#ফুচকাওয়ালা যখন স্পেশাল অফিসার
#পর্বঃ০৬
#রবিউল_হাসান

আমিঃপরে কইলে হবে।
আন্টিঃঠিক আছে এখন খেয়ে নাও।
আমঃহুম।

(তারপর সবাই খেয়ে নিলাম)
আন্টিঃকথা কি এখানে বলব নাকি পরে বলব?(আমাকে বলল)
আমিঃপরে কইলে হবে।
আন্টিঃঠিক আছে এখন খেয়ে নাও।
আমঃহুম।

(তারপর সবাই খেয়ে নিলাম)

রিমি টিভিটা অন করল, আমিও সেখানে তাদের সাথে বসে আছি।

ব্রেকিং নিউজ,
আজ আবারো R.K এর শিখার হল এম পির বিশ্বাস যোগ্য আরেক নেতা।যাকে এম পির ডান হাত বলে গননা করা হয়।তার ও পিটে লিখা ছিল R.K, আসলে কে এই R.K তার আসল উদ্দেশ্য কি?সবার একটাই প্রশ্ন, সবার আগে নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের চ্যানেলে।
আপনাদের সাথে ছিলাম আমি, রোবাইয়া নাসরিন।

খবর শুনে সব নেতার মাথা গরম হয়ে গেল।তবে এবার R.K এর উপর নয় সাংবাদিকের উপর।
শুধু নেতারা গরম হয়ে গেছে তাও নয়, অন্যান্য মিডিয়াও গরম হয়ে গেছে।
তাদের একটাই কথা সব খবর এই মেয়ে সবার আগে পাই কেন কে এই মেয়ে।নাকি R.K এর সাথে এই মেয়েটার পরিচয় আছে?

আমি খবর শুনে হাসলাম, যেটা রিমির চোখ পড়ে গেল।

আমি তারপর আন্টিকে বললাম।
আমিঃআন্টি তাহলে মুই আজকে আসি?
আন্টিঃআসি মানে তোমার সাথে তো কথা আছে।
আমিঃআইচ্ছা আন্টি।

আন্টি রিমিকে বলল, রিমি তুই কলেজে যা।
রিমিঃওকে মা, সাবধানে থেকো।আর আপনি কি আজ চলে যাবেন?(আমাকে বলল)
আমিঃহুম মুই আজ চলে যাব।
রিমিঃওকে।সাবধানে যাবেন।(বলে রিমি চলে গেল)

রিমি যাওয়ার পর আন্টি আমাকে বলল।
আন্টিঃবল কে তুমি আর কি তোমার এমন কাজ যার জন্য রাত দুইটার সময় বাইরে যেতে হয়?
আমিঃআন্টি আপনি আমার ব্যাপারে অনেক কিছু অনুমান করে নিছেন।শুধু এতটুকু শুনেন আমার নাম হাসান।
আন্টিঃতুমি কাল কি জন্য এত রাতে বাহিরে গেছ?
আমিঃআন্টি গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হয়ছি,কিন্তুু কি কাজ সেটা এখন বলা যাবে না।এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ।যদি আপনার খুব জানতে ইচ্ছা করে তাহলে এতটুকু মনে রাখেন আর ১০ দিনের মধ্যে সব বুঝতে পারবেন।আজকে আমি আসি।

আন্টিঃনা তুমি এভবে যেত পার না,কি কাজ সেটা বলে যাও।
আমিঃআন্টি আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না?সত্যি আর ১০ দিনের আগে সব জানতে পারবেন।
আন্টিঃটিক আছে,অপেক্ষায় থাকলাম।
আমিঃধন্যবাদ আন্টি।

তারপর আন্টির থেকে বিদায় নিয়ে নিজের ভাঙাচোরা বাসায় চলে আসলাম।আজকে সহ তিন দিন কলেজে ফুচকা বিক্রি করতে যায় নি।কাল থেকে আবার যাব।

তারপর বিকাল বেলা একটু ঘুরাঘুরি করে তাড়াতাড়ি ঘুমাইয়া গেলাম।

সকালে ঘুম থেকে ওঠে আবারো কলেজে গেলাম, ফুচকা বিক্রি করতে।

নিয়মিত কাস্টমার তো আছেই….

