#খুনসুটি_প্রেম

writer : সুরমা
part: 5

-আর কোনো কথা না।বিয়ের পরে তো মেয়েটাকে নিয়ে কোথাও যাসনি।এখন যখন বলেছিস তাহলে যা ঘুরে আয়।ভালো লাগবে।এবার যা।দুজনেই রেডি হয়ে নে।

রাকিব আর মিতু দুজনেই নিজেদের রুমে চলে আসে।রাকিব আলমারি থেকে একটা ব্লাক শার্ট বের করে।আর মিতুর জন্য একটা ব্লাক শাড়ি।রাকিব শাড়িটা হাতে নিয়ে দেখে মিতু চুপচাপ বিছানায় পা ঝুলিয়ে বসে আছে।

-কি হলো,রেডি হচ্ছো না কেন?
-আমি রেডি
-রেডি মানে? এভাবে যাবে?
-হু
-না,যাও সাজুগুজু করে নাও। আর এই ব্লাক শাড়িটা পড়।
-না,আমার এর বেশি সাজতে ইচ্ছে করছে না।
-ঠিক আছে,তাহলে দাও আমি সাজিয়ে দেই।
-এই না না। তুমি সাজালে আর কারো সামনে যাওয়া লাগবে না। আমি নিজেই সাজতেছি।
-হু,যাও।

মিতু রাকিবের সিলেক্ট করা শাড়িটা পড়ে।সাথে ম্যাচিং অর্নামেন্টস।চুল গুলো কোপা করা।দুহাত ভর্তি চুড়ি।যেন এক অপ্সরী।মিতুকে আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে।রাকিবও মিতুর সাথে ম্যাচিং করে ব্লাক প্যান্ট,ব্লাক শার্ট,ব্লাক সু, রিস্ট ওয়াচ, সানগ্লাস পড়েছে আর চুলগুলো এলোমেলো।রাকিবকেও অনেক হেন্ডসাম লাগছে।

আজ দুজনকে ভয়ানক সুন্দর লাগছে।দুজনের দিক থেকেই চোখ ফেরানো যাচ্ছে না,,

রাকিব আর মিতু মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হয়ে যায়।রাকিব নিজেদের গাড়ি নিয়ে যেতে চাইছিল কিন্তু মিতু বাসে যাবে।কিছুতেই রাকিব মিতুকে রাজি করাতে পারলো না।তাই বাধ্য হয়ে রাকিব বাসের টিকিট কাটে।

রাকিব আর মিতু বাস স্ট্যান্ডে চলে আসে।ঠিক সময় গাড়িও চলতে শুরু করে।রাকিব আর মিতু পাশাপাশি সিটে বসে আছে।মিতু জানালার পাশের সিটটায় বসেছে।মিতু বাসের জানালা দিয়ে বাহিরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকে।

মিতু ভীষণ একসাইটেড।এতো সুন্দর দৃশ্য,এতো মনোরম পরিবেশ,চারদিকের সবুজের মেলা,পাশে ভালোবাসার মানুষটা,সব কিছু মিলিয়ে মিতু এক অন্য রকম সুখ অনুভব করছে যা এর আগে কখনও করে নি।মিতু আজ এতো বেশি এক্সাইটমেন্ট যে মুখের ভাষায় তা প্রকাশ করতে পারছে না।চারিদিকের অপরূপ সৌন্দর্য মিতুকে উতলা করে দিচ্ছে।

রাকিব খেয়াল করলো মিতু খুব খুশি।জানালা দিয়ে মৃদু বাতাস এসে মিতুর ছোট চুলগুলো এলোমেলো করে দিচ্ছে।আর মিতু হাত দিয়ে বারবার তা ঠিক করার চেষ্টা করছে।রাকিব মিতুর দিকে তাকিয়ে মিতু তার তার চুলের খেলা উপভোগ করতে থাকে।

মিতু রাকিবের দিকে তাকালে দেখে রাকিব তার দিকে তাকিয়ে আছে।মিতু কিছু না বলে আবার জানালার বাহিরে দৃষ্টি রাখে।কিছুক্ষণ পর আবার রাকিবের দিকে চোখ পড়লে মিতু খেয়াল করে রাকিব সেই আগের মতোই তার দিকে তাকিয়ে আছে।

