#ক্ষ্যাত যখন মাফিয়া
#পার্টঃ১০(শেষ)
#লেখকঃরবিউল_হাসান
#RK9023DXWC

ফোন কেটে দিতেই সিকদার আমার কলেজ ফ্রেন্ড ফোন দিল।আমি রিসিভ করে যা শুনলাম একদম প্রস্তুত ছিলাম না…
আমিঃকি অবস্থা?
সিকদারঃভালো না,তুই আসছিস না কেন কোনো সমস্যা?
আমিঃআরে না আসব কিছু দিন পর।
সিকদারঃমারিয়া কোথায়?
আমিঃআমি কিভাবে বলব কোথায়?(না জানার ভান করে)
সিকদারঃতুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরের দিন থেকে মারিয়া নিখোঁজ।
আমিঃওহ…
সিকদারঃআমার কেন জানি সন্দেহ হচ্ছে তুই কি ওকে কিছু করছিস?
আমিঃআরে আমি কি করব ওর সাথে।আমি একটা ক্ষেত আর সে একটা মাফিয়ার বোন আমি কি করতে পারব।

সিকদারঃআচ্ছা,তুই এখন কোথায়?
আমিঃআমি গ্রামের বাড়িতে চলে আসছি
সিকদারঃওকে রাখছি।
ফোন কেটে দিয়ে দেখে মারিয়া আমার দিকে থাকিয়ে আছে।
আমি তেমন গুরুত্ব না দিয়ে,রাশেদের সাথে কথা বলতে লাগলাম।তার কিছু সময় পর সাগর ফোন দিয়ে বলল,একটু আগে সিকদার ইচ্ছে করে ফোন করে নি।সাকিবের লোক ফোন করতে বাধ্য করেছে।সিকদার কে তারা মেরেছেও।তাই সিকদার ফোন করছে।

এসব শুনে আমার মাথায় আগুন ধরে গেল।কেউ আমাকে কিছু করলে আমি সহজ ভাবে উড়িয়ে দিয়,কিন্তু কেউ আমার কোনো বন্ধুকে কিছু করলে আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারি না।

আমি আবারো সাকিব কে ফোন দিলান।সাকিব ফোন রিসিভ করে বলল তার বোনকে দিয়ে দিতে।
আমিঃতুই একটা বড় ভুল করছিস তা হল তুই কলেজে গিয়ে আমার বন্ধুদের মেরেছিস।আজ তুর বোন শেষ।ফোন লাইনে রেখে শুট করে দিলাম।
সাকিবঃএই তুই কি করলি এটা, আমার বোনকে কেন শুট করলি।প্লিজ আমার বোনকে বাঁচা তুর যত টাকা লাগে।আমি দিব প্লিজ আমার বোনকে বাঁচা।

আমিঃহা হা এখন তুর বোনকে বাঁচাতে কান্না শুরু করে দিছিস আর আমার ভাইয়ের মত বন্ধু গুলোকে তুই মেরে আসলি তখন আমারও এমন কষ্ট হয়েছিল।
সাকিবঃপ্লিজ ভাই তুর পায়ে পড়ি আমার বোনকে বাঁচা।
আমিঃচিন্তা করিস না তুর বোনের কিছু হয় নি ব্লাংক শুট করছিলাম।তুর অবস্থা জানার জন্য।যদি আর কখনো কলেজে গিয়ে মাস্তানি করিস তাহলে তুর বোন শেষ।রাখলাম।

সাকিবকে আর কিছু বলতে না দিয়ে কেটে দিলাম।মারিয়া ভাইয়ের এমন অবস্থা দেখে কান্না করে দিল।
আমিঃকি হল তোমার তুমি কান্না করছ কেন?
মারিয়াঃএভাবে ভাইয়াকে ভয় না দেখালেও পারতে
আমিঃপারতার কিন্তু অনুভূতি টা বুঝতে চেয়েছিলাম।তোমার প্রতি তোমার ভাইয়ার কেমন দরদ আছে দেখে নিলাম।

