#তুমি_থেকে_যাও_আমার_হয়ে।
#লেখকঃরবিউল_হাসান।
#পর্বঃ০৮

রবি রাশেদকে বললো, গিয়ে ইশিতাকে প্রপোজ করতে।রাশেদের প্রপোজালে ইশিতা রাজি হয়ে যাবে।রাশেদ না করলো। কিন্তু রবি জোর করে রাশেদকে ইশিতার কাছে পাঠালো।
রাশেদ গিয়ে ইশিতাকে প্রপোজ করে ইশিতা রাজি হয়ে যায়।ইশিতা রাশেদকে সেদিন ভালোবেসে ফেলে যে দিন রবির মুখ থেকে রাশেদের কথা শুনেছিল।বন্ধুর জন্য রাশেদ কত কিছু করল।

ইশিতা রাশেদের প্রপোজ পেয়ে রাজি হলেও আজকে ইশিতাকে রাশেদ সময় দিতে পারে নি।রাশেদ চলে এলো রবির কাছে।রবি গিয়ে একটা রিকশায় ওঠল।রাশেদও গিয়ে রিকশায় চেপে বসল।রবি জানতো রাশেদ আসবে তাই অপেক্ষা করছিল।

দুই জন গাড়িতে বসে চলতে লাগল।রাশেদ বলল ইশতি রাজি শুনে রবি খুশি হল।কিন্তু নিজের মন খারাপের কথা রবি ভুলে গেল।

এই দিকে রাশেদের প্রপোজালে ইশিতা রাজি হওয়ায় অহনা ইশিতাকে বকা শুরু করল।
ইশিতাও জবাব দিয়ে দিল”লাইফটা আমার কারো লাইফ নিয়ে আমি খেলতে পারব না তোর মতো।এত নিচু মানসিকতার অধিকারী আমি নয়।আমি রাশেদকে ভালোবাসি যেখানে তোর মতো কোনো ছলনা নেই। আর আমি কাকে ভালোবাসব তা তোর থেকে শেখার প্রয়োজন মনে করি না।যে নিজের ভালোবাসা নিয়ে খেলতে পারে তাঁর থেকে আর ভালোবাসার কথা মনে হয় না কেউ শুনবে”।

ইশিতার কথায় অহনা অনুতপ্ত হলো।হয়তো কিছু টা ভুল বুঝতে পারল। কিন্তু দেরি করে ফেলেছে।আজ রবি সিন্ধান্ত নিল এই মিথ্যা ভরা শহর ছেড়ে চলে যাবে বহুদূরে।যেখানে থাকবেনা কোন মিথ্যার আশ্রয় থাকবেনা পিছুটান।থাকবেনা হারানোর ভয় কিংবা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা। রিকশা চলতে লাগলো তার আপন গতিতে।

কিছু সময় পর রিকশা গিয়ে থামলো রবি রিকশা থেকে নেমে বাসায় ঢুকে গেল।রাশেদ তার পেছন পেছন আসল। প্রতিদিন সে বাসায় ঢুকে আপুকে ডাকে কিন্তু আজ কাউকে ডাকল না। রাশেদ খুব ভালো করে বিষয়টি লক্ষ্য করল।রাশেদ বুঝতে পারল রবির এখন অনেক মন খারাপ। কাউরে কিছু না বলে আপু কে ডাকলো। আপু এসে দেখল রবির নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিছে।রাশেদ সোফায় বসে আছে। আপু রাশেদের কাছে জানতে চাইল রবি এমন করলে কেন?

–আসলে হইছে কি রবি অহনাকে প্রপোজ করছিলো আর অহনা রিজেক্ট করল।তাই একটু মন খারাপ। চিন্তা করো না ঠিক হয়ে যাবে।
আপুঃঅহনা তো রবিকে ভালোবাসতো তাই না?
–না-আপু ওটাটা আসলে একটা চ্যালেঞ্জ ধরেছিল অহনা।রবিকে প্রেমে ফেলে তারপর চ্যালেঞ্জ জীতল।আর কিছু না।

একটু পর রবি কাপড় গুছিয়ে বাইরে আসলো আর আপুকে বলল তোমার ব্যাগ গুছিয়ে নাও হচ্ছ এখানে আর থাকবো না। ছেড়ে দাও এই মিথ্যে মায়ার শহর।চলো যায় তাড়াতাড়ি ব্যাগ গুছিয়ে নাও।

