয়ে পরলে যে? ”

” ওমা পরবো না। এত্রিশ পেরোলো যে। ”

” এখনো পেরোয় নি। আরো ছয় টা দিন বাকি। ”

” চোখের পলকে কেঁটে যাবে। এখন বলুন ম্যাম কে কবে আসতে বলবো? ”

” বারন করে দিও। আমি বিয়ে টিয়ে করতে চাই না। ”

” তাহলে আমাকে বিয়ে দিয়ে দিন। ”

দীপ্তির কথাতে কাঁটা চামচ থমকে যায়। মেয়েটার দিকে কয়েক সেকেন্ড ভ্রু কুঁচকে তাকায়। পরক্ষণেই খাবারে মনোযোগ দেয়। ভারী অবাক হয় দীপ্তি। মাথাটা নিচু করে কুশলের দিকে উঁকি মারে। খাবার শেষ করে কুশল বলে ” রেডি হও বের হবো। ”

” কোথায় যাবো? ”

” গেলেই দেখতে পাবে। ”

” আর ম্যাম এর বিষয়টা? ”

” নট ইন্টারেস্ট। ”

কুশল চলে যায়। চেয়ারে বসে পরে দীপ্তি। কয়েক সেকেন্ড পর গগন কাঁপিয়ে হাসে। কুশল কে আচ্ছা টাইট দেওয়া গেছে। অবশ্য এটা ও সত্যি কুশলের বয়স তো কম হলো না।

গাড়ি চলছে। দীপ্তি ক্লান্ত। একটু পর পর ই ক্লান্ত ময় নিশ্বাস ফেলছে। কুশলের হাঁফ ভাব ঠিক নয়। না জানি কোন পঁচা ডোবা তে ফেলে দেয়।

হঠাৎ করেই গাড়ি থেমে যায়। কিছুটা অন্যমনস্ক থাকায় ঝুঁকে যায় দীপ্তি। কুশলের দিকে রাগি দৃষ্টি মেলে দেয়। সান গ্লাস পরে ছেলেটা। বহু দিন পর সান গ্লাস পরলো। যতো টা খারাপ লাগবে ভেবেছিলো ততোটা খারাপ লাগছে না। বরং অনেক সুন্দর ই লাগছে। কিছু টা গুছিয়ে দীপ্তির দিকে তাকালো। হা হয়ে তাকিয়ে আছে দীপ্তি। একটু কাশতেই দীপ্তির ধ্যান ফিরে। হঠাৎ করেই ভীষন লজ্জা লাগে। কুশল বলে ” নামো। ”

” কেন? ”

” ক্যাফে যাবো তাই। ”

” আগে বলবেন তো। এই আমি তো একটু ও সাজ গোঁজ করলাম না। ”

” তুমি এমনিই সুন্দর। ”

” সত্যি? ”

” হুমম। ”

ভাব বেড়ে যায় মেয়েটার। কে বলবে এই মেয়ে আই পি এস অফিসার। এখন অবশ্য ভয় পায় না। তবে মেয়েলি স্বভাবের লজ্জা টা কখনোই যায় না।

ক্যাফে তে আসতেই চোখে পরে কুশলের বন্ধুর ছোট ভাই সূর্যকে। দু চোখ মেলে তাকিয়ে আছে দীপ্তির দিকে। ছেলেটা যেমন সুন্দর তেমনি ব্যবহার। কুশল কে দেখেই উঠে দাঁড়ায়।

সবাই এক সাথে বসে কফি অর্ডার করে। গরম কফি কাঁপে চুমুক দেয় দীপ্তি। ঠিক তখনি কুশল বলে ” দীপ্তি ওকে তো চিনোই।আমার বন্ধুর ছোট ভাই সূর্য।তোমাকে পছন্দ করে ওহ। বিয়ের জন্য ওকেই উপযুক্ত মনে হয়। তোমার মতামত টা বলো? ”