মারিয়া রুমে চলে গেল।বিকাল টাইমে আবারো সাকিবকে ফোন দিলাম। সাকিবঃবল…. আমিঃএখন তো ওসি শেষ।এবার সোলতানের পালা। সাকিবঃতুই যা বলবি আমি তাই করব।কিন্তু আমার বোনের যাতে কিছু না হয়। আমিঃহবে না তুর বোনের কিছু।শুন এখন তুকে যা বলছি কর।সোলতানকে ফোন দিয়ে দেশে আনবি।তাও এক সপ্তাহের মধ্যে। কিভাবে আনবি সেটা তুই জানিস।সময় কিন্তু একসপ্তাহ…. আর কিছু না বলে ফোন কেটে দিলাম।

মারিয়া রাগ করে রুমে চলে গেল।তবে ইদানিং মারিয়া আমার সাথে একটু বেশে মিশে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে মারিয়া আমাকে অনেক বেশি ভালোবেসে পেলছে।

পরের দিন মারিয়াকে বাসায় রেখে আমি কলেজে গেলাম।উদ্দেশ্য ক্লাস করা না সাগর, সিকদারের সাথে দেখা করা।আমি আর রাশেদ কলেজে গেলাম।তাদের সাথে দেখা করলাম।ক্লাস করতে ডুকলাম।যদিও ক্লাস শুরু হতে আরো দশ মিনিট আছে।ক্লাসে গিয়ে আমরা চারজন আড্ডা দিতে লাগলাম।তখন কেউ একজন আমাকে পেছন থেকে ডাকল।আমি পেছনে থাকাতেই দেখি সিনতিয়া।

আমিঃহ্যাই,কেমন আছেন?
সিনতিয়াঃভালো কিন্তু.…..
আমিঃকিম্তু কি?
সিনতিয়াঃনা মানে আপনি হয়ে গেলাম কখন?
আমিঃওহ সরি তুমি।তা শুনলাম তোমার বান্ধবীকে নাকি খুঁজে পাচ্ছ না?এটা কি সত্যি?
সিনতিয়াঃহ্যা। জানিনা কে কিডনাপ করছে।
আমিঃওহ…..

সিনতিয়ার সাথে কথা বলার সময় আমার ফোনে একটা মেসেজ এল,আমি মেসেজ টা দেখে তাড়াতাড়ি কলেজ থেকে বের হয়ে গেলাম।তারপর বাসায় চলে এলাম।মেসেজটা ছিল,(স্যার আমি মাহমুদ, একটু আগে আমরা আপনার লোকেশন জানতে আপনার ফোন ট্রেগ করতে চায়।আমাদের কম্পিউটারের পর্দায় দেখতে পায়,Ye00s নামের একটা ডিভাইস আপনার লোকেশন ট্র্যাকিং করতে চাচ্ছে। আশা করি আপনি সতর্ক থাকবেন।)

এটা দেখে আমি বাসায় চলে আসি।আমি জানি কে আমার ফোন ট্রেগ করতে পারে।তাও ঠান্ডা মাথায় বসে থাকলাম।সাকিবকে ফোন দিলাম।
আমিঃকি অবস্থা সোলতানকে আনতে পারবি তো?
সাকিবঃহ্যা পারব।
আমিঃএকদিন শেষ আর ছয় দিন আছে।রাখলাম।

সাকিবকে কিছু বলতে না দিয়ে ফোন কেটে দিলাম। কলেজ যাওয়া বাসায় আসা নিয়ে চলে গেল আরো ৫ দিন।সোলতান আর দুই দিনের মধ্যে দেশে আসবে।তাই আমি রাশেদকে সব কিছু বুঝিয়ে দিলাম কি করতে হবে।

সোলতানকে এমনিতে দেশে আনা যাবে না।তাই সাকিব সোলতানকে দেশে আনার জন্য একটা প্লেন বানল।সেটা হল,সাকিব বিয়ে করার মত অনুষ্ঠান করবে,মানে সোলতান মনে করবে সাকিবের বিয়ে হচ্ছে, সাকিব সোলতানকে বিয়ে দেখিয়ে দেশে আনবে তাই আজ সাকিবের সব কাজ শেষ শুধু সোলতান দেশে আসা বাকি।

আজ সাকিবের বিয়ে(নাটক করে সাজানো)।সোলতান বিয়েতে অবশ্যই আসবে।যতই হোক,সাকিব সোলতানের জন্য যা করছে সেটা আর কেউ করবে না।দেশের এত বড় একজন মাফিয়ার কিংকে যে বিশ্বাস ঘাতকতা করে,মেরে দিয়ে,সোলতানকে এদের কিং বানিয়ে দিছে।সে বিয়েতে অবশ্যই সোলতানের আসতেই হবে।