আপুঃপাগল হলি নাকি?পড়াশোনা করতে এসেছিস এখানে প্রেম করতে নয়।
–আমিও চেয়েছি পড়াশোনা করতে কিন্তু শহরের মানুষ গুলো কাউকে পড়তে দিবে না।
আপুঃতাই বলে পড়াশোনা না করে চলে যাবি?
–না।এক্সাম দিব কিন্তু থাকব না এই শহরে।তুমি যাবে নাকি এখানে থাকবে?
আপুঃনা আমি যাব না।আমার জব আছে আর তুই কোথায় যাবি?
—চলে যাব গ্রামে।গ্রামের মানুষ শহরে টিকে থাকতে পারে না।
আপুঃঠিক আছে তুই যা আমি কয়েক দিন পরে আসব।আর তুই চাইলে থেকে যা এখনে এই কয় দিন।

অনেক জোর করার পরেও রবি শহরে থাকতে রাজি হয় নি চলে গেল গ্রামে।পরের দিন আপুও চলে গেল।এইদিকে অহনার সাথে ইশিতার ঝগড়া হয়ছে তাই অহনা নিজের বাসায় চলে গেল।রবি অহনার সব কিছু ব্লক করে দিল।নাম্বার, ফেসবুক,ইমো,হোয়াটসঅ্যাপ সব কিছু। অহনা নিজে থেকে অনুতপ্ত সাহস হচ্ছে না রবিকে ফোন দেওয়ার। কারণ রবির সাথে অনেক বড় অন্য করে ফেলেছে সে।

একমাস হয়ে গেল ভার্সিটিতে আসে না দুই জন।হঠাৎ রাশেদ রবিকে ফোন দিয়ে এক্সামের কথা বলল।রবি টাকা পাঠিয়ে দিল এক্সাম ফি দিতে।আর এই দিকে সানি অহনাকে এক্সামের কথা বলল অহনা ভার্সিটিতে এসে এক্সাম ফি দিল।মনে মনে চারপাশ টা দেখছে যদি রবিকে দেখা যায়। কিন্তু কোথাও দেখল না একটু দূরে রাশেদ কাকে যেন মারছে। এসব দেখে অহনা সেখানে গেল।দেখল ভার্সিটির বড় ভাই একটা মেরে রক্তাক্ত করে দিছে।অহনা রাশেদের এমব ভয়ানক রুপ দেখে ভয়ে পিছিয়ে গেল।

সানি আর অহনা পাশাপাশি হাটতেছে।হঠাৎ অহনা ইশিতাকে দেখল। ইশিতাও অহনাকে খেয়াল করলো।কিন্তু ইশিতা অহনাকে ইগনোর করে রাশেদকে থামিয়ে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল।ভার্সিটির বড় ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।অনেকে তার চারপাশে ঘিরে রাখছে।অহনা সানিকে বলল ওদের মারামারির কারণ কি?
সানিঃআজ কয়েক দিন ধরে মার খাওয়া ছেলেটা মানে বড় ভাইটা ইশিতার পেছনে ঘুরছে।রাশেদ নিষেধ করল কিন্তু শুনে নি।কালকেও রাশেদ তাকে বলল ইশিতার রাশেদের গার্লফ্রেন্ড ওর পেছনে ছেড়ে দিতে।কিন্তু কে শুনে কার কথা সে এত দিন ছাড়ে নি তাই আজ রাশেদ ছাড়ছে না।

অহনাঃস্যারেরা কিছু বলে না?
সানিঃরাশেদ যে ভয়ানক তার সামনে কে যাবে?
অহনাঃমানে?
সানিঃএখন পুরো ভার্সিটিতে রাশেদের রাজত্ব চলে।সে যা বলে ডাই হয়।বলা যায় যেন কোনো মাফিয়া দেশকে কনট্রোল করছে।

অহনা সানিকে এখানে থাকতে বলে অহনা ইশিতার কাছে গেল।ইশিতার সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিছু বলছে না কেউ।এভাবে সামনে দাঁড়িয়ে থাকায় রাশেদ জোর গলায় বলে ওঠল…
রাশেদঃঐ কি সমস্যা সামনে কি?(রেগে)

অহনাঃইশিতার সাথে আমার কথা আছে।
রাশেদঃ আমি ছাড়া সে আর কারো সাথে কথা বলে না।যদি সেটা কোনো বেইমান হয় তাহলে তো একদমই না।
অহনাঃআমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি।আমি ক্ষমা প্রার্থী রাশেদ।

