#প্রণয়াভিলাষী
তৃতীয় পর্ব
আফসানা

রাতের খাবারদাবার শেষে দুজন একসাথেই শুলো। নিম্মি অবশ্য সাজিদের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলেই এসে শুয়েছে। আনাহিতা একধ্যানে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে আছে। নিম্মি কাত হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বললো
—“আজ হাসপাতালে কী বলেছিলি মনে আছে তো?”

আনাহিতা ভ্রু কুঁচকে নিম্মির দিকে তাকালো। কয়েকবার পলক ঝাপটে বললো
—“কী বলেছিলাম?”

নিম্মি সোজা হয়ে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে বললো
—“আমার প্রায়োরিটি তোর কাছে কতটা?”

আনাহিতার কুঁচকানো ভ্রুদ্বয় সোজা হয়ে গেল। মৃদু হেসে নিম্মিকে জড়িয়ে ধরলো। সেভাবে থেকেই বললো
—“সেটা বোধহয় বলে বোঝাতে পারবো না রে। সেই ছোট্টবেলা থেকে আমাকে সাথ দিয়ে এসেছিস তুই। আমার জন্য কখনো আমাদের মাঝে তৃতীয় কাউকে আনিসনি। সবসময় মাথার উপর বড়ো বোনের ছায়া হয়ে আমায় আগলে রেখেছিস। মন খারাপ থাকলে তুই যেকোনো উপায়ে আমার মন ভালো করেছিস। শুধুমাত্র আমার জন্যই তুই কখনো কোনো ছেলেকে পাত্তা দিসনি। কারো সাথে সম্পর্কে জড়াসনি আমাকে সময় দিতে পারবি না ভেবে। না জানি আমি কষ্ট পাই এটা ভেবে। আমি সব বুঝেও তোকে কিছু বলতাম না। কারণ আমি স্বা/র্থ/প/র। সত্যিই তোকে কারো সাথে ভাগ করতে পারতাম না। ফেসবুকে সাজিদ ভাইয়ার সাথে পরিচিত হওয়ার পর উনি প্রপোজ করায় উনাকে যা নয় তা বলেছিলি। আমার উনাকে খারাপ মনে হয়নি। আমি খুশি হয়েছিলাম না দেখেও তোকে উনি ক্ষে/পা/টে প্রেমিকের মতোই ভালোবেসেছে। এভাবে আর কয়দিন? কত আর আমার জন্য সেক্রিফাইস করবি তুই? তাইতো তোকে একপ্রকার ব্ল্যা/ক/মে/ই/ল করেই রাজি করিয়েছি। যদিও জানতাম মনে মনে তুই উনাকে পছন্দ করিস। কিন্তু মুখে কখনোই স্বীকার করিসনি বা আমাকে বুঝতে দিসনি।” কথাগুলো বলেই আনাহিতা থামলো। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবারো বললো “এবার বুঝেছিস তো তুই আমার কাছে কী! তোর স্থান আমার লাইফের কতটা জুড়ে!”

নিম্মি নিঃশব্দে কাঁদছে। ও জানতো আনাহিতা ওকে প্রাধান্য দেয়। কিন্তু এতটা দেয় তা অজানা ছিল। আনাহিতাকে বুঝতে না দিয়ে চোখের পানি মুছে জোর করে হাসার চেষ্টা করে বললো
—“ধুর! তুই দেখি আমাকে ইমোশনাল বানিয়ে দিলি। তোকে এত বড়ো কম্পোজিশন বর্ণনা করতে বলেছে কে? এখন তোকে কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দিবি?”

—“হু, বল।” আনাহিতাও লুকিয়ে নাকের ওপর থেকে অশ্রু মুছলো।

—“বছরখানেক আগে শুনেছিলাম নীলাভ ভাইয়া রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেছে। ভাসাভাসা কিছু শুনেছিলাম চলে যাওয়ার কারণ। কিন্তু তোর মুখ থেকে পুরোটা শুনতে চাই।”

আনাহিতা অবাক হয়ে বললো
—“এতদিন পর এটা জানতে চাইছিস যে! আগে জানতে চাইলি না কেন? ভেবেছি তুই হয়তো জানিস। তাই নিজ থেকে আমিও আর কিছু বলিনি।”

—“হ্যাঁ, তখন জানতে চাইনি সেটার কারণ ছিল। এখন জানতে চাইছি সেটারও কারণ আছে। তোকে পরে বলছি সেটা।”

