“অভিশপ্ত ডায়েরী”
#পর্ব_৭_ও_৮
লেখিকা_সামিয়া আহমেদ ।

প্রিস্ট বলল,“আমি এসব জানি কারন মিয়া এইকথাগুলো আমাকে নিজে বলেছে এই ডায়েটীর মাধ্যমে।” আমি বললাম,“আপনি এই ডায়েরীটি পড়েছেন?”প্রিস্ট বলল,“হ্যা,কারণ এটি রুশ ভাষায় লেখা।আর আমি রুশ ভাষা খুব ভালভাবে জানি।”আমি বললাম,তারপর বুড়িটি আর মিয়ার কি হলো?”প্রিস্ট বলল,“মিয়া আর সেই বুড়িটি তারা টেক্সাসে থাকতো।সেখানে তাদের দুজনকেই অনেকে চিনতো।যে কেউ দেখলেই তাদের আবার সমস্যায় পড়তে হত।তাই বুড়ি এজেলা মিয়াকে বলল,“মিয়া এই শহর আমাদের জন্য নিরাপদ না।এখানে আমরা আমাদের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারব না।এখানে কেউ না কেউ আমাদের দেখে ফেলবে এবং পুনরায় কারাগারে যেতে হবে যা আমি চাই না।তাই আমাদের অন্য শহরে যেতে হবে।”মিয়া বলল,“কেন?আমরা অদৃশ্য হয়েও কাজটি করতে পারব।এজেলা বলল,“তা সম্ভব না।কারণ একবার অদৃশ্য হওয়ার পর ৩ মাস ১৫ দিন পর্যন্ত আমি অদৃশ্য হতে পারব না।আর তুমিও একই সময় পর্যন্ত পারবে না।আর তাছাড়া এই মন্ত্র পড়ে আমরা ৫ মিনিট এর বেশি সময় অদৃশ্য হতে পারব না।তা নাহলে আমরা ক্রিস্ট্মাস এর আগের দিনই প্রিজন থেকে বের হয়ে যেতাম।”মিয়া বলল,“কিন্তু ঠিক ৩ মাস ১৫ পর পর কেন আমরা অদৃশ্য হতে পারব?তার আগে কেন পারব না?”এজেলা বলল,“এই মন্ত্রের এই নিয়ম সর্বদা সবক্ষেত্রে।আমাদের কাছে সময় নেই আমাদের এই শহর ছেড়ে দ্রুত অন্য কোন শহরের জন্য রওয়ানা হতে হবে।”মিয়া বলল,“আমি যাওয়ার আগে একবার এলেক্সকে দেখে যেতে চাই।আর অন্য শহরে যাওয়ার আগে আমাদের অর্থের প্রয়োজন।আমি আর এলেক্স কিছু ডলার সঞ্চয় করে আমাদের বাসায় লুকিয়ে রেখেছিলাম।যাওয়ার আগে আমি বাসায় যেয়ে তা নিয়ে যেতে চাই।”এজেলা বলল,“ঠিক আছে।তারা প্রথমে গ্রেভইয়ার্ডে এলেক্সের কবর দেখতে গেল।মিয়া অশ্রু সিক্ত কণ্ঠে বলল,“আমি তোমাকে ফিরিয়ে আনব।শীঘ্রই আমরা আগের মত একসাথে থাকব।”তারপর মিয়া বাসায় যেয়ে ডলার সহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিল আর যাওয়ার সময় তার বাবার দেয়া ডায়েরীটাও নিয়ে গেল।তারা টেক্সাস থেকে সান ফ্রান্সিসকোতে যেয়ে বসবাস শুরু করল।মিয়া বলল,“আমার কাছে একটি উপায় আছে যাতে করে আমরা খুব সহজেই আমাদের লক্ষ্যে পোছাতে পারব।আপনি আপনার কালো জাদু দ্বারা মানুষের ভবিষৎবাণী করবেন।এতে অনেকেই আপনার কাছে আসবে এবং আপনি খুব সহজেই তাদের জন্মসময় জানতে পারবেন।