আজ সোলতান দেশে আসছে,সাকিবের বিয়েতে।কিন্তু সোলতান জানে না তার সাথে আজ কি হতে পারে।
সোলতান নিজের হেলিকপ্টার নিয়ে সাকিবের বাড়ির ছাঁদে নামছে।চারপাশে শু শু বাতাস বয়ছে,এটা সোলতানের হেলিকপ্টারের পাখার বাতাস।সোলতান ছাঁদে পা দেওয়ার সাথে সাথে প্রায় ১০০ গাড়ি সাকিবের বাড়ির চারপাশে ঘিরে ধরল।এগুলো আর কারো নয় সোলতান ও সাকিবের লোক।সোলতান হেলিকপ্টার থেকে নেমে সাকিবের বাসায় প্রবেশ করল।

সোলতান আসছে শুনে R.K নিজের লোক গুলোকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।উদ্দেশ্য সাকিবের বাসা।কিন্তু R.K জানত না সাকিব এখানেও একটা চাল চেলে রাখছে।

R.K এর গুপ্তচর খবর দিল সাকিবের বাড়ির চারপাশে ১০০ মানুষ গান নিয়ে দাড়িয়ে আছে। আর সোলতানের পাশে আছে ৫ জন যারা বুলেটের গতিতে কাজ করে।

R.K কিছু না ভেবে, গাড়ি নিয়ে একা চলে এল সাকিবের বাসায়।R.K মাক্স পড়ে ছিল।সাকিবের বিয়ে বলে কথা,অনেক মেহমান। সবাইকে চেকিং করে ভিতরে ডুকতে দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য সবাই মাক্স পড়ে নি।কেউ পড়ছে আবার কেউ পড়ে নি।কিন্তু R.K ঠিকই পড়ছে।করোনা বলেও একটা মহামারি ভাইরাসের কথা আছে।

R.K মাক্স পড়ে গাড়ি থেকে নেমে,ভেতরে ঢুকতে গার্ড চেক করল।তারপর ভিতরে ডুকল।সব ঠিকঠাক R.K ফোন বের করে সাকিবকে ফোন দিয়ে ছাঁদে যেতে বলল।যদিও সাকিব এখনো জানে না তার বোনকে কিডনাপ করেছে R.K। সাকিব ছাঁদে গেল।ওখানে আগে থেকেই R.K দাড়িয়ে ছিল।সাকিব যেতেই দেখল,কেউ একজন ওখানে আগে থেকে দাড়িয়ে আছে, সাকিব অবশ্য জানে কে সে।কারণ নাম্বার টা সাকিব চিনে।এই নাম্বার থেকে সাকিব আদেশ পাচ্ছিল কি করতে কি করতে হবে না সব।সাকিব বুঝে গেল এটা আর কেউ নয় সেই কিডনাপার।যে সাকিবের বোন মারিয়াকে কিডনাপ করছে।সাকিব ছাঁদে এসে কাশি দিল যাতে ছাঁদে কিডনাপার সাকিবের দিকে তাকায়।

কিডনাপার সাকিবের দিকে থাকাতেই,সাকিব কিডনাপারের দিকে গুলি ধরল।কিন্তু সাকিব জানে না কিডনাপারকে।
সাকিবঃকে তুই আর আমার বোন কোথায়?
–আছে আছে তুই তুর কথা রাখলি আমিওতো আমার কথা রাখব তাই না?
সাকিবঃতুর গলার আওয়াজ টা কেন জানি আগে কোথাও শুনেছি।তুর চেহারা দেখা, মাক্স খুল।
–মাক্স খুললেই তো তুই পায়ে পড়বি।
সাকিবঃশালা গান আমার হাতে ট্রিগার টিপলেই তুই শেষ,তাও ভয় না পেয়ে আরো উল্টাপাল্টা বকছিস🤬
–হা হা গান তুর হাতে কিন্তু কনট্রোল আমার হাতে🤣
সাকিবঃমানে?
–আমার কিছু হলে তুর বোন শেষ🤣
সাকিবঃবল আমার বোন কোথায়?
–আছে আমার লোকের হাতে।এখন যা আমি বলব তুই তাই করবি।ফোন দেয় সোলতানকে।এখানে আসতে বল।
সাকিবঃসোলতান তুকে মাটি চাপা দিয়ে দিবে।
–ওটা পরে দেখা যাবে। আগে ফোন দেয়।