রাকিবঃতা মামা কেমন আছ?এত দিন আস নাই কেন?
আমিঃএকটু অসুস্থ ছিলাম মামা।এখন ঠিক আছি।এখন আসব প্রতিদিন।
রিজয়ঃওকে মামা।এখন ফুচকা দাও।
আমিঃহুম লও

তারপর সারাদিন ফুচকা বিক্র করলাম।
রাতে বাসায় এসে শুয়ে পড়লাম।
আমার বন্ধু রাশেদ কে ফোন দিলাম।রাশেদ যেটা বলল তা শুনে তো আর এক মিনিট থাকতে পারলাম না।

রাশেদকে ফোন দেওয়ার পর, সে বলল আমার আপুকে নাকি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিকাল থেকে নাকি।

রাশেদকে বললাম খুব তাড়াতাড়ি আমার সাথে দেখা করতে, ২০ মিনিটের মধ্যে সে আসল।

আমিঃআপু কোথায় থেকে হারিয়ে গেছে?
রাশেদঃতুর আপু অফিস থেকে আসার সময় একটা গাড়ি করে কিছু লোক আটকায় তারপর তুর আপুকে তারা নিয়ে যায়, তারা আসছিল একটা মাইক্রো করে।
আমিঃগাড়ির নাম্বার কত ছিল, ট্রেগ করেছিস?
রাশেদঃগাড়ির নাম্বারটি ফেইক ছিল তাই ট্রেগ করা যায় নি।তবে আমরা একটা কাজ করতে পারি,আমি কাজ টা করার জন্য আমাদের গ্রুপকে জানিয়েছি….
আমিঃকি কাজ?
রাশেদঃএই এলাকায় যত সি সি টি বি আছে সব ক্যমরার রেকর্ড দেখতে বলেছি, তা থেকে তুর আপুকে খুজা হবে।
আমিঃগুড়।আরেকটা কাজ কর।তাদের কে বলে দেয়, আপুকে যে দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে ক্যমরার রেকর্ড দেখতে আর আমাদের জানাতে বল।তাড়াতাড়ি কর।
রাশেদঃতুই এত চিন্তা করিস না।আপুকে ঠিকই খুজে বের করব আপুর কিছু হবে না।

আমিঃদোয়া কর যাতে আপুর কিছু না হয়।

রাশেদঃচল….
আমিঃকোথায়?আপুকে খুজতে হবে তো?
রাশেদঃতাই তো বলছি চল, এই মাত্র R.h6 জানিয়েছে তুর আপুকে যে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই গাড়িটা শেষ বার এম পির পুরাতন বাড়িতে দেখা গেছে।আমাদের টিম তাদের সব ক্যামরা হ্যাক করে নিছে।এখন তুর আপু ওখানে আছে।
আমিঃতো আর দেরি কেন তাড়াতাড়ি চল।

রাশেদঃদাড়া সব ঠিক করে নেয়।
আমিঃওহ মনেই ছিল না।

তারপর রাশেদ আর আমি পুরো রেড়ি হয়ে নিলাম।গান,ছুরি ++ সব ঠিক করে নিয়ে নিলাম।
তারপর রওনা দিলাম,এমপির পুরাতন বাড়িতে।
বাড়িতে ডুকার আগে টিমকে ফোন দিলাম।
Rh8:আসসালামু স্যার, আপনার আপু এখন বাড়িটার ডান পাশের রুমে আছে, অজ্ঞান হয়ে আছে।
আমিঃঠিক আছে, তোমরা একটা কাজ কর ক্যামরাই যাতে আমাদের দেখা না যায় সে ব্যাবস্তা কর।
Rh8:স্যার ক্যামরা কি অফ করে দিব?
আমিঃ না না কি করছ,ক্যামরা অফ করলে তারা বুঝতে পারবে।একটা কাজ কর আমরা আসার আগে যে ফুটেজ টা হয়েছে সেটা আবারও চালাও, যাতে তারা বুঝতে না পারে। পরিস্থিতি যাতে স্বাভাবিক মনে হয়।
R.h8:ok sir,…… সব হয়ে গেছে এখন আপনি ভিতরে যেতে পারেন।
আমিঃওকে।…… রাশেদ চল ভিতরে যায়।
রাশেদঃহুম চল।

ভিতরে ডুকে আপুকে যেখানে বেধে রেখেছে সেখানে যেতে লাগলাম।হঠাৎ কেউ সামনে আছে মনে হল,তাই লুকিয়ে পড়লাম।

কিছুক্ষণ পর আবারো সামনে গেলাম, দেখলাম আপু চেয়ারে বাঁধা অজ্ঞান হয়ে আছে।

আমিঃরাশেদ তুই এখানে দাড়া ভিতরে তুই যাইস না, বন্ধুক ঠিক করে রাখ, কেউ আমার দিকে আসলে তাকে শুট করে দিবি।
রাশেদঃওকে।তুই এখন যা, সাবধানে যাবি আমিও তুর সাথে আছি।

আমি রাশেদের দিকে মুচকি হেসে থাকালাম।ছোট বেলার একটা কথা মনে পড়ে গেল, একদিন আমি স্কুলে যাচ্ছিলাম তখন হয়তো ক্লাস ৫/৬ এ। একটা ছেলে এসে আমাকে পেছন থেকে কিল মেরে চলে গেল কে সেটা আমি দেখি নি। যে মেরেছে তার পেছনে রাশেদ ছিল।আমি তো কিল খেয়ে বসে পড়ছি একটু বেশি জুরে লেগেছিল।৫ মিনিট পর শুনলাম আমার ক্লাসের একজন মার খেয়ে বেহুশ হয়ে গেছে কে মেরেছে সেটাও কেউ জানে না।সেদিন রাশেদের সাথে আমার আর কথা হয় নি।বাসায় চলে আসলাম।
পরের দিন স্কুলে গিয়ে রাশেদকে বললাম।কালকে মারামারির সময় তুই কোথায় ছিলি??
রাশেদঃএইতো আমি এখানেই ছিলাম সবার সাথে।
আমিঃএখানে কোথায়, কাল কে একজন আমাকে পেছন থেকে খুব জোরে মেরে চলে গেল, কে সেটাও জানলাম না।
রাশেদঃযে মেরেছে সে তো মার খেল!!!
আমিঃমানে তুই কিভবে জানিস আমাকে মেরেছে আর কে বা মার খেল?
রাশেদঃস্কুল ছুটির পর বলব।
আমিঃওকে।এখন ক্লাস কর।

তারপর ক্লাস শেষ করে যখন বের হয়ে গেলাম তখন……
আমিঃরাশেদ এবার বল কে আমাকে মেরেছে?
রাশেদঃসাকিব””
আমিঃতুই কিভাবে জানলি?আর সাকিব কে তো কাল কেউ মেরেছে।
রাশেদঃকে আবার মারবে আমি ছাড়া?
আমিঃমানে তুই মেরেছিস?কিন্তু কেন?
রাশেদঃইচ্ছে হয়ছে মেরেছি।
আমিঃকিহ তুই ইচ্ছে হলেই কি কাউকে মারবি?
রাশেদঃতুই কি মনে করছিস, তুকে কেউ মেরে পালিয়ে যাবে আর আমি দেখে দেখে হাসব?
আমিঃমানে, আমাকে মেরেছে বলেই কি তুই তাকেও মেরেছিস?
রাশেদঃতা নয়তো কি?
আমিঃযদি সে স্যারকে বলে দেয় তাহলে কি করবি?
রাশেদঃধরে নে সে সব ভুলে গেছে,মারার সময় বলে বলে মারছি আজকের কোনো কথা যদি কেউ জানে তাহলে তাকে আরেক মার দিব।
আমিঃকিহ তাহলে তুই কি সিওর সে এই ঘটনা কাউকে বলবে না?
রাশেদঃসিওর নয়তো কি?যদি সে কাউকে এসব কথা বলে তাহলে তো তাকে খবর করব।আর তুই এসব চিন্তা করিস না।কাউকে বলবে না।

অবশ্যই ঘটনা টি কেউ আর জানে নি, আসলে সে দিন কি হয়েছিল?

এমন আরো অনেক ঘটনা আছে রাশেদ সবসময় আমার পাশেই ছিল চায়ার মত।

বর্তমান,,,,,,,,,,,
রাশেদঃকিরে কি ভাবছিস ভিতরে যা।একদম চিন্তা করবি না,আমি আছি।
আমিঃহুম।

বলে ভিতরে চলে গেলাম।আপু এখনো অজ্ঞান তাই পাশে পানি ছিল সেখান থেকে নিয়ে আপুর মুখে পানি ছিটালাম।তারপর আপুর জ্ঞান ফিরল। আপু আমাকে দেখে অনেকটা চিন্তা মুক্ত হল তা আপুর চেহারা দেখে বুঝা যাচ্ছে।
আমিঃআপু চিন্তা করো না এখন সাবধানে চলো।
আপুঃচল এদের বিরুদ্ধে অনেক ইনফরমেশন আছে আমার।তুর অনেক কাজ করবে এই ইনফরমেশন।
আমিঃঠিক আছে আপু সেসব পরে হবে এখন চল।
আপুঃহুম চল।

বাইরে এসে যা দেখলাম তা একদম অবিশ্বাস্য। রাশেদ যখানে ছিল সেখানে সে নাই আছে তার ফোনটা।আমি ফোনটা হাতে নিতেই কেউ একজন আমাকে ধাক্কা দিল।আমি কি কিছুটা ধুরে ছুটে পড়লাম।
পেছনে থাকিয়ে দেখি এমপির লোক ফসাল দাড়িয়ে আছে।
ফসয়ালঃকিরে R.K অবাক হয়ে গেলি আমাকে দেখে?
হা হা তুই কি মনে করেছিস?তুর লোক সব ক্যামরা হ্যাক করে তুই এখান থেকে এই সাংবাদিক কে নিয়ে যাবি? হা হা হা…
আরে তুই কি ভাবছিস তুই চাইলে একে এখান থেকে নিতে পারবি?কখনো না। বরং আরো ভালো হল তুকেও অনেক দিন ধরে দেখার ইচ্ছে ছিল আজ তুকেও দেখে নিব।
আমিঃআচ্ছা তুই একা আমার কি করবি বল তো?বরং আমি তুকে এখানে মেরে দিব।
ফয়সালঃহা হা হসালিরে তুই হাসালি?তুই কি মনে করেছিস আমি একা? এই তোরা বাইরে আয়!!!

দেখলাম সাথে সাথে ১০ জন ছেলে বেরিয়ে আসল।
ফয়সালঃকি অবাক হয়ে যাচ্ছিস এদের দেখে? ওহ হ্যা অবাক হওয়ার কিছু নেই আর তোর বন্ধু সেও আমাদের সাথেই আছে তাকে তো ইচ্ছে মত মার দিছি এখন তোকে দেব।তাকে শুধু মেরেছি কিন্তু তোকে মেরেই পেলব।
আমিঃআচ্ছা সেটা পরে দেখা যাবে। আগে বল তুই কি এসব কাজ এমপির জন্য করতেছিস?
ফয়সালঃহা হা যা তোর এই একটা ইচ্ছে পুরণ করলাম।তাহলে শুন কার জন্য আমি কাজ করতেছি।এই কাজ একটা মেয়ের জন্য করতেছি।তুই তাকে চিনবি না।সে তোকেও মারতে চায়।শুধু তোকেও এখানে পাইছি।

To_be_continue…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here