গরম কফি লেগে ঠোঁটের কোণে ছ্যাঁকা লাগে। তাঁর থেকে বেশি ছ্যাঁকা লাগে মনে। কুশলের দিকে রক্তিম চক্ষু দিয়ে তাকায়। সূর্য লজ্জায় মাথা নত করে আছে। ছেলেটার চুল ছিড়তে পারলে ভালো লাগতো। কুশলের প্রতি বিশাল রাগ জমেছে। সূর্যের সামনে প্রকাশ করতে চাচ্ছিলো না। তবে পকেট থেকে রিং বের করতেই দীপ্তি জ্বলে উঠে। কুশলের সানগ্লাস টা হাতের সাহায্যে ভেঙে ফেলে। টেবিলে লাথি মে*রে চলে যায়। আচমকা এমন করাতে সূর্য আর কুশল দুজনেই অপ্রস্তুত হয়। ছুটে আসে কুশল। দীপ্তির বাহু চেপে ধরতেই কেঁদে দেয় মেয়েটা। কুশলের মনে কোনো সন্দেহ নেই। তবে মেয়েটাকে নিজের অনুভূতি বলার কোনো উপায় ও নেই। দুটো ভিন্ন পৃথিবীর মানচিত্র এক করা সম্ভব নয়। কখনোই নয়।
.
রাত নয় টা বাজে। দীপ্তি অপেক্ষা করছে বারো টা বাজার। কুশল কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাবে।সেই সাথে জমিয়ে রাখা অনুভূতি টুকু ও বলে দিবে। কিছুটা ভয় হচ্ছে যদি কুশল না মেনে নেয়। তবে এভাবে টানা পোড়ানে রাখা ও ঠিক নয়। কুশলের ঘর থেকে খচখচ শব্দ কানে আসতেই দীপ্তির ভাবনা তে বিভ্রাট ঘটে। উড়না জড়িয়ে সে চলে কুশলের ঘরের দিকে। তবে কুশল তাঁর আগেই বেরিয়ে যায়।

দীপ্তি পিছু ডাকে তবু সে ডাক কুশলের কর্নপাত হয় না। সে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরেছে। ভেতর থেকে কান্না আসতে চায় মেয়েটার। অজানা ভয়ে বুক কেঁপে উঠে। তবে কি কুশল , আর ভাবতে পারে না। নিজের স্কুটি নিয়ে পিছু করে। ঠান্ডা বাতাসে এলোমেলো হয় চুল। খোলা চুল গুলো মুখে এসে লাগে। চোখ দিয়ে পানি গড়ানোর কারনে কিছু টা চুল মুখে লেপ্টে আছে। তাঁতে যেন মেয়েটার কোনো খেয়াল ই নেই। গ্রামের পথে যাচ্ছে কুশলের গাড়ি। এবার ভয় বেড়ে যায়। নির্ঘাত মহলে যাচ্ছে ছেলেটা। নিজের জীবন কে বিপন্ন করে একি করতে যাচ্ছে কুশল?

স্কুটিতে হাত রেখেই অন্য হাতে নাম্বার ডায়াল করে কল করে কুশল কে। ওপাশ থেকে মেয়েলি কণ্ঠ খুব সুন্দর করেই বলে দিচ্ছে” আপনি যেই নাম্বারে কল করেছেন সেই নাম্বার টি এখন বন্ধ আছে। ”

হিঁচকি তুলে কাঁদতে থাকে দীপ্তি। কুশলের গাড়ির গতি অনেক বেশি। দীপ্তি পারছে না আটকাতে। হঠাৎ করেই অন্য রাস্তাতে গাড়ি ঘোরায় কুশল। কিছুটা বিব্রত হয়ে পরে দীপ্তি। সাথে পিছে পরে যায়। চোখের আড়াল হয় কুশলের গাড়ি।