সাকিব সোলতানকে ফোন দিয়ে ছাঁদে আনল।সোলতানের সাথে ৫ জন গার্ডও আছে।সোলতান ছাঁদ সাকিব ছাড়া অন্য কাউকে দেখে কে সে জানতে চাইল।সাকিব বলল একটা কিডনাপার।যে আমার বোনকে কিডনাপ করেছে।এর কথায় আপনাকে(সোলতানকে) দেশে আসতে হল।আজ আমার বিয়ে নয়।এর জন্য আপনাকে দেশে আনতে নাটক সাজাতে হয়েছে।

সোলতানঃবাহ আমার লোক এত বড় নাটক সাজাল তাও আমাকে না জানিয়ে তা কেমনে হয়?
সাকিবঃসরি ভাই।
সোলতানঃতা তুর চেহারাটাতো দেখা?
—দেখবি তাহলে দেখ(মুখ থেকে মাক্স সরিয়ে)

সাকিব+সোলতানঃR.K?
আমিঃহুম R.K
সাকিবঃতুই তো মরে গিয়েছিলি তাহলে?
আমিঃআমাকে মারা এত সোজা না🤣
সাকিবঃতাহলে তুই এখন আমার হাতে মরবি😡
আমিঃআর তুর বোন আমার লোকের হাতে মরবে🤣
সাকিবঃনা আমার বোনের কিছু করবি না, তুকে আমি ছেড়ে দেব।
সোলতানঃকিন্তু আমি ছাড়ব না।
আমিঃতুই কি আমাকে ছাড়বি না। বরং আমিই তুকে ছাড়ব না।
সোলতানঃমানে?
আমিঃখুব সোজা।আজ তুকে এখানেই মেরে দিব।
সোলতানঃপারবি না রে।তুর চেষ্টা কখনো পুরণ হবে না।
আমিঃসেটা আমি দেখব।যাই হোক গেলাম।

বলে ছাঁদ থেকে চলে আসতে লাগলাম।সোলতান গুলি ধরল আমার দিকে।আমি আবারো সোলতানের দিকে ঘুরলাম। আর সাকিব কে বললাম….
আমিঃআমার কিছু হলে তুর বোন শেষ।এখন আমি যাব কি না যাব না, ওটা তুই বুঝিস….

সাথে সাথে সাকিব সোলতানকে গুলি ধরল।এটা দেখে সোলতান রেগে গেল অনেক।আবার হাসতেও লাগল।সাকিব এসব না বুঝে হাসার কারণ জানতে চাইল।সোলতান যা বলল তাতে আমিও অবাক।

সোলতান বলল এটা সোলতান নই।সোলতানের মুখোশ পড়ে সোলতানের লোক এসেছে।এই বলে মাক্স খুলে পেলল।যা দেখে আমরা সবাই অবাক।

লোকটা ফোন দিল কাকে যেন।দুই মিনিট পর দুইটা হেলিকপ্টার আসল। আর হাসতে হাসতে বের হল সোলতান।সাকিবকে বলল….
সোলতানঃআমি জানতাম তুই এমন কিছু করবি🤣কারণ যে নিজের লোকের সাথে বেইমানী করতে পারে সে আমার সাথে কেন নয়?আমি জানতাম আজ তুর বিয়ে নয় আমাকে এখানে আনার একটা চাল।যেটা তুর কোনো লোক আমাকে বলেছে।জানিস কে বলছে?
সাকিবঃকে?
সোলতানঃতুর খুব ভালো কাছের লোক রিপন আমাকে বলেছে।
সাকিবঃকিহ আমার ভাইয়ের মত মানুষ আমার সাথে বেইমানী করল?
সোলতানঃহা হা ভাইয়ের মত 🤣 হ্যা ভাইয়ের মত ছিল। কিন্তু তুই কারো কাছে ভাই ছিলি R.K তুকে ভাইয়ের মত দেখত।তুই তার সাথে বেইমানি করলি এখন একটা ভালোই হয়ছে।দুই জনকে একসাথে মারতে পারব।
সাকিবঃদুই জনকে এক সাথে মারবি মানে?

