#ফুচকাওয়ালা যখন স্পেশাল অফিসার
#পর্বঃ০৯
#লেখকঃরবিউল_হাসান

আমিঃআচ্ছা রাখছি ঠিক নয় টার সময় গান নিয়ে আমার বাসায় আসবি।
রাশেদঃআচ্ছা।

তারপর ফোন কেটে দিলাম।তারপর এটা ওটা করতে করতে আট টা বেজে গেল।আর মাত্র ১ ঘন্টা বাকি রাশেদ আসতে।তাই কিছু ফাইল চেক করে নিলাম।
তারপর একটু খবর দেখলাম।ঘড়িতে দেখি ৮ঃ৫০ টা।তাই রেড়ি হয়ে নিলাম।নরমাল একটা পোশাক পড়লাম।সাথে শুধু মাক্সটা আর বন্ধুকটা নিলাম।
নয়টা বাজার ৫ মিনিট আগে রাশেদ আসল।
আমিঃচল তাহলে যাওয়া যাক…
রাশেদঃকিছু খাওয়াবি না?
আমিঃহুম খাব তো সামনের চায়ের দোখান থেকে ভালো করে খাওয়াব।
রাশেদঃওকে চল।

তারপর রাশেদ আর আমি চলে গেলাম চায়ের দোকানে।চা খেয়ে দু জন হাটতে লাগলাম।
রাশেদঃএখন তো বল কে তারা দুই জন?
আমিঃআচ্ছা তারা কারা না শুনলে কি তুর ভাত হজম হয় না?
রাশেদঃবলবি কিনা?
আমিঃহুম বলব চল আরেকটু সামনে যায়।
৫মিনিট হাটার পর…..
রাশেদঃএবারতো বল???
আমিঃতাহলে শুন, তুর কি মনে আছে আমরা যখন জবে প্রথম ডুকি তার মাস খানিক পরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩০ টা মেয়ে প্রাচার হয়ছে যে সেটা?
রাশেদঃহুম মনে আছে তো?
আমিঃতো এই হল সে যে আমার টার্গেটে থাকবে।
রাশেদঃএরা তো দুই জন?
আমিঃহুম, আর তুর কি মনে আছে এম পির নির্বাচন হওয়ার মাস খানেক আগে একটা গাড়ি বিস্ফোরণ হয়েছিল যে ওটা?
রাশেদঃহ্যা মনে আছে?
আমিঃআর সে হচ্ছে দ্বিতীয় ব্যাক্তি, গড়িতি এমনিতে বিস্ফোরণ হয়নি, ওটাতে টাইম বোমা লাগানো হয়েছিল।
রাশেদঃকারা সে জানোয়ার গুলো যারা নিরিহ মানুষকে এভাবে মেরেছে?
আমিঃএকটা হল এম পি.আরেকটা হল ব্যাবসায়ী রায়হান ইকবাল।
রাশেদঃকিহ
আমিঃহুম। ভোট পাওয়ার জন্য এম পি গড়িতে বোমা লাগিয়েছিল, আর বলেছিল তার কিছু সহকর্মী সে গাড়িতে ছিল,বিপরীত দল তাদের এক্সিডেন্ট করিয়েছে।আসলে ঐ গাড়িতে এম পির লোক ছিল না, কারণ বোমা লাগানোর পর তারা গাড়ি থেকে নেমে যায়।তারপর গাড়ি বিস্ফোরণ হয়।আর মেয়ে প্রাচার করছিল ফয়সাল+ এম পি+ লিজা+রায়হান ইকবাল।
সবাই মিলে জড়িত আছে প্রতিটি বড় বড় অপরাধের পেছনে।
চল আরেকটু সামনে যায়…..
রাশেদঃহ্যাঁ চল…..
আমিঃশুন অনুষ্ঠানে তুই আমার সাথে থাকবি। আমি যখন বলব তুই আপুর কাছে চলে যাবি।
রাশেদঃকেন আপুও কি ওখানে যাবে নাকি?
আমিঃহুম, আপুকে তারা সন্দেহ করছে।তাই আপুর সেইপ্টি তুকে দেখতে হবে।কারণ আমি থাকব এম পি র সামনের মানুষের সাথে।তাদের কথা শেষ হলে আমি এম পি কে শুট করব।আর মনে রাখবি ওখানে রিমিও থাকবে কিন্তু। তার সাথে বন্ধুক থাকতে পারে।
রাশেদঃওকে।

