#রজনীগন্ধা
#অলিন্দ্রিয়া_রুহি
#পর্ব_৭
অভি যাচ্ছে তার শ্বশুর বাড়ি। বিয়ের পর এই নিয়ে তৃতীয় বার যাওয়া। প্রথমবার গিয়েছিল বিয়ের দিন, দ্বিতীয়বার নাইওরের সময় আর তৃতীয়বার এই এখন যাচ্ছে, তাও দোলার জন্য। দোলাকে নিয়ে আসতে। সকাল বেলাতেই দোলা তৃতীয় দফায় রাগারাগি করে ঘর ছেড়েছে। জহুরা বেগম কঠিন করে অভিকে বলে দিয়েছেন, এই মেয়েকে কোনোভাবেই যেন ঘরে না তোলা হয়। কিন্তু অভি শোনেনি। রজনী অভির পছন্দ ছিল বলে জহুরা বেগম তাকে মানেননি কখনো। কিন্তু দোলা তো তার পছন্দ করা বউ। তাহলে দোলাকে নিয়ে সমস্যাটা কী?
সমস্যাটা হচ্ছে, দোলা প্রচুর আলসে ধরনের মেয়ে। সব কাজ জানা সত্ত্বেও সে কোনো কাজেই হাত লাগাতে চায় না নিজ থেকে। বার বার বলে বলে তাকে কাজ করাতে হয়। তাও তো করলে হতো। কিন্তু দোলা একটা কাজ করতে নিলে সেখানেই ঘন্টা দেড়েক সময় কাটিয়ে দেয়। এভাবে করলে দুপুরের খাবার তো বিকেলেও খাওয়া যাবে না! জহুরা বেগম কাজ ভাগ করে দিয়েছেন দোলা আসার পর থেকেই। বড় বউকে বলেছেন শুধু রান্না বান্নার কাজ গুলো যেন সে সামলায়। আর দোলাকে বলেছেন একটু কাটাকুটি, ঘর গুছানোর কাজ গুলো যেন করে। গতকাল দুপুরে চিংড়ি মাছ এনেছে শুভ, অভির বড় ভাই। বড় ভাবী সেগুলো কাটার দায়িত্ব দোলার উপর দিলেন। দোলা দুপুরে মাছ কাটতে বসে তিনটের দিকে উঠল। এই নিয়ে জহুরা বেগম আর তার মধ্যে কথা চালাচালি হলো খুব। রাতের বেলা খাবারের সময়ও এটা নিয়ে আরেক দফা তর্কাতর্কির পর সকাল হতেই দোলা নিজের বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
জহুরা বেগম কপাল চাপড়ান। কত মিষ্টি মেয়ে ভেবেছিলেন, আর বের হলো কী! এর চেয়ে রজনীই তো ভালো ছিল বোধহয়। জহুরা বেগম দীর্ঘশ্বাস ফেলেন।
সুপারি গাছের মাথা দেখা যাচ্ছে। অভি সেদিকে লক্ষ্য করে বুঝল, চলে এসেছে দোলাদের বাড়ি। এই এলাকায় কারো বাসায় সুপারি গাছ নেই, একমাত্র দোলাদের বাড়ি ছাড়া। অভি ভাবল, যেভাবেই হোক দোলাকে ফিরিয়ে নিতে হবেই। নয়ত তার মায়ের কারণে সে আজীবন সংসার বিহীন পুরুষ থেকে যাবে।
দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর বারান্দায় চেয়ার নিয়ে বসে অভি। অনেকদিন পর পেট ভরে খেলো আজ। এই না হলে জামাই আদর! ফিরে যাওয়ার আগে দই খেতে হবে আরেক বাটি- ভাবে অভি। সেইরকম স্বাদের দই। কোন দোকান থেকে আনানো- একবার জেনে নিতে হবে। দোলা চায়ের কাপ নিয়ে বারান্দায় ঢুকল। অভির ঠোঁটের হাসি একান-ওকান হয়। মশকরা করে বলেছিল, এক কাপ চা হলে মন্দ হয় না। মেয়েটা সত্যি সত্যি বানিয়ে নিয়ে এসেছে। অভির ইচ্ছে করছে না খেতে, কিন্তু না খেলে দোলা হয়ত মনে কষ্ট পাবে- এটা ভেবে চায়ের কাপ তুলে নিলো অভি। অভি বলল, ‘আমার পাশে একটু বসো না।’
দোলা বসল।
–‘কী বলবেন?’
–‘বাসায় ফিরে যাবা না?’ বলে চায়ে এক চুমুক দেয় অভি।
দোলা উত্তর দেয় না। চুপ থাকে।
–‘বাসায় চলো। আর আমি আম্মারে বুঝাইয়া বলবোনি।’
–‘আপনে তারে কচুটা বুঝাইবেন। এতদিন হইয়া গেল, বুঝাইছেন একদিনও? এখনো যে বুঝাইবেন না আমি জানি।’
–‘উঁহু, এইবার বুঝাবো।’
–‘সে বুঝবে বলে মনে হয়?’