সোলতানঃতুই যাকে মারতে গিয়েও বেঁচে যায় তাকে আর তুকে এক সাথে খতম করে দিব।তাও তুর ছাঁদে🤣
আমিঃদেখলি তো?যার জন্য চুরি করলি সে বলতেছে চুর🤣বুঝ ঠ্যালা।
সাকিবঃ……
সোলতানঃতুদের আজকে শেষ দিন।এখানেই তুদের মাটি চাপা দিয়ে দিব।
সাকিবঃদুই মিনিট সময় দেয় আমাকে আমি R.K এর সাথে একটু কথা বলতে চায়।
সোলতানঃওকে শুধু দুই মিনিট।

সাকিব আামর কাছে আসল।আর আমাকে বলল…
সাকিবঃভাই জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করছি আপনার সাথে বেইমানী করে।আর এই বেইমানটার সাথে হাত মিলিয়ে।আমি জানি আমি আপনার কাছ থেকে ক্ষমা চাওয়ার কোনো মুখ রাখি নি।আর আমি ক্ষমা চাইও না। কারণ সে মুখ আমার নেই।আপনি চাইলে নিজ হাতে আমাকে গুলি করতে পারেন।কিন্তু প্লিজ আমার #বোনকে_ছেড়ে_দিন। প্লিজ ভাই😭🙏

আমিঃদেখলি তো যার জন্য এত কিছু করলি সে আজ তুকে মারতে চায়।কিন্তু বল আমি কি তুদের কখনো মারছি বা তুদের বিরোধী হয়ে কিছু করছি?তুরা যা বলছিস তুদের জন্য আমি তা করছি।কিন্তু তুই আমাকে মারার সাহস কিভাবে করলি😪🤬

সাকিবঃভাই আপনি নিজ হাতে আমাকে মেরে দিন কিন্তু ঐ বেইমানের(সোলতানের) হাতে আমি মরতে চায় না। প্লিজ ভাই আমাকে আপনি মেরে দিন তাও আমার বোনকে ছেড়ে দিন।

আমিঃতুরা আমার ভাই ছিলি।কত ভালোবাসতাম তুদের। এমনও অনেক মিশন করেছি তুদের ছাড়া তুরা বিপদে পড়তে পারিস বলে।আর তুরাই আমাকে ছুরি মারলি?

সাকিবঃভাই অনেক বড় ভুল করেছি। 😭
আমিঃযা তুর যা ইচ্ছে সোলতান কি বলে দেখ?

সাকিব সোলতানের কাছে চলে গেল।আর সোলতান সাকিবকে বলল….

সোলতানঃকি ক্ষমা করে নি?করবেও না কারণ তুই একটা বেইমান। বল তুদের মাঝে কে আগে মরবি?
সাকিবঃআমি।
আমিঃ……..
সোলতানঃগুড়।তুই আগে মরবি।কিন্তু আমি উল্টো টাই করি।যে আগে বলবে সে পরে।আর যে পরে বলবে সে আগে।সে হিসেবে।তুই নয় R.K আগে মরবে।

এই বলে সোলতান আমাকে শুট করল,কিন্তু গুলিটা আমার গায়ে না লেগে পাশ কেটে দেওয়ালে লাগে।সোলতান যখব শুট করতে যাবে তখনই সাকিব সোলতানকে ধাক্কা দেয়।

আমি আমার শার্টের একটা বাটন ক্লিক করলাম।ওটা বাটন ছিল না ওটা একটা সুইচ ছিল যেটা আমার আগে থেকে প্লেন করা ছিল।

ক্লিক করতেই ১০ টা হেলিকপ্টার থেকে শুট হতে লাগল।আমি সাকিবকে দৌড়ে গিয়ে শুয়ে দিলাম।১০ সেকেন্ড পরে সবার লাশে ছাঁদ ভারী হয়ে গেল।পুরো ছাঁদ রক্তে লাল হয়ে গেল।এখন মাত্র তিন জন লোক আমরা ছাঁদে দাড়িয়ে আছি। আমি,সাকিব,সোলতান। আমার প্লেন ছিল ছাঁদে যারা থাকবে সবাইকে শুট করা হবে শুধু আমি আর সোলতান ছাড়া।কিন্তু আমি সাকিবকে ধরে রাখছি তাই কেউ শুট করেনি।আমাদের মাঝে হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসল মাহমুদ, রাশেদ।তারা এসে আমার সামনে এসে আমাকে স্যালুট মারল।(কাজের সময় সবসময় তারা আমাকে সিনিয়র হিসেবে রেসপেক্ট করে,যদিও তারা আমার বন্ধু)