-এভাবে তাকিয়ে কি দেখছো??
-তোমাকে
-আমাকে!!!আমাকে এতো দেখার কি আছে?মনে হয় আগে কখনও দেখো নি।
-দেখেছি,কিন্তু এই রূপে দেখি নি।আজ তেমার মাঝে অন্য কিছু দেখতে পাচ্ছি।আজ তোমাকে অন্যরকম লাগছে।এতো খুশির ঝলক মুখে,কিন্তু কোনো কথা বলছো না,,
-আমার আজ এতো ভালো লাগছে কি বলবো,আমি স্বর্গের সুখ অনুভব করছি।এতো ভালো এর আগে কোনোদিন লাগে নি।এতো সুখের মাঝে আমি আমার মুখে ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
-তাই নাকি
-হু
-তোমাকে আমি এতো সুখ দিলাম আজ।তার জন্য নিশ্চয়ই আমার জন্য কোনো উপহার আছে।
-উপহার??
-হু,উপহার।আমি তোমাকে এতো কিছু দিলাম আমাকেও তো তোমার কিছু দেওয়া উচিত।
-আমি তোমাকে এখন কি দিবো??কি চাই তোমার??
-বেশি কিছু দিতে হবে না।এখন তোমার এই গোলাপি ঠোঁটের ছোঁয়া পেলেই চলবে।
-যাহ,ফাজিল একটা,,

রাকিবের কথা শুনে মিতু লজ্জায় মুখটা নিচু করে নেয়।মিতুর এমন লজ্জা মাখা মুখটা দেখে রাকিবের আরো বেশি ভালো লাগছে।লজ্জা পেলে মিতুকে খুব আবেদনময়ী লাগে।রাকিব মিতুর দু গালে হাত রেখে মিতুর মুখটা উপরে তুলে।

মিতু কিছু বুঝার আগেই রাকিব মিতুর ঠোঁট দুটি নিজের ঠোঁট দিয়ে দখল করে নেয়।মিতুও রাকিবের শার্ট কামছে ধরে।অনেক্ষণ পর রাকিব মিতুকে ছেড়ে দেয়।মিতু তো রাগে দুঃখে লাল।

-তুমি কি মানুষ?বাসের মধ্যে কেউ এমন করে?নিজে তো লাজ লজ্জার মাথা খেয়েছো এখন আমার ভালোবাসাটাও বাজারে তুলে দিলে।ছি,ছি,লোকে কি মনে করলো আল্লাহ জানে।
-তোমার কি চোখে সমস্যা আছে?দেখো না সবাই ঘুমিয়ে আছে।আর লোকে কি মনে করলো মানে কি?এরা আমাদের দুজনের ব্যাপার।লোকে কিছু মনে করতে যাবে কেন
-কচু,দেখো তোমার পেছনে লোকটা কেমন করে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

মিতুর কথা শুনে রাকিব তার পাশের সিটটার দিকে তাকিয়ে দেখে একটা মধ্যবয়সী লোক তাদের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছে।রাকিব একবার মিতুর দিকে আর একবার লোকটার দিকে তাকায়।কিন্তু লোকটা তখনও তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে।

-এই মশাই,এদিকে কি দেখছেন?আমার বউ হয়,গার্লফ্রেন্ড না।লজ্জা করে অন্যের বউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে??

রাকিবের কথা শুনে লোকটা হকচকিয়ে যায়।তারপর বলে,,,,,

-কি দুনিয়া আইলো রে বাবা।বাসের মধ্যেও কতো কি দেখি।
-আশ্চর্য মশাই,আপনাকে কে বলেছে দেখতে?আমার বউয়ের সাথে আমি যা ইচ্ছা করবো তাই বলে এভাবে তাকিয়ে থাকবেন?আর আন্টি কি এটা জানে যে ঘরে নিজের বউ রেখে অন্যের বউয়ের দিকে চোখ গুলগুল করে তাকিয়ে থাকেন??

রাকিবের কথা শুনে লোকটা অন্য দিকে ফিরে বসে।রাকিব মিতুর দিকে তাকিয়ে দেখে মিতু রাগে ফুঁসছে।

-ই,,য়ে না মা,,নে,।লোকটা একটা লুচু,তাইতো আমাদের এমন করে দেখছিল
-লোকটা লুচু না তুমি লুচু।সবার সামনে এমন করলে তো যে কেউ থাকিয়ে দেখবেই।তুমি করছো তোমার দোষ নেই আর একজন সেটা তাকিয়ে দেখছে বলেই দোষ হয়ে গেলো?
-কি আশ্চর্য,আমি তো আমার বউকেই কিস করেছি।অন্য কাউকে তো আর করি নি।আর বাসে করেছি বলেই কি দেখতে হবে?আমিতো অন্য কারো বউয়েরটা দেখি না।
-চুপ একদম চুপ।আর একটা কথা বললে আমি তোমাকে ধাক্কা মেরে গাড়ি থেকে ফেলে দিবো।

মিতুর রাগ দেখে রাকিব ভয়ে চুপটি মেরে যায়।মিতু জানালা দিয়ে বাহিরের দৃশ্য উপভোগ করতে থাকে।গাড়িতে চলতে থাকে মিউজিক আর মিউজিকের সাথে তাল মিলিয়ে দুলতে দুলতে গাড়ি চলতে শুরু করেছে গন্তব্য স্থলের দিকে।