–‘না হলে কী করব, তুমিই বলো।’
দোলা একটুক্ষণ চুপ করে থাকে। তারপর বলল, ‘আমরা আলাদা বাসায় থাকতে পারি না?’
অভি চায়ে চুমুক দিচ্ছিল, কিন্তু দোলার কথা শুনে থমকে দোলার দিকে তাকাল। বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে রইল নিরুত্তর ভাবে। দোলা আর কিছু বলল না। ইতস্তত করে উঠে চলে গেল। অভি চায়ের কাপ নামিয়ে রাখল। দোলা যে কোনোভাবেই তার মায়ের সাথে মানিয়ে নিয়ে চলবে না, এটা স্পষ্টই বুঝে গেছে অভি। ওদিকে জহুরা বেগমও একচুল ছাড় দিতে নারাজ। অভি ভাবল, আজকে বাড়ি ফিরে তার মা’কে বোঝাবে, বোঝাবে দোলা এই যুগের মেয়ে। এখনকার মেয়েরা সংসার বলতে কাজকর্ম করা বোঝে না। সংসার এদের কাছে শুধু নতুন অনুভূতির নাম বৈ অন্য কিছু না। অভি এটাও ভাবে, একবার দোকান টা চালু করে ফেললেই দশ-এগারো বয়সী একটা মেয়ে নিয়ে আসবে। তখন দোলা কোনো কাজ না করলেও চলবে। এরপরও সব ঠিকঠাক থাকবে তো? না থাকলে দোলা আবার আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলবে। কী যে ঝামেলা!
অভি স্তব্ধ হয়ে আকাশের পরিবর্তন দেখতে লাগল। কিছুক্ষণ আগেও রোদে ঝলমল করছিল চারপাশ। সেকেন্ডের ব্যবধানে মেঘলা হয়ে গেল।
★
রজনী অর্থির জন্য হাতা কাটা টপস পছন্দ করছে। অর্থি পাশেই বসে আছে। নির্বিকার ভাবভঙ্গি, আদ্র দরজায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। কিছুক্ষণ আগে একজন লেডি সেলার অর্থির জন্য বেশকিছু ড্রেস পাঠিয়েছে। তার ভেতর থেকেই কয়েকটা ড্রেস পছন্দ করছে রজনী। অর্থিকে পছন্দ করতে বলা হলে অর্থি জবাব দেয়, ‘ননা মার যেটা ভালো লাগবে, ওটাই পরব।’ রজনী আর জোরাজুরি করেনি। নিজেই বাছাইয়ের কাছে লেগে গেছে।
আদ্র’র পেছনে নাছির উদ্দীন নিঃশব্দে এসে দাঁড়ালেন তবুও আদ্র তার উপস্থিতি টের পেল। বায়ুতে একটা নিঃশ্বাস ফেলে দিয়ে পেছন ঘুরে তাকাল। তারপর হাত দিয়ে ইশারা করে হাঁটা ধরল। নাছির উদ্দীন চিন্তিত ভঙ্গিতে তার পেছন পেছন গেলেন।
নিজের বেড রুমে আসতেই নাছির উদ্দীন প্রশ্ন করলেন, ‘স্যার, আপনি কী হান্ড্রেড পারসেন্ট শিউর?’
–‘কোন ব্যাপারে?’ পাল্টা প্রশ্ন করে আদ্র।
–‘রজনী মায়ের ব্যাপারটায়।’ নাছির উদ্দীনের কণ্ঠে বিচলিত ভাব। তিনি এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না যে আদ্র রজনীকে বিয়ে করতে চায়!
আদ্র অল্প একটু হেসে বলল, ‘তো আমি কী আপনার সাথে মশকরা করছি নাকি? আমি শতভাগ শিউর।’
নাছির উদ্দীন চুপ করে রইলেন। জবাব দিলেন না। আদ্র নিরবতা ভেঙে বলল, ‘আচ্ছা আপনার মনে কী চলছে একটু বলে তো নাছির মিয়া৷ সমস্যা কী? আমি নায়ক বলে কী সাধারণ কাউকে বিয়ে করতে পারব না?’
–‘তা না স্যার।’ ইতস্ততভাবে নাছির উদ্দীন বললেন, ‘আসলে আমি ভাবছি অন্য কথা। মিডিয়া ওয়ালারা কোন চোখে দেখবে৷ কী থেকে কী নিউজ বের করবে..’
–‘এখন মিডিয়ার ভয়ে আমি নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারব না?’