—“তুই তো জানিস আমার বড়োআব্বু কতটা স্ট্রিক্ট! কিন্তু এটা জানিস না উনার জন্য কেউ নিজের ইচ্ছা, স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষার কথা বলতে পারে না। যেহেতু জয়েন্ট ফ্যামিলি তাই উনার কথায় আমাদের পরিবার চলে। প্রত্যেকটা সদস্য উনার কথায় চলতে বাধ্য। তাই কেউ কখনো নিজের পছন্দের কথাও বলতে পারে না ভয়ে। পরিবার থেকে যাকে পছন্দ করা হবে তাকেই বিয়ে করতে হবে। তাতে সে সুখী হোক বা না হোক। মনের উপর তো কারো হাত নেই, তাই না? কখন, কাকে মানুষ মন দিয়ে দেয় তা সে নিজেও জানে না। বছরখানেক আগে ভাইয়া সবাইকে জানায় সে একটা মেয়েকে পছন্দ করে। বিয়ে করতে চায় তাকে। সেটা শুনেই টর্নেডো বয়ে যায় আমাদের পরিবারে। আব্বুও বড়োআব্বুর কথায়ই উঠেবসে। আম্মু রাজি থাকলেও তা ধুপে টিকেনি কারো কাছে। তাই ভাইয়া রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। যাওয়ার পর প্রায় পাঁচ মাস কারো সাথেই যোগাযোগ করেনি। কিন্তু পাঁচ মাস পর ভাইয়া আম্মুর সাথে যোগাযোগ করে কেবল। সেটাও কাউকে জানাতে নিষেধ করে দেয়। আমার যখন অ্যা/ক্সি/ডে/ন্ট হয় তখন আমাকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিল। তার পরেরদিন সেখান থেকেই চলে যায়। এরপর মাঝে মাঝে আমার সাথে কথা হয়।”

—“এখন কই থাকে নীলাভ ভাইয়া?”

—“সেটা কাউকেই বলেনি।” একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো আনাহিতা।

নিম্মি ভাবতে লাগলো রেজওয়ানের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার কারণ তাহলে এটাই যে ওদের ভালোবাসা কেউ মেনে নিবে না! কিন্তু আনাহিতার অ্যা/ক্সি/ডে/ন্টে/র কারণটা কী হতে পারে? এখন এ ব্যাপারে ওকে জিজ্ঞাসা করা যাবে না। আর ওদের দুজনের রিলেশনের ব্যাপারটাও পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারপর জানতে হবে। সেই সময় সুযোগের অপেক্ষায় রইলো নিম্মি।
______

নিম্মি মাথা নিচু করেই সেদিন রাতে আনাহিতার বলা সবগুলো কথা বলে গেল। আনাহিতা আর একদিন থেকেই নিজের বাসায় চলে গিয়েছিল। সাজিদ চাপাচাপি করছিল দেখা করার জন্য। কিন্তু নিম্মি ওর মায়ের সাথে মামাবাড়ি যাওয়ার কারণে দেখা করতে পারেনি। গতকাল সন্ধ্যায় এসেছে। এখন তারা বসে আছে একটা রেস্ট্রন্টের রুফটপে। সময়টা আলসে বিকেল। দশ তালা ছাদের উপর মৃদুমন্দ বাতাসে শরীর জুড়িয়ে গেল। নিম্মি টেবিলের একপাশে বসে ছিল। আরেক পাশে সাজিদ। রেজওয়ান পায়চারি করতে করতেই কথাগুলো শুনলো মনোযোগ দিয়ে। যত শুনছিল ততই চোয়াল শক্ত হয়ে আসছিল তার। শেষে হঠাৎ থমকে দাঁড়িয়ে পিলারে একটা ঘুষি মারলো। চিবিয়ে চিবিয়ে বললো
—“ফুলিশ গার্ল! ও আমাকে একটাবার বলেই দেখতো। আমি যেভাবেই হোক ম্যানেজ করতাম। এত বোকা মেয়ে আমি জীবনেও দেখিনি। শিট!”

সাজিদ আঁতকে উঠে রেজওয়ানের কাছে গেল দ্রুত। চিন্তিত সুরে বললো
—“এত হাইপার হোস না। এখন যেহেতু সত্যিটা জেনেছিস তাহলে একটা ব্যবস্থা কর। না-কি আনাহিতাকে এভাবেই ছেড়ে দিবি!”

রেজওয়ান তাচ্ছিল্যের সহিত বললো
—“হাহ্, ছেড়ে দিব! কক্ষনো না। ভালোবেসেছি কি ছেড়ে দেওয়ার জন্য? এই মেয়েটা আমার রাতের ঘুম হারাম করেছে। আমার লাইফের শিডিউলই উলটপালট হয়ে গেছে ওর জন্য। মেয়েটাকে ছাড়া আমার শ্বাস নেয়াই দায় হয়ে গেছে। অথচ ও কিছু না বলে এভাবে আমার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাবে! এটা মেনে নেব ভেবেছিস! মরে গেলেও না। আমার কাছ থেকে পালিয়ে দূরে চলে গিয়েছিল না! এখন দেখবো কী করে ও আমার কাছ থেকে দূরে থাকে!”