আরো ১০ মিনিট হেটে একটা বড় বিল্ডিংয়ের সামনে আসলাম।

রাশেদঃএই কোথায় নিয়ে এলি আমাকে?এত নির্জন কেন এই বিল্ডিং?
আমিঃতুর কি মনে হয় এখানে কোনো মানুষ নেই?
রাশেদঃদেখে তো তাই মনে হচ্ছে।
আমিঃতুকে বন্ধুক আনতে বলেছিলাম, আনছিস?
রাশেদঃহ্যা।কিন্তু কেন?
আমিঃতাহলে শুন এই যে বিল্ডিং টা তুই নির্জন বলছিস সেখানে এখন প্রায় ২০ জন মেয়ে আটকে আছে।আর এটা হল রায়হান ইকবালের গোপন বাড়ি।আর আমরা এখন এটাতে মিশন চালাব।
রাশেদঃকিহ তুই তো জানিস ওখানে বিপদ হতে পারে।আমাদের টিম মেম্বার দের আনা উচিৎ ছিল।দাড়া আমি ফোন দিয়ে তাদের আসতে বলতেছি।
আমিঃতার দরকার নেই।আমরা দুই জন মিশন সাকসেস করতে পারব।
রাশেদঃসিওর তো তুই?
আমিঃহ্যা। শুন তুই যাবি পেছনের দরজা দিয়ে আমি সামনে থাকব।আর ভিতরে ৫ জন লোক আছে।বাকি গুলো১৭+ বছরের মেয়ে।
আমাদের টার্গেট থাকবে ওই ৫ জন লোক।
রাশেদঃওকে।
আমিঃওকে তুই তাহলে পেছনে যা।আমি সামনে দিয়ে যাচ্ছি। আমার অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত তুই ফায়ার করবি না।নে মাক্স পড়ে নেয়।
start now…..
রাশেদঃইয়েস স্যার।
আমিঃgo now..…
রাশেদঃok sir….

তারপর রাশেদ পেছনে চলে গেল আমিও মাক্স পড়ে সামনের দরজায় দাড়ালাম।রাশেদকে ফোন দিলাম।
আমিঃরেড়ি তো?
রাশেদঃইয়েস স্যার।
আমিঃওকে।আমি ডুকতেছি।তুইও ডুকবি।সামনে কেউ আসলে গুলি করে দিবি।
রাশেদঃইয়েস স্যার।
আমিঃওকে।

তারপর ভিতরে ডুকে গেলাম।পেছন দিয়ে রাশেদও ডুকল।ভিতরে একটা মেয়ে আমাকে দেখে ফেলল।কিছু বলার আগে আমি তাকে ইশারায় চুপ করিয়ে দিলাম।
তারপর সামনে গিয়ে একজনকে দেখলাম।সাথে সাথে লুকিয়ে পড়লাম।সে একটু কাছে আসতেই পেছন দিয়ে তার মুখ চেপে ধরলাম।আর ঘাড় ভেঙে দিলাম।সে সাথে সাথে মারা গেল।
আর ওই দিকে রাশেদ ভিতরে ডুকে সামনে আসল।আমি আর সে সামনা-সামনি হয়ে গেছি।
আমি তাকে ইশারায় বললাম সামনে বাম পাশে যেতে।সে সাথে সাথে আমার দিকে গুলি চালাল……