–‘আপনার ইচ্ছা স্যার। তবুও আরেকবার ভাবলে ভালো ছিল।’
–‘না, কোনো ভাবাভাবি নেই। আমি রজনীকে বিয়ে করতে চাই। রজনী অর্থির লিগ্যাল মা হোক, এটা চাই। তাতে মিডিয়া যা ইচ্ছে তাই করুক, আই ডোন্ট কেয়ার।’ একটু থেমে আদ্র কী যেন ভাবল। তারপর উঠে দাঁড়াল। নাছির উদ্দীন কে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘হোটেল সাগরিকায় আজ রাতের ডিনার করব। এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখুন। আর মিডিয়াতেও নিজের পরিচয় গোপন রেখে খবরটা দিন। ওরা আজকেই দেখবে। আর আমিও দেখতে চাই, ওরা ঠিক কত নিচু ভাবে খবর ছড়াতে পারে।’
নাছির উদ্দীন আঁতকে উঠলেন, ‘স্যার…’
আদ্র বেরিয়ে গেল। নাছির উদ্দীন ধপ করে বিছানার উপর বসে পড়লেন। সবসময় বেস্ট ক্যারেক্টারে থাকা চরিত্রতে বুঝি এবার দাগ লেগেই যাবে!
আদ্র অর্থির রুমে আসে। অর্থি তখন সদ্য পছন্দ করা একটা ফ্রক গায়ে দিয়ে দেখছে। রজনী তার দিকে তাকিয়ে আছে। আদ্র ‘উহুম…উহুম’ করতেই দুই জোড়া চোখ তার উপর পড়ল। আদ্র আদেশের সুরে বলল, ‘আজকে আমরা ডিনারে যাচ্ছি।’
–‘ডিনারে?’ ভ্রু কুঁচকালো রজনী।
অর্থি দু’হাতে তালি দিয়ে লাফিয়ে উঠল। সে যে খুব খুশি হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অর্থির খুশি দেখে রজনীও খুশি হয়ে উঠল। রজনী বলল, ‘কয়টার দিকে যাবেন?’
–‘আটটার দিকে বের হবো।’
–‘ঠিক আছে। আমি অর্থিকে রেডি করে রাখব।’
–‘আপনিও যাচ্ছেন।’
রজনী বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে বলল, ‘আমি??’
–‘হ্যাঁ।’ আদ্র’র গলার স্বর শীতল। ‘আটটার মধ্যে রেডি হয়ে থাকবেন। আর শুনুন, শাড়ি পরলে ভালো হয়।’
–‘শাড়ি?’ রজনীর গলা শুকিয়ে গেল। আদ্র’র কথাবার্তা বেখাপ্পা লাগছে তার কাছে। আদ্র কপালে ভাঁজ সৃষ্টি করে বলল, ‘শাড়ি পরতে বলায় এমন ভাব করছেন যেন কখনো শাড়ি পরেননি!’
–‘না, না…আসলে একটু অপ্রস্তুত লাগছে। আর আপনি, অর্থি যাচ্ছেন, তার মধ্যে আমি গিয়ে কী করব?’
–‘আমাকে ধন্য করবেন গো রানীমা… আপনি না গেলে আমার প্রাণ চলে যাবে। আমার সম্পদ ক্ষয়ে যাবে। আমি বাঁচতে পারব না, না, না…’ মনে মনে বলল আদ্র। মুখে বলল, ‘আপনার যেতে প্রবলেম আছে কোনো?’
–‘না, কোনো প্রবলেম নেই।’ চিবিয়ে চিবিয়ে বলল রজনী। তার হতবিহ্বল ভাবে এখনো কাটছে না। অর্থি খুশির চোটে সমানে চেঁচিয়ে যাচ্ছে, লাফিয়ে যাচ্ছে। একে তো আজকে ডিনারে যাবে, তার উপর ননা মাও যাচ্ছে! এক সাথে ডাবল খুশি…
আদ্র বলল, ‘তাহলে রেডি হয়ে থাকবেন। আর হ্যাঁ, শাড়িই পরবেন। আমার কথা না শুনলে… আপনাকে আমি…’ আদ্র থেমে গিয়ে দাঁতে দাঁত পিষলো। রজনী হতভম্ব এবার। এভাবে কখনো জোর খাটায়নি আদ্র। আজ হঠাৎ কী হলো তার! রজনী ভয়ে ভয়ে ঘাড় কাত করে বলল, ‘ঠিক আছে। শাড়ি পরব।’
আদ্র হাসে। মনে মনে বলে, ‘নাহলে আপনাকে কী করতাম ম্যাডাম জানেন? আপনার গালে,কপালে, ঠোঁটে… উঁহু, বলব না আর। সময় আসুক, করেই দেখাবো।’
আদ্র নিজের ভাবনাতে নিজেই আনন্দ পায়। আনন্দ নিয়ে এক গাল হেসে ঘর ছাড়ে। রজনী ‘হা’ করে তাকিয়ে রয়। আদ্র চলে যেতেই অর্থিকে চেপে ধরে বলল, ‘তোমার পাপার মাথা আউলে যায়নি তো অর্থি?’