দীর্ঘশ্বাস ফেলে কুশল। সময় এসেছে ধ্বং*স করার। দীপ্তিকে সাথে না আনার একটাই কারন দীপ্তির পেশা। যেই পেশার মর্ম মানুষ করে না। অন্যায় কে প্রতিরোধ করা কাজ হলে ও অনৈতিক কাজ করে তাঁরা। দীপ্তি কে সেই কাজে সামিল হতে দিবে না ওহ। যদি ও কুশলের কাজ সম্পূর্ন অনৈতিক নয়। তবে খু*ন তো খু*ন ই হয়।
প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠে কুশল। গাড়ি থামায় রঙ মহলের কাছে। খবর এসেছে রঙ মহলে উৎসব হবে আজ। সকলে ম*দ্য পান করবে। তাই তো সেই সুযোগ টা কাজে লাগাবে ছেলেটা। গাড়ি থেকে পোশাক চেঞ্জ করে প্রথমে। মুখ ভর্তি আর্টিফিশিয়াল দাড়ি লাগিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। বাঁধা প্রদান করে দুটো লোক। পকেট থেকে টাকার বান্ডিল ছুঁড়ে দিতেই হুরমুরিয়ে লুফে নেয় দুজনে। বিদ্রুপ হাসে ছেলেটা। এই দুই অমা*নুষের বেইমা*নির কারনেই পুরো পরিবার কে হারিয়েছে ওহ। ভেতরে প্রবেশ করে এক পলক তাকায় পেছনে। এই দুজনের মৃ*ত্যু নিশ্চিত। টাকার দিকে দু চোখ দিয়ে আছে দুই বেই*মান। পিঠ থেকে ধারালো তর*বারি বের করে এক সঙ্গে মা**থা নামিয়ে দেয় দুজনের। গ*লা থেকে তীরের মতো র**ক্ত ঝরে। দুটো দেহ মাটিতে দা*পাতে দা*পাতে এক সময় নিস্তেজ হয়ে পরে। গানের আওয়াজের কারনে লোক দুটোর গোঙানি শুনতে পায় না কেউ। এঁদের সরানোর প্রয়োজন মনে করে না কুশল। বরং কল পাড় থেকে তলো**য়ার ধুয়ে পরিষ্কার করে নেয়। রঙ মহলে কিছু বাইজির নাচের দিকে তাকিয়ে আছে আনন্দ পাঠান। তাঁর চোখ দুটো বিচরন করছে নারী শরীরের স্প**র্শ কাতর স্থানে। গা গুলিয়ে আসে ছেলেটার। এঁদের পোশাক বলে দিচ্ছে পতি*তা বৃত্তের সাথে জড়িত। রেড ওয়াইন মুখে তুলে ঘোলাটে চোখে এগিয়ে যায় আনন্দ। এক বাইজি কে হেঁচকা টানে কাছে টেনে নেয়। পর মুহূর্তেই গাঢ় চুম্বনে লিপ্ত হয়। সাথে তাঁর হিং**স্র থাবা বিচরন করে নারী শরীরে। দু চোখ ভিজে যায় কুশলের। এই হিং**স্র থাবার থেকে বাঁচার জন্য ই তো রুমানা আ*ত্মহ*ত্যা কে আপন করেছিলো। মনে মনে পরিবারের সকল কে স্মরন করে ছেলেটা। চোখে ভেসে উঠে একেক জনের মৃ**ত্যু। তৎক্ষনাৎ শরীর কেঁপে উঠে। চিৎকার করে বলে উঠে ” আনন্দ পাঠান। ”

ঘুরে তাকায় আনন্দ। প্রথমে কুশলকে চিনতে পারে না সে। পরমুহূর্তেই বলে ” চিত্র শিল্পী যে। ”

” তোর জ*ম। ”

” একি ভাষা ব্যবহার করছো? ”

” আমাকে ভুলে গেলি শয়*তান। তোর পাপের স্বাক্ষী আমি। আমার পুরো পরিবারকে নিজ হাতে হ*ত্যা করেছিস তুই। ”

কিছুটা হতচকিয়ে যায় আনন্দ। চার পাশে চোখ বুলিয়ে বুঝতে পারে সবাই গভীর নেশাতে ডুবে আছে। নিজেকে বাঁচতে হবে। তলো**য়ার তুলে নেয় আনন্দ। বেশ নাম ডাক আছে তাঁর। লড়াই চালায় কুশলের সাথে। নেশাক্ত অবস্থা তে ও কুশলের সাথে বেশ ভালো লড়াই চলে। তবে নেশাটা লেগে যাওয়াতে তোপের মুখে পরতে হয়। হাত থেকে তর*বারি পরে যায়। অনুনয়ের স্বরে বলে
” আমাকে যেতে দাও। ক্ষমা করো আমায়। ”

” ক্ষমা করবো তোকে? আমার পুরো পরিবার , আমার মামুনির ইজ্জত নষ্ট করতে চেয়েছিলি তুই। তোর জন্য আ*ত্মহ*ত্যা করেছে মামুনি। আমার ছোট ভাইটা কে ও রেহাই দিস নি জা**নোয়ার। তোর জাহান্নামে ও ঠাই হবে না। ”

শত বছরের পুরনো তলো*য়ার দিয়ে আনন্দের মা**থা টা আলাদা করে নেয় কুশল। দীপ্তির চোখ থেকে দু ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পরে। সে পারলো না কুশলকে আটকাতে। বাইরে পুলিশ জমে গেছে। কেউ একজন খবর দিয়েছে তাঁদের।

মেঝেতে বসে পরে দীপ্তি। চিৎকার করে সে। কুশল নির্লিপ্ত তাকিয়ে আছে আনন্দ পাঠানের দিকে। গলা থেকে এখনো র**ক্ত ঝরছে। গরম র**ক্তে পা ভিজে যায় ছেলেটার। বুকের ভেতর থেকে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে দীপ্তির কাছে আসে। হাত বাড়িয়ে বলে ” এরেস্ট মি। ”

” আমি পারবো না। ”

