#এক_চিলতে_রোদ।
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ০৪
রবির বলতে দেরি অহনা চুলের খোপা খুলতে দেরি নয়।অহনার চুল গুলো চারপাশে ছিটিয়ে রয়েছে কিছু চুল রবির মুখের উপর পড়ে আছে।
অহনা ইচ্ছে করেই চুল গুলো রবির মুখের দিকে দিছে তা রবি খুব ভালো করে বুঝতে পারে।রবি আলতো করে চোখ অহনার মাথায় গুছিয়ে দিয়ে কানে কানে বলল”একটু গুছিয়ে রেখে,নয়তো ইতিহাস রচিত হবে”
কথাটা শুনে অহনা শব্দ করে হেসে ওঠল।সাথে সাথে রবি অহনার মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরে বলল…
রবিঃআরে এত জোরে কেউ হাসে?বাসার সবাই কি ভাববে?
–কি আর ভাববে?যা ভাবার তাই ভাববে।(দুষ্ট হাসি দিয়ে)
রবিঃতাইতো বলছি অনেক কিছু ভাবতে পারে তাই একটু কম করে হেসো।
–তুমিও না পারো বটে।
রবিঃআচ্ছা এখন তাহলে ঘুমিয়ে যাও। গুড নাইট।
— সত্যি ঘুমাবো নাকি?
রবিঃহ্যাঁ। তো না ঘুমিয়ে কি করবে (দুষ্টামির হাসি দিয়ে)
— না কিছু না। ঘুমাও তাহলে গুড নাইট।
দুজনে ঘুমিয়ে গেল হঠাৎ রবি নিজের বুকে মাঝ রাতে খুব ভারী কিছু অনুভব করল।চোখ খুলে দেখে অহনা তার বুকে মাথা রেখে শুয়ে আছে।এলোমেলো চুলে মেয়েটাকে দারুন লাগছে। যেন চোখ ফেরানো দায় রবির। চুলগুলো ঠিক করে দিলে হয়তো আরও কয়েকগুণ বেশি সুন্দর লাগবে। আলতো হাতে রবি অহনার চুলগুলো ঠিক করে দিল। হঠাৎ অহনা একটু নড়ে উঠতেই রবি যেন হাল্কা লজ্জা পেল।
সারাটা রাত অহনাকে বুকে রেখে ঘুমিয়ে ছিল রবি।সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ খোলে অহনাকে নিজের বুকেই আবিষ্কার করল। অহনা মিটমিট করে হাসছে রবির দিকে চেয়ে। হঠাৎ রবির চোখ খুলতে দেখে অহনা লজ্জায় রবির বুকে মাথা লুকালো।রবি দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে অহনাকে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে নিলো।অহনার যেন আরো কয়েক গুন লজ্জা বেড়ে গেল।প্রিয় মানুষটার বুকে থাকতে কে বা না চাই? অহনা ও রবিকে আলতো করে জড়িয়ে ধরলো।
রিফা এসে দরজার বাইরে কড়া নাড়লো।রবি আর অহনা উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো।বাইরে এসে সবাই একসাথে বসে নাস্তা করলো। আজ নাকি মা গ্রামের বাসায় চলে যাবে তাই রবি মাকে গ্রামের বাসায় দিয়ে আসবে।
যাওয়ার সময় অহনা বলল সেও গ্রামের বাড়িতে যাবে।গ্রাম নাকি তার খুব ভালো লাগে। মা অহনাকেও সাথে নিলো।রবি অহনা আর মা গাড়িতে চড়ে রওনা দিল গ্রামের দিকে।গ্রামে দুই দিন থেকে রবি আর অহনা চলে আসবে।গ্রামে গিয়ে সবাি কত খুশি। সব থেকে বেশি খুশি অহনা। গ্রামের প্রকৃতি যেন অহনাকে আঁটকে রেখেছে।গ্রামের মানুষ গুলো খুব সরল।ভালো কিছু খাওয়ার জন্য বানালে সেটা মেহমানের জন্য নিয়ে যাবে,সেটা আমার বাসার মেহমান হউক কিংবা আপনার বাসার।
গ্রামের মানুষের কাছে মেহমানদারি যেন এক বড় ইচ্ছে। দুই দিনের জায়গায় চারদিন থেকে গেল অহনা আর রবি।আজ তারা ফিরে যাবে শহরে।কাল রাতে সব কিছু গুছিয়ে নিয়েছে তারা।সকালে মায়ের কাছে গেল অহনা চলে যাবে ভালো মন্দ একটু কথা বলা দরকার। অহনা মায়ের রুমে যেতে মা অহনাকে বলল…
মাঃতোমরা তো আজ চলে যাবে তাহলে?