রাশেদের নাম ধরতেই রাশেদ রেগে গিয়ে বসা থেকে ওঠে গেল।চোখ গুলো লাল বর্ণ ধারণ করল।যেন মনে হচ্ছে ঐ চোখ দিয়ে কোনো মানুষকে জ্বালিয়ে মারবে।অহনা ভয়ে পিছিয়ে গেল।ইশিতা রাশেদেকে শান্ত করে উল্টো দিকে ঘুরে গেল।সেদিন অহনা রাশেদ কিংবা ইশিতার সাথে ভালো করে কথা বলে নি।সবার ভার্সিটি শেষ করে বাসায় চলে যায়।অহনা বাসায় গিয়ে ইশিতাকে অনেক বার ফোন করে কিন্তু রাশেদ বলেছিল অহনার সাথে কোনো রকম কথা না বলতে।তাছাড়া অহনা যেটা করেছে সেটার জন্য ইশিতা অহনাকে ঘৃণা করে।তাই এত বার ফোন করার পরেও ফোন ধরে নি।

অহনা চিন্তায় পড়ে গেল কিনা কি করে ফেললো ভুলের বসে। নিজের থেকে কাঁদতে শুরু করল।অনেকক্ষণ পর সানি কে ফোন দিল।সানিকে জিজ্ঞেস করল রবি ভার্সিটিতে কখন থেকে আসতেছে না? সানি জবাবে বলল যেদিন তুমি ওর প্রপোজাল রিজেক্ট করেছিলে সেদিন থেকে ভার্সিটিতে আসেনি। কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। হয়তো তার জন্যই রবি ভার্সিটিতে আসেনি। অহনা ভাবল রবির সাথে দেখা করবে। পরেরদিন ভার্সিটিতে না গিয়ে আগে রবির বাসায় গেল।

সেখানে গিয়ে দেখল গেটের বাইরে তালা মারা।অহনা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ল।সামনের বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করল,”ওই বাসার মানুষগুলো কোথায় বাইরে তালা লাগানো কেন “?
দারোয়ান জবাবে বলল একমাস আগেই ওরা গ্রামে চলে গেছে।তারপর থেকে কখনো এখানে একবারের জন্যও আসেনি। অহনার মনটা আমার ভেঙ্গে গেল। আসছিল আজকে রবিকে সরি বলবে ভেবে।কিন্তু তার জন্য যে এত কিছু হয়ে গেলে তখন আর কল্পনার বাইরে ছিল।অহনা সেখানেই দাঁড়িয়ে কেঁদে দিল।অহনার সাথে সানিও ছিল।

সেদিন অহনা রবি কে মিথ্যা বলছি যে সানি ওর বয়ফ্রেন্ড।আসলে হচ্ছে সানি অহনার জাস্ট ফ্রেন্ড।সেদিন রবিকে মিথ্যা বলার জন্য সানিকে বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে ছিল।

আজ যখন ও নিজে থেকেই খুব বেশি অনুতপ্ত।তার জন্যই রবি আজকে ভার্সিটি থেকে ছেড়ে চলে গেল। অহনা আর ভার্সিটিতে না গিয়ে বাসায় চলে গেল।দৌড়াতে দৌড়াতে কেঁদে কেঁদে নিজের রুমে চলে গেল আর দরজা লাগিয়ে দিল।

অহনার মা বিষয় টি লক্ষ্য করে চিন্তিত হয়ে গেল।অহনার রুমের সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,”কি হয়েছে মা তুই কাঁদছিস কেন “?অহনা কোনো জবাব দিল না বরং কেঁদেই যাচ্ছে।অহনার মা বুঝতে পারল অহনা খুবই কষ্ট পেয়েছে যে কারণে সে কান্না করতেছে।অহনা ছোট থেকে কখনো কাঁদে নি কিন্তু আজ কান্না করতেছে বিষয়টা খুবই খারাপ দেখায়। অহনার মা অহনার বাবাকে ফোন দিল।অহনার কান্নার কথা জানালো।

অহনার বাবা তখনই গাড়িতে উঠে বাসায় চলে এলো। এমপির মেয়ে কান্না করতেছে বিষয়টা মোটেও সহজ নয়। অহনার বাবা এসে এসেই অহনার রুমের দরজা নক করতে লাগলো।ভেতরে অহনা এখনো কান্না করতেছে।যা এমপির মনকে ক্ষত-বিক্ষত করে দিচ্ছে। বেশ কিছু সময় দরজায় নক দেওয়ার পর অহনা এসে দরজা খুলে দিল।কান্নার কারণ অহনার চোখ আর মুখ ফোলে গেল।

আপনার বাবা অহনার কান্নার কারণ জানতে চাইলে অহনা বলে…
অহনাঃবাবা আমি ওকে বুঝতে পারিনি ওকে আমি খুব কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।
–কাকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছিস বল? আমি না হয় ঠিক করে দেবো। সব চিন্তা করিস না আমি আছি তো।
অহনাঃবাবা ও আমাকে সত্যি খুব ভালবাসতো আমিও তাঁকে বুঝতে পারিনি।
–কার কথা বলছিস একটু বুঝিয়ে বল না। আমি যে তোর কান্না সইতে পারছি না রে মা।
অহনাঃবাবা একটা ছেলে আমাকে খুব ভালোবাসতো কিন্তু আমি ফ্রেন্ডের সাথে চ্যালেঞ্জ করে ছেলেটিকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছি।বাবা ওকে আমার চাই।