এবং আমি একটি বারে কাজ নিব যাতে করে আমি সহজেই অনেক ছেলেদের আকৃষ্ট করে তাদের আপনার এখানে নিয়ে আসব।”এজেলা বলল,“উপায়টি খুবই ভালো।তুমি কি প্রস্তুত?”মিয়া বলল,“হ্যা,আমি প্রস্তুত।”তারপর মিয়া আর এজেলা তাদের প্ল্যানমত নিরীহ মানুষদের ফাঁদে ফেলে তাদের শয়তানের উদ্দেশ্যে বলি দিতে লাগল।কিন্তু তারা বিপদে পড়ল যখন একটি মহিলা পুলিসে মামলা করল যে তার মেয়ে সুশি এজেলার বাসায় যাওয়ার পর তাকে আর খুজেঁ পাওয়া যায়নি।তাই একদিন এক পুলিস অফিসার এজেলাকে গ্রেপ্তার করার জন্য তার বাসায় পৌছল কিন্তু এজেলা জানালা দিয়ে তাদের আসতে দেখে অদৃশ্য হওয়ার মন্ত্র পড়ল।তাই তারা তাকে না পেয়ে মিয়ার সাথে কথা বলে চলে গেল।সেদিন রাতেই মিয়া আর সান ফ্রান্সিসকো শহর ছেড়ে ডেনভার শহরে আসল।ডেনভারেও তারা একই উপায়ে মানুষ গুম করতে লাগল।কিন্তু এবার তারা আগের চেয়ে অনেক সাবধান ছিল।তাই যখন পুলিস ও কিছু করতে পারল না তারা উদ্বিগ্ন হয়ে চার্চের প্রিস্টকে বলল যে তাদের এখান থেকে হঠাৎ করেই মানুষ গুম হতে লাগল।কিন্তু কেউ বের করতে পারল না তার কারন কি।সেই বছর ক্রিস্ট্মাস এর দিন সবাই চার্চে যাচ্ছিল তাই এজেলা আর মিয়াকেও তাদের প্রতিবেশি এসে বলল,“কি ব্যাপার?আপনারা যাবেন না?”এজেলা বলল,“বয়স হয়েছে।তাই সবসময় চলা-ফেরা করতে পারি না।প্রতিবেশি স্টেলা বলল,“তাহলে মিয়া চল আমাদের সাথে।তাই একান্ত অনন্যপায় হয়ে মিয়া তার সাথে গেল।কিন্তু চার্চে যাওয়ার পর মিয়া ছটফট করতে লাগল।তার হাত পা কাপঁতে লাগল।কেউ সেটা খেয়াল না করলেও একজন নান এর সন্দেহ হল।তাই সে চার্চের প্রিস্টকে জানাল।তিনি নানকে বললেন,“মিয়ার উপর নজর রাখতে।”একদিন নান তার পিছু নিল আর দেখলো মিয়া কালো জাদু করছে।সে প্রিস্টকে সে যা দেখল সব জানাল।প্রিস্ট তাই তার শিষ্যদের নিয়ে এজেলার বাসার দিকে গেল।মিয়া তাদেরকে দেখে অদৃশ্য হওয়ার মন্ত্র পড়তে লাগল।কিন্তু এজেলা অদৃশ্য হতে পারল না কারণ সে কিছুদিন আগেই অদৃশ্য হওয়ার মন্ত্র ব্যবহার করেছিল।তাই সবাই এসে এজেলাকে ধরে নিয়ে গেল।এজেলা বলল,“আমি কোন অপরাধ করিনি।যদি কিছু করে থাকি আপনারা আমাকে পুলিসে দেন।আদালত বিচার করবে।”সবাই প্রিস্টকে বলল,“যদি আমরা এখন তাকে পুলিসে দেই তাহলে আদালত তাকে ছেড়ে দিেব কারণ কোন প্রমাণ নেই আমাদের কাছে।আর যদি তা হয় তাহলে আমাদের আপনজনের আত্মা শান্তি পাবে না।তাই এখানেই তাকে শাস্তি দিতে হবে যাতে কেউ জানতে না পারে।”প্রিস্ট তাদের কথায় রাজি হল।তাই তারা সবাই এজেলাকে গাছে দড়ি বেঁধে তাকে ফাসি দিয়ে দিল।আর মিয়া…….