আরে কি ভাবছেন গুলি আমাকে করছে?আরে না আমার পেছনে আরেকটা লোক ছিল যাকে আমি খেয়াল করি নি। সে যখন আমাকে হামলা করতে আসে রাশেদ তখন তাকে গুলি করে।
সে সাথে সাথে মাটিতে পড়ে যায়।আমি ইশারায় বললাম Good job
রাশেদঃ……
আমি আবারো ইশারায় বললাম সামনে যেতে। সে সামনে যাচ্ছে আর আমিও।
ভিতরে আর ৩ জন আছে।
(আপনাদের বলেই দিয় আমাদের বন্ধুকের কোনো সাউন্ড হয় না।সাইলেন্সারও লাগানো নেই।বর্তমান আমাদের হাতে যে বন্ধুক গুলো আছে সে গুলো নতুন তৈরি করা হয়েছে।রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে মাত্র ১৫ টা এই বন্ধুক আনা হয়েছে।তার মধ্য ১০ টা আমার কাছে।৩ টা CM এর কাছে।১ টা বড় এক ব্যাবসয়ায়ীর কাছে।আরেকটা আগের একজন মেজরের কাছে।)
আমি রাশেদকে ইশারায় বললাম।ভিতরে আর ৩ জন আছে।
সাথে সাথে আমি রাশেকে ইশারা করলাম লুকিয়ে যেতে।
কারণ ভিতর থেকে আরেকজন বেরিয়ে আসতেছে।
লোকটা এসে চারপাশ দেখতে লাগল।সামনে যেতে যেতে ঘাড় ভাঙছিলাম যে তার কাছে গেল।তাকে মরা দেখে যখনই বন্ধুক বের করতে যাবে আমি সাথে সাথে শুট করে দিলাম।সেও শেষ আর আছে দুই জন।
আমি রাশেদকে ইশারা করলাম এখন আমরা ভিতরে ডুকব।
রাশেদঃওকে(ইশারায়)
আমিঃওকে(ইশারায়)

তারপর আমি আর রাশেদ ভিতরে আস্তে করে ডুকে গেলাম।সাথে সাথে একজন আমাদের দেখে পেলল,সাথে মেয়ে গুলাও আমি তাদের ইশারা করলাম।চুপ থাকতে তারা চুপ হয়ে গেল।
যে আমাদের দেখে পেলছে আমি তাকেও শুট করে দিলাম।বাকি একজন বিপরীত দিকে থাকিয়ে ছিল। কিছু পড়ার শব্দে যখন পিছনে ফিরতে যাবে তখন আমি আর রাশেদ একসাথে শুট করলাম।এখন আর কেউ নেই।
মেয়ে গুলো এখনে নিরব।তাদের কাছে আস্তে করে গিয়ে বললাম।আমি তারা কয়জন আছে?
মেয়ে একটাঃতারা ৫ জন আছে।প্লিজ ভাইয়া আমাদের বাঁচান।
আমিঃটিক আছে তোমরা চিন্তা করো না।আমরা দুই জন তাদের পাঁচ জনকে মেরে পেলেছি।এখন তোমাদের এখান থেকে নিয়ে যাব।শুন তোমরা চুপ করে বসে থাক।আমি পুলিশ কে ফোন দিচ্ছে তারা এসে তোমাদের নিয়ে যাবে।তার আগে তোমরা এখান থেকে বের হবে না।
মেয়েগুলোঃওকে ভাইয়া।
আমিঃগুড়।রাশেদ তুই এদের সাথে থাক আমি পুলিশকে ফোন দিচ্ছি।তারা আসলে আমি তোকে ফোন দিব তখন তুই পেছন দিয়ে বেরিয়ে যাবি।আমি পেছনের রাস্তায় থাকব।
রাশেদঃআমিও চলে গেলে সমস্যা কি?
আমিঃকারণ এরা ভয় পাবে।
রাশেদঃওকে
আমি তারপর বের হয়ে টিমকে ফোন দিলাম।
R.h2 :Yes sir….