তারা এসে আমার পাশে দাড়াল।হেলিকপ্টারে যারা ছিল তারা সবাই সাব শুটার, তাই কারো টার্গেটে মিস হয় না।সোলতান এই অবস্থা দেখে অনেক ভীত হয়ে গেল।আমি সোলতানের কাছে গিয়ে বললাম।
আমিঃদেখলি তো কার কাছে কে হেরে গেছে?
সোলতানঃবল তুর কি চায়?তুই যা চাইবি তাই পাবি।বিনিময়ে আমাকে ছেড়ে দিবি।
আমিঃওকে ডান।
সোলতানঃ😊😊
আমিঃতাহলে আমি যা চায় তুই তাই দিবি?
সোলতানঃহুম।

আমি রাশেদকে একটা ইশারা করলাম। সে চলে গেল তার কাজে।আমি সোলতানকে বললাম।
আমিঃবেশি কিছু চায় না, শুধু টাকা আর হিসাব চায়।দিবি তো?
সোলতানঃদিব😊বল কত লাগবে?
আমিঃআগে হিসাব দেয়।
সোলতানঃবল কিসের হিসাব।
আমিঃবাংলাদেশে তুর অবৈধ কি কি কাজ চলে।আর কত টাকা আসে ওখান থেকে?
সোলতানঃএখানে বেশি কিছু নেই,তুর ভয়ে তেমন কিছু এখানে রাখি নি।যা আছে দুবাই, মালেশিয়াতে।
আমিঃএখানে কি কি আছে?
সোলতানঃপাঁচ টা অস্ত্রের গোডাউন, দশটা ড্রাগস ফ্যাক্টরি,তিনটা বেজাল ঔষধের ফ্যক্টরি।আর নারী প্রাচার করার জন্য চারটা গোডাউন।
আমিঃএত বেআইনি কাজ করিস কিন্তু কেউ বাধা দেয় না?
সোলতানঃকে বাধা দিবে,এম পি, মন্ত্রী সবাই আমার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
আমিঃকিন্তু আমি বিক্রি হব না। আজ তুই শেষ।
সোলতানঃতুই আমাকে বলছিস টাকা পেলে আমাকে ছেড়ে দিবি।
আমিঃওকে আমি আমার কথা রাখলাম।যা তুকে ছেড়ে দিলাম।কিন্তু এরা কি করবে সেটা আমি জানি না।
মাহমুদঃস্যার আমরা ছাড়ব না।
সোলতানঃ…..
আমিঃতুর কোনো শেষ ইচ্ছে থাকলে বল।
সোলতানঃআমি তুর আসল পরিচয় জানতে চায়।কে তুই?
আমিঃওকে শুন তাহলে।তার কানের কাছে গিয়ে আমার পরিচয় দিলাম।আমার পরিচয় পেয়ে তার চোখ দিয়ে রক্ত বের হতে লাগল….

মাহমুদঃস্যার এটা কি হচ্ছে?
আমিঃভয় পাইছে আমার আসল পরিচয় পেয়ে।
মাহমুদঃএর তো অবস্থা খারাপ মারা যাবে…
আমিঃতোমাদের রাগ থাকলে শুট করতে পার।

আমার বলতে দেরি কিন্তু শুট করতে দেরি না।রাশেদ, মাহমুদ দুইজন একসাথে শুট করল।দেহ থেকে বের হয়ে গেল সোলতানের প্রাণ।

আমি রাশেদকে বললাম কাজ হয়ছে কি না?রাশেদ বলল হয়ছে।কাজটা ছিল ভিডিও করা।সোলতান যে যে কথা বলবে সব ভিডিও করা হল।যাতে ভিডিও গুলো দেখে মানুষ বুঝতে পারে সোলতান কতটা খারাপ।

শেষ করে দিলাম,সোলতানের ইতিহাস……
এভাবে শেষ হয়ে গেল সোলতান।সাকিব মাথা নিচু করে কান্না করতেছে।আমি তার কাদে হাত দিয়ে বললাম।
আমিঃকি হয়ছে তুর কান্না করছিস কেন?
সাকিবঃভাই আমাকে মাপ করে দিন(পায়ে পড়ে)
আমিঃপেলি তো বেইমানীর ফল।
সাকিবঃভাই অনেক বড় ভুল করেছি😭