#পর্ব_৮

আর মিয়া অদৃশ্য হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে হয়ে গেল।কিছুক্ষণ পর সে ভাবল তার এই শহরে থাকা আর নিরাপদ না।তাই সে অন্য শহরে যাওয়ার কথা ভাবল।কিন্তু পরক্ষণে সে ভাবল যে সে এজেলার মত সব মন্ত্র জানেনা।তাই সে তার সকল মন্ত্র তার ডায়েরীতে লিখে রেখেছে। যেই ডায়েরীতে সে তার র জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা আর স্মৃতি লিখে রেখেছে।তাই সে ডায়েরি আনতে বাসায় যায় কিন্তু প্রিস্ট জানতো সে তার বাসায় তার জিনিস নিতে ঠিকই ফিরবে।তাই সে তার বাসার সামনে কিছু মানুষকে বলেছিল লুকিয়ে থাকতে।মিয়া খুবই সাবধানী হয়ে বাসায় ঢুকলো তারপর ডায়েরী থেকে মন্ত্র পড়তে লাগল যাতে সে এজেলার আত্মাকে পরপারে যেতে বাধা দিতে পারে।কিন্তু সে যখন মন্ত্র পড়ার শেষে তার সবকিছু নিয়ে বাসা থেকে বের হতে যাচ্ছিল তখন সবাই তাকে ধরে ফেলল।মিয়া তখন চেচিঁয়ে উঠল,“আমাকে ছেড়ে দাও।নাহলে তোমাদের সবার পরিণতি অশুভ হবে।”তখন একজন বলে উঠল,“আমাদের না তোর পরিস্থিতি অশুভ হবে,ডাইনি ।”এই বলে সে মিয়ার পেটে ছুরি ধুকিয়ে দেয়।প্রিস্ট বলে পরীক্ষা করে দেখ সে জীবিত কিনা।তাকে সবাই মৃত ভেবে সেখান থেকে চলে যায়।কিছুক্ষণ পর মিয়া চোখ খুলে এবং ডায়েরীটাতে একটি মন্ত্র লিখে যায়। যাতে যখনই যে কেউ এই মন্ত্রটি পড়ে মিয়া তার দেহে সে প্রবেশ করে তার অসম্পূর্ণ কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারে।কিছুক্ষণ পর মিয়া মারা যায়।মারা যাওয়ার আগে মিয়া প্রতিজ্ঞা করে তাকে মায়ের মত আদর করা এজেলা এর মৃত্যুর প্রতিশোধ সে নিবে এবং এজেলা আর এলেক্স দুইজনকে সে ফিরিয়ে আনবে।মিয়া মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ পর প্রিস্ট আর কয়েকজন এসে মিয়ার লাশ সেই বাড়ির বেসমেন্টে দাফন করে সেই রুমের দরজা দেয়াল দিয়ে ঢেকে দেয়।কিছুদিন পর সবাই সবকিছু ভুলে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছিলো।কিন্তু কিছুদিন পর এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাথাকাটা লাশ পাওয়া যেতে শুরু করে।লাশ গুলোর মাথা ছাড়া এমন বীৎভস্য লাশ দেখে ডেনভারবাসী এমনকি তদন্তকারী পুলিস অফিসাররা ভয় পেতে শুরু করে।পুরু এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি হয়।পুলিসরাও চিন্তিত হতে শুরু করে কারণ এর পিছনে কে আছে তা তারা বের পারছিল না এবং কারণটি বুঝা যাচ্ছিল না এমন হত্যার।