—আচ্ছা ঠিক আছে তুই আগে শান্ত হ তুই ওকে পাবি।
অহনাঃসত্যি পাব তো বাবা?
–আমি বলছি মানে তুই পাবি।আর এমন কি কখনো হয়েছে তুই আমার থেকে চেয়েছিস তা পাসনি?
অহনাঃতাও বাবা আমার খুব ভয় হচ্ছে।
–কোন ভয় পাওয়ার কারণ নেই। আগে খেয়ে নে তারপর তোর সাথে আমি এ বিষয়ে খুব ভালো করে বুঝিয়ে কথা বলব।
তারপর অহনাকে নিয়ে খেতে বসল।অহনার মুখে কিছুই যেন যাচ্ছে না যা দিচ্ছে তাই যেন বিষাক্ত হয়ে আসছে।অহনা খাবার মুখে নিলে তো কেবল ফেলে দিল।অহনার বাবাও খুব চিন্তায় পড়ে গেল।তার মেয়ের কখনো এমনটা হয়নি ও অসুস্থ হলেও হয়নি এমন টা।কিন্তু আজ একটা ছেলের জন্য তার মেয়ে কান্না করতেছে। ভেবেই অহনার বাবার চোখ দিয়ে পানি চলে আসলো।

প্লেটের খাবার সবগুলো রেখে দিয়ে অহনার বাবা নিজের রুমে চলে গেল।এই দিলে অহনা খেতে না পেরে নিজের রুমে চলে গেল আবার কান্না শুরু করে দিল।তার জন্য আজ কত জনকে কান্না করতে হচ্ছে।অহনা ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কেঁদে উঠলো।

সারাদিন অহনা রুমের মধ্যে কেঁদে কেঁদে পার করে দিল।বিকালে তার বাবার ডাকে রুমের দরজা খুলল।দরজা খুলে দেখে অহনার বাবা কফি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।অহনার বাবা এমপি হতে পারে কিন্তু বাবা হিসেবে খুবই ভালো।মেয়ের সুখের জন্য সব কিছু করতে পারে তিনি।অহনার সাথে এক কাপ কফি ধরিয়ে দিল আর গিয়ে অহনার বিছানায় বসলো।

বাবার এমন কাণ্ড দেখে অহনা ও অবাক। কারণ তার বাবা আগে কখনো তার রুমে এসে বসে নি।কোন দরকার হলে তার মাকে বা কাজের মেয়েকে পাঠাতো।

অহনার বাবা অহনাকে জিজ্ঞেস করল….
–এখন বল মা তোর কি হয়ছে?
অহনাঃতাহলে তোমাকে শুরু থেকে বলি বাবা?
–হ্যা বল শুরু থেকে বল কি হয়েছে?
অহনাঃ ভার্সিটিতে যাওয়ার কয়েক দিন পরে জানতে পারলাম ভার্সিটিতে এমন একটা ছেলে আছে যে কোন মেয়েকে পাত্তা দেয় না। কেউ নাকি তাকে প্রপোজ দিলেও সে রিজেক্ট করে। একদিন আমি ফ্রেন্ডদের সাথে চ্যালেঞ্জ করে বললাম ওই ছেলেটাকে আমি প্রপোজ করব না বরং সে এসে আমাকে প্রপোজ করবে।
তারপর থেকে ছেলেটার সাথে আমি ভালোবাসা নাটক করি। কিন্তু ছেলেটা আমাকে সত্যি ভালোবাসো তো। ১৪ ফেব্রুয়ারী ছেলেটা সবার সামনে ভার্সিটিতে আমাকে প্রপোজ করে। কিন্তু আমি তাকে অপমান করি। পরে বুঝতে পারে আমিও তাকে ভালোবাসি। অপমান করার পর দিন সে নাকি গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।ওকে আমি অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলেছি বাবা প্লিজ কিছু একটা করো।

অহনার বাবা বুঝতে পারল তার মেয়ে কারো মায়ায় আবদ্ধ হয়ে গেছে কিংবা ভালোবেসে ফেলেছে।তাই মেয়ের চোখে জল। যে করেই হোক ছেলেটাকে অহনার জন্য যেখান থেকে পারে খুঁজে নিয়ে আসবে।

#To_be_continue…….
#গল্পটা_কেমন_হল_জানাবেন।
#ভালো_লাগলে_শেয়ার_করবেন।
#সবাই_নিয়মিত_নামাজ_আদায়_করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here