ধপ করে চেয়ারে বসে ঘন ঘন শ্বাস ফেলতে লাগলো রেজওয়ান। মুখ কান লাল হয়ে গেছে। সেটা কী রাগে না-কি উত্তেজনায় ভেবে পেল না নিম্মি। সাজিদ এসে পাশের চেয়ারে বসলো। হঠাৎ মনে পড়েছে এমনভাবে উত্তেজিত হয়ে সামনে ঝুঁকে নিম্মির দিকে তাকিয়ে রেজওয়ান বললো
—“বলতে ভুলে গেছি, ওকে আমার ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞাসা করেছিলে?”

—“না ভাইয়া, আসলে আমি এ ব্যাপারে কথা বলতে কম্ফোর্ট ফিল করছিলাম না। কারণ ও যেহেতু নিজ থেকে কিছু বলেনি তাই আমি নিজেও কিছু জানতে চাইনি।”

—“তার মানে ওর অ্যা/ক্সি/ডে/ন্টে/র কারণও জানা হয়নি!” হতাশ হয়ে বললো রেজওয়ান।

নিম্মি মেয়েটা খানিকটা বুদ্ধিমতী। কিছুক্ষণ ভেবে বললো
—“আমার মনে হয় ওর ভাইয়ার ব্যাপারটা পরিবারের কেউ না মানার কারণে আনাহিতা ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিল। অতিরিক্ত চিন্তায় বোধহয় আশেপাশের পরিস্থিতিও বোধগম্যে ছিল না। এইজন্যই হয়তো অ্যা/ক্সি/ডে/ন্ট করেছে। পুরো দুই মাস বেড রেস্টে ছিল ও। এবং আগের থেকেও বেশি চুপচাপ হয়ে গেছে। মেয়েটা এমন চাপা স্বভাবের যে আমাকে একটুও বুঝতে দেয়নি ওর এই অবস্থার কথা। ওর মতো করে আমি ওকে বুঝতে পারিনি।”

শেষটায় নিম্মির গলা বুজে এল কান্নার দমকে। সাজিদ কাছে গিয়ে সান্ত্বনা দিতে পারছে না। ওপাশ থেকেই বললো
—“ডোন্ট ক্রাই নিম্মি। ইন্ট্রোভার্ট মেয়েদের বুঝতে কিছুটা বেগ পেতে হয়। কিন্তু তা অসম্ভব নয়। এখন যা করার তোমাকেই করতে হবে। আমার মাথায় একটা প্ল্যান এসেছে। এতে করে সাপও মরবে আর লাঠিও ভাঙবে না।”
___

আনাহিতা থম মেরে বসে আছে। ও ভাবতেও পারেনি নিম্মির এত তাড়াতাড়ি বিয়ে ঠিক হয়ে যাবে। সাজিদ বলেছিল অন্তত অনার্স শেষ হলে বিয়ের কথা তুলবে। শেষ হতে তো আরো প্রায় দেড় বছর। কিন্তু হঠাৎ করে বিয়ের জন্য তাড়াহুড়ো করে দিবে আনাহিতা আসলেই ভাবেনি। যেদিন সাজিদের পরিবার নিয়ে নিম্মির বাসায় এসেছিল বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে, সেদিন আনাহিতা নিম্মিদের বাসায় আসতে পারেনি অসুস্থ ছিল বলে। অবশ্য নিম্মিও বলেনি সাজিদের পরিবার যে আসছে। অন্য কথা বলে আনতে চেয়েছিল। সেটা যেহেতু সম্ভব হয়নি সে কারণে আনাহিতা এ ব্যাপারে কিছুই জানতো না। আজ নিম্মি ওর মাকে নিয়ে ওদের বাসায় এসেছে সবাইকে নিমন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে। এবং আনাহিতাকেও সাথে করে নিয়ে যাবে আজকে। সম্পর্কে নিম্মির মা আনাহিতার বড়োআম্মুর কাজিন। সবার সাথেই উনার সম্পর্ক বেশ ভালো। তাইতো নিম্মি জোর করে আনাহিতাকে ওর সাথে নিলেও কেউ কিছু বলে না। তাছাড়া নিম্মিও মাসকয়েক পরপর এসে থেকে যায় এখানে।

সবাইকে নিমন্ত্রণপত্র দেওয়া শেষে আনাহিতাকে নিয়ে রওয়ানা দিল ওরা মা-মেয়ে। তাছাড়া শপিং করাও বাকি এখনো। এখান থেকে ডিরেক্ট শপিংয়ে যাবে ওরা। কাল গায়ে হলুদ আর পরশু বিয়ে। আনাহিতা ভেবে পাচ্ছে না এক সপ্তাহের ভেতরেই কেন সবটা করতে চাইছে। এত তাড়াহুড়ো কিসের! নিম্মিও তো এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে রাজি ছিল না। হঠাৎ করে কী এমন হলো! যার কারণে সবকিছুতেই এত তাড়াহুড়ো।
___

বিয়ের দিন সকালবেলা হঠাৎই নিম্মি এসে আনাহিতার হাতে একটা শপিং ব্যাগ ধরিয়ে দিল। ও অবাক হয়ে তাকিয়ে বললো
—“এটা আবার কী?”