বিকালে তারা কুয়াকাটা পৌঁছে যায়।আগে থেকেই রিসোর্টের রুম বুকিং করে রাখে রাকিব।তাই আর তাদের কোনো রকম সমস্যায় পড়তে হয়নি।কুয়াকাটা পৌঁছেই তারা রিসোর্টে উঠে।

সারাদিনের জার্নির ফেলে রাকিব খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে।রাকিব ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় শুয়ে পড়ে।মিতুও ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে ঢুকে।ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে রাকিব ঘুমিয়ে পড়েছে।মিতু এসে রাকিবকে ডাকতে শুরু করে।

-কি হলো?এই সময় ঘুমাচ্ছো কেন?উঠো বলছি,,
-ইস,ডিস্টার্ব করছো কেন?একটু ঘুমাতে দাওনা
-না,এখন ঘুমানো চলবে না।উঠো বলছি।ঘুরতে বের হবো কখন?
-এই টুনির মা,সারাদিন জার্নি করে আসছি।এখন একটু রেষ্ট নিতে দাও।তার পর ঘুরবো।
-না,আমি এখনি ঘুরতে যাবো।
-এখন আমি যাবো না।আমার খুব ক্লান্ত লাগছে।
-এই তুমি এতো লুতুপুতু কেন বলোতো?এইটুকু জার্নি করেই ক্লান্ত হয়ে যাও কেন?
-সে তুমি যাই বলো টুনির মা,আমি এখন কিছুতেই ঘুরতে যেতে পারবো না।
-তুমি যাবে নাতো?
-না
-ঠিক আছে।তাহলে আমি একাই চলে যাচ্ছি।তোমাকে যেতে হবে না।

মিতুর কথা শুনে রাকিব শুয়া থেকে উঠে পড়ে।

-এই না না কি বলছো? অচেনা জায়গায় একা যাওয়া যাবে না।
-তাহলে তুমি চলো নয়তো আমি একাই যাবো।
-অহ তুমি এমন করো কেন?কতো দূর থেকে জার্নি করে আসলাম।তুমি একটু শান্তিতে রেষ্টও নিতে দিলে না।

রাকিব উঠে রেডি হয়ে নিলো।তার পর দুজনে খাবার খাওয়ার জন্য নিচে চলে আসলো।মিতু চার্ট দেখে খাবার অর্ডার করে।কিছুক্ষণের মধ্যে খাবারও চলে আসে।রাকিবের তো এতো খাবার দেখে চোখ গুলগুল হয়ে যায়।

খাবারে ছিলো গরম ভাত,ছয় সাত রকমের ভর্তা,রুই মাছ,লাক্ষা মাছ,কোরাল মাছ,কাকড়া,কলিজা,আর আট দশ রকমের মিষ্টি।

-টুনির মা,এতো খাবার কে অর্ডার করলো?
-আমি করেছি।
-তুমি এতো গুলা খাবে?
-হু,কেন তোমার কি কোনো সমস্যা আছে?
-না না,আমাকো কোনো সমস্যা নেই।তুমি চাইলে রিসোর্টের সব খাবারেই খেয়ে ফেলতে পারো।
-হু

তারপর দুজন খেয়ে চলে যায় সমুদ্রে।সমুদ্রের ধারে দুজন হাটা হাটি করে।মিতু সমুদ্রের এতো সুন্দর দৃশ্য দেখে আর নিজেকে স্থির রাখতে পারলো না।পানিতে ছুটাছুটি শুরু করে দেয়।

-এ তুমি কি করছো টুনির মা।পানিতে নামছো কেন??শরীরে জ্বর আসবে।উপরে উঠে আসো।
-না আমি আসবো না।তুমিও আমার সাথে জয়েন করো।দেখো কতো মজা।আসো।
-না,এদিকে আসো বলছি।তুমি কিন্তু সাঁতার জানো না।
-না,আমি পানিতে ভিজবো।মিতু পানিতে নেমে পানি নিয়ে খেলতে শুরু করে। রাকিব একটু উপরে দাঁড়িয়ে থাকে।

মিতু পানি ছিটা দিয়ে রাকিবকে ভিজিয়ে দেয়।তারপর রাকিবও মিতুর সাথে পানিতে নেমে পড়ে।দুজনেই ভিজে একাকার।মিতু পানিতে ভিজে কাপড় একদম শরীরে লেগে গেছে।চুল থেকে টপটপ পানি পড়ছে।চুল থেকে পানি মিতুর গাল বেয়ে নিচে পড়ছে।ভেজা অবস্থায় মিতুকে দেখতে আরো মায়াবী লাগছে।রাকিব মিতুকে এভাবে দেখে মাথা ঘুরতে থাকে।যেন,তার মাঝে মিতুর নেশা লেগে যায়।

