#তুই_একমাত্র_আমার_অধিকার
#ছোহা_চৌধুরী
#পর্ব৭(রহস্য সমাধান১)
অন্যদিকে মাত্র প্লেন থেকে নামলেন মি.অয়ন চৌধুরী। পরনে কালো শার্ট, কালো প্যান্ট। চোখে কালো সানগ্লাস হাতে কালো ঘড়ি আর চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা।গায়ের রং অনেক ফর্সা না হলেও মোটামুটি ফর্সা।বেরিয়ে আসতেই অয়নের মা ওকে ফুল দিয়ে ওয়েলকাম জানালো।মায়ের সাথে কুশল বিনিময় করে গাড়িতে উঠতেই একটা ফোন এলো অয়নের।
ফোনের ওপাশে থাকা ব্যক্তি বলল,মি.অয়ন চৌধুরী বিডিতে তোকে ওয়েলকাম।কিন্তু আপসোস তুই বড্ড বেশি দেরি করে ফেলেছিস।ও আমি তো ভুলেই গিয়েছি তোকে বলতে।শোন আমার আর নিরার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে।অরিন আপুর বিয়ের কয়েকদিন পর অনুষ্ঠান করব।তোকে কিন্তু অবশ্যই আসতে হবে।যতই হোক আমার আর নিরার বিয়ে বলে কথা।তুই না আসলে ঠিক জমবে না।তাই এডভান্স ইনভাইট তোকে করে রাখলাম।
অয়ন শুভ্রের কথা শুনে পুরো অবাক।হুয়াট তোর আর নিরার বিয়ে হয়ে গেছে।পরক্ষনেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে বলল, বাই দা ওয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। তোকে ডিভোর্স দিতে বলব নিরাকে।তারপর আমি বৈধ ভাবে আবার নিরাকে বিয়ে করব।আমার বিশ্বাস নিরা আমার কাছে আবার ফিরে আসবে,অয়ন ফোনে বলল।
শুভ্র তাচ্ছিল্যের সুরে বলল,তাই নাকি!
যাষ্ট ওয়েট এন্ড সি শুভ্র বলে ফোন কেটে দিল অয়ন আর ড্রাইভারকে বলল গাড়ি সটার্ট দিন।
_________ _________
আমি চোখ খোলে নিজেকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় করি।কিন্তু আমি চরম অবাক হই নিজের প্রাক্তনকে সামনে দেখে।যে কিনা আমাকে ৫ বছর আগে ধোঁকা দিয়েছিল,ভালোবাসার মিথ্যা অভিনয় করেছিল আমার সাথে,সতিত্ব হরন করার চেষ্টা ও করেছিল। কিন্তু কেন করেছিল তা আমি আজও জানি না।শুভ্র ভাইয়া হয়তো জানে।কিন্তু জিজ্ঞেস করলে কোনো উত্তর দেয় না।কথা ঘুরিয়ে ফেলে নয়তো ধমক দেয়।কিন্তু কেন অয়ন আবার আমার জীবনে ফিরল?আমি তো আমার বর্তমান শুভ্র ভাইয়াকে নিজের হাসবেন্ড হিসেবে মেনে নিয়েছি আর সুখী ও ছিলাম।তাহলে অয়ন কেন আবার আমার সাজানো গুছানো জীবন এলোমেলো করতে চলে এলো!
ফ্লাশব্যাক,
এখন শুভ্র ভাইয়ার সাথে আমার সম্পর্ক আরো ফ্রেন্ডলি হয়েছে।যদিও হাসবেন্ড ওয়াইফ এর মতো সম্পর্ক এখনো হয়নি।শুভ্র ভাইয়া কখনো হাসবেন্ড এর অধিকার ও খাটাতে আসেনি।সবসময়ই ওনি আমাকে বলে,নিরাপাখি তুই এখনো অনেক ছোট।ভালোমন্দ, ঠিকভুল বোঝার বয়স হয়নি।কিন্তু আমার এই ছোট্ট পিচ্চিটাকেই ভালো লাগে। তুই সবসময় এরকমই থাকবি।আর এখন আমি ওনার সাথেই ভার্সিটিতে যাই আবার ওনার সাথেই বাসায় আসি।ওনি টুকটাক অফিসে ও যান।
প্রতিদিনের মতো আজকেও ওনি ভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে বললেন ,নিরাপাখি আজকে আমি ক্লাস করব না।অফিসে জরুরী মিটিং আছে।আমি গাড়ি পাঠিয়ে দিব তুই বাসায় চলে যাস।
আজকে নয়নাও আসেনি।তাই ভার্সিটি শেষ করে চিন্তা করলাম কখনো ভার্সিটির পিছনের দিকটা দেখিনি।তাই আজকে একটু ঘুরে দেখা যাক।আমি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম হঠাৎ একদল লোক এসে আমার মুখে কাপড় চেপে ধরলো। বাকিটা আর মনে নেই।আর পরেরটুকু তো দেখলেনই
________ __________
হঠাৎ ফোন বেজে ওঠল শুভ্রের।ফোনে অয়ন নামটা দেখে শুভ্র হাসলো।হয়তো এই ফোনটার অপেক্ষাই সে করছিল।
শুভ্র নীল আহমেদ তোকে আমার একটা নিউজ দেয়ার আছে, ফোনের ওপাশ থেকে অয়ন বলল।
শুভ্র হেসে বলল,একটু পরে নিউজটা বল।আগে নিরাপাখিকে যে চেয়ারে বেধে রেখেছিস তার ডান পাশে দেখ একটা ব্লাক কালার ব্যাগ আছে।ওটা থেকে নিরাপাখির ঔষধটা বের করে আগে ওকে খাইয়িয়ে নে।
শুভ্রের কথা শুনে অয়ন যেন আশ্চর্যের চরম সীমানাতে পৌছে গেছে।হুয়াট!
শুভ্র তাচ্ছিল্যের সুরে বলল,দেখ অয়ন আমি যদি তোকে সুযোগ না দিতাম তুই কখনো নিরাপাখিকে তোলে আনতে পারতি না।কারন তোর সাথে আমার কিছু বোঝাপড়া আছে।এজন্য ফেস টু ফেস বসতে হবে।এজন্য এটা ছোটখাটো একটা আমার চাল মাত্র।
তুই ওখানেই থাক আমি আসছি।ভাবিস না যে আমি তোর সাথে মারামারি বা ঝগড়া করব।জাস্ট কিছু কথা বলব।তুই নিরাপাখি কে ছেড়ে বাসায় পাঠিয়ে দে।আর আমি যে কথাগুলো বলব শুনে যদি তোর মনে হয় তোর নিরাপাখি কে দরকার আর নিরাপাখি যদি শুধু বলে যে তোকে এখনো ভালোবাসে আমি জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে ওকে ডিভোর্স দিয়ে তোর হাতে তুলে দিব।কারন আমি আমার নিরাপাখির কষ্ট কখনো সহ্য করতে পারবো না।
_____________ ____________
মুখোমুখি চেয়ারে বসে আছে অয়ন আর শুভ্র। দুজনেই মুখেই কোনো কথা নেই কারন……….
চলবে