আমিঃআমি এখন এক জনকে ফোন দিব,সে যাতে আমার নাম্বার দেখতে না পারে তার ডিসপ্লেতে আমার নাম্বার ব্লাংক করে দাও।আর তার ফোন হ্যাক করে পেল যাতে আমার কথা সে রেকর্ড বা আমাকে ট্রেগ করতে না পারে।আর আমার কথা শেষ হলে তার ফোন থেকে যাতে আমি ফোন দেওয়ার আগে আধ ঘন্টা ও ফোন দেওয়ার পরের আধ ঘন্টার কল লিস্ট যাতে মুছে যায়।
R.h2:yes sir…

তারপর আমি ওসিকে ফোন দিলাম।ওসি ফোন বের করে দেখে নাম্বার নাই, তাই ফোন কেটে দেয়।আমি আবারো ফোন দিয়।
ওসি এবার ফোন রিসিভ করে…..
তাকে কিছু বলতে না দিয়ে..

আমিঃহ্যালো ওসি সাহেব আমি R.K বলছিলাম।
ওসিঃR.K… (অবাক ও ভয় পেয়ে)
আমিঃহুম ভয় পাওয়ার কিছু নেই,আপনাকে একটু ইনফরমেশন দিতে ফোন দিয়েছিল।
ওসিঃকি ইনফরমেশন?
আমিঃরায়হান ইকবাল কে চিনেন?
ওসিঃহ্যা চিনি।
আমিঃওনার পোপন বাড়িটা চিনেন?
ওসিঃগোপন বাড়ি মানে ওনারতো একটাই বাড়ি।
আমিঃতার মানে আপনি চিনেন না তার গোপন বাড়ি?
ওসিঃনা…
আমিঃতাহলে আমি বলতেছি।তার আসল বাড়ির ডান পাশের রাস্তা দিয়ে ১ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে দেখবেন ছোট একটা পাহাড়।পাহাড়ের বাম পাশে একটা বড় বিল্ডিং আছে বাহিরে হলুদ রং করানো।সেটা তার গোপন বাড়ি।
ওসিঃতো?
আমিঃতো এখন আপনি আপনার ফোর্স নিয়ে সেখানে যাবেন।সাথে ৫ টা এম্বুলেন্সও নিবেন?
ওসিঃকিন্তু কেন?
আমিঃকারণ ওখানে কিছু মেয়েকে ভারতে প্রাচার করার জন্য রায়হান ইকবাল আটকে রেখেছে।সাথে ৫ টা লোকও রেখেছে।আমি আর আমার একজন বন্ধু তাদের ৫ জনকে মেরে পেলেছি।তাই এম্বুলেন্স আনতে হবে।মনে রাখবেন আপনি এমন করে মেয়ে গুলোকে আনবেন যেন তারা ভয় না পায়।আর এটাও মনে রাখবেন।এসবের পেছনে যে রায়হান ইকবাল ছিল সেটা আপনি আর আমি ছাড়া আর কোনো মানুষ যাতে না জানে।আর ইকবালকে এখন গ্রেপ্তারও করবেন না।
ওসিঃওকে।
আমিঃঠিক আছে এখন রাখছি।
ওসিঃশুনেন….
আমিঃজ্বী বলেন….
ওসিঃআপনার সাথে বসে এক কাপ চা খাওয়ার অনেক ইচ্ছে ছিল।
আমিঃতাই নাকি?
ওসিঃজ্বী যদি আপনি কিছু মনে না করেন তাহলে কি আমরা এক কাপ চা খেতে পারি।আসলে আপনাকে দেখার অনেক ইচ্ছা তাই বললাম আর কি….
আমিঃঠিক আছে তবে আমি একা না আমার সাথে আরো মানুষ থাকবে।আপনার বাসায়ও খাব না, কোনো ফুটপাতের দোকানে বসে আমরা চা খাব।তবে আপনার সাথে আমার কথা হবে না।তবে দেখা হবে।আপনার সাথে আরো ১০ জন মানুষ বসা থাকবে সবাইকে আপনি চা খাওয়াবেন।তাদের মধ্য আমি একজন থাকব।
ওসিঃতাহলেও চলবে।
আমিঃতাহলে আজ রাত ৮ টায় দেখা হবে আপনার থানার বাইরের বাম পাশের দোকানে।
ওসিঃওকে।

To_be_continue…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here