কিছুদিন পর প্রিস্ট এর একজন সহচর্য লেকের ধারের রাস্তা দিয়ে হাটছিল হঠাৎ তার কাছে লাগল কেউ তার পিছনে আছে কিন্তু ঘুরে দেখলাম কেউ নাই।সে হাটছিলো হঠাৎ করে পিছলিয়ে পরে যায়।তার কাপড় সম্পূর্ণ মাটি দিয়ে মেখে যায়।তাই সে লেকে গোসল করতে নামে এবংতার ক্রশটা তীরে রেখে যায় যাতে পানিতে গোসল করার সময় হারিয়ে না যায়।যখন গোসল করে উঠে তখন কারো কান্নার আওয়াজ শুনতে পায় সে।যখন কাছে যায় দেখতে পায় আমাদের চার্চের একজন নান।সে তাকে বলল,“আরে তোমার হাতে ব্যথা পেলে কিভাবে?চল আমার সাথে চল আমি চিকিত্সার জন্য তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই।”নানটি তার সাথে চলতে চলতে তার হাত এমন শক্তভাবে ধরল যেন সে ভেঙে ফেলতে চাইছে।”সে বলল,“তুমি ছাড়ো আমাকে,আমি প্রচুর ব্যথা পাচ্ছি।”নানটি বলল,“তুমি কি আমাকে ছেড়ে দিয়েছিলে?আমি তোমাদের সবাইকে বলেছিলাম তোমাদের সবার পরিণতি অশুভ হবে।”এই বলে সে সহচর্যটিকে অনেক দুরে আছড়ে ফেলল।সহচর্যটি দেখে তার ক্রশটি তার থেকে ২-৩ হাত দুরে তাই সে হামাগুড়ি দিয়ে সেটি নেয়ার চেষ্টা করতে থাকে ততক্ষণে নানটি তাকে হত্যা করার জন্য একটি ধারালো ছুরি নিয়ে তার খুবই নিকটে চলে আসে।সে আমার উপর ছুরি নিয়ে তাকে যখন মারতে আসল ঠিক তখনই সে তার উপর ক্রশটি ছুরে মারলো।নানটি তক্ষণাৎ ছটফট করতে লাগল এবংজ্ঞান হারিয়ে ফেলল।তক্ষনাৎ আমি প্রিস্টকে যেয়ে সব বললাম।আমি আর আব্বু বললম,“তাহলে আপনি সেই সহচর্য?”প্রিস্ট বলল,“হ্যা,তখন আমি সেই সময়কার প্রিস্ট এর সহচর্য ছিলাম।এখন আমি নিজেই একজন প্রিস্ট।”আব্বু বলল,“তারপর কি হলে?”প্রিস্ট বলল,“আমি আমাদের প্রিস্টকে সব বলার পর সে নানকে নিয়ে আসল এবং তার চারপাশে হলি ওয়াটার আর কান্ডেলস জ্বালিয়ে মন্ত্র পড়তে লাগল যাতে নানের জ্ঞান ফেরার পর মিয়া তার দেহে প্রবেশ করতে না পারে।নান জ্ঞান আসার পর বলল যে এজেলার বাড়িতে সে যাওয়ার সে একটি ডায়েরী পায় তাই সে ডায়েরিটা পড়তে শুরু করে।তারপর সে রাতে ঘুমানোর পর সকালে উঠে দেখতে পায় তার শরীর রক্তে মাখা।কিন্তু সে ভয়ে এই ব্যাপারটা কাউকে জানায়নি। এর অতিরিক্ত সে কিছুই জানেনা।প্রিস্ট আমাকে ডায়েরিটি আনতে বলল।আমি ডায়েরীটি আনলাম।কেউ রুশ ভাষা না পারায় প্রিস্ট আমাকে ডায়রীটি পড়তে বলল।আমি ডায়েরিটি পড়তে লাগলাম।হঠাৎ করে আমি সেই মন্ত্রটিও ভুলে পরে ফেললাম ফলে নান এর উপর মিয়ার আত্মা আবার এসে পড়ল।মিয়া তার উপর এসেই বলতে লাগল,“আজ তোদের সবাই মরবে, সবাই। ”তারপর জোরে বাতাস বইতে শুরু করল ফলে প্রিস্ট এর হাতে থাকা ক্রশটি পরে গেল এবং কান্ডেলসগুলো নিভে গেল।