–জ্বি মা।সেটা বলতে আসছি।
মাঃদেখে রেখো আমার ছেলেটাকে।
–জ্বি মা আপনি একদম চিন্তা করবেন না।
মাঃআর শুন সবার সাথে মিশে থাকবে যেমন এই গ্রামের মানুষের মতো।দেখলেই তো তোমরা আসার পর থেকে এই গ্রামের মানুষ গুলো তোমাদের কত আপ্যায়ন করল।জানি শহরের মানুষ কখনো গ্রামের মানুষের মতো হতে পারবে না।তবে একটু হলেও এদের মতো হওয়ার চেষ্টা করো।তাহলে বুঝতে পারবে আসলে শান্তি কোথায়।তাইতো আমি যেখানেই যাই না কেন আবারো ফিরে আসি এই গ্রামে।
–জ্বি মা।একটু পর আমরা বের হবো আপনার ছেলেও রেডি হয়ছে।
অহনা আর মা কথা বলতে না বলতে রবি মায়ের রুমে আসলো।মায়ের সাথে কথা বলে দোয়া নিয়ে বেরিয়ে পড়লো গ্রাম থেকে।গ্রামের মানুষ গুলো তাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। যেন তারা খুব আপন কাউকে হারিয়ে ফেলছে।
গ্রামের মানুষ গুলো আসলেই খুব সরল।সবসময় মিলেমিশে থাকে।
বিকাল হতে রবি আর অহনা চলে এলো শহরে।নিজেদের বাসায় গিয়ে কলিং বেল চাপ দিলে রিফা এসে দরজা খুলে দেয়।রিফা তাদের হাত থেকে ব্যাগ গুলো নিয়ে রুমে রেখে আসে।একটু পর আপু আসল।কোথায় যেন গেছিল।অহনা গিয়ে আপুকে জড়িয়ে ধরে।
আপু আর অহনা যেন খুব খুশি। আপুর কথায় কাল থেকে ভার্সিটিতে যাবে অহনা আর রবি।রাতে সবাই খেয়ে ঘুমাতে চলে গেল।রাত এলেই যেন অহনার মধ্যে এক অদ্ভুত সৌন্দর্য খুঁজে পাই রবি।অন্য দিনর মতো আজকেও জানালা দিয়ে আলো ঢুকে অহনার মুখে পড়ছে।আগের থেকে অহনাকে দ্বিগুণ সুন্দর লাগছে।রবি ইচ্ছে করে অহনার চুল গুলো খুলে দিল।অহনা তাকিয়ে আছে রবির দিকে।অহনার চুল গুলো রবির মাথার নিচে দিলো।অহনা হেঁসে ওঠল রবির এমন পাগলামো দেখে।
সকালে সবার আগে ঘুম থেকে ওঠে গেল অহনা।রবি শুয়ে আছে তখনও।অহনা গোসল শেষ করে আয়নার সামনে বসে মাথা আঁচড়াচ্ছে। রবি চোখ খুলে এমন একটা অবস্থায় অহনাকে দেখে একটা মিষ্টি কাশি দিল।অহনা আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখে রবি বসে তার দিকে তাকিয়ে আছে।ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি যেন লেগেই আছে।রবি আস্তে করে ওঠে অহনাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরল। অহনা রবির হাত দুইটি ধরে বললো…
–এখন আর রোমাঞ্চ করতে হবে না। যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এসো।
রবিঃযাব তো।একটু জড়িয়ে ধরে থাকি না এভাবে।
–খুব দুষ্ট হয়েছ তুমি হুম।
রবিঃপ্রেম করবে আমার সাথে?
রবির কথা শুনে অহনা যেন আকাশ থেকে পড়ল।বলে কি এসব?
–প্রেম করতে হবে নাকি?
রবিঃনা মানে করলে ভালো হয় আরকি।সব থেকে বড় কথা যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারে নি সে নাকি কাপুরষ।
–এসব আমি বিশ্বাস করি না।
রবিঃএই কথাটা আমি বলি নি এটা রবীন্দ্রানাথ ঠাকুর বলেছে।
–উনি তো আর জানতো না ভালো প্রেমিক হওয়ার থেকে আদর্শ স্বামী হওয়া বা হতে পারায় কতটায় বীরত্ব থাকে।
রবিঃআরে বাহ তুমিও দেখছি ভালো বলতে পার।
–শুধু তুমি আর রবীন্দ্রনাথ বললে কি হবে?আমাকে বলতে হবে না?