নিম্মি মিটিমিটি হেসে বলে
—“নিজেই দ্যাখ।”

আনাহিতা ব্যাগের খোলা অংশটা হালকা ফাঁক করে দেখে কাপড়ের মতো কী যেন দেখা যায়। সেদিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ভ্রু কুঁচকে বললো
—“কার কাপড় এটা? আমাকে দিচ্ছিস কেন?”

নিম্মি বুকে দুই হাত আড়াআড়িভাবে রেখে বললো
—“কেন আবার? আজকে পরবি এটা।”

আনাহিতার চোখ কপালে উঠলো।
—“মানে কী? সেদিন না ড্রেস কিনলাম আমি পরার জন্য! তাছাড়া তুইও আমায় জোর করে একটা কিনে দিয়েছিস। এখন আবার এটা কেন? বিয়ে কী আমার না-কি তোর, হ্যাঁ? এত কাপড় দিয়ে কি আমি পিরামিড বানাবো? আজব!”

—“ঐগুলো পরে পরিস। আজ এটাই পরতে হবে।”

—“কী ব্যাপার বলতো? এমন অদ্ভুত আচরণ করছিস কেন? আমার কাপড় না থাকলে একটা কথা ছিল। এটা আমি পরতে পারবো না।” বলেই হাতের ব্যাগটা খাটের ওপর রেখে দিল আনাহিতা।

নিম্মি বুঝলো এভাবে কাজ হবে না। তাই কাঁদো কাঁদো মুখ করে বললো
—“হ্যাঁ তা পরবি কেন? আমি তোর কে যে আমি যেটা বলবো সেটা পরতে হবে! যা পরতে হবে না। তোর যা ইচ্ছা তুই পর। আমি গেলাম।”

নিম্মির হাত ধরে দ্রুত আটকালো ওকে। আনাহিতা নিজেই যেন কেঁদে ভাসিয়ে ফেলবে এখন। টলমল চোখে বললো
—“তুই এটা বলতে পারলি? তুই জানিস না তুই আমার কী?”

নিম্মি গাল ফুলিয়ে শাসানোর সুরে বললো
—“একদম কাঁদবি না এখন। এটা পরলে বুঝবো আমি তোর কাছে কী।”

আনাহিতা মুচকি হেসে ওর গাল টেনে দিল।
—“এত্ত ড্রামা করতে পারিস তুই! ড্রামাকুইন একটা।”

আনাহিতার মুখে প্রশ্রয়ের হাসি দেখে নিম্মি দাঁত বের করে হেসে ফেললো। এরপর গলায় জড়িয়ে ধরে বললো
—“এই ড্রামাকুইন তোর খুশির জন্য সব করতে পারে।”

আনাহিতা বুঝতে পারলো না এই কথার মানে। ব্যাগ খুলে দেখে তাতে ল্যাভেন্ডার কালারের খুব সুন্দর একটা কাঞ্চিপুরাম টিস্যু সিল্ক শাড়ি। ওর মায়েরও এই শাড়ি আছে। তবে সেটা ভিন্ন কালারের। শাড়ির সাথে রেডিমেড হাইনেক উইদ ফুল স্লিভের ব্লাউজ রয়েছে। এবং সাথে আছে ম্যাচিং করা এন্টিকের জুয়েলারি। শাড়ির সাথে মিলিয়ে একটা হিজাব। হিজাব যেহেতু বাঁধবে জুয়েলারি পরতে পারবে না। পুরো প্যাকেজটিতে চোখ বুলিয়ে আনাহিতার মুখ থেকে আপনাতেই বেরিয়ে এলো
—“ওয়াও! ইট’স অ্যামেইজিং!”

আনাহিতার হা হওয়া বিস্ময়াবিষ্ট মুখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো নিম্মি। মনে মনে বললো “দেখতে হবে না পছন্দটা কার! তুই যার পছন্দের, এগুলোও তো তারই পছন্দের।”

আনাহিতা নিজেকে সামলে সন্দেহাতীতভাবে নিম্মির দিকে তাকিয়ে বললো
—“কীরে, তোর পছন্দ এতটা এক্সট্রা লেভেলের হলো কবে থেকে?”

নিম্মি ভাব নিয়ে বললো
—“কবে থেকেই। হয়তো তোর চোখে পড়েনি।”

আনাহিতা হেসে দিয়ে বললো
—“তুই আসলেই একটা ড্রামাকুইন।”

______

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here