রাকিব মিতুর কোমড়টা ধরে নিজের দিকে টেনে নেয়।আলতো করে ছুঁয়ে দেয় মিতুর ঠোঁট।রাকিবের এমন কাজে মিতু একদম পাথরের মতো হয়ে যায়।মিতু বুঝতে পারছে রাকিব কি করতে চাইছে।মিতু রাকিবকে ধাক্কাদিয়ে একটু দূরে সরিয়ে দেয়।

-কি করছো কি?দেখতে পাচ্ছো চারদিকে কতো লোকজন?
মিতুর কথা শুনে রাকিব আর কিছু বলতে পারলো না।কিন্তু রাকিব বার বার মিতুর দিকে আড় চোখে তাকিয়ে দেখছে।

সন্ধার দিকে দুজনে সুর্যাস্ত দেখে।মিতুতো সেই সময়টা খুব উপভোগ করে।এতো সুন্দর দৃশ্য এর আগে কখনও মিতু উপভোগ করে নি।সুর্যাস্তে যে এতো সুন্দর হয় তা আগে কখনও জানা ছিল না মিতুর।মিতুর মুখে এতো খুশির ঝলক দেখে রাকিবের খুব ভালো লাগে।

তার পর দুজন রিসোর্টের উদ্দেশ্য হাটা শুরু করে।চারদিকে হালকা অন্ধকার নেমে এসেছে।লোকজন যার যার গন্তব্যে ফিরে যাচ্ছে।

হঠাৎ করে রাকিব মিতুকে একটানে নিজের দুই বাহুর মধ্যে নিয়ে নেয়।মিতু কিছু বুঝার আগেই রাকিব চার ঠোঁট এক করে ফেলে।মিতুর ঠোঁটে পাগলের মতো কিস করতে থাকে আর পেটে হাত দিয়ে স্লাইট করতে থাকে।রাকিবের এমন পাগল করা ছোঁয়ায় মিতুর নিঃশ্বাস ক্রমেই ভারী হতে থাকে।

মিতু রাকিবের পায়ে ভর দিয়ে একটু উচু হয়ে রাকিবের মাথার চুল মুঠো করে নেয়।রাকিবের মতো মিতুও সেই মুহুর্তটা উপভোগ করতে থাকে।রাকিব মিতুকে কোলে তুলে নেয়।বেশ কিছুক্ষণ পর রাকিব মিতুর ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে আবার হাল্কা করে একটু নিজের ঠোঁট দিয়ে ছুঁয়ে দেয়।রাকিবের এমন কাজে মিতু ভীষণ লজ্জা পায়।চুপচাপ মিতু রাকিবের কোলে বসে থাকে।রাকিব বুঝতে পারে মিতু লজ্জা পেয়েছে।

-জানপাখি, তোমার লিপিসটিকের স্বাদটা মোটেও ভালো লাগে নি।এই ব্যান্ডের লিপিসটিক আর ইউজ করো না।এটার জন্য আসল মিষ্টির স্বাদটা ভালো করে উপভোগ করতে পারলাম না।

রাকিবের কথা শুনে মিতু রাকিবের দিকে চোখ দুটি গুলগুল করে তাকিয়ে থাকে।মিতু ভাবতেই পারে নি রাকিব এমন কিছু বলবে।

-এমন করে তাকিয়ো না জানপাখি।তাহলে আমি নিজেকে কন্টোল করতে পারিনা।
-যাহ,!!শয়তান।বলে রাকিবের বুকে একটা কিল বসিয়ে দেয়।মিতু লজ্জায় রাকিবের বুকে মুখ লুকায়।

-জানপাখি,তুমি কখনও আর বাহিরে ভিজবে না।ভেজা শরীরে তোমাকে আরো আবেদনময়ী লাগে।শরীরের সুন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায়।আমি চাইনা আমার পাখিটার এই সুন্দর্য অন্য কেউ দেখুক।তোমার সুন্দর্য দেখার অধিকার শুধু আমার।

রাকিবের কথা শুনে মিতু রাকিবের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে।
-জানপাখি,এমন করে তাকিয়ে থেকো না।আমি কিন্তু নিজেকে কন্টোল করতে পারি না তোমার এমন চাহনি দেখে।

রাকিবের এমন কথায় মিতুর চোখ দুটি নিচে নামিয়ে ফেলে।দুজনেই চুপ করে থাকে।কের আর কোনো কথা বলে নি।

১০মিনিট পর দুজন রিসোর্টে ফিরে ফ্রেস হয়ে নেয়।সারাদিনের ক্লান্তিতে দুজনেই টায়ার্ড হয়ে যায়।রাতের ডিনার শেষ করে দুজনেই ঘুমিয়ে যায়।

সকালে,,,,

চলবে😍😍

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here