আমি মারিয়াকে আনতে বললাম।মারিয়া এসেই আামকে ঝড়িয়ে ধরল।
সাকিবঃ😳
আমিঃকি পাগলামো করছ,তোমার ভাই😇
মারিয়াঃতো কি হয়ছে,আর ওকে আমার ভাই বলতেও ঘৃণা হচ্ছে। বেইমান কখনো আমার ভাই হতে পারে না।
সাকিবঃসরি রে,ক্ষমা করে দিস বোন,আমি বুঝতে পারি নি।
মারিয়াঃআমি ক্ষমা করার কে, যার কাছে অপরাধ করছ তার কাছে ক্ষমা চাও।
সাকিবঃভাই মাপ করে দিন প্লিজ🙏আর জীবনেও এমন করব না।আপনি বললে আমার বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যাব।
আমিঃদেশ ছেড়ে গেলে তুই একা যাবি মারিয়া যাবে না।আর তুই সোলতানকে ধাক্কা না দিলেও চলত।আমি লাইফ জ্যাকট পড়ে আসছি।

মারিয়াঃপ্লিজ মাপ করে দাও ভাইয়াকে😪🙏
আমিঃওকে মাপ করলাম।তবে আজ থেকে সাধারণ ভাবে জীবন পার করতে হবে।
সাকিবঃভাই আমি পারব।যদি আপনার কাছে একটু আশ্রয় দেন তাহলে সারাজীবন আপনার সেবা করে যাব প্লিজ ভাই।
আমিঃকোনো বেইমানকে আমি আমার সাথে রাখি না।আর একটা কথা আবির মরে নি।সে এত দিন তুর সাথে কাজ করছে যা তুই জানিস না।
সাকিবঃকিহ…
আমিঃহুম।চললাম ভালো থকিস।আর হ্যা শুন.….
সাকিব আমার কাছে আসল, তার কানে কানে বললাম মারিয়া কিন্তু আমার ভালোবাসা খেয়াল রাখবি।আর তুই আমার কাছে আশ্রয় চেয়েছিস না।যা আজ থেকে মারিয়াকে দেখ শোনা করার দায়িত্ব তুর।
সাকিবঃভাই ও আমার বোন হয়।
আমিঃতাই ওর সাথে বেইমানী করতে পারবি না।তাই এটা তুকে বললাম।
সাকিবঃওকে ভাই পারব।

আমিঃতোমরা সবাই নিচে যাও,আর আমি সাকিবকে ক্ষমা করে দিছি।

সবাই নিচে চলে যাচ্ছে সাথে মারিয়াও।আমি আস্তে করে মারিয়ার হাত ধরে বললাম তুমি কোথায় যাচ্ছ?
মারিয়াঃতুমিই তো বললে সবাইকে নিচে চলে যেতে।
আমিঃসবাইকে বলছি তোমাকে না।
মারিয়াঃমানে…
আমিঃমানে হল তোমার সাথে একটু রোমাঞ্চ করব এখন🥰
মারিয়াঃএকদম না।
আমিঃতাই না।বলে মারিয়ার দিকে এগুতে লাগলাম।আর মারিয়া পেছাতে লাগল।এভাবে যেতে যেতে মারিয়া দেওয়ালের সাথে লেগে গেল।আমি মারিয়ার সামনে। মারিয়ার ঠোঁট গুলো আমায় টানছে, তার ঠোঁটের কাছে যেতের মারিয়া চোখ বন্ধ করে পেলল গরম শ্বাস আমার মুখে পড়তেছে।

আমি আরেকটু কাছে গেলাম………..

……………………..সমাপ্ত………………………

❣️গল্পটা কেমন হল তা কমেন্ট করে জানাবেন✅

✅সবাই নিয়মিত নামাজ আদায় করবেন।✅

✅ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।✅

❌সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।নিজে নিরাপদে থাকুন অন্যকেও নিরাপদে থাকতে দিন❌

❌করোনার সময়ে অযথা বাইরে ঘুরাঘুরি করবেন না❌

❌অনুমতি ছাড়া কপি করা নিষেধ❌

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here