তারপর সে প্রিস্ট এর গলা চেপে ধরল এবং বলল,“আজ তোর জীবনের শেষ দিন।”আমি নানের হাত ছাড়াতে গেলাম কিন্তু সে আমাকে মাটিতে ফেলে দিল।তখন আমার মনে আসল এই ডায়েরীর মন্ত্র পড়ার ফলে মিয়া নানের শরীরে প্রবেশ করেছিল তাই আমি একটি কাঠ কয়লার পাত্রতে আগুন ধরিয়ে ডায়েরিটি তাতে ফেলে দিলাম।নান ছটফট করতে করতে মিয়ার দেহ ত্যাগ করল কিন্তু ডায়েরিটি আগুনে দেয়ার পরও ডায়েরিটী পুড়ল না।এই পরিস্থিতি দেখে আমি প্রিস্টকে বললাম,“নানের দেহ থেকে কিভাবে মিয়ার আত্মাকে দূর করব?”প্রিস্ট বলল,“একবার ডায়েরী থেকে যে মন্ত্রটি পড়বে মিয়া তার দেহে ততদিন প্রবেশ করতে পারবে যতদিন না মানুষটি মারা যায়।তাই নানের দেহে মিয়ার আত্মা পুনরায় প্রবেশ করার আগে নানকে মিয়াকে যেই স্থানে দাফন করা হয়েছিল সেই স্থান থেকে মিয়ার দেহ আর নান দুইজনকে আগুনে পুড়াতে হবে তাহলে মিয়ার দেহের বিনাশ হবে এবং নানের উপর ভর করা তার আত্মারও শেষ হবে।”তাই নান জ্ঞানহীন থাকা অবস্থায় আমরা তাকে এজেলার বাসার বেসমেন্টে নিয়ে যাই এবং তাকে বেধে রাখি।সে যখন জ্ঞান ফিরে পায় মিয়ার আত্মা আবার দেহে এসে বলতে লাগল,“তোমরা চাইলেও আমাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করতে পারবে না।আমার ডায়েরি যতদিন থাকবে আমিও এই পৃথিবীতে থাকব।এই ডায়েরি তোমরা ধ্বংসও করতে পারবে না।এখন হয়ত নানকে মেরে আমাকে বিদায় করবে।কিন্তু আমি আমার ডায়েরি দ্বারা আবার আসবো।”
তখন প্রিস্ট বলল,“তা তখনই সম্ভব যখন কেউ এই ডায়েরিটি তখন প্রিস্ট বলল,“তা তখনই সম্ভব যখন কেউ এই ডায়েরিটি পড়বে।কিন্তু আমি তোকে আর এই ডায়েরিটিকে অভিশাপ দিলাম যে,যতদিন এই বেসমেন্টে এসে তোর নাম কেউ না লিখবে ততদিন তুই চাইলেও তোর জাদু প্রয়োগ করতে পারবি না ফলে এই ডায়েরীও কেউ পরতে পারবে না।আই কার্সড দিস ডায়েরি।”মিয়া চিৎকার করল,“না,না,না।আমি নিজের শক্তি না প্রয়োগ করলেও এজেলার আত্মা দ্বারা কাউকে বশীভূত করে আমার নাম লিখাবো।”প্রিস্ট বলল,“এজেলার আত্মা এত শক্তিশালী না।তোর এই আশা করা অর্থহীন।”
তারপর আমরা নান আর মিয়ার কফিনে আগুন ধরিয়ে দিলাম।মিয়া চিৎকার করতে লাগল,“আমি আবার আসবো,আবার।
তারপর আমরা এই ডায়েরিটিকে লেকের পানির তলে মাটি গর্ত করে পুতে দিলাম।কারন কেউ লেকের তলের মাটি কখনোই খুড়বে না তাছাড়াও তখন লেকটি আরও বিস্তীর্ণ আর গভীর ছিল।
আমার অাব্বু বলল,“তাহলে কি এনাকে আমরা বাচাঁতে পারব না?প্লিজ কিছু বলেন।আব্বু কান্না করতে লাগলেন।

(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here