রবিঃহুম বলতে তো হবে।
রবি অহনার কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিয়ে ওয়াশ রুমে চলে গেল।গোসল শেষ করে এসে দেখে অহনা বই গোছাচ্ছে।
সকালে খেয়ে নিলো সবাই একসাথে বসে। রবি আর অহনা রিকশা নিয়ে চললো ভার্সিটির দিকে।মাঝ পথে যেতে রিকশা থেমে গেলো কারণ রিকশার সামনে দাঁড়িয়ে আছে রাশেদ। রবিকে বলে ওঠল…
–কিরে বউ পেয়ে বন্ধুকে ভুলে গেলি?
রবিঃতোকে কি আর ভুলা যায় বল?
–তা নয়তো কি?গ্রামে গেলি বললি না তো।
রবিঃজানতাম তুই যাবি না।তাই বলি নি।আর সবথেকে বড় কথা…..(রবিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে রাশেদ বলে ওঠল)
–জানি তো সবথেকে বড় কথা হানিমুনে গেলে কি আর বন্ধু কে নেওয়া যায়? (হেসে কথা গুলো বলল)
রবিঃদাড় হানিমুন দেখাচ্ছি।
রবি রিকশা থেকে নামতে যাবে তখনই রাশেদ দৌড়ে চলে গেল।আর যাওয়ার সময় চিৎকার করে বলল” ভার্সিটিতে গিয়ে দেখা হবে”
রিকশা আবারো চলতে লাগলো তার আপন গতিতে। একটু পর রিকশা থেমে গেলো।দুই জন রিকশা থেকে নেমে ভার্সিটিতে ঢুকে গেল।ক্লাস শুরু হতে আরো কিছু টা সময় বাকি তাই অহনা বাদাম খাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করলো।রবি তো আর তা না করতে পারে না।
“অহনা কোনো ইচ্ছে পোষণ করলে রবির কাছে তা স্বপ্ন হয়ে যায়। সেটা যে করেই হোক রবি তাকে এনে দিবেই।”
দুইজন বাদাম খাচ্ছে আর দূর থেকে কেউ দেখে দেখে হাসছে।হঠাৎ রাশেদ তাদের পাশে এসে বসলো আর রবির হাত থেকে বাদাম নিয়ে খাওয়া শুরু করল।অহনা তাকিয়ে আছে রাশেদ এমন অদ্ভুত কাজের দিকে।রাশেদ মিটমিট করে হাসছে সাথে রবিও।রবি অহনাকে বললো রাশেদ আমার ছোট কালের বন্ধু। ভাই বলা যায় তার পাগলামি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।
হঠাৎ রবির ফোনে একটা কল আসে রবি নাম্বার টা দেখে এবার রেগে গেল।কারণ এটা সেই ফোন যেটা থেকে ফোন দিয়ে রবিকে সতর্ক করছিল আর নিজেকে শুভাকাঙ্ক্ষী বলে দাবি করছিল।রবি ফোনটা ধরে লাউডস্পিকারে দিল।ওপাশ থেকে মেয়েটি বলে ওঠল…
কি ব্যাপার রবি সাহেব? বন্ধু আর বউকে নিয়ে খুব আরামে বাদাম খাচ্ছেন। না দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। বলছি আমি কি আসব আপনাদের মাঝে?
রবিঃকে আপনি?
–ঐ যে বললাম আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী!
রাশেদ আর অহনা একসাথে বলে ওঠল”ইশিতা”
সাথে সাথে রবির মনে পড়ল অহনার মামাতো বোন ইশিতার কন্ঠ এটা।সে এমন ফান কেন করলো রবির সাথে?
রবিঃইশিতা কোথায় তুমি?
–জেনেই গেলে তাহলে?
রবিঃএসব ফান করার মানে কি?
–একটু না বাজালে কি ভালো লাগে বল?
রবিঃএকটু বেশি বাজিয়ে ফেললে না?
–আচ্ছা সরি।
রবিঃকোথায় তুমি?
–বাদাম খাচ্ছি।
ইশিতার কথা শুনে সবাই বাদাম ওয়ালা মামার দিকে তাকালো ইশিতা হাত নেড়ে সবাইকে হাই বললো।রাশেদ তো ওঠে হাঁঠা ধরল।ইশিতা সবার দিকে আসছে কিন্তু রাশেদ তার দিকে যাচ্ছে। সামনে গিয়ে রাশেদ আর ইশিতা কথা বলতে বলতে আবারো আগের জায়গায় এসে বসলো।
অহনা অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।ইশিতা এসে সোজা অহনার গা ঘেঁষে বসল। অহনা একটু দূরে সরে বসল।ইশিতা অহনার হাত ধরে বললো….
ইশিতাঃকিরে কথা বলবি না আমার সাথে?