” পারতে হবে তোমায়। ”

ঠিক তখনি দেয়াল ঘড়িটা ঢং ঢং আওয়াজ তুলে। মৃদু হাসে কুশল। বলে ” উইস করবে না? ”

” কি করে পারলেন এমনটা করতে?কেন করলেন এমন টা। কথা ছিলো এক সঙ্গে প্রতিশোধ নিবো। কেন করলেন এমন? ”

” উইস করো দীপ্তি। ”

” করবো না উইস। বেই**মান আপনি। ”

হাসে কুশল। পুলিশ তাঁদের কার্যক্রম করতে ব্যস্ত। কুশল বলে ” মনে আছে পুলিশের পোশাক গাঁয়ে দেওয়ার আগে কি শপথ করেছিলে? সেই শপথ টাই তোমার আমার পথ আলাদা করেছে। তোমার উচিত আমাকে এরেস্ট করা। নিজের পেশাকে সম্মান করলে এরেস্ট করো আমায়। আমি , এই আমি সরকার বংশের শেষ জমিদার, সেরা প্রাণহন্ত্রী মালিনীর আমানত কুশল সরকার স্বীয় হিং*স্র থাবাতে শেষ করেছি এক শয়*তান কে। এরেস্ট মি দীপ্তি , এরেস্ট মি। সরল বাংলায় আমি একজন প্রাণহন্ত, তথা মার্ডা*রার। ”

চোখ বন্ধ করে দীপ্তি। নিজ হাতে এরেস্ট করে কুশল কে। চোখ থেকে দু ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরে। আজ নিজের পেশা ও প্রিয় মানুষ দুটো মানচিত্র হয়ে ধরা দিয়েছে। যেখানে অসহায় মেয়েটা। দীপ্তির হাতের স্পর্শেই কেঁপে উঠে কুশলের শরীর। সেই মায়াবী স্পর্শ যেন ওকে পাগল করে দেয়। খুব ইচ্ছে হয় দীপ্তিকে জড়িয়ে ধরার। তবে সে নিরুপায়। কারন আদালতে ফাঁ*সির আদেশ দেওয়া হবে। অবসান ঘটবে এই হিং*স্র থাবার।

পরিশিষ্ট : ছোট্ট একটা চিরকুট আর এক গুচ্ছ ফুল হাতে দাঁড়িয়ে আছে দীপ্তি। দেখতে দেখতে ছয়টা বছর গত হয়ে গেল। জীবনে অর্ধেক সময় এসে ঠেকেছে। কুশলের ফাঁ*সির রায় কার্যকর হলো। তবে দীপ্তি সমস্ত কিছুকে তুচ্ছ করে দিন রাত ঘেঁটে প্রমান বের করেছে। জমিদার আনন্দ পাঠানের হিং**স্রতার সমস্ত প্রমান পেলে কুশলের শাস্তি কমে হয় ছয় বছর। অবশ্য নিজেকে জমিদার বংশের শেষ জমিদার প্রমান করতে পারলে কুশলকে কোনো প্রকার শাস্তি দেওয়া হতো না। তবে জমিদার আনন্দ পাঠান খুব যত্নে সরকার বংশের অবসান ঘটিয়েছিলো। বিশেষ অনুমোদনের মাধ্যমেই কুশলের শাস্তি কমিয়ে আনে দীপ্তি। জেল থেকে বের হয় কুশল। দীপ্তি এখনো ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে থাকে। সুদর্শন পুরুষের রূপ কখনোই কমে না। কুশল কে এখনো রাজপুত্র ই লাগছে। বুকের ভেতর ধিম ধিম আওয়াজ হয়। কাছে এসে দাঁড়ায় কুশল। অগোছালো চুলে হাত বুলিয়ে দেয় দীপ্তি। দীপ্তি বলে ” শুভ জন্মদিন সুদর্শন পুরুষ। ”

” বিয়েটা করলে না দীপ্তি। ”

” ভালোবাসি একজন কে আর বিয়ে করবো অন্যজন কে? ”

মৃদু হাসে কুশল। নিজের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বহু বার দীপ্তিকে বিয়ে করতে বলেছে সে। তবে দীপ্তি ছিলো নাছোড়বান্দা। বহু চেষ্টা করে মাস খানেক আগে কুশলের শাস্তির অবসান ঘটিয়েছে সে। দীপ্তির হাত মুঠো বন্দী করে কুশল। নিজের অনুভূতি কে আজ বাঁধা প্রদান করে না। সন্তপর্নে প্রিয়তমার ঠোঁটে চুমু খায়।

~ সমাপ্ত ~

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here