অর্থি দু’হাত কোমরে গুঁজে বলল, কেন?’
–‘কেমন যেন লাগছে উনাকে। পাগল পাগল… মনে হচ্ছে কিছু একটার শোকে উনি পাগল হয়ে গেছে।’
–‘ধুর! কী যে বলো…’
অর্থি বিশ্বাস না করলেও রজনী বিশ্বাস করল, আদ্র’র কিছু একটা হয়েছে। মাথায় গন্ডগোল টাইপ.. আচ্ছা খারাপ বাতাস লাগেনি তো? রজনী দাঁত দিয়ে নখ কামড়াতে কামড়াতে পায়চারি করে। ভাবতে বসে। অনেক ভাবনা চিন্তার পর সে বুঝতে পারল, সত্যি সত্যি আদ্রকে খারাপ বাতাসে আছর করেছে। নইলে শান্ত, নম্র ভালো মানুষ.. হঠাৎ এরকম আচরণ করবে কেন? নাহ, তাকেই কিছু একটা করতে হবে। নইলে যে লোকটার মাথা পুরোপুরি খারাপ হয়ে যাবে।
আদ্র ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাচ্ছিল। এমন সময়ে নক ছাড়াই ঘরে ঢুকল রজনী। তার দু’হাত ভর্তি শুকনো মরিচ। সেগুলো থেকে হালকা ধোঁয়া বের হচ্ছে। আদ্র ভীষণ শব্দে কেশে উঠল। রজনী অনুরোধ করল, ‘এই একটুক্ষণ… একটু ধৈর্য্য ধরেন।’
আদ্র’র পা থেকে মাথা অবধি মরিচগুলো বারবার ঘোরাতে লাগল। বিড়বিড় করে বলতে লাগল, ‘হে আল্লাহ, ভালো মানুষটাকে ভালো করে দাও তুমি। যেই খারাপ বাতাস এসে ধরেছে, সেটা যেন চলে যায়।’
আদ্র’র কষ্ট হচ্ছে। দম বন্ধ হয়ে আসছে। চোখে পানি চলে এসেছে। সে কাশতে কাশতে বহু কষ্টে বলল, ‘এগুলো কী?’
–‘স্যার, শুকনো মরিচ।’
–‘ধোঁয়া বের হচ্ছে কেন?’
–‘আগা পুড়িয়েছি স্যার।’
–‘সরান, সরান এসব, প্লিজ।’
–‘আর অল্প একটু স্যার।’
নাছির উদ্দীন ইতিমধ্যেই হোটেল বুক করে ফেলেছেন। সেটা জানাতেই আদ্র’র রুমে আসেন। কিন্তু এসে যা দেখলেন, তাতে তার চক্ষু চড়কগাছ। আদ্র বানরের মতো লাফালাফি, ছোটাছুটি লাগিয়ে দিয়েছে। পুরো ঘর কেমন ধোঁয়া ধোঁয়া…রজনীর দু’হাত ভর্তি পোড়া মরিচ, সেও আদ্র’র পেছন পেছন দৌড়াচ্ছে। নাছির উদ্দীন অনেক কষ্টে রজনীর হাত থেকে মরিচ গুলো কেড়ে নিলেন। তারপর জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেললেন। জানালা সব কয়টা খুলে দিলেন। ফুল স্পিডে ফ্যান ছেড়ে দিলেন। কয়েক সেকেন্ডেই ধোঁয়া অনেকটা কেটে ঘর পরিষ্কার হলো। আদ্র ধপাশ করে বিছানায় শুয়ে পড়ল। তার বুক হাপড়ের মতো উঠানামা করছে। রজনী দাঁত দিয়ে জিভ কেটে দাঁড়িয়ে রইল স্ট্যাচুর মতো। নাছির উদ্দীন কঠিন গলায় প্রশ্ন করলেন, ‘এসব কী?’
ধমকের মতো শুনালো কথাটা। রজনী ঈষৎ ভয়ে কেঁপে উঠে আদ্র’র মাথা খারাপ হয়ে গেছে- এমনটা বলল। তার মতবাদ সবটা শুনে নাছির উদ্দীন হতাশ। মনে মনে বলল, ‘স্যারের মাথা খারাপ হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু খারাপ বাতাসের জন্য না,তোমার জন্য। তুমি জ্বিন… থুক্কু, তুমি পরী… এই না, পরীরা আরও সুন্দর হয়। তাহলে তুমি কী?’ রজনীকে কী বলে আখ্যায়িত করবেন, এটা ভাবতে ভাবতে নাছির উদ্দীন ডিপ্রেশনে পড়ে গেলেন।
(চলবে)