–নিশ্চুপ।
ইশিতাঃআরে তুই এত রেগে আছিস কেন?কথা বল আমার সাথে।শত হলেও তুই আমার ফুফাতো বোন বলে কথা।তোর খারাপ হউক তা কি আমি চাইতে পারি বল?
–জানি কেমন ভালো চাস তুই।
ইশিতাঃসে দিন যদি আমি তোকে এভাবে কথা গুলো না বলতাম তাহলে কি তুই রবিকে বিয়ে করতি?
রাশেদঃঐ কি বল দুলাভাই ডেকে কথা বলো।
সাথে সাথে সবাই হেঁসে ওঠল।অহনার রাগও মিশে গেল সেই সাথে।ইশিতাকে জড়িয়ে বলল তুই সেদিন কথা গুলো না বললে সত্যি আমি বুঝতাম না আমি ভুল ছিলাম।
ভেঙে গেল অহনা আর ইশিতার সব রাগ অভিমান। মিশে গেল আবারো সে ভালোবাসার অন্তরালে। একটু পর ক্লাস শুরু হবে তাই সবাই ক্লাসের দিকে হাঁটা শুরু করল।আজকে সবাইকে অবাক করে দিয়ে অহনা আর রবি সামনে বসল। রাশেদ আর ইশিতা তারপরে বসল।মানে দুই জন করে জোড়ায় জোড়ায় বসে সবাই অবাক।
ভার্সিটির সাবাই জানে অহনা রবিকে চড় মেয়েছিল আর তারা দুইজন কেউ কাউকে দেখতে পারে না।কিন্তু আজ কি হলো একসাথে বসলো তাও পাশাপাশি।সবাই যেন ভুত দেখার মতো চেয়ে আছে।তারা তো আর জানে না রবি আর অহনার বিয়ে হয়েছে কয়েকদিন হলো।
স্যার ক্লাসে আসতে সবাই স্বাভাবিক হয়ে গেল।স্যার ক্লাস করে যাচ্ছে রবির সেদিকে কোনো মনোযোগ নেই সে তাকিয়ে আছে অহনার দিকে।হঠাৎ স্যার বিষয় টা লক্ষ্য করতে রবিকে দাঁড় করিয়ে ফেলল।স্যার রবিকে বকা দিয়ে ক্লাস রুম থেকে বের করে দিলো।সাথে সাথে ক্লাসের অর্ধেকের বেশি স্টুডেন্ট বের হয়ে এলো।বিষয়টা রবির কাছে অনেকটা অবাক লাগলো।বাইরে এসে রাশেদকে জিজ্ঞেস করলো ওরাও কেন বাইরে চলে আসছে?রাশেদ বলল….
–আমি বলছি তাই চলে আসছে।
রবিঃতুই বললি মানে কি বলছিস?
–তোকে বের করে দিছে, তাই যারা বের হতে চাই তাদের বের হতে বললাম।
রবিঃকিন্তু এটা কখন বললি?
–বাহ রে তুই একা চোখের ইশারায় বুঝাতে পারিস আমি পারি না বুঝি?
রবিঃইশিতা শিখিয়েছে নিশ্চয়?
সাথে সাথে সবাই হেঁসে ওঠল।ইশিতা রাশেদের গার্লফ্রেন্ড। সেটা ভার্সিটির সবাই জানে।ইশিতার কারণে একবার রাশেদ একটা ছেলেকেও মেরেছিল।তারপর থেকে ভার্সিটিতে রাজত্ব চলে রাশেদের।
স্যার ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার পর সবাই বসে আড্ডা দিচ্ছে হঠাৎ কি মনে করে রাশেদ দাড়িয়ে গেল।সবাই রাশেদের অদ্ভুত ভাবে দাঁড়ানোর জন্য রাশেদ যেদিকে তাকাচ্ছে সে দিকে তাকালো।রবি সেখানে একটা পরিচিত মানুষ কে দেখল।যেটা রাশেদেরও চেনা।
রবিও দাঁড়িয়ে গেল মেয়েটাকে দেখে।কারণ সেটা আর কেউ নয় বরং রিহি।কিন্তু সে এখানে কেন?
অহনা রবিকে কানে কানে বলল…..
–এটা তো সেই মেয়ে যাকে আমরা রেস্টুরেন্টে থেকে বের হওয়ার সময় দেখেছিলাম আর রিকশায় চড়ে মেয়েটা চলে গেছিল।মানে রিহি মনে হয় এটা?
রবিঃহুম এটা রিহি।যাকে তুমি দেখেছিলে।
#To_be_continue…….
#RK9023DXWC
#অনুমতি_ছাড়া_কপি_